Tag: মামলা
-
মৌলভীবাজারে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলা-প্রতিবাদ সভা।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক ইউনিয়ন (রেজি নং- মৌল-০৩৮) এর সভাপতি মোঃ জাফর ইকবাল, সাংবাদিক মোঃ সালেহ আহমদ এর বিরোদ্ধে হয়রানী মূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার প্রতিবাদ ও সুষ্ট তদন্তের দাবিতে মৌলভীবাজার কর্তব্যরত সাংবাদিক বৃন্দের প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে।রবিবার ১১ জানুয়ারি ২০২৪ইং, মৌলভীবাজার চৌমুহনা চত্বরে দুপুর ১২টার সময় প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়।এ সময় প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিকরা বলেন, জগৎপুর দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কর্তৃক নির্যাতনে শিকার হয়ে ঐ মাদ্রাসার এক দাখিল পরীক্ষার্থী ছাত্রী গত ১৬ জানুয়ারি বিষ পান করে আত্নহত্যার চেষ্টার করে। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে মুমূর্ষ ভিকটিম তার নিকট আত্নীয়ের নিকট জবানবন্দি প্রদান করে ও তার পিতার অভিযোগের ভিক্তিতে ১৯ জানুয়ারি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর জগৎপুর দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাংবাদিকদের হয়রানী করার উদ্দেশ্যে সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেন। এই হয়রানী মুলক মামলার সুষ্ট তদন্ত ও ছাত্রী নির্যাতনের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা করেন মৌলভীবাজার জেলায় কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ।প্রতিবাদ সভায় ডেইলী নিউনেশন পত্রিকার প্রতিনিধি মোঃ মছব্বির আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও গণমুক্তি পত্রিকার মৌলভীবাজার প্রতিনিধি চিনু রঞ্জন তালুকদার এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার জেলা সাংরাদিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ডেইলী বাংলাদেশ টুডে ও আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি এ,কে,অলক, মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক দৈনিক আমাদের কন্ঠের পত্রিকার প্রতিনিধি মশাহিদ আহমদ, রাজনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি আউয়াল কালাম বেগ, রাজনগর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আক্তার হোসেন সাগর, সাংবাদিক মমশাদ আহমদ, এনটিভি ইউরোপ মৌলভীবাজার প্রতিনিধি শাহনেওয়াজ চৌধুরী সুমন, দৈনিক ভোরের ডাক মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা মোঃ জালাল উদ্দিন, দৈনিক ভোরের সময় নিজস্ব প্রতিনিধ সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম হাসান, সাংবাদিক এম এ সামাদ, প্রমুখ। -
মাধবপুরে সুভাষ পাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শ্রীবাস চন্দ্র পাল গ্রেপ্তার।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বেঙ্গাডুবা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সুভাষ পাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শ্রীবাস চন্দ্র পাল (৫০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে মাধবপুর থানার এসআই মো: মনিরুজ্জামান এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে পতেঙ্গা থানার পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করেন। সে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বেঙ্গাডুবা গ্রামের মৃত জয়চন্দ্র পাল এর পুত্র। উল্লেখ্য পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগভাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১২ জানুয়ারী সকালে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বেঙ্গাডোবা গ্রামের মৃত জয়চন্দ্র পাল এর বড় ছেলে ডা: সুভাষ পাল, শ্রীবাস চন্দ্র পাল ও সুমিত পালের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির এক পর্যায়ে সুভাষ পাল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী সুবর্না পাল বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রকিবুল ইসলাম খাঁন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধৃত আসামিকে কিছুক্ষণ আগে চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানোর হবে। -
বালিয়াডাঙ্গীতে আমগাছ কেটে ফেলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১।
আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:জমি বিরোধে শত্রুতার জেরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে একটি আমবাগানের ১৩৬টি আমগাছ কেটে ফেলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী রমজান কাজীকে গ্রেপ্তার করেছে শনিবার বিকালে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।শুক্রবার রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের নুনতোর গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ কবির নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার রাতে আমবাগান মালিক ইলিত চন্দ্র সিংহ অরফে রাতিয়া ৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের দায়ের করেন।গ্রেপ্তার হওয়া রমজান কাজী রাণীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের নুনতোর গ্রামের গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।জানা গেছে, ভানোর ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের ইলিত চন্দ্র সিংহ অরফে রাতিয়ার সাথে প্রতিবেশী রাণীশংকৈল উপজেলার নুরতোর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রমজান কাজীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও বিষয়টি সমাধান হয়নি।গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে ছিলেন না রাতিয়া। এই সুযোগ রমজান কাজী তার লোকজন দিয়ে ৬১ শতাংশ জমিতে লাগানো আম বাগানের ১৩৬টি আমগাছ কেটে ফেলেছে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। এতে রাতিয়া ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করেন রাতিয়া।গ্রেপ্তর হওয়ার আগে রমজান কাজী দাবি করেছিলেন, দুই বছর আগে জমির মালিক মাইকেলের কাছ থেকে জমি কিনেছেন তিনি। ওই বাগানের জমির মালিক তিনি। এখন জমি দখল দিতে হবে, তাই নিজেরাই গাছ কেটে ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করার হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে বসা মীমাংসাগুলোতে তার পক্ষে রায় পেয়েছিলেন।বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, বাগানের আমগাছ কাটার ঘটনায় ৬ জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পর পুলিশ আসামী রমজান কাজীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। -
নৌকায় ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে মারপিট,ভাঙচুর ও হামলা-মামলার অভিযোগ।
বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের নির্দেশে তার সমর্থকদের হামলায় আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী। এ থেকে রেহাই পায়নি বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সংখ্যালঘুরা। এ অভিযোগ তুলে সোমবার দুপুরে বেলকুচি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। বেলকুচি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রহমান, গাজী দেলখোশ আলী প্রামানিক ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।
এসময় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার প্রাতীক নৌকায় ভোট দেয়া ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডলের পক্ষে নির্বাচন করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের নির্দেশে নির্বাচনের দিন রাজাপুরে নৌকার এজেন্ট বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানকে বেদম মারপিট করা হয়। এছাড়া বেলকুচি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজন বীরমুক্তিযোদ্ধাকে হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে। এছাড়া নির্বাচন পরবর্তীতে মেঘুল্লা, তামাই, চালা, গাড়ামাসি, চন্দনগাঁতি, জিধুরী, সুর্বণসাড়া, গোপালপুর, দেলুয়া, রাজাপুর ও বানিয়াগাঁতি এলাকায় নৌকার সমর্থক ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের কুপিয়ে ও মারপিট করে অর্ধশত জনকে আহত করেছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া নির্বাচনী এলাকার প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকান পাট ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমথর্করা। এ নিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা সহ দলের নেতাদের নামে ডজন খানেক মামলাও দিয়েছে ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা।
বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানকে বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামিলীগের মনোনিত প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডলের নির্বাচন করার কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের নির্দেশে নির্বাচনের দিন আমার ও পরিবারের ওপর হামলা চালায় তারই সমর্থক সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ সহ তার লোকজনেরা। তারা শুধু আমার ওপরে হামলা চালায় নি। আমাকে প্রাণ ন্যাসের হুমকিও দিয়েছে। আমি এখন প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আছি। আব্দুর রহমান বলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি। বিনিময়ে আজ নিজ দেশেই পরাধিনের মতো জীবন যাপন করতে হচ্ছে। আমাদের অপরাধ স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের নির্বাচন না করে নৌকার নির্বাচন করলাম কেন। তারা শুধু আমার ওপর হামলা চালিয়ে খ্যান্ত হয়নি মিথ্যা মামলা দিয়েও হয়রানি করেছে।
এসময় তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে লতিফ বিশ্বাসের হয়ে কাজ না করার কারণে আমার মতো কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকে বেধরক মারপিট করেছে তার সমর্থকরা। এমতাবস্থা চলতে থাকলে আমরা এদেশে বসবাস করতে পারবো না। আমি এই হামলা ও মিথ্যা মামলায় তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি সেই সাথে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হামলাকরীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।
বেলকুচি উপজেলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী দেলখোস আলী প্রমানিক বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস তিনি তার জীবনে আওয়ামীলীগ থেকে অনেক কিছু পেয়েছে। সে ইউপি চেয়ারম্যান থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছেন। আজ তিনি নৌকার বিপক্ষে কাজ করে স্বতন্ত্র প্রার্ধী হয়ে পরাজিত হয়েছেন। তিনি পরাজিত হওয়ার কারনে আমাদের বীরমুক্তিযোদ্ধা সহ আওয়ামীলীগের অনেক নেতা কর্মীর উপর হামলা করে আহত করেছেন। অনেকের নামে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। আমরা এই নির্যাতনকারী লতিফ বিশ্বাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে চাই। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিলে আমরা সবাই শান্তিতে থাকতে পারবো।
রাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সমর্থকরা বেপরোয়া হয়ে গেছে। তারা নৌকার সমর্থক ও কর্মীদের উপর হামলা মিমলা করে যাচ্ছে। আমরা তার প্রতিকার চাই। তবে পুলিশকে বারবার অভিযোগ দিলেও কোন কাজ করছেনা।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বলেন, সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা। নির্বাচনের পর থেকে নৌকার সমর্থকরা আমার ঈগল সমর্থকদের উপর হামলা মামলা ও বাড়ী ঘর ভাংচুর করে যাচ্ছে। যা বিভিন্ন মিডিয়াতে দেখাচ্ছে।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসানুজ্জামান বলেন, নির্বাচনের পর থেকে যে কয়টা মামলা হয়েছে তার সকল মামলার আসামীরা আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। আর সকল মামলা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বুলবুল চৌধুরী, আব্দুল খালেক, রেজা নজরুল, সহ আরো অনেকই উপস্থিত ছিলেন।
-
কানাইঘাটে সম্পত্তি রক্ষা ও মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেতে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন।
কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধি: কানাইঘাটে কুচক্রী মহলের হাত থেকে পৈত্রিক স্থাবর সম্পত্তি রক্ষা সহ মিথ্যা মামলার হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার।বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় কানাইঘাট প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কচুপাড়া গ্রামের মৃত মাস্টার ফয়জুল হকের ছেলে হেলাল আহমদ লিখিত বক্তব্য পাঠকালে বলেন, তারা ৩ ভাই ও ৩ বোন। তাদের পিতার রেখে যাওয়া পৈত্রিক সম্পত্তি সহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ এখনও যৌথ রয়েছে। ৪০ বছর ধরে তাদের বড় ভাই কাওছার আহমদ কানাডায় বিয়ে করে সেখানে বসবাস করে আসছেন। অদ্যবধি পর্যন্ত কাওছার আহমদ কানাডা থেকে একটিবারও দেশে আসেননি। এই সুযোগে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল তাদের ভাই কাওছার আহমদকে নানাভাবে ভুল বুঝিয়ে তাদের যৌথ সম্পত্তি আত্মসাত করার জন্য তাকে সহ পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে।সংবাদ সম্মেলনে হেলাল আহমদ আরো উল্লেখ করেন, এই দুষ্টু চক্রের মধ্যে রয়েছে বীরদল হাওর পশ্চিম গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে আলিম উদ্দিন, কচুপাড়া গ্রামের মৃত আকলু মিয়ার ছেলে মানিক উদ্দিন, মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন ও সরুফৌদ গ্রামের মৃত মকরম আলীর ছেলে সিরাজ উদ্দিন। তাদের মধ্যে আলিম উদ্দিন আমার প্রবাসী ভাই কাওছার আহমদ এর কাছ থেকে আমমোক্তারনামা নিয়েছে বলে দাবী করে আমাদের পৈত্রিক যৌথ সম্পত্তি, গোয়াল ঘর, গরু, বসত ঘর জোরপূর্বক ভাবে দখল করার চেষ্টা করে আসছে। এমনকি আলিম উদ্দিন গংরা তাদের বসত বাড়ির গাছপালা, ফসলাদি কেটে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যে আলিম উদ্দিন আমি সহ আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালতে পর পর ৩টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। তারমধ্যে একটি ধান চুরির মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। বর্তমানে আদালতে ২টি মামলা বিদ্যমান রয়েছে। কানাডা প্রবাসী ভাই কাওছার আহমদ মানসিক সমস্যায় থাকার কারনে তার সরলতার সুযোগ নিয়ে আলিম উদ্দিন গংরা তাদেরকে নানা ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী সহ স্থাবর সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করে আসছেন। এতে করে তারা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন উল্লেখ করে কুচক্রী মহলের হাত থেকে নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা এবং মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমার হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন হেলাল আহমদ ও তার পরিবারের সদস্যরা।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, হেলাল আহমদের বোন ফখরুন নেছা, মিসবাউন নেছা, পরিবারের সদস্য হারুন আহমদ, কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুন নুর, ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুক আহমদ, প্রতিবেশি শফিকুল হক, মুজম্মিল আলী।
-
মাধবপুরে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস আই আবুল কাশেমের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী বিল্লাল মিয়াকে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত বিল্লাল মিয়া (৩২) উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মোড়াপাড়া গ্রামের জিতু মিয়ার ছেলে। বিল্লাল মিয়া দীর্ঘ দিন পলাতক ছিল।মামলা সূত্রে জানা গেছে, মাধবপুর থানাধীন জি আর ২২৬ / ২০১৭ ( মাধবপুর) মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে এক বছর দুই মাস সশ্রম কারাদণ্ড রায় প্রদান করেন বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচার আদালত -০১ হবিগঞ্জ।এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো: রকিবুল ইসলাম খাঁন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামি বিল্লাল মিয়াকে জেল কারাগারে পাঠানো হয়েছে। -
উল্লাপাড়ায় কুরিয়ার সাভির্সের কাভার্ডভ্যান পোড়ানো মামলায় ৩ আসামি গ্রেপ্তার।
উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃসিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ডভ্যান পোড়ানোর ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে জামায়াত-বিএনপি’র ৩ প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ।
সোমবার রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৩ ডিসেম্বর রাতে বিএনপি ও সমমনা দলের ডাকা অবরোধের নবম দফার প্রথম রাতে উল্লাপাড়া উপজেলার নবগ্রাম এলাকায় করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের একটি কাভার্ডভ্যান পুড়িয়ে দেয় দুবৃত্তরা।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেসবিফিং এ গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, নাশকতা যেই করুক তাকে আইনের আওতায় আনা হবেই। এ ঘটনায় করতোয়া কুরিয়ার সাভির্সের কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
মামলার প্রেক্ষিতে ৩ নাশকতাকারীকে গ্রেফতার করেছে মডেল থানা পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদেরকেও খুব শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
কাভার্ড ভ্যানে অগ্নিসংযোগ সন্দেহে গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার ইসলামপুর ভূতগাছা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে ফরমান আলী (৩৮), একই গ্রামের মৃত খোয়াজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ মকদুম আলী(৪৫), উপজেলার বড় মনোহরা গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে নুর মোহাম্মদ (২৫)।
উল্লাপাড়া মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার রুহুল আমিন জানান, কাভার্ডভ্যান পোড়ানো মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ৩ আসামিকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
-
মাধবপুরে একাধিক পুলিশি মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ।
নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক সেলুন কর্মচারীকে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক ধরে থানায় এনে মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এক এসআই এর বিরুদ্ধে।এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী লস্কর আলী।তিনি ঢাকায় সেলুন কর্মচারী হিসাবে কাজ করেন।কিছুদিন আগে স্ত্রীর সিজারিয়ান অপারেশন করানোর প্রয়োজনে বাড়ি এসেছেন।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১ টায় মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের দক্ষিন বেজুড়ার লস্কর আলী নামে এক ব্যক্তি নতুন বাড়ি থেকে পুরাতন বাড়িতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে তার বন্ধু একই গ্রামের শাহীন মিয়ার সাথে দেখা হয়।দুই বন্ধুর আলাপের মধ্যেই হঠাৎ মাধবপুর থানার একটি পুলিশ ভ্যান এসে থামে।ভ্যান থেকে নেমে এসআই আবু রায়হান দেশের অবস্থা ভালো নয় জানিয়ে এতো রাতে তারা রাস্তায় কি করছে জানতে চান।এসময় লস্কর আলী জানান, নিজের গ্রামে বন্ধুর সাথে কথা বলার সাথে দেশের অবস্থার সম্পর্ক কি?ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই আবু রায়হান অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন।এসময় সাথে থাকা ভ্যানচালক কনস্টেবল মোঃ আলমগীর দুজনের দেহ তল্লাশী শুরু করে পকেটে থাকা সাড়ে ২১ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে এসআই আবু রায়হানের হাতে দেন।এসআই রায়হান লস্কর আলী ও শাহীন মিয়াকে জোরপূর্বক টেনেহিঁচড়ে ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে যান।তাদের মোবাইল কেড়ে নেন।থানায় নেওয়ার পর হেরোইন ও গাঁজার মামলায় কোর্টে চালান করার ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন রায়হান।চাহিদা মতো টাকা দিলে তাদের ‘নরমাল’ মামলায় পুলিশ ফরোয়ার্ডিং দিয়ে কোর্টে চালান দেওয়ার আশ্বাস দেন রায়হান। এতো টাকা দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই জানালে শেষ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকায় নামেন এসআই আবু রায়হান।পরদিন (২৬ নভেম্বর) সকালে লস্কর আলীর ভাই শওকত মিয়া একই গ্রামের বাসিন্দা অলিদ মিয়াকে ঘটনা জানালে অলিদ মিয়া এসআই রায়হানের সাথে কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানান।উপায়ান্তর না দেখে ধারদেনা করে ৫০ হাজার টাকা অলিদ মিয়ার হাতে তুলে দেন লস্কর আলীর ভাই শওকত মিয়া। ওই দিন (২৬ নভেম্বর)লস্কর আলী ও শাহীন মিয়াকে ১৫১ ধারায় কোর্টে চালান করে পুলিশ।ওইদিনই জামিন হয় তাদের।জামিন পাওয়ার পরদিন (২৭ নভেম্বর) ঘটনা উল্লেখ করে এসআই রায়হানের এমন কর্মকান্ডের প্রতিকার চেয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী লস্কর আলী।অলিদ মিয়া জানান,’ লস্কর আলীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে কারো সাথে আমার কোনো কথা হয়নি।এরকম কিছুই আমি জানি না।এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার এসআই আবু রায়হান জানান, ‘আমি লস্কর আলী ও অপর একজনকে বেজুড়া থেকে থানায় এনেছি ঠিকই তবে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ সঠিক নয়।ওসি রকিবুল ইসলাম খান জানান, এ রকম কিছু আমার জানা নেই তবে কেউ যদি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়ে থাকে তাহলে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে তদন্ত করে দেখবেন।ফোন রিসিভ না করায় হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলীর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। -
কমলগঞ্জে অপহরণ-ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামি গ্রেপ্তার।
নিজস্ব প্রতিবেদক, জালাল উদ্দিন। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির ১২ বছর বয়সি এক কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত রবিবার রাতে কর্ণফুলীর বন্দর কাফকো সেন্টার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেফতারকৃত, আলাল মিয়া (১৯) মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ গুলের হাওর গ্রাম এলাকার ছাবুল মিয়ার ছেলে।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আলাল মিয়া সপ্তম শ্রেণির (১২) কিশোরীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। একপর্যায়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে ওই কিশোরীকে তাদের বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। অপহরণের পর ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। একদিন পর ওই কিশোরীকে আলালের মামার বাড়ি থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে তার পরিবার। পরে তাকে জেলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।এদিকে ওই ঘটনায় অপহৃত কিশোরীর মা বাদী হয়ে গত ৭ অক্টোবর কমলগঞ্জ থানায় আলাল মিয়াকে প্রধান আসামি করে একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে, এরপর থেকে আলাল মিয়া আত্মগোপন করে। পরে আলাল চট্টগ্রামে অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে কর্ণফুলী থানার সেন্টার এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত রবিবার রাতে সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, র্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মোঃ নুরুল আবছার আমাদের জানিয়েছেন, অভিযান চালিয়ে আলাল মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলাল মিয়া ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাই তাঁকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমলগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেন। -
প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।এক প্রবাসীর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাধবপুর থানায় মামলা হয়েছে। রোববার (১৯ নভেম্বর) রাতে মামলাটি দায়ের করেছে ভিক্টিমের মা লিপি আক্তার৷ ভিক্টিম আহম্মদপুর গ্রামের আঞ্জব আলীর মেয়ে। তরুণীর বাবা ১২ থেকে ১৩ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় প্রবাসে আছেন। সূত্রে জানায়, রোববার বিকেলে ৩ টায় মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের নিজ বাড়ির বসতঘরের বারান্দায় ভিকটিম ওই প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে বসিয়ে রেখে তার মা বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে যান।এই সুযোগে পার্শ্ববর্তী বৈষ্টবপুর গ্রামের মরতুজ আলীর ছেলে লিয়াকত আলী (৫০) এসে মেয়েটিকে টেনেহিঁচড়ে বসতঘরের একটি বাথরুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।এসময় মেয়ের মা গোসল শেষে ফিরে এসে মেয়েকে বারান্দায় না দেখে ডাকাডাকি করতে থাকেন।একপর্যায়ে বাথরুম থেকে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনতে পেয়ে সেখানে ছুটে গেলে লিয়াকত দৌড়ে পালিয়ে গেছে। কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল কাদের জানান, ‘ওই মেয়েটি ঠিক মতো ঘুচিয়ে কথা বলতে পারে না।মাঝে মধ্যে একটুআধটু কথা বললেও মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না। লিয়াকত প্রায় সময়ই আঞ্জব আলীর বাড়িতে আসা যাওয়া করতো।মেয়েটি লিয়াকতকে দাদা ডাকতো।তিনি আরো জানান,‘আঞ্জব আলী দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। ৪ মাস আগে তার বড় ছেলে রুবেল মিয়া (২২) কে মালয়েশিয়াতে নিয়ে গেছেন।অপর ছেলে রানা মিয়া (১৮) রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন।ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। ঘটনার পর থেকে লিয়াকত পলাতক। ভিকটিমের নানা আব্দুল হাশিমের সাথে কথা হয় মাধবপুর থানার ডিউটি অফিসারের রুমে।তিনি জানান, ‘সরল মনে লিয়াকতকে আমরা বিশ্বাস করে ছিলাম।সে যে এমন দুঃশ্চরিত্র তা জানা ছিল না।এবিষয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুল ইসলাম খাঁন জানান, ‘তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।