Tag: নিহত
-
মোটরসাইকেল ও সিএনজি’র মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজ ছাত্র নিহত।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মোটরসাইকেল ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী হামাদন সোহান(২১) নামের কলেজ ছাত্র মারা গেছে। নিহত সোহান মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের বাকী দুই আরোহী আহত হয়েছে। নিহত হামদান সোহান মৌলভীবাজার শহরের মুসলিম কোয়ার্টার এলাকার মঈন আহমদ এর ছেলে।আজ শনিবার ৯ নভেম্বর,সকালে উপজেলার ধলাই নদীর চৈত্রঘাট ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটনাটি ঘটে।এ ঘটনায় তার সাথে থাকা অপর আহত দুজন তার আপন ছোট ভাই ও তার এক বন্ধু গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষণিক তাদের নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে হামদান সোহান তার ছোট ভাই সহ বন্ধুকে নিয়ে তিনজন একই মোটরসাইকেল যোগে চৈত্রঘাট ব্রিজের কাছে পৌঁছালে, বিপরীত দিক থেকে একটি দ্রুতগামী সিএনজি’র সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতালের নিয়ে গেলে সোহানকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।বিষয়টি নিশ্চিত করেন মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মোঃ মাহবুবুর রহমান। -
ভারতের মারচুলায় যাত্রীবাহি বাস গভীর খাদে পরে নিহত-৩৫,নিখোঁজ-৫।
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ভারতের উত্তরাখণ্ডে যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে এবং রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে ৫ জন।
সোমবার (৪ নভেম্বর) আলমোড়া জেলার মারচুলা এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য নির্শ্চিত করেছে।
দুর্ঘটনায় পড়া বাসটি ৫০ জন যাত্রী নিয়ে পাউরি গাড়োয়াল জেলার নৈনি ধান্দা থেকে নৈতিতাল জেলার রামনগরে উদ্যেশ্যে যাচ্ছিল।আলমোড়া মারচুলা এলাকায় পৌছালে বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে প্রায় ২’শ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায়।বাসটিতে কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। খাদে গড়িয়ে পড়ার পর বাসটি নদীর ধারে এসে পড়ে। বাসটি পুরোপুরি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আলমোড়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা বিনীত পাল জানিয়েছে, কমপক্ষে ৩৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। আরও কয়েকজন আহতকে চিকিৎসার জন্য কাছাকাছি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা এখনো ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া যাত্রীদের খুঁজে বের করতে উদ্ধার কর্মীদের সহায়তা করছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে আরও গতি আনতে বলা হয়েছে। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টে একে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেছেন, আলমোরা জেলার মারচুলার কাছে এই দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে। জেলা প্রশাসনকের পক্ষ থেকে ঘটনা স্থলে দ্রুত ত্রাণ সামগ্রী সহ নিখোঁজ ব্যক্তিরা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ধামি জানান, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের পাশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠাচ্ছেন এবং গুরুতর আহতদের প্রয়োজনে হেলিকপ্টারে নিয়ে আসা হবে।
এ ঘটনায় স্থানীয় আরটিও কর্মকর্তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। নিহতদের পরিবারকে চার লাখ টাকা ও আহতদের এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া কথা জানান তিনি।
এ ঘটনার রহস্য জানতে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
-
মিয়া খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ,নিহত-১।
নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ফখরুল মিয়া নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও দুজন।সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ইং, এ ঘটনায় সুমনা (২৩) নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে।হতাহতের বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মোঃ মাহবুবুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করে বলে, গতকাল রবিবার বিকেলে সদর উপজেলার আপার কাগাবলা ইউনিয়নের আগিউন গ্রামে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত ফখরুল মিয়া আপার কাগাবলা ইউনিয়নের আগিউন গ্রামের আব্দুল বাছিত মিয়ার ছেলে। হতাহতের ঘটনার পর রবিবার রাতে থানায় মামলার দায়ের করা হয়।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে ফখরুল মিয়া খালে মাছ ধরতে যান। এ সময় একই এলাকার গোলাপ মিয়ার সঙ্গে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোক জড়ো হলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন ফখরুল মিয়ার ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত ফখরুল মিয়াকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। -
মৌলভীবাজার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরীর পরিবারের পাশে-তারেক রহমান।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ’আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশনায় মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক হত্যার শিকার স্বর্ণা দাসের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রতিনিধি দল। রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ইং, সকাল ১১টার সময় মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার খাগটেকা বাজার সংলগ্ন এলাকায় স্বর্ণা দাসের বাবা ও ভাইয়ের সাথে দেখা করে প্রতিনিধি দলটি।এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা আলমগীর কবীর, আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমন।মৌলভীবাজার বিএনপি’র উপদেষ্টা ও কাতার বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক সাজুর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন— ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোঃ মোকছেদুল মোমিন (মিথুন), সদস্য মাসুদ রানা লিটন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা আবুল কাশেম, সিদ্দিক আহমদ, সায়ফুর রহমান, কুদ্দুস আহমদ, কামাল হোসেন, এনাম উদ্দিন, গুলজার আহমদ রাহেল, হোসেন আহমদ দোলন, জালাল উদ্দিনসহ আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র অর্থ সম্পাদক, পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব মনোয়ার আহমেদ রহমান, মৌলভীবাজার জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান দিনার, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদল সভাপতি রুবেল আহমদ-সহ বড়লেখা উপজেলা বিএনপি ও অন্যান্য অংগ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।এদিকে, বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিমের সময়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা হয়েছে, হামলা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার, গুম ও খুন করা হয়েছে। তারপরও বিএনপি’র একজন নেতাকর্মীকেও লক্ষ্য থেকে তারা সরাতে পারেনি। দলের প্রতিটি নেতাকর্মী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াইয়ে কাজ করে গেছেন। দেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, সর্বশেষ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুৎ করার চূড়ান্ত লড়াইয়ে অনেক প্রাণ গেছে। এতো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারের দোসরদের স্থান হবে না বলে জানান তিনি। -
রাণীশংকৈলে প্রাইভেট কার উল্টে যুবক নিহত : আহত ৭।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে প্রাইভেট কার উল্টে এক যুবক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় এই যুবকের ৭ আত্নীয় আহত হন।আজ শুক্রবার বিকালে গাড়িতে থাকা সকলে মিলে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারি সীমান্তের মন্ডুমালা গ্রামে এশিয়ার সর্ব বৃহত্তম ২.৫ বিঘা জমি জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এই গাছটি দেখতে যাওয়ার সময় রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বাজার গরুহাটি সংলগ্ন স্থানে আসা মাত্র প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার মধ্যে উল্টে যায়।রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়ন্ত কুমার সাহা এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত যুবক হলেন দিনাজপুর সদর থানার ডায়াবেটিস মোড় এলাকার সৈয়দ আফরোজ ইসলামের ছেলে রাসেল ইসলাম (২৫)ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার বিকাল ৪ টার দিকে রাণীশংকৈল থেকে একটি প্রাইভেট কার নেকমরদ এলাকার গরুহাটির সামনে আসলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। এ সময় গাড়িটি মহাসড়কে উল্টে গেলে কয়েকবার পাল্টি খায়। ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। গুরুতর আহত হন গাড়িতে থাকা ৭ যাত্রী।আহতরা হলেন রাণীশংকৈল উপজেলার সন্ধ্যারই এলাকার মোশারফের ছেলে তনময় (১৮) মধ্য ভান্ডার এলাকার আসমত আলীর স্ত্রী আসকা খাতুন (২২) বটগাও এলাকার রফিকুলের মেয়ো রুপসা (১৫) হিলিপোর্ট এলাকার শিমুলের স্ত্রী আসমা (২০) হরিপুর মেদনিসাগর এলাকার রেজোয়ানুল হকের মেয়ে রাদিয়া দিনাজপুর সদর এলাকার মহিবুল আলীর ছেলে রাজিউল(১৭) ও রাজশাহী সদর কাশিয়াডাঙ্গা থানা এলাকার শামসুল ইসলামের ছেলে জুনায়েদ (১৮) ওই গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন।দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি মহাসড়ক থেকে সরানো হয়েছে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান এসআই সহিদুল ইসলাম।রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়ন্ত কুমার সাহা বলেন,আজ বিকালে তাঁরা প্রাইভেট কারে করে বালিয়াডাঙী দিকে আমগাছ দেখতে যাচ্ছিলেন।নেকমরদ এলাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে গাড়িটি উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই একজব নিহত হন।খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি ইউডি মামলা করা হবে। -
বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ছেলে নিহত, আহত বাবাসহ ২।
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে জয়ন্ত কুমার (১৫) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জয়ন্তের বাবা মহাদেব চন্দ্র (৪৪) এবং প্রতিবেশী দরবার হোসেন (৪৮)। আজ সোমবার ভোর ৪টায় সময় ধনতলা সীমান্তের নিটালডোবা গ্রামের ৩৯৩ নম্বর পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির। তিনি বলেন, বিএসএফের গুলিতে একজন মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দুজন আহত হয়ে রংপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছে।তবে নিহত কিশোরের মরদেহ ভারতের ডিঙ্গাপাড়া বিএসএফর সদস্যরা সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার সময় নিয়ে গেছে বলে জানান স্বজনরা।নিহত কিশোর জয়ন্ত কুমার ও তার বাবা মহাদেব উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ঠুমনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। জয়ন্ত লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। অপর আহত দরবার হোসেন নিটালডোবা গ্রামের বাঠু মোহম্মদের ছেলে।স্থানীয়রা জানায়, ভোর রাতে মহাদেব, তার একমাত্র ছেলে জয়ন্তসহ আরও ১৫-২০ জন ৩৯৩ নম্বর পিলার দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। এ সময় ভারতের ডিঙ্গাপাড়া সীমান্তের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে মারা যায় জয়ন্ত কুমার। এ সময় পায়ে গুলি লেগে আহত হোন মহাদেব ও প্রতিবেশী দরবার হোসেন।আহত দরবার হোসেনের ভাতিজা হামিদুল ইসলাম জানান, সকালে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন চাচা। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে কোন হাসপাতালে নিয়ে গেছে বলতে পারছেন না তিনি।নিহত কিশোর জয়ন্তের মা ও মহাদেবের স্ত্রী অধিকা রানী ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সকাল থেকে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা চলছে তাঁর।জয়ন্তের বড় বোন স্মিতা রানী বলেন, ‘ভাইয়ের মৃত্যু এবং বাবার গুলি লেগেছে শোনার পর মা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর থেকে চিকিৎসা চলছে।’ বাবা কোনো হাসপাতালে আছেন বলতে চাননি স্মিতা। তবে ভাইয়ের মুখ শেষবারের মতো দেখার জন্য লাশ ফেরতের দাবি জানান তিনি।ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজীর আহাম্মদ জানান, ‘আমরাও স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি একজন মারা গেছেন, দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিষয়টি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।’ -
ছাগলে মসজিদের আম গাছের পাতা খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত-১।
গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী গোদাগাড়ীতে ছাগলে স্থানীয় মসজিদের আম গাছের চারা – পাতা খাওয়া কেন্দ্র করে,১৫ এপ্রিল সোমবার বিকেল ৩ টার সময় দিগরাম ঘুন্টিঘর এলাকায় মোঃ সাদেকুলের ছাগলে স্থানীয় মসজিদের আম গাছের পাতা খায়। ওই দিন সন্ধ্যা পণে টার সময় মসজিদ কমিটির সভাপতি সাবেক মেম্বর নিজাম উদ্দিন, সাদেকুলকে ডেকে তার ছাগল মসজিদের আমগাছের পাতা খাওয়ার বিষয়ে বললে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর কিছুক্ষন পর ঘটনাস্থলে আরিফুল ইসলাম,জামাল হোসেন,মজিবর হোসেনসহ আরো অনেকে লাঠিসোটাসহ উপস্থিত হয়ে পূর্বের বিষয় নিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতির সাথে তর্ক বিতর্ক শুরু করেন।
এসময় মোঃ রুহুল আমিন(৪২) দিগরাম ঘুন্টিঘর সভাপতির পক্ষ নিয়ে কথা বললে তার উপর চড়াও হয় এবং বাঁশের লাঠি, ইট দিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। তাকে রক্ষার জন্য হাজরাপুর গ্রামের মোঃ নাজিরুল ইসলাম আগাইয়া আসলে তাকেও মারপিট করে জখম করে। এক পর্যায়ে গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। নাজিরুল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় যায়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন বলেন এই ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলার রুজু করা হয়েছে।এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার এর চেষ্টা অব্যাহত আছে।
-
গোদাগাড়ীতে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত।
গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে চাঁপাইগামী যাত্রীবাহী একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী শহীদ আহমেদ সূর্য নিহত হয়েছেন। রবিবার বিকাল ৪ টার দিকে গোদাগাড়ী পৌরএলাকায় সারেংপুর এলাকায় রাজশাহী -চাঁপাই মহাসড়কে চাঁপাইগামী যাত্রীবাহী বাসে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোরের নাম শহীদ আহমেদ সূর্য (১৭) তিনি গোদাগাড়ী পৌর এলাকার সুলতানগঞ্জ গ্রামের ইলিয়াস আলীর ছেলে।সারেংপুর এলাকার বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফিরছিলেন। সারেংপুর মসজিদের কাছাকাছি চাঁপাইগামী একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হলে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সন্ধ্যায় মারা যায়।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, ঘটনার পর বাস নিয়ে পালিয়ে গেছেন চালক। তাঁকে ধরার চেষ্টা চলছে।
-
ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-২,আহত-৩।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন মোটরসাইকেল আরোহী। মুমূর্ষু অবস্থায় আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকালে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বড় খোঁচাবাড়ীর এলাকার দৌলতপুর নামক স্থানে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ।নিহতরা হলেন- জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকার নুর ইসলামের ছেলে নয়ন ইসলাম (১৪) ও বেগুনবাড়ী এলাকার রিয়াজুল ইসলামের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান(২৬)।পুলিশ জানায়, বিকেলে নিহত নয়ন বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে খোঁচাবাড়ি বাজারে যাচ্ছিলেন। একই সময় বেগুনবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান মোটরসাইকেল নিয়ে তার তিন বন্ধুসহ বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে দৌলতপুর এলাকায় পৌঁছালে ওই দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নয়ন মারা যায়।এ সময় স্থানীয় লোকজন মোস্তাফিজুর ও তার সঙ্গীদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর মোস্তাফিজুরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় গুরুতর আহত তিন মোটরসাইকেল আরোহীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক।ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ জানান,আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। -
মুরাইছড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে কিশোর নিহত, আহত-১।
নিজস্ব প্রতিবেদক:মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মুরাইছড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মুরাইছড়া বস্তি এলাকার এক কিশোর নিহত হয়েছে। তার লাশ সোমবার বিকালে ফেরত দেওয়ার কথা রয়েছে।কুলাউড়া কর্মদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ জানান, লাশ ফেরত আনার ব্যাপারে বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়েছে।স্থানীয়রা ও ভুক্তভোগীদের পরিবার জানান, রবিবার বিকালে মুরাইছড়া বস্তির আছকির মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন ওরফে পারভেজ (১৫) ও একই গ্রামের মৃত সাদাই মিয়ার ছেলে ছিদ্দিকুর রহমান (৩৪) ওই সীমান্তের শিকরিয়া এলাকায় গরু চড়াতে যান। একপর্যায়ে তারা শূন্যরেখার কাছাকাছি চলে যান।আহত ছিদ্দিকুরের বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম বলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উনকোটি জেলার মাগুরুলি বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। বাম পায়ে গুলি লেগে আহত ছিদ্দেকুর রহমান পালিয়ে এলেও গুলিবিদ্ধ পারভেজকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে তিনি মারা যান। নিহত পারভেজের মরদেহ ভারতের কৈলাশহর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এ সময় আহত অবস্থায় ছিদ্দিকুর ফিরে এলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুলাউড়া, পরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তার অবস্থান অবনতি হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।স্থানীয় ইউপি সদস্য সিলভিস্টার পাঠাংয়ের দাবি, বিজিবির সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পেরেছেন, নিহত সাদ্দামের লাশ ভারতের কৈলাশহর হাসপাতালের মর্গে আছে। লাশ ফেরত আনার জন্য তারা বিজিবির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগও করছেন।তিনি বলেন, দুপুর থেকেই নিহতদের স্বজনদের নিয়ে বর্ডার এলাকায় আছি। লাশ দেশে এলে গ্রহণ করা হবে।কুলাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, বিএসএফ সদস্যের গুলিতে একজন নিহত ও অপর একজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি।