Tag: ধর্ষণ

  • বরগুনায় বাবার বন্ধু কর্তৃক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ।

    বরগুনায় বাবার বন্ধু কর্তৃক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ।

    অপু মিয়া,বরগুনা প্রতিনিধিঃ বরগুনার সদর উপজেলায় দাদাবাড়ি যাওয়ার সময় বাবার বন্ধু(রিপন মিয়া) কর্তৃক ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছে চতুর্থ শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রী। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী বরগুনা পৌরসভার চরকলোনী এলাকার বাসিন্দা।

    ১৮ ডিসেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ৬ টার সময় বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামে এঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রিপন মিয়া (৩৫) একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

    ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় ফুলতলা গ্রামে দাদাবাড়ি যাওয়ার জন্য পৌরসভার মাছ বাজার সংলগ্ন রিকশা স্টান্ডে যায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ও তার বাবা। এসময় তার বাবার বন্ধু রিপনের সাথে দেখা হয়।

    স্কুলছাত্রীর বাবা রিপনের সাথে একই রিক্সায় উঠিয়ে দেয় ওই স্কুলছাত্রীকে। এরপর ফুলতলা স্কুলের সামনে খোলা যায়গায় রিক্সা থামিয়ে স্কুলছাত্রীর শরীরের গোপন জায়গায় স্পর্শ করে এবং জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। এসময় স্কুলছাত্রী চিৎকার দিলে এলাকাবাসীরা এসে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে রিপনকে গনধোলাই দেয়।

    এবিষয়ে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, আমার কাজ ছিলো তাই আমি রিপনের সাথে আমার মেয়েকে বাড়িতে পাঠিয়েছিলাম।কিন্তু রিপন আমার নাবাল্লক মেয়ের উপর বর্বরতা করছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু বিচার চাই। যাতে রিপনের মত এ রকম নরপশু আর এ ধরনের অপরাধ ও জঘন্যতম কাজ করতে সাহস না পায়।

    বরগুনা সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) কে,এম তারিকুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,এবিষয়ে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবার থানায় এসে অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত রিপন গণধোলাইয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল স্কুলছাত্রীর মেডিকেল টেস্ট করা হবে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • বাগেরহাট সদরে চুরি করার সময় গৃহবধূকে ধর্ষণের পর টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট।

    বাগেরহাট সদরে চুরি করার সময় গৃহবধূকে ধর্ষণের পর টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট।


    এম এইচ শান্ত,বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাট সদরের বাদেকাড়া পাড়া গ্রামে চুরি করতে এসে ৩ বছরের শিশু সন্তানের গলায় ছুরি ধরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত আড়াইটার দিকে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের পর লুটে নেয়া হয়েছে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার।

    এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সজল মল্লিক (২৫) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

    গৃহবধূর স্বামী বলেন, আমি একটি ব্যাংকে নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে কাজ করি। ঘটনার দিন রাতে আমার নাইট ডিউটি ছিলো। এই সুযোগে আমার বাড়ীতে এমন একটা ঘটনা ঘটে গেলো। আমার ৩ বছরের শিশু সন্তানের গলায় ছুরি ধরে পরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সজল আমার আপন চাচাতো ভাই। তাদের সাথে জায়গা-জমি নিয়ে আমাদের বিরোধ আছে। রাতে ওই চোর (রুবেল) সজলের ঘরেই ছিলো। ওরা জানতো আজ আমি বাড়ীতে নেই। এই সুযোগে তারা এ কাজ করেছে। আমি ওদের ফাঁসি চাই।

    নির্যাতিতা ওই নারী বলেন, সিটকানি খুলে রুবেল মল্লিক ঘরে প্রবেশ করে আমার মেয়েকে হত্যার ভয় দেখিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে। এসময় রুবেল বাইরে লোকজনের আনাগোনা টের পেলে, রুবেল বলে সজল বাইরে আছে। সজলই আমাকে নিয়ে আসছে। ধর্ষণ শেষে রুবেল ঘরে থাকা নগদ ৪৭ হাজার টাকা, টাকা, দুই জোড়া স্বর্ণের কানের দুল ও একটি স্বর্ণের চেইন লুটে নেয়। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
    বাগেরহাট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদ হাসান বলেন, ওই গৃহবধূর স্বামী একটি ব্যাংকের এটিএম বুথের গার্ড হিসাবে কর্মরত রয়েছে। ঘটনার দিন সোমবার রাতে নাইট ডিউটি থাকায় তিনি বাড়ীতে ছিলেন না। এসময় বাড়ীতে তার স্ত্রী তিন বছরের শিশু সন্তান ছিলো। রাত আড়াইটার দিকে চোরেরা পিছনের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ৩ বছরের শিশু সন্তানের গলায় ছুরি ধরে সন্তান হত্যার হুমকি দিয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। চোরেরা ওই বাড়ী থেকে স্বর্ণালংকারসহ নগদ ৪৭ হাজার টাকা নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূ।

    এঘটনায় জড়িত সন্দেহে সজল মল্লিক (২৫) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা প্রস্তুতি চলছে।

  • শ্রীমঙ্গলে বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক গ্রেফতার।

    শ্রীমঙ্গলে বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক গ্রেফতার।

    মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাসুদ গণি মান্না(২৫) নামের এক টিক টকারকে গ্রেফতার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।

    গ্রেফতারকৃত মাসুদ গণি হবিগঞ্জের সদর থানার অনন্তপুর গ্রামের মৃত মলাই মিয়ার ছেলে।

    অভিযুক্ত মাসুদ গণি মান্না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার এক তরুনীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে একটি রিসোর্টে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে তা ভিডিও ধারন করে ফেক ফেসবুক আইডির মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

    পরে ভুক্তভোগী শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা দায়ের করলে কয়েকঘন্টার মধ্যেই শ্রীমঙ্গল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মোঃ হুমায়ূন কবিরের সহায়তায় এসআই মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম পাঠান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সিলেট জেলার টুকেরপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত মাসুদ গণি মান্নাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

    শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম অর রশিদ তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। অভিযুক্তকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছেশ

  • সাভার উলাইল ময়লার মোড়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ।

    সাভার উলাইল ময়লার মোড়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ।

    স্মৃতি রানি,স্টাফ রিপোর্টার সাভার ঢাকাঃ ঢাকা সাভার উলাইল নামাগেন্ডায় ময়লার মোড়ে ভোরের আলো স্কুলে এন্ড কলেজের ষষ্ঠ তলা ভবনের মোঃ আনিছুর রহমান সেলিমের ৬০২ নং রুমে ভাড়া থাকত সামিকে নিয়ে।

    মৃত সিমা আক্তার সাইদুল ইসলামের মেয়ে জাফলং গোয়াইনঘাট সিলেটের। মৃতের সামি আরিফুল ইসলাম চয়ন ( ২৫ ) পিতা মোকলেছ উদ্দিন এর ছেলে ইন্দারকান্দি ময়মনসিংহ।

    মৃত সিমা আক্তার স্বামী আরিফুল ইসলাম সাভার আল মুসলিম গার্মেন্টসে নাইট ডিউটিতে ২৮/১১/২১ তারিখে রাত ৭:৩০ মিনিটে যায়। মৃত সিমা বাসায় একা থাকে। আরিফুল ইসলাম সকাল ৮:৩০ মিনিটে বাসায় এসে দেখে রুমের দরজা খুলা এবং দরজার সামনে খালি গায়ে মৃত অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে তার স্ত্রী সীমা। আরিফুল ইসলামের চিৎকারের শব্দে পাশের রুমের সবাই ছুটে আসে।ঘটনাস্থল থেকে ৯৯৯ লাইনে ফোন করে সাভার মডেল থানায় জানানো হয়।

    পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মৃত সিমা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানায় নিয়ে যায়।
    পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর পরিবারে খবর দেয়া হয়।

    অনুসন্ধানে জানা যায় যে- মৃত মোসা: সিমা আক্তার নামের যুবতি বয়স আনুমানিক ( ২২ ) কে পূর্ব পরিকল্পনা করে হত‍্যা করা হয়।

    স্থানীয়রা বলেন এ হত‍্যাকান্ডের সাথে বাড়িওয়ালা আনিছুর রহমান সেলিম জোগ সাজেশে হতে পারে প্রাথমিক ধারণা। তানাহলে বাড়ির মালিক হত্যাকান্ডের খবর পেয়েও ঘটনাস্থলে কেন উপস্থিত হয়নি।

    ভুক্তভোগীর পরিবার ৩০ /১১/২১ সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করে।

    সাভার মডেল থানার ( এস আই ) আব্দুল হক জানান মৃত সিমার সাথে যে অন্যায় করা হয়েছে দ্রুত তদন্তের মাঝে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে।

    এছাড়াও মৃত সিমা আক্তার সামি ও শ্বাশুরি এবং সেই বাড়ির দারোয়ানকে প্রাথমিক জিঙ্গাসার জন্য আটক করা হয়।

    ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

  • তানোরে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ।

    তানোরে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ।

    সারোয়ার হোসেন,তানোর(রাজশাহ)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরে এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বামী পরিত্যক্ত এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।এদিকে এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়, বইছে নানা মুখরুচোক গুঞ্জন। তানোরের কামারগাঁ ইউপির কামারগাঁ শেখজিপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে শিক্ষক পলাশের শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।

    জানা গেছে, তানোরের কামারগাঁ ইউপির কচুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পলাশ কুমারের বাড়িতে চুলের কারখানা রয়েছে। পলাশের কারখানায় ওই স্বামী পরিত্যক্তা নারী কাজ করতেন। পলাশ ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করায় ওই নারী অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে করখানা থেকে বের করে দিয়ে ঘটনা ধাঁমাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠে। এদিকে ২৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে এক ইউপি সদস্য, সাবেক সদস্য ও ধান ব্যবসায়ী মোবারক আলীর মাধ্যমে পলাশের পক্ষ থেকে ভিকটিম পরিবারকে নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা দিয়ে ঘটনা ধাঁমাচাপা দেয়া হয়েছে।

    এবিষয়ে জানতে চাইলে পলাশ কুমার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ছোট ঘটনা ঘটেছিল সেটা আপোষ করা হয়েছে কারো কোনো অভিযোগ নাই। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক নিখিল কুমার বলেন, লোকমুখে এসব শুনেছি, তবে আপোষ মিমাংসা হয়ে গেছে।

  • মোংলায় নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা গ্রেফতার।

    মোংলায় নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা গ্রেফতার।

    এম এইচ শান্ত,বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ মোংলায় নিজের শিশুকে কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক পিতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে মাকড়ঢোন এলাকা থেকে পুলিশ ধর্ষক মালেককে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

    পুলিশ, স্থানীয়রা ও শিশুর মা জানান, পৌর শহরের মাকড়ঢোন এলাকার বাসিন্দা মালেক হাওলাদার (৩৫) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ব্লেড হাতে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার নিজ শিশু কন্যাকে (১৪) ধর্ষণ করেন। এর আগের দিন সোমবারও একই সময়ে মেয়েকে ধর্ষণ করেন পিতা মালেক। মালেকের স্ত্রী হেপি বেগম (২৭) ইপিজেডের একটি ফ্যাক্টরীতে শ্রমিকের কাজ করেন। মঙ্গলবার কাজ থেকে বাড়ীতে ফিরে মেয়েকে অসুস্থ ও রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর মেয়েটি সব কিছু তার মায়ের কাছে খুলে বলেন। বিষয়টি আশপাশের মানুষের মাঝে জানাজানি হলে বুধবার দুপুরে পুলিশকে জানানো হয়। এরপর পুলিশ এ ঘটনায় বিকেলে ওই এলাকা থেকে ধর্ষক পিতা মালেককে আটক করেন।

    মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। মামলার বাদী হচ্ছেন শিশুটির মা ও ধর্ষকের স্ত্রী হেপি বেগম। মালেক ও হেপি বেগমের দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে মেয়েটি ছোট। মেয়েটি আরাজী মাকড়ঢোন ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী।

    এ বিষয়ে শিশুটির মা হেপি বেগম বলেন, আমি ইপিজেডের একটি ফ্যাক্টরীতে চাকুরী করি। ছেলেটি অন্যের দোকানে কাজ করে। আর মেয়েটি বাড়ীতে থাকে। ওর বাবা কিছুই করেনা। গত দুইদিন ধরে মেয়েটির সাথে তার বাবা খারাপ কাজ করেছে। মেয়ের গলায় ব্লেড ধরে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে ওরা বাবা মালেক। ভয়ে মেয়েও আমাকে প্রথমে কিছু বলেনি, আমি ওর শরীরে ও ঘরের বিছানা-কাপড়ে রক্ত দেখে জিজ্ঞাসা করলে মেয়ে তখন সব বলে। পরে ওর বাবাকে জিজ্ঞেস করলে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে বলে আমার ভুল হয়েছে। আমি এ ঘটনার কঠিন বিচার চাই।

  • নলডাঙ্গায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ,ধর্ষক গ্রেপ্তার।

    নলডাঙ্গায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ,ধর্ষক গ্রেপ্তার।

    নলডাঙ্গা(নাটোর) প্রতিনিধিঃ নাটোরের নলডাঙ্গায় অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আশিকুর রহমান নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৮ টার দিকে উপজেলার ধোপাপুকুর গ্রামে এঘটনা ঘটে।

    মঙ্গলবার দুপুরে এঘটনায় বাদী হয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করে। গ্রেপ্তার কৃত ধর্ষক আশিকুর রহমান (২১) ওই গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।

    নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়,সোমবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে উপজেলার ধোপাপুকুর গ্রামের দুলাল সরদারের ছেলে হাসিবুল সরদারের শালিকা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। একই গ্রামের যুবক আশিকুর রহমান ওই স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে কথা বলার জন্য বাড়ির পাশে একটি লেবুর বাগানে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কেউ যেন জানতে না পারে সে জন্য তাকে হুমকি দেয়।পরে দুলা ভাইয়ের বাড়িতে এসে ঘটনা জানায়। দুলাভাই ৯৯৯ কল করলে ওইদিন রাত ২ টার দিকে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ গিয়ে নির্যাতনের শিকার স্কুল ছাত্রী কে উদ্ধার ও ধর্ষক আশিকুর রহমান আটক করে।

    নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই ছাত্রী নাটোরের সিংড়া উপজেলার একটি মাদ্রসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।নির্যাতনের শিকার স্কুল ছাত্রী তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। ওই গ্রামের ধর্ষক আশিকুর রহমান প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে পাশে লেবু বাগানে ডেকে নিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।

    সোমবার রাতে খবর পেয়ে ধর্ষক আশিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করি ও নির্যাতনের শিকার স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার স্কুল ছাত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে। ভিকটিম টিকে ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে।

  • উল্লাপাড়ায় শিশু ধর্ষণের চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার

    উল্লাপাড়ায় শিশু ধর্ষণের চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার

    উল্লাপাড়া(সিরাজগজ্ঞ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের  উল্লাপাড়ায় শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মজনু মোল্লা নামের এক বৃদ্ধকে আটক করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ।

    মঙ্গলবার দুপুরে উল্লাপাড়া মডেল থানায় ৬ বছরের শিশু ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে শিশুটির মা । ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের চরবর্ধনগাছা গ্রামে।

    থানার মামলা সূত্রে জানাযায়, গত ৪ সেপ্টেম্বর চরবর্ধনগাছা গ্রামের মৃত্যু করিম মোল্লার ছেল প্রতিবেশির ৬ বছরের এক শিশু কন্যাকে দোকানের সদাই কিনে দেবার কথা বলে নিজ বাড়িতে ঘরের মধ্যে নিয়ে শিশুটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করছে এমন সময় শিশুটির মাতা খুজতে ওই বৃদ্ধর ঘরে ঢুকে পড়ে।

    শিশুর মাতা কন্যাকে অস্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ধর্ষণ চেষ্টাকারী বৃদ্ধ মজনু মোল্লা পালিয়ে যায়।

    মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের হলে উল্লাপাড়া মডেল থানার উপপরিদর্শক আব্দুস সালাম আসামি মজনুকে গ্রেফতার করে আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েদেন। শিশু কন্যাকে ধর্ষণের আলামত আছেকিনা জানার জন্য শিশুটিকে উদ্ধার করে পরিক্ষার জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    উল্লাপড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃ হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান আইনী ব্যাবস্তার জন্য সকল প্রকৃয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

  • কুমিল্লায় ঘুমের ঔষধ খাইয়ে পুত্রবধূকে ধর্ষণ;শ্বশুরের কাণ্ড।

    কুমিল্লায় ঘুমের ঔষধ খাইয়ে পুত্রবধূকে ধর্ষণ;শ্বশুরের কাণ্ড।

    অনলাইন ডেস্কঃ কুমিল্লার বিষ্ণুপুর এলাকায় ঘুমের ঔষধ খাইয়ে পুত্রবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় জেলে যান শ্বশুর বাচ্চু মিয়া রুমি(৪৫)।

    জানা যায় নগরীর বিষ্ণুপুর এলাকার মৃত হযরত আলীর ছেলে বাচ্চু মিয়া।২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে তার প্রতিবন্ধী ছেলের সাথে ভুক্তভোগীর বিয়ে দেন।বিয়ের পর থেকে পুত্রবধূকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দেন তিনি। পরে কৌশলে খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে পুত্রবধূকে ধর্ষণ করেন। একাধিকবার ধর্ষণের শিকার পুত্রবধূ বিষয়টি শ্বাশুড়িকে জানায়। শ্বাশুড়ি কাছ থেকে কোন সদুত্তর না পেয়ে শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে দেন।

    শ্বশুরের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে স্বামীকে নিয়ে হাউজিং এস্টেট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করে। বাচ্চু মিয়া গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ভাড়া বাসায় গিয়ে তার পুত্রবধূকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষিতার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন বাচ্চু মিয়াকে আটক করে।

    এ ঘটনায় ভূক্তভোগী পুত্রবধূ কুমিল্লা আদালতে আইনগত সহায়তা কেন্দ্র (আসক) এর মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করেন। সম্প্রতি শ্বশুড় জামিনে বেড় হয়ে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।গত শনিবার ২ অক্টোবর বিকেলে বাচ্চু মিয়া অতর্কিত ভাবে হামলা করেন।

    এ সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আত্মরক্ষা পায় ওই নারী। এ ঘটনায় সোমবার ৪ অক্টোবর সন্ধায় কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেন।

    সূত্রঃ রিদ্মিক নিউজ

  • ভূঞাপুরে শিশু সন্তানের গলায় ছুরি ধরে মাকে ধর্ষণ।

    ভূঞাপুরে শিশু সন্তানের গলায় ছুরি ধরে মাকে ধর্ষণ।

    কোরবান আলী তালুকদার: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গভীর রাতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে শিশু সন্তানের গলায় ছুরি ধরে মাকে ধর্ষণ করেছে দুই নরপশু। গত মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের রুলীপাড়া গ্রামে ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণকারী দুজন হলো- রুলীপাড়া গ্রামের শহীদ জামানের ছেলে কবির সরকার (২৬) ও হাবেস ঘোষের ছেলে শাহাদত (৩০)।

    বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে আজ দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী ব্যবসায়িক কাজে ঠাকুরগাঁও চলে যান। মঙ্গলবার তার শিশু সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন ওই নারী। গভীর রাতে ঘরের মধ্যে পুরুষ মানুষ দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন তিনি। এসময় তার চিৎকার শুনে সন্তানের গলায় ছুরি ধরে কবির সরকার ও শাহাদত। পরে তারা সন্তানকে জিম্মি করে ওই নারীকে ধর্ষণ করে।

    এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই গৃহবধূ কবির ও শাহাদতের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। রাতেই পুলিশ কবিরকে গ্রেপ্তার করে। পরে আজ দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

    এ বিষয়ে গাবসারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আমি ঘটনা শুনেছি। অভিযুক্ত কবির একাধিক বিয়ে করেছে। এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে সে।

    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান বলেন,থানায় অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই আসামি কবিরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।