Tag: যুবদল

  • মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দুই যুবদল নেতার সংবাদ সম্মেলন।

    মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দুই যুবদল নেতার সংবাদ সম্মেলন।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে মঙ্গলবার(৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল রাণীশংকৈল উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে দুই যুবদল নেতাকে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী বলেন, গত ০৩-১০-২৪ তারিখে আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক মারামারি সংক্রান্ত মারপিটের ঘটনায় নরাইল জেলার সখিপুর উপজেলার রুবেল শেখ নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানায় ১০৩ জনকে অভিযুক্ত করে একটি  মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-২।
    উল্লেখিত মামলায় আমাকে ও আমার চাচাতো ভাই যুবদলের ওয়ার্ডসহ সভাপতি হায়দার আলীকে ৭৬ ও ৭৭ নং আসামি করা হয়। তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর আমরা দুই ভাই নিজ এলাকায় ব্যবসা ও কৃষি কাজ করি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত, দলের বিভিন্ন আন্দোলন ও প্রোগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করে আসছি। এ ঘটনার আমরা কিছুই জানি না এবং বাদীকেও চিনি না। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যাভাবে কে বা কাহারা আমাদেরকে মামলায় ফাঁসিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ জন্য রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে আমরা হেও প্রতিপন্ন এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্তের শিকার হচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে আমারা সঠিক যাচাই বাছাই পূর্বক আপনাদের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার প্রচারনার জোর আহবান জানাচ্ছি।
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আল্লামা আল ওয়াদুদ বিন নূর আলিফ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলী, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল মজুমদার, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুনতাসীর আল মামুন মিঠু, হোসেনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনতাজ আলী মাস্টার, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তার হোসেন সহ অনেকে।
  • মৌলভীবাজারে যুবদল নেতা নোমান হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার।

    মৌলভীবাজারে যুবদল নেতা নোমান হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার।

    নিজস্ব প্রতিবেদক:মৌলভীবাজারের বড়লেখায় যুবদল নেতা নোমান হোসেন (৩৪) হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ইং, দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বর্ণি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি গ্রামের ছবির মিয়ার ছেলে মারজান আহমদ (২৩) ও কালাইউরা গ্রামের আব্দুস সহিদের ছেলে রায়হান আহমদ রেহান (২৪)।
    জানা যায়, পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার বাড্ডা বাজারে যুবদল নেতা নোমানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
    ঘটনার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। নোমান উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের রাঙ্গিনগর গ্রামের লেচু মিয়ার ছেলে। তিনি সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
    এই ঘটনায় নিহত নোমানের বাবা লেচু মিয়া গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) বাদি হয়ে দশঘরি গ্রামের মারজান আহমদ, কালাইউরা গ্রামের রায়হান আহমদ রেহান, দশঘরি গ্রামের আবেদ আহমদ, নাঈম আহমদ ও জাকির আহমদের নামোল্লেখ এবং ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বড়লেখা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
    মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নোমান হোসেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি আগর-আতর ব্যবসা করতেন। নোমান রায়হান আহমদ রেহানের নিকট আগর ব্যবসার ২০ হাজার টাকা পান। কিন্তু রায়হান দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা না দিয়ে নোমানকে ঘোরাচ্ছিলেন। আসামিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে না পেরে নোমান এলাকার মুরব্বিদের নিকট বিচার প্রার্থী হন।
    বিচার প্রার্থী হওয়ায়  আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে নোমানকে প্রাণে হত্যার সুযোগ খুঁজে। ঘটনার দিন গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার সময় নোমান উপজেলার বাড্ডা বাজারের জনৈক জায়েদ আহমদের দোকানের সম্মুখে দাঁড়িয়ে পান খাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে আসামি মারজান আহমদ ও রায়হান আহমদ রেহান একটি মোটরসাইকেলে এবং আসামি নাঈম আহমদ, আবেদ আহমদ ও জাকির আহমদ অপর আরেকটি মোটরসাইকেল যোগে বাড্ডা বাজারে এসে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নোমান হোসেনের চারিদিকে ঘিরে ধরে তাকে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে নোমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছার পর নোমান হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
    বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাইয়ূম বলেন, নোমান হোসেন হত্যা মামলার দুই আসামিকে বুধবার গভীর রাতে আটক করা হয়েছে। তাদের আজকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
  • মৌলভীবাজারে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবদল নেতা নোমান নিহত।

    মৌলভীবাজারে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবদল নেতা নোমান নিহত।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নোমান আহমদ (৩৫) নামের যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার বাড্ডা বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
    নিহত নোমান উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের রাঙ্গিনগর গ্রামের লেচু মিয়ার ছেলে। তিনি সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
    সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুস শহীদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নোমান বাড্ডা বাজারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় হঠাৎ দুই যুবক এসে নোমানের বুকে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
    পরে নোমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেওয়া হয়।
    সেখানে পৌঁছার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে নোমানকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
    তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই যুবক পালিয়ে গেছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় তারা জানতে পেরেছেন।
    তারা হলেন সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি গ্রামের সবির মিয়ার ছেলে মারজান আহমদ ও কালাইউরা গ্রামের আব্দুস শহীদের ছেলে রেহান আহমদ।
    সুজানগর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সাবুল আহমদ বলেন, সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের নেতা নোমান আহমদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে মারজান আহমদ গং। নোমান দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার এমন মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
    বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি, প্রাথমিকভাবে যতটুকু জানা গেছে, টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নোমানকে অভিযুক্তরা এই ছুরিকাঘাতের হামলা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছেন। এখনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন আছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
  • উল্লাপাড়ায় যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা।

    উল্লাপাড়ায় যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আগামী ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে উল্লাপাড়া উপজেলা যুবদলের আয়োজনে আহবায়ক মোঃ গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব লিক্সন কুমার আমিনের সঞ্চালনায় শনিবার(১৯ অক্টোবর)সকাল ১০ টার সময় সমবয় চত্বরে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সফল করতে সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বি এন পি’র আহবায়ক মোঃ আব্দুল ওয়াহাব, সদস্য সচিব মোঃ আজাদ হোসেন।

    এ সময় বক্তরা বলেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সফল করতে উল্লাপাড়া উপজেলা বি.এন.পি করবে সকল ধরনের সহযোগিতা করবে।

    এ সময় জেলা যুবদলের সদস্য ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মো.রতন হোসেন,মো. আব্দুল মান্নান,মো.শহিদুল ইসলাম,মো.মজনু মিয়া,শামীম রেজা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    এ ছাড়াও ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক ও সদস্য সচিব সহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

  • বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় ঠাকুরগাঁওয়ে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় ঠাকুরগাঁওয়ে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিস্ফোরক,দেশীয় অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আকরাম আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আজহারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জিএম সুফি নিয়াজি, সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মার্জিনা আক্তার ঝতু, রয়েল বড়ুয়া এবং ওয়ার্ড যুবদলের প্রচার সম্পাদক শ্রী দেবদাস ঘনাসহ ৮৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

    গত বৃহস্পতিবার রাতে মাহাবুব হোসেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মাহাবুব হোসেন ভুল্লী থানার দেবীপুর ইউনিয়নের কালেশ্বরগাঁও গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনে ছেলে। তিনি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বলরামপুর বিএম কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

    মামলার এজাহারে ৮৫জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০জনকে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ ধারা তৎসহ ১৮৬০ সালের দন্ডবিধির ১৪৩/১৪৯/৩২৩/ ৩২৫/ ৩২৬/৩০৭/ ৫০৬(২)/১১৪/৩৪ ধারায় আসামি করে মামলাটি করা হয় বলে জানা গেছে।

    তবে মামলার বাদীর আইনজীবী কে তা বাদী নিজেই জানেন না। আর কিভাবে এজাহারে ৮৫ জনের নাম এলো তাও তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। একমাত্র ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়া কাউকেই চেনেন না বাদী।

    বাদীর ভাষ্যমতে, অচেনা কয়েকজন সমন্বয়ক পরিচয়ে বাড়ি থেকে ডেকে এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও নাম দেখিয়ে এজাহারে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। পরবর্তীতে কিভাবে ৮৫ জনের নাম এলো খোদ তিনি নিজেই জানেন না। এমনকি স্থানীয় যুবদলের ওয়ার্ড প্রচার সম্পাদকের নাম থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি নিজেই।

    বাদী জানান, মামলা করে আমি নিজেই বিপদে পড়েছি। মামলায় ভুল করে অনেকের নাম দেওয়া হয়েছে। পরে আমি তা বুঝতে পেরেছি। কিন্তু যাদের নামগুলো দিয়েছি, তাদের আমি চিনি না। এমনকি তাদের সঙ্গে যোগাযোগেরও কোনো ব্যবস্থা নেই আমার। নানা চাপে আছেন বলে এই প্রতিবেদককে জানান বাদী মাহাবুব হোসেন।

    মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জামিরুল ইসলাম, ওসমান গণি, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সোহানুর রহমান সোহান, নিউমুন, শাওন সাব্বির, আশ্রমপাড়ার জ্যোতি, টিকাপাড়ার মো. প্রিন্স, মনিরুল ইসলাম মনির, বাহাদুরপাড়ার বিশাল, পূর্ব গোয়ালপাড়ার সফি আলম, ঘোষপাড়ার মো. সুরকাব, শাহাপাড়ার মো. লিমন, আর্ট গ্যালারি এলাকার ল্যাংড়া সাদ্দাম, মুন্সিপাড়ার ফরহাদ, বরুনাগাঁও এলাকার নাজমুল হুদা, গোয়ালপাড়ার সাব্বির হোসেন হৃদয় টুকু একই এলাকার হোসেন সাদ্দাম, সরকারপাড়ার সৌরভ চন্দ্র রায় , আরিফ হোসেন দানেশ আরিফ, রুহিয়ার অনিক চক্রবর্তী, টিকাপাড়া রুস্তম আলী, মুক্তা, ভুল্লীর হামিদুর রহমান, মকবুল হোসেন মিঠু, বাঙ্গালীপাড়ার আব্দুর রশিদ, জগন্নাথপুরের দাউদ, আসিফ হক আদর, বরুনাগাঁওর আনোয়ার, আশ্রমপাড়ার অমৃত মদক, সরকারপাড়ার সিফাত, কলেজপাড়ার বাবুল, বসিরপাড়ার রিফাত ককটেল, গোয়ালপাড়ার ইসা, গড়েয়ার রায়হান উদ্দিন, রোড এলাকার শাহের আলী, পূর্ব গোয়ালপাড়ার মাহাবুব হোসেন, রাসেল ইসলাম রিসাদ, শিবগঞ্জের মিলন, কলেজপাড়ার সাহেব আলী, ভেলাজান নবীনপাড়ার রমজান আলী, আকচা কাটুপাড়ার শম্ভু বর্মন, গড়েয়ার মাসুদ রানা, যুবলীগনেতা গুলজার হোসেন, বড় বালিয়ার বাহার সরকার, কৃষ্ণপুর এলাকার রুহুল, যুবলীগনেতা আলমগীর, ভুল্লীর ষ্টিফান দাস, ভুল্লী শোল্টহরীর ফজলে করিম মন্টু, বড়বাড়ী গোবিন্দনগরের ফজলুর রহমান, গোবিন্দনগর উত্তর পাড়ার শাহিন, মারুফ আলী শান্ত, আবুল মালেক, পিয়া, আব্দুল, আনিছুর রহমান নেন্দ, গোবিন্দনগর মুন্সিরহাটের আলমগীর, হাজিপাড়ার মশিউর রহমান, রহিমানপুরের রাজু, তানজিমুল, সরকারপাড়ার মমতাজুল (মক্কা), ভুল্লী থানার ইয়ামুল বিএসসি, মিজানুর রহামান, ইয়াসিন আলী, হারুন, রাসেল, বাবুল হোসেন, মাসুদ মেম্বার, মশিয়ার রহমান, যমিনুল ইসলাম মুন, রবিউল ইসলাম রবি, মোশারুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, জগদীশ বর্মন, পেয়ার আলী, রেহান রহমান হরিক, মানিক, বেলাল, নুরে আলম, মনোরঞ্জন দেবনাথ মনি ও ময়নুল ইসলাম।

    মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মামলার এজাহারে উল্লেখিত ৮৫জনসহ অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে ঠাকুরগাঁও পৌরসভাস্থ আর্ট গ্যালারি মোড়ের পাকা রাস্তার উপর বাদী সহ অন্যান্যরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে আসামিরা ধারালো ছুরি, পিস্তল, শর্টগান, ককটেল, বোমা-বারুদ, লোহার রড, চাপাতি, ডেগার, রাম-দা, হকি, চাইনিস কুড়াল, ইট, পাথর সহ মারাত্মক অস্ত্রে-সস্ত্রে সু-সজ্জিত হয়ে ছাত্রদের উপর হামলা চালায়।

    এসময় তাদের হাতে থাকা শর্টগান দিয়ে গুলি করতে থাকে। তাদের ছোড়া গুলি বাদীর কপালে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলি লাগে। প্রকাশ্য দিবালোক বাদীকে হত্যা করার জন্য আসামিরা রামদা দিয়ে একের পর এক কোপ মারতে থাকে এবং এলোপাথারি মারপিট, গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, বোমা নিক্ষেপ করে জনমনে আতঙ্ক ও ত্রাসের সৃষ্টি করেন। এতে অনেকেই আহত হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। গত ৪ঠা আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বাদীসহ অন্যান্যরা। অসুস্থ থাকায় ও সাক্ষীদের কাছ থেকে আসামিদের নাম সংগ্রহ করে এজাহার দায়েরে বিলম্ব হয়েছে।

  • হরিপুরে পুলিশ হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু নিয়ে ধ্রমজালের সৃষ্টি।

    হরিপুরে পুলিশ হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু নিয়ে ধ্রমজালের সৃষ্টি।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে পুলিশ হেফাজতে আকরাম আলী (৪২) নামে এক যুবদলের নেতার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে ধ্রমজালের সৃষ্টি।  পুলিশের দাবি, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এই যুবদল নেতা মারা যান।
    সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টার দিকে তাকে হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
    হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহনুজ্জামান বলেন, মূলত মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা যাবে না কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
    আকরাম হোসেন হরিপুর উপজেলার হাটপুকুর গ্রামের আব্দুল তোয়াব আলীর একমাত্র ছেলে। তিনি উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
    আকরাম আলীর চাচাতো ভাই সেখ সাদী বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাইকে গত রবিবার রাতে সন্দেহমূলকভাবে তুলে নিয়ে আসে। রাত ১১টার দিকে আমরা দেখা করতে গেলে অল্প সময়ের জন্য দেখা হয়। আমি তাকে কিছু ওষুধ দিয়ে যাই। তিনি ডায়াবেটিসের রোগী। কী কারণে মারা গেছে এখন পর্যন্ত আমরা কিছুই জানি না।’
    জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক জানান, আকরাম আলীকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে নেওয়ার পথে তিনি শারীরিক অসুস্থতা বোধ করেন। তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে জানান, হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে।
    তবে আকরাম আলীর নামে কোনো মাদক মামলা ছিল না। এমনকি তিনি মাদক সেবনও করতেন না বলে দাবি করেন তার চাচাতো ভাই সেখ সাদী
  • কার্যালয়ে তালা বন্ধ করে সাধারণ সম্পাদককে পেটালেন যুবদলের কর্মীরা !

    কার্যালয়ে তালা বন্ধ করে সাধারণ সম্পাদককে পেটালেন যুবদলের কর্মীরা !

    কার্যালয়ে তালা বন্ধ করে সাধারণ সম্পাদককে পেটালেন যুবদলের কর্মীরা !


    উপজেলা কমিটির জের ধরে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনের সাথে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ড.টিএম মাহবুবর রহমানের বাকবিতণ্ডা হয় জেলা কার্যালয়ে। তারই জের ধরে বিএনপির জেলা কার্যালয়ে তালা বন্ধ করে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে পেটালেন যুবদলের কর্মীরা।

    সোমবার (২১শে মার্চ) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুতির আলোচনা হবে এ কথা বলে ড.টিএম মাহবুবর রহমানকে জেলা বিএনপির নেতারা ডেকে কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। মঙ্গলবার দুপুরে মাহবুবুর রহমান তার নিজ বাসায় সাংবাদিকদের জানায় সেখানেই তাকে লাঞ্ছিত ও পেটানো হয়।

    উল্লেখ্য, আগামী ২৪ তারিখ বিএনপির বালীয়াডাঙ্গী উপজেলা কাউন্সিল। কাউন্সিল নিয়ে জেলা কার্যালয়ে আলোচনা চলাকালীন সময়ে গঠনতন্ত্রের বাইরে কিছু কাজ করায় আমি দ্বিমত পোষণ করি। এতে করে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনের সাথে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপিরর সাধারণ সম্পাদক ড.টিএম মাহবুবর রহমানের বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়।

    কিছুক্ষণ পরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ড.টিএম মাহবুবর রহমানকে ঠাকুরগাও জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ের মেইন গেটে তালা দিয়ে মারপিট করেছেন বহিরাগত যুবদলকর্মীরা।

    হামলার স্বীকার ড.মাহবুব জানান, সেখানে সম্মেলনের সকল আলোচনা শেষে দলের নেতারা চলে যাওয়া শুরু করলে ড.টিএম মাহবুবর রহমানকে কৌশলে (কথা আছে বলে) মির্জা ফয়সাল আমিনের উপস্থিতিতে খোরশেদের কথা বলে মেইন গেট থেকে ডেকে নিয়ে জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ। গেট থেকে পিছনে ফিরতে না ফিরতেই গেটে তালা লাগিয়ে দিয়ে তাঁকে মারপিট শুরু করে ভেতরে থাকা কতিপয় যুবদলকর্মীরা। এ হামলার পেছনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের হাত রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ তুলেন।

    মাহবুবুরের চিৎকারে জেলা বিএনপি’র সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলম, সহ সভাপতি ওবাইদুল্লাহ মাসুদ, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ আলম তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

    হাসপাতাল থেকে ওইদিন বিকেলে তাঁকে বালিয়াডাঙ্গীস্থ নিজ বাসায় নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন।

    ড. মাহবুব আরো জানান, এ সময় জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনের উপস্থিতে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা বিএনপি ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি’র কয়েকজন নেতাও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ সময় মুখচেনা কয়েকজন নেতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। তাঁরাই উৎসাহ যুগিয়েছে।

    রুহিয়া থানা বিএনপি’র সভাপতি আনছারুল হক বলেন, নিজ দলীয় কার্যালয়টিতে যদি নিরাপত্তা না থাকে তাহলে কোথায় আমরা নিরাপদ?

    জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক জাফরুল্লাহ জানান, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। দলের মহাসচিব বিষয়টি জেনেছেন। তিনি শক্তহাতে বিষয়টি দেখবেন বলে জানা গেছে।

    জেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘যখন প্রচন্ড মারপিট হচ্ছিল আমি দৌঁড়ে গিয়ে তাঁকে বাঁচিয়েছি। মাহবুবের গাঁয়ের ঝড়া রক্তে আমার পাঞ্জাবি ভিজে গিয়েছিল। তাঁকে মেরে ফেলার মতো পরিস্থিতি আমি দেখেছি।’

    জেলার বিএনপি’র সহ-সভাপতি ওবাইদুল্লাহ মাসুদ বলেন, ‘এটি মেনে নেওয়া খুব কষ্টকর। নিজ দলীয় কার্যালয়ে আটকে রেখে মারপিট করা কাজটি মোটেও ঠিক হয়নি। নিন্দা জানাবার ভাষা নেই আমাদের। এমন ঘটনার জন্য দল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।’

    জেলা যুবদলের সভাপতি মহেবুল্লাহ চৌধুরী আবু নূর বলেন, ‘ঘটনার পাশেই আমি উপস্থিত ছিলাম।’ যুবদলের কর্মী বিএনপির ওই নেতাকে হামলা করে আহত করেছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান।

    বাকবিতণ্ডার জেরে হামলার শিকার হয়েছেন এমন প্রশ্ন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনের কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, ‘ওই সভায় আমি উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু কে বা কারা উনাকে হামলা করেছে তা জানি না। আমাদের নেতাকর্মীরাই উনাকে তাৎক্ষনিক হাসপাতালে নিয়ে যায়।’ উনি লিখিত অভিযোগ দিলে দলীয় ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।

  • সিরাজগঞ্জে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা।

    সিরাজগঞ্জে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা।

    সিরাজগঞ্জে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আকবর আলীকে (৪০) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

    ২ ফেব্রুয়ারী বুধবার রাতে বেলকুচি উপজেলার রান্ধুনীবাড়ী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আকবর আলী সদর উপজেলার সারটিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

    সহকারী পুলিশ সুপার (বেলকুচি সার্কেল) মোঃ সিদ্দিক আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাতে রান্ধুনীবাড়ী বাজারে আকবর আলী নামে যুবদল নেতাকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

    স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। তিনি বলেন,আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। রান্ধুনী বাড়ী বাজারের ব্যবসায়ীরা ভয়ে সকল দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে গেছে। ঘটনার বিবরন পরে জানানো যাবে।

  • ওসমানীনগরে যুবদল নেতা ফখরুলের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে সংবর্ধনা।

    ওসমানীনগরে যুবদল নেতা ফখরুলের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে সংবর্ধনা।

    ওসমাানীনগর,প্রতিনিধিঃ সিলেটের ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফখরুল ইসলামের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আমরা জাতীয়তাবাদি পরিবারের ব্যানারে সংবর্ধনা সভা অনুিষ্টত হয়েছে। উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন যুবদল ও ছত্রদলের উদ্যোগে শুক্রবার সন্ধ্যায় গোয়ালাবাজার এলাকায় আয়োজিত সংবর্ধনায় বক্তারা বলেন, এম ইলিয়াস আলীর সন্ধান আন্দোলনসহ দলকে সুসংগঠিত করে যুবদলকে সাংগঠনিক ভাবে এগিয়ে নিতে নানা প্রতিকূলতা,মামলা- হামলার শিকার হয়ে নাজেহাল হয়েছিলেন ফখরুল।

    তারপরও তিনি পিছপা হননি। শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রানিত থেকে আগামী দিনের রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমানের দিক নিদের্শনা মেনে প্রবাসে থেকেও জাতীয়তাবাদি শক্তিকে উজ্জীবিত করতে নানা ভাবে ত্যাগ শিকারসহ সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন।উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইসলাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাএদলের যুগ্ম আহবায়ক রাজু আহমেদ রাজের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গয়াছ মিয়া।

    বক্তব্য রাখেন,উপজেলা বিএনপির সদস্য শাহ মোঃ এহিয়া,শাহাব উদ্দিন সুহেল,গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক কামরুল ইসলাম সদস্য লোকমান আহমদ,তশিল মিয়া,শিবলু খাঁন,বিএনপি নেতা মতিন মিয়া,মিজান আহমদ, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ফজল আহমদ জনি, যুগ্ন আহবায়ক শাহ হুমায়েল,সদস্য শরিফ আহমেদ চৌধুরী বাচ্চু,শামীম আহমেদ শাহীন, আব্দুল মুকিদ,সৈয়দ ফয়ছল আহমদ,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা রকিব আলী, লয়লুছ মিয়া সুহিনুল হক আক্তার,আতিকুল আলম,রাহেল মিয়া, মাহবুব আল মনসুর,আঙ্গুর মিয়া,মোতালিব,হারুন মিয়া,উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রেজন আহমদ,সদস্য ওয়েছ আহমদ, তাজপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক জুনায়েদ আহমদ,সদস্য আমিনুল ইসলাম জামিল,উপজেলা ছাত্রদল নেতা শায়েদ মাসুদ, ফাহিম আহমদ,মিলাদ মিয়া,বেলাল মিয়া,ফয়েজ আহমদ,সাজ্জাদ মিয়া,জাবেদ আহমদ প্রমুখ।

  • সিরাজগঞ্জে পুলিশের বাঁধায় যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সমাবেশ পণ্ড।

    সিরাজগঞ্জে পুলিশের বাঁধায় যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সমাবেশ পণ্ড।

    আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বুধবার সকাল ১১ টার দিকে সিরাজগঞ্জে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে জেলা যুবদলের সমাবেশ পুলিশের বাঁধের মুখে পন্ড হয়ে যায়। এতে পুলিশ, আওয়ামীলীগ ও যুবদলের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা, ইটপাটকেল, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেলের আঘাতে সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম, কনস্টেবল বদরুজ্জোহা, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, দপ্তর সম্পাদক আবু মুছা, সদস্য মিলন, পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল ও পৌর যুবদল নেতা আব্দুল মতিন সহ ১৫ জনআহত হয়।এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ আব্দুল মতিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুবদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ভোরে ইবি রোডস্থ দলীয় অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলণ করা হয়। সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জবাব বাবু,সিনিয়র সহ সভাপতি আলামিন খানসাধারণ সম্পাদক মোঃ মোরাদুজ্জামান ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণক ময়নুল ইসলামের নেতৃত্বে যুবদলের বিভিন্ন ইউনিট ও স্তরের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মীরা মিছিল করে শ্লোগান নিয়ে দলীয় অফিসের সামনে সমবেত হয়।

    দলীয় অফিসের সামনে এবং আশেপাশে আগে থেকেই পুলিশ মোতায়ন করা হয়ে ছিলো। পুলিশের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যেই মিছিল করে এসে যুবদলের নেতৃবৃন্দ দলীয় অফিসের সামনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে। পরে সেখানে ব্যানার নিয়ে প্রধান অতিথি যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠিক সম্পাদক মাছুমুল হকের উপস্হিতে জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবুর সভাপতিত্বে সমাবেশ শুরু করার সাথে সাথে পুলিশ বাঁধা দেয়।

    এ সময় যুবদলের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে পুলিশ ধাওয়া করে,এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা এসে পুলিশে সামনেই যুবদলের কর্মীদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। কার্যত বিএনপি অফিসের সামনের সড়কটি ঘন্টাব্যাপী ত্রি-মূখী রণক্ষেত্রে পরিনত হয়।

    সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার কথা ছিল যুবদলের। কিন্তু সসমাবেশে লোক জড়ো হলে সেটি আর শান্তিপূর্ণ থাকে না। এ বিষয়টি বলতে গেলে যুবদল নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয় এবং পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টরসহ দু’ জন আহত হন।

    পরে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান ওসি। জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু বলেন, যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলছিল। এ সমাবেশে পুলিশ নগ্নভাবে হামলা করে। আমাদের নেতাকর্মীর উপর গুলি চালানো হয়েছে। অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবী করেন তিনি। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ মতিনকে ঢাকায় নেয়া হয়েছে।