Tag: মামলা

  • ৬ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলার চার্জশিট গ্রহণ।

    ৬ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলার চার্জশিট গ্রহণ।

    ৬ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলার চার্জশিট গ্রহণ।

    চাঁদাবাজির মামলায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ(সিএমপি) কমিশনারের দেহরক্ষীসহ ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর তারিখ (২৬ জানুয়ারি২২) পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।

    রোববার (২৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার পুলিশের দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।এরআগে গত ৪ ডিসেম্বর ওই ছয় পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পিবিআই। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিট আদালত গ্রহণ করেছেন।

  • পীরগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে সংঘর্ষে নিহতের মামলায় পুরুষ শুন্য দু’গ্রামের মানুষ।

    পীরগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে সংঘর্ষে নিহতের মামলায় পুরুষ শুন্য দু’গ্রামের মানুষ।

    রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার দুই গ্রামের শত শত মানুষের গ্রেপ্তার ও হয়রানি আতঙ্কে এলাকা ছাড়া তাদের গ্রেফতার আতঙ্ক এখনো কাটেনি। গ্রাম দুটির কয়েক’শ পুরুষ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। গ্রাম পুরুষশূন্য হওয়ায় নারীরা কাঁধে তুলে নিয়েছেন সংসারের হাল।

    অভিভাবকহীন পরিবারগুলোর শিশু ও নারীরা ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়।উপজেলার খনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় কেন্দ্রে সংঘর্ষ, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।এ সময় বিজিবির গুলিতে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রসহ তিনজন নিহত হন। আহত হন গৃহবধূ রহিমা বেগম সহ চারজন।

    ২৮ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘিডোব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় পীরগঞ্জ থানার এসআই আবু হামিদ মণ্ডল ৭’শ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এর পর থেকে গ্রেপ্তার ও পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দুই গ্রামের কয়েক শত মানুষ।সিড ঘিডোব গ্রামের লাভলী বেগম বলেন, ‘স্বামী হারানোর শোকই কাটেনি,আবার পুলিশের হয়রানি।

    এ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। শিশু সন্তান নিয়ে আমরা খুব কষ্টের মধ্যে আছি। তার ওপর মামলা। আত্মহত্যা ছাড়া হামরা কোনো উপায় নেই।’ একই ভাবে নিজের কষ্ট দুর্দশার কথা জানান বিজিবির গুলিতে নিহত শাহাবুলির স্ত্রী লুৎফা বেগম।

    স্থানীয়রা জানায়,এই দুজনের স্বামী ঢাকায় রিকশা চালাতেন। তাঁদের পাঠানো টাকায় চলত সংসার। গুলিবিদ্ধ হয়ে শাহাবুলি ও মজাহারুল নিহত হওয়ায় তাঁদের স্ত্রী-সন্তান নিরুপায় হয়ে পড়েছেন। কষ্টের মধ্যে তাদের দিন কাটছে।

    গুলিতে নিহত মজারুলের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে মুন্নি আখতার জানায়,বাবা না থাকায় এখন তাকে মায়ের সঙ্গে মাঠে কাজ করতে হয়।বাবুল নামে এক গুড় ব্যবসায়ী জানান,কৃষির ভরা মৌসুম চলছে।এ এলাকার মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এ সময় চাষিরা বাড়িতে থাকতে না পারলে বিশেষ করে গম, ভুট্টা ও বোরো ধান উৎপাদনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হতে পারে।

    ১ ডিসেম্বর ঘিডোব এলাকা পরিদর্শন করেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান। পরে ঘিডোব বিদ্যালয় মাঠে এলাকাবাসীর সঙ্গে মতিবিনিময় করেন তিনি। এলাকাবাসী অতিরিক্ত ডিআইজির কাছে তাঁদের কষ্টের কথা তুলে ধরেন। তাঁরা জানান,গ্রেপ্তারের আতঙ্কে অনেকেই এলাকা ছেড়েছেন।

    এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে অতিরিক্ত ডিআইজি জানান কোনো নিরপরাধ মানুষকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না। আপনারা নির্ভয়ে নিজ বাসায় থাকতে পারেন। যারা এ ঘটনায় দোষী তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।’ কিন্তু এরপরও থেমে নেই পুলিশের অভিযান ।

    এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান কোন নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে না। যারা প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয়দের ভয়ভীতি কাটাতে কাজ করছি আমরা।’

  • আমতলীতে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর মামলা!

    আমতলীতে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর মামলা!

    আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলী শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৭৩) প্রধান শিক্ষিকা সানজিদা খানের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে তার ইতালি প্রবাসী স্বামী রত্তন পাহলান কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শোভন শাহরিয়ার মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডির উপর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

    গত বুধবারে আদালতে দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে,আমতলী শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৭৩) প্রধান শিক্ষিকা সানজিদা খান কলাপাড়া পৌর শহরের মাদ্রাসা সড়কে তার পিতা মাতার সাথে বসবাস করেন। তার স্বামী রত্তন পাহলান একই পৌরসভার চিংগুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। ২০১১ সালের প্রথম দিকে ইটালী থেকে বাড়ি ফিরে এসে শিক্ষিকা সানজিদাকে সামাজিক ভাবে বিয়ে করেন। ওই বছরের শেষ ভাগে কর্মের উদ্দেশ্যে পুনঃরায় ইতালীতে ফিরে যান।

    স্ত্রীর প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সরল বিশ্বাসে ইতালি থেকে প্রতি মাসে (নভেম্বর ২০১১ সাল হতে ডিসেম্বর ২০১৯ সাল পর্যন্ত) ৮ বছর রেমিট্যান্সের মাধ্যমে স্ত্রী ও শ্বশুরের ব্যাংক একাউন্টে আনুমানিক ১ (এক কোটি) টাকা পাঠায় স্বামী রত্তন পাহলান। যা তার স্ত্রী ও শ্বশুর রেমিট্যান্স সুবিধা সম্বলিত রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন।

    চলতি বছরের ২২ শে অক্টোবর স্বামী রত্তন পাহলান ইতালি থেকে দেশে ফিরে আসার পর প্রবাসী স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অমনোযোগী থাকার বিষয়টি স্বামী গোচরীভূত হয়। এরপর টাকার হিসেব চাইতে গেলে স্ত্রী হিসাব না দিয়ে নানাবিধ তালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে স্ত্রীর কাছে স্বামীর পাঠানো সমুদয় টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ে।

    এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিণ্যের এক পর্যায়ে প্রবাসী স্বামী রত্তন পাহলান কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তার স্ত্রী,শ্বশুর ও শ্বাশুরীর বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

    ইতালী প্রবাসী স্বামী রত্তন পাহলান বলেন, স্ত্রীর প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সরল বিশ্বাসে নভেম্বর ২০১১ সাল হতে ডিসেম্বর ২০১৯ সাল পর্যন্ত রেমিট্যান্সের মাধ্যমে ইতালী থেকে স্ত্রীর এবং শ্বশুরের ব্যাংক একাউন্ট নাম্বারে আনুমানিক ১ (এক কোটি) টাকা পাঠিয়েছি। যা তার স্ত্রী ও শ্বশুর রেমিট্যান্স সুবিধা সম্বলিত রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে তা আত্মসাত করেছেন।

    এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা স্ত্রী সানজিদা খানের সঙ্গে একাধিকবার তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার ফোনের সংযোগ পাওয়া যায়নি। ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন সাড়া মেলেনি।

  • উল্লাপাড়ায় বাকপ্রতিবন্ধীর গর্ভজাত সন্তানের পিত্রীপরিচয়ের দাবীতে থানায় মামলা

    উল্লাপাড়ায় বাকপ্রতিবন্ধীর গর্ভজাত সন্তানের পিত্রীপরিচয়ের দাবীতে থানায় মামলা

    নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরশহরের ঝিকিড়া মহল্লার স্বর্গীয় কমল চন্দ্র দাসের মেয়ে শিপ্রা দাস (২২) নামের বাকপ্রতিবন্ধীর গর্ভে সন্তান পিত্রীপরিচয়ের দাবীতে লক্ষন চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে  মামলা দায়ের করা হয়েছে।ভূক্তভোগীর মা কল্পনা রানি দাস বাদী হয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

    লক্ষণ চন্দ্র দাস উল্লাপাড়া পৌর শহরের ঝিকিড়া পাটনি পাড়া মহল্লার সুশীল চন্দ্র দাসের ছেলে। মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়,লক্ষণ চন্দ্র দাস শিপ্রা রানি দাসের প্রতিবেশী হওয়ায় বাড়িতে যাতায়াত ছিল।

    যাতায়াতের সুবাদে লক্ষণ কুমার দাস উক্ত প্রতিবন্ধী মেয়েকে ফুসলাইয়া ও ভুল বুঝাইয়া তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বাড়িতে আসিয়া আমার মেয়ের শয়নকক্ষের ভিতরে বিভিন্ন তারিখ ও সময় ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত কয়েক মাস আগে আমার বাড়িতে কোন লোকজন না থাকার সুযোগে লক্ষণ কুমার দাস আমার বাড়িতে আসিয়া আমার মেয়ের শয়নকক্ষে ঢুকিয়া জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

    বিবাদী লক্ষণ চন্দ্র দাসের ধর্ষণের ফলে আমার মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। লোক লজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখি। গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে আমার প্রতিবেশী লোকজন বিবাদীর প্রতি সন্দেহ পোষন করে তার ছবি মোবাইল ফোনে  তুলে নিয়ে আমার প্রতিবন্ধী মেয়ে শিপ্রা রানি দাসকে দেখালে সে বিবাদীকে ধর্ষক বলে ইশারা ইঙ্গিতের মাধ্যমে চিহ্নিত করে।

    পরবর্তীতে আমি সহ প্রতিবেশী সাক্ষীগন মিলে লক্ষণ কুমার দাসের নিকট গিয়ে আমার মেয়ের ধর্ষণের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিলে বিবাদী আমাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে।

    এমতাবস্থায় গত ০৮/১২/২১ তারিখে প্রসব ব্যাথা শুরু হলে সকাল ১০ ঘটিকার সময় আমার উক্ত প্রতিবন্ধী মেয়ে শিপ্রা দাসকে উল্লাপাড়া সেবা হাসপাতালে নিয়ে সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি করে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। যাহার নাম রাখা হয়েছে সিদ্ধার্ত। নবজাতক সন্তানের পিত্রীপরিচয় এবং স্ত্রীর মর্যাদা দাবী করে দ্বারেদ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে অসহায় বাকপ্রতিবন্ধী শিপ্রা রানি দাস। যাহার প্রতিবন্ধী নিবন্ধন নং সিরাজ-১২৩৭৪/১৩

    এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ককর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবিরের সাথে কথা হলে তিনি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

  • শাহজাদপুরে গৃহবধূর চুল ও ভ্রু কেটে নির্যাতন মামলায় ৩ জন গ্রেপ্তার।

    শাহজাদপুরে গৃহবধূর চুল ও ভ্রু কেটে নির্যাতন মামলায় ৩ জন গ্রেপ্তার।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃসিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গুলনাহার পারভীন মিনু নামে গৃহবধূকে চুল ও ভ্রু কেটে নির্যাতন মামলায় স্বামীসহ ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটিলিয়ান র‍্যাব-১২’র সদস্যরা।

    মামলা ও র‍্যাব সূত্রে জানা যায়,২০০৬ সালে তাড়াশ গ্রামের গুলনাহার পারভিন ও শাহাজাদপুরে খাস সাতবাড়িয়া গ্রামের শাহজাদপুর মেহেদী হাসান সুজনের বিয়ে হয়।

    তাদের সংসারে দুটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। গত একবছর ধরে স্ত্রীর অন্য কোথাও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহে তার উপর নির্যাতন শুরু করে সুজন।

    সবশেষ ৩ ডিসেম্বর সাভার থেকে মিনু সহ পরিবারের সকলকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি শাহজাদপুরে নিয়ে আসেন সুজন। ১৩ ডিসেম্বর রাতে দুজনের মাঝে ঝগড়ার এক পর্যায়ে মিনুকে স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা মিলে শারিরীক নির্যাতন করে মাথার চুল ও ভ্রু কেটে দেয়।

    নির্যাতনের ফলে মিনুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মিনুর পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

    পরবর্তীতে ১৯ ডিসেম্বর গুলনার পারভীন মিনুকে সিরাজগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে মিনুকে ভর্তি করে।

    এ ঘটনায় ২০ ডিসেম্বর মিনুর মামা বকুল শেখ বাদি হয়ে তিনজকে আসামী করে শাহাজাদপুর থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।একই সাথে আসামীদের গ্রেপ্তার করতে র‍্যাবের সহায়তা চায়। এরই প্রেক্ষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকার সাভার ও শাহজাদপুর থেকে অভিযুক্ত স্বামী মেহেদী হাসান সুজন,মোঃ সুজন ও মোছাঃ ময়নাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১২।

  • মুরাদ হাসান-নাহিদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে মামলার আবেদন

    মুরাদ হাসান-নাহিদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে মামলার আবেদন

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম প্রতিনিধি” অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কটুক্তির অভিযোগ এনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি ও ইউটিউবার মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ প্রকাশ নাহিদ রেইন্সের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আজ রোববার (১২ ডিসেম্বর২১) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ আবেদন করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম চট্টগ্রাম ইউনিটের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এএসএম বদরুল আনোয়ার। ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ এস. কে. এম. তোফায়েল হাসান মামলাটি আদেশের জন্য রেখেছেন বলে জানান মামলার বাদী।

  • বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ৫ জনের যাবতজীবন।

    বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ৫ জনের যাবতজীবন।

    অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) আবাসিক হলে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে (২২) নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১এর বিচারক আবু জাফর মোঃ কামরুজ্জামান আসামিদের উপস্থিতিতে আবরার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

    বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তাদের এজলাসে তোলা হয়। এর আগে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সকাল ৯ টা ২০ মিনিটে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের রাখা হয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায়।

    ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া জানান,বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আবরার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে সব আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেছেন।এদিকে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বলেছেন,ছেলে হত্যার রায় শুনতে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকায় এসেছি। এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেছি।তিনি আরোও বলেন,আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে,সবার মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনে সন্তুষ্ট।

    গত ২৮ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য থাকলেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রায়ের জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। এর আগের ধার্য দিনে রায় ঘোষণা না করার বিষয়ে বিচারক বলেন রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের আইনজীবীরা যে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন, তা বিশ্লেষণ করে রায় প্রস্তুত করা এখনো সম্ভব হয়নি। রায় প্রস্তুত করতে আরোও সময় লাগবে। তাই এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়। গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১এর বিচারক আবু জাফর মোঃ কামরুজ্জামান রায় ঘোষণার জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন।

    ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ওই দিনগত রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়।

    নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।

    ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।

    অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন ও তদন্তে প্রাপ্ত আরও ছয়জন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন ও এজাহার-বহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটজন।

    গ্রেফতার ২২ জন হলেন-মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।মামলার তিন আসামি এখনো পলাতক। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহার-বহির্ভূত আসামি। ২৫ আসামির মধ্যে বুয়েট শিক্ষার্থী মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ পলাতক।

    ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১এর বিচারক আবু জাফর মোঃ কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

  • ছাতকে রাব্বি হত্যা মামলা আসামীদের ফাঁসির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন।

    ছাতকে রাব্বি হত্যা মামলা আসামীদের ফাঁসির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন।

    ছাতক(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে মেহেদী হাসান রাব্বি হত্যা মামলা দ্রুত ন্যায় বিচারে নেওয়া ও আসামীদের ফাঁসির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। আজ বুধবার ০৮/ডিসেম্বর ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট এলাকার নগর ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হত্যাকান্ডের শিকার মেহেদী হাসান রাব্বির হতদরিদ্র মা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে রুপিয়া বেগম।

    লিখিত বক্তব্যে রুপিয়া বেগম বলেন, গত ২৩ জুলাই ২০১৯ ইং তারিখে একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসান রাব্বি কে ছাতক সিমেন্ট কোম্পানির ৪ নং এলাকার বাজার সংলগ্ন প্রকাশ্যে দিবালোকে সংঘবদ্ধভাবে চুরির আঘাতে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়।

    এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় তারেক হোসেন, আতিকুর রহমান, মোক্তার আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, তাজিম হোসাইন, অপু মিয়া, লিয়াকত আলীসহ ১৭জনকে আসামী করে ছাতক থানায় মামলা নং ২০/২০১৯ দায়ের করা হয়। আসামীরা আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় কিছু আসামীরা হাইকোর্ট ও অন্যান্য আসামীরা সুনামগঞ্জ ভ্যাকেশনাল কোর্ট থেকে মুক্ত হয় জামিনে। এর পর দায়েরী মামলার প্রত্যাহারের জন্য ও মামলার স্বাক্ষীদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করা হয়। আসামীরা হাইকোর্টে জামিন নিতে নিতে গেলে হাইকোর্টে যাওয়ার পথে সায়েদাবাদ এলাকায় রুপিয়া বেগমের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা করা হয়। এ ঘটনায় ৩১ আগষ্ট ২০২০ ইং তারিখে যাত্রাবাড়ী থানায় জিডি নং-২১৭৫ দায়ের করা হয়।

    এখানেই আসামীরা থেমে নেই। ছাতক মেহতাজ শপিং কমপ্লেক্স এর সামনে মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবারো রুপিয়া বেগমকে ভয়ভীতি ও হুমকি ধমকি প্রদর্শন করে আসামীরা। এতেও তিনি ২৪ জানুয়ারী ২০২১ ইং তারিখে ছাতক থানায় একটি জিডি নং-১১০০ দায়ের করা হয়। গত ২১ জানুয়ারী ২০২১ ইং মামলার ধার্য্য তারিখে সুনামগঞ্জ কোর্টে যান রুপিয়া বেগম। সেখানেও মামলা প্রত্যাহারের জন্য আসামীরা রুপিয়া বেগমকে পুনরায় ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করা হয়। এমনকি রুপিয়া বেগমকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় আসামীরা।

    লিখিতি বক্তব্যে রুপিয়া বেগম আরো বলেন, আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মালিক, আমার শাশুড় বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তোফায়েল হোসেন খাঁন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য দপ্তরে দপ্তরে ঘুরছি। হত্যাকান্ডের ঘটনায় হুকুমদায়ী ও মামলার আসামী লিয়াকত আলী হাইকোর্ট থেকে মুক্ত ছিল জামিনে। এর পর ১৮ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখে হাইকোর্ট তার জামিন রিজেক্ট করেন। কিন্ত আসামী লিয়াকত আলী হাইকোর্টে একটি মিস কেইস নং-২৫২১৬/২০২০ দায়ের করেন। চলচাতুরির মাধ্যমে মিস কেইসের কথা বলে নিম্ন আদালত থেকেও জামিন নেয় লিয়াকত আলী। হাইকোর্ট মিস কেইসের শুনানী শেষে আসামী লিয়াকত আলীকে ২৯ নভেম্ভর ২০২১ ইং তারিখের মধ্যে সুনামগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট আদালতে আত্মসমর্পন করার নির্দেশ প্রদান করেন। ২৮ নভেম্বর ২০২১ ইং তারিখে আসামী লিয়াকত আলী সুনামগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্ত অন্য সব আসামীরা মুক্ত রয়েছেন জামিনে।

    লিখিত বক্তব্যে রুপিয়া বেগম আরো বলেন, দায়েরী মামলাটি দ্রুত ন্যায় বিচারে নেওয়ার প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, আইন মন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী, আই জি পি, পুলিশ হেড কোয়াটার, ডিআইজি অব পুলিশ, সিলেট রেঞ্জ ও পুলিশ সুপার, সুনামগঞ্জ বরাবর লিখিত আবেদন করেছি।

    মামলার আসামীরা অত্যন্ত প্রভাবশালী। অর্থ ও পেশি শক্তি প্রয়োগে ন্যায় বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করার সকল অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এমতাবস্তায় ন্যায় বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংষ্কা দেখা দিয়েছে। একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসান রাব্বি কে হারিয়ে অসহায় ও নি:স্ব হয়েছি। রুপিয়া বেগমের দাবী মামলাটি দ্রুত ন্যায় বিচারে নেওয়া হোক। আসামীদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হোক। আমার মত আর কোন মায়ের কুল যেনো খালি না হয় সে জন্যই মেহেদী হাসান রাব্বি হত্যা মামলার আসামীদের ফাঁসি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশনেন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, মাননীয় আইন মন্ত্রী ও মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সু-দৃষ্টি কামনা করেন রুফিয়া বেগম।

  • রামপালে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ।

    রামপালে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে বাঁশতলী ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মাসুম শেখ’র নামে মিথ্যা,ভিত্তিহীন,বানোয়াট,ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

    ২ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় রামপাল উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যেগে ও উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সরদার বোরহান উদ্দিন’র সভাপতিত্বে ও রামপাল উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ চয়ন মন্ডল’র সঞ্চালনায় রামপাল থানার সম্মুখে এ মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।

    মানববন্ধন শেষে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর এ ষড়যন্ত্র ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। স্মারক লিপি প্রদান শেষে রামপাল উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রধান কার্যালয়ের দুপুর ১২ টায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান যে, ১৬ নভেম্বর সন্ধায় রামপাল উপজেলার বিএনপি’র উচ্ছৃংখল নেতা কর্মীরা রাষ্ট্র ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কে নিয়ে কটুক্তি মূলক বক্তব্য প্রদান করলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্থানীয় জন সাধারণকে সাথে নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে যায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ঘটনা স্থলে পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বি.এনপির নেতা কর্মীরা অতর্কীত হামলা শুরু করে।

    স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সকলে মিলে তাদের নিবৃত করে এবং সেখানে শান্তিপূর্ন পরিবেশ বজায় থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট এবং দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য বি.এন.পি নেতাকর্মীদের প্ররোচনায় সফিকুল ইসলাম সোহাগ এক ইউপি সদস্য বাঁশতলী ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মাসুম শেখ’র নামে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে।

    সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয় যে,মামলার আসামি মোঃ মাসুম শেখ ঐ ঘটনার সময় দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র চাচী বেগম রাজিয়া নাসের’র প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং এ ঘটনায় তার কোন সম্পৃক্ততা নেই-যা সরেজমিনে তদন্ত করলে জানা যাবে।

    উল্লেখ্য বাঁশতলী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলাম সোহাগ ২০ নভেম্বর ২০২১ মাসুম শেখ সহ তার আপন দুই ভাই মারুফ শেখ ও মোস্তাফিজ শেখ’র বিরুদ্ধে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন।

    মানববন্ধন,স্মারকলিপি প্রদান ও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ,শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম,ইউপি সদস্য শিকদার জিয়াউর রহমান,মোঃ সরোয়ার, মোহাম্মদ ইমরান শেখ,মুহিতুল ইসলাম,বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসান রাজু,জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু বকার সিদ্দিক,খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সদস্য শেখ মুহিদুল ইসলাম রনি,রামপাল উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদী সহ উপজেলার সকল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • ছাতকে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করায় পুরস্কিত হলেন এস আই ম‌হিন উ‌দ্দিন।

    ছাতকে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করায় পুরস্কিত হলেন এস আই ম‌হিন উ‌দ্দিন।

    ফজল উদ্দিন,ছাতক প্রতিনিধিঃ পুলিশের পেশাগত দায়িত্ব পালন ও মাসিক অক্টোবর মা‌সে অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ধানক্ষেতে অজ্ঞাত নামা ব‌্যবসা‌য়ি আখলাদ আলীর হত্যার রহস্য উন্মোচন এবং আসামি গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি আদায় এর জন্য পুরস্কার পেয়েছেন ছাতক থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বিট অফিসার মামলার তদন্তকা‌রি এসআই মহিন উদ্দিন।

    মামলার দা‌য়িত্ব গ্রহ‌নের পর মামলা দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করে আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক মো.মহিন উদ্দিন ব‌্যবসা‌য়ি হত‌্যার রহস‌্য ৪‌দি‌নের ম‌ধ্যে উদঘাটন ক‌রে এ ঘটনার স‌ঙ্গে জ‌ড়িত থাকার অ‌ভি‌যো‌গে প্রথ‌মে ২জন গ্রেপ্তার করা হয়।

    গো‌বিন্দগঞ্জ সৈ‌দের গাও ইউ‌পির গো‌বিন্দগঞ্জনগর গ্রা‌মে ফজলু ‌মিয়া ছে‌লে আবু সু‌ফিয়ান সোহাগ (২৬) একই ইউ‌পি দীঘলীচাকলপাড়া গ্রা‌মের আশরাফুল হকের ছেলে আলিম উদ্দিন(২৮) কে তার নিজ বা‌ড়ি থে‌কে আটক ক‌রে‌ পু‌লিশ।

    গত ২৩ সে‌প্টেম্বর সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দায় স্বীকার করেছে তারা।

    অ‌ভিযুক্ত আসামীরা আবু সু‌ফিয়ান সোহাগ ও আলিম উদ্দিন আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে বলেছে,এ বিষয়টি নিয়ে আখলাদ ও সোহা‌গের মধ্যে টাকা ব‌্যাগ নি‌য়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। গত ১৮ সে‌প্টেম্বর সন্ধ‌্যার পর থে‌কে তার পা‌শে আনসার মা‌কেটের উপর থে‌কে এক‌টি দোকা‌নে ব‌সে সন্ত্রাসীরা ব‌্যবসা‌য়ি‌ আখলাদ কে নজর রা‌খে। ওই রা‌তে সা‌ড়ে ১০টায় মোবাইল ফোনে কে ডেকে নেয় সোহাগ ও তার সহযোগীরা। সেখানে রাস্তা তুমুল ঝগড়া বাঁধে দু’জনের মধ্যে। একপর্যায়ে সোহাগ ও তার সহযোগীরা মিলে টাকা ব‌্যাগ না দেয়ায় ব‌্যবসা‌য়ি আখলাদকে ছু‌রি ও ডেগার দি‌য়ে কু‌পি‌য়ে হত‌্যা করে‌ছে।

    জানা যায়,গত ১৮ সে‌পেম্বর রাতে গোবিন্দগঞ্জের হোছন সুপার মার্কেটের সামনে মামা ভা‌গিনা না‌মে খোলাবাজারে মুদি মালামালের ব্যবসা করতেন আখলাদ বাড়ী ফেরার পথে দূর্বত্তরা কুপিয়ে ধান ক্ষেতের জমিতে ফেলে ৫/৬ মি‌লে প‌রিকল্পিত ভা‌বে তা‌কে কু‌পি‌য়ে হত‌্যা ক‌রে।

    এ ঘটনায় গত ২০ সে‌পেম্বর রাতে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদের গাঁও ইউনিয়নের মোল্লাআতা গ্রামের নিহত আখলাদের বড় ভাই আশিক মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞতনামা আসামী করে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    এ হত‌্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দায় স্বীকার করেন ৪জন আসামি। এ মামলার দ্রুত সম‌য়ের ম‌ধ্যে আসামী‌দের গ্রেফতার করার ঘটনায় গতকাল শুক্রবার বিকা‌লে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মাসিক সভায় পুরস্কার তুলে দেন সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বি‌পিএম।

    এ ব্যাপারে এসআই মহিন উদ্দিন জানান, থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জের সঠিক নেতৃত্বের কারণে এবং ছাতকবাসীর ঐকান্তিকতার ফলস্রতিতে এ সম্মাননা পেয়েছি। এভাবেই সর্বমহলের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে সকল প্রকার অপরাধ নির্মূলে আরোও নিরংকুশ দায়িত্ব পালনে অপরাপর সহকর্মীরাও উদ্বুদ্ধ হবে।।

    তার এ অভূতপূর্ব সাফল্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।