Tag: প্রার্থী

  • মান্দায় ভাঁরশো ইউনিয়নে নৌকা পেলেও কর্মী সংকটে সুমন।

    মান্দায় ভাঁরশো ইউনিয়নে নৌকা পেলেও কর্মী সংকটে সুমন।

    সারোয়ার হোসেন : নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলা ভাঁরশো ইউনিয়ন( ইউপি) নির্বাচনে নৌকা মনোনীত প্রার্থী ইউপি আ”লীগের সাধারন সম্পাদক বর্তমান জনবিচ্ছিন্ন চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান সুমনের নৌকা প্রতীক থাকলেও ওয়ার্ড পর্যায়ের তেমন নেতাকর্মীরা নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।

    এতে করে নৌকা ভরাডুবির আশংকা করছেন তৃনমূলের ভোটারেরা।
    জানা গেছে,তৃতীয় ধাপে আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভাঁরশো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ ইউপিতে নৌকার প্রার্থী সুমন ছাড়াও ইউপি আ”লীগের সভাপতি আলতাজ ঘোড়া এবং বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মোজাম্মেল আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
    ইউপির একাধিক নেতারা জানান, নৌকার প্রার্থী সুমন চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় নানা অনিয়ম দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি কার্ড বানিজ্য গরীবের চাল আত্মসাৎ করে ব্যাপক সমালোচিত তিনি।

    এমনকি শনিবার সকালের দিকে চৌবাড়িয়া বাজারে নৌকার নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভাঁরশো ইউপির নেতাকর্মীরা ছিলেন না বলে স্হানীয়রা নিশ্চিত। পার্শ্ববর্তী তেতুলিয়া ইউপি ও মান্দা উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন এনে বাজার ভরিয়ে দেন।যার কারনে বাজারের ব্যবসায়ীরা আতংকিত হয়ে পড়েন।

    সুমন চেয়ারম্যান একজন মাদক সেবি দুর্নীতি ও চাল চোর আখ্যা দিয়ে তাকে বর্জনের জন্য ইউপি ভোটারদের আহবান জানিয়েছেন ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা।

    স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা সুমন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন ভোটারদের ভয় দেখিয়ে বলছেন ভোট দিলেও পাশ না দিলেও পাশ। তার এসব কোথার কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না জনসাধারণ।

    তবে নৌকার প্রার্থী মুস্তাফিজুর রহমান সুমন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নৌকা দেওয়ার মালিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। নৌকার বিরুদ্ধে যাওয়া মানে দলের সাথে বিদ্রোহ করছেন। আসলে আমার জনপ্রিয়তা দেখে ভুলভাল কথা ভোটের মাঠে ছড়াচ্ছে। ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাজ জানান, বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে নৌকা পেয়েছে। তার সাথে ইউপির কোন নেতাকর্মী নেই বললেই চলে।আমাকে নেতাকর্মীদের চাপে ভোট করতে হচ্ছে। যেহেতু ধানের শীষ প্রতীক নেই। আর এসব নির্বাচন ব্যক্তি ইমেজে ভোট হয় বলে জানান তিনি।

  • ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন:প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্ধ।

    ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন:প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্ধ।

    মেহেদী হাসান,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে দিনাজপুর ফুলবাড়ী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং কর্মকর্তা প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্ধ দেন।

    উপজেলার এলুয়ারী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আব্দুস সালাম প্রামানিক পেয়েছেন (নৌক প্রতিক),স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা মো: নবিউল ইসলাম (আনারস), মো: মমতাজুল ইসলাম (মোটরসাইকেল)।

    আলাদীপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সুকান্ত সরকার শুভ(নৌকা),স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো: মোজাফ্ফর হোসেন সরকার (আনারস),মো: হাবিবুর রহমান (মোটরসাইকেল),মো: নাজমুস সাকিব বাবলু (চশমা)।

    কাজীহাল ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ মানিক রতন (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: মিজানুর রহমান (আনারস),মো:আশরাফুল ইসলাম(মোটরসাইকেল),মো: মিজানুর রহমান(ঘাড়া)।

    বেতদিঘী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান উপাধক্ষ শাহ মো: আব্দুল কুদ্দস (নৌকা),স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: আখেরুজ্জামান (আনারস),মো: মেজবাউল ইসলাম(ঘোড়া)।

    খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ এনামুল হক (নৌকা),স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো: আবু তাহের মন্ডল (ঘোড়া),মো: মোজাফ্ফর হোসেন চৌধুরী (মোটরসাইকেল), মো: এনামুল হক গুরু(চশমা),মো: মঞ্জুরুল হক (আনারস)।

    দৌলতপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল আজিজ মন্ডল (নৌকা),স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: সাইফুল ইসলাম (ঘোড়া),ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মো: শফিকুল ইসলাম(হাতপাখা)।
    ৭ নং শিবনগর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ মামুনুর রহমান চৌধুরী বিপ্লব (নৌকা) ,স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: ছামেদুল ইসলাম (মোটরসাইকেল),মো: হারুনুর রশিদ(ঘোড়া),মো: রফিকুল ইসলাম (আনারস)।

    এর আগে গত ২নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিল করেন উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৭জন,এলুয়ারী ইউনিয়নে সংরক্ষিত (মহিলা) ১৩জন,সাধারণ (পুরুষ) পদে ৩১জন,আলাদীপুর সংরক্ষিত মহিলা-১১জন,পুরুষ ৩৭জন,কাজীহাল সংরক্ষিত মহিলা-৯জন,পুরুষ-৩৮জন, বেতদিঘী সংরক্ষিত মহিলা-১১জন পুরুষ ২২জন,খয়েরবাড়ী সংরক্ষিত মহিলা -১৪জন পুরুষ-৩২জন, দৌলতপুর মহিলা ১০জন পুরুষ-২৫জন ও শিবনগর ইউনিয়নে মহিলা ১৯জন পুরুষ-৩৪জন প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ১১ই নভেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রত্যাহার করেন চেয়ারম্যান পদে একজন,সংরক্ষিত আসনে একজন ও সাধারন পদে পাঁচজন।

    তারা হলেন দৌলতপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন আক্তারা পারভিন,শিবনগর ইউপির সংরক্ষিত ৪৫৬ নং ওয়র্ডের শাহানাজ পারভিন,দৌলতপুর ইউপির সাধারণ পুরুষ পদে শাওন বাবু,এলুয়ারী ইউপির মাহাবুর ইসলাম,আলাদীপুর ইউপির মলিন চন্দ্র,কাজিহাল ইউপির আজগর আলী ও মফিজুর।
    উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং কর্মকর্তা মো: ওয়াজেদ আলী বলেন,নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে ফুলবাড়ী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৬৪টি ভোট কেন্দ্রে, ৩৫৮টি বুথে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

    সাতটি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ১৪ হাজার ২৮১জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৭ হাজার ৫৮৭ জন এবং মহিলা ভোটার ৫৬হাজার ৬৯৪জন।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ প্রার্থীর পরাজয়;বিদ্রোহীর কাছে সমালোচনার ঝড়।

    ঠাকুরগাঁওয়ে ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ প্রার্থীর পরাজয়;বিদ্রোহীর কাছে সমালোচনার ঝড়।

    আসাদুজ্জামান,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের একটি ইউনিয়নে আ’লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী ভোট পেয়েছেন মাত্র ২৪৮ টি। এখানে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় তালপার সৃষ্টি হয়েছে।

    জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যে দেখা গেছে, রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নে আ’লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী ডাঃ মোঃ হামিদুর রহমান ২৪৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন ৮৪১৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন।
    এ নিয়ে স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। নিজেদের মধ্যে কাদা ছিটাছিটির পরিস্থিতি লক্ষণীয়।

    জেলায় দ্বিতীয় দফা ভোটে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর ও রাণীশংকৈল উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে আ’লীগের মনোনীত প্রার্থী ছয়টি ও সতন্ত্র প্রার্থী ৫টিতে নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে হরিপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে আ’লীগ মনোনীত দুটি ও চারটিতেই সতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।

    উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নে গোলাম মোস্তফা ১১৬৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন সতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের কাছে। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬৭৩৮টি। যা বিপুল ভোটের ব্যবধান।

    এছাড়া রাণীশংকৈল উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের চারটিতে আ’লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা বিজয় অর্জন করেছেন। আর ওই উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নে আ’লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছে। জয়লাভ করেছেন একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী।

    উল্লেখ্য, এ দফায় জেলার হরিপুর ও রাণীশংকৈল উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫৫ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আ’লীগ ছাড়াও কয়েকটি ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাকের পার্টি অংশ নিলেও দলীয়ভাবে মাঠে ছিল না বিএনপি ও জাপার কোন প্রার্থী।

  • উল্লাপাড়ার বাঙ্গালা ইউনিয়নে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে মতবিনিময়,উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ।

    উল্লাপাড়ার বাঙ্গালা ইউনিয়নে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে মতবিনিময়,উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ।

    সাহেব আলী,উল্লাপাড়া থেকেঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় তৃতীয় ধাপের আসন্ন বাঙ্গালা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত এক সপ্তাহ ধরে ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রতাব, কুচিয়ামারা, ধরইল ও শিমলা মোড়দহসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত বাঙ্গালা ইউনিয়নের নৌকার মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ সোহেল রানা আগামী ২৮ নভেম্বর ২০২১ ইং তারিখে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করছেন।

    নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান পান্না, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল ও বাঙ্গালা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলামসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

  • উল্লাপাড়ার বাঙ্গালায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু হানিফের নির্বাচনী মাঠে গণ জোয়ার।

    উল্লাপাড়ার বাঙ্গালায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু হানিফের নির্বাচনী মাঠে গণ জোয়ার।

    রাজু আহমেদ সাহান,স্টাফ রিপোর্টারঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালা ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু হানিফের পক্ষে গণ জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার রাতে ইউনিয়নের চেংটিয়া গ্রামবাসির আয়োজনে এক উঠান বৈঠকে ভোটার, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের ঢল নামে। আয়োজিত উঠান বৈঠকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু হানিফ প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

    চেংটিয়া গ্রামের সাবেক আ’লীগ নেতা প্রবীণ শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে অন্যানোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমরেড শামসুল আলম, ইউপি সদস্য আছের আলী, আব্দুল মালেক, আব্দুস সাত্তার ও কামরুল হাসান প্রমুখ।

    উঠান বৈঠকে বক্তারা বলেন, আশির দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা, রাজপথের লড়াকু সৈনিক, প্রবীণ নেতা আবু হানিফকে ব্যাপক ভোটে বিজয়ী করে আগামীতে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় ইউনিয়নবাসি। কোন দুর্নীতিবাজকে আর এই চেয়ারে দেখতে চায় না তারা। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষের দরকার। হঠাও দুর্নীতি, জাগো বাঙালি এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জনতার মনোনীত প্রার্থী আবু হানিফকে ভোট দেওয়ার আহবান জানান বক্তারা। ইউনিয়নের সর্বত্র মাঠে-ময়দানে রয়েছে এই জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যাপক জন সমর্থন।

  • উল্লাপাড়ায় আ.লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, মামলা।

    উল্লাপাড়ায় আ.লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, মামলা।

    রাজু আহমেদ সাহান,স্টাফ রিপোর্টারঃ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আল আমিন সরকারের নির্বাচনী প্রচারণা ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত গয়হাট্টা কোনাগাঁতী স্বপ্ন চুড়া ক্লাব থেকে বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ। আল আমিন সরকার ওই ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ পরিদর্শক মোতাহার হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি একদল পুলিশ নিয়ে উক্ত স্বপ্ন চুড়া ক্লাবে অভিযান চালান। এসময় আল আমিন চেয়ারম্যানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য ওই ক্লাবে উপস্থিত ছিলেন।পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা সবই পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ক্লাবে ঢুকে ২টি রামদা, ১টি হাসুয়া ও ৪৮টি লাঠি সেখান থেকে উদ্ধার করে। উপপরিদর্শক আরো জানান, উদ্ধারকৃত এসব দেশীয় অস্ত্র নির্বাচনী প্রচারণায় সহিংসতা চালানোর জন্য ওই ক্লাবে আনা হয়েছিল বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ রয়েছে। তিনি বৃহস্পতিবার রাতেই চেয়ারম্যান প্রার্থী আল আমিন সরকারের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুল মমিন ভুইয়া, তাকমিদুর রহমান দুলাল, মনিরুজ্জামান মনি, আরিফ হোসেন, সুজন, বাবু, টুটুল, রাব্বিসহ প্রায় ২৫ জনের নামে উপ পরিদর্শক মোতাহার হোসেন বাদি হয়ে উল্লাপাড়ায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

    এ ব্যাপারে পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আল আমিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি স্বপ্ন চুড়া ক্লাবটি তার নির্বাচনী ক্যাম্প নয় বলে উল্লেখ করে জানান, এই ইউনিয়নে তার ব্যাপক জনসমর্থন থাকায় বিপক্ষ দল তাকে ফাঁসানোর জন্য এবং তার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য ওই ক্লাবে দেশীয় অস্ত্র রেখে পুলিশকে ফোন দিয়েছেন।

  • ছাতকে ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীর নৌকার প্রচারনায় মুক্তিযোদ্ধা-সন্তান।

    ছাতকে ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীর নৌকার প্রচারনায় মুক্তিযোদ্ধা-সন্তান।

    ছাতকে ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীর নৌকার প্রচারনায় মুক্তিযোদ্ধা-সন্তানরা

    ফজল উদ্দিন,ছাতক প্রতিনিধিঃ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাউয়া বাজার ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব নুরুল ইসলামের সমর্থনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা তার নির্বাচনী বিভিন্ন এলাকায় প্রচার প্রচারণা করেন।

    ৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব নুরুল ইসলামের পক্ষে ও নৌকার সমর্থনে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা জাউয়া বাজার ইউনিয়নের বিবিন্ন গ্রামে গিয়ে নৌকার প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ও ভোট প্রার্থনা করছেন।বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান,মামুন হোসেন সোহেল,সহসভাপতি ছাতক উপজেলা শাখা সন্তান কমান্ডের নেতৃত্বে, জাউয়া বাজার ইউনিয়ন সন্তান কমান্ড এর সভাপতি, কাওছার আহমেদ,সহ সভাপতি নুরুল আমিন,সাধারণ সম্পাদক, শাহাজান হোসেনের পরিচালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন,সেলিম আহমেদ,দুলাল মিয়া নুর উদ্দিন প্রমূখ।

  • ছাতক ভাতগাও ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিজয়ী।

    ছাতক ভাতগাও ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিজয়ী।

    ছাতক প্রতিনিধিঃ ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে । শান্তিপূর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী মাস্টার আওলাদ হোসেন বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

    চেয়ারম্যান পদে নৌকা মার্কায় ভোট পেয়েছেন ৫ হাজার ৩’শ ৪৭ টি। মাস্টার আওলাদ হোসেন তৃতীয় বারের মতো ভাতগাও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী লিকছন মিয়া, ঘোড়া মার্কায় পেয়েছেন ৩ হাজার ৮’শ ১৫ ভোট।

    উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে উবায়দুল হক শাহীন, টেলিফোন মার্কায় পেয়েছেন ২ হাজার ৪১ ভোট ও মোঃ কবির মিয়া,চশমা মার্কায় পেয়েছেন ১ হাজার ৭’শ ৯৯ ভোট।

    এ ইউনিয়নে সংরক্ষিত নারী আসনে ১০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৪’শ ৩৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ৪’শ ৯০ ও নারী ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ৯’শ ৪৭ জন।

    উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ ফয়েজুর রহমান জানান,ভাতগাঁও ইউনিয়নের নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

  • শাহজাদপুর উপ-নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মেরিনা জাহান কবিতা’র বিজয়।

    শাহজাদপুর উপ-নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মেরিনা জাহান কবিতা’র বিজয়।

     

    জহুরুল ইসলাম, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

    মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়া সিরাজগঞ্জ-৬ শাহজাদপুর আসনের উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার মনোনীত প্রার্থী প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা ১ লাখ ১০ হাজার ৪৫ ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তার প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ১০ হাজার ৫’শ ৮০। তার নিকটতম প্রতিন্দ›দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোক্তার হোসেন পেয়েছেন মাত্র ৫’শ ৩৫ ভোট। এ উপ-নির্বাচনের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মটরগাড়ি প্রতীকের এ্যাড. হুমায়ুন কবির পেয়েছেন ৩’শ ৪৩ ভোট। এদিন রাত শোয়া ৯ টার দিকে উপ-নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    এ দিন সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ১৬০টি ভোট কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণের শুরুর দিকে অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রেই ভোটারদের বেশ উপস্থিতি লক্ষ করা গেলেও বেলা বৃদ্ধির সাথে সাথে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের আগমনের হার তুলনামূলক কমে যায়। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্নের জন্য নিয়োগকৃত ৩ হাজার ৭’শ ৫৪ জনের পাশাপাশি নির্বাচনী আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৪ ম্যাজিস্ট্রেটসহ, পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও র‌্যাব-১২’র সসদস্যরা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেন।

    ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-৬ শাহজাদপুর আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২০ হাজার ৭’শ ৮০ জন । এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ১৫ হাজার ৩’শ ৪৩ জন ও মহিলা ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৫ হাজার ৪’শ ৩৭ জন।

    মোট ১৬০ টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫৭ টি কেন্দ্রকে ঝূঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হলেও শেষ পর্যন্ত কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে এ উপ-নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

    এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ-৬ শাহজাদপুর আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতার পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে বেশ খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা রয়েছে শাহজাদপুরে। একদিকে, প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফোকলোরবিদ, কবি, গবেষক, বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রয়াত প্রফেসর ড. মযহারুল ইসলামের মেয়ে।

    অন্যদিকে, তিনি এ আসনের দুই বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসের সফল আহবায়ক জননেতা চয়ন ইসলামের বোন। প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে সমাজ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

    শিক্ষা ক্যাডারে বিসিএস সম্পন্ন করে তিনি ৪ দশক সময়কাল বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা করেছেন । সর্বশেষে তিনি বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিষ্ঠার সাথে ৬ বছর দায়িত্ব পালন করেন । এরপর অবসরে যাওয়ার পর ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী পরিবারের সন্তান প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। পরপর দুইবার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য নির্বাচিত হবার পর থেকেই তিনি দলকে আরও শক্তিশালী করতে দেশব্যাপী সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে সফল নারী নেত্রী হিসেবে বেশ সুখ্যাতি অর্জন করেন।

    এ দিকে, সিরাজগঞ্জ-৬ শাহজাদপুর আসনের উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্র্থী প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হওয়ায় আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন মহল তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর এই আসনের সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তুরস্কে মারা গেলে এই আসন শুণ্য ঘোষণা করে ২ নভেম্বর উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করে তফশীল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

  • ইউপি নিবার্চনে উল্লাপাড়ায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর সংখ্যা ৬৯ আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ৩৩।

    ইউপি নিবার্চনে উল্লাপাড়ায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর সংখ্যা ৬৯ আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ৩৩।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চনে মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেবার শেষ দিনে উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে মোট ৬৯ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনিত ১৩ জন নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন ৩৩ জন।

    রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ৪ জন। এদের মধ্যে নৌকার প্রার্থী রয়েছেন রফিকুল ইসলাম হিরো ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন সাগর আলী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী রয়েছেন ইমরান হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন আমিরুল ইসলাম।

    বাঙ্গালা ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ জন। নৌকার প্রার্থী সোহেল রানা। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কেফায়েতুল্লাহ, আবু হানিফ, দেলোয়ার হোসেন খান, আব্দুল মতিন সওদাগার ও হুমায়ন কবির।

    উধুনিয়া ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জন। নৌকার প্রার্থী হলেন রেজাউল করিম বাচ্চু। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন রাশিদুল হাসান রাশেদ, আব্দুল জলিল প্রামানিক, আনিছুর রহমান সাহেব এবং জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থর রয়েছেন অধ্যক্ষ মনজিলুর রহমান।

    বড় পাঙ্গাশী ইউনিয়নের মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন নৌকার প্রার্থী হুমায়ন কবির লিটন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আবু বকর সিদ্দিক, জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছেন বকুল হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন, সুলতান শেখ সেলিম আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।

    মোহনপুর ইউনিয়নে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৬ জন। মোঃ আবুল কালাম আজাদ হলেন নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী। বাকিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন ইকবাল হোসেন, জাসদের প্রার্থী হলেন মনিরুজ্জামান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী হলেন সোহেল রানা ও বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন হাসান সাদেক মেহেদী এবং অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।

    দূগার্নগর ইউনিয়নে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৭জন। নৌকার প্রার্থী হলেন আফছার আলী। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন, বিপ্লব কুমার, মাসুদ রানা হায়দার, তারেকুল ইসলাম, সুব্রত কুমার চাকী (বাপ্পী) ও আলমগীর হোসাইন। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী আব্দুর রশিদ।

    পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ৪ জন। এদের মধ্যে রেজাইল ইসলাম তপন রয়েছেন নৌকার প্রার্থী। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন এসএম রাশেদুল হাসান, আল আমিন সরকার ও জিয়াউর রহমান।

    সলংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ৪ জন। এদের মধ্যে নৌকার প্রার্থী হলেন মোখলেছুর রহমান তালুকদার। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন মোক্তার হোসেন ও শফি কামাল এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী হলেন ফরহাদ আলী।

    হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ৬ জন। নৌকার প্রার্থী হলেন হেদায়েতুল আলম। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মাসুদ রানা, আরাফাত রহমান, আবু সাঈদ সরকার, বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন মজিদ খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহাজ উদ্দিন সরকার।

    উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ৪ জন। নৌকার প্রাথর্ী হলেন আব্দুস সালেক। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রাথর্ীদের মধ্যে রয়েছেন আলিমুজ্জামান অলক, আকমাল হোসেন ও রফিকুল ইসলাম রতন।

    পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ৮ জন। আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থী হলেন ফিরোজ উদ্দীন। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন এখানে আরিফুল ইসলাম লিটন ও নজরুল ইসলাম, বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম মিস্টার, আব্দুল মালেক, হায়দার আলী ও মনিজা মোমেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন টি এম শাহাদ হোসেন।

    সলপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ৬ জন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার শওকাত ওসমান। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হেলাল উদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া ও সুমাইয়া পারভীন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী সাদ হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শহিদুল ইসলাম।

    কয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন। নৌকার প্রার্থী হলেন হেলাল উদ্দীন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ রানা সুখন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী রয়েছেন মোঃ মোশরাফ হোসেন তালুকদার।

    উপজেলা নিবার্চন কর্মকর্তা মাসুদ রানা মনোনয়নপত্র জমাদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    উপজেলা আওমামী লীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে জানান, আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী যারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন তাদের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখের পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।