হবিগঞ্জের মাধবপুরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Tag: মাধবপুর
-
মাধবপুরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন ইউএনও।
মাধবপুরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন ইউএনও।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিকালে শাহজাহানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।উদ্বোধনী খেলায় চৌমুহনী ইনিয়ন পরিষদকে ৫ গোলে হারিয়ে নোয়াপাড়া ইউনিয়ন জয়লাভ করেন। একইদিনে দ্বিতীয় খেলায় বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ না করায় ধর্মঘর ইউনিয়ন পরিষদকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।উদ্বোধনী খেলায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ আলাউদ্দিন, চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ পারুল, চেয়ারম্যান সৈয়দ সোহেল, চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ, টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা সুকোমল রায়, প্রেসক্লাব সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, সাবেক সভাপতি রোকন উদ্দিন ও আইয়ূব খান প্রমুখ। -
মাধবপুরে চিকিৎসার অবহেলায় ৫ম শ্রেণির ছাত্র’র মৃত্যুর অভিযোগ।
মাধবপুরে চিকিৎসার অবহেলায় ৫ম শ্রেণির ছাত্র’র মৃত্যুর অভিযোগ।
মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া চা বাগান হাসপাতালের কম্পাউন্ডার অবহেলায় কিষান বুনার্জী (১১) নামের ৫ম শ্রেণির চাত্র’র মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চা বাগানের শ্রমিকরা ফুসে উঠেছে। শ্রমিকরা শুক্রবার কাজ বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেন। সন্ধ্যায় বাগান ব্যবস্থাপক, পঞ্চায়েত কমিটি ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি ৬৫ হাজার টাকার বিনিময়ে আপোষ করা হয়।
নোয়াপাড়া চা বাগানের ঋতু বুনার্জীর ছেলে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কিষান বুনার্জী কয়েকদিন ধরে কানের ব্যাথায় ভুগছিলেন। তখন ওই শিক্ষার্থীকে বাগানের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে হাসপাতালের কম্পাউন্ডার জাহাঙ্গীর আলম তাকে নাম মাত্র কিছু ঔষধ দেয়। এতে তার অবস্থার উন্নতি না হয়ে অবনতি ঘটে। শুক্রবার সকালে কিষানের অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে বাগানের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কম্পাউন্ডার কিষানকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।এই ঘটনা বাগানে ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে বাগান ব্যবস্থাপকের বাংলোর সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করে। সন্ধ্যায় নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. সোহেল , বাগান ব্যবস্থাপক , পঞ্চায়েত সভাপতি বসে কিষান এর পরিবার কে ৬৫ হাজার টাকা দেয়ার রায় দিয়ে বিষয়টি সমাধান করেন।নোয়াপাড়া চা বাগানের শ্রমিক সন্তোষ রেলির দাবি, একমাত্র চিকিৎসার অবহেলায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তাকে আগেই রেফার করলে উন্নত চিকিৎসা করা হলে ওই শিশুটির মৃত্যু হত না।বাগানের নারী শ্রমিক সুকুন্তলা গোয়ালা বলেন, বাগানের হাসপাতালে কোন চিকিৎসক নেই। কম্পাউন্ডার চিকিৎসা করেন। তার কাছে চিকিৎসার জন্য গেলে কয়েকটা ট্যাবলেট ধরিয়ে দেয়।বাগান হাসপাতালের কম্পাউন্ডার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ওই শিশুর যে রকম সমস্যা ছিল, সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রেফার করা হয়। হবিগঞ্জ নিয়ে গেলে শিশুটি মারা যায়। এখানে চিকিৎসার কোন অবহেলা হয়নি।এ ব্যাপারে নোয়াপাড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক ফকরুল ইসলাম ফরিদি জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিষয়টি শেষ করা হয়েছে। ৬৫ হাজার টাকা ওই পরিবারকে দেওয়া হবে।নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. সোহেল বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে বাগানের গিয়েছি। বাগান পঞ্চায়েত, শ্রমিক, বাগান কৃতপক্ষ বসে সমাধান করেছে। ওই পরিবার কে ৬৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে তাছাড়া ওই পরিবারের একজনকে বাগানে স্থায়ীভাবে চাকুরি দেওয়া হবে। -
মাধবপুরে রাতের আধারে সরকারি গাছ চুরি।
মাধবপুরে রাতের আধারে সরকারি গাছ চুরি।
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউ পি এর অন্তর্ভুক্ত ছাতিয়াইন -পিয়াইম- সাকুচাইল রাস্তায় রাতের অন্ধকারে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী জানায়,গত ঈদের আগের রাতের আধারে কে বা কারা প্রায় ৫ টি মুল্যবান গাছ কেটে নিয়ে যায়, সকালে তা দেখতে পেয়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবগত করে।এলাকাবাসী আরো জানায়, ছাতিয়াইন বাজারের কাছেই বেশ কয়েকটি করাত কল আছে, এতে গাছ চোর দের সুবিধা।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাতিয়াইন তদন্ত কেন্দ্রের আই,সি,আব্দুল কাইয়ুম জানান খবর পেয়ে আমরা গঠনাস্থল পরিদর্শন করি। এবং সন্দেহ ভাজন এলাকা তল্লাসি করে দফাদার দের এ ব্যাপারে জি,ডি করার পরামর্শ দেই। কিন্তু কোন জি ডি না করায় এখনো কোন পদক্ষেপ নিতে পারিনি।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাতিয়াইন ইউ পি এর চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদ বলেন, ইহা চোরদের কাজ, আমি এ ব্যাপারে মামলা করব। এত দিন হয়ে গেল মামলা করেন নি ক্যান? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের একটা মিটিং আছে, মিটিংয়ের পর পর ই মামলা করব।সরকারি গাছ চুরির বিষয়টি মাধবপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমাকে জানানো হয় নি, তবে সাথে সাথেই এলাকার চেয়ারম্যান এর জি ডি করার কথা। -
মাধবপুরে পৃথক মাদক বিরোধী অভিযানে গাঁজা ও প্রাইভেটকারসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার।
মাধবপুরে পৃথক মাদক বিরোধী অভিযানে গাঁজা ও প্রাইভেটকারসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার।
হবিগঞ্জের মাধবপুরে পুলিশের পৃথক দুইটি অভিযানে প্রাইভেট কার ও ২২ কেজি ৫’শ গ্রাম গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়েছে।
মাধবপুর থানার পুলিশের বিশেষ অভিযানে ০৩ মে রাত্রে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাশিমনগর পুলিশ ফাড়ির এসআই মোঃ ইসমাইল হোসেন ভুইয়া সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করিয়া উপজেলার ০২ নং চৌমুহনী ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রামস্থ ধর্মঘর টু মনতলা পাকা রাস্তার আব্দুল কাদির মীর এর রাইস মিল এর সামনে হইতে মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার ও ২০ কেজি গাঁজাসহ সাব্বির আহমেদ ফয়সাল {২৪} নামে একজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার করেন। সে সিলেট জেলা ওসমানীনগর উপজেলা ০১নং ওমরপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে শিবপুর গ্রামে মোঃ ফজলু মিয়া ছেলে।
অপর একটি অভিযানে ০৪ মে বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাধবপুর থানার এসআই অনিক চন্দ্র দেব সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করিয়া উপজেলার ০৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের অণ্তর্গত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রতনপুর সিএনজি ষ্ট্যান্ড হইতে ০২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ স্বপন সরকার (২৯),নামে এক জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে মাধবপুর উপজেলার ১০নং ছাতিয়াইন ইউনিয়নের ছাতিয়াইন দক্ষিন গ্রামের মৃত রমেশ সরকার ছেলে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক তিনি জানান গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে পৃথক পৃথক মামলা রুজু করতঃ গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার করেন। সে সিলেট জেলা ওসমানীনগর উপজেলা ০১নং ওমরপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে শিবপুর গ্রামে মোঃ ফজলু মিয়া ছেলে।
অপর একটি অভিযানে ০৪ মে বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাধবপুর থানার এসআই অনিক চন্দ্র দেব সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করিয়া উপজেলার ০৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের অণ্তর্গত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রতনপুর সিএনজি ষ্ট্যান্ড হইতে ০২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ স্বপন সরকার (২৯),নামে এক জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে মাধবপুর উপজেলার ১০নং ছাতিয়াইন ইউনিয়নের ছাতিয়াইন দক্ষিন গ্রামের মৃত রমেশ সরকার ছেলে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক তিনি জানান গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে পৃথক পৃথক মামলা রুজু করতঃ গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
-
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মাধবপুরে তীর সয়াবিন তেলের ডিলারকে জরিমানা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মাধবপুরে তীর সয়াবিন তেলের ডিলারকে জরিমানা।
১ মে রবিবার দুপুরে মাধবপুর বাজারে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন।
বাজারের সয়াবিন তেলের ডিলারের দোকানে তেল নেই, সেটা কেমন কথা হয়। লোকজন সয়াবিন তেল কিনতে গেলে দোকানদার বলছিলেন তেল নেই। খোলা তেল নিতে হবে। বোতলের চেয়ে খোলা তেলের দাম বেশি। এত বড় দোকানে তেল থাকবে না এটা ভোক্তাদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিল।পরে ভোক্তারাই জানতে পারেন ওই মুদি দোকানির গোডাউনে বিপুল পরিমাণ তেল মজুদ রয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন।পরে ওই মুদি দোকানির গোডাউন থেকে থেকে বের করা হয় বিপুল পরিমাণ তীর সয়াবিন তেলের কার্টুন।মেসার্স অজিত কুমার পাল নামে দোকানটির অবস্থান মাধবপুর বাজারে কালি মন্দির এলাকায়। ওই মুদি দোকান ও তীর সোয়াবিন তেলের ডিলার। তেল লুকিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করার অপরাধে দোকানটির মালিক অজিত কুমার পালকে কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ আইনে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মজুতকৃত তেল ভোক্তাদের কাছে বাজার মূল্য বিক্রি করার নির্দেশ দেন। এ ছাড়াও আরও একটি দোকানিকে ২০ হাজারটাকা জরিমানা করা হয় ও মেসার্স শংকর পাল, মেসার্স স্বপন রায়, সুনিল স্টোর,নিলয় স্টোর, রবীন্দ্র স্টোর ,কাজল ঠাকুরসহ বাজারে দোকানিদের বাজার মূল্য তেল বিক্রি করার নির্দেশ দেন ।উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন জানান, দোকানিরা তেল মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। জানতে পেরে আমরা মেসার্স অজিত কুমার পালের দোকানে গিয়ে দেখি বোতলজাত করা কোনো তেল নেই। পরে তার গুদামে গিয়ে প্রচুর পরিমাণ তেল পাওয়া যায়। তেল লুকিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করার অপরাধে দোকানের মালিককে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়াও আরও ১টি দোকানের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন, মাধবপুর থানার এসআই হুমায়ূন কবির নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলর পিন্টু পাঠান, কাউন্সিলর শেখ জহির সাংবাদিক আলমগীর কবির, নাহিদ মিয়াসহ প্রমূখ। -
মাধবপুরে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত তরুণী হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার।
মাধবপুরে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত তরুণী হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার।
চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত হবিগঞ্জের মাধবপুরে তরুণী হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামীকে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে সুমন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
গত ১৯ এপ্রিল মাধবপুর থানাধীন বাঘাসুরা ইউনিয়নের এক তরুনীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাম হাতের কবজিসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তরুনী কর্তৃক প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়া বখাটে যুবক ও তার বন্ধুরা। গুরুতর জখম প্রাপ্ত তরুনীকে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ০৬জনকে আসামী করে গত ২৫ এপ্রিল ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহার দাখিল করেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার ঝড় তুলে। এর প্রেক্ষিতে আসামিদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব-৯ তার গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত মামলার প্রধান আসামী মাহাবুবুর রহমান @ সুমন মিয়া (২২), পিতা- মারুফ মিয়া, গ্রাম- মানিকপুর (শাহজিবাজার), উপজেলা- মাধবপুর কে অদ্য ২৮ এপ্রিল ভোররাতে ০৪.৩০ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার বিবরণ ও আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মাহবুবুর রহমান@সুমন মিয়া ভিকটিমকে গত কয়েকমাস ধরে বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল এবং প্রেমে ব্যর্থ হয়ে একাধিকবার ভিকটিমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। সর্বশেষ গত ১৯ এপ্রিল রাত আনুমানিক ০৩.০০ ঘটিকায় ভিকটিম সেহেরি খাওয়ার জন্য বসতঘর থেকে বের হয়ে হাত মুখ ধোয়ার জন্য টিউবওয়েলের কাছে পানি আনতে যায়। এ সময় মাহবুবুর রহমান@সুমন মিয়া ভিকটিমকে ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় ভিকটিমের হাতের কব্জি এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাত করে। ভিকটিমের আত্ম চিৎকারে পরিবারের সদস্য ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী নিজের কৃতকর্মের বিষয়টি স্বীকার করে। ঘটনায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার ও অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ সহ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতারকৃত আসামীকে মাধবপুর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
-
মাধবপুরে গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার।
মাধবপুরে গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার।
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী এলাকায় থেকে ১০ কেজি গাঁজাসহ মোঃ হৃদয় মিয়া (২৪)নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) রাত্র ২২.৪৫ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাধবপুর থানার কাশিমনগর পুলিশ ফাড়ির এসআই মোঃ ইসমাইল হোসেন ভুইয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলার ০২ নং চৌমুহনী ইউ/পির উত্তর সমজদিপুর সাকিনস্থ জনৈক মোঃ আবু মিয়ার বসত বাড়ীতে তাহার উত্তর ভিটার দুচালা টিনের বসত ঘরের ভিতর হইতে ১০ (দশ) কেজি গাঁজা সহ মোঃ হৃদয় মিয়া (২৪),নামে একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার সক্ষম হয়েছে।গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলেঃ মোঃ হৃদয় মিয়া (২৪),মাধবপুর উপজেলার ৬নং শাহজাহানপুর ইউনিয়নের ভান্ডারোয়া গ্রামের মোঃ বেনু মিয়া পুত্র।এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান গ্রেফতারকৃত আসামীর সহযোগী অপর মাদক ব্যবসায়ী কৌশেলে পালাইয়া যায়। গ্রেফতারকৃত আসামী সহ পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হইতেছে।