Tag: নিষিদ্ধ

  • উ গ্রেপ্তার।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের বড়হর ইউনিয়ন শাখার সহ-সভাপতি ও টিওরহাটি গ্রামের মো.আবুল হোসেন সরদারের ছেলে।

    জানা যায় পৌরশহরের গ্রামের থেকে ব্যবসার পাশাপাশি ছাত্রলীগ করত। সে সৈরাচার সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলো।

    এ তথ্য নিশ্চিত করেন উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো.রাকিবুল হাসান।
    এ সময় তিনি জানান বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) রাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা র বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করা হয়। সে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বড়হর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও টিওরহাটি গ্রামেরর ছেলে।
    তার বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া মডেল থানায় মারামারি ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
    তাকে বৃহস্পতিবার(৬ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
    তিনি আরো জানান নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা/কর্মী প্রমান পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও গণহত্যাকারী আ.লীগের বিচার দাবিতে রামপালে বিক্ষোভ।

    নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও গণহত্যাকারী আ.লীগের বিচার দাবিতে রামপালে বিক্ষোভ।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ
    নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার দাবিতে বাগেরহাটের রামপালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার(৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে উপজেলা মডেল মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা।
    এসময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, ফ্যাসিবাদের আস্তানা’, ‘দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, এমন নানা স্লোগানে কম্পিত হয় গোটা রামপাল সদর।
    মিছিলটি সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দরা।
    বিক্ষোভ শেষে রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয় ভাংচুর করে। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয় এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেখ মোয়াজ্জেম হোসেনের বাড়িতে ভাংচুর করে।
    উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের দেশ থেকে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। বুধবার শেখ হাসিনার বক্তৃতা ইস্যুতে সারা দেশে ছাত্র-জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এর জের ধরেই রামপালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
  • ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ ও সমাবেশ।

    ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ ও সমাবেশ।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যার ঘটনায় ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল ও বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ইং, জুমআ’র নামাজের পর শ্রীমঙ্গল কলেজ রোডস্থ থানা জামে মসজিদের সামনে থেকে সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদ শ্রীমঙ্গল এর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌমুহনা চত্বরে এসে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
    এ সময় মিছিলে ও সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা- ইসকন জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী, বিশ্ব মুসলিম এক হও, এক হও, উগ্রবাদি সংগঠন ইসকনের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না, ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও‍‍- সহ নানা স্লোগান দেয়। বিক্ষোভ মিছিল ও ইসকন বিরোধী স্লোগানে মিছিলে মিছিলে মুখরিত হয়ে ওঠে এ সময় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রধান প্রধান সড়ক-সহ চৌমুহনা চত্বর প্রায় এক ঘন্টা বন্ধ ছিল।
    চৌমুহনা চত্বরে সমাবেশে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের শ্রীমঙ্গল উপজেলা সভাপতি সাদিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের শ্রীমঙ্গল উপজেলা সভাপতি নাঈম হাসান, তালামিযে ইসলামিয়ার শ্রীমঙ্গল উপজেলা সভাপতি নাজমুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রসেনার শ্রীমঙ্গল উপজেলা সভাপতি নাজমুল ইসলাম সাঈদ, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের মোজাহিদুল ইসলাম-সহ প্রমুখ।
    অন্যদিকে একই সময় শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদের সামনে থেকে সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্টেশন রোড যমুনা পেট্টল পাম্পের সামনে মিলিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
    এ সময় সমাবেশে বক্তব্য দেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম-খতিব হাফেজ মাওলানা ফেরদাউস আহমদ, শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদের ইমাম মুফতি হিফজুর রহমান হেলালী, আল মদিনা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমান-সহ শহর-শহরতলীর বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, খতিব প্রমুখ।
    সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদের বক্তারা ও সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার বক্তারা ইসকন সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বলেন, দেশবিরোধী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে উগ্রহিন্দুত্ববাদী ইসকনের কর্মী-সমর্থকরা চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সন্ত্রাসী আক্রমণ চালিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে দিনের আলোতে জনসম্মুখে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ভারতের উসকানি ও মদদে এই ষড়যন্ত্রমূলক অরাজকতা তৈরি করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত ইসকনের কর্মী-সমর্থকদের দ্রুত গ্রেফতার করে শহীদ আলিফ হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। সন্ত্রাসী কার্যক্রমের দায়ে হিন্দুত্ববাদী ইসকনকে অতিসত্বর নিষিদ্ধ করতে হবে।
    সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে এবং কোনোভাবেই উগ্রবাদী কার্যক্রম বা ষড়যন্ত্রের জন্য স্থান দেওয়া যাবে না বলেও হুশিয়ারী দেন সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদের নেতারা।
    ইসকন উগ্রবাদী কার্যক্রম চালিয়ে দেশের পরিবেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, ইসকন বা অন্য কোন উগ্রবাদী সংগঠন যাতে দেশের জনগণের মধ্যে বিভেদ এবং অশান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। পাপাশাপাশি আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
    বক্তারা আরও বলেন, দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে ইসকন। আমরা দেখেছি, ৫ আগস্ট আলেমরা, দাড়িওয়ালা-টুপিওয়ালারা হিন্দুদের মন্দির পাহারা দিয়েছে। তবুও উগ্র হিন্দুত্ববাদী জঙ্গী সংগঠন সাইফুল ইসলাম আলিফকে জবাই করে হত্যা করেছে। বাংলাদেশে সকল ধর্মের সহাবস্থান থাকবে। ধর্মের নামে উগ্রবাদীতার এখানে ঠাঁই নেই। ইসকনের বর্বরতা আইয়ামে জাহিলিয়াতকে হার মানিয়েছে। তাই অবিলম্বে ইসকন নিষিদ্ধ করতে হবে বলে জানান তারা।
  • ছাত্রলীগ নিষিদ্ধদের দাবীতে শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যায় বিক্ষোভ রাতে মশাল মিছিল।

    ছাত্রলীগ নিষিদ্ধদের দাবীতে শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যায় বিক্ষোভ রাতে মশাল মিছিল।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা ও শিক্ষার্থীদের আহতের প্রতিবাদে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধদের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও পরে মশাল মিছিল করেছে মৌলভীবাজারের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার ২১ অক্টোবর ২০২৪ইং, রাতে মৌলভীবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কুসুমবাগ পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
    মশাল মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মৌলভীবাজারের সমন্বয়ক মারুফ আল হামিদ, আব্দুল্লাহ আল হোসাইন, সাইফ উদ্দিন ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। মশাল মিছিলে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
    সমন্বয়ক সাইফ উদ্দিন বলেন, রোববার রাতে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে গোপন তৎপরতা চালাচ্ছেন এবং বিভিন্ন জায়গায় হামলা করছেন। আমরা এই সন্ত্রাসী বাহিনীর নিষিদ্ধ ঘোষণা চাই।
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক রুহুল আমিন বলেন, স্বৈরাচার সরকারের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন পাঁয়তারা করছেন। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তাদেরকে আর কোনো অবস্থাতেই দেশের মাটিতে অবস্থান করতে দেওয়া হবে। সবাই মিলে স্বৈরাচার হাসিনার দোসর ছাত্রলীগকে প্রতিহত করতে হবে।
    এরআগে একই দাবিতে আরেকটি মিছিল সোমবার ২১ অক্টোবর ২০২৪ইং, সন্ধ্যা ৬টার সময় মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব সম্মুখ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি প্রেসক্লাব মোড় থেকে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সম্মুখে ছাত্রসমাবেশে মিলিত হয়।
    এ সময় তানজিয়া শিশির, উসমান আলী জাকি, আফসার মিয়া, মোজাম্মেল হোসেন লিখন, তোফায়েল আহমদ, আশরাফ মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা আমাদের সংগ্রাম, চলছে চলবে; আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ; অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; আওয়ামী লীগের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান; ছাত্রলীগের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান; স্বৈরাচারের দোসরেরা হুঁশিয়ার সাবধান; চবিতে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই; আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করো করতে হবে ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
    সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে, শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে। এই সন্ত্রাসী সংগঠনকেও বাংলাদেশের মাটিতে নিষিদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের নব্য স্বাধীনতার নস্যাৎ করার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদী শক্তি এখনো তাদের কালো হাত দেখাচ্ছে। আমার ভাইদের যেভাবে হত্যা করা হয়েছে সেই রক্তের দাগ এখনো শুকায় নাই। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সন্ত্রাস লীগের শেষ চিহ্নটুকু বাংলার মাটিতে থাকা পর্যন্ত আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে যাব।
    বক্তারা আরো বলেন, প্রায় ১৫০০ শহিদের শাহাদাত বরণ ও ২৯ হাজার আহত ভাইবোনের আত্মত্যাগের ফলে আমরা আজকের স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু সেই পরাজিত শক্তি তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ফ্যাসিবাদী কায়দায় তাদের খায়েশ মেটানোর চেষ্টা করছে। যারা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ যুবলীগকে ধারণ করে, লালন করে তাদের প্রতি আপনারা চোখ কান খোলা রাখবেন। যদি দেখেন কোথাও তারা সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা করছে তাদের প্রতিহত করবেন। আমাদের লড়াই সংগ্রাম শেষ হয়ে যায়নি, আগামী দিনেও আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই সংগ্রাম করতে হবে।
  • যারা জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল, তারাই আজ জনগণের ভয়ে পালিয়ে গেছে।

    যারা জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল, তারাই আজ জনগণের ভয়ে পালিয়ে গেছে।

    আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে লগি বৈঠা দিয়ে হত্যা করে ক্ষমতায় এসেছিল। পনের বছর তারা জোড় করে ক্ষমতায় দখল করেছিল। তারা জানতো সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে সবার আগে লগি বৈঠার বিচার হবে। শাপলা চত্বরের আলেম, পিলখানায় আর্মি অফিসার ও মোদিবিরোধী আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলেমদের হত্যার বিচার হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম।
    মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখা আয়োজিত রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় ১৪ বছর পর প্রকাশ্যে জামায়াতের রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে জেলার রুকনরা তাদের গোপন ভোটে নতুন আমির নির্বাচন করবেন।
    তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিয়মে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে দলের স্বার্থ নয়, দেশের মানুষের স্বার্থ আর শহীদদের আকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দিবে। জামায়াতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার হচ্ছে, জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের চেতনাকে নস্যাৎ করার জন্য একদল মানুষ ওঠে পড়ে লেগেছে। আমরা তা হতে দেবো না।
    তিনি আরও বলেন, আমাদেরে শীর্ষ নেতাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে বন্দী রেখেছিল আওয়ামী লীগ। জামায়াতের ৫০০ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে তারা। বিএনপিসহ অন্যান্য দলের লাখ লাখ নেতাকর্মীদের বিনা অপরাধে জেলে আটকে রেখেছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৬টি বছর জেলে রেখেছিল। ৬৭৭ জন মানুষকে গুম করেছে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ।
    জামায়াতের এই নেতা বলেন, যারা জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল, তারাই আজ জনগণের ভয়ে পালিয়ে গেছে। দেশ ও জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য রাজনীতি করলে তাদের এভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হতো না। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। মানুষকে মানুষ মনে করতেন না। প্রতিটি অপকর্মের ফল তাদের পেতে হবে। জামায়াতে ইসলামী কোনো প্রতিশোধ নেবে না, তবে জুলুমের শিকার প্রতিটি মানুষকে ন্যায়বিচার দেবে।
    ১৪ বছর আওয়ামী সরকারের জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতনের শিকার জামায়াতে ইসলামী জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রকাশ্যে রুকন সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও প্রাণচাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
    ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের আমির  মাওলানা আব্দুল হাকিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মো. আলমগীরের সঞ্চালনায় রুকন সম্মেলনে বক্তব্য দেন, দিনাজপুর জেলার আমীর আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন আহম্মেদ ও মাওলানা ফজলে রাব্বি মোর্তজাবী।
  • পীরগঞ্জে ৩’শ পিচ নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ ঔষধ  ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার।

    পীরগঞ্জে ৩’শ পিচ নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ ঔষধ  ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার।

    ঠাকুরগাঁও,প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ৩শ’ পিছ নিষিদ্ধ ভারতীয় মাদক ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ হামিদুল নামের এক ঔষধ  ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকালে উপজেলার ভোমরাদহ ইউনিয়ন চাটিডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে  তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
    পীরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক রতন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম উপজেলা ভোমরাদহ ইউনিয়নের চাটিডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালান। এসময় হামিদুল ইসলাম নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর দেহ তল্লাসী করে ৩’শ পিচ নিষিদ্ধ মাদক টাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
    আটক হামিদুল উপজেলার খামার সেনুয়া গ্রামের মৃত সফির উদ্দিনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লোহাগাড়া বাজারে ওষুধের দোকানের আড়ালে গোপনে মাদক ব্যবসা করে আসছিল বলে জানান পুলিশের উপপরিদর্শক রতন।
    পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল আনাম ডন জানান, হামিদুল নামের একজনকে নিষিদ্ধ ভারতীয় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করা হয়।  তার বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
  • নলডাঙ্গায় নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল উদ্ধারের পর পুড়িয়ে ধ্বংস।

    নলডাঙ্গায় নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল উদ্ধারের পর পুড়িয়ে ধ্বংস।

    নলডাঙ্গায় নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল উদ্ধারের পর পুড়িয়ে ধ্বংস।


    নাটোরের নলডাঙ্গার বারনই নদীতে অবৈধভাবে মাছ শিকারের প্রায় ৭০ হাজার টাকা মূল্যের চায়না দুয়ারী ৩০০মিটার জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে মৎস্য বিভাগ।

    সোমবার(৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ব্রহ্মপুর বাজার এলাকা ও ইয়ারপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বারনই নদী থেকে এসব জাল জব্দ করে ধ্বংস করে,উপজেলা মৎস্য বিভাগ।

    অভিযান শেষে নলডাঙ্গা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন,চায়না দুয়ারী জালে ছোট বড় থেকে শুরু করে যে কোন জলজ প্রাণী একবার প্রবেশ করলে আর বের হতে পারেনা। ফলে নদ-নদী,খাল-বিল ও জলাশয়ের দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছসহ সকল প্রকার জলজ প্রাণী বিলুপ্ত হতে বসেছে।বাজারে নতুন আসা এ চায়না দুয়ারী জাল কারেন্ট জালের চেয়েও ভয়ংকর। তাই পরিবেশ ও মাছের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় চায়না দুয়ারী জাল নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

  • নলডাঙ্গায় নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দের পর পুড়িয়ে ধ্বংস।

    নলডাঙ্গায় নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দের পর পুড়িয়ে ধ্বংস।

    নলডাঙ্গা(নাটোর)প্রতিনিধিঃ নাটোরের নলডাঙ্গার বারনই নদীতে অবৈধভাবে মাছ শিকারের প্রস্ততির সময় প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের চায়না দুয়ারী ৩০০ মিটার জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে মৎস্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন।

    সোমবার(১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার পূর্ব সোনাপাতিল মহাশ্মাশান ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে বারনই নদীর পার থেকে এসব জাল জব্দ করে ধ্বংস করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুখময় সরকার ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্চয় কুমার সরকার যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেন।

    অভিযান শেষে নলডাঙ্গা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্চয় কুমার সরকার বলেন,চায়না দুয়ারী জালে ছোট বড় থেকে শুরু করে যে কোন জলজ প্রাণী একবার প্রবেশ করলে আর বের হতে পারেনা।ফলে নদ-নদী,খাল-বিল ও জলাশয়ের দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছসহ সকল প্রকার জলজ প্রাণী বিলুপ্ত হতে বসেছে।বাজারে নতুন আসা এ চায়না দুয়ারী জাল কারেন্ট জালের চেয়েও ভয়ংকর।তাই পরিবেশ ও মাছের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় চায়না দুয়ারী জাল নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুখময় সরকার বলেন,
    নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জালের বিরুদ্ধে উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন মিলে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় আমাদের এই অভিযান অব্যহত থাকবে।

    জানা যায়,সোমবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব সোনাপাতিল মহাশ্মশান ঘাট বারনই নদীর পার থেকে ৩০০ মিটার চায়না দুয়ারী জাল দিয়ে মাছ শিকারের প্রস্ততি নিচ্ছে ছিলেন ওই গ্রামের জেলে জামাল হোসেন। গোপন সংবাদে এ খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ অভিযান চালিয়ে ৩০০ মিটার চায়না দুয়ারী নিষিদ্ধ জাল যার অনুমানিক ৫০ হাজার টাকা মূল্যের এ ক্ষতিকর জাল গুলো জব্দ করে জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এসময় জেলে পূর্ব সোনাপাতিল গ্রামের জেলে জামাল হোসেন পালিয়ে গেলে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা যায়নি।

  • ব্রাজিলের ৮ ফুটবলার নিষিদ্ধ।

    ব্রাজিলের ৮ ফুটবলার নিষিদ্ধ।

    ইংলিশ লীগের ৮ ব্রাজিল খেলোয়ারকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা।চলতি আন্তর্জাতিক ইংলিশ প্রমিয়ার লীগ ফুটবল খেলায় বিরতিতে ব্রাজিলের হয়ে খেলতে যায় নি জাতীয় দলের ৯ ফুটবলার। ক্লাবের হয়ে খেলতে হলে ১০ দিনের আইসোলেশন থাকতে হয়।সেই নয় ফুটবলারের মধ্যে ৮ ফুটবলারকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা।

    ক্লাব থেকে ব্রাজিল দলের ডাক পেয়েও খেলতে পারবে না ব্রাজিলিয়ান ৮ ফুটবল খেলোয়ার। ফিফির নিয়ম অনুযায়ী ৫ দিন ক্লাবের হয়ে খেলতে পারছে না।আগামী ১০-১৪ সেপ্টেম্বর কোন ম্যাচ খেলতে পারবে না।

    নিষিদ্ধ খেলোয়ার হলেন এডেরসন,থিয়াগো সিলভা,ফ্রেড,রবার্তো ফিরমিনো, ফ্যাবিনিও, গ্যাব্রিয়েল জেসুজ,আলিসন বেকার,রাফিনিয়া।নিষেজ্ঞা না পাওয়া ফুটবলার হলেন এভারটনের রিচালির্সন।টোকিও অলিম্পিক ফুটবলে খেলায় তার প্রতি নমনীয়তা দেখিয়েছে ব্রাজিল ফুটবলা ফেডারেশন।

    লাল তালিকার অন্তর্ভূক্ত দেশের শর্ত জুরে দিয়েছেন ক্লাবগুলোর খেলোয়ারদের। সেটি উপেক্ষা করে জাতীয় দলের হয়ে ৪ আর্জেন্টাইন ফুটবলার খেলোয়ার। সিবিএফ ক্ষুব্ধ হয়েছে নিজেদের ফুটবলার না আসায়।এ জন্য নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ফিফার কাছে আপিল করেছে। ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশনের আবেদনে এমন সিদ্ধান্তের কথা ক্লাবগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে ফিফা।