Tag: বাড়ি

  • পিলখান হত্যাকাণ্ডের ১৬ বছর পর বাড়ী ফিরবে রবিউল  অপেক্ষার প্রহর গুনছে পরিবার।

    পিলখান হত্যাকাণ্ডের ১৬ বছর পর বাড়ী ফিরবে রবিউল  অপেক্ষার প্রহর গুনছে পরিবার।

     (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১৬ বছর কারামুক্তি পাবেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রবিউল ইসলাম (৩৪)। গতকাল রোববার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ যে ২৫০ জন বিডিআর সদস্যকে খালাস দিয়েছে, তার মধ্যে একজন রবিউল ইসলাম।
    রবিউলের ভাই শাহাজাহান আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রবিউল ইসলাম উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের নেংটিহারা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। রবিউলের কারামুক্তির খবরে খুশি মা, ভাই পরিবার-আত্মীয়স্বজন এবং গ্রামের লোকজন। আগামী বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে শুক্রবার সকালে বাড়ীতে ফেরার কথা রয়েছে তার। ১৬ বছর তার ফেরার খবরে পরিবারের সাথে গ্রামের লোকজন তাকে একনজর দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন।
    সোমবার বিকালে রবিউলের বাড়ীতে গিয়ে জানা গেছে, এসএসসি পাশ করার পর চাকরি হয় রবিউলের। প্রশিক্ষণ শেষ করে যোগ দেন পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে। ২৬ দিনের মাথায় ঘটে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা। এরপর থেকে কারাগারে রবিউল। প্রথমে একটি মামলায় ৭ বছর সাজাভোগ করেছেন রবিউল। সাজা খেটে বের হওয়ার কিছুদিন পরে আবার বিস্ফোরক আইনের একটি মামরায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে।
    রবিউলের ভাই শাহাজাহান আলী জানান, চাকরি পাওয়ার পর বাবা ও মা খুব খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু এক মাস যেতে না যেতেই সব খুশি ম্লান হয়ে যায়। চাকরি করে উপার্জন করে রবিউল আমাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে সহযোগিতা করার কথা ছিল। কিন্তু তার উল্টো হয়েছে। রবিউল কারাগারে থাকা অবস্থায় তাকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা খাওয়া খরচ। কিছুদিন পর পর কাপড়-চোপড় কিনে দেওয়া, আদালতপাড়ায় অনেক খরচ করতে হয়েছে। তার পিছনে খরচ করতে করতে পুরো পরিবার প্রায় নি:স্ব।
    রবিউলের চাচা রেজাউল করিম জানান, ছেলের জন্য নানা দুশ্চিন্তায় অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিলেন রবিউলের বাবা আব্দুর রহমান। ফিরবে ফিরবে বলে অপেক্ষায় থাকতে থাকতে গত অক্টোবর মাসে মারা গেছেন। তার মা সালেহা খাতুন এখনও অসুস্থ, বোনের বাড়ীতে ঠাকুরগাঁও শহরে রেখে চিকিৎসা করাচ্ছেন। আজ যদি রবিউলের বাবা বেঁচে থাকতেন, রবিউলের বাড়ীর ফেরার খবরে সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন।
    রবিউলের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রবিউল আর ফিরবে না, এমনটা ধরে নিয়েছিল পুরো পরিবার। গত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ফলে রবিউল ফিরছে বাড়ীতে। ছোট সেই ছেলেটা এখন কত বড় হয়েছে, কেমন আছে। সেটা দেখার জন্য কবে ফিরবে, এমন খোঁজ খবর নিতে রবিউলের বাড়ীতে লোকজনের আসা যাওয়ার শুরু হয়েছে।
    রবিউলের দাদী জমেলা বেগম জানান, ‘ছুয়াডা কোন অপরাধে নি করে, তাহু ছুয়াডাক ১৬ বছর জেলত থাকিবা হইল। এতদিন বাড়ীত থাকিলে বেহা করিলেহে, ওয়ার বাপ-মা নাতি-পুতির মুখ দেখিবা পারিলেহে।’
    রবিউল ইসলামকে পুনরায় চাকরিতে পুনবর্হাল, একই সাথে দীর্ঘদিন বিনা অপরাধে কারাগারে থাকা এবং তার পেছনে খরচ করতে গিয়ে আর্থিক ভাবে যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি। তার ক্ষতিপুরণ সরকারের কাছে দাবি করেছেন রবিউলের ভাই শাহাজাহান আলী।
  • কালিয়াকৈরে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে জমি দখলের চেষ্টা।

    কালিয়াকৈরে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে জমি দখলের চেষ্টা।

    স্টাফ রিপোর্টারঃ
    গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় মধ্যপাড়া ইউনিয়নে সাকাশ্বর এলাকায় নুরুল ইসলামের নামে জোমেলা খাতুন ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা এবং জমি জবর দখল চেষ্টার  অভিযোগ পাওয়া গেছে।
    অভিযোগকারী জোমেলা খাতুন তার বক্তব্যে বলেন  খতিয়ান নং- এস.এ: ১৫৩ / আর.এস: ৩২, দাগ নং- এস.এ: ৩৯৫ / আর.এস: ৮১৬, জমির পরিমাণ ২৮ শতাংশ ইহার কাতে ১০ শতাংশ সম্পত্তি আমি সহ আমার তিন বোন পৈতৃক  সূত্রে মালিক হইয়া খাজনা খারিজ পরিশোধ করি। আমার জমিতে ঘর নির্মাণ বসবাস করে আসিতেছি। গত ১৯ জানুয়ারী রবিবার আনুমানিক সকাল ১১টার সময় মোঃ নুরুল ইসলাম, পিতা- মৃত: ইউনুস আলী  তার সন্ত্রাসী দলবল সহ আমার বসতবাড়িতে অতর্কিত হামলা করে, নুরুল ইসলাম ও তার পালিত সন্ত্রাসীরা আমাকে ও আমার দুই বোনকে মারধর করে। আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে আমাকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা চালায় ।
    জমেলা খাতুন বলেন, নুরুল  ইসলাম একজন মাদক কারবারি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ। সে আমার ১০ শতাংশ জমি জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । আমরা আমাদের জমিতে প্রবেশ করতে চাইলে সন্ত্রাসী বাহিনীদেরকে দিয়ে মারধর ও হত্যার হুমকি দেয় । জোমেলা খাতুন আরও বলেন, আমি বাড়ি থেকে কিছুদিন বেড়াতে গেলে গত ০৭ আগস্ট ২০২৪ইং রাতের আঁধারে আমার জমিতে জোরপূর্বক একটি ঘর তুলেন।
    এ ব্যাপারে জোমেলা খাতুন বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।  অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, তদন্ত করিয়া আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • দক্ষিণ লেবাননে কারফিউ জারি-বাড়ি ঘরে ফিরছে মানুষ।

    দক্ষিণ লেবাননে কারফিউ জারি-বাড়ি ঘরে ফিরছে মানুষ।

    আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ দক্ষিণ লেবাননে যুদ্ধ বিরতির পর কারফিউ জারি করা হয়েছে। এই সংবাদ ছড়িয়ে পরার সাথে সাথে লেবাননের বিভিন্ন অংশে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছে বাস্তুচ্যুত মানুষ। ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর লেবাননের বেসামরিক নাগরিকরা নিজেদের আশ্রয়স্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। এই চুক্তিকে নিজেদের বিজয় বলে উল্লেখ করেছে হিজবুল্লাহ। অপরদিকে ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, তাদের সেনারা সব সময় প্রস্তুত আছে।

    এদিকে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে রাত্রীকালীন কারফিউ জারি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। লিতানি নদীর আশেপাশে লোকজনকে চলাফেরার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত সেখানে চলাফেরা নিষিদ্ধ করা হয়।

    এর আগে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তিনি এ ঘোষণা দেন। লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি এই চুক্তিকে সমর্থন করেন।

    মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন নেতানিয়াহু। এ সময় চুক্তির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, উত্তর লেবাননের বাসিন্দারা এখন তাদের বাড়ি ফিরে যাবেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, হিজবুল্লাহ চুক্তি ভঙ্গ করলে ইসরায়েল ফের হামলা চালাবে।

    যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তগুলোর বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে অন্যতম শর্তের মধ্যে একটি হচ্ছে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ উভয়ই ৬০ দিনের জন্য দক্ষিণ লেবানন থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে।

    হিজবুল্লাহ সীমান্তের প্রায় ১৯ মাইল উত্তরে লিতানি নদীর উত্তরে থাকবে। দক্ষিণে তাদের কোনো অবস্থান থাকবে না। সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠী বলতে কেবল লেবাননের সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা অবস্থান করতে পারবেন। যুদ্ধবিরতির সময়কালের বিষয়ে নেতানিয়াহু বলেন, লেবাননে কী ঘটে তার ওপর নির্ভর করবে এর সময়।

    এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লেবানেনে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধের খবরকে স্বাগত জানায় তেহরান।

    এ বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যেও সংঘাত বাঁধে। এতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩ হাজার ৮২৩ জন নিহত এবং আরও ১৫ হাজার ৮৫৯ জন আহত হয়েছে।

     

  • স্বৈরাচারী হাসিনার আমলে বাড়িতে থাকতে পাড়ি নাই মতবিনিময় সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা।

    স্বৈরাচারী হাসিনার আমলে বাড়িতে থাকতে পাড়ি নাই মতবিনিময় সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বৈরাচারী হাসিনার ষোল বছর শ্বাসনালী আমলে চার-পাঁচ দিন বাড়িতে থাকতে পারিনি মতবিনিময় সভায় বলে কাঁদে ফেললেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী (হাজী মুজিব)। তিনি বলেন, হুমকি ধমকির কারণে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারিনি। পারিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের খোঁজ খবর নিতে। এখন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে সাংবাদিকসহ সকলের সাথে যোগাযোগে চেষ্টা হচ্ছে। দলীয় কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তিনি শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন। শুক্রবার ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ইং, বিকেলে পৌর এলাকার খুশালপুরস্থ হাজী মুজিবের নিজ বাসভবনে প্রিন্ট ও ইলেষ্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় ও এর আগে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রিন্ট ও ইলেষ্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
    মতবিনিময় সভায় আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী (হাজী মুজিব) আরও বলেন, গত ১৬ বছর স্থানীয় আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি আব্দুস শহীদে দ্বারা নির্যাতিত, নিপীড়িত হয়েছি। মামলা হামলার শিকার হয়েছি। আমাদের ইফতার পার্টির মঞ্চ ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাড়িতে এসে ঈদ করতে পারিনি। আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমার পরিচালিত স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ বাহিনী দ্বারা বিভিন্ন হয়রানি ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
    তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর এখন নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ এসেছে। তারুণ্যের অহংকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় দেশ তথা জনকল্যাণমুখী কাজে বিএনপি সোচ্চার রয়েছে। যে কোন অন্যায়-অবিচার দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে বিএনপি ও ছাত্র-জনতা।
    শ্রীমঙ্গলে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজু উদ্দিন তাজু, কমলগঞ্জ বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মোঃ দুরুদ আহমদ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন জারু, সাবেক পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব মোঃ মোচ্ছাবির আলী মুন্না-সহ প্রমুখ।
    সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে হাজী মুজিব আরও বলেন, বিদায়ী স্বৈরাচারী শাসক ডিজিটাল অ্যাক্ট আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের স্বাধীন মত প্রকাশে কণ্ঠরোধ করেছিল। নতুন বাংলাদেশে সাংবাদিকরা দেশ ও জনকল্যাণে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবেন এই প্রত্যাশা করছি। তিনি আগামীতে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলাকে দুর্নীতিমুক্ত ও আধুনিক উপজেলায় রূপান্তরের জন্য সকল সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
    কমলগঞ্জে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি নেতা দুরুদ আহমদ, মোঃ আবুল হোসেন, সাবেক মেয়র আবু ইব্রাহীম জমশেদ, পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান, উপজেলা যুবদল আহবায়ক মাহবুবুর রহমান, বিএনপি’র নেতা সোয়েব আহমদ, প্রত্যুষ ধর-সহ প্রমুখ।
  • মাধবপুরে শিক্ষকদের বেতন ভাতা বন্ধ রেখে তৈরি করা হচ্ছে বাড়ি।

    মাধবপুরে শিক্ষকদের বেতন ভাতা বন্ধ রেখে তৈরি করা হচ্ছে বাড়ি।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে শিক্ষকদের তিন মাসের বেতন ভাতা না দিয়ে বিলাসবহুল বাড়ি তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
    এ ব্যাপারে সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল এন্ড কলেজ এর পঁচিশ জন শিক্ষক ও কর্মচারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয় তহবিলের আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে গত তিন মাস যাবত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও বোনাস দেওয়া হচ্ছে না।
    অথচ বিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকা দিয়ে  এরচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ প্রধান শিক্ষকের জন্য বিলাসবহুল পাঁচ বেডরুম বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে কোন ধরনের টেন্ডার ছাড়াই। শ্রেণী শিক্ষকদের হিসাবমতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তারা শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বেতন বাবদ প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা আদায় করে বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা করেছেন।
    এছাড়াও ২০২৩ সালের বকেয়া আরও ছয় লাখ টাকা বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা করা হয়েছে। অথচ শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা না দিয়ে নিয়মবহির্ভূত ভাবে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ প্রধান শিক্ষকের বাসার নামে বিলাসবহুল প্রসাদ নির্মাণে ব্যাস্ত পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক।
    প্রধান শিক্ষক জানুয়ারি পর্যন্ত বেশিরভাগ শিক্ষকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে দাবি করলেও শিক্ষকরা তা অস্বীকার করেছেন। সরেজমিনে জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল এন্ড কলেজে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষকের জন্য ছয় কক্ষ ও দুই ওয়াশরুম  বিশিষ্ট একটি বাড়ির ছাদ ডালাইসহ আশি ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
    বিদ্যালয়ের ভেতর থেকে ইটের শুড়কি ট্রাক্টর দিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতির বাড়ির সামনে নিয়ে ফেলা হচ্ছে। এব্যাপারে জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল এন্ড কলেজ এর পরিচালনা কমিটির একাধিক সদস্যের সাথে যোগাযোগ করলে, তারা জানান, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক নিজেদের ইচ্ছেমতো স্কুল চালাচ্ছে। আমরা এই বিষয়ে কিছু জানি না।
    একজন সদস্য জানান, আমি কোন মিটিংয়ে যাই না। কারণ সেখানে গিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম দেখে মেজাজ ঠিক থাকে না। প্রধান শিক্ষক মো: নূরুল্লা ভূইয়া জানান, সরকারের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী যে খাতে আয় সে খাতে ব্যয় করতে হবে। যে কারণে তহবিল সংকটের কারণে বেতন ভাতা দেওয়া যাচ্ছে না।
    তবে জানুয়ারি পর্যন্ত বেতন পেয়েছে বেশিরভাগ শিক্ষক। সভাপতির বাড়ির সামনে ইটের সুরকি নিয়ে ফেলার বিষয়ে তিনি বলেন এগুলো কিছু স্কুলের মাঠে ফেলা ও অতিরিক্ত কিছু বিক্রি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
    সেই হিসেবে সভাপতি ক্রয় করে নিয়েছেন হয়তো। তবে কত টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন প্রধান শিক্ষক তা বলতে পারেন নাই তিনি। বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: নাসির উদ্দীন খান বলেন, শিক্ষকদের জানুয়ারি পর্যন্ত বেতন দেওয়া হয়েছে।তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
    স্কুলের ইটের সুরকি এক হাজার টাকা দিয়ে ট্রাক্টর ড্রাইভার এর নিকট থেকে ক্রয় করেছি। তবে বিক্রয়ের জন্য কোন রেজুলেশন করে কমিটির কোন সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি। প্রধান শিক্ষকের জন্য বাসভবন নির্মাণের জন্য কোন টেন্ডার হয়নি এবং কোন বাজেট হয়নি।
    একটি কমিটির মাধ্যমে যখন যা প্রয়োজন খরচ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। এমনকি ভবন নির্মাণে এখন পর্যন্ত কত খরচ হয়েছে তিনি বলতে পারেনি।
     উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম ফয়সাল জানান,” এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। একজন তদন্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • লক্ষীপুরে বাহুবলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন।

    লক্ষীপুরে বাহুবলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন।

    লক্ষীপুর প্রতিনিধি।

    লক্ষীপুর বাহুবলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা অনশন করতে এসে প্রেমিকের মায়ের নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

    ২৬ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার ৪নং চররুহিতা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে কাঞ্চনি বাজারের সাথে ছাগল পোড়া নতুন বাড়িতে আব্দুল গনির দ্বিতীয় মেয়ে হালিমা সাথে এ ঘটনাটি ঘটে।

    নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগি হালিমা আক্তার জানায়, বাড়ীর পাশের জাহাঙ্গীর ছেলে এসকাবেটর চালক সাকিল সাথে ৯ মাসের প্রেমের সম্পর্ক, সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন হোটেলে গিয়ে আমার সাথে দৈহিক সম্পর্কে গড়ায়।

    বিষয়টি জানাজানি হলে আমি তাকে বিয়ের চাপ দিলে সে আমাকে বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করে।পরে বাধ্য হয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে শাকিল বাড়িতে আসলে তার মা আমাকে মারধোর করে আমার মোবাইল ও ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

    ভুক্তভোগি মা সাহেরা জানান, আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন হোটেলে গিয়ে তার সাথে দৈহিক সম্পর্কে গড়ায়। আমরা গরীব মানুষ শাকিল এর সাথে আমার মেয়ের বিয়ে না হলে সে আত্নহত্যার ও হুমকি দেয়।

    শাকিল বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির বাহিরে দাড়িয়ে আছে প্রেমিকা। হাতে কাটাছেড়ার দাগ,এ সময় সে সাংবাদিকদের জানায় সে নবীগঞ্জ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী নির্যাতনের শিকার ভুক্তভো
    সাকিল তাকে বিয়ে না করলে সে আত্নহত্যারও হুমকি দেয়।

    এসময় অভিযুক্ত সাকিলের মা এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বাহার বলেন, বিষয়টি নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করেছি কিন্তু ব্যার্থ হয়েছি।

    লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, জরুরী ৯৯৯ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শাকিল কে গ্রেফতার করেছে সেই ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুইদিন শাকিলের নিজ বাড়িতে রেখেছে এ ব্যাপারে সুস্থ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • ইফতার কিনে বাড়ি ফেরা হলোনা স্কুল ছাত্র সামাদের।

    ইফতার কিনে বাড়ি ফেরা হলোনা স্কুল ছাত্র সামাদের।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে মহেন্দ্র গাড়ীর চাকায় পিষ্ট হয়ে সামাদ (১৩) নামে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
    সোমবার বিকেলে উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের শিহিপুর হলদিবাড়ি এলাকায় এ
    মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
    নিতহ সামাদ হলদিবাড়ি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ও সে হলদিবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ।
    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের হলদিবাড়ি এলাকার ইউপি সদস্য তুষার হোসেন।
    উপজেলার চৌরঙ্গী শ্রীপুর বাজার থেকে হলদিবাড়ি যাওয়ার পথে নির্মাণাধীন সড়কে মহেন্দ্র গাড়ীর চাকায় পিষ্ট  হয়ে সামাদের মৃত্যু হয়েছে।
    স্হানীয়রা জানান,বাজার করে নিয়ে ফেরার পথে একটি দ্রুতগামী মহেন্দ্র ট্রাক  তাকে ধাক্কা দিলে সে পাকা রাস্তার উপর পড়ে যাই এবং সেই মহেন্দ্র ট্রাক এর চাকার চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনা স্থলে  মৃত্যু হয়।
    জানা গেছে সাইকেল যোগে সামাদ পরিবারের জন্য ইফতার নিয়ে বাসায় ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।
  • রাণীশংকৈল টংকনাথ জমিদার বাড়ির সংস্কার কাজের উদ্বোধন:স্বস্তির হাসি মানুষের মুখে।

    রাণীশংকৈল টংকনাথ জমিদার বাড়ির সংস্কার কাজের উদ্বোধন:স্বস্তির হাসি মানুষের মুখে।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কুলিক নদীর পাশে অবস্থিত রাজা টংকনাথের জমিদার বাড়ি। অযত্ম-অবহেলা আর সংস্কারের অভাবে রাজবাড়িটি ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাদকসেবীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছিলো এটি। তবে সম্প্রতি জমিদার বাড়ি পরিদর্শন শেষে এর সংস্কার
    ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের শুভ উদ্বোধন
    করা হয়েছে।
    সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের সহকারী প্রত্নতাত্ত্বিক প্রকৌশলী মুরাদ হোসেন।
    সেইসঙ্গে এটিকে পর্যটন স্পট করার ঘোষণা দেন। এমন খবরে স্বস্তির হাসি ফুটেছে সর্বস্তরের মানুষের মুখে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ.লীগ সভাপতি সইদুল হক, পৌরমেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা, এ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান শুভ, প্রেস ক্লাব সভাপতি মোবারক আলী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা তামিম হোসেন প্রমুখ।
    ২০১৯ সালে গেজেট হওয়ার পরও রাজবাড়ির সংস্কারের কাজ শুরু না হওয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, এটি সরকারি গেজেটেড একটি স্থাপনা। এর মাধ্যমে সরকার আয় করতে পারেন। সংস্কার না হওয়ার কারণে এটি বিলীন হয়ে যাচ্ছিলো। আর এটি সংস্কারের পাশাপাশি একটি পর্যটন কেন্দ্র হলে বিনোদন মিলবে।
    তিনি আরও বলেন, গেজেটেড হওয়ার পর কাজ শুরু না হওয়ায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে রিট পিটিশন দায়ের করি। পরে ২৯/০৮/২০২২ তারিখে শুনানি হলে বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ ‘রাজবাড়ি কেন সংস্কার, সংরক্ষণ, মেরামত ও পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে না’ মর্মে আঞ্চলিক পরিচালক, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বগুড়াকে রুল এবং ডিরেকশন দেন। এই নির্দেশনার প্রেক্ষাপটে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর পরিদর্শন শেষে আজ জমিদার বাড়ির সংস্কার কাজের উদ্বোধন করা হল।
    হাইকোর্টের নির্দেশে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ জমিদার বাড়িটি প্রাথমিক সংস্কারের জন্য ১০ লাখ টাকা দরপত্র আহ্বান করেন। চুক্তি বদ্ধ হয়ে সংস্কারের কাজটি বাস্তবায়ন করছেন ঠিকাদার মেসার্স বকুল ট্রেডার্স।
    সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেহেদী হাসান শুভ বলেন, পুরোনো ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার চিন্তা থেকেই হাইকোর্টের নজরে জরাজীর্ণ রাজবাড়ীটির সংস্কারের বিষয়টি তোলা হয়েছিল।
    রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমার বয়স ৭০ বছরের বেশি। ছোটবেলা থেকে রাজবাড়িটি দেখে আসছি।  ধীরে ধীরে এটি ভঙ্গুর থেকে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। শুনলাম প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের লোকজন রাজবাড় কাজ শুরু করেছেন তারা। এটি জেনে খুব ভালো লাগছে।
    স্কুলশিক্ষক সাদেকুল ইসলাম বলেন, রাজবাড়ি সংস্কারের জন্য আমরা বার বার দাবি তুলেছি। মাদকসেবনের জন্য এটি একটি অন্যতম জায়গা হয়ে উঠেছিলো। অবশেষে একটি সুখবর পেলাম। আমরা এর সুবিধা না পেলেও পরবর্তী প্রজন্ম এর সুফল ভোগ করবে বলে আমরা আশা করছি।
  • লক্ষ্মীপুরে শ্রমিক লীগ নেতার বাড়ি থেকে যৌনকর্মীসহ গ্রেফতার-৫।

    লক্ষ্মীপুরে শ্রমিক লীগ নেতার বাড়ি থেকে যৌনকর্মীসহ গ্রেফতার-৫।

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ

    লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলার মনির আহমেদ মাহিন নামের এক শ্রমিক লীগ নেতার বসত বাড়ি থেকে যৌনকর্মীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    স্থানীয়দের অভিযোগ মনি তার বাসায় যৌন কর্মী রেখে দীর্ঘদিন যাবৎ যৌন ব্যবসা চালিয়ে আসছে। রবিবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে ৩ যৌনকর্মীকে উদ্ধার করেন।পরে মনিরসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

    লক্ষ্মীপুর কারাগারে পাঠানো শ্রমিক লীগ নেতা মনির আহম্মদ মহিন উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ও চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ খোকনের ছেলে।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে মোঃজামাল হোসেন,চাঁদপুর সদর উপজেলার গুণরাজদী গ্রামের মোঃ ইয়াছিন আলী খানের মেয়ে মোছাঃ সোনিয়া খাতুন মানহা, মাগুরার শালিখা উপজেলার পাচকাহুনিয়া গ্রামের মোঃ সবুর মোল্লার মেয়ে মোছাঃ সাথী খাতুন ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার নারায়ণগঞ্জ ওয়াবদাকুল এলাকার মৃত শফিকের মেয়ে মোছাঃ বৃষ্টি খাতুন।

    এজাহার সূত্রে জানা যায়, শ্রমিক লীগ নেতা মনির তার বাড়িতে যৌনকর্মী রেখে অসামাজিক কার্যকলাপ করিয়ে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ খবর পেয়ে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে কমলনগর থানার পুলিশ সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মনিরকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এরপর তার ঘরের দরজা খুলে নারী পুলিশের সহযোগিতায় ৩ যৌনকর্মীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার  করা হয়। পরে তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়।

    এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মনির দীর্ঘদিন যাবৎ বসত বাড়িতে যৌনকর্মী রেখে যৌন ব্যবসা করে আসছিল। এলাকার যুব সমাজকে তিনি ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

    কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃতহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমক,গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

  • বাড়ি আছে,রাস্তা নেই,চলাচলে দূর্ভোগ রাণীশংকৈলের আশ্রায়ণ বাসিন্দাদের।

    বাড়ি আছে,রাস্তা নেই,চলাচলে দূর্ভোগ রাণীশংকৈলের আশ্রায়ণ বাসিন্দাদের।

    সারিবদ্ধ গোছানো ঘরবাড়ী, বাড়ীর বাইরে বেধে রাখা আছে গরু ছাগল, বাড়ীর আশপাশে রয়েছে হাঁস মুরগী, আশ্রয়নের চারপাশে লাগানো রয়েছে বিভিন্ন সবজি ও ফলের গাছ।  সব ঠিকঠাক রয়েছে শুধু বাধা হয়ে দাড়িয়েছে বাড়ীগুলোতে চলাচলের মুল রাস্তার।

    চলাচলের রাস্তা নিয়ে বেশ সমস্যায় রয়েছে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ নয়ানপুর গ্রামের মঙ্গল হাজেরা দীঘি এলাকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।

    সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, মঙ্গল হাজেরা দীঘির পাড়ে দুই সারিতে নির্মাণ করা হয়েছে ১৯টি বাড়ী। বাড়ীগুলোতে রীতিমত বাসিন্দারা বসবাস করছে। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানকার বাসিন্দারা বেশিরভাগই দিনমজুর শ্রমিক ও ক্ষুঁদ্র ব্যবসায়ী। রুজি রোজগারের জন্য তাদের রিক্সা, ভ্যান নিয়ে প্রতিদিনিই বেড়িয়ে পড়তে হয়। কিন্তু আশ্রয়ণ এলাকা থেকে বের হতে তাদের বেশ বেগ পেতে হয়। প্রকল্পটির বাড়ীর জন্য কোন সংযোগ রাস্তা না থাকায় মানুষের জমির আইল দিয়ে চলাচল করতে হয়। ওই আইল বর্ষা বাদল হলে পানিতে মাঝে মাঝে ডুবে যায়। তখন চলাচলে খুবই সমস্যা হয় । অনেক সময় রিক্সা ভ্যান বের করা যায় না।

    আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, আশ্রয়ণ ঘর করে দিয়েছে প্রায় ৩ বছর হলো। কিন্তু সরকার এখানে চলাচলের রাস্তা দেয়নি। রাস্তার জন্য ইউএনও,
    এসিল্যান্ড, স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে একাধিকবার গিয়েও তাতে কোন লাভ হচ্ছে না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, কেউ অসুস্থ হলে তাকে কাধে করে প্রায় ৩০০ ফিট বয়ে নিয়ে তারপর রাস্তার উপরে তুলে গাড়ীতে নিতে হয়।

    মাহাবুবা আকতার বলেন, রাস্তার অভাবে চলাচলে সমস্যা ছেলে, মেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে মানুষের জমির উপর দিয়ে যায়। যখন ফসল ফলানো থাকে তখন জমির মালিকেরা চলাচলে বাধা দেয়। বর্তমানে পানির ড্রেনের আইলের উপর দিয়ে তাদের সকলকে অস্থায়ীভাবে চলাচল করতে হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

    ঝাল মুড়ি ব্যবসায়ী ফিরোজ মাহমুদ বলেন, রাস্তা না থাকায় বাড়ীতে ভ্যান আনতে পারি না। ভ্যানে কাচের সব জিনিস পত্র থাকে সামান্য আঘাত পেলেই ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বাজারেই অনিচ্ছা সত্বেও রেখে আসতে হয়।

    আরেক বাসিন্দা করিম উদ্দীন বলেন, একটি মানুষ মারা গেলে তাকে যে কবরস্থানে নিয়ে যাবো সেও রাস্তা নেই। রাস্তার জন্য এতবার উপজেলা প্রশাসনকে বললেও তারা দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

    ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা বলেন, রাস্তা না হলে বসবাস করা কষ্টকর। তাই সরকারের উচ্চ মহলের কাছে দাবী অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন তাদের রাস্তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

    জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ীগুলোর মুল রাস্তার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকেও চেষ্টা করা হচ্ছে। খুব শিশগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।