Tag: রাণীশংকৈল
-
রাণীশংকৈল কেন্দ্রীয় কলেজ হাট ঈদগাহ মাঠের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল কেন্দ্রীয় কলেজ হাট ঈদগাহ মাঠ নিয়ে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (২০ মে) সকালে উপজেলার কলেজ হাট ঈদগাহ মাঠে সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়।ঈদগাহ মাঠের সাধারণ সভায় তোয়া’হার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন অত্র কমিটির সহ-সভাপতি মোকলেসুর রহমান, সম্পাদক আব্দুর রফিক,পৌর কাউন্সিলর রুহুল আমিন ও ইসাহাক আলী,মাওলানা জিয়াউর রহমান,মাওলানা মাসউদ আলম সদস্য রফিকুল ইসলাম,সামশুল হক,মোস্তফা কামাল,মিঠু, তামিম,প্রমুখ।সভায় সকল সদস্যর সর্বসন্মতিক্রমে ঠাকুরগাঁও ৩ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমানকে উপদেষ্টা ও আতাউর রহমানকে সাধারন সম্পাদক করা হয়। এ সময় গেট ও প্রাচীর নির্মান,বৃক্ষ রোপণ নিয়ে আলোচনা করা হয়।এ সময় আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন মোকাররম হোসাইন। -
রাণীশংকৈলে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় ও মোনাজাত।
টানা কয়েকদিনের অসহনীয় গরমে পুড়ছে সারাদেশ সেই সঙ্গে মানুষের কষ্টেরও কমতি নেই। সূর্যের গনগনে আঁচে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচণ্ড তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভুট্টা, ধান, গমসহ মাঠের অন্যান্য ফসল। নষ্ট হয়ে ঝরে পড়ছে আম ও লিচুর গুটি। ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ।
এ অবস্থায় আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফ ও বৃষ্টি চেয়ে আবারও ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে উপজেলার কাউন্সিল হাট ঈদগাহ দাখিল মাদ্রাসা মাঠে শুভ শক্তি সোসাইটি সংগঠন এ নামাজ ও মোনাজাতের আয়োজন করে।
ওই নামাজে উপজেলার সর্বস্তরের মুসল্লিরা উপস্থিত হন। এসময় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। পরে বৃষ্টি চেয়ে ও দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাতও করেন।
আজ নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। খুতবা প্রদান করেন মাওলানা রাজেকুল ইসলাম।
এর আগে গত শনিবার (১৩ মে) উপজেলার মধ্য ভান্ডারা দারুল কুরআন সলিমিয়া মাদ্রাসার মাঠে দুপুরের দিকে এই নামাজ আদায় করেন আলেম উলেমা ও সাধারণ মুসল্লিরা।
নামাজে অংশ নেওয়া আব্দুল খালেক বলেন, খাঁ খাঁ রোদে দাঁড়িয়ে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য নামাজ আদায় করতে এসেছি। নামাজের কাছে রোদ ও ভ্যাপসা গরম কিছুই মনে হয়নি। আল্লাহর রহমতে বৃষ্টি নামবে। জমিনে মানুষ প্রশান্তি পাবে।
ভরনিয়া গ্রামের সবজি চাষি আশরাফ বলেন, ‘আমরা কৃষিকাজ করে সংসার চালাই। আমাদের মাঠে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেচ দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না। এই গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই বৃষ্টির জন্য আমরা নামাজ আদায় ও দোয়া করলাম।’
নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনাকারী ইমাম মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘রাসুল (সা.) তার সময়েও বৃষ্টির জন্য এই সালাত আদায় করতেন। আমরাও আদায় করলাম। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলাম এবং বৃষ্টি চাইলাম।’
-
ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে বাবার সামনেই ছেলের মৃত্যু।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে বাবার সামনেই প্রাণ গেল ছেলের।বাড়ির কাজের জন্য মাটি আনার সময় ট্রলি থেকে পড়ে গিয়ে ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে বাবার সামনেই ছেলে নিহত হয়েছেন। নিহত শিশু রাফি ইসলাম (৩) উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের টাঙ্গাগন্জ বলঞ্চা গ্রামের বকুল ইসলাম ও রেনু আক্তার দম্পতির একমাত্র ছেলে।এ ঘটনায় একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে শোকে কাতর বাবা মাসহ গোটা পরিবার।রবিবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। ট্রলির চাকার নিচে পড়া রাফি ইসলামকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম বকুল।নিহতের দাদা দবিরুল ইসলাম বলেন, বাড়ির কাজের জন্য আমাদের নিজস্ব পাওয়ার ট্রলি যোগে মাটি নিয়ে আসার জন্য আমি ও আমার আরেক ছেলে কাজে গেলে রাফি তার বাবার সঙ্গে যায়। পরে ট্রলিভর্তি মাটিসহ ফেরার পথে রাফি পড়ে গেলে ট্রলি তার ওপর দিয়ে চলে যায়। এবং ট্রলির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে প্রাণহারান।রাণীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যায়। পরিবার ও স্থানীয়দের পক্ষ থেকে কারো কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। -
রাণীশংকৈলে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু।
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে পুকুরের পানিতে ডুবে হাফেজিয়া মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার সময় উপজেলার ছোট নুনতোর গ্রামের মকবুল হোসেনের বড় ছেলে মো. সিয়াম (১০) একই গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে আল আমিন (১২)
পানিতে ডুবে মারা গেছে। তারা দুজনেই প্রতিবেশী।ধর্মগড় ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বকুল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত সিয়ামের বাবা মকবুল জানান,পুকুরে পাশে খেলা করার সময় একজনের জুতা পানিতে পড়ে গেলে জুতাটি তুলতে গেলে একজন গভীর পানিতে তলিয়ে যায়। অপরজন গামছার সাহায্যে বন্ধুকে পানি থেকে তুলে আনার চেষ্টা করলে পানিতে সেও তলিয়ে যায়। পরে স্হানীয়রা টের পেয়ে পুকুরে নেমে তাদের খোঁজাখুঁজি করে। স্থানীয় ও ফায়ারসার্ভিস এর সহযোগিতায় দুজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
রানীশংকৈল থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল পানিতে ডুবে দুই মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আমরা খবর পেয়েই ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।
-
হরিপুরে পুলিশের উপর হামলা, আটক-৭।
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং এঘটনায় পুলিশ ৭জনকে আটক করেছে।বুধবার (১২ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের দিলগাঁও গ্ৰামে এস আই রাশেদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদক মামলার এজাহার নামীয় আসামি মাইনুদ্দিন ওরফে ছোটন (২৯) কে তার বাড়ি থেকে আটক করার সময় সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে চেচামেচি করে স্থানীয়দের তাকে উদ্ধার করার জন্যে ডাকহাক দিলে এজাহার নামীয় ২৫ জন আসামিসহ আরও ৩০/৪০ স্থানীয় লোকজন পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।এঘটনায় এস আই রাশেদুল ইসলাম ও পুলিশ সদস্য আব্দুর রশিদ আহত হয়।খবর পেয়ে হরিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।এ ঘটনায় হরিপুর থানায় রাতেই ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০/৫০ জন অঙ্গাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।পুলিশ অভিযান চালিয়ে দিলগাঁও গ্রাম থেকে এজাহার নামীয় ৭ আসামিকে আটক করে। আটককৃতরা হল দিলগাঁও গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে সোহাগ (৩০), খতিবের ছেলে দুলাল হোসেন (২৭), মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে ফজিল উদ্দিন(৫০), ফজিল উদ্দিনের ছেলে মোকলেসুর রহমান(২৩), মৃত শফিউল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ (৪৯), ফজিল উদ্দিনের ছেলে রুবেল ইসলাম (২৯) ও মৃত আফতাব উদ্দিনের ছেলে হামিদুর রহমান(৫২)।হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)তাজুল ইসলাম জানান, সরকারি কাজে বাধাদান, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে, চিরুনি অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় ৭ আসামিকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। -
রাণীশংকৈলে জিনের পুতুলে প্রতারণা’ চক্রের ৮ সদস্য গ্রেপ্তার।
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:জিনের স্বর্ণের পুতুল দেওয়ার কথা বলে মানুষকে বিভিন্ন লোভ লালসা দেখিয়ে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের কোচল এলাকার আলোচিত প্রতারক চক্রটির তিন পুরুষ ও ৫ নারী সহ মোট ৮জন সদস্যকে অবশেষে গত শুক্রবার মধ্যেরাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ।প্রতারণার চক্রটির মধ্যে গ্রেফতার কৃতরা হলেন, রুমা আক্তার,ঝর্ণা আক্তার,আমেনা বেওয়া,রুপালী আকতার,পারুল আকতার ও বিপ্লব,সুমন, মারুফসহ মোট ৮জন।আলোচতি এ প্রতারক চক্রটির আটকের বিষয় নিয়ে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ থানা চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনে করে। সংবাদ সম্মেলনে রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল জানান, উপজেলার কোচল এলাকার নাজমা ওরফে ছুটুনি বুড়ি, তার ছেলে রুবেল, মেয়ে জামাই আকাশ আলী মিলে জিনের স্বর্ণের পুতুল প্রতারণার এ চক্রটি পরিচালনা করে আসছে। তারা মানুষকে প্রতারিত করাসহ বিভিন্ন হয়রানী করে থাকেন। এই প্রতারক চক্রটি গত বৃহস্পতিবার দিনাজুপর জেলার সেতাবগঞ্জ থানা এলাকার মাইনুল হোসেনকে স্বর্ণের পুতুল দেওয়ার কথা বলে, ছুটুনি বুড়ি তার বাড়ীতে মাইনুল হোসেনকে ডেকে নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।একইভাবে দিনাজপুর জেলার বিরল থানা এলাকার উম্মে কুলসুম নামে এক নারীর নিকট সাড়ে ৩লাখ টাকা একই কায়দায় হাতিয়ে নিয়ে পুতুল না দিয়ে তাদের উল্টো হুমকি ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে ভুক্তভুগীরা থানায় আশ্রয় নিলে। রাণীশংকৈল থানা পুলিশ ঘটনাটি আমলে নিয়ে। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৮জন সদস্যকে গ্রেফতার করে।তবে প্রতারক চক্রের মুল হোতা নাজমা ওরফে ছুটনি বুড়ি ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়েছেন জানিয়ে ওসি বলেন, তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। ওসি গুলফামুল ইসলাম মন্ডল আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের হবে। এবং ছুটুনি বুড়ির অন্যতম সহযোগি ছেলে রুবেল ও মেয়ে জামাই আকাশকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে -
রাণীশংকৈলে ইএসডিও-এডুকো প্রকল্পের মুক্ত আলোচনা ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজ হলরুমে বুধবার ২৩ নভেম্বর ইএসডিও-এডুকো ফান্ডেড প্রোজেক্টের মাধ্যমে দিনব্যাপী মুক্ত আলোচনা ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এসময় সহকারী কমিশনার ভূমি ইন্দ্রজিৎ সাহার সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহারিয়ার আজম মুন্না, চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ রাণীশংকৈল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ শেফালী বেগম, নেকমরদ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ হেলাল উদ্দিন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাহিম উদ্দিন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ও সাংবাদিক প্রতিনিধিবৃন্দ।এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন কমিউনিটি থেকে শিক্ষক, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি, অভিভাবক, শিক্ষার্থী, কিশোর-কিশোরী ও যুব প্রতিনিধি সহ মোট ১১০জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এডুকো বাংলাদেশ এবং ইএসডিও সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।অতিথিবৃন্দ এবং অংশগ্রহণকারীদের আসনগ্রহণ এবং সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে সেশন কার্যক্রম শুরু হয়।শুরুতে ইএসডিও প্রতিনিধি নির্মল মজুমদার এবং সহযোগী সংস্থা এডুকো বাংলাদেশ প্রতিনিধি তাহ্সিনা মোরসালিন ও রাফেজা আক্তার স্বাগত বক্তব্য রাখেন।আলোচনা ও পরামর্শ সভায় সংস্থা পরিচিতি ও অংশগ্রহণকারীদের মতামত গ্রহণ করা হয়।অতিথিবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে বলেন ইএসডিও-এডুকো বাংলাদেশ পরিচালিত কার্যক্রম সমূহ রাণীশংকৈল উপজেলায় সফলতার সাথে বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রায় দুই বছর ধরে উপজেলায় বাস্তবায়িত প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা এবং কিশোর-কিশোরী ও যুবদের নিয়ে ক্লাব কার্যক্রম অন্যতম। বিশেষ করে করোনা অতিমারীতে মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কিশোর-কিশোরী ও যুবদের সহযোগিতা, কমিউনিটি ভিত্তিক শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা এবং অসহায়দের জন্য ভকেশনাল ও আইজিএ কার্যক্রম বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি ইন্দ্রজীত সাহা, সহকারী কমিশনার ভূমি বলেন, রাণীশংকৈল এলাকার জনগণ ভাগ্যবান কারণ এখানে ইএসডিও এর মত প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পগুলি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে ক্ষুদ্র নৃ-তাত্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুরা শিক্ষায় অগ্রসর হবে, বাল্যবিবাহরোধ হবে, শিশুশ্রম বন্ধ হবে, যুবাদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।উল্লেখ্য যে, গত ফেব্রুয়ারি ২০২১ সাল হতে উপজেলায় এডুকো বাংলাদেশ এর সহায়তায় ইএসডিও কর্তৃক তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রকল্প সমূহ উপজেলার সকল ইউনিয়ন এবং পৌরসভা এলাকার মোট ৪০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট কমিউনিটিতে বাস্তবায়িত হয়েছে। কমিউনিটি এবং উপজেলা পর্যায়ের প্রকল্প সহায়ক সরকারি বেসরকারি অংশীজনদের সাথে যৌথ পরিকল্পনা এবং পরামর্শের মাধ্যমে প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।যা বাস্তবায়িত প্রকল্প উপকার ভোগী শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং যুবদের উন্নয়নে কতটুকু ভূমিকা রেখেছে, পরবর্তীতে সময়ে এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু? এসব বিষয়ে সরাসরি উপকারভোগী এবং সেবা প্রদানকারীদের প্রশংসা, পরামর্শ ও অভিযোগ গ্রহণ এর মাধ্যমে প্রকল্পের পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করতে সহায়ক হবে।