Tag: প্রার্থী

  • ভোটারদের দারে দারে মেম্বার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ।

    ভোটারদের দারে দারে মেম্বার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ।

    ফরিদুল ইসলাম ফরিদ,দেওয়ানগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধিঃ ৫ম ধাপ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। সে সুবাদে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে চলছে ভোট যুদ্ধ। ভোট যুদ্ধে বিজয়ী হতে প্রার্থীরা দৌড়ঝাপ শুরু করেছে ভোটারদের কাছে। ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদ প্রার্থী মোঃ আবুল কালাম আজাদ হারুয়াবাড়ী গ্রামের ৩০থেকে ৪০জন সমর্থক সাথে নিয়ে আজ ১৫ ডিসেম্বর ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলের কাছে দোয়া, ভোট ও সহযোগিতা চান। সকলে ঐক্য বদ্ধভাবে ভোট দিতে রাজি হন সাধারণ ভোটার গণ। কালাম এর সমর্থক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ বলেন- কালাম ভাইকে আমরা সবাই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবো ইনশাল্লাহ। আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সমর্থন ও সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠে নেমেছি, সত্যের পথে লড়াই করে যাচ্ছি, বিজয় আমাদের হবেই ইনশাল্লাহ।

    আঃ রশীদ বলেন- ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদে মেম্বার হতে হলে সৎ, শিক্ষিত ও যোগ্য ব্যক্তি হতে হবে, কালামের মধ্যে সব ধরণের যোগ্যতা রয়েছে। সে বিগত ৫-৭ বছর যাবৎ মানুষের নাগরিক সুবিধা গুলো জনগণের মাঝে এনে দিয়েছেন। তাই কালামের অন্য প্রার্থীর সাথে তুলনা নাই। আশা করি বিজয় আমাদের হবেই ইনশাল্লাহ।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভোটার বলেন, আমাদের পবিত্র ভোট যোগ্য ব্যক্তিকেই দেবো, অযোগ্য কাউকে ভোট দেবোনা। মেম্বার প্রার্থীর আবুল কালাম আজাদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন- আমি সাধারণ ভোটারদের দারে দারে গিয়ে ভোট চাচ্ছি, আমার বিশ্বাস এলাকাবাসী সৎ, শিক্ষিত ও যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে ইনশাল্লাহ।

  • উলিপুরে ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিয়ে আচারবিধ সম্পর্কে   আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সভা।

    উলিপুরে ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিয়ে আচারবিধ সম্পর্কে   আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সভা।

    রোকন মিয়া,উলিপুর(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে নিয়ে আচারবিধি সম্পর্কে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার(১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে উলিপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে আইন শৃঙ্খলা ও নির্বাচনি আচরণ-বিধি প্রতিপালন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, জেলা নির্বাচন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম রাকীব। এসময় উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইমতিয়াজ কবির, উপজেলা নির্বাচন অফিসার আহসান হাবীব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
    এসময় পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, নির্বাচনে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়ঁতারা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। নির্বাচনের দিন সকল কেন্দ্রে নিরাপত্তা জোড়দার করা হবে। ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।
  • ভূঞাপুরে সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়।

    ভূঞাপুরে সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়।

    ভূঞাপুরে সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

    কোরবান আলী তালুকদার: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ভূঞাপুর প্রেসক্লাবে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    গোবিন্দাসী ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন দুলাল হোসেন চকদার। তিনি জনগণের স্বার্থ রক্ষা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা এবং মন্দিরের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “মাদক ও সন্ত্রাস দমনে আমি সর্বদা সচেষ্ট থাকবো। বক্তব্য রাখেন ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহআলম প্রামাণিক, সহ-সভাপতি আব্দুল আলীম আকন্দ, সিরাজুল ইসলাম কিসলু, সাংবাদিক আতোয়ার রহমান তালুকদার মিন্টু প্রমুখ।

  • লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হাত পা কেটে দেওয়ার হুমিক।

    লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হাত পা কেটে দেওয়ার হুমিক।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক স্বতন্ত্র প্রার্থী। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুল ইসলাম জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দেন।

    চররমনী মোহনে ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আবু ইউসুফ ছৈয়াল। তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা, কর্মীদের মারধর ও তাদের বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে জালিয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম সরকার আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

    তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে নৌকার কর্মীরা আমার কর্মীদের মারধর করে পোষ্টার ছিনিয়ে নিয়েছে। একই দিন সন্ধ্যায় মাইকে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় নৌকার কর্মীরা আমার নির্বচানী মাইক ভাঙচুর করে। তারা আমার কর্মীদের হুমকি দেয়- ‘প্রচারণা চালালে হাত-পা কেটে দেওয়া হবে।

    এর আগে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দে আগে একটি নির্বাচনী জনসভায় প্রকাশ্যে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে হুমকি দেয়। নির্বাচনে তার ১৫-২০ লাখ টাকা খরচ হবে বিধায় বিনাভোটে চেয়ারম্যান হতে চেয়েছেন তিনি। তবে তার হুমকির পরেও ওই ইউনিয়নে আরও তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রদিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু ইউসুফ ছৈয়াল হত্যা, চাঁদাবাজি, নির্যাতনসহ বেশ কয়েকটি মামলা আসামী।

    মনিরুল ইসলাম নৌকা প্রতীকের ইউসুফ ছৈয়ালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আনারস প্রতীকের কর্মীরা নির্বাচনী পোষ্টার লাগানোর জন্য নৌকার প্রার্থী ইউসুফ ছৈয়ালের বাড়ির সামনে দিয়ে যাবার সময় ছৈয়ালের লোকজন তার কর্মীদের উপর আক্রমণ করে। এতে কয়েকজন কর্মী আহত হয়। এই সময় তাদের কাছে থাকা পোষ্টার, লিফলেট, ফেস্টুন ছিনতাই করে নেয় হামলাকারীরা। নৌকার কর্মীরা তাদের হুমকি দেয় এবং প্রচারণা চালানো থেকে সরে যেতে বলে।

    তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত ২ ডিসেম্বর ইউসুফ ছৈয়াল ইউনিয়নের মজুচৌধুরীর হাটে নির্বাচনী সভায় প্রকাশ্যে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলে। তার হুমকির কারণে আমার পক্ষে প্রচারণা চালানো সম্ভব নয়। আমি এবং আমার কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।

    অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আবু ইউসুফ ছৈয়াল বলেন, এলাকায় মনিরের কোন ভোট নেই। সে বিএনপি করে। ইউনিয়নের সব ভোট নৌকার। মনির ভোট করার জন্য মাঠে নামে নি, সে শুধু শুধু ঝামেলা সৃষ্টি করতে এসেছে। এর আগেও মনিরের পিতা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে সামান্য কয়েক ভোট পেয়েছে। এবারও আশাকরি মনির জামানত তুলতে পারবে না। তাই তার প্রচারণায় বাঁধা দেওয়া বা তাকে হুমকি দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা।

    এই ব্যাপারে চররমনী মোহন ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রির্টানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা সমবায় অফিসার দেবেশ কুমার সিংহ বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুল ইসলামের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত :গত ১ ডিসেম্বর নির্বাচনী এক সভায় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু ইউসুফ ছৈয়াল প্রতিপক্ষ ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী সালেহ আহম্মদকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে প্রকাশ্যে হুমকি দেন। এই হুমকির একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

    এসময় তিনি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে গেলে ভোট ছাড়াই তিনি চেয়ারম্যান হবেন। এতে তার ১৫-২০ লাখ টাকা বেঁচে যাবে। ওই টাকা এলাকার উন্নয়নে এবং মসজিদ মাদরাসায় দান করবেন।

    আর নির্বাচন থেকে সরে না গেলে তাদের সাথে শত্রুতা সৃষ্টি হবে বলে হুশিয়ারী দেন। এই ঘটনার পর গত ২ ডিসেম্বর ‘‘ভোট ছাড়াই চেয়ারম্যান হতে চান নৌকার প্রার্থী। আগামী ২৮ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নসহ ১৫ টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

  • এক ভোট পেলেও নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হবে-আবু সাঈদ।

    এক ভোট পেলেও নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হবে-আবু সাঈদ।

    আনোয়ার হোসেন আকাশ,রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেছেন,যাঁরা অন্য মার্কায় ভোট দিবেন,তাঁরা দয়া করে বাড়িতে থাকিয়েন। নৌকা মার্কায় যাঁরা ভোট দিতে চান, তাঁরা দয়া করে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে যাবেন।

    গতকাল বুধবার রাতে রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ধনতলাডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের এক নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।তার দেওয়া বক্তব্য মোঃ মাহিন ইসলাম নামের এক যুবক ফেসবুক লাইভে প্রচার করেন।

    আবু সাঈদ আরও বলেন,একটা ভোট পাইলেও ২০ নম্বর ইউনিয়নের নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বিজয়ী করব। এতে কী হয় দেখা যাবে। পিছাবার কোনো রাস্তা নাই। একদম খোলামেলা কথাবার্তা। একটা ভোট পাইলেও নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থীর গলায় বিজয় মালা পরাব।

    বক্তব্যের শেষের দিকে স্থানীয় আ’লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আবু সাঈদ বলেন,আপনারা সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আর বিএনপি যাঁরা করেন,উনাদের বলবেন,ইজ্জত বাঁচানোর স্বার্থে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নিজেকে যেন মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেন।

    এ বিষয়ে রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক বলেন,আ’লীগ প্রার্থীর লোকজন সর্বত্রই তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছেন। এতে তাঁরা আতঙ্কের মধ্যে আছেন। তিনি অভিযোগ করেন,গত ইউপি নির্বাচনে জয়লাভের পরও ফলাফল পাল্টে আ’লীগের বর্তমান প্রার্থীকে জয়ী দেখানো হয়েছিল। এবারের নির্বাচনেও তাঁরা সেই কাজটি করবে বলে শঙ্কায় আছি। নির্বাচনী সভায় আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন সব বক্তব্য,সেটারই ইঙ্গিত দেয়। বিষয়টি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

    পথসভায় দেওয়া বক্তৃতার বিষয়ে জানতে চাইলে রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মুঠোফোনে বলেন, ‘রুহিয়া উপজেলা বাস্তবায়ন হবে,এটা সবার চাওয়া। আমার অভিভাবক রমেশ চন্দ্র সেন (ঠাকুরগাঁও–১ আসনের সাংসদ) রুহিয়া উপজেলা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এবারের নির্বাচনে সব ইউপিতে নৌকা জয়লাভ করলে আমাদের দাবি জোরালো হয়। রুহিয়া উপজেলার দাবির পক্ষে এসব বলে ফেলেছি।

    ২৬ ডিসেম্বর রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে আ’লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচন করছেন অনিল কুমার সেন।

  • লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে একই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বামী-স্ত্রী ও মা-ছেলে।

    লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে একই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বামী-স্ত্রী ও মা-ছেলে।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ১৭নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ১১জন। এদের মধ্যে একই পরিবারের দুইজন করে চারজন রয়েছেন।

    তবে এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়াও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে আরও ৫জন। ফলে নির্বাচন নিয়ে সেখানে উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন। চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে এখানে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

    জানা গেছে, ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দেওয়া হয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল খালেক বাদলকে। নির্বাচনে তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তারও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।
    তিনি প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন ঢোল। নির্বাচনী মাঠে তাহমিনা নিজের ঢোল না পিটিয়ে স্বামীর প্রতীক নৌকাতে ভোট চাইছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

    তবে স্ত্রীকে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী দাবি করে নৌকা প্রতীকের আব্দুল খালেক বাদল বলেন, সবার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে প্রার্থী হওয়ার। সেজন্যই আমার ঘরেও প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী আছে।

    অন্যদিকে একই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাইফুল হাসান রনি। নৌকা প্রতীক চেয়ে পাননি তিনি।

    মঙ্গলবার দুপুর থেকে চশমা প্রতীকে প্রচারণা শুরু করেছেন। তিনি নিজেও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করেছেন তার মা মমতাজ বেগমকে। তার প্রতীক টেলিফোন। রনি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মরহুম মোসলেহ উদ্দিন মিজানের ছেলে। একই ঘরে দুই প্রার্থীর বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনী মাঠে অন্যান্য প্রার্থীদের মতো আমার মাও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। তিনি এখনো পর্যন্ত মাঠে আছেন। তবে শেষ পর্যন্ত আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকবেন কিনা- সেটা আরও পরে বলা যাবে।

    তিনি বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচনী মাঠে আমার অবস্থান ভালো। শেষ মুহূর্তে যদি ভালো থাকে তাহলে আমার মা আমাকে সমর্থন জানাবেন। আর যদি আমার মায়ের অবস্থান ভালো হয়, আমি তাকে সমর্থন জানাবো। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের বিপরীতে প্রভাব খাটানোর জন্য একই পরিবারের মধ্যে থেকে একাধিক প্রার্থী দেওয়া হয় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এদের ‘‘ডামি” প্রার্থী হিসেবেও মনে করেন স্থানীয়রা।

    অন্যদিকে এ ইউনিয়নে নৌকার বিপরীতে বিদ্রোহী প্রার্থীরা শক্ত অবস্থানে আছে। বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনি ও তার মা মমতাজ বেগম ছাড়াও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হালিম মাস্টার (মোটরসাইকেল), সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় শ্রমিক লীগের জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ (ঘোড়া), সাবেক সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেন বিপ্লব (আনারস), সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান ঢালী (রাজনীগন্ধা) স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন। এরা সবাই নৌকার মনোননয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।

    এই ছাড়া বিএনপিপন্থী শাহ মো. এমরান (অটোরিক্সা) ও জাহাঙ্গীর আলম (টেবিল ফ্যান) এবং ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মহিউদ্দিন (হাতপাখা) প্রার্থী হয়েছেন।

  • বোরহানউদ্দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ;আহত ২৫।

    বোরহানউদ্দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ;আহত ২৫।

    শতিয়াক আহমেদঃ আজ সকাল ১১ ঘটিকার সময় ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার ৩ নং দেউলা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাডভোকেট এ কে এম আসাদুজ্জামান বাবুলের কর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলায় ২৫ জন আহত হয় এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    এ্যাডভোকেট এ কে এম আসাদুজ্জামান বাবুল জানান – আমার সমর্থক ও কর্মীরা লিফলেট নিয়ে বেলা ১১ ঘটিকার সময় তালুকদার বাড়ীর দরজায় গেলেই চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাজাদা তালুকদারের কর্মীরা আমার কর্মীদের ওপর দেশীও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি মাইরধর করে ধাওয়া করেন।এই পর্যন্ত প্রায় ২৫ জনের মত আহত হয়েছে জানতে পেরেছি। অনেকেই এখন বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি আছে।

    এ সময় তিনি আরও জানান গতকাল সন্ধ্যার সময় আমি ও আমার কর্মীরা মজম বাজার লিফলেট বিতরণ করার সময় আমাদের কর্মীদের সাথে নৌকা প্রতিক সর্মথকরা মুখোমুখি হলে আমি একপর্যায়ে আমার কর্মীদেরকে নিয়ে শান্তিরহাটের দিকে চলে যাই। নৌকা প্রতীক প্রার্থী শাহাজাদা তালুকদার প্রতিমুহূর্ত আমার প্রচার প্রচারণায় বাধা প্রদান করে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বহিরাগত লোকজন দিয়ে আজকের হামলা পরিচালনা করে নৌকা প্রতীক প্রার্থী শাহাজাদা তালুকদার।

    নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাজাদা তালুকদার জানান -আমাদের এলাকার জালু নামে একজন লোক হঠাৎ স্ট্রোক করে মারাযান, কে বা কাহারা থানায় ফোন দিলে লাশ বোরহানউদ্দিন থানায় নিয়ে আসে। আমি এই খবর শুনে বোরহানউদ্দিন থানায় যাই যাতে লাশটি ময়নাতদন্ত না করে। তবে এই ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা আমি তো দেখেছি আসাদুজ্জামান বাবুল চেয়ারম্যানের কর্মীরা পোস্টার লাগায় ও প্রচার প্রচারণা করে বরং আমি তাদের দাপটে কিছুই করতে পারছিনা।

    বোরহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাচন অফিসার মোঃ শহিদুল্ল্যাহ জানান – আমাদের কাছে কোন লিখিত কোন অভিযোগ দায়ের করেনি মৌখিক ভাবে জানাইছে আমি শুনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই, এখন পুরো এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।

  • মাধবপুরে সর্বপ্রথম ইউপি’র নির্বাচনে মহিলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা-তুজ-জোহরা। 

    মাধবপুরে সর্বপ্রথম ইউপি’র নির্বাচনে মহিলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা-তুজ-জোহরা। 

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি:আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২১ এর পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে হবিগঞ্জের মাধবপুরে একমাত্র মহিলা প্রার্থী হিসেবে আ. লীগের নৌকা মনোনয়ন পেয়েছেন ফাতেমা-তুজ-জোহরা (রিনা)। তিনি উপজেলার ১০ নং ছাতিয়ান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ. লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
    ছাতিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত খায়রুল হোসাইন মনু’র সহধর্মিনী। ফাতেমা-তুজ-জোহরা রিনা বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ এর সদস্য। এর পূর্ব তিনি দুইবার মাধবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।সূত্রে আরো জানা যায় ইউপির পরিষদ নির্বাচনে মাধবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদে এর পূর্বে কোন মহিলা প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নি। ফাতেমা-তুজ-জোহরা রিনাই একমাত্র মহিলা প্রার্থী যিনি আ. লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ছাতিয়াইন ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন করবেন।
    এ ব্যাপারে ফাতেমা-তুজ-জোহরা রিনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি জানান ‘আলহামদুলিল্লাহ প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি মহান সৃষ্টি কর্তার প্রতি।আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমাকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মানবতার মা, বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার, বাংলাদেশ আ.লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
    আমাদের অভিবাবক মাননীয় মন্ত্রী আলহাজ্ব মাহবুব আলী এমপি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি ।হবিগঞ্জ জেলা আ.লীগ, উপজেলা আ.লীগ, ইউনিয়ন আ.লীগ নেতৃবৃন্দ সহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
    যেহেতু কেবল মাত্র ১ জনকেই মনোনীত করা হবে সেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সার্বিক বিবেচনায় আমাকে নৌকা প্রতিক দিয়ে দলের সকল স্তরের নেতা কর্মীগনকে নিয়ে ইউনিয়ন বাসীর সহযোগীতায় নির্বাচন করার জন্য দায়িত্ব অর্পন করেছেন।
    নৌকা প্রতীকটি বঙ্গবন্ধুর প্রতিক ,শেখ হাসিনার প্রতিক,আমাদের সকলের গর্বের প্রতীক।তাই আমি আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল স্তরের নেতা কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করি ।পাশাপাশি ইউনিয়ন বাসী সকলের দোয়া, আশির্বাদ ও সহযোগিতায় আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলে ছাতিয়াইন ইউনিয়ন পরিষদকে একটি মডেল ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ। আমার জন্য সকলে দোয়া করবেন।
  • লক্ষ্মীপুরের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে আ’লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর ভরাডুবি।

    লক্ষ্মীপুরের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে আ’লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর ভরাডুবি।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ উপজেলা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের বেশ কিছু হেভিওয়েট প্রার্থীর চরম ভরাডুবি হয়েছে।

    ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬ ইউনিয়েই নৌকার মনোনিত প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন। অবিশ্বস্যভাবে কয়েকটি ইউনিয়নে আওয়ামীগের ত্যাগি নেতারা হেরেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিকট। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১০টি ইউনিয়নের ৯৩টিট ভোট কেন্দ্রে উপস্থিতি ছিলো নজিরহীন।

    বিশেষ করে নারী ভোটাদের উপস্থিতি ছিলো চোখ পড়ার মতো। কয়েকটি ইউনিয়নে জাল ভোট, ভোটাদের কেন্দ্রে আসতে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ছাড়া বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘঁনার খবর পাওয়া যায়নি। এয়াড়া অস্ত্রসহ বেশ কয়েকজন ভোটের আগের রাত ও ভোটের দিনে অস্ত্রসহ গেস্খফতার হওয়ায় সাধারন ভোটাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসায় বেশিরভাগ ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছেন বলে জানান অনেকেই।

    দিন শেষে প্রকাশ্যে দিবালোকে নির্বাচনি সহিংসতায় ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের ইছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সজিব (২৬) নামের এক জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত সজিব রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও একই ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের মৃত- আব্দুস সাত্তারের ছেলে। নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী আমির হোসেন খানের আনারস মার্কার সমর্থক মাহবুব মিজি, মাসুদ লেনজাসহ একদল সন্ত্রাসী ব্যালট পেপার আলাদা করে জোরপূর্বক অবৈধভাবে সিল মারার চেষ্টা করলে ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সজিবের নেতৃত্বে নৌকার সমর্থকরা বাধা দেয়। ফলে দুইপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষের রূপ নেয়।

    নিদিষ্ট সময়ে ভোট গ্রহন শেষে গননা করা হয় ১০টি ইউনিয়নের ভোট। এতে বে-সরকারীভাবে ১নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রর্তীকে মোঃ নাসির উদ্দিন, ২নং নোয়াগাঁও ইউনিয়নে নৌকা প্রর্তীকে মোঃ সোহেল পাটওয়ারী, ৩নং ভাদুর ইউনিয়নে নৌকা প্রর্তীকে জাবেদ হোসেন ও ৭নং দরবেশপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রর্তীকে মোঃ মিজানুর রহমান। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যানরা হলেন ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নে আনারস প্রর্তীকে আমির হোসেন খান, ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নে মোটর সাইকেল প্রর্তীকে শামছুল ইসলাম সুমন, ৬নং লামচর ইউনিয়নে আনারস প্রর্তীকে ফয়েজ উল্যাহ জিসান পাটওয়ারী, ৮নং করপাড়া ইউনিয়ন ঘোড়া প্রর্তীকে জাহিদ মির্জা, ৯নং ভোলাকোট ইউনিয়ন চশমা প্রর্তীকে দেলোয়ার হোসেন দিলু ও ১০নং ভাটরা ইউনিয়ন আনারস প্রর্তীকে শামছুল আলম বুলবুল ।

  • বেলকুচিতে প্রাণনাশের হুমকি সহ নানা অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদের সংবাদ সম্মেলন।

    বেলকুচিতে প্রাণনাশের হুমকি সহ নানা অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদের সংবাদ সম্মেলন।

    আজিজুর রহমান মুন্না,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ আগামী ২৮ নভেম্বর -২০২১ তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার বড়ধূল ইউনিয়নের নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকিসহ নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সন্মেলন করেছেন বড়ধূল ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারস প্রতিক) ফরিদ আহম্মেদ।

    বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহাম্মেদের নিজ বাসভবনে তার প্রতিদ্বন্দী নৌকা মনোনিত প্রার্থী আছির উদ্দিন মোল্লা’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহম্মেদ (আনারস প্রতিক) বলেন, নির্বাচনী এলাকায় জনপ্রিয়তা দেখে ইর্ষান্বিত হয়ে আমার প্রতিদ্বন্ধী আছির উদ্দিন মোল্লা ও তার সহযোগীরা নির্বাচনী পথসভা ও গণসংযোগে বিভিন্ন ভাবে বাঁধা সৃষ্টি করছেন।

    তিনি আরও বলেন, আমার জনপ্রিয়তা দেখে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস নিয়ম না থাকলেও নৌকার নির্বাচনী জনসভা করছেন।

    এছাড়া বিভিন্নভাবে তিনি আমাকে প্রাণনাশের হুমকি নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। আমি এ বিষয়ে নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা,থানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।

    এসময় তিনি সংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনুরোধ করছি, আমার নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে যে সকল প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দূর করতে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। আর সেই সাথে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনী উপহার দেবেন বলে উল্লেখ করেন।
    এ বিষয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।