Tag: প্রতিবন্ধী

  • এমপি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতার সহায়তা পেয়ে উচ্ছসিত প্রতিবন্ধী জাকিয়া।

    এমপি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতার সহায়তা পেয়ে উচ্ছসিত প্রতিবন্ধী জাকিয়া।

    এমপি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতার সহায়তা পেয়ে উচ্ছসিত প্রতিবন্ধী জাকিয়া।


    সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের চিলগাছা গ্রামের আমজাদ হোসেন মেয়ে জাকিয়া সপ্না। তখন মাত্র ৪ বছর বয়স জাকিয়ার। ভাঙা ভাঙা উচ্চারণে পিতামাতাকে আবেগাপ্লুত করার বয়স তার। ছোট্ট ছোট্ট পায়ে এ-বাড়ি থেকে ও-বাড়িতে দৌড়ে বেড়ানোর বয়স মাত্র। ঠিক তখনই পিতামাতার চোখে দুঃস্বপ্নের মত স্পষ্ট হতে থাকেন জাকিয়া স্বপ্না। আস্তে আস্তে যত বড় হন জাকিয়া ততটাই স্পষ্ট হয় তার প্রতিবন্ধী রূপ। এমন শারিরীক সমস্যা নিয়েই বেচে থাকার তাগিদে শুরু হয় সত্যিকারের জীবন যুদ্ধ । জীবিকার তাগিদেই জাকিয়া গত বছর পূর্বে একটা মুদি দোকান করেন। বাড়িতে করা সেই মুদি দোকানের আয় আর প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ডের সাথে বাবা- মায়ের বয়স্ক ভাতা কার্ড থেকে যা পান তাই দিয়েই কোন ভাবে টেনেটুনে চলে তাদের সংসার। পরিবারে অন্য দুই ভাই থাকলেও বৃদ্ধ বাবা-মা এবং প্রতিবন্ধী জাকিয়ার খোঁজ নেয়না কেউ। ফলে বৃদ্ধ পিতামাতাসহ নিজের ভাত কপড়ের জন্য একাই লড়তে হচ্ছে প্রতিবন্ধী জাকিয়া স্বপ্নার।

    জীবন যুদ্ধে ক্লান্ত অসহায় এই প্রতিবন্ধী জাকিয়া সপ্নার জন্য একটা ঘর ও হুইলচেয়ারের সহায়তা চেয়ে মানবতা ও পরিবেশ কর্মী মামুন বিশ্বাস তার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট দেন । মূলত সেই পোস্ট দেখেই সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের এমপি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দেন।

    মঙ্গলবার(১ মার্চ) সকালে সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের এমপি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতার বাসভবনে প্রতিবন্ধী জাকিয়া সপ্নার হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা তুলে। একই সাথে মানবতা ও পরিবেশ কর্মী মামুন বিশ্বাসের ফেসবুক বন্ধুদের থেকে সংগ্রহীত ৩৯ হাজার টাকা ও একটি হুইলচেয়ার তুলে দেন। এ সময় জাকিয়া সপ্নার বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সাথে কথা বলে তাদের শারীরিক সার্বিক খোঁজ খবর নেন এমপি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা।

    এ সময় প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা এমপি জানান, ‘আমি সব সময় চেষ্টা করি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। রাজনীতি মানবসেবার একটি অংশ, সে হিসেবে যে কোন মানুষের বিপদের সময় তার পাশে দাঁড়ানো আমার নৈতিক দ্বায়িত্ব।

    মানবতা ও পরিবেশ কর্মী মামুন বিশ্বাস বলেন, ‘আমি সব সময় অসহায় মানুষের পাশে ভালো কিছু নিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ফেসবুকের মাধ্যমে অসহায় মানুষ ও বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি নিয়মিত। একটা অসহায় পরিবারকে যখন স্বাবলম্বী করতে পারি, তাদের মুখে হাসি ফুটাতে পারি তখনই ভিতর থেকে তৃপ্তি অনুভব করি। দেশে অনেক অসহায় মানুষ আছে। আমরা সবাই যদি নিজ নিজ সাধ্য অনুযায়ী তাদের পাশে দাঁড়াই তবে আশাহত মানুষগুলো অন্তত ভালোভাবে বাচাঁর স্বপ্ন দেখবে।

  • কাজিপুরে প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন।

    কাজিপুরে প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন।

    সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় দুই শতাধিক বাক,বুদ্ধি, শারিরীক ও মানসিক প্রতিবন্ধীর মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে।

    ২৭ শে জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) বিকেলে উপজেলার নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নে যমুনা প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্হার উদ্যেগে যমুনা আহাদ আলী শেখ অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের দু’শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল,সুয়েটার ও লেপ বিতরন করা হয়।

    বাংলাদেশের অন্যতম তৈরী পোশাক শিল্প খাত স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের কর্ণধার আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন ও সাংবাদিক হাবিবুল্লাহ সিদ্দীকির সহায়তায় এসব অসহায় দুঃস্হ প্রতিবন্ধীর মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়।

    প্রচন্ড শীতের মধ্যে শীতবস্ত্র হিসেবে এসব শীতের পোশাক পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছে বিশেষ প্রতিবন্ধী সম্পূর্ণ শিশু ও নানা বয়সী।

    বাক প্রতিবন্ধী আশা খাতুনের মা বলেন,”স্বপনের হাত দিয়া ম্যালা কিছু পাছি,আমার ম্যাছাল (মেয়ে) এর জন্য স্বপন হুইলচেয়ার,কম্বল,নগদ টাকাও দিছে”।

    আরেক শারীরিক প্রতিবন্ধী সুজন বলেন,”আমি হাঁটতে পারি না,স্বপনের জন্য হুইলচেয়ার পাইছি,এখন অন্যদের মতো আমিও হাঁটতে পারি চেয়ারে বসে”।

    প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে কাজ করা জাহিদুল হাসান স্বপন বলেন,” প্রথমেই আমি ঔই সমস্ত লোকজনকে ধন্যবাদ দিতে চাই,যাদের সহযোগিতার মাধ্যমেই এসব প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়াতে পারি”।

    তিনি আরও বলেন,” প্রথম প্রথম আমি যখন প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ শুরু করি তখন অনেকেই হাসি তামাশা করত, মা-বাবার,ভাই-বোনদের কটু কথা শুনতে হতো।এখন আর কারও কথা খারাপ লাগে না। এসব বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকালে সব কষ্ট ভুলে যাই।

  • বাঘায় প্রতিবন্ধীর মুখে হাসি ফুটালো সমাজসেবা অধিদপ্তর।

    বাঘায় প্রতিবন্ধীর মুখে হাসি ফুটালো সমাজসেবা অধিদপ্তর।

    রাজশাহীর বাঘায় চারজন প্রতিবন্ধীকে ঋণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। বুধবার(১২ ডিসেম্বর) দুপুওে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে এ ঋণ সহায়তা প্রদান করে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর।
    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে সরকার অনুদান/ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী কল্যাণ তহবিল হতে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও পুর্নবাসনের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর চারজন প্রতিবন্ধীর মাঝে ৮২ হাজার ৯৪০ টাকা ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা প্রদান করা হয়।
     তারা হলেন, উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের  হারান আলী,  জোতকাদিরপুর গ্রামের  রফিকুল ইসলাম , বেংগাড়ীর  গ্রামের উজ্জল আলী ও ব্রামনডাঙ্গা গ্রামের  রাশিদা বেগম।
     ঋণ সহায়তা পেয়ে হাসি মুখে রাশিদা বেগম বলেন, ঋনের টাকা দিয়ে তিনটি ছাগল ক্রয় করবো। আল্লাহ তালা রহমত করলে এ থেকে সাবলম্বী হবো ।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাফিজ শরিফ ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতানসহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাগণ।
  • রাণীশংকৈলে সমাজসেবা দিবসে প্রতিবন্ধীদের সুদমুক্ত ঋনের চেক বিতরণ।

    রাণীশংকৈলে সমাজসেবা দিবসে প্রতিবন্ধীদের সুদমুক্ত ঋনের চেক বিতরণ।

    নারী পুরুষ নির্বিশেষ সমাজসেবায় গড়বো দেশ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈলে সমাজ সেবা দিবস পালন করা হয়েছে।

    এ উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদফতরের আয়োজনে রবিবার (০২জানুয়ারি) সকালে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি  শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে হলরুমে  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।শাহরিয়ার আজম মুন্না  বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইন্দ্রজিৎ সাহা উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সইদুল হক পৌরমেয়র আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক মহিলা আ.লীগ সম্পাদিকা ফরিদা ইয়াসমিন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

    সমাজসেবা দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম।

    আলোচনা শেষে বিনামূল্যে বয়স্ক বিধবা ভাতা কার্ড বিতরণ ও প্রতিবন্ধীদের সুদমুক্ত ঋনের চেক বিতরণ করা হয়।

  • উল্লাপাড়ায় নববর্ষে শিশু-কিশোর ও প্রতিবন্ধীদের মুখে হাসি ফুটালেন চেয়ারম্যান শওকাত ওসমান।

    উল্লাপাড়ায় নববর্ষে শিশু-কিশোর ও প্রতিবন্ধীদের মুখে হাসি ফুটালেন চেয়ারম্যান শওকাত ওসমান।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ইংরেজি শুভ নববর্ষ 2022 সাল উপলক্ষে শিশু-কিশোর ও প্রতিবন্ধীদের মুখে একটু হাসি ফুটালেন চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শওকাত ওসমান।

    শনিবার ইংরেজি শুভ নববর্ষ উপলক্ষে উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকা মার্কা প্রতিক নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো বিপুল ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শওকাত ওসমান তার নিজ গ্রাম সোনতলাসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নিজ অর্থায়নে প্রায় ৫ শতাধিক শিশু-কিশোর ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীতবস্ত্র গরম কাপড়সহ আধুনিক মডেলের জামা বিতরণ করেন। শিশু-কিশোরা শীতবস্ত্র ও নতুন জামা পেয়ে আনন্দে হাসি মুখে চেয়ারম্যানকে জরিয়ে ধরে আনন্দে মেতে উঠে।

    ইংরেজি শুভ নববর্ষের দিন সকালে শিশু-কিশোর প্রতিবন্ধীদের শীতবস্ত্রসহ আধুনিক মডেলের জামা বিতরণের সময় দৈনিক সিরাজগজ্ঞ প্রতিদিন প্রতিনিধি কে বলেন,আমি শিশু-কিশোর ও প্রতিবন্ধীদের মণে-প্রাণে ভালো বাসি।

    কারণ আজকের শিশুই আগামী দিনে ভবিষ্যত। তাই আমি শিশুদের কখনো অবহেলা করি না। আজকের এই অবহেলিত শিশু- কিশোরাই হতে পারে এ দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ দেশ সেবার গুরুত্তপূর্ণ কাজে অন্তর্ভুক্ত।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী এহসানুল হাসান সন্টু,ইউপি সদস্য মো, জিল্লুর রহমান, মো,জুয়েল রানাসহ এলাকার জনসাধারণ।

  • তাড়াশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ফাংশনিং মডিউল প্রশিক্ষণ।

    তাড়াশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ফাংশনিং মডিউল প্রশিক্ষণ।

    তাড়াশ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ফাংশনিং মডিউল(সি.এফ.এম) প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গণ উন্নয়ণ কেন্দ্র’র বাস্তবায়নে ইনক্লুসিভ এডুকেশন প্রকল্পের উদ্যোগে এবং লিওনার্ড চ্যাশিয়ার’র অর্থায়নে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দ্বারা গঠিত সংগঠনের সদস্যদের ফাংশনিং মডিউল (সি.এফ.এম) বিষয়ে সারাদিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

    এই প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার আকতারুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইনক্লুসিভ এডুকেশন প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আতাউর রহমান সরকার, ইনক্লুসিভ এডুকেশন অফিসার অরবিন্দু বর্মণ, কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর তাসলিমা নাসরিন, প্রতিবন্ধী সংগঠনের সভাপতি মোতাহার হোসেন,আব্বাস আলীসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

  • তাড়াশে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালন।

    তাড়াশে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালন।

    তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃসিরাজগঞ্জের তাড়াশে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালন করা হয়েছে। “কোভিডোত্তর বিশ্বের টেকসই উন্নয়ন,প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নেতৃত্ব ও অংশগ্রহন” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে  ৮ ডিসেম্বর বুধবার সকালে  উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে  উপজেলা  প্রশাসন ও জিইউকে বাস্তবায়নাধীন ইনক্লুসিভ এডুকেশন (আইই) প্রকল্প এর যৌথ আয়োজনে উপজেলা সহকারী  কমিশনার (ভূমি) লায়লা জান্নাতুল  ফেরদৌস এর সভাপতিত্বে  ৩০তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৩তম জাতীয়  প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা করা হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এ কে এম মনিরুজ্জামান,যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আ,ফ,ম নজরুল ইসলাম প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নূুর মামুন, জিইউকে’র মনিটরিং ও ডকুমেন্টশন অফিসার কিশোর কুমার, ইনক্লুসিভ এডুকেশন (আইই) প্রকল্প’র ব্যবস্থাপক আতাউর রহমান, ফাইন্যান্স এ্যান্ড এডমিন অফিসার সঞ্জিত কুমার, ইনক্লুসিভ এডুকেশন (আইই) অফিসার অরবিন্দু বর্মণ, কমিউনিটি ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর তাসলিমা খাতুন, সাজেদুর রহমান তাহেরা হক প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম হোসেন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি মহসীন আলী,সাংগঠকি সম্পাদক সোহেল রানা সোহাগ,বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুর রাজ্জাক খান, প্রতিবন্ধী সংগঠনের সভাপতি মোতাহার হোসেন ও সদস্যবৃন্দ। এছাড়াও এতে উপজেলার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা অংশগ্রহন করেন।

  • রাজশাহীর বাঘায় আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন।

    রাজশাহীর বাঘায় আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন।

    বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় উপজেলা প্রশাসন ও প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের সহযোগিতায়, বাঘা বুদ্ধি ও অটিষ্টিক প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ও সুইড বাংলাদেশ বাঘা শাখার উদ্যোগে ৩০ তম আর্ন্তজাতিক ও ২৩ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হয়েছে।
    “কোভিডোত্তর বিশ্বের টেকসই উন্নয়ন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নের্তৃত্ব ও অংশগ্রহণ” এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে রোববার(০৫-১২-২০২১) বাঘা বুদ্ধি ও অটিষ্টিক প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা, প্রতিবন্ধীদের উপকরণ বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
    বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া মেওয়ার কন্ঠে কোরআন তেলায়াতের পর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাঘা উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও বিদ্যালয়টির সভাপতি পাপিয়া সুলতানা। সাংবাদিক আব্দুল লতিফ মিঞার সঞ্চালনায় ও প্রধান শিক্ষক মাজেদুল হকের স্বাগত বক্তব্যের পর আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন,উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান মোকাদ্দেস আলী সরকার, উপজেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কর্মকতা মুনসুর রহমান,স বাঘা পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সির মোনোয়ারা বেগম,কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
    নির্বাহি অফিসার তার বক্তব্যে বলেন,আমরা কেউ যেন প্রতিবন্ধীদের প্রতি অনাচার না করি। তারাও সমাজের একজন। পারলে তাদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান
    নির্বাহি অফিসার ।
    আলোচনা সভা শেষে,‘বাঘাতে আছেরে ভাই এমন বিদ্যালয়’ গানের সুরে সংঙ্গীত পরিবেশন করেন বিদ্যালয়টির সংঙ্গীত শিক্ষক দুষ্টি প্রতিবন্ধী বদিউজ্জামান ও শ্যামল কুমার। পরে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ৪ জনকে হুইল চেয়ার ও ৩ জনকে সাদা ছড়ি প্রদান করা হয়। উপস্থিত ছিলেন, পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি নিজামুল হুদা, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক আসাদুজ্জামান রান্টু,বাঘা বুদ্ধি ও অটিষ্টিক প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
  • বাঘায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ।

    বাঘায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ।

    বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় শারীরিক প্রতিবন্ধী ও সমাজের অবহেলিত চলাচলে অক্ষম,দুইজন ব্যক্তিদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়েছে।
    সোমবার(২৫অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে এই হুইল বিতরণ  করেন।
    উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু বলেন, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে নিজে  ঘুরে  প্রতিবন্ধিদের চিহিৃত করে ,যাদের হুইল চেয়ার প্রয়োজন ,যারা চলাচলে অক্ষম মানুষ, তাদের খুঁজে পর্যাক্রমে সকলের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হবে।এ পর্যন্ত  আটজন মুক্তিযোদ্ধা ও ১৩ জন প্রতিবন্ধীর মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়েছে।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ নেতা সহকারি অধ্যাপক সনোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সানোয়ার হোসেন সুরুজ, মনিরুজ্জামান রবি প্রমুখ।
  • প্রতিবন্ধী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মীম হতে চান না সমাজের বোঝা।

    প্রতিবন্ধী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মীম হতে চান না সমাজের বোঝা।

    মোস্তাফিজুর রহমান,বাঘা (রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

    স্বপ্ন ছোয়ার অদম্য ইচ্ছা শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাঘার প্রমি আক্তার মিম।সারা শরীর একেবারে বিকলাঙ্গ। চলতে ফিরতে তো দুরের কথা,পারেনা নিজে উঠে বসতে,এক মাত্র ভরসা তার জন্মদাত্রী মা । কখন এসে তাকে উঠে বসিয়ে দেবে সেই অপেক্ষাতে থাকতে হয় তাকে। যদিও কেউ তাকে ধরে বসিয়ে দেই তবুও পিছনে বালিশ বা শক্ত কিছু দিয়ে ঠেস দিতে হয়। যাতে করে সহজেই হেলান দিয়ে থাকতে পারে। যদিও হাতখানি একটু নাড়াতে পারলেও পারেনা তার পা দুখানা তুলে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাইতে। জন্মাবধি এমনি করে বেড়ে ওঠা, আজ তার বয়স ১৮ বছর।

    যৌবন উদ্দিপ্ত তরুনী হয়ে নানা রঙ্গের স্বপ্ন বুনানোর কথা আজ তার। অথচ নিয়তির চরম পরিহাসে আজ কোনরকম বেঁচে থাকা। নেই কোন উপায়ান্তর একটু আশা, একটু ভরসার। আধারে অচ্ছন্ন প্রমির জগৎ সংসার। এমনি করে দিন দিন প্রমি আক্তার বড় হচ্ছে আর দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে প্রমির মা বাবা। একটাই চিন্তা কি এর সমাধান!

    প্রমি আক্তার মিম, বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পীরগাছা গ্রামে। তারা ৩ ভাই বোন। বড় ভাই মিলন বয়স ২৮ বছর, গ্রামেন্টস কর্মি আর ছোট ভাই আদিব, বয়স ৮ বছর, সেও তার মত প্রতিবন্ধী। বাবা মজিবর রহমান পেশায় কৃষক, মা ফিরোজা পারভিন গ্রীহিনী। মা ঘর গৃহস্থের কাজের ফাঁকে ফাঁকে কখনও প্রতিবন্ধী মেয়ের কাছে আবার কখনও প্রতিবন্ধী ছেলের কাছে।

    ভাগ্যের পরিহাসে জন্ম থেকেই মিম প্রতিবন্ধী হলে কি হবে! তার লক্ষ্য আকাশ ছোঁয়া। হতে চাননা পারিবার কিংবা সমাজের বোঝা। প্রতিবন্ধী হলেও সে শত বাধা অতিক্রম করে ২০১৯ সালে এস.এস.সি, পরিক্ষায় উর্ত্তিন হয়। বর্তমানে সে কলেজে ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ালিখা করছে।

    ইতিমধ্যে নানার দেওয়া হুইল চেয়ারে মায়ের সাহায্যে চলাফেরা করছে। প্রমি এখনও স্বপ্ন বাস্তবায়নে অটল। তাকে দেখা-শুনা,পড়া-লিখা এমন কি কলেজে নিয়ে যাওয়া আসা সব কিছুই করতে হয় মিমের মাকে। মা মেয়ের দারুন মনোবল। মিমের মায়ের সাথে কথা বলতেই চোখে ছল ছল পানি নিয়ে বলেন আমার মেয়েকে আমি সমাজের বোঝা হয়ে রাখতে চাইনা। আমি চাই আমার মেয়ে যেন তার অদম্য ইচ্ছে পুরুন করতে পারে।

    দিনে দিনে বয়স বেড়ে চলেছে মিমের। বয়সন্ধিকাল অতিক্রম করে এখন সে যৌবন উদ্দিপ্ত তরুনী। এই বিকলাঙ্গ মনের দূঃখ ঘুচাতে কে হবে তার সাথি, তাই একাকিত্ব মনের দুঃখ ঘুচাতে মিম লেখালেখিকে করে উপজীব্য।

    সে লিখতে পছন্দ করেন গান, ছড়া, কবিতা, গল্প মনে যা আসে তাই। এমনি করে নিরলস ভাবে লিখে চলেছে শত শত কবিতা গল্প মনের অজান্তে, এখন তার লেখায় মানুষ, সমাজ তথা মানবিকতার দারুন বহিঃপ্রকাশ।

    গোলাপকে যতই ঢেকে রাখা যাক না কেন ; তার সুগন্ধ ছড়াবেই মিম তার উজ্জল দৃষ্টান্ত ইতিমধ্যে তার লিখা ছড়া গল্প কবিতা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হচ্ছে এবং সুধী মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে মিমের জনপ্রিয় কবিতা মাটি, ঝর্ণা, শিক্ষক, হঠাৎ পরিচয় ।

    হাজারো সমস্যা অতিক্রম করে মিমের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর যে প্রচেষ্টা তার প্রতি আশাবাদ ব্যাক্ত করে উইপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান শফিক বলেন, প্রতিবন্ধীদের যদি আমরা প্রতিবন্ধী না বলে তাদেরকে যদি আমরা বিশেষ শ্রেণীর মানুষ বলে আখ্যায়িত করলেইতাদের মনোবল অনেক বড় হবে। আমার ইউনিয়নে মীম এর বাসা। তার মনোবল এত বড় তা কল্পনা করা যায় না। আমি সব সময় তার জন্য দোয়া করি, সে যেন বড় একজন মানুষ হতে পারে। আমি সব সময় তার পাশে আছি।

    স্বপ্ন ছোয়ার অদম্য ইচ্ছা নিয়ে ছুটে চলা মিমকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা বলনে, প্রমি আক্তার মিম শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও তার পড়াশোনায় অদম্য ইচ্ছা শক্তির সহযোগিতায় চালিয়ে যাচ্ছে এই জন্য তাকে ধন্যবাদ ও অভিবাদন জানাচ্ছি। মিম শর্ত প্রতিবন্ধকতা দূর করে পড়া লিখা চালিয়ে জাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন হয় তাহলে সীমিত সামথের্যর ভিতর দিয়ে উপজেলা প্রশাসন তার পাশে থাকবে।

    আমাদের প্রশ্ন হলো এমন হাজারো মিম আমাদের সমাজে আছে, তারাও চাই আমাদের মত স্বাভাবিক জীবন নিয়ে চলতে ; আমাদেও উচিৎ এই সকল মানুষকে সমাজের বোঝা মনে না করে তাদের আত্মবিশ্বাসকে আরও দূর করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। তাদের সাথে সেই ভাবেই আচরণ করা যেটাতে তাকে পাহাড় সমান সাহস যোগাবে তাহলে মানুষ হিসেবে আমরা হয়তো মানবিক দায়টা একটু হলেও এড়াতে পারতাম। এই জন্য সকল মানবাধিকার বাস্তবায়ন সুধী মহলের সুদৃষ্টি আকর্ষন করছি। সামাজিক ভাবে রাষ্ট্রীয় ভাবে তারা যেন এগিয়ে আসেন।