Tag: মৌলভীবাজার

  • মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি বিভক্তির অবসান-এক সাথে পথ চলার সিদ্ধান্ত।

    মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি বিভক্তির অবসান-এক সাথে পথ চলার সিদ্ধান্ত।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দীর্ঘদিন পর আবার মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি বিভক্তির অবসান শেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির দুটি পক্ষ একই ছাদের নিচে একসঙ্গে বৈঠক করেছে।
    এতদিন বিএনপি’র দলীয় কর্মসূচি পালন হতো পৃথকভাবে। এমন অবস্থার পরিবর্তন করে ঐক্যবদ্ধ করতে বৈঠক। এখন থেকে একসঙ্গে পথচলা ও কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীর মধ্যে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে।
    বিএনপি নেতা কর্মীরা প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম স্থায়ী সদস্য, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ এম সাইফুর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
    দীর্ঘ এই তিন মাসেও আগের মতো মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র মিছিল মিটিংসহ দলীয় সকল কর্মসূচী পালন হত পৃথকভাবে। ২৪ এর স্বাধীনতার পর প্রেক্ষাপট পরিবর্তন। এখন রাজনৈতিক দলগুলোর গণতন্ত্রের চর্চায় অনেকটা পূর্ণতা এসেছে। এমন চলমান অবস্থার পরিবর্তন করে ঐক্যবদ্ধ করতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্র। তাই আগের কমিটির কার্যক্রম বাতিল করে হয় নতুন আহবায়ক কমিটি।
    ৪ নভেম্বর ৩২ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি অনুমোদনের পর ছিলো নানা মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। ত্যাগী অনেকেই ঠাঁই পাননি আহবায়ক কমিটিতে এমনও অভিযোগ উঠে। আহবায়ক কমিটির পক্ষে বিপক্ষে হয় মিছিল। এরপর ৫ নভেম্বর রাতে নবগঠিত আহবায়ক কমিটির আহবায়ক সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আহবায়ক কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকেই সর্বস্মতিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলার শপথ হয়। সিন্ধান্ত হয় সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মরহুম এম সাইফুর রহমান এর কবর জিয়ারতের মাধ্যমে সাংগঠনিক ঐক্যবদ্ধ কার্যক্রমের সূচনার। বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর ২০২৪ইং, বিকেলে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমান এর কবর জিয়ারত ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সদ্য কেন্দ্র ঘোষিত মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র নতুন আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এম নাসের রহমান, নতুন কমিটির আহবায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন, আহবায়ক কমিটির সদস্য, মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, মোঃ মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান), মৌলভী আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী, আব্দুল মুকিত, বকসী মিছবাউর রহমান, আশিক মোশাররফ, হেলু মিয়া, ফখরুল ইসলাম, মতিন বক্স, মনোয়ার আহমেদ রহমান, মারুফ আহমদ, স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, বকসী জুবের আহমদ, মুহিতুর রহমান হেলাল ও রুবেল আহমদ প্রমুখ।
    পরে মৌলভীবাজার পৌর অডিটরিয়ামে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    বিএনপি’র জেলা আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন এর সভাপতিত্বে ও আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ ফখরুল ইসলাম ও মুহিতুর রহমান হেলাল এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান।
    এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, মোঃ মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান), মৌলভী ওয়ালী সিদ্দিকী, আশিক মোশারফ, এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পিপি এডভোকেট ড.আব্দুল মতিন চৌধুরী, জিপি এডভোকেট মামুনুর রশিদ, জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য এম এ মুকিত, মোশারফ হোসেন বাদশা, মতিন বকশ, স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, মনোয়ার আহমেদ রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ মারুফ আহমদ, পৌর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মমসাদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার মজুমদার ইমন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম এ মুহিত, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আহাদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ রুবেল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান, প্রমুখ।
    অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ হেলু মিয়া, বকশী মিছবাহউর রহমান, মাহমুদুর রহমান, আব্দুর রহিম রিপন, এডভোকেট বকশী জুবায়ের আহমদ, আবুল কালাম বেলাল, গাজী মারুফ আহমদ, আনিছুর রহমান বায়েছ, মাহবুব ইয়াজদানী ইমরান, মহসীন মিয়া মধু, জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান মজনু, জেলা বিএনপি’র নেতা এডভোকেট গোবিন্দ পাল, ডা: পরিতোষ দাস গুপ্ত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ইছহাক আহমদ চৌধুরী মামমুন, যুবদলের সিরাজুল ইসলাম পিরুন, জেলা শ্রমিক দল নেতা আনোয়ার হোসেন, সরকারী কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক জনি আহমদ, জেলা মহিলা দলের নাসরিন পারভীন, শ্যামলী সুত্রধর, সুফিয়া আক্তার কলি প্রমুখ।
    উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম নাসের রহমান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ঘটে যাওয়া সেদিনের ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে ৭ ই নভেম্বর সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণ করেন বলেই ৭ ই নভেম্বর আমাদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ।
    আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান) সাংবাদিক মোঃ জালাল উদ্দিনকে বলেন, অনেক দিন পর জেলা বিএনপি’র সব পক্ষই একসঙ্গে বসেছে। এখন বিএনপি’র ঐক্যবদ্ধ কাজের পরিবেশ ও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আলাপ-আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়েছে। সবার মধ্যে কথা হয়েছে, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন, যাতে দলে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি না হয়।
    তিনি আরও বলেন, এবার বিপ্লব ও সংহতি দিবস দুই ব্যানারে হওয়ার কথা ছিল, এখন সবকিছু এক ব্যানারে হবে। এ ছাড়া আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে সব উপজেলা ও পৌর কমিটির সম্মেলন হবে। এরপর জেলা কমিটির সম্মেলন হবে বলে জানান তিনি।
  • ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে শিক্ষার্থীদের বিনা লাভের দোকান ক্রেতাদের ভিড় ও মুখে হাসি।

    ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে শিক্ষার্থীদের বিনা লাভের দোকান ক্রেতাদের ভিড় ও মুখে হাসি।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে, ব্যতিক্রমী উদ্যোগে পাইকারি দামেই খুচরা পণ্য বিক্রি হচ্ছে সাধারণ মানুষের মাঝে মুখে হাসি। মূলত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের স্বস্তি লাভের জন্য শিক্ষার্থীদের এ আয়োজন। বাজারে যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি তখন মৌলভীবাজারে চালু হয়েছে বিনা লাভের এ সবজি বাজার। কম দামে সবজি কিনতে পেরে মুখে হাসি ক্রেতাদের।
    বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ইং, সকাল থেকে পৌর শহরের চৌমূহনা এলাকায় জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী এই বাজার চালু করা হয়।
    সরেজমিন দেখা যায়, ইচ্ছে মতো শাক-সবজি, ডিম-আলুসহ বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করছেন সাধারণ মানুষ। কম মূল্যে বাজার করে চোখে মুখে তাদের স্বস্তির ছাপ। খবর পেয়ে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেকে। অধিকাংশই নিম্ন মধ্যবিত্ত। এছাড়াও আসছেন মধ্যবিত্তরাও, সবাই হাসি মুখে আনন্দে বাজার করছেন তারা।
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও উদ্যোক্তাদের একজন বলেন, হাত বদল হলেই পণ্যের দাম বাড়ে, মাঝখানে সুবিধা নেয় সিন্ডিকেট। কিন্তু আমরা কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি পণ্য ক্রয় করে ভোক্তাদের কাছে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। কোনো লাভ রাখা হচ্ছে না। এটি স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম হিসেবে চলবে।
    আরও বলেন, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এই বাজার চালু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিনা লাভের বাজারে স্বস্তি দিচ্ছে ক্রেতাদের। সবাই আনন্দে বাজার করছেন হাসি মুখে।
  • মৌলভীবাজারে এইচপিভি ভাইরাস “সারভারিক্স” টিকার উদ্বোধন।

    মৌলভীবাজারে এইচপিভি ভাইরাস “সারভারিক্স” টিকার উদ্বোধন।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সারাদেশের সাথে মৌলভীবাজারে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধক ‘এইচপিভি ভাইরাসের ‘সারভারিক্স  টিকার উদ্বোধন করা হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ইং, জেলা সিভিল সার্জন কার্যলয়ের আয়োজনে শহরের আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ টিকার উদ্বোধন করা হয়।
    এ সময় সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মামুনুর রহমান’র সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক এসকে মিনাল সিয়াম’র সঞ্চালনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোঃ ইসরাইল হোসেন।
    উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা নাসরিন চৌধুরী, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদ আলম, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বর্নালী দাশ, আলী আমজাদ বালিকা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মইনুল ইসলাম, পৌরসভা নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ নকিবুর রহমান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডাঃ রবিউস সানী, ডাঃ মুত্তাকিম, সাংবাদিক মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ প্রমূখ।
    এ বছর মৌলভীবাজার জেলায় ১ লাখ ৩ হাজার ৪৯০ জন ১০ থেকে ১৪ বছরের কিশোরী মেয়েদের জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধী টিকা দেয়া হবে বলে জানান তারা।
  • যৌথ বাহিনীর হস্তক্ষেপে বিদ্যুৎ পেল মৌলভীবাজার জেলাবাসী।

    যৌথ বাহিনীর হস্তক্ষেপে বিদ্যুৎ পেল মৌলভীবাজার জেলাবাসী।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের পুরো জেলায় প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর জনগণের চাপে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে বাধ্য হলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। গতকাল বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ইং, বেলা ৩টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখেন মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে বিকেল ৩টা থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েন হাজার হাজার গ্রাহক। ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন জেলার বাসিন্দারা।
    হঠাৎ এমন কর্মসূচির প্রতিবাদ জানিয়ে এবং দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে সরব হয়ে উঠেন মৌলভীবাজার জেলার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকরা। শত শত গ্রাহকরা তাদের ফেসবুক আইডিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর দাবি জানান।
    বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে বিলম্ব করা হলে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) অফিস ঘেরাও করার আলটিমেটামও দেন অনেকে। আবার অনেকেই এমন জনবিরোধী কর্মসূচির জন্য পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বৈরাচারীর দোসর আখ্যায়িত করে পোস্ট করেন।
    পরে সরজমিনে সন্ধা ৫:৪৫ মিনিটের সময় শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির অফিসের সামনে গিয়ে দেখা যায় প্রচুর ভুক্তভোগী গ্রাহকদের জটলা। ধীরে ধীরে গ্রাহকদের ভিড় বেড়ে চলে। এ সময় ভুক্তভোগী গ্রাহকরা বলেন, আমাদের ভ্যাট-ট্যাক্সের টাকায় বিদ্যুৎ, মাস শেষে দ্বিগুণ বিল নিচ্ছে, তারপরেও কেন প্রায় তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখলেন তারা। পরে গ্রাহকরা পল্লীবিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
    পরে খবর পেয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসনসহ সেনাবাহিনীর টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর মেহেদি। পরে হাজার হাজার ভুক্তভোগী গ্রাহকদের আলটিমেটাম শুনে সেনাবাহিনীর মেজর মেহেদি বলেন ৫ মিনিটের মধ্যে আপনাদের কারেন্ট দেয়ার ব্যবস্থা করতেছি আপনারা ধৈর্য ধরুন ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির অফিসের গেইটের সামন থেকে চলে যান। পরে সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে ৫ মিনিটের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়।
    মৌলভীবাজার জেলা পবিস সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে দুই দফা দাবিতে সারা দেশে পবিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের দাবি, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করা।
    মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার এবিএম মিজানুর রহমান বলেন, কমপ্লিট শাটডাউন বা ব্লাকআউট শুধু মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে নয়, সারা বাংলাদেশেই হয়েছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সন্ধা ৬টার সময় আমরা পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করেছি। ইতোমধ্যে জেলার সকল উপজেলায় বিদ্যুৎ চালু করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
  • কমলা গাছে অজানা পোকার আক্রমণে দিশেহারা মৌলভীবাজারের কমলা চাষীরা।

    কমলা গাছে অজানা পোকার আক্রমণে দিশেহারা মৌলভীবাজারের কমলা চাষীরা।

    কমলা গাছে অজানা পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মৌলভীবাজারের কমলা চাষিরা। পোকার আক্রমণে মারা যাচ্ছে পুরাতন কমলার গাছ। পাশাপাশি নতুন চারা বড় হওয়ার আগেই আক্রান্ত হচ্ছে নতুন চারা গুলো।
    মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ৯৬.৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ৯৫টি কমলা বাগান রয়েছে। এরমধ্যে গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নে আছে ৬২ হেক্টর। এ অঞ্চলের অধিকাংশ কমলা খাঁসি ও নাগপুরি জাতের আবাদ হচ্ছে।
    জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের লালছড়া গ্রামের কমলা চাষি মোর্শেদ মিয়া বলেন, আমার বাগানে প্রায় ১৫০০ কমলা গাছ ছিল। গত তিন বছরে ৪০০ গাছ মারা গেছে। আরও ২০০ গাছ মারা যাওয়ার পথে।
    তিনি বলেন, প্রথমে এক ধরনের সাদা পোকা মাটির নিচে কমলার শিকড় থেকে পানি চুষে ফেলে। পরে উইপোকা শিকড় খেয়ে ফেলে। প্রথম বছর গাছের পাতা হালকা হলুদ, দ্বিতীয় বছর পুরোপুরি হলুদ এবং এরপর পাতা ঝরা শুরু হয়। তৃতীয় বছর গাছটি মারা যায়।
    মোর্শেদ আরও বলেন, পোকার আক্রমণের শুরুতে কমলার আকার স্বাভাবিক থাকলেও দ্বিতীয় বছর আকার ছোট এবং পরের বছর আরও ছোট হয়ে যায়।
    উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মাহমুদুল আলম খান বলেন, কমলা চাষিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সম্প্রতি বাগান পরিদর্শন করে বেশ কিছু সমস্যা নির্ণয় করা হয়েছে। বাগানগুলো পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় পোকা-মাকড়ের আক্রমণ বেশি। আমরা চাষিদের কিছু কীটনাশক সরবরাহ করেছি। এর মধ্যে কিছু কাজ করেছে, কিছু করে নাই। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে আমরা পত্র লিখেছি। একটি উচ্চপর্যায়ের দল এসে পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। কারণ এখানে অপরিচিত কিছু মথ আছে যেগুলো শনাক্ত করা যাচ্ছে না বলে তিনি জানান।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবলু সূত্রধর বলেন, সম্প্রতি কৃষি অফিসারসহ আমরা কমলা বাগান পরিদর্শন করেছি। সমস্যাগুলো বিশ্লেষণসহ সুপারিশ আকারে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দিব, যাতে করে কমলা চাষ সমৃদ্ধ হয় ও চাষিরা উপকৃত হন। আমরা সে পদক্ষেপ নিচ্ছি বলে জানান তিনি।
  • মৌলভীবাজারে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে জামায়াত ইসলামীর মতবিনিময়।

    মৌলভীবাজারে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে জামায়াত ইসলামীর মতবিনিময়।

    আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ ইং, বেলা সাড়ে ১২টার সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বড়লেখা উপজেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় কার্যালয়ে এই সভার আয়োজন করা হয়।
    মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বড়লেখা উপজেলার আমীর মোঃ এমাদুল ইসলাম সভাপতিত্বে ও উপজেলার সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ সুমনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পূজা উদযাপন পরিষদ বড়লেখা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত কুমার পাল।
    এ সময় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- পূজা উদযাপন পরিষদ বড়লেখা উপজেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ ডা. মুক্তালাল বিশ্বাস, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বড়লেখা সদর ইউনিয়ন সভাপতি রবিউল ইসলাম সুহেল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তালিমপুর ইউনিয়ন সভাপতি কাজী রুহুল আমিন, ছাত্রশিবির মৌলভীবাজার জেলার সাবেক সভাপতি আব্দুস সামাদ, ছাত্রশিবির বড়লেখা উপজেলা শহর সভাপতি হুমায়ুন কবির সাজু, পূজা উদযাপন পরিষদ বর্ণি ইউনিয়ন সভাপতি শৈলেশ চন্দ্র দাস, তালিমপুর ইউনিয়ন সভাপতি গীতেষ চন্দ্র দাস বিষু, দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়ন সভাপতি ডা. সুকুমার দেবনাথ, দাসেরবাজার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুপন চন্দ্র দাস, পূজা উদযাপন পরিষদ বড়লেখা পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক উজ্জল ঘোষ, দৈনিক ইত্তেফাকের বড়লেখা সংবাদদাতা তপন কুমার দাস, পূজা উদযাপন পরিষদ বড়লেখা সদর ইউনিয়ন সভাপতি নিবলু দত্ত, দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়ন সভাপতি বিজয় দেব, সুজানগর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অজিত বিশ্বাস, দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়ন সভাপতি সন্দিপ দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
  • মৌলভীবাজার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরীর পরিবারের পাশে-তারেক রহমান।

    মৌলভীবাজার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরীর পরিবারের পাশে-তারেক রহমান।

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ’আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশনায় মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক হত্যার শিকার স্বর্ণা দাসের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রতিনিধি দল। রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ইং, সকাল ১১টার সময় মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার খাগটেকা বাজার সংলগ্ন এলাকায় স্বর্ণা দাসের বাবা ও ভাইয়ের সাথে দেখা করে প্রতিনিধি দলটি।
    এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা আলমগীর কবীর, আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমন।
    মৌলভীবাজার বিএনপি’র উপদেষ্টা ও কাতার বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক সাজুর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন— ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোঃ মোকছেদুল মোমিন (মিথুন), সদস্য মাসুদ রানা লিটন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা আবুল কাশেম, সিদ্দিক আহমদ, সায়ফুর রহমান, কুদ্দুস আহমদ, কামাল হোসেন, এনাম উদ্দিন, গুলজার আহমদ রাহেল, হোসেন আহমদ দোলন, জালাল উদ্দিনসহ আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র অর্থ সম্পাদক, পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব মনোয়ার আহমেদ রহমান, মৌলভীবাজার জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান দিনার, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদল সভাপতি রুবেল আহমদ-সহ বড়লেখা উপজেলা বিএনপি ও অন্যান্য অংগ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
    এদিকে, বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিমের সময়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা হয়েছে, হামলা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার, গুম ও খুন করা হয়েছে। তারপরও বিএনপি’র একজন নেতাকর্মীকেও লক্ষ্য থেকে তারা সরাতে পারেনি। দলের প্রতিটি নেতাকর্মী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াইয়ে কাজ করে গেছেন। দেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।
    বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, সর্বশেষ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুৎ করার চূড়ান্ত লড়াইয়ে অনেক প্রাণ গেছে। এতো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারের দোসরদের স্থান হবে না বলে জানান তিনি।
  • মৌলভীবাজারে জামায়াতের অগ্রসর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত।

    মৌলভীবাজারে জামায়াতের অগ্রসর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত।

    মৌলভীবাজার জেলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চার উপজেলার একসাথে অগ্রসর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা ও সিলেট আঞ্চলিক টিম সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান।
    জেলা জামায়াতের আয়োজনে শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ ইং, বিকাল তিনটা থেকে শুরু করেন সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত শহরের এম সাইফুর রহমান অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
    এ সময় মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমীর প্রকৌশলী এম শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মোঃ ইয়ামীর আলীর সঞ্চালনায় এতে শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, রাজনগর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতা, সহযোগী সদস্য ও কর্মীরা একসাথে অগ্রসর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রমুখ।
    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা আমীর প্রকৌশলী এম শাহেদ আলী। এর আগে সহিহ কুরআন অনুশীলন বিষয়ক আলোচনা রাখেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান। সংগঠনের প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন ও পরিচালনা পদ্ধতি বিষয়ক আলোচনা রাখেন জেলা সেক্রেটারি মোঃ ইয়ামীর আলী।
  • মৌলভীবাজার সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের আয়োজনে নাটিকা হৃদয়ে চব্বিশ,মৌসাসাস’ বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক।

    মৌলভীবাজার সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের আয়োজনে নাটিকা হৃদয়ে চব্বিশ,মৌসাসাস’ বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক।

    মৌলভীবাজার সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো হৃদয়ে চব্বিশ নাটিকা। নাটিকায় আয়না ঘরের দৃশ্য, জুলাই আন্দোলনে শহীদ আবু সাইদ, শহীদ মুগ্ধসহ নির্মম হত্যাকাণ্ড ও ৫ আগস্টের বিজয়ের ঘটনা ফুটে ওঠে। যা দেখে দর্শকরা আপ্লুত হয়ে পড়েন।
    নাটিকায় অভিনয় করে মৌলভীবাজার সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ, মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ (মৌসাস), জলপ্রপাত শিল্পীগোষ্ঠী ও মনু কালচারাল গ্রুপ। হৃদয়ে চব্বিশ নাটিকা রচনা করেন তোফায়েল ইসলাম।
    হৃদয়ে চব্বিশ নাটিকার অভিনয় শিল্পী সাইফ উদ্দিন বলেন, চব্বিশ সাল হচ্ছে বাংলাদেশিদের জন্য ঐতিহাসিক একটি বছর। এই বছরেই বাংলাদেশিরা ফিরে পেয়েছে তাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। এর ফলে ফিরে পেয়েছে বাঁচার অধিকার, কথা বলার অধিকার। যা আমাদের শহীদ আবু সাইদ, মুগ্ধ সহ আহত-নিহতদের ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়। নাটিকায় এই বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
    শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়াম শুরুতে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার ইম্পেরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মামুনুর রশীদ। এরপর একে একে শুরু হয় হামদ-নাত, ইসলামী গান, দেশের গান, কাওয়ালি, কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতা, মায়ের গান ও নাটিকা।
    গানে গানে মেতে উঠে পুরো শিল্পকলা একাডেমি। একের পর এক গান আর অভিনয়ে মুগ্ধ হন দর্শক। সহস্রাধিক দর্শকে ভরপুর ছিল পুরো অডিটোরিয়াম। মৌসাসের খুদে শিশু শিল্পীদের পরিবেশনা সবাইকে আকর্ষিত করে।
    মৌলভীবাজার সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ রুহুল আমীন ও সেক্রেটারি মোঃ শহিদুল ইসলামের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী, মহাসচিব ইয়ামীর আলী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মনসুরুল হক, মৌলভীবাজার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আলাউদ্দিন শাহ, অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসাইন প্রমুখ।
    অনুষ্ঠানে সবার নজর কাড়েন সিলেট থেকে আসা জীবনমুখী ও সুফি গানের জনপ্রিয় শিল্পী শালীন আহমদ। তিনি তার বিখ্যাত মায়ের গান পরিবেশন করে মুগ্ধ করেন দর্শকদের।
    অনুষ্ঠান উপভোগ করতে আসা ব্যবসায়ী রাসেল মজুমদার বলেন, আমি আমার পরিবার ও সন্তান নিয়ে এসেছি এই অনুষ্ঠান দেখতে। অনুষ্ঠানে গানসহ বিভিন্ন পরিবেশনা খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ভালো লেগেছে হৃদয়ে চব্বিশ নাটিকা। নাটিকায় জুলাই আন্দোলনে স্বৈরাচার এর হামলা তুলে ধরা হয়েছে। যা দেখে আমি আপ্লুত হয়ে পড়েছি। কীভাবে জুলাই মাসে অত্যাচার চালিয়েছে তৎকালীন স্বৈরাচার সরকার।
    শিক্ষার্থী তারেক আজিজ বলেন, এই প্রথম আমি এ রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসেছি। পুরো অনুষ্ঠান মাতিয়ে রাখেন শিল্পীরা। হৃদয়ে চব্বিশ নাটিকা দর্শক মাতিয়েছে। আয়না ঘরের দৃশ্য মনে দাগ কেটেছে। খুব সুন্দরভাবে আয়না ঘরের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। স্বৈরাচার সরকারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে নতুন নতুন নাটিকা মঞ্চস্থ হলে জনগণ বুঝতে পারবে। আর এই অনুষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ফুটে উঠবে বিগত অপকর্ম।
    অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক স্থানীয় মৌলভীবাজার সমাচার পত্রিকার সম্পাদক ও বিশিষ্ট ছড়াকার আবদাল মাহবুব কোরেশি বলেন, অনুষ্ঠানে মূল আকর্ষণ ছিল হৃদয়ে চব্বিশ নাটিকা। নাটিকায় তুলে ধরা হয়েছে শহীদ আবু সাইদ, শহীদ মুগ্ধ, জুলাই হত্যাকাণ্ড এবং বর্বর স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আয়না ঘরের কাহিনী। নাটিকা দেখে দর্শক খুব উপভোগ করেছেন। অনেকেই মাতোয়ারা হয়েছেন আবার অনেকেই আপ্লূত হয়েছেন।
    সভাপতির বক্তব্যে মৌলভীবাজার সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি সৈয়দ রুহুল আমীন বলেন, আমাদের আজকের এই অনুষ্ঠান জানি না কতটুকু আনন্দ দিতে পেরেছে দর্শকদের। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মৌলভীবাজারে অন্যরকম একটি যাত্রা শুরু হলো। আমরা চাই সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা গড়ে উঠুক, আকাশ সংস্কৃতি মুক্ত হোক দেশ। ভবিষ্যতে দর্শকদের মাতাতে আমরা আরও নতুন নতুন পরিবেশনা নিয়ে আসব বলে তিনি জানান।
  • মৌলভীবাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে বোরো ধান কর্তন।

    মৌলভীবাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে বোরো ধান কর্তন।

    মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :

    মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আনুষ্ঠানিকভাবে বোরো ধান কর্তন করা হয়েছে ।

    সোমবার(২২এপ্রিল)দুপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত  উপজেলার অধীনস্থ  হাইল হাওরে রুস্তমপুর গ্রামে এ বোরো ধান কর্তন উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়।

    মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুস শহীদ এমপি।

    কৃষিমন্ত্রী বলেন,নতুন উচ্চফলনশীল জাতের ধানের চাষ সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে চাল রপ্তানি করাও সম্ভব হবে, আমাদের প্রধান খাদ্য হলো ভাত। বর্তমানে আমাদের জনসংখ্যা ১৭ কোটি। ক্রমবর্ধমান এই বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা মিটাতে হলে চালের উৎপাদন আমাদেরকে অবশ্যই আরো বৃদ্ধি করতে হবে। সেজন্য, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বিনা উদ্ভাবিত নতুন জাতের উচ্চফলনশীল ধানগুলো চাষ সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।  তাহলে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে চাল রপ্তানি করাও সম্ভব হবে।

    এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন,  বোরো ধানের উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পান। গতবছরের চেয়ে এবছর ধানের মূল্য কেজিপ্রতি দুই টাকা বাড়ান হয়েছে।

    মন্ত্রী বলেন, ৭০% ভর্তুকিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের কৃষিযন্ত্র দিয়ে যাচ্ছেন। এটি বিশ্বের বিরল উদাহরণ।  এই মুহূর্তে হাওরে প্রায় ৯ হাজার কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা চলছে।  এর ফলে দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে ও হার্ভেস্টের সময় ধানের অপচয়ও কম হচ্ছে।

    এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন  সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মো: হেলাল উদ্দীন, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো: মতিউজ্জামান, উপপরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ,পুলিশ সুপার মনজুর রহমান প্রমুখ ।
    অনুষ্ঠান শেষে কৃষকদের মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণ করেন মন্ত্রী।এছাড়া, ধামাইল, ঝুমুর নৃত্যসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।