Tag: পরিবার
-
পিলখান হত্যাকাণ্ডের ১৬ বছর পর বাড়ী ফিরবে রবিউল অপেক্ষার প্রহর গুনছে পরিবার।
(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১৬ বছর কারামুক্তি পাবেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রবিউল ইসলাম (৩৪)। গতকাল রোববার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ যে ২৫০ জন বিডিআর সদস্যকে খালাস দিয়েছে, তার মধ্যে একজন রবিউল ইসলাম।রবিউলের ভাই শাহাজাহান আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রবিউল ইসলাম উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের নেংটিহারা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। রবিউলের কারামুক্তির খবরে খুশি মা, ভাই পরিবার-আত্মীয়স্বজন এবং গ্রামের লোকজন। আগামী বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে শুক্রবার সকালে বাড়ীতে ফেরার কথা রয়েছে তার। ১৬ বছর তার ফেরার খবরে পরিবারের সাথে গ্রামের লোকজন তাকে একনজর দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন।সোমবার বিকালে রবিউলের বাড়ীতে গিয়ে জানা গেছে, এসএসসি পাশ করার পর চাকরি হয় রবিউলের। প্রশিক্ষণ শেষ করে যোগ দেন পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে। ২৬ দিনের মাথায় ঘটে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা। এরপর থেকে কারাগারে রবিউল। প্রথমে একটি মামলায় ৭ বছর সাজাভোগ করেছেন রবিউল। সাজা খেটে বের হওয়ার কিছুদিন পরে আবার বিস্ফোরক আইনের একটি মামরায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে।রবিউলের ভাই শাহাজাহান আলী জানান, চাকরি পাওয়ার পর বাবা ও মা খুব খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু এক মাস যেতে না যেতেই সব খুশি ম্লান হয়ে যায়। চাকরি করে উপার্জন করে রবিউল আমাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে সহযোগিতা করার কথা ছিল। কিন্তু তার উল্টো হয়েছে। রবিউল কারাগারে থাকা অবস্থায় তাকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা খাওয়া খরচ। কিছুদিন পর পর কাপড়-চোপড় কিনে দেওয়া, আদালতপাড়ায় অনেক খরচ করতে হয়েছে। তার পিছনে খরচ করতে করতে পুরো পরিবার প্রায় নি:স্ব।রবিউলের চাচা রেজাউল করিম জানান, ছেলের জন্য নানা দুশ্চিন্তায় অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিলেন রবিউলের বাবা আব্দুর রহমান। ফিরবে ফিরবে বলে অপেক্ষায় থাকতে থাকতে গত অক্টোবর মাসে মারা গেছেন। তার মা সালেহা খাতুন এখনও অসুস্থ, বোনের বাড়ীতে ঠাকুরগাঁও শহরে রেখে চিকিৎসা করাচ্ছেন। আজ যদি রবিউলের বাবা বেঁচে থাকতেন, রবিউলের বাড়ীর ফেরার খবরে সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন।রবিউলের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রবিউল আর ফিরবে না, এমনটা ধরে নিয়েছিল পুরো পরিবার। গত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ফলে রবিউল ফিরছে বাড়ীতে। ছোট সেই ছেলেটা এখন কত বড় হয়েছে, কেমন আছে। সেটা দেখার জন্য কবে ফিরবে, এমন খোঁজ খবর নিতে রবিউলের বাড়ীতে লোকজনের আসা যাওয়ার শুরু হয়েছে।রবিউলের দাদী জমেলা বেগম জানান, ‘ছুয়াডা কোন অপরাধে নি করে, তাহু ছুয়াডাক ১৬ বছর জেলত থাকিবা হইল। এতদিন বাড়ীত থাকিলে বেহা করিলেহে, ওয়ার বাপ-মা নাতি-পুতির মুখ দেখিবা পারিলেহে।’রবিউল ইসলামকে পুনরায় চাকরিতে পুনবর্হাল, একই সাথে দীর্ঘদিন বিনা অপরাধে কারাগারে থাকা এবং তার পেছনে খরচ করতে গিয়ে আর্থিক ভাবে যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি। তার ক্ষতিপুরণ সরকারের কাছে দাবি করেছেন রবিউলের ভাই শাহাজাহান আলী। -
রামপালে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের চেষ্টাঃ চরম নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃবাগেরহাটের রামপালে স্থানীয় বিএনপি নেতা আকবর হোসেন আকো ওরফে আকো মেম্বর ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে অসহায় হিন্দু পরিবারের জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে।এ বিষয়ে গত (৮ ই জানুয়ারি) ভুক্তভোগী নারী উপজেলার ভাগা এলাকার মৃত নরেন্দ্রনাথ মন্ডলের মেয়ে তিথি মজুমদার সহকারী পুলিশ সুপার (মোংলা সার্কেল) বরাবর প্রভাবশালী বিএনপি নেতা আকবর হোসেন আকো এবং তার অনুসারী ফিরোজ মল্লিক, নাসির সরদার, আকবর শেখ, হালিম শেখ, সেকেন্দার সরদার ও পরিতোষ মন্ডলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্তমানে পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন।সহকারী পুলিশ সুপার (রামপাল-মোংলা সার্কেল) বরাবর দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন যে, তার পৈতৃক ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত উপজেলার সুলতানিয়া মৌজায় ২.৭৫ একর সম্পত্তি রয়েছে- যা তারা বিগত শতবছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছে। জমির কিছু অংশে অন্য শরীকদের ৪ টি বসতবাড়ী এবং তার দখলীয় জমিতে পৃথক মৎস্য ঘের অবস্থিত। জমিতে বিবাদী পক্ষ বা তৎপক্ষে অন্য কারো সত্ব দখল অধিকার নেই। কিন্তু বিবাদী আকো মেম্বরসহ আরও কয়েকজন হঠাৎ করে গত ইং (১৬-১২-২০২৪) তারিখে জমিতে বাঁশ খুটি দ্বারা ঘেরের বাসাঘর তৈরির উদ্যোগ নেয়। তখন সে তৎক্ষনাৎ বিষয়টি বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপারকে মোবাইল ফোনে অবহিত করলে তিনি ঘটনাস্থলে রামপাল থানা হতে পুলিশ প্রেরণ করেন। পুলিশ আসার পূর্বেই বিবাদী পক্ষ ঘরের অবকাঠামো তৈরি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গত (১৭-১২-২০২৪) তারিখে দিবাগত রাত ৩ টার দিকে টিন দ্বারা ঘরের ছাউনী দেয়। ওই মৎস্য ঘেরে তার অনেক টাকার মাছ এবং কাকড়া আছে- যা বিবাদী পক্ষ আত্মসাৎ করেছে। তিনি লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন যে, সে এক অসহায় নারী, পক্ষান্তরে বিবাদী পক্ষ ধনে জনে প্রভাবশালী। এ কারণে তিনি স্থানীয়ভাবে নালিশ জানাইয়া কোনরূপ প্রতিকার পায় নাই।তুলি মন্ডল নামে আরেক সংখ্যালঘু নারী সাংবাদিকদের জানান যে, ❝আকো বাহিনী জোর করে তাদের মৎস্য ঘেরের মাছ মেরে নিয়ে গেছে এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার কারণে সন্ত্রাসী আকো বাহিনী তাদের বাড়িতে এসে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে এবং পথ-ঘাটে তার পিতা ও পরিবারের সদস্যদের ভঁয়-ভীতি দিচ্ছে। এমনকি তাদের বাড়ী থেকে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে।❞স্থানীয় আরেক বাসিন্দা আবেদা বেগম সাংবাদিকদের জানান যে, ❝তার ও এখানে তিন বিঘার একটি মৎস্য ঘের রয়েছে। তিনি বলেন যে ,আকো ও তার সংগীয় লোকজন তার স্বামীকে মারতে ধরতে গেছে এবং পাঁচ দিনের মধ্যে তার মৎস্য ঘের ছেড়ে দিতে হুমকি দিয়েছে। আকো বাহিনী জোর করে তাদের মৎস্য ঘেরে বাসা বেধেছে এবং নানা ধরনের ভঁয়-ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে বলে তিনি আকো ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন।❞এ বিষয়ে আকবর হোসেন আকো জানান, ❝তিনি সেখানে ঘর বেঁধেছেন। ওই ঘেরে তার বৈধ জমি রয়েছে এবং জমির বৈধ কাগজপত্রও রয়েছে।❞এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (রামপাল-মোংলা সার্কেল) মুশফিকুর রহমান তুষার সাংবাদিকদের জানান যে, ❝উপরোক্ত বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষকে জমির সঠিক কাগজপত্র নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই করে সঠিক জমির মালিককে জমি বুঝিয়ে দেয়া হবে।❞ -
অসহায় পরিবারের গবাদি পশু সন্ত্রাসীদের কব্জায়-ফেরত পেতে সংবাদ সম্মেলন।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার কাশিপুর এলাকায় একটি অসহায় পরিবারের গবাদিপশু সন্ত্রাসীদের কব্জায় নেয়া ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে অসহায় পরিবার তাদের গরু-ছাগল ফেরত পেতে ও মারধরের বিচার পেতে ‘রামপাল প্রেসক্লাব’ এ এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী কাশিপুর এলাকায় মৃত এসকেন্দার হাওলাদার’র স্ত্রী পারভীন বেগম(৪৩)। এছাড়াও তিনি রামপাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, একই এলাকার মোল্যা কামরুজ্জামান বাবু(৪৮), লাবনী বেগম(৩৭), ফকির তারেক(৩৫) ও ফকির দিদার(৪৭) পরসম্পদলোভী, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, আওয়ামীলীগের দোসর ও আইন অমান্যকারী ব্যক্তি।
গত ০৬-১১-২০২৪ তারিখ লাবনী বেগম আমাদের বাড়িতে এসে আমার ছেলে আল আমিন (১৭)কে ছাগল চুরির অপবাদ দিয়ে আমাদের গালিগালাজ করে এবং আমার ছেলেকে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে বলে। আমি তাদের কথামতো তাদের বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে হাজির হলে কামরুজ্জামান ও তার সাথের লোকজন আমাকে এবং আমার ছেলেকে মারধর করে। এসময় তারা আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। মারধরের পরে তারা আমার ছেলেকে একটি ছাগল দিয়ে শোলাকুড়া এলাকায় বিক্রি করে এনে দিতে বলে। তাদের সাজানো লোক দিয়ে আমার ছেলেকে আবারো মারধর করে এবং তাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে। পরবর্তীতে কামরুজ্জামান’র স্ত্রী লাবনী বেগম কয়েকজন মহিলাকে সাথে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বড় আকৃতির একটি গরু ও তিনটি ছাগল জোরপূর্বক নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা।
তিনি আরো জানান, বিগত দিনে তারা বাইনতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। আমি একজন অসহায় নারী আমি আমার গরু-ছাগল ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, তারা যেকোনো সময় আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কামরুজ্জামান বাবু উল্লেখিত সকল বিষয় অস্বীকার করে বলেন, আমি ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি কারো গরু-ছাগল আনি নাই, সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সেলিম রেজা জানান, পারভীন বেগম একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করবে এবং অভিযোগ সত্য হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
-
লক্ষ্মীপুরের জজকোর্টের আইনজীবির হাতে মারধরের শিকার অসহায় পরিবার।
লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ
ঘড়ির কাঁটা ১০টা বেজে কিছু সময়। আদালত পাড়ায় মানুষের আনাগোনাও বাড়ছে, বাড়ছে কর্মব্যস্ততাও। হঠাৎ কালো গাউন পরিহিত ও কোর্ট পরিহিত দুইজন এক যুবককে টেনেহেঁচড়ে মারধর করতে করতে নিয়ে যাচ্ছে। এ দৃশ্য দেখার পর কেউ কেউ থামাতে গিয়েও ব্যর্থ হন। পরে জানা যায় বড় বোনের কাবিনের টাকা আইনজীবি না দিয়ে গড়িমসি করছেন। মারধরের শিকার ওই যুবকের স্বজনদের দাবি, ওই আইনজীবি কাবিনের টাকা আত্মসাদ করার জন্য মোবাইল ফোন বন্ধ ও বাদির ব্যবহৃত নাম্বার ব্লক করে দিয়েছেন। ঘটনাটি লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণের।গেলো সোমবার (২৫মার্চ) বড় বোনের দেনমোহরের টাকা চাইতে গিয়ে ফয়সাল নামের এক যুবক আবদুস সামাদ আজাদ হিরণ নামের এক আইনজীবির হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন। এঘটনায় ভুক্তভোগীর বোন শিমু আক্তার জেলা আইনজীবি সমিতির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আবদুস সামাদ আজাদ হিরণ লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের আইনজীবি ও ভুক্তভোগী ফয়সাল হোসেনের বড় বোন শিমু আক্তারের মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবি।শিমু আক্তার ও ফয়সাল হোসেন জানান, শিমু দেনমোহরের প্রাপ্য টাকা পেতে আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত ও উভয়পক্ষের আইনজীবির মধ্যস্থতায় দেনমোহরের দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। কয়েক ধাপে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেয়া হলেও বাকি ৬০ হাজার টাকা দিতে বাদির আইনজীবি আবদুস সামাদ আজাদ হিরণ গড়িমসি করেন। পরে ঘটনার দিন বাদির ভাই ফয়সাল হোসেনকে আইনজীবি হিরণের কাছে থাকা বাকি ৬০ হাজার টাকা নিতে বলেন। এসময় ফয়সাল ঘটনাস্থলে আসলে হিরণসহ কয়েকজন আইনজীবি একত্র হয়ে ফয়সালকে জামার কলার ধরে টেনে হেঁচড়ে আইনজীবি সমিতির শৌচাগারে প্রায় আধা ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে আদালতের আরেক আইনজীবি ফিরোজ আলম ওই যুবককে উদ্ধার করে।
মামলার বিবাদি শিমু’র স্বামী রিয়াদ জানান, বাদিকে দিতে তিনি কয়েক ধাপে ২ লাখ বিশ হাজার টাকা আইনজীবির কাছে দিয়েছেন। পরে বাদির উকিলকে দেয়ার জন্য আরো পাঁচ হাজার টাকাও দেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতে সেবা নিতে এসে বিচারপ্রার্থীরা এর আগেও অনেকবার হেনস্থার শিকার হয়েছেন, পড়েছেন আইনজীবিদের রোষানলেও। এতে ন্যায় বিচারতো দূরে থাক বাদি-বিবাদী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বলে মনে করেন সচেতন মহল
-
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ ৫ জনের মৃত্যু,আহত-১।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ইং, ভোর ৫ টার সময় উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামের মখলিছ মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন- টেলাগাড়ি চালক মোঃ ফয়জুর রহমান (৫২), তার স্ত্রী শিরিন বেগম (৪৫), মেয়ে সামিয়া (১৬), সাবিনা (১৩) ও ছেলে সায়েম উদ্দিন (৮)। এদের মধ্যে মেয়ে সামিয়া নবম শ্রেণি ও সাবিনা সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় আহত সোনিয়া আক্তার (১২) তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বসতঘরের ওপর পরলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোনিয়া আক্তার নামে এক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।আরও বলেন, পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামে ফয়জুর রহমানের বাড়ির উঠানে পাঁচজনের লাশ রাখা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজনরা ছুটে এসেছেন। লাশের পাশে বসে তারা কান্নাকাটি করছেন। ঘরের ভেতর বিদ্যুতের তার, মিটার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খাটের লেপ-তোশকও পুড়ে গেছে।দেখা যায়, পূর্ব গোয়ালবাড়ি সড়কের এক পাশে টিনের চালা ও বেড়ার তৈরি ঘরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকতেন ফয়জুর রহমান। তার ঘরের উপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন টানানো।নিজের জমি না থাকায় রহমত আলী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির পতিত জমিতে ফয়জুর রহমান ঘর তৈরি করে বসবাস করছিলেন বলেও জানা যায়।জুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মাইনুদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার প্রস্তুতি চলছে। -
গোয়ালন্দে হোসাইন ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৩’শ পরিবার পেল ইফতার সামগ্রী।
রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃপবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী হোসাইন ইয়ুথ ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মাদ হোসাইন’র সার্বিক সহযোগিতায় গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম, দৌলতদিয়া, উজানচর ও পৌরসভার অসহায় ৩০০’শ পরিবারের মাঝে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দিনব্যাপী হোসাইন ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফাউন্ডেশনের একটি স্বেচ্ছাসেবকদল একটি ট্রাকে করে গোয়ালন্দ উপজেলার তেনাপচা কাজী মনাক্কা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দৌলতদিয়া কেকেএস প্রবীণ কেন্দ্র, দৌলতদিয়া মডেল হাই স্কুল, মেসার্স কফিল ফিলিং স্টেশন, ৮ নং তোরাপ শেখের পাড়া, উজানচর সামচু মন্ডলের বাজার, জমিদার ব্রিজ, পৌর ৯ নং ওয়ার্ড কাইমদ্দিন প্রামানিক পাড়া, গোয়ালন্দ বাজার গরুর হাট, গোয়ালন্দ ব্রাক অফিস, এলাকায় এ ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ইফতার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ কেজি চাউল, ১ কেজি ছোলা, চিড়া, খেজুর, আখের গুড়, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মুড়ি ও আলুসহ মোট ১৯ কেজির প্যাকেজ অসহায়দের মাঝে উপহার দেয়া হয়।ইফতার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপকারভোগী জনগোষ্ঠীর ভোগান্তি কমাতে তাদের দৌড় গোড়ায় পৌঁছে দিতে হোসাইন ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের মো. সেলিম শেখ, মো. সুলতান মোল্লা, মো. আলাউদ্দিন, আমজাদ হোসেন , জিয়াউর রহমান, লিয়াকত হোসাইন, মো. মামুন, আয়নাল আহসান, মুরাদ হোসেন, আলামিনসহ হোসাইন ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এ সম্পর্কে হোসাইন ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ হোসাইন মুঠোফোনে জানান, মানুষের জন্য কিছু করার মত আনন্দ বা সুখ পৃথিবীতে আর কিছুতে নেই। আমি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে কাজ করি। আমাদের আশে পাশে অনেক নিম্মবিত্ত প্রতিবেশি আছেন, যারা অনেক কষ্টে জীবন-যাপন করলেও কারো কাছে হাত কিছু চাইতে পারেন না। আমরা গরীব-অসহায়দের পাশাপাশি সেইসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এর পাশাপাশি যে কোন সামাজিক ও মানবিক কাজ করে থাকি। এরই ধারাবাহিকতায় পবিত্র রমজান মাসের প্রথম রোজায় ৩০০’শ পরিবারের মাঝে রমজানের ইফতার সামগ্রী উপহার দিয়েছি। আমি সকলের নিকট দোয়া কামনা করছি। -
দেওয়ানগঞ্জে অপহৃত কলেজ ছাত্রী দিশা’কে ফিরে চায় তার পরিবার।
ফরিদুল ইসলাম,দেওয়ানগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধিঃ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কাঠারবিল এলাকায় দিশা আক্তারের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার।উপজেলার হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমিনুল ইসলামের মেয়ে কলেজ ছাত্রী দিশা আক্তারের সন্ধান চেয়ে ও অপহরণকারী সিফাতের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের কাঁঠারবিল ভিকটিম পরিবারের নীজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এসময় বক্তারা বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি দিশা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাহিরে গেলে একই গ্রামের আলতাফ হোসেনের পুত্র সিফাত তার কয়েকজন বন্ধুসহ জোরপূর্বক কিশোরী দিশাকে তুলে নিয়ে যায়।এ বিষয়ে দিশার পরিবার দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কলেজ ছাত্রী দিশাকে ফিরে পেতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান এলাকাবাসী। -
নারী ফুটবলার সাগরিকার পরিবার বসবাস করে ভাঙ্গাচোরা ঘরে অন্যের জমিতে।
আনোয়ার হোসেন আকাশ,(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবল দলের আলোচিত খেলোয়ার মোছাম্মত সাগরিকার পরিবার থাকে অন্যের জমিতে। মানুষের দেওয়া প্রায় ১০ শতাংশ জমির মধ্যে কাশঁবন, বাশেঁর বাতা আর ছাপড়া টিন দিয়ে নির্মাণ হয়েছে বাড়ী। সেই বাড়ীর ঘর হচ্ছে দুটি একটিতে থাকতেন সাগরিকা, আরেকটিতে তার ভাই সাগর। সাগরিকার বাব, মা থাকেন তাদের চায়ের দোকানেই। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা মিলে।সাগরিকার বাবা মোহাম্মদ লিটন আলী ও মা আনজু আরা বেগম মিলে তাদের বাড়ী থেকে আধা কিলো দুরে বাশরাইল গ্রামের মহাসড়কের পাশে মানুষের জমিতে একটি চায়ের দোকান করেন। জীবন জীবিকা চলে এই চায়ের দোকান করেই।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাণীশংকৈল- হরিপুর মহাসড়কের বাশরাইল এলাকা থেকে মহাসড়কের উত্তর দিক দিয়ে সুরু পথ ধরে প্রায় আধা কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে যেতেই দেখা মিলে সাগরিকার বাড়ী। বাড়ীর প্রবেশ পথেই ছোট একটি দরজা রয়েছে। বাড়ীটি কাশঁবন দিয়ে বেড়া বানিয়ে ঘেরা দেওয়া রয়েছে। এছাড়াও ঘর দুটিও কাশবঁন দিয়ে বাশের বাতা দিয়ে বেড়া বানিয়ে ঘর করা হয়েছে। ঘরের ছাউনি হিসাবে রয়েছে ছাপড়া টিন। অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ও টিউবওয়েল। সাগরিকার বাবা মা জানান, টাকার অভাবে ইচ্ছা থাকাও সত্বেও স্বাস্থ্য সম্মত টিউবওয়েল ও ল্যট্রিন নির্মাণ করতে পারছে না। সব মিলে বাড়ী ঘর ভাঙ্গাচোরা।স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব আলী,সোহেল রানা বলেন, সাগরিকারা অত্যন্ত গরিব। তারা খুব কষ্ট করে দিননিপাত করছে। অন্যের জমিতে কোন রকম বাড়ী বানিয়ে বসবাস করছে। তারা আরো বলেন, সাগরিকার জন্য আজ আমাদের গ্রাম রাঙ্গাটুঙ্গি সারা দেশের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। সাগরিকার এ অর্জন আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব। তারা সাগরিকাকে দেশের সম্পদ আখ্যায়িত করে বলেন, সরকার যদি সাগরিকার পরিবারের পাশে দাড়ান,তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ান। তাহলে সাগরিকার মত অনেক সাগরিকা ভালো খেলোয়ার হওয়ার উৎসাহ পাবেন।সাগরিকার বাবা লিটন আলী জানান, অন্যের বলতে উকিল নামে এক ব্যক্তির এ জমির কোন দাবীদার না থাকায় তারা সেখানে কোন রকম বাড়ী বানিয়ে থাকছেন। অর্থের অভাবে জমি কিনতে পারছে না। তাই সেভাবে বাড়ীও বানাতে পারছে না।সাগরিকার মা আনজু আরা বেগম বলেন, তার মেয়ে সাগরিকা যে পরিবেশে এখন থাকছে। সেই পরিবেশ তো আর তাদের বাড়ীতে নেই। মেয়ে আসলে কোথায় কিভাবে তাকে থাকতে দিবে সেটি নিয়ে তিনি খুব দূশ্চিন্তায় পড়েছেন। সাগরিকার মা আরো জানান, তার মেয়ে অনেক সময় তার বন্ধুদের নিয়ে তাদের বাসায় আসতে চান। কিন্তু তিনি নিষেধ করেন। সাগরিকার বন্ধুরা আসলে কোথায় বসতে দিবে, আর কোথায় থাকতে দিবে তা ভেবেই তিনি সাগরিকার বন্ধুদের আসতে বাড়ন করেন। সাগরিকার মা বলছেন, সমিতির লোন করে নিজস্ব জমি কেনার চেষ্টা করছেন। কম দামে জমি পেলে তিনি ঋণ করে জমি কিনবেন বলে প্রত্যাশা করছেন। -
কানাইঘাটে পূর্ব শক্রতার জেরধরে একই পরিবারের ৪ জন আহত ।
কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ কানাইঘাট পৌরসভার ফাটাহিজল গ্রামে পূর্ব শক্রতার জেরধরে একই পরিবারের নারী-পুরুষ সহ ৪ জন আহতের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও আহতের পরিবার কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে।আহতরা হলেন, ফাটাহিজল গ্রামের আব্দুর রবের পুত্র এখলাছ উদ্দিন, তার চাচাতো ভাই আছাব উদ্দিন, ফুফু জয়গুন নেছা, চাচাতো বোন ফাহফুজা বেগম। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জানুয়ারী সকাল ৮টার দিকে ফাটাহিজল গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের আব্দুল খালিক মটর ও তার ৩ ছেলে পরিবারের সদস্যরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লাঠি-সোটা নিয়ে এখলাছ উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের হামলা চালায়। এতে হামলাকারীদের হাতে ৪ জন আহত হন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।পরে এখলাছ উদ্দিন বাদী হয়ে আব্দুল খালিক মটর ও তার ৩ ছেলে সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গ্রামের মুরব্বীয়ানরা বিষয়টি আপোষ-নিষ্পত্তি করার জন্য পুলিশের কাছ থেকে সময় নিলেও অভিযোগের বিবাদীরা স্থানীয় বিচার মানেনি।অভিযোগের বাদী এখলাছ উদ্দিন জানিয়েছেন, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখন পর্যন্ত অভিযোগটি রেকর্ড করা হয়নি। -
হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে লিমন বাঁচতে চায়,বাঁচাতে সবাই এগিয়ে আসুন।
পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:মানুষ তো মানুষের জন্য, জীবন তো বাঁচার জন্য,একটু সহানুভূতি হলে ছেলেটি বেঁচে যাবে।
এই ছোট ছেলেটির নাম লিমন বয়স ১১ বছর তার বাবা ইসাহক আলী পেশায় একজন অটো চালক গ্রাম সেতরাই,থানা :পীরগঞ্জ, জেলা: ঠাকুরগাঁও।
পীরগঞ্জ এর ২নং কোষারানীগঞ্জ ইউনিয়ন বাসা ছেলেটার।আমার বাসার সাথেই তার বাসা সম্পর্কে দিক দিয়ে
চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। লিমন তার দুই বছরের বোনকে নিয়ে বাসার গেটের ভিতরে খেলা করতেছিল।
এমতাবস্তায় চালক রাস্তা য় না চালিয়ে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাড়ির গেটের পিলারে ধাক্কা মারে, ভিতরে থাকা ভাই ছোট বোনকে ছুঁড়ে দিয়ে নিজে পালানোর সময় পিলার ভেঙে তার উপরে পরে, একটি পা পুরোটাই ক্ষতবিক্ষত হয়ে আলাদা হয়ে যায়।সাথে সাথে পীরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার সাথে সাথে বলে দিনাজপুর হাসপাতালে নিয়ে যেতে সেখানে পা কেটে ফেলতে বলে সবার পরামর্শ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্য নিয়ে যায় পা না কেটে ভালো একটি সিদ্ধান্ত নেয় তারা ঢাকা যাওয়ার।
বর্তমান ঢাকা জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল ও পূনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে একটি অপারেশনের মাধ্যমে পা জোড়া লাগানো হয়েছে । তাদের কাছে জমানো টাকা ছিল শেষ হয়ে গেছে।
আরো কয়েকটি অপারেশন হবে যা তাদের পক্ষে এই চিকিৎসা বহন করা সম্ভব নয়। এই চিকিৎসা বহন করতে ৬/৭ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। লিমনের বাবা, মা, চাচা সমাজে সবার কাছে সাহায্য সহযোগিতা চায় তাদের একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বৃত্তবানদের সহযোগিতা চায়।
এই দিকে ছোট লিমন হাসপাতাল বেডে শুয়ে তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আকুতি মিনতি করতেছে। তার বাবা আমাকে জোর দাবি করে বলে যে যা পারে সাহায্যের হাত টুকু যদি বাড়িয়ে দিত তবে আমার ছেলে লিমনকে ফিরে পেত তার হারানো পা সহ!!
আমার বিকাশ ও রকেট নাম্বার👇বিকাশ ০১৭০১০১৬৯৯৯
নগদ :০১৭৯১৮৮১৪৪৮ রুগীর চাচার👇বিকাশ+রকেট: ০১৭২৩৬৩০৭২৮