Tag: বেলকুচি

  • বেলকুচি পৌরসভায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করলেন- মেয়র।

    বেলকুচি পৌরসভায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করলেন- মেয়র।

    সবুজ সরকার বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে বেলকুচি পৌরসভায় পবিত্র ঈদ উল আযাহা উপলক্ষে অসহায় দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মাঝে চাল বিতরণ করেন।

    ১৮ (জুলাই) রবিবার সকালেবেলকুচি পৌর সভার আয়োজনে ও দুযোর্গ ও ত্রান ব্যবস্থাপনা মন্ত্রাণালয় বাস্তরায়নে সোহাগপুর নূতন পাড়া আলহাজ সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয়ে মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণের উদ্ধেধন করেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বেলকুচি পৌরসভার প্যানেল মেয়র ইকবাল রানা, তদারকি কর্মকর্তা রানা পারভেজসহ পৌর সভার কর্মকর্তাগণ।

    বেলকুচির পৌর সভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদ উল আযাহা উপলক্ষে অসহায় দরিদ্র ৪ হাজার ৭ শত পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।

  • সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে নিখোঁজের তিনদিন পর লাশ উদ্ধার।

    সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে নিখোঁজের তিনদিন পর লাশ উদ্ধার।

    সিরাজগঞ্জ বেলকুচি পৌর এলাকার চন্দনগাঁতী গ্রামে নিখোঁজের তিনদিন পর বাড়ির পাশের ডোবা থেকে আব্দুর রশিদ (৪৫) নামের একজনের লাশ উদ্ধার করেছে বেলকুচি থানা পুলিশ।

    ১০ (জুলাই) শনিবার সকালে বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাতী বাঁশতলা গ্রামের রাস্তার পাশে ডোবা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।

    এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা আমারজমিন প্রতিবেদককে জানান, গত বধুবার ৭(জুলাই) আব্দুর রশিদ নামের এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়, নিখোঁজের পর থেকে স্বজনের সম্ভব্য সকল জায়গায় খোজাখুজি করে না পেয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বেলকুচি থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন। আজ সকালে আব্দুর রশিদের মরদেহ ডোবার মধ্যে পাওয়া যায়। পারিবারিক ভাবে জানা যায়, আব্দুর রশিদ মানসিক ও মৃগী রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

  • বেলকুচিতে বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও আনিসুর রহমান।

    বেলকুচিতে বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও আনিসুর রহমান।

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় কোভিড-১৯ প্রদুর্ভাব রোধে চলছে কঠোর লকডাউন।এর মধ্যে বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়।গোপন সূত্রে বল্যবিয়ের খবর পেয়ে ভূন্ডল করে বন্ধ করলেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনিসুর রহমান।

    সোমবার (৫ জুলাই) রাতে বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামে এক দশম শ্রেণির ছাত্রীর অনুষ্ঠান করে বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিলো, ঠিক সেই মুহুর্তে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউএনও আনিসুর রহমান তার সংগীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হলে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করতে সক্ষম হন। সেই সাথে জরিমানা ও মুচলেকা দিতে হয় কনের মা ও বরের পিতাকে। প্রত্যেকের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ।

    এ সময় বাল্যবিয়েটি বন্ধে সহযোগিতা করেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আনসার বাহিনীর সদস্যবৃন্দরা।

  • বেলকুচিতে নিখোঁজের পর প্রতিবন্ধী মেয়ের লাশ উদ্ধার, পরিবারের ধারনা পরিকল্পিত হত্যা।

    বেলকুচিতে নিখোঁজের পর প্রতিবন্ধী মেয়ের লাশ উদ্ধার, পরিবারের ধারনা পরিকল্পিত হত্যা।

    সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পরে বাক প্রতিবন্ধী আদিবা খাতুন (৫) নামের এক শিশুর লাশ বাড়ির অদূরে একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়।

    শনিবার ২৬ জুন সকালে পুলিশ ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে। নিহত আদিবা বেলকুচি পৌর এলাকার গাড়ামাসী গ্রামের হাফিজুর রহমানের মেয়ে। পরিবারের ধারনা পরিকল্পিত ভাবে আদিবাকে হত্যা করা হয়েছে।

    জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ১১ টার দিকে নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে বেলকুচি থানায় নিখোঁজের সাধারণ জিডি করেন জিডি নং-১০৩০। শনিবার সকালে স্থানীয়রা গাড়ামাসী গ্রামের আব্দুর রহমানের বাড়ি পিছিনে একটি ডোবার পানিতে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। উদ্ধার করার পর প্রাথমিক ভাবে আদিবার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।

    এ বিষয়ে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শেখ বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর শিশুটির মারা যাওয়ার কারন সম্পর্কে জানা যাবে।

  • বেলকুচিতে ব্র্যাকের উদ্যোগে অভিবাসন বিষয়ে উপজেলা কর্মশালা অনুষ্ঠিত।

    বেলকুচিতে ব্র্যাকের উদ্যোগে অভিবাসন বিষয়ে উপজেলা কর্মশালা অনুষ্ঠিত।

    বিশ্বের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের আয়োজনে জড়ুধষ উধহরংয এর আর্থিক সহযোগিতায়- সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে “নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ ফেরতদের- পুনরেকত্রীকরণ” বিষয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার (২৫ জুন)সকালে বেলকুচি উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে -উক্ত কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন, বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান।

    অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্যে রাখেন, বেলকুচি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইউসুফ আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রত্না খাতুন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত নুরে আলম প্রমুখ ।

    এসময় বেলকুচি প্রেস ক্লাব সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্যাণ প্রসাদ পাল, সমবায় কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম এবং বেলকুচি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

    ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সোশিও- ইকোনোমিক রিইন্টিগ্রেশন অব রিটার্নি মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স অব বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কর্মশালায় নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ ফেরদের-পুনরেকত্রীকরণ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ভুমিকা ও করনীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

    ৩ বছর মেয়াদী প্রকল্পটি ( জানুয়ারী, ২০২০ থেকে নভেম্বর,২০২২) সিরাজগঞ্জ জেলার ৪ টি উপজেলাসহ বাংলাদেশের অভিবাসন প্রবণ ১০ টি জেলার ৪০ টি উপজেলায় বাস্তবায়ন হচ্ছে।

    প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের মনোসামাজিক কাউন্সেলিং, প্রয়োজনীয় রেফারেল সার্ভিস প্রদান, অর্থনৈতিক পুনরেকত্রীকরণ সহায়তাসহ নিরাপদ অভিবাসনে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সুশাসন নিশ্চিত করণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে ।

    ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের অনুপ্রেরনা -২ প্রকল্পের কাউন্সেলর মো:শাহরিয়ার কালাম বসুনিয়া এর সঞ্চালানায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ব্র্যাক ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর মোঃ রইসউদ্দিন এবং পাওয়ার পয়েন্ট এর মাধ্যমে কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর মোঃ আঃ মাজেদ। কর্মশালায় অভিবাসনের সাথে সম্পৃক্ত সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ‘বিদেশ ফেরত অভিবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্যগন উপস্থিত থেকে মূল্যবান মতামত প্রদান করেন।

    দেশের অগ্রগতি, উন্নয়ন ধারা অব্যহত রাখতে উপস্থিত সকলে নিরাপদ অভিবাসন ও রেমিটেন্স যোদ্ধাদের জন্য সহযোগিতার বিষয়ে একমত পোষন করেন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলার অনুপ্রেরনা-২ প্রকল্পের ফিল্ড অর্গানাইজার মোকাররম হোসেন, প্রত্যাশা প্রকল্পের জুয়েল রানা এবং স্বেচছাসেবক মনির হোসেন।

    কর্মশালায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আনিসুর রহমান বলেন ব্র্যাক ২০০৬ সাল থেকে অভিবাসন নিয়ে কাজ করে আসছে। বিমান বন্দরে বিদেশ ফেরতদের জরুরী সহায়তা কার্যক্রম প্রসংশা পাওয়ার মত। তিনি বলেন- আরো নিরাপদ অভিবান নিশ্চিত করা গেলে বিদেশ ফেরতদের টেকসই পুনরেকত্রীকরণ সম্ভব। তিনি ভাষা শিক্ষা এবং দক্ষতামুলক প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্ব প্রদান করেন। করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ বিদেশ ফেরতদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আহবান জানান। তিনি বলেন করোনায় দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখে চলছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স। তাদের প্রতি আমারদের অনেক করনীয় আছে।

  • বেলকুচিতে মাদ্রসা বন্ধ করে মার্কেট নির্মাণ, ভাড়ার টাকা আ’লীগ নেতার পকেটে।

    বেলকুচিতে মাদ্রসা বন্ধ করে মার্কেট নির্মাণ, ভাড়ার টাকা আ’লীগ নেতার পকেটে।

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ব্রিটিশ আমলের একটি কওমি মাদ্রাসা বন্ধ করে মার্কেট নির্মাণ ও এর ভাড়ার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে রাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ আকন্দের বিরুদ্ধে।

    স্থানীয়রা বলছেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সাত বছর ধরে মাদ্রাসা ও সরকারি জায়গায় মার্কেট বানিয়ে ভাড়া তুলছেন গোলাম আকন্দ।

    তারা আরোও জানান, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার প্রবেশদ্বার সমেশপুর বাজারে ব্রিটিশ আমলে সরকারি জায়গায় সমেশপুর দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর হাজী আজগড় আলী নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি মাদ্রাসার পাশে থাকা তার ২০ শতক জায়গা দান করেন।

    এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় এলাকাবাসী আরও ৪৫ শতক জায়গা এই মাদ্রাসাকে দান করেন। মাদ্রাসার উন্নয়ন আর খরচ জোগাতে বেলকুচি-কড্ডার মোড় আঞ্চলিক সড়কের সঙ্গে ১২টি দোকান করে ভাড়া দেয় মাদ্রাসা কমিটি। ধীরে ধীরে মাদ্রাসার লেখাপড়ার মান ভালো হলে বাড়তে থাকে ছাত্রসংখ্যা।একটি টিনেরচালা ঘরে মাদ্রাসার চার জন শিক্ষক প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে পড়াতে ও আবাসিক সুবিধা দিতে সমস্যার মুখে পড়েন।

    এর সমাধানের কথা বলে হাজী আজগড় আলীর দান করা ২০ শতক জায়গার ওপর একটি তিনতলা মাদ্রাসার ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান এবং সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ আকন্দ।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদ্রাসার নামে থাকা ৪৫ ডিসিমাল জায়গা ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করে কাজ শুরু করেন ওই দুই নেতা। এরই মধ্যে সরকারিভাবে ও স্থানীয়দের অনুদান মেলে আরও ২৮ লাখ টাকা। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে এই ভবনটি নির্মাণের কথা বলে সাময়িকভাবে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয় কমিটি।

    তারা বলছেন, মাদ্রাসা ভবনের নিচতলা নির্মাণ শেষ হলে সেখানে শ্রেণিকক্ষ না বানিয়ে মার্কেট হিসেবে ২৮টি দোকান করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ভাড়া দেন মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ আকন্দ।

    সমেশপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ছোটবেলায় এই মাদ্রাসায় মক্তব পড়েছি। উন্নয়নের কথা বলে নেতারা মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়ে মার্কেট বানিয়ে প্রতিমাসে ভাড়া তুলে ভাগ বাটোয়ারা করে খাচ্ছে। অথচ মাদ্রাসা চালু করছে না। স্থানীয় এমপির মদদে তারা এসব অপকর্ম করতে পারছে।থ

    রাজাপুর গ্রামের আক্তার হোসেন বলেন, ‘মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে ভিক্ষা করে টাকা তুলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান করে সওয়াবের আশায় আর এরা প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তি করে মার্কেট নির্মাণ করে মাদ্রাসার নামে প্রকল্প এনে লুটেপুটে খাচ্ছে। এরা মারা গেলে কবরে কী জবাব দেবে? আমরা দ্রুত এই মাদ্রাসা চালু দেখতে চাই।থ

    মাদ্রাসা মার্কেটের দোকানদার সঞ্জয় সাহা প্রতিবেদকে বলেন, ‘সমেশপুর দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসা নেই, তবুও মার্কেটের দোকানের অ্যাডভান্স ও সব ভাড়া নেন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোহাম্মদ আকন্দ। আমি প্রতিমাসে আড়াই হাজার টাকা ভাড়া দেই আর অ্যাডভান্স দিয়েছি দুই লাখ টাকা।

    আরেক দোকানদার সামাদ ভুঁইয়া বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়ে এসেছি, তবুও নেতাকে ভাড়া দিতে হয় প্রতি মাসে। আমার কাছ থেকে দুইবার মাদ্রাসার ঘর নির্মাণের কথা বলে দেড় লাখ টাকা অ্যাডভান্স নিয়েছে। আমরা এখানে অসহায়। ব্যবসা-বাণিজ্য করে খাই, তাদের সাথে ঝগড়া করে তো এখানে থাকতে পারব না। তাই তাদের কথামতোই চলতে হয়।থ

    মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য আব্দুল হাকিম প্রতিবেদকে বলেন, ‘এই মাদ্রাসা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে একবারও কমিটি নিয়ে কোনো মিটিং করেনি। পরে আমরা কমিটির সাথে তিন বার মিটিং করার জন্য সাধারণ সভা করি। এতে কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ আকন্দ উপস্থিত হননি।

    তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসা ভবন নির্মাণের আয়-ব্যয় সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনা। সে এখন মাদ্রাসা চালু করবে কিনা তাও জানিনা। কারণ সে আমাদের কমিটি থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে।মার্কেটের টাকা আত্মসাৎ নিয়ে সংবাদ প্রচার করলে অনেক খারাপ পরিণতি হবে বলেও হুমকি দেন সাংবাদিককে।

    অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, রাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ আকন্দ প্রতিবেদকে বলেন, ‘আমিই খাচ্ছি সকল টাকা, তাতে কী? মার্কেটের দোতালায় মাদ্রাসা নির্মান করা হবে সময় হলে। এমপি কিছু টিআর বরাদ্দ দিয়েছে। বাকি টাকা হলে কাজ শেষ করে মাদ্রাসা চালু করা হবে।থ

    তিনি বলেন, ‘আমি এই মাদ্রাসার মার্কেট নির্মাণ করতে গিয়ে অনেক টাকা ঋণ করেছি। ঋণ শোধ করে মার্কেটের দোতালায় যে পিলার দেখছেন সেখানে ছাদ করেই মাদ্রাসা চালু করব। আমাকে নিয়ে এসব লিখে-টিকে কিছুই করতে পারবেন না।

    রাজাপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দ প্রতিবেদকে বলেন, ‘মাদ্রাসা নেই তবুও সরকারি অনুদান ও মার্কেটের সকল টাকা আত্মসাৎ করছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ আকন্দ।

    তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছিনা। স্থানীয় এমপির ছত্রছায়ায় থাকায় তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো যা খুশি তাই করে বেড়াচ্ছে। আমি বারবার চেষ্ট করেও এই কমিটির কোনো মিটিং করাতে পারিনি।

    ‘তাই বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমরা চাই এই ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসাটি দ্রুত চালু হোক।থ

    বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ আব্দুল মমিন মণ্ডলকে তার মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।

    বেলকুচির সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রবিন বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি তাই ভালো করে জানিনা। তবে এলাকাবাসী ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের কিছু লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেছি। আমরা যৌথভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, ‘যদি মাদ্রাসা না থাকে তাহলে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়া হবে।

    বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনিছুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমি এখনও অবগত নই। সহকারী কমিশনারকে পাঠিয়ে তদন্ত করে দেখছি। ঘটনা সত্য হলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • বেলকুচিতে আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

    বেলকুচিতে আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২২জুন) সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে, এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সংসদ সদস্য (বেলকুচি চৌহালী) আলহাজ্ব আব্দুল মমিন মন্ডল।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল, পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা, সহকারী কমিশনার (ভুমি) রবিন শীষ, বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা, উপজেলা আথলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী দেলখোশ আলী প্রামানিক, প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব গাজী সাইদুর রহমান, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় বক্তারা বেলকুচি মুকুন্দগাঁতী যানজট নিরসন এবং উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ বিষয়য়ক আলোচনা হয়।

  • বেলকুচিতে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়ীতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ।

    বেলকুচিতে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়ীতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ।

    সিরাজগঞ্জ বেলকুচি দৌলতপুর ইউনিয়নে ক্ষিদ্রগোপরেখী গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গভীর রাতে বাড়ীতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। ১৩ জুন (রবিবার) রাতে মাহবুব আলম খানের বসত বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।এতে ঘরসহ ঘরের আসবার পত্রসহ প্রায় দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়।

    জানা গেছে, জমির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশি মালেকের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গভীর রাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা তারা ঘটাতে পারে বলে অভিযোগ মাহবুব আলম খানের পরিবারের।

    মামলা সূত্রে জানা যায়- উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ক্ষিদ্র গোপরেখী গ্রামে আমার পিতা মাতা নিয়ে বসবাস করছি। আমার বাড়ির উত্তর পার্শে প্রতিপক্ষের বাড়ি অবস্থিত। প্রতিপক্ষররা দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। ইতিপূর্বে প্রায় ২০/২৫ বার আমাদের বসত বাড়ীতে বিভিন্ন ঘরে মানুষের মল ঢিলায় এবং বসবাসের অনুপযোগী করে তোলে। আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের কে বিভিন্ন ভাবে মারপিট ও হত্যার হুমকি দেয়।

    আমি একা হওয়ার কারনে প্রতিপক্ষের সকল প্রকার অত্যাচার নিরবে সহ্য করে বসবাস করতে থাকি। কিন্তু গত ১৩ জুন রবিবার রাতে মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আঃমালেক খন্দকার (৫৫), আঃ মালেক খন্দকারের ছেলে রাজিব খন্দকার (২৫), মরিয়ম বেগম (৫০) দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালাইয়া উক্ত বেড়ায় আগুন ধরিয়ে দেয়।

    উক্ত আগুন লাগাইয়া দেয়ার ফলে দাউ দাউ করিয়া আগুন জলিয়া উঠে ঘরের ভিতরে রক্ষিত মালামাল সহ ঘর পুড়িয়া ভম্মিভুত হয়ে প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধিত হয়। আমার চিৎকারে আমার পিতা মাতা প্রতিবেশী এগিয়ে এসে দেখে আগুন নিয়ন্ত্রন করে। এ ঘটনায় মাহবুব আলম খান বাদী হয় ১৫ জুন কোর্টে মামলা দায়ের করেন।

  • বেলকুচিতে গৃহবধৃকে হত্যা,শ্বশুর প্রভাবশালী ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা।

    বেলকুচিতে গৃহবধৃকে হত্যা,শ্বশুর প্রভাবশালী ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা।

    সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলার নাগগাঁতী গ্রামের ফাতেমা (২২) নামের এক গৃহবধুকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শ্বশুর প্রভাবশালী হওয়ার কারনে ঘটনা ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে পরিবারের অভিযোগ। ১৯ জুন শনিবার সন্ধ্যার দিকে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানায় এই ঘটনা ঘটেছে।

    পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২ বছর আগে বেলকুচি উপজেলার নাগগাঁতী গ্রামের আজাদের মেয়ে ফাতেমা খাতুনের সাথে বেলকুচি উপজেলার তামাই করিয়ান পাড়া গ্রামের হাজী আবু তালেবের ছেলে ইয়াছিনের সাথে বিবাহ হয় এবং তাদের জীবনে ৯ মাসের একটা সন্তান রয়েছে। ইয়াসিনের বাড়ি তামাই গ্রামে হলেও তাদের পরিবার নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানায় বসবাস করেন।

    বিবাহের পর থেকেই স্বামী শ্বাশুড়ী পরিবারের প্রায় সকলে ওহেতুক মানসিক ও শারিরিক নির্যাতন করে আসছিলো ফাহেমা খাতুনকে। পরে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়িতে চলে আসে। বেশ কিছু দিন বাবার বাড়িতে থাকার পর গত শুক্রবার গ্রামে শালিশী বৈঠকের মাধ্যমে শ্বশুর বাড়ি পাঠানো হয়। এক দিন না যেতে জানতে পারে ফাতেমা আত্মহত্যা করেছে। রাতেই পরিবারের সদস্য নারায়ণগঞ্জ গেলে লাশ দেখে সন্দেহ হয় ফাতেমা খাতুন আত্মহত্যা করেনি তাকে হত্যা করা হয়েছে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

    ফাতেমার বাবা আজাদ জানান, আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি করছেন।

    এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান মুঠোফোনে প্রতিবেদকে জানান, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা সে ব্যাপারে এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে ঘটনায় থানা একটি ইউডি মামলা হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ২০ পরিবার পেলেন স্বপ্নের ঠিকানা।

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ২০ পরিবার পেলেন স্বপ্নের ঠিকানা।

    সবুজ সরকার বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সারাদেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মুজিবর্ষ উপলক্ষে ভুমিহীন গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমে ২য় পর্যায়ে ২০ টি ঘর বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় উপজেলার কনফারেন্স রুমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর বেলকুচি উপজেলার জমি ও গৃহহীন ২০টি পরিবারের মাঝে এই ঘর বিতরণ করা হয়।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল, বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রবিন শীষ প্রমূখ।