Tag: প্রতিবাদ

  • কানাইঘাটে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরোদ্ধে ধর্ষণ অভিযোগে প্রতিবাদ সভা।

    কানাইঘাটে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরোদ্ধে ধর্ষণ অভিযোগে প্রতিবাদ সভা।

    কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট দিঘীরপার ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার মাস্টার আনোয়ারুল হক চৌধুরী সহ তার ছেলে ও ভাতিজাদের বিরুদ্ধে সাজানো ধর্ষনের অভিযোগ দিয়ে হয়রানীর চেষ্টাসহ মানহানির প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্টিত হয়েছে।

    উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের উদ্যোগে গতকাল রবিবার দুপুর ১২টায় কানাইঘাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কামান্ডার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হেকিম শামিমের পরিচালনায় বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভায় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন মাস্টার আনোয়ারুল হক চৌধুরী এলাকার একজন প্রবীন মুরব্বী অবসর প্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও একজন সৎ বীর মুক্তিযোদ্ধা।

    তিনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডের ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন, পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাচাই কমিটির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। জমি জমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ নিয়ে তাঁরই বাড়ীর পারভীন বেমগ নামে একজন মহিলা ৭২ বছর বয়সী এ বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ তার ২ ছেলে ও ভাই-ভাতিজাদের নামে থানায় সাজানো ধর্ষণের অভিযোগ দিয়ে মামলা করতে চাইলে কানাইঘাট সার্কেল এ.এস.পি আব্দুল করিম ও থানার ওসি তাজুল ইসলাম পি.পি এম এলাকার সরজমিনে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণ পান।

    তার পর ও এই মহিলা এবং তার সাথে থাকা কুচক্রি মহল বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল হক চৌধুরী সহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর চেষ্টা করলে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগন ও তাদের সন্তানরা যে কোন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন।

    সেই সাথে প্রতিবাদ সভা থেকে এ সাজানো ধর্ষণের ঘটনার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানা পুলিশের প্রতি সভা থেকে আহব্বান জানানো হয়।

    প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য উপজেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সুবেদার আফতাব উদ্দিন, উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার নাজমুল হক, নজমুল হক, সাবেক ডেপুটি কামান্ডার খলিলুর রহমান, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার সামছুল হক সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডারগন। প্রতিবাদ সভা শেষে একটি মিলিছ শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সহ থানার সামনে প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসন চত্তরে গিয়ে শেষ হয়।

  • লক্ষ্মীপুরে করোনার সময় অতিরিক্ত আয়কর আদায় এর প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    লক্ষ্মীপুরে করোনার সময় অতিরিক্ত আয়কর আদায় এর প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় করোনার সময় অতিরিক্ত আয়কর আদায় এর প্রতিবাদে পৌরসভার আপামর জনসাধারন সতস্ফুর্তে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে। একদিকে করোনা মহামারি, আর অন্যদিকে পৌর নাগরিকদের মাথার উপর লাগামহীন আয়করের বোঝা। এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে লক্ষ্মীপুর পৌরসভাতে। গেল কয়েক অর্থ বছরে চেয়ে চলতি অর্থ বছরে কয়েকগুণ পৌরকর ধার্য্য করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পৌরসভার নাগরিকরা। অতিরিক্ত আয়করের প্রতিবাদে বুধবার (৮ সেপ্টম্বর) বেলা ১১টার দিকে তারা মানববন্ধন পালন করেছে।

    লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে শহরের উত্তর তেমুহনীতে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন ভুক্তভোগী পৌরবাসিন্দারা। এতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

    পৌর মেয়র আবু তাহের নিয়ম বহির্ভূতভাবে পৌরবাসীর ওপর সীমাহীন কর চাপিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।

    পৌর বাসিন্দারের দাবি, নাগরিক হিসেবে তারা পৌরসভা থেকে তেমন কোন সেবা পাচ্ছেন না। কিন্তু প্রতি বছর পৌর কর পরিশোধ করে আসছেন। তার উপর চলতি বছরে পৌরকর কয়েকগুন নির্ধারণ করা হয়েছে। যা তাদের সাধ্যের বাহিরে।
    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পূর্বের ১ হাজার ৫০০ টাকার করের স্থলে নতুন করে ৭৩ হাজার টাকার নোটিশ দিয়েছেন। ৭ হাজার টাকার করের স্থলে ১১ লাখ টাকার নোটিশ দিয়েছেন। ২০০ টাকার করের স্থলে ৩ হাজার টাকার নোটিশ দিয়েছেন।করোনাকালীন এ সময়ে করের এমন নোটিশ পৌরবাসীর কাছে পুরোই বোঝা ও হতাশাজনক।

    এক মেয়াদে একবার করারোপ করার কথা থাকলেও পৌর মেয়র নিয়ম বহির্ভূতভাবে তিনবার কর নির্ধারণ করেছেন। অবিলম্বে দ্রুত পৌর কর কমিয়ে পৌরবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার দাবি জানান বক্তারা।

    পৌরসভার বাসিন্দা হয়েও কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেনা জানিয়ে মাননবন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, পৌর এলাকার বেশিরভাগ সড়ক গর্তে ভরা। বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে থাকে। সুপেয় পানির লাইন থাকলেও নিয়মিত পানি পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরেও পানির বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে তাদের। পৌরসভার নিজস্ব ভবন ভেঙে সেখানে মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে, কিন্তু বিগত কয়েক বছর থেকে পৌরসভার কার্যক্রম অস্থায়ী কার্যালয়ে করা হচ্ছে। পৌরসভার নিজস্ব ভবন না থাকায় তারা হতাশা প্রকাশ করেছেন।

    জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস বলেন, আমাদের একটি সুন্দর পৌরভবন ছিল। কিন্তু পৌরমেয়র আবু তাহের ওই স্থানে আধুনিক বিপণিবিতান তৈরি করেছেন। এখন ওই মার্কেটে জুতা আর পরোটা বিক্রি হয়। মানুষ পৌরভবন খুঁজে পান না।

    জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া বলেন, জেলা পরিষদের প্যানেল মেয়র ফরিদা ইয়াসমিন লিকার বাড়ির ট্যাক্স এক হাজার টাকা ছিল। তাকে ৮০ হাজার টাকার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এভাবে সবার করই বৃদ্ধি করা হয়েছে।

    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতলব, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর, আওয়ামী লীগ নেতা বদরুল আলাম শাম্মি। এরা প্রত্যেকেই আগামী পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

    এছাড়া মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা এহতেশাম হায়দার বাপ্পী, রেজাউল করিম জেনি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হোসেন লোটাসসহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার দুই শতাধিক নারী-পুরুষ।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পৌর মেয়র আবু তাহের আনুষ্ঠানিকভাবে কোন বক্তব্য দেননি। তবে তিনি বলেন, কে কি করছে তা আমার জানার দরকার নেই। সরেজমিন পৌরবাসীর কাছ থেকে খবর নিয়ে দেখেন কর বাড়ানো হয়েছে না কমানো হয়েছে।

  • কাজিপুরে জমি দখল ও ঘরবাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

    কাজিপুরে জমি দখল ও ঘরবাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

    কোরবান আলী,কাজিপুর থেকেঃ  সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের গুর্জিয়া ( পাঁচগাছি) গ্রামের এক হিন্দু পরিবারের জমি দখল ও বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার দুপুরে ভূক্তভোগীদের পক্ষে গুর্জিয়া নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মনোরঞ্জন সরকার। বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, সোনামুখী ইউনিয়নের কৃষ্ণগোবিন্দপুর মৌজার মৃত গয়ারাম সরকারের স্ত্রী শংকরী রাণী  নিজ দখলীয় আট শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে যাচ্ছেন।

    ৩০ আগস্ট সোমবার সকালে সেই জমিতে তিনি  ধান রোপন করতে যান। এসময় ওই জমির বর্গাচাষী একই গ্রামের ভাসা সরকারের পুত্র উৎপল চন্দ্র সরকারের সঙ্গে ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম বাবু,আজিবারের পুত্র শাহীন,মেহের শেখের পুত্র মোনেক্কা ধান রোপনে বাধা দেয়। এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উৎপল সরকার ও তার সহযোগীরা  শংকরীর স্বজনদের মারপিট শুরু করে ।

    অবস্থা বেগতিক দেখে শংকর রানির লোকজন দৌড়ে নিজ বাড়িতে গেলে সেখানে গিয়েও  তাদের এলোপাথারি মারপিটে শংকরী রানী, লিপি রানী, বিমল সরকার, সুনীল সরকার  কে পিটিয়ে জখম করে।  বর্তমানে আহতরা সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।  লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও উল্লেখ করেন   ফরিদুল ইসলাম, বাবু , শাহীন মিয়া, মোনেক্কা ও তোতা মিয়া এই হামলা চালিয়েছে।

    এক পর্যায়ে তারা শংকররানী, শ্যামল ও বিমলের বাড়িতে গিয়ে শোকেজ  ভাংচুর  করে। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের সময় পাশা, রানা আহম্মেদ, সুনীল, লক্ষণ, মুনজুসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

  • বগুড়ার শেরপুরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন

    বগুড়ার শেরপুরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন

    বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট কেন্দ্রীয় কমিটি কর্মসূচির অংশ হিসেবে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা হিন্দু মহাজোটের উদ্যোগে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ১৩ আগস্ট শুক্রবার সকাল ১০ টার সময় স্থানীয় বাসষ্ট‍্যান্ডে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা,ধর্মীয় উপাসনালয় ভাংচুর,ভূমি দখল ও সাম্পদায়িক উস্কানির প্রতিবাদে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত প্রতিবাদ সভায় বক্তরা সাম্প্রতিক সারাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর ধারাবাহিক অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন,খুলনার রুপসা, পটুয়াখালীর কলাপাড়ার রাখাইন পল্লী, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া এবং সাভারে অধক্ষ‍্য মিন্টু চন্দ্র মন্ডলের নৃশংস হত‍্যাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্পদায়িক উস্কানি,বাড়ীঘরে হামলা,ধর্মীয় উপাসনালয় ভাংচুর,ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও ভূমি দখলের কারণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অস্তিত্ব সংকটসহ নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে।

    জয়ন্ত চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় সভায় আরোও বক্তব্য রাখেন, শেরপুর উপজেলা হিন্দু মহাজোট, হিন্দু যুব মহাজোট, হিন্দু ছাত্র মহাজোট এবং হিন্দু মহিলা মহাজোটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা নেত্রীবৃন্দ।

    মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা থেকে সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার কারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও নির্যাতন বন্ধ সহ নিরাপত্তা সুব্যবস্থার জন্য স্থানীয় প্রশাসন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে মিম-ঐশি পরিবহন মালিকের সংবাদ সম্মেলন।

    মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে মিম-ঐশি পরিবহন মালিকের সংবাদ সম্মেলন।

    শাহজাদপুরে মিম-ঐশি পরিবহন মালিক শাহিদুল ইসলাম মুক্তা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, নানা অপপ্রচার ও সিরাজগঞ্জ জেলা মটর মালিক সমিতি,শাহজাদপুর শাখার সদস্য পদ বাতিলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রোববার ২৫ জুলাই দুপুর ১২টায় স্থানীয় বিসিক বাসস্ট্যান্ডের মিম-ঐশি কাউন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহিদুল ইসলাম মুক্তা জানান, প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি সুনামের সাথে পরিবহন ব্যবসায়ী হিসেবে যাত্রী সেবা দিয়ে আসছি এবং ১২ বছর ধরে সিরাজগঞ্জ জেলা মটর মালিক সমিতি, শাহজাদপুর শাখার কার্যকরী সদস্য হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি।

    তিনি অভিযোগ করেন, প্রায় ২৫ বছর ধরে শাহজাদপুর ট্রাভেলস্ এর মালিক নানা কৌশলে বিসিক বাসস্ট্যান্ডে টিকিট কাউন্টার বসিয়ে যাত্রী সাধারণকে জিম্মি করে এককভাবে ব্যবসা করে আসছে।

    শুধু তাই নয়,শাহজাদপুর ট্রাভেলসের মালিক তার ইচ্ছামতো ব্যবসা করার জন্য শাহজাদপুর হয়ে ঢাকাগামী অন্য কোন পরিবহনের টিকিট কাউন্টার খুলতে দেয়না এবং কোন পরিবহনকে বিসিক বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়াতেও দেয় না। এর ফলে ঢাকাগামী যাত্রীরা প্রতিনিয়তই নানাভাবে হয়রানির শিকারসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এর প্রতিবাদ করায় শাহজাদপুর ট্রাভেলসের মালিক হাসিব খান তরুন আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়।

    সম্প্রতি বিসিক বাসস্ট্যান্ডে আমার একটি রুমে জেনিন পরিবহনের টিকিট কাউন্টার চালু করা হলে সিরাজগঞ্জ জেলা মটর মালিক সমিতি, শাহজাদপুর এর সাধারণ সম্পাদক ও শাহজাদপুর ট্রাভেলস এর মালিক হাসিব খান তরুন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মালিক সমিতির অফিসের কেরানী লিয়াকত হোসেনকে বাদি করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করান।

    শুধু তাই নয় হাসিব খান তরুন মটর মালিক সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপনকে ভুল বুঝিয়ে আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সমিতির সদস্যপদ থেকে বহিস্কার করেন।

    এছাড়াও হাসিব খান তরুন গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে আমার বিরুদ্ধে নানা আপত্তিকর, মানহানিকর ও মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে সামাজিক ও ব্যবসায়ীকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শাহিদুল ইসলাম মুক্তা তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সমিতির সদস্যপদ পুনর্বহালের দাবি জানান।

  • ফুলবাড়ীতে ব্যবসায়ীকে আটকের প্রতিবাদে কাঁচাবাজার বন্ধ রেখে আন্দোলন।

    ফুলবাড়ীতে ব্যবসায়ীকে আটকের প্রতিবাদে কাঁচাবাজার বন্ধ রেখে আন্দোলন।

    দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে লোড-আনলোডের টোল আদায়কে কেন্দ্র করে টোল আদায়কারীর সাথে কাঁচামাল আড়ৎ ব্যবসায়ীদের বিরোধের জেরে আদায়কারীর অভিযোগে ব্যবসায়ীকে পুলিশ আটক করলে প্রায় সাড়ে ৩ঘন্টা  কাঁচা বাজার বন্ধ রেখে আন্দোলন করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পরে সদ্য নির্বাচিত পৌর মেয়র মোঃ মাহামুদ আলম লিটন এর অশ্বস্ততায় অবোরধ তুলে নেয় কঁাচামাল ব্যবসায়ীরা।

    জানা গেছে, গত ২৫ জানুয়ারী পৌর বাজারের লোড-আনলোডের অতিরিক্ত টোল আদায়কে কেন্দ্র করে ইজারাদারের সাথে কাঁচামাল আড়ৎ ব্যবসায়ীর সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে টোল আদায়কারী কাজল ঐদিন কয়েকজন কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার রাত ১১টায় মুদি ব্যবসায়ী জুয়েলকে পুলিশ আটক করে। এরই প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে কাঁচা বাজারের সকল ব্যবসায়ী তাদের দোকান বন্ধ করে আন্দোলন করেন।  এ ঘটনায় সাধারণ ক্রেতা ও সবজী বিক্রি করতে  আসা প্রান্তিক কৃষকরা চরম বেকায়দায় পড়ে। হঠাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পন্য ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ হবার সাড়ে তিনঘন্টা পর সদ্য নির্বাচিত পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটনের মধ্যস্থতায় ব্যবসায়ীরা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করায় পুনরায় স্বাভাবিক হয় কাঁচা বাজার।

    কাঁচাবাজার মালিক সমিতি‘র সদস্য দিপক বলেন, লোড-আনলোডকে কেন্দ্র করে যে সমস্যা হয়েছিলো তা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। তারপরও কেনো আমাদের ব্যসায়ীকে থানায় আটক করা হলো, তার জবাব আমরা চাই। এবং অতিদ্রুত আটক ব্যবসায়ীর মুক্তি চাই। যতক্ষন তাকে মুক্তি দেওয়া হবেনা ততক্ষন কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের এই অবরোধ চলবে।

    পরে সকাল ৯টার দিকে ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পারভেজ,৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিল আব্দুল মজিদ ও হাট ইজারাদার মোঃ মানিক মন্ডলকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নবনির্বাচিত পৌর মেয়র মোঃ মাহামুদ আলম লিটন। নবনির্বাচিত পৌর মেয়র মোঃ মাহামুদ আলম লিটন অবরোধকারীদের অভিযোগ শুনেন এবং আটক জুয়েলকে মুক্তির ব্যপারে আশ্বাস দিলে অবরোধকারী কাঁচামাল ব্যসায়ীরা সাময়িকভাবে তাদের অবরোধ তুলে নেন।