Tag: ধান

  • ইঁদুরের গর্তের ধান বেঁচে শীতের গরম পোশাক কিনবে শিশুরা !

    ইঁদুরের গর্তের ধান বেঁচে শীতের গরম পোশাক কিনবে শিশুরা !

    আনোয়ার হোসেন আকাশ,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

    আমন ধান কাটার পর ধানক্ষেতে ভিড় করছে শিশু-কিশোররা। তাদের লক্ষ্য ইঁদুরের গর্তগুলো। এসব শিশুরা প্রতিদিন সকাল হলেই দলবেঁধে ছুটে যায় ফসলের মাঠে। ইঁদুরের গর্ত খুঁড়ে ধানের শিষ সংগ্রহ করে এরা।

    উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায় দল বেঁধে সদ্য কেটে নেওয়া আমন ধান খেতে ঘুরছে এক দল শিশু-কিশোর। এরা বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ওদের কারও হাতে খুন্তি আবার কারও হাতে কোদাল কিংবা শাবল। কেউ বহন করছে প্লাস্টিকের বস্তা। তাদের এ আয়োজন মূলত ইঁদুরের গর্ত খুঁড়ে ধান সংগ্রহ করার জন্যই। কথা হলে এই শিশু-কিশোরেরা জানায়, সংগ্রহ করা ধান বেচে তারা শীতের গরম পোশাক কিনবে।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে ঝরে পড়া ও ইঁদুরের গর্তে জমানো ধান সংগ্রহে মেতে উঠেছে স্থানীয় শিশু-কিশোরেরা। সকালের রোদ কিছুটা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওরা দল বেঁধে নেমে পড়ে সদ্য কেটে নেওয়া আমনের মাঠে। মাটি খুঁড়ে ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহ করে তারা। ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও ইঁদুরের গর্তের চারপাশ খুঁড়ে এসব ধান সংগ্রহ করে শিশুরা। ভাগ্য ভালো হলে দু’চারটি গর্তেই মেলে ১০ থেকে ১২ কেজি ধান।

    এছাড়াও আমন ধান কেটে নেয়ার পর ক্ষেতে অবশিষ্ট পড়ে থাকা ধানের শীষ কুড়িয়ে নিচ্ছে শিশুরা। যখন ধানের পরিমাণ বেশি হবে তখন তা বিক্রি করে, কেউ আবার সে ধান মজুদ করে রাখে নিজেদের জন্য।

    ধান কুড়াতে আসা শিশুরা জানায়, মালিকরা ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার পর অনেক ধানের ছড়া এমনিতেই পড়ে থাকে, সেগুলো আমরা কুড়িয়ে নিই। এছাড়াও ইঁদুরের গর্ত খুঁড়ে পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ ধান। এসব ধান আমরা বাড়িতে জমা করে রাখি। যখন ধানের পরিমাণ বেশি হবে তখন তা বিক্রি করি।

    সোমবার সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলার ভরনিয়া মণ্ডলপাড়া গ্রামে ধান সংগ্রহ করতে এসেছে ৭-৮ জন শিশু কিশোর। ১০ বছরের শিশু নিমাই চন্দ্র জানায়, বিভিন্ন মাঠে সংগ্রহ করা ধান বিক্রির টাকা দিয়ে কেউ শীতের পোশাক, কেউ খাতা-কলম কেনে। আবার অনেকের পরিবারের ৩-৪ মাসের খাবারের সংকুলান হয়।

    স্থানীয় প্রবীণ কৃষক আবুল হাসান বলেন, আগেকার সময়ে মাঠ ভরে যেত ধান কুড়ানি শিশুদের আনাগোনায়। তখনকার সময়ে ধান কাটার একটা উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। এখন সবকিছু পাল্টে গেছে। অনেক শিশুকে এখন মাঠে দেখা যাচ্ছে। তারা ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহ করে।

    রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, ‘ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহ ও ফসল শূন্য মাঠ থেকে ধান কুড়ানোর বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। মাঠে ধান থাকা অবস্থায়ই ইঁদুর গর্তে ধান মজুদ করে রাখে। এসব ধান সংগ্রহ করা সময়সাপেক্ষ তাই কৃষকরা এসব ধানের দিকে নজর দেয় না। তাই স্থানীয় শিশুরা এগুলো সংগ্রহ করে বিক্রি এবং নিজেরাও চাল বানিয়ে খায়।
    তবে এসব গর্তে সাপ, পোকা-মাকড় থাকতে পারে যা শিশুদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

  • বেলকুচিতে ধানের জমিতে পাওয়া গেলো সিল মারা ব্যালট পেপার ও রেজাল্ট সিট।

    বেলকুচিতে ধানের জমিতে পাওয়া গেলো সিল মারা ব্যালট পেপার ও রেজাল্ট সিট।

    সবুজ সরকার বেলকুচি সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাধারন সদস্য পদের মোরগ প্রতিকে সিল মারা ব্যালট পেপার ও পিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষরিত রেজাল্ট সিট ছিরে ফেলে রেখেছে ধানের জমিতে।

    মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ঠাকুরপারা ভোট কেন্দ্রের পাশে ছাগল চরাতে গিয়ে ছেলেরা কুড়িয়ে পায় এই সব কাগজ। রবিবার রাতে ভোট গননা শেষে প্রথমে মোরগ প্রতিক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষনা করে। তার আধা ঘন্টা পর আবার তালা প্রতিক প্রার্থীকে বিজয় ঘোষনা দিয়ে দ্রুত চলে যায় পিজাইডিং অফিসার। যাবার পথে পাশের ধানের জমিতে ফেলে যায় এইসব কাগজ।

    মঙ্গলবার সকালে কুড়িয়ে পাওয়া এই ব্যালট পেপার ও রেজাল্ট সিট নিয়ে রিটারনিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে। নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন করে রাজাপুর ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ডের সাধারন পদে নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ আকখতার হোসেনের সহযোগিতায় কারচুপির মাধ্যমে ফলাফল পরিরর্তন করে মোরগ প্রতীক নুরুল আমিনকে পরাজিত করার অবিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যের ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানিয়েছেন মোরগ প্রতীক ইউপি সদস্য নুরুল আমিন।

    মঙ্লবার দুপুরে বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের প্রার্থীর নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোরগ প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আমিন।

    তিনি বলেন, উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে নিবার্চন সুষ্ঠ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়। নিবার্চন শেষে সাধারণ আসনের সদস্য পদে নিবার্চনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগনের ভোট গণনার বিবরনী পত্রে আব্দুল মমিন তালা প্রতীককে ৩৮৭, নুরুল ইসলাম মোরগ প্রতীকে ৬১৭ ভোট, শামছুল হক মোল্লা ফুটবল প্রতীকে ৪৮০ ও সেরাজুল ইসলাম ঘুড়ী প্রতীকে ৩৮৭ ভোট দেখানো হলেও পুনরায় তাহা জালিয়াতি করিয়া নতুন করে ভোট গণনার বিবরনীতে আব্দুল মমিন তালা প্রতীকে ৩৮৭, নুরুল আমিন মোরগ প্রতীকে ৬১৭, শামছুল হক মোল্লা ফুটবল প্রতীক কে ৪৮০ ও সেরাজুল ইসলাম ঘুড়ী প্রতীক কে ৬৫৫ ভোট দেখানো হয়েছে এবং সেরাজুল ইসলামকে জয়ী ডিকল্যারেশন দেওয়া হয়। কিন্তু সাধারণ আসনের পদে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীগণের ভোট গণনার বিবরনী তে সঠিক ভোট গণণা করা হলে আমি ৬১৭ ভোট আসন্ন নির্বাচনে জয় লাভ করি। কিন্তু তাহা জালিয়াতি করিয়া সেরাজুল ইসলাম কে অর্থাৎ ঘুড়ি প্রতীক কে ৬৫৫ ভোটে জয় দেখানো হয়। উল্লেখ্য নির্বাচনে শেষে কিছু সংখ্যক ব্যালট পেপার ও প্রথম গণনার রেজাল্ট শিট কেন্দ্রের বাহিরে পাওয়া যায়। রেজাল্ট সিট ও ভোট গোপন করে প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ আখতার হোসেন প্রতিপক্ষকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    ঠাকুরপাড়া ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ আকখতার বলেন, আমি প্রথমে যে রেজাল্ট সিট লিখেছিলাম তা ভুল হওয়ার কারনে সেটা ছিরে ফেলে দিয়ে নতুন করে রেজাল্ট সিট লিখে ঘোষনা দিয়ে চলে আসি। তবে ধানের জমিতে কি ভাবে সিল মারা ব্যালট পাওয়া গেছে তা আমার জানা নেই। তরে রেজাল্ট সিটটা ছিরে ফেলে দেওয়া আমার ঠিক হয়নি।

    রাজাপুর ইউনিয়ন নির্বাচনের রিটিরনিং অফিসার ইলিয়াস হোসেন জানান, নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতা ও বিভিন্ন অভিযোগের জন্য নির্বাচন ট্রাইবুনাল রয়েছে। মোরগ প্রতিকের প্রার্থী নুরুল আমিন লিখিত অভিযোগ দিয়েছে আমার কাছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আমরা প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ আকখতারকে ডেকেছি। তার কাছ থেকে জানার পর নির্কাচন ট্রাইবুনালে রিপোট আকারে পেশ করবো। তখন নির্বাচন ট্রাইবুনাল বিষয়টির সুরাহা করবে।

  • কলাপাড়ায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কৃষক সমাবেশ; আমন বীজতলা তৈরি বন্ধ।

    কলাপাড়ায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কৃষক সমাবেশ; আমন বীজতলা তৈরি বন্ধ।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে । রবিবার বেলা ১১ টার দিকে পৌরশহরের সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী সড়কের মনোহরীপট্রিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখার আহবায়ক জি.এম মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্যে দেন বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি খেপুপাড়া শাখার সাধারন সম্পাদক কমরেড নাসির তালুকদার, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখার আহবায়ক অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক মো.রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখার যুগ্নআহবায়ক শিক্ষক আতাজুল ইসলাম, সদস্য নয়নাভিরাম গাঈন, কৃষক মো. ইসমাইল হোসেন ও সফেজ উদ্দিন প্যাদা ।

    বক্তারা বলেনথ কলাপাড়ায় গত এক সপ্তাহের টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের খাল,বিল নদী ,নালা পানিতে পানিতে টই-টুম্বর হয়ে আছে । মাছ শিকারের স্বার্থে এক শ্রেনীর মানুষ বিভিন্ন পয়েন্টে বাঁধ দিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে । এতে হাজার হাজার কৃষক আমন বীজতলা তৈরী করতে পারছে না । অপরদিকে, যে কৃষক বীজতলা তৈরী করেছে তাও নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে ।

    এছাড়াও জলাবন্ধতার কারনে অধিকাংশ কৃষকের বর্ষাকালীন সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে । বক্তারা এ বাঁধ কেটে অচিরেই জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।