Tag: পরিবার

  • নিখোঁজ ফায়ার ফাইটার শফিউলের পরিবারকে সমবেদনা জানালেন ইউএনও।

    নিখোঁজ ফায়ার ফাইটার শফিউলের পরিবারকে সমবেদনা জানালেন ইউএনও।

    নিখোঁজ ফায়ার ফাইটার শফিউলের পরিবারকে সমবেদনা জানালেন ইউএনও


    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিখোঁজ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার ফায়ার ফাইটার শফিউলের শোকাহত পরিবার পরিজনকে সমবেদনা জানাতে বৃহস্পতিবার ৯ জুন দুপুর ২ টার সময় ইউএনও মোঃ উজ্জল হোসেন নিখোঁজ শফিউলের গ্রামের বাড়ি নাগরৌহাতে যান এবং তার পরিবারের খোঁজখবর নেন ও কুশল বিনিময় করেন। এ সময় পরিবারের আবেগ প্রবন কিছু কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং ধর্য্যধারনের পরামর্শ ও উপজেলা প্রশাসন তাদের পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও মায়ের চিকিৎসার জন্য শোক আহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

    প্রসঙ্গতঃ নিখোঁজ ফায়ার ফাইটার শফিউল ইসলাম চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। গত শনিবার রাত ৯ টার সময় চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। এসময় ফায়ার ফাইটার শফিউল ইসলাম তার সহকর্মীদের সাথে ডিপোতে উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। এখন পর্যন্ত শফিউল নিখোঁজ রয়েছেন।

  • নলডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে ক্ষতিগস্ত পরিবারের বাঁচার আকুতি।

    নলডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে ক্ষতিগস্ত পরিবারের বাঁচার আকুতি।

    নলডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে ক্ষতিগস্ত পরিবারের বাঁচার আকুতি।


    নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধবপুর গ্রামের মকবুল হোসেন। এক সময় পরিবারটির সব ছিল।অসহায় মানুষরা সাহায্য চাইলে সাহায্য দিতেন।কিন্তু,পরিবারটি এখন নিজেই নিঃস্ব। পরনে কাপড় ছাড়া গভীর রাতে আগুনে বসতবাড়ির ৪টি ঘরের সবকিছু পুড়ে যায় সর্বনাশা আগুনে।

    অন্যকে সাহায্য করা পরিবারটি এখন বাঁচার জন্য অন্যের কাছে হাত পাততে হচ্ছে।প্রতিবেশির দেওয়া খাবার খেয়ে রাতে পরিবারটির সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করেছেন।

    গতকাল বুধবার উপজেলা প্রশাসন থেকে খাদ্য সামগ্রী ও নলডাঙ্গা পৌরসভার পক্ষ থেকে নগদ কিছু অর্থ দিয়ে সহয়তা করা হয়।এ সহয়তা পরিবারটির জন্য এ মহুর্তে প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।কিন্ত গভীর রাতের আগুনে পুড়ে গেছে বসতবাড়ির ৪টি ঘরের ২০ বান্ডিল টিন,গচ্ছিত নগদ অর্থ, গবাদী পশু সহ ঘরের যাবতীয় আসবারপত্র পুড়ে ছাই হয়ে ৭-৮ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।পুড়ে যায় চতুর্থ শ্রেণিতে পুড়–য়া মকবুল হোসেনের নাতনি মেঘার স্কুল ড্রেস, সব বই, খাতা ও কলম।এখন সেই মেঘার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।এ পরিস্থিতিতে দরিদ্র কৃষক পরিবারের ঘুরে দাড়াতে নতুন করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করতে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা প্রয়োজন।

    কিন্ত এত টাকা এই মহুর্তে জোগার করা সেই পরিবারের পক্ষে অসম্ভব।কারন তাদের মাঠে কোন জমি নাই এমনকি যে যায়গায় বাড়ি করে আছে সেই আড়াই শতক জমি অন্যের দান করা। আগুনে নিঃস্ব ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র মকবুল হোসেন পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন।

    দরিদ্র কৃষক মকবুল হোসেন বলেন,গভীর রাতে আগুনে পুড়ে আমার সবকিছু হারিয়ে আমি দিশেহারা।এখন আমি পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি।প্রশাসন থেকে সামন্য খাদ্য সামগ্রী ও পৌরসভার পক্ষ থেকে নগদ কিছু অর্থ দিয়েছে।তাই দিয়ে পরিবার নিয়ে কোন মতে খেয়ে বেঁচে আছি।এখন নতুন ঘরবাড়ি নির্মাণ করতে প্রয়োজন দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা,যা আমার পক্ষে অসম্ভব।আমি সরকারের কাছে দাবী করছি আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি বাড়ি দিলে আমি নতুন করে বেঁচে থাকার অবলম্বন হবে।

    নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনির বলেন,আগুনে পুড়ে ক্ষতিগস্ত পরিবার কে নগদ কিছু অর্থ সহয়তা দিয়েছি।পরবর্তীতে আরো কোন সুযোগ সুবিধা আসলে সেগুলো পরিবারটিকে দেওয়া হবে।

    নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুখময় সরকার বলেন,আগুনে ক্ষতিগস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি।এই মহুর্তে টিন বরাদ্দ নাই টিন বরাদ্দ আসলে কয়েক বান্ডিল টিন দেওয়া হবে।আর আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি বাড়ি দেওয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে আরো খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    উল্লেখ্য,গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে উপজেলার মাধবপুর নওদাপাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক মকবুল হোসেনের ৪টি বসতঘর ও আলমগীরের ২টি ঘর বৈদ্যতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে ৭-৮ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়।

  • উপজেলা প্রশাসন ও মেয়রের সহয়তা পেল ক্ষতিগ্রস্ত সেই প্রতিবন্ধী পরিবার।

    উপজেলা প্রশাসন ও মেয়রের সহয়তা পেল ক্ষতিগ্রস্ত সেই প্রতিবন্ধী পরিবার।

    উপজেলা প্রশাসন ও মেয়রের সহয়তা পেল ক্ষতিগ্রস্ত সেই প্রতিবন্ধী পরিবার।


    নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাকপ্রতিবন্ধী রহিমা বিবির পরিবারকে শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ দিয়ে সহয়তা দিলেন পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা প্রশাসন।

    বুধবার(৯ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনির ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখময় সরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে এই সহয়তা দেন। অন্য দিকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ঘর নির্মাণের জন্য ট্রলিচালকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা আদায় করে দেন নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।

    এ সহয়তা পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাকপ্রতিবন্ধীর পরিবার খুশি হলেও নিরাপদে বসবাসের জন্য স্থায়ী সরকারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি বাড়ি পাওয়ার দাবী করেছে।তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখময় সরকার খাস জমি বন্দোবস্তসহ বিভিন্ন সরকারী সহয়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ কেজি চাল,ডাল, তেল, লবণ, চিড়া, চিনিসহ শুকনা খাবার ও নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান নগদ ৩ হাজার টাকা প্রদান করেন।

    উল্লেখ্য,গত ৮ মার্চ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে নলডাঙ্গা উপজেলার নলডাঙ্গা পাটুল সড়কের পূর্ব সোনাপাতিল এলাকায় ইট বোঝাই ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী রহিমার শয়ন ঘরে ঢুকে পড়ে।এতে ঘরের যাবতীয় আসবারপত্র তছনচ হয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে।

    এ ঘটনার ওই বাকপ্রতিবন্ধীর রহিমার কান্নার আহাজারীর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়।

  • রামগঞ্জে প্রতারক শাহীনের প্রতারনায় ডজনখানেক পরিবার সর্বশান্ত।

    রামগঞ্জে প্রতারক শাহীনের প্রতারনায় ডজনখানেক পরিবার সর্বশান্ত।

    রামগঞ্জে প্রতারক শাহীনের প্রতারনায় ডজনখানেক পরিবার সর্বশান্ত।


    লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ উপজেলার মধ্য দাস পাড়া গ্রামের প্রতারক তানভীর আহমেদ শাহীনের প্রতারনায় এক ডজন পরিবার সর্বশান্ত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজেকে ঢাকার আলীগড় হাউজের বড় ব্যবসায়ী পরিচয়ে এলাকাতে নাম মাত্র দানবীরের বেশ ধারন করে নিজ পরিবার থেকে শুরু করে বাড়ি ও এলাকার লোকজনের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিরুদ্ধেশ থেকে সাতক্ষীতার জনৈক প্রতারকের আশ্রয় থেকে নতুন প্রতারনার শুরু করছে। তার প্রতারনার হাত থেকে রক্ষা পায়নি বোন মরিয়ম বেগম, ভাগ্নীর জামাই এবং ভাগীনা।

    বিভিন্ন সুত্রে জানায়,উপজেলার মধ্য দাসপাড়া গ্রামের বক্স আলী ব্যাপারী বাড়ির মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র তানবীর আহমেদ শাহীন ঢাকার আলীগড় হাউজে কয়েক বছর পুর্বে একটি ষ্টেশনারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেয়। উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে বোন মরিয়মের পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে এবং বোন জামাইয়ের সঞ্চিত টাকা হাতিয়ে নেয়। একই সাথে নানা কৌশলে শাহীন দাসপাড়া গ্রামের প্রতিবন্ধি অহিদ উল্যাহর পুত্র আরিফ হোসেনের কাছ থেকে ব্যবসার ২দুই লক্ষ টাকা,আবুল হোসেনের সন্তানকে বিদেশ ভিসার নাম দিয়ে ৫ পাচঁ লক্ষ টাকা,সোনালী ব্যাংক মতিঝিল কার্যালয়ের কর্মকর্তা আবুল বাসার থেকে হাওলাত বাবত ২দুই লক্ষ টাকা,গ্রামের শাহাজানের কাছ থেকে বিদেশ ভিসা বাবত ১এক লক্ষ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে মালেশিয়া পালিয়ে যায়।

    মালেশিয়া যাওয়ার পরে সেখানে কয়েকজনের সাথে প্রতারনা করলে জনৈক ব্যক্তির মামলার জেল হাজতে যায়। মালেশিয়া জেলে থাকাবস্থায় ভাগীনা মিলন মামলা মিমাংসা করে প্রতারক শাহীনকে বুনাই নিয়ে যায়। বুনাই যাওয়ার পরে সাতক্ষীরার জনৈক প্রতারকের সাথে শাহীনের সম্পর্ক হয়। সেখানে ভাগীনা মিলনের সাথেও প্রতারনা করতে পিছ পা হয়। পরিস্থিতি ভয়াবহ দেখে ভাগীনা মিলন সহ স্বজনেরা শাহীনকে দেশে পাঠিয়ে দেয়। এতে করে প্রতারক শাহীন তার ভাগীনা মিলনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো সহ নানা ভাবে হয়রানী করতে শুরু করে।

    গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার সত্তে¡ সাংবাদিকদের জানান,তানবীন হোসেন শাহীনের গ্রামের বাড়িতে যেমন কোন সম্পত্তি নেই। দেশের বিভিন্ন স্থানে লাগামহীন প্রতারনার করায় কয়েক দিন পর পর বিভিন্ন আর্থিক পরিষ্ঠানের কর্মকর্তা,আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা বাড়িতে উপস্থিত হয়। গ্রামের লোকজন বলেন,শাহীন প্রতারনার মাধ্যমে আবুল হোসেনের কাছ থেকে ৫ পাঁচ লক্ষ নেওয়ার পরে ওই টাকা না পাওয়ায় আবুল হোসেন অসুস্থ্য হয়ে মারা যায়। টাকা নেওয়ার পরে সে আর এলাকাতে আসে না।

    তানভীর আহমেদ শাহীনের চাচা সফি আহমেদ বলেন,আমি দীর্ঘ সময়ে বিদেশ থাকাবস্থায় ২০১৯ইং সালে দেশে আসার পরে জানতে পারি শাহীন অনেক লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। কিন্তু আমার সাথে তার দেখা নেই। ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন বলেন,আমার কাছ থেকে ব্যবসার জন্য ২দুই লক্ষ নেওয়ার পর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

  • নাগরপুরে রাস্তায় বেড়া দিয়ে তিনটি পরিবারকে অবরুদ্ধ রাখার অভিযোগ।

    নাগরপুরে রাস্তায় বেড়া দিয়ে তিনটি পরিবারকে অবরুদ্ধ রাখার অভিযোগ।

    নাগরপুরে রাস্তায় বেড়া দিয়ে তিনটি পরিবারকে অবরুদ্ধ রাখার অভিযোগ।


    টাংগাইলের নাগরপুরে চলাচলের একমাত্র রাস্তায় টিনের বেড়া দিয়ে তিনটি পরিবারকে অবরুদ্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন,গত ১০ ফেব্রুয়ারী প্রতিপক্ষ মোঃ মঙ্গল মিয়া,মোঃ এরশাদ গং জোরপূর্বক আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তায় টিনের বেড়া দিয়ে আটকিয়ে দিয়েছে।

    রাস্তাটি আমাদের নিজস্ব জায়গায় হওয়া সত্বেও আজ আমরা তিনটি পরিবার অবরুদ্ধ।এছাড়া প্রতিপক্ষরা আমাদের খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হামেদ বেপারী জানান,আমরা ১২/১৫ টি গরু লালন পালন করি।রাস্তাটি আটকিয়ে দেওয়ার কারণে গোখাদ্য আনা নেয়া সহ গরুগুলোকে বাহিরে নিতে পারছি না।ফলে খাদ্যের অভাবে গরুগুলো যেকোন সময় মারা যেতে পারে। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করলেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।

    এ ঘটনায় আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে নাগরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটির তদন্তকারী কর্মকর্তা নাগরপুর থানার এএসআই রাশেদ জানান,জমি সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে টাংগাইল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
    এ ব্যাপারে সহবতপুর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন,বিষয়টি নিয়ে শালিসী বৈঠক হলেও সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

  • লক্ষ্মীপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার শীত বস্ত্র ২০বিশ হাজার পরিবার পাচ্ছে।

    লক্ষ্মীপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার শীত বস্ত্র ২০বিশ হাজার পরিবার পাচ্ছে।

    লক্ষ্মীপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার শীত বস্ত্র ২০বিশ হাজার পরিবার পাচ্ছে।


    লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে কম্বল পাচ্ছেন ২০বিশ হাজার পরিবার। শুক্রবার তিন ধাপে গরিব-অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে আট হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়।

    পর্যায়ক্রমে বাকি শীতার্তরাও পাবেন এসব কম্বল।এই দিন সকাল ১০টার দিকে রামগঞ্জ উপজেলার ১নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে কম্বল বিতরণের উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ আসনের এমপি ড. আনোয়ার হোসেন খান।

    কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাছির উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইমদাদুল হক,উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সৈকত মাহমুদ সামছু,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল হাসান ফয়সাল মাল,সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান শুভ,কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির মোল্লা,যুবলীগের সভাপতি আবদুর রব প্রমুখ।

    এরপর বাদ জুমা জয়পুরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও নোয়াগাঁও জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন এমপি আনোয়ার হোসেন খান।

  • মাধবপুরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে”পরিবারকে অবরুদ্ধের” অভিযোগ।

    মাধবপুরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে”পরিবারকে অবরুদ্ধের” অভিযোগ।

    মাধবপুরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে”পরিবারকে অবরুদ্ধের” অভিযোগ।

    জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার খিলগাও গ্রামে প্রতিপক্ষের লোকজন চলাচলের রাস্তায় মাটি ভরাট করে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে একটি পরিবারকে কার্যত অবরুদ্ধ ও গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।

    এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগকারী সাংবাদিক শ্রীবাস সরকার জানান, তাদের নিজ গ্রাম আদাঐর ইউনিয়নের খিলগাঁওয়ে পূর্ব থেকেই মনিন্দ্র সরকারের সাথে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
    বিরোধের জেরে শুক্রবার (১১ফেব্রুয়ারি) সকালে মনিন্দ্র সরকারের পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তায় মাটি ভরাটের মাধ্যমে ঘর নির্মান কাজ শুরু করে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করায় শ্রীবাস সরকারের পরিবারের লোকজন কার্যত অবরুদ্ধ ও গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন।ঘটনার সময় বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষ দেশীয় অস্ত্রসহ আক্রমণে উদ্যত হলে আশেপাশের লোকজন এসে নিবৃত্ত করে।
    দৈনিক দেশসেবা ও দৈনিক সরেজমিনবার্তার মাধবপুর প্রতিনিধি সাংবাদিক শ্রীবাস সরকার জানান, প্রতিপক্ষ যে কোনো অঘটন ঘটিয়ে তাদেকে ফাঁসিয়ে দিতে পারে।বর্তমানে শ্রীবাস সরকার তার পরিবার পরিজনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও দাবি করেন।
    মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছি,ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এইআইকে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত নেহেরলাল সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
  • তানোরে নিরহ পরিবারের নামে ৫টি মামলা,মামলাবাজের উপর ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী।

    তানোরে নিরহ পরিবারের নামে ৫টি মামলা,মামলাবাজের উপর ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী।

    তানোরে নিরহ পরিবারের নামে ৫টি মামলা,মামলাবাজের উপর ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী।


    রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের ছাঐড় গ্রামের মজিবর রহমান নামের এক মামলাবাজের বিরুদ্ধে এক পরিবারের নামে ৫টি মামলা করাসহ গ্রামের আরো ২০থেকে ২২জন প্রতীবেশির উপর একের পর এক সাজানো মামলায় গ্রামবাসি অতিষ্ঠ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    ইতিমধ্যে ওই মামলাবাজ মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রামের নিরহ কৃষক ওবায়েত উল্লাহ্’র পরিবারের নামে একাধিক মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

    স্থানীয়রা জানান, ছাঐড় গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে মুজিবুর রহমান একই গ্রামের মৃত ফেরাতুল্লাহ মন্ডলের ছেলে ওবাইয়েত উল্লাহ মন্ডলের পরিবারের বিরুদ্ধে আদালতে ৫টি সাজানো মামলা করেছেন। এছাড়াও একের পর এক মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে নিরহ মানুষদের নাজেহাল করলেও হয়রানিমুলক মামলার ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। ফলে দিন দিন তার দৌরাত্ম্য চরম পর্যায়ে উঠেছে। এদিকে রাজনৈতিক পরিচয়ের কিছু টাউট-বাটপারের মদদে এসব অপকর্ম করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষমতাসীন দল ও ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে নৈতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি হচ্ছে বলেও সাধারণ মানুষের মাঝে গুঞ্জন বইছে।

    এতে করে মামলাবাজ মুজিবর রহমানের রাহুগ্রাস থেকে পরিত্রাণ পেতে গ্রামবাসী জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারের (এসপি) জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে মুজিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনা ঘটে বলেই মামলা করা হয়।

    এবিষয়ে ওবাইয়েত উল্লাহ বলেন, তার পরিবারকে হেনস্তা করতে তার পরিবারের বিরুদ্ধে ইতমধ্যে মুজিবর রহমান ৫টি সাজানো মিথ্যা মামলা করেছে।

    তিনি বলেন, এবার গরুর খামার ভাঙচুর ও বাড়ি থেকে ১ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে, অথচ তার গরুর খামার নাই আর তার বাড়িতে ১ লাখ টাকা থাকাতো পরের কথা ১ লাখ টাকার সম্পদই নাই। আমাদের জায়গা দখল করতেই আমাদের নামে এতোগুলো মামলা করেছে মজিবর রহমান।

    এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রাকিবুল হাসান জানান, এখনো কেউ এমন অভিযোগ আমরা পায়নি, এমন হয়ে থাকলে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

  • সাংবাদিকের উপর হামলার নিন্দা রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব পরিবারের।

    সাংবাদিকের উপর হামলার নিন্দা রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব পরিবারের।

    পেশাগত দ্বায়িত্ব পালনকালে নিউজবাংলার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতি‌নি‌ধি সো‌হেল রানা, রাই‌জিং‌ বি‌ডির জেলা প্রতি‌নি‌ধি হি‌মেল তালুকদার ,ঢাকা মেইলের জেলা প্রতি‌নি‌ধি মিলু এবং ই‌নডি‌পে‌ন্ডেন্ট টি‌ভির জেলা প্রতি‌নি‌ধি তানভীর হাসান তানুর উপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব পরিবার।

    শনিবার দুপুরে (২৯ জানুয়ারি) ঠাকুরগাঁও‌ সদর উপ‌জেলার সেনুয়া ইউ‌নিয়‌নের মন্ডলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ সংগ্রহ কর‌তে গি‌য়ে তিন অনলাইন ও এক টেলিভিশন সাংবাদিকের উপর হামলা হয়।
    পরে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    শনিবার সন্ধ্যায় রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আকাশ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, হামলায় সেনুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজ‌ন অংশ নেয়। এতে  গুরুতর আহত হ‌য়ে‌ছেন ৪ সংবাদকর্মী.

    হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়,
    এই ধরনের হামলা স্বাধীন সাংবাদিকতায় চরম কুঠারাঘাতের সামিল। অবিলম্বে এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছে রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব এর পরিবারের সকল সদস্য ।

    এবিষয়ে রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আকাশ  বলেন, সেনুয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহের সময় প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক তানভির হাসান তানুসহ তিন সাংবাদিককে মারপিট করে আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
    আজ গণমাধ্যমকর্মীদের কোন নিরাপত্তা নেই। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে অন্যথায় রাজপথে কঠোর আন্দোলন করা হবে বলে জানান তিনি।

  • আগুনে পুড়ে সব শেষ পরিবার নিয়ে রাত কাটছে কাগজের নিচে।

    আগুনে পুড়ে সব শেষ পরিবার নিয়ে রাত কাটছে কাগজের নিচে।

    আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে গেছে সিরাজগঞ্জে জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের শাহীকোলা মন্ডলপাড়া গ্রামের কাফি প্রামানিকের। এই প্রচন্ড শীতে দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছেন তার পরিবার। কাফি শাহীকোলা গ্রামের আব্দুল লতিফ প্রামানিকের ছেলে। দু’দিন আগে রাত ১১টার দিকে বিদ্যুতের শর্টসাকির্টের মাধ্যমে তার ঘরে আগুল লাগে। আগুনে শোবার ঘরসহ তার দু’টি ঘরই পুড়ে যায়। রাস্তা না থাকায় উল্লাপাড়া থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। গভীর রাত হওয়ার কারনে প্রতিবেশীরাও সময়মতো আসতে পারেনি। পরে তাদে আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা আসলে ততক্ষুনে আগনে পুড়ে তার দু’টি ঘর পুড়ে শেষ হয়ে যায়। পুড়ে যায় তাদের ঘরের রক্ষিত সব আসবাবপত্র, কাপড়চোপড়। বর্তমানে কাফি দুই ছেলে এবং স্ত্রী নিয়ে প্রচন্ড শীতে তার পুড়িয়ে যাওয়া ঘরের ভিটায় চটের ছাউনি টানিয়ে রাত্রিযাপন করছেন। খুবই কষ্টে দিন কাটছে তাদের।

    শনিবার সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় কাফি প্রামানিকের স্ত্রীর সঙ্গে । তিনি জানান, নেই তাদের কোন সহায় সম্বল। পুড়ে যাওয়া ঘর নতুন করে নির্মাণের কোন সামর্থ তাদের নেই। বাড়ির এই সামান্য ভিটে ছাড়া আর কোন জমি নেই তাদের। দিনমজুরি করে অনেক কষ্টে দু’টি ঘর নির্মাণ করেছিলেন তার স্বামী। আগুনে সে ঘর দু’টিও পুড়ে শেষ হয়ে গেল।

    দিনমজুর কাফি জানালেন, তার দু’টি ঘরসহ রক্ষিত খাবার ও শীতের গরম কাপড় চোপর সবই পুড়ে গেছে। প্রতিবেশীরা কিছু চাল ডাল ও দুটি কম্বল দিয়েছে তাদেরকে। এ অবস্থায় মানবেতর ভাবে এখন তাদের দিন কাটছে। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ উপজেলা প্রশাসনের প্রতি তাকে অন্ততঃ একটি ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা করে দেবার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

    এ ব্যাপারে পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফিরোজের সঙ্গে যোযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। নিজে গিয়ে তাদের অবস্থা দেখে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে উল্লেখ করেন।

    এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।