Tag: মানুষ

  • কুলাউড়ায় বাঘের ভয়ে গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত।

    কুলাউড়ায় বাঘের ভয়ে গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত।

    নিউজ ডেস্কঃ কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে বাঘের ভয়ে ৪ গ্রামের সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত অবস্থায় বসবাস করছেন। সকালে মানুষের ওপর আক্রমণ করায় শিশুদের মক্তবের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে পড়েছে।

    একাধিকবার সংঘবদ্ধ হয়ে ওই বাঘের ওপর হামলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা। গত ক’দিন হলো উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের সাতরা, নাছনী, রাজাপুর ও পশ্চিম জালালাবাদ (সাত নম্বর) এলাকায় একটি (চিতা আকৃতির) বাঘ রাতের অবাধে বিচরণ করছে। মানুষের ছাগল, রাজহাঁস, মোরগ মেরে ফেলছে।

    বুধবার সকালে সাতরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাব্বি (১৪) ঘাস কাটতে বাড়ির পাশের জমিতে গেলে বাঘের আক্রমণের শিকার হয়। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে বাঘ তাদেরও ধাওয়া করে। ফলে বাঘ আতঙ্কে চোখের ঘুম হারাম হয়ে গেছে স্থানীয়দের।

  • তাড়াশে শেয়ালের অত্যাচারে মানুষ আতংকে।

    তাড়াশে শেয়ালের অত্যাচারে মানুষ আতংকে।

    শাহিনুর রহমান,তাড়াশ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শেয়ালের অত্যাচারে মানুষ আতংকে রয়েছে।  মহিলা সহ ২জন শিয়ালের কামড়ে আহত হয়েছেন।

    জানা গেছে, ১৩ অক্টোবর বুধবার উপজেলার ভায়াট গ্রামের সাবেক ইউ পি সদস্য মোঃ রওশন আলী (৫০) মঙ্গলবাড়ীয়া ভায়াট রাস্তায় কাজের জন্য বের হন। এমন সময় রাস্তার ধারের পুকুর পার থেকে ১টি শেয়াল এসে আক্রমন করে তার হাত,পা ও কোমড়ে কামড় দিয়ে চলে যায়।

    তার আত্নচিৎকারে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে । এর কিছুক্ষণ পরেই ভায়াট গ্রামের  মোছাঃ পলি খাতুন (৩৫) কে একই কায়দায় শেয়াল হাতে কামড় দেয় । তার চিৎকারে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে  উভয়কে তাড়াশ হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভ্যাকসিন ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। সম্মিলিত ভাবে অনেক চেষ্টার পর শেয়ালকে ওই এলাকাবাসীরা মেরে ফেলেন ।

    সান্তান গ্রামের মোঃ ইউনুস তাড়াশী জানান, রাস্তার ধারের সরকারী খাল দখল করে প্রচুর পুকুর খনন করা হয়েছে। ওই পুকুরের পাড়ে কলাগাছ সহ বিভিন্ন গাছ লাগিয়ে ঝোপ ঝারে পরিনত করেছে অবৈধ্য পুকুর খনন কারীরা। পুকুর পারের ঝোপঝারের মাঝে রয়েছে অসংখ্য শেয়াল। যা এখন পথচারীদের বিপদজনক হয়েছে।

  • লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ কোন ধর্মের মানুষ পছন্দ করেনা।

    লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ কোন ধর্মের মানুষ পছন্দ করেনা।

    সোহেল সোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ প্রতিটি ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে, শান্তির বার্তা শোনায়। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিষয়টি কোন ধর্মই সমর্থন করে না। এটি মানবতা বিরোধী অপরাধ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি একটি কাঙ্খিত বিষয়, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এ দেশে যে কোন মূল্যে বজায় রাখতে বদ্ধ পরিকরথ।

    বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক কর্মশালায় লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    লক্ষ্মীপুর জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়নাধীন এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
    অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নূর-এ-আলমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল্যাহ আল শাহিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আশিকুর রহমান।

    এসময় রাজনৈতিক,সামাজিক, বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধি,শিক্ষক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

  • লক্ষ্মীপুরে ‘স্বপ্নযাত্রা’ এ্যাম্বুলেন্স সেবা পাবেন চরাঞ্চলের মানুষ।

    লক্ষ্মীপুরে ‘স্বপ্নযাত্রা’ এ্যাম্বুলেন্স সেবা পাবেন চরাঞ্চলের মানুষ।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ‘আমার গ্রাম, আমার শহরথবাস্তবায়নে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ‘স্বপ্নযাত্রা’ নামে একটি এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে।এ্যাপস এর মাধ্যমে এ্যাম্বুলেন্সটির সেবা গ্রহণ করতে পারবে রামগতির চরবাদাম এলাকার বাসিন্দারা।

    জেলা প্রশাসন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় এবং এলজিএসপি-৩ কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নবাসীর জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় এ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।

    জানা গেছে, এলজিএসপি-৩ কর্মসূচীর আওতায় ১১ লাখ, স্থানীয় এমপির আড়াই লাখ, জেলা প্রশাসকের এক লাখ এবং বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতায় এ্যাম্বুলেন্সটি ২১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ক্রয় করা হয়েছে।

    চরবাদাম ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে যেকোন ব্যক্তি জরুরী প্রয়োজনে এ্যাপস এর মাধ্যমে সীমিত খরচে এ্যাম্বুলেন্সটির সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
    সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্বোধন করা হয়েছে।

    উপজেলার একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।

    এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নুর-এ আলম, রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন, রামগতি পৌরসভার মেয়র মেজবাহ উদ্দিন মেজু, রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোলাইমান, রামগতি উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ মুরাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ড.আশরাফ আলী চৌধুরী সারু।

    চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জসিমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাহিদ হোসেন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা ফারুক,চররমিজ ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহিদুল ইসলাম দিদার,রামগতি উপজেলা সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ বিনু ও সাধারণ সম্পাদক আমানত উল্যাহ সোহেল হোসেন আরজেএফ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক প্রমুখ।

  • নাগরপুরে বন্যার্ত মানুষের পাশে চেয়ারম্যান প্রার্থী রাশেদ।

    নাগরপুরে বন্যার্ত মানুষের পাশে চেয়ারম্যান প্রার্থী রাশেদ।

    আব্দুল্লাহ খিজির,স্টাফ রিপোর্টারঃ টাংগাইলের নাগরপুরে বানভাসি মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন গয়হাটা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও আসন্ন গয়হাটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী রাশেদুল ইসলাম রাশেদ।

    বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর), উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের বনগ্রাম গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২০০ পরিবারের মাঝে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাল বিতরণ করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী রাশেদ।

    এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেন, বলেন,বন্যার্তদের পাশে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার আছে।কেউ না খেয়ে থাকবে না।আজ আমি ব্যক্তিগতভাবে গয়হাটা ইউনিয়নের বন্যার্তদের মাঝে কিছু খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলাম ।মাননীয় সাংসদ আহসানুল ইসলাম টিটুর দিক নির্দেশনায় আমরা সব সময় বন্যার্তদের পাশে আছি।

    এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গয়হাটা ইউনিয়ন আ’লীগের সহ সভাপতি মোঃ মতিয়ার রহমান, সভাপতি( মহিলা) রেখা বেগম, ৪ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিদ সরকার, ৫নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি শাহদত হোসেন, ৬ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ইলিয়াস শাহ ও সাধরান সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সবুজ, ৭ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম সহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।

  • রিতা স্বামীর খোঁজে নীলফামারী থেকে উল্লাপাড়ায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ছে।

    রিতা স্বামীর খোঁজে নীলফামারী থেকে উল্লাপাড়ায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ছে।

    স্বামীর খোঁজে নীলফামারী থেকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় চলে এসেছে মোছাঃ রিতা খাতুন(৩০)।সে নীলফামারীর ডোমার থানার পাঙ্গা চৌপাতি গ্রামের হামিদুল ইসলামের মেয়ে। তার কোলে ৫ বছরের এক মেয়ে ও ৭ মাসের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।

    রিতা জানান ৭/৮ বছর আগে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পৌরশহরের ঝিকিড়া মহল্লার রবিউল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়। এ সুবাদে আমার কোলে দু’টি সন্তানের জন্ম হয়।

    সে আরো জানান ৮/৯ বছর আগে আমার স্বামী রবিউল ইসলাম কাজের সন্ধানে নীলফামারীর ডোমার শহরে আসে। কিছু দিন জামাই পিঠার ব্যবসা করে পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে মিস্ত্রির কাজ করে। এ সুবাদে ৫০,০০০/= পঞ্চাশ হাজার টাকার দেনমোহর ধার্য্য করে কাজী অফিসে নিয়ে পিতামাতা আমাকে তার সাথে বিয়ে দেয়। ঐ সময় তার ভোটার আইডি কার্ডে উল্লেখিত ঠিকানা লেখাছিলো। বিয়ের পর বাবার বাড়ি এলাকায় ভাড়া করা বাসায় স্বামীস্ত্রী বসবাস শুরু করি। ২য় সন্তান গর্ভে রেখে প্রায় বছর খানেক আগে ঢাকা শহরে কাজ করার কথা বলে, সেই যে চলে গেল,এ পর্যন্ত স্ত্রী সন্তানের খবর নেয়নি।আমি দরিদ্র পরিবারের মেয়ে,এতদিন হয়ে গেল ছেলে সন্তান নিয়ে কিভাবে খাইপরি তার খবর নিচ্ছে না।স্বামীর খোঁজ না পেয়ে নিরোপায় হয়ে উল্লেখিত ঠিকানায় চলে এসেছি।

    ঝিকিড়া মহল্লার একাধিক ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে রবিউল ইসলামের ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছি না।যার কাছে জানতে চাই সেই বলে এ নামের কাউকে চিনি না। মেয়েটি উপজেলা পোস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় বসে নিরব নিবৃত্তি কণ্ঠে দু’চোখের পানি ছেড়ে চাপা কান্না করছে।সে তার স্বামীর সন্ধান চায়।
    স্ত্রী রিতাঃ০১৭৯৬০৮৯৪৩৭,স্বামী রবিউলঃ ০১৭৩৪৪২৪৩৩৯ ও ০১৩১৭৮৪৭৬৩১,

  • ফুলবাড়ীতে প্রযুক্তির বাইরে থাকা মানুষকে করোনা টিকার ফ্রি রেজিস্ট্রেশন

    ফুলবাড়ীতে প্রযুক্তির বাইরে থাকা মানুষকে করোনা টিকার ফ্রি রেজিস্ট্রেশন

    একসাথে লড়ি, একসাথে বাঁচি এই স্লোগানকে সামনে রেখে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে প্রযুক্তির বাইরে থাকা সাধারণ মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন সেবার আওতায় আনতে বিনামূল্যে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করে দিচ্ছে শ্রমজীবী সুরক্ষা ও মানবিক সহায়তা তহবিল নামের সংগঠন।

    এতে সহযোগিতা করছেন বাংলাদেশ কম্পিউটার এন্ড ইন্টারনেট। একইসাথে তারা মাস্ক ব্যবহারসহ সরকারের ঘোষিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।

    ইতোমধ্যে তারা ফুলবাড়ী পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রতিটি গ্রামে প্রযুক্তির বাহিরে থাকা সাধারণ অবুঝ মানুষদের প্রতিদিনই রেজিস্ট্রেশন করে দিচ্ছেন। এই সেবা প্রয়োজনে গ্রাম এলাকায় প্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবিরা।

    ফ্রিতে টিকা রেজিষ্টেশন সেবা পাওয়া পৌর এলাকার শ্যামলী,শিরিন পারভিন, লালু, বারিক,নুরি আক্তারসহ আনেকেই বলছেন আমরা ইন্টারনেট সম্পর্কে খুব একটা বুঝিনা তারা আমাদের গ্রামে এসে এই সুবিধা দেয়ায় গ্রামের অনেক মানুষ সহজেই টিকা নিতে পারছে।

    শ্রমজীবী সুরক্ষা ও মানবিক সহায়তা তহবিল এর আহব্বায়ক সঞ্জিত প্রসাদ গুপ্ত এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার এন্ড ইন্টারনেট এর পরিচালক শহিদুল ইসলাম জানান,অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ছাড়া করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণের সুযোগ নেই। তাই সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    তারা বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি উপজেলায় এ পর্যন্ত যারাই টিকা গ্রহণ করেছেন তারা বেশিরভাগই সচ্ছল ও প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা রাখেন এমন মানুষ। কিন্তু প্রযুক্তির বাইরে থাকা মানুষদের এখনো স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। তাই আমরা এই সেবামূলক কার্যক্রম চালু রেখেছি।

    তারা আরো বলেন, আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার প্রযুক্তির বাহিরে থাকা মানুষদের এই সেবা দিচ্ছি। একইসাথে মাস্ক ব্যবহারের উপকারিতার কথা বলছি আমাদের স্বেচ্ছাসেবিরা স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে সবাইকে সচেতন করছেন।

    সরকার গ্রাম পর্যায়ে টিকার ব্যবস্থা করেছেন। তাই আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব এবং আমরা পৌর এলাকা থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে এই সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করব। আমরা পৃথকভাবে এই কার্যক্রম ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী পার্বতীপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলাতেও পরিচালনা করছি।

  • তাড়াশে কঠোর বিধিনিষেধে কর্মহীন ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ।

    তাড়াশে কঠোর বিধিনিষেধে কর্মহীন ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ‘কোভিড ১৯’র সরকারের ঈদ পরবর্তী কঠোর বিধিনিষেধে কর্মহীন হয়ে পরা ছিন্নমুল, ভিক্ষুক ও অসহায়, রিক্সা-ভ্যান- চালক, খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।

    ৩ আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুরে তাড়াশ সদর ইউনিয়নের শ্রী কৃষ্ণপুর  বাজারে ৮ম দিনের এ খাদ্য বিতরণ করা হয়। মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশ ব্যাপি কঠোর  লকডাউন থাকায় মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে পরেছেন ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তাঁর উপহার হিসেবে এই সকল মানুষদের পাশে রান্না করা খাদ্য বিতরণ করছেন ৬৪ সিরাজগঞ্জ -৩ (তাড়াশ-রায়গঞ্জ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ।

    জানা যায় গত ২৭ জুলাই  মঙ্গলবার থেকে তার আসনে  এই খাদ্য বিতরণ করছেন। ৮ম দিনে  ইউনিয়ন পর্যায়ে রান্না করা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তাড়াশ সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম, জাতীয় সংসদ সদস্যর ছোট ভাই মাকরশোন জহির উদ্দিন টেকনিক্যাল কলেজের  অধ্যক্ষ আবু সাইদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক জালাল উদ্দিন, উপজেলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় চারনেতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ সরকার,সাবেক ছাত্রনেতা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

    অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সদর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি বাবুল আকতার।

  • তাড়াশে লকডাউনে কর্মহীন ছিন্নমুল মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ।

    তাড়াশে লকডাউনে কর্মহীন ছিন্নমুল মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কোভিড ১৯’র কারনে  লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পরা ছিন্নমুল, ভিক্ষুক ও অসহায়, রিকসা-ভ্যান- চালক, খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। ২৮ জুলাই বুধবার দুপুরে তাড়াশ বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজ গেটে ২য় দিনের এ খাদ্য বিতরণ করা হয়।

    মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশ ব্যাপি কঠোর  লক ডাউন ঘোষনা দেওয়ায় মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তাঁর উপহার হিসেবে এই সকল মানুষদের পাশে দাড়িয়েছেন ৬৪ সিরাজগঞ্জ -৩ (তাড়াশ-রায়গঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ।

    জানা গেছে  গত ২৭ জুলাই  মঙ্গলবার দুপুরে ও ২শ জনকে এ খাদ্য দেওয়া হয়েছে। ২য় দিনে  রান্না করা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  উপজেলা পরিষদের  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম, উপজেলা মহিলা আওয়ামলিীগের সভাপতি মনোয়ারা খাতুন মিনি, তাড়াশ পৌর সভা আওয়ামীলীগের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক, বঙ্গবন্ধু জাতীয় চারনেতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ সরকার,সাবেক ছাত্রনেতা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আইবুর রহমান রাজন,সেক্রেটারী সিরাজুর ইসলাম ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা কর্মী বৃন্দ।

    এমপি প্রতিনিধি ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় চারনেতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ সরকার বলেন, যতদিন লক ডাউন থাকবে ততদিন  এই  আসনের ৬০০ জন মানুষকে একবেলা রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হবে। চাহিদা বেশী হলে আরো বেশী খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

  • উল্লাপাড়ায় ভ্রাম্যমাণ চালকলের কদর বেড়েছে, ঝুকে পড়েছে মানুষ।

    উল্লাপাড়ায় ভ্রাম্যমাণ চালকলের কদর বেড়েছে, ঝুকে পড়েছে মানুষ।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভ্রাম্যমাণ চালকলের কদর বেড়েছে স্বাস্রয় মুল্যে ধান ভাঙ্গানো যায় বলে গ্রামাঞ্চলের মানুষ ঝুকে পড়েছে। মানুষের কাছে দিন দিন ভ্রাম্যমাণ চালকল জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এতে কদর কমে যাচ্ছে স্থাপন করা রাইসমিলগুলোর।

    ভ্রাম্যমাণ চালকল মালিকরা ফোন করলেই কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৩৫-৪৫ টাকা মণ দরে ধান ভাঙ্গিয়ে দিচ্ছেন।এতে ভ্রাম্যমাণ চালকলের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কৃষকের এক দিকে যেমন স্বাস্রয় মূল্যে ধান ভাঙ্গাতে পারছে অন্য দিকে বেঁচে যাচ্ছে পরিবহনের খরচ।সব মিলে গ্রামাঞ্চলের কৃষক ভ্রাম্যমাণ চালকলের প্রতি ঝুকে পড়ছে।

    এ বিষয়ে উপজেলার রাঘববাড়িয়া গ্রামের মাওলানা হায়দার আলী জানান ভ্রাম্যমাণ চলকলে ধান ভাঙ্গাতে বেশি সুবিধা পেয়ে গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ ভ্রাম্যমাণ চালকলের অপেক্ষায় থাকে।রাইসমিলে গিয়ে ধান ভাঙ্গানোর জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়।এটাতে তা করতে হয় না।ফোন করলে চালকল মালিক যথা সময়ে বাড়িতে এসে ধান ভাঙ্গিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন।

    পশ্চিম বংকিরাট গ্রামের জাহানার বেগম জানান আগে ধান সিদ্ধ ও শুকানোর পর বস্তায় ভরে ভ্যান/ নৌকা যোগে রাইসমিলে পাঠাতাম ভাঙ্গানোর জন্য। সাথে দিতে হতো দুই/তিন জন লোক।এতে বেশি সময় ও পরিবহন খরচ লাগতো। এখন খোলায় বা বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ চালকলের মালিককে ফোন করা মাত্র এসে ধান ভাঙ্গিয়ে দিয়ে যায়।এ জন্য ভ্রাম্যমাণ চালকল মানুষের কাছে এতো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

    পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বেতকান্দি গ্রামের রুহুল আমিন জানান আগে ভ্যান যোগে সলপ স্টেশনের রাইসমিলে গিয়ে ধান ভাঙ্গিয়ে নিয়ে আসতাম।এতে এক দিকে যেমন সময় অপচয় ও পরিশ্রম বেশি হতো,তেমনি খরচের পরিমানটাও বেশি হতো। এখন গ্রামে গ্রামে কৃষকের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ চালকল ধান ভাঙ্গিয়ে দিয়ে যাচ্ছে।এতে খরচ ও পরিশ্রম কম হচ্ছে।প্রতিমণ ধান থেকে চাল বানাতে খরচ হচ্ছে ৩৫-৪৫ টাকা করে।চালের মানও ভালো হচ্ছে।এ জন্য কৃষক ভ্রাম্যমাণ চালকলের দিকে ঝুঁকে পরছে কৃষক।

    এ বিষয়ে কাজিপাড়া গ্রামের ভ্রাম্যমাণ চালকল মালিক আবু জাফর জানান নিজ গ্রাম ও প্রতিবেশী গ্রামে অনেক লোকজনের কাছে আমার মোবাইল নাম্বার দেয়া আছে। যে কোন লোকের ধান ভাঙ্গানোর প্রয়োজন হলে আমার মোবাইল নাম্বারে ফোন করে।তখন আমি আমার তিন চাকা বিশিষ্ট ভ্রাম্যমাণ চালকল নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে ধান ভাঙ্গিয়ে দিয়ে আসি।দুরত্ব বুঝে প্রতিমণ ধান ভাঙ্গানোর দাম নির্ধারন করা হয়।কাছে গেলে ৩৫ টাকা, দুরে গেলে ৪৫ টাকা মণ দরে ধান ভাঙ্গিয়ে দিয়ে আসি।প্রতিদিন গড়ে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। আমার ভ্রাম্যমাণ চালকলটিতে ৩২ হর্সের ইঞ্জিন ব্যবহার করেছি।এতে সুন্দর মানের পরিষ্কার চাল পাচ্ছে কৃষক। যার করনে ভ্রাম্যমাণ চালকলের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

    এ ব্যাপারে উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফিরোজ জানান, ভ্রাম্যমান চালকল এখন গ্রামীন জনপদের কৃষক পরিবারগুলোতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে কিছু বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। কৃষক পরিবারগুলো ধান ভাঙ্গানোর ঝামেলা অনেকটা মুক্ত হয়েছেন।