Tag: মামলা

  • কুলাউড়ায় গৃহবধুকে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা,গ্রেপ্তার-১।

    কুলাউড়ায় গৃহবধুকে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা,গ্রেপ্তার-১।

    মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলো স্বামী নিয়ে গৃহবধূ (১৯)। সেখানে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে ঝামেলা হয় ওই গৃহবধূর স্বামীর। সেই রাতে সালিসে বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য বৈঠক বসে।
    সেই সালিসে যোগ দেন গৃহবধূর সহপাঠি ও তার সহযোগী কিছু যুবক। পরে তারা গৃহবধূকে বোঝানোর কথা বলে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন এবং মোবাইলে চিত্রধারণ করে চাঁদা দাবি করেন ধর্ষকরা।
    কুলাউড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন গৃহবধূ পরিবার। এই অভিযোগে শাকিব মিয়া (২২) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
    রবিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে কুলাউড়া পৌর শহরের লস্করপুর এলাকা থেকে শাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের লৈয়ারহাই গ্রামে।
    মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানায়। তিনি সম্প্রতি কুলাউড়া উপজেলায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। শাকিব গৃহবধূর সহপাঠী সেই সুবাদে তার স্বামীর সঙ্গে পরিচয় ছিল। গত ৩ নভেম্বর গৃহবধূর স্বামী তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে কুলাউড়ায় আসেন। পরদিন ৪ নভেম্বর তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে তার স্বামীর সঙ্গে স্থানীয় কিছু লোকের ঝামেলা হয়। বিষয়টি সমাধানের জন্য ওই দিন রাতে গৃহবধুর বাড়িতে সালিস বসে। সালিসে ইউপি সদস্য আলিম উদ্দিন ছাড়াও উপজেলার অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা সুন্দর আলী, জয়চন্ডী ইউনিয়নের রায়গ্রামের বাসিন্দা রনধীর ঘোষ ও গৃহবধূর সহপাঠী শাকিব মিয়াসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
    সালিসের শেষ পর্যায়ে শাকিব গৃহবধূকে আলাদা একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলেন। একপর্যায়ে রাত ১ টার সময় আসামি শাকিব (২২), সুন্দর আলী (৩২) ও রনধীর ঘোষ (৪০) ওই কক্ষে প্রবেশ করে গৃহবধূকে বাথরুমে নিয়ে ওড়না ও জামা দিয়ে হাতমুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এসময় তারা মোবাইলফোনে আপত্তিকর দৃশ্য ধারণ করে রাখেন। চলে যাওয়ার সময় তারা এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলতে তাকে ভয়ভীতি দেখায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন ওই নারী।
    পর দিন (৫ নভেম্বর) সুন্দর আলী ও রনধীর বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও দেখিয়ে তাঁদের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে গৃহবধূর মা নগদ ৪০ হাজার টাকাসহ ব্যাংক চেকের দুটি পাতা দেন। ওই দিন শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বজনেরা তাকে মৌলভীবাজার জেলা সদরে অবস্থিত ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সুস্থ হওয়ার পর ১২ নভেম্বর নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ কুলাউড়া থানায় গিয়ে সুন্দর, রনধীর ও শাকিবকে আসামি করে মামলা করেন। কিন্তু ঘটনার এক সপ্তাহ পর রবিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে মামলা রেকর্ডের হয়।
    কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুছ ছালেক বলেন, ওই গৃহবধু থানায় এসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার হওয়া শাকিবকে মৌলভীবাজারের আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
  • মাধবপুরে পর্ণোগ্রাফি মামলায় যুবক গ্রেপ্তার।

    মাধবপুরে পর্ণোগ্রাফি মামলায় যুবক গ্রেপ্তার।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    পর্ণোগ্রাফি মামলায় বাহার মিয়া (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে মাধবপুর থানার পুলিশ।বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাত ১০টায় মাধবপুর থানার এস আই পনুয়েলে’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার নারায়নপুর টঙ্গীর মোড় এলাকায় বাহারকে গ্রেপ্তার করে। সে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রামের মৃত আলেফ খাঁর ছেলে।
    মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাহার মিয়া ফেসবুকে ভুয়া আইডি খোলে একই গ্রামের জনৈক ব্যক্তির মেয়ের আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করে। এই ঘটনায় সেলিম মাহমুদ লিটন বাদি হয়ে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (কগ-৬) আদালতে মামলা আমলে নিয়ে রেকর্ড করতে থানাকে নির্দেশ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মাধবপুর থানা পুলিশ বাহারের নামে মামলা রুজু করে তাকে গ্রেপ্তার করে।
    ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা জানান, বাহার দীর্ঘদিন ধরে গোপনে মেয়েদের ছবি তুলে এবং তা দিয়ে ভিডিও বানিয়ে সেই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে। তাকে অর্থ দিতে অপরাগতা করলেই ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়।
    মাধবপুর থানার ওসি রকিবুল ইসলাম খাঁন বাহারের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পর্ণোপ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ ধারা মামলার আসামি বাহারকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
  • বালিয়াডাঙ্গীতে জামায়াত-বিএনপি’র ৮৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৩।

    বালিয়াডাঙ্গীতে জামায়াত-বিএনপি’র ৮৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৩।

    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে জামায়াত-বিএনপি’র ডাকা অবরোধ সফল করতে ভোরবেলা রাস্তায় ঝটিকা মিছিল করে ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেল আগুন দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি- জামায়াতের ৮৪ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরও ৬০ জনকে। এর মধ্যে বিএনপি’র ৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
    বুধবার সন্ধ্যায় বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার হওয়া ৩ জন হলেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষক দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম মানিক, ধনতলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক হাজীরুল ইসলাম, বিএনপি কর্মী শরিফত উদ্দিন।
    বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার সময় বালিয়াডাঙ্গী-ঠাকুরগাঁও সড়কের বালিয়াপুকুর পাড় নামক এলাকায় জামায়াত-বিএনপি’র ডাকা অবরোধ সফল করার জন্য দলটির নেতাকর্মীরা রাস্তায় গাছ ফেলে অবরোধ, টায়ার ও মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। এ সময় পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাদের উদ্দেশ্যে করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও ককটেল বিস্ফোরণ করে। এতে দুজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
    ‘এ ঘটনায় ধাওয়া করে ৩ জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। পরে বালিয়াডাঙ্গী থানায় ওই তিনসহ আরও ২৪ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার বিকালে আটক ৩ জনকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
    তবে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড. সৈয়দ আলম দাবি করেন, পুলিশ প্রত্যেক নেতাকর্মীদের বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করেছে। ২৮ তারিখের পর থেকে নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার করছে। আজকে যে ঘটনায় ৩ গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি। পুরোটাই পুলিশের সাজানো। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
  • রামপালে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার।

    রামপালে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার।

    রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ  বাগেরহাটের রামপালে ১৪ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী রহমত আলী (২০) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।
     
    শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে র‌্যাব -৬ এর মিডিয়া সেলের এক প্রেস ব্রিফিংএ এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
     
    আটক রহমত আলী রামপাল উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মোঃ মাহবুবুর রহমানের ছেলে।
     
    এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রামপাল থানার বড় দূর্গাপুর পুটিমারি গ্রামের স্থানীয় পলাশের ঘেরের টংঘরে ওই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। 
     
    রামপাল থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৩ জনের মধ্যে রাকিব হোসেন সজল (২৪) ও রাসেল শেখ (২৬) নামে দুই যুবককে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়।
     
    আটক রাসেল শেখ রামপাল উপজেলার পারগোবিন্দপুর গ্রামের ফরহাদ শেখের ছেলে ও রাকিব হোসেন সজল কালেখার গ্রামের আজমল হোসেন এর ছেলে এবং অপর অভিযুক্ত গোবিন্দপুর গ্রামের মোঃ মাহবুবুর রহমানের ছেলে রহমত আলী (২০) এ সময় পলাতক ছিল।
     
    র‌্যাবের মিডিয়া সেল জানান, র‌্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ৬ অক্টোবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার গাজীপুর চৌরাস্তা  এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গণধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামি রহমত আলীকে (২০) আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে বলেও জানান র‌্যাব।
     
    এ বিষয়ে রামপাল থানা অফিসার ইনচার্জ এস. এম. আশরাফুল আলম জানান, র‌্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ৬ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামী রহমত আলীকে (২০) আটক  করে আজ শনিবার (৭ অক্টোবর) রামপাল থানায় হস্থান্তর করে। আমরা আসামি রহমত আলীকে বাগেরহাট বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেছি।
  • রামপালে তারচুরি মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার। 

    রামপালে তারচুরি মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার। 

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে (বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া) ফ্রেন্ডশিপ কোম্পানি  পাওয়ার প্লান্টের তামার তার চুরি মামলার পলাতক পাঁচ আসামিকে আটক করেছে রামপাল থানা পুলিশ।
    আটককৃতরা হলেন- রামপাল উপজেলার কালেখারবেড় গ্রামের অহিদ শেখের ছেলে পলাশ শেখ(৪১), বড় দূর্গাপুর এলাকার কুদ্দুস খানের ছেলে মোঃ সোহাগ খান(৩৬), ছায়রাবাদ গ্রামের মৃত বাবর আলী হাওলাদারের ছেলে জাকির হাওলাদার(৩২), শরিয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার মৃত বাদশা মোড়লের ছেলে মোঃ আব্দুল লতিফ(৫৫) ও পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার মৃত হোসেন আলী ব্যাপারীর ছেলে সেন্টু ব্যাপারী(৪৫)।
    বৃহস্পতিবার(৫ অক্টোবর) রাতে থানা পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসামিদের আটক করে।
    এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আশরাফুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান যে, গতরাতে অভিযান চালিয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের তামার তার চুরি মামলার পলাতক পাঁচ আসামিকে আটক করা হয়েছে।  আজ( ৬ অক্টোবর) আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
    তিনি আরও বলেন, এ জাতীয় রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
  • কানাইঘাটে জামিনপ্রাপ্ত আসামীর হামলায় একই পরিবারের ৪ জন গুরুতর আহত।

    কানাইঘাটে জামিনপ্রাপ্ত আসামীর হামলায় একই পরিবারের ৪ জন গুরুতর আহত।

    কানাইঘাট পৌরসভার রায়গড় গ্রামে হত্যা মামলার জামিনপ্রাপ্ত আসামীর হাতে একই পরিবারের মহিলা সহ ৪ জনকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর এবং কলেজ পড়ুয়া এক মেয়ে শিক্ষার্থীকে মাথা ফাঁটিয়ে পানিতে চুবিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় হামলাকারী রায়গড় গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র একই বাড়ির আব্দুল মতিনের হত্যাকারী জামিনপ্রাপ্ত আসামী আব্দুল মান্নান (৪৫) এর বিরুদ্ধে মিনারা বেগম রুবি নামে এক মহিলা বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    অভিযোগে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে একটি পরিত্যাক্ত কুড়ি থেকে মাছ ধরার সময় আব্দুল মান্নান তার প্রতিবেশি রায়গড় গ্রামের সেলিম আহমদের স্ত্রী মিনারা বেগম রুবি ও তার কলেজ পড়–য়া মেয়ে ফাহমি বেগম (১৫), মাইশা বেগম (১১) ও ছেলে সজিব আহমদ (৬) কে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে আব্দুল মান্নান ফাহমি বেগমকে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।

    এ সময় তার মা মিনারা বেগম রুবি এগিয়ে আসলে তাকে সহ তার অপর মেয়ে মাইশা ও ছেলে সজিবকেও মারধর করে আব্দুল মান্নান। তাদের শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে হামলাকারীর কবল থেকে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। জখম গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ কলেজ পড়–য়া ফাহমি বেগমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। ঘটনার পর খবর পেয়ে থানার এস.আই দেবাশীষ শম্র্মা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

    স্থানীয়রা জানান, আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে এলাকায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা সহ নানা ঘটনায় পূর্বে কয়েকটি মামলা হয়েছিল। বছর খানেক পূর্বে একই বাড়ির চাচাতো ভাই প্রবাস ফেরত আব্দুল মতিনকে হত্যার দায়ে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। ঐ মামলায় কয়েক মাস জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে এসে আব্দুল মান্নান এলাকায় নানা ধরনের অপরাধে লিপ্ত রয়েছে সে।

  • গোদাগাড়ীতে স্বামীর কাছে সন্তানের ভরণপোষণ দাবি-বিচার না পেয়ে মামলা ।

    গোদাগাড়ীতে স্বামীর কাছে সন্তানের ভরণপোষণ দাবি-বিচার না পেয়ে মামলা ।

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ভরণপোষণের দাবিতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী । মামলা দায়ের করা নারীর নাম মুসলিমা বেগম(৩৮) মুসলিমা বলেন ১৫ বছর হলো আমার স্বামীর সাথে কোন সম্পর্ক নেই, কেন জানি না শুনেছি তালাক দিয়েছে,আমি জানি না, কোন তালাকের কাগজ আসেনি আমার কাছে । বিয়ের ৭বছর পর নিজের এক সন্তানের ভরণপোষণের দাবি করে রাজশাহীর আদালতে মামলা করেছেন তিনি ৷

    ওই নারীর দাবি, ৭বছর আগে এক সন্তানসহ তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তার স্বামী তার পর থেকে স্বামীর কোন খোঁজ নেই, রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার রামনগর, বোরাপুকুর,শিমুলতলা গ্রামে তার বাড়ি। তার এক সন্তান মেয়ে বেদেনাকে (১৭) নিয়েই চলছে তার জীবন যুদ্ধ । ২০০১ সালে বিয়ে হওয়ার পর থেকে ভালোই চলছিল সুখের সংসার মুসলিমা দম্পতির, বিয়ের দুই বছর পর, তাদের জীবনে আসে একটি কন্যা সন্তান, তখনই শুরু হয় অশান্তি, কারণ মেয়ে সন্তানটি হয় প্রতিবন্ধী,

    তার পরে ছেড়ে চলে যান মুসলিমকে তার স্বামী আব্দুল মজিদ। আব্দুল মজিদ (৪৫) পিতা আব্দুল রাজ্জাক বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী সাদ্দিপুর গ্রামে। প্রায় ৭বছর আগে মুসলিমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই থেকে তাদের কোনো ভরণপোষণ দেওয়া হয়নি । তবে তিনি ভরণপোষণ দেবেন না বলে জানালে মুসলিমা মামলা করেন। কারণ, ভরণপোষণ দেওয়ার মতো যথেষ্ট আর্থিক সক্ষমতা আছে আব্দুল মজিদের । মুসলিম বলেন আদালতে জজ আমার পক্ষে রায়ে ৩ লখ ৯৫ হাজার টাকা দিতে বলেন, প্রথম দফায় মাত্র ৫০ হাজার টাকা *দিয়েছে, আর বাকি ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা দিচ্ছে না। হাজিরার তারিখ আসলে আমি কোর্টে আসলে ভয়-ভীতি দেখায় যেন আমি কোটে যেতে না পারি । তবে আব্দুল মজিদের এলাকার বাসিন্দারা বলেন, মজিদ একাধিক বিয়ে করেছে,শুনেছি তার ভাই একটা পুলিশে চাকুরী করে, তার প্রভাব দেখায়, আমরাও ভয়ে থাকি, তবে এই মেয়েটার সমাধান করতে দিচ্ছি না ওই পুলিশ আদর্শ লালচান, একটা সমধাণ করা দরকার, তার পাওনা দাওনা দিলেই ঝামেলা শেষ হয় । জানতে চাইলে মুসলিমা বেগম বলেন, আমার পৈতৃক ভিটা নেই সরকারি খাস জমিতে একটি টিনসেট বাড়িতে থাকি। মানুয়ের বাড়িতে কাজ করি, মাঠে কাজ করে সংসার চালায়। এ দিয়ে কোনো রকমে দিন কাটছে । আমার বয়স হয়েছে। এখন আর এভাবে চলতে পারছি না। সমাধানের চেষ্টা করেছি অনেকের হাত-পা ধরেছি সমাধান এর জন্য সমাধান পাইনি ,বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি ।

  • হত্যার মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি।

    হত্যার মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি।

    সবুজ সরকার,বেলকুচি(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি:

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাতলাঠি গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে চাঁন মিয়াকে হত্যা করার ঘটনায় মামলা করায় বাদীকে মামলা তুলে নিতে আসামিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। পাশা পাশি মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদীকে ও নিহতের আত্মীয় স্বজনকে ভয় ভীতি দেখানো ও চাপ দেয়া হচ্ছে৷ মামলার প্রধান আসামি হলেন ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সাতলাঠি গ্রামের জব্বার হোসেনের ছেলে তারেক হোসেন, মৃত আজিজুল হকের ছেলে সামছুল হক ও মৃত মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেন। হুমকি দেয়ার কারনে গত ৭ এপ্রিল দুপুরে বেলকুচি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নিহত চাঁন মিয়ার বড় ভাই আব্দুস শুকুর আকন্দ।

    জিডির অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আব্দুস শুকুরের সহদর ছোট ভাই চাঁন মিয়া আকন্দকে হত্যা করা হয়। পরে বাদী হয়ে আব্দুর করিম হত্যার মামলা দায়ের করেন। হত্যা কান্ডে জড়িত থাকায় সাতলাঠি গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে সামচুল ও জুব্বার হোসেনের ছেলে তারেক হোসেনসহ অনেকেক আসামি করা হয়। জামিনে বের হয়ে মামলা উঠানোর জন্য বিভিন্ন সময় হুমকী দামকি দিচ্ছেন। গত ১৭ মার্চে সকালে মামলার বাদী আব্দুর করিমের বাড়িতে গিয়ে মামলা উঠানোর জন্য বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন। এ ছাড়াও গত ৪ এপ্রিলে সন্ধ্যায় নিহতের বাড়িতে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এসে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও পরিবারের লোকজনের উপর প্রাণনাশের হুমকি দেন।

    এ বিষয়ে আব্দুস শুকুর আকন্দ বলেন, আসিরা শুধু মামলার বাদীকে নয়, চাঁন মিয়ার আত্মীয় স্বজনকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হত্যার হুমকি দিচ্ছেন৷ এ ঘটনার পর থেকে পরিবার ও স্বজন নিয়ে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন৷ মূল আসা​মিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আতঙ্কে আছেন৷

    এ ব্যাপারে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলবে এটাই স্বাভাবিক। মামলা তুলে নেয়ার হুমকির জিডির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷

    উল্লেখ্য, গত ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সাতলাঠি গ্রামের চাঁন মিয়ার বাড়িতে একই গ্রামের  জব্বার হোসেনের ছেলে তারেক হোসেন, মৃত আজিজুল হকের ছেলে সামছুল হক ও মৃত মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীবাহিনী গিয়ে চাঁন মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।

  • মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতদের নামে মামলা।

    মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতদের নামে মামলা।

    রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে একরাতে ১৪টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতদের নামে মামলা হয়েছে।

    রোববার রাতে উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সিন্দুরপিন্ডি মন্দির কমিটির সভাপতি জোতিময় সিংহ বাদী হয়ে
    অজ্ঞাতনামাদের নামে মামলাটি করেন বলে বালিয়াডাঙ্গি থানার ওসি খায়রুল আনাম ডন জানান।

    শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত সময়ে উপজেলার ধনতলা, চাড়োল ও পাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    এর মধ্যে ধনতলা ইউনিয়নে ৯টি, চাড়োল ইউনিয়নে ১টি এবং পাড়িয়া ইউনিয়নে ৪টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।

    মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর ছাড়াও সনাতনী সম্প্রদায়ের অন্যতম পবিত্র গ্রন্থ “গীতা” ছিড়ে ফেলা হয়। এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    ধনতলা ইউনিয়নের সিন্দুরপিণ্ডি থেকে টাকাহারা পর্যন্ত ১টি হরিবাসর মন্দির, ১টি কৃষ্ণ ঠাকুর মন্দির, ৫টি মনসা মন্দির, ১টি লক্ষ্মী মন্দির ও ১টি কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে।

    এ ছাড়া চাড়োল ইউনিয়নে ১টি কালীমন্দির, পাড়িয়া ইউনিয়নে ১টি বুড়া-বুড়ি মন্দির, ১টি লক্ষ্মী মন্দির, ১টি আমাতি মন্দির এবং ১টি মাসানমাঠ মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।

    প্রতিমাগুলোর হাত-পা, মাথা ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলেছে। আবার কিছু প্রতিমা ভেঙে পুকুরের পানিতে ফেলে রেখেছে।

    মন্দিরের প্রতিমা ভাঙার খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন
    হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার গুপ্ত বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েলসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

    সিন্দুরপিণ্ডি এলাকার বাসিন্দা কাশীনাথ সিংহ বলেন, “হঠাৎ করে কে বা কারা রাতের আঁধারে প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করেছে। এতে আমরা আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় আছি। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক।”

    হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার গুপ্ত জানান, গত শনিবার রাতের কোনো এক সময়ে তিনটি ইউনিয়নের ১৪টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বেশির ভাগ প্রতিমাই রাস্তার পাশে স্থাপিত মন্দিরের। সেসব মন্দিরে কালী, সরস্বতী, লক্ষ্মী ও মনসার প্রতিমা ছিল। সেসব প্রতিমার মাথা, হাত, পাসহ বিভিন্ন অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতেই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

    ধনতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সমর চ্যাটার্জী পুতুল বলেন, এই এলাকায় এর আগে এ ধরনের ঘটনার নজির নেই। এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে মুসলিমদের কোনো বিরোধ নেই। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় কারা সম্পৃক্ত থাকতে পারে, তার কিছুই আন্দাজ করা যাচ্ছে না।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী আসলাম জুয়েল বলেন, “যেসব মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে এগুলো অনিরাপদহীনভাবে রাস্তার পাশে ছিল।”

    “প্রতিমা ভাঙচুরের এই ঘটনাটি আসলে দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করি। এ ছাড়া সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”

    পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। পুলিশ এ ঘটনায় কাজ করছে। কোনো গোষ্ঠী এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশে এসব মূর্তি ভাঙচুর করেছে কি না, এসব বিষয় মাথায় নিয়ে ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করছি, শিগগিরই দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা যাবে।

    জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, শান্তি ও সম্প্রীতির জনপদকে যারা অশান্ত করতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে, তাদের শিগগিরই আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

  • ডিমলায় বুড়িতিস্তা নদী জরিপ কাজের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা।

    ডিমলায় বুড়িতিস্তা নদী জরিপ কাজের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা।

    ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় গত শনিবার (১৭ই ডিসেম্বর) বুড়িতিস্তা নদী জরিপ কাজের সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।

    পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জলঢাকা শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী একরামুল হক বাদী হয়ে ডিমলা থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে ৭৯ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ থেকে ছয়শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছে পুরো এলাকা ।

    সরেজমিনে দেখা যায়, মামলার কথা শুনে বাড়ি ছেড়েছে অনেকে। গ্রেফতার আতঙ্কের মধ্যেই সময় পার করছেন তারা । আর এই অজ্ঞাতনামা মামলার কথা শুনে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে কুঠিরডাঙ্গা সহ আশপাশের গ্রামগুলোতে। কুঠির ডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মনসুরা বেগম বলেন, আমরা শুনেছি যে মামলা হয়ছে। তাও আবার পাঁচশো, ছয়শো মানুষের নামে। যেহেতু নাম উল্লেখ্য করে মামলা হয় নাই, সেই কারণে ভয়ে ভয়ে সময় পার করছি আমদের গ্রামের সবাই। আরেক বাসিন্দা সুরাইয়া আক্তার বলেন, আমরা বিক্ষিপ্ত ঘটনার দিন ছিলাম না। পারিবারিক কাজে সবাই রংপুরে ছিলাম। এখন মামলা হয়েছে অনেক জনের নামে।

    এ নিয়ে আমরা অনেকে ভয়ের মধ্যে আছি। কাকে কখন তুলে নিয়ে যায় বলা যায় না। আমরা এর একটা সুষ্ঠু সমাধান চাই। উল্লেখ্য, ৬৪ টি জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল, জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্পের আওতায় (ক্যাট প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত) ডিমলা উপজেলার বুড়িতিস্তা (পচারহাট) এলাকায় পাউবো নীলফামারী ও স্ট্যান্ডার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে সীমানা নির্ধারণ এবং প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নেন।

    মাঠ জরিপ কাজ শুরুর এক পর্যায়ে স্থানীয় জনগণ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আর সেই আকস্মিক সংঘর্ষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একটি এস্কেভেটর (ভেকু), তিনটি সিক্স সিলিন্ডার মেশিন, দুইটি থ্রি সিলিন্ডার মেশিন ও একটি মোটরসাইকেলে বিক্ষুব্ধ জনগণ আগুন ধরিয়ে দেন।

    এছাড়া তিনটি মোটরসাইকেল ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একটি দুই চালা টিনের সেট ঘর ভাংচুর করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে প্রশাসন। ফায়ার সার্ভিসের ডিমলা ডিফেন্সের ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। সেদিনের সেই ঘটনায় জলঢাকা পওর উপ-বিভাগ-২ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো একরামুল হক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। দায়েরকৃত মামলায় ৭৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ থেকে ছয়শত জনের নাম মামলা করা হয়েছে।

    মামলার বিষয়ে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ লাইছুর রহমান বলেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী একরামুল হক বাদী হয়ে গত বুধবার (২০শে ডিসেম্বর) একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ৭৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ থেকে ছয়শতাধিক ব্যক্তি রয়েছে। আর আমি বলে দিয়েছি কোন সাধারণ মানুষ এতে হয়রানি হবে না। অতএব কেউ ভয় পাবেন না। শুধুমাত্র দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।