Tag: ধর্ষণ

  • রাণীশংকৈলে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সেই শিক্ষকের জামিন নামঞ্জুর।

    রাণীশংকৈলে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সেই শিক্ষকের জামিন নামঞ্জুর।

    রাণীশংকৈলে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সেই শিক্ষকের জামিন নামঞ্জুর।


    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

    সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে রাণীশংকৈল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস রমেশ কুমার ডগার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন তৌহিদুল ইসলাম। তবে বিচারক আবেদন বাতিল করে তৌহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    তৌহিদুল ইসলাম রাণীশংকৈল উপজেলার সহোদর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে এবং রাণীশংকৈলে পাইলট হাইস্কুলের কম্পিউটার ল্যাব সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

    জানা যায়, রাণীশংকৈল  পাইলট হাইস্কুলের কম্পিউটার অপারেটর শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম পৌর শহরের ভান্ডারা মহল্লার ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ের প্রলভোনে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ঘটনা জানাজানি হলে ওই শিক্ষার্থীর বাবা তৌহিদুলের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন।

    তৌহিদুল ১৫ লাখ টাকার যৌতুক চেয়ে বিয়ে করতে চান। ওই ছাত্রীর বাবা এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ লোকজন গত ৩ মার্চ ওই শিক্ষার্থীকে তৌহিদুলের বাড়িতে রেখে আসেন। ওই শিক্ষার্থী বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে অবস্থান নিলে তৌহিদুল বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে পরদিন ৪ মার্চ তড়িঘড়ি করে প্বার্শবর্তী উপজেলা হরিপুরে বিয়ে করেন।

    এর আগে গত ৫ মার্চ শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামকে আসামি করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা গফুর আলী বাদী হয়ে রাণীশংকৈল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সেইদিন তৌহিদুল ইসলামের বিচারের দাবিতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা পৌর শহরে মানববন্ধন করে। সেই সঙ্গে তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে ইউএনও এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেয়। এরপর আরো চার দফায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

    সর্বশেষ ১৩ মার্চ তৌহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে সম্মিলিত ছাত্রজোট ও সম্মিলিত অভিভাবক মহলের ব্যানারে ঘণ্টাব্যপী আন্দোলন করে তারা।

  • ধর্ষণ মামলার আসামী রজত ধর ভারতে পালানোর সময় গ্রেপ্তার। 

    ধর্ষণ মামলার আসামী রজত ধর ভারতে পালানোর সময় গ্রেপ্তার। 

    ধর্ষণ মামলার আসামী রজত ধর ভারতে পালানোর সময় গ্রেপ্তার।


    ধর্ষণ মামলা ও গ্রেফতারের হাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য ভারতে পালানোর চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হলো না প্রধান আসামী রজত ধরের।

    র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটিলিয়ান র‌্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সদস্যরা তথ্যপ্রযোক্তির সাহায্যে সিমান্ত এলাকার চাতলাপুর বর্ডার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র‍্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের অধিনায়ক সিনিয়র এএসপি বাসু দত্ত চাকমা এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী রজত ধর। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় মৌলভীবাজারের কমলঞ্জের চাতলাপুর থেকে ধর্ষণ মামলার আসামি রজত ধরকে আটক করে র‍্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সদস্যরা। আটক রজত ধর উবাহাটা গ্রামের মৃত লক্ষী ধরের ছেলে।

    র‍্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প সুত্র জানায়, আটক রজত ধরের বিরুদ্ধে গত ৫ মার্চ নারী ও শিশু (সংশোধনী/০৩)-এর ৯(১) ধারায় কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। জনা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার ধাতাইলগাঁও এলাকার জনৈক এক পিতা তার প্রতিবন্ধী মেয়ে (২৫)কে অভাবের কারণে রজত ধরের বাড়ীতে বিগত ১০ মাস আগে কাজে দেন।

    কিছুদিন পর রজত ধর প্রতিবন্ধি মেয়েটিকে বিভিন্ন প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি সেখানে কাজে যাওয়া বন্ধ করলে কিছু দিন পর মেয়েটি তার শরীরে অস্বাভাবিকতা দেখতে পায়।

    এক পর্যায়ে মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষা করলে ৬ মাসের অন্তঃসত্তা বলে জানা যায়। এই ঘটনায় রজত ধরের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়।

     

  • লক্ষ্মীপুরে চাকরির প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণ-গ্রেফতার ২।

    লক্ষ্মীপুরে চাকরির প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণ-গ্রেফতার ২।

    লক্ষ্মীপুরে চাকরির প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণ-গ্রেফতার ২।


    লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভায় গৃহপরিচারিকার চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। পরে ওই কিশোরীকে রাতভর সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

    এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে রায়পুর পৌর শহরের নতুন বাজার খেঁজুরতলা এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন-মোঃ দুলাল হোসেন ও তার স্ত্রী মোছাঃ ফাতেমা বেগম।

    পুলিশ সূত্রে জানায়,ঘরে অভাব থাকার কারনে ভুক্তভোগী কিশোরী গৃহপরিচারিকার কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে। এতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার জাকির হোসেন নামের এক বখাটে তাকে উপজেলার চরআবাবিল গ্রাম থেকে রায়পুর পৌর শহরে নিয়ে আসে। জাকির হোসেন ওই কিশোরীকে রায়পুর পৌরশহরের নতুন বাজার এলাকার মুদি দোকানি দুলাল হোসেনের বাসায় নিয়ে রেখে দেয়। কিশোরীর অজান্তের রাজিব নামের আরেক দালাল ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে দুলালের কাছে বিক্রি করে দেয়।

    গত মঙ্গলবার (৮আট মার্চ) রাতে দুলাল ও তার স্ত্রীর ফাতেমার সহযোগিতায় ৪/৫ জন যুবক কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বিষয়টি এলাকার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

    এ তথ্য নিশ্চিত করে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া গণমাধ্যমকে জানান, ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে স্বামীস্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীর দাদিকে বাদী করে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • মাধবপুরে প্রেমিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রেমিককে ঢাকা থেকে গ্রেফতার।

    মাধবপুরে প্রেমিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রেমিককে ঢাকা থেকে গ্রেফতার।

    মাধবপুরে প্রেমিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রেমিককে ঢাকা থেকে গ্রেফতার।

    হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রেমিকা কে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের অভিযুক্ত প্রেমিক জাহাঙ্গী মিয়া (২২)কে এক মাস পর পুলিশ ঢাকার গুলশানের একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

     তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মঙ্গলবার ভোর রাতে মাধবপুরের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।মঙ্গলবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই বাবুল মিয়া চৌধুরী তাকে আদালতে  প্রেরণ করলে বিচারক জাহাঙ্গীরের জামিন না মন্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
    জাহাঙ্গীর মিয়া উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। মাধবপুর থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক সত্যতা নিশ্চিত করে জানান গত ২৭ জানুয়ারি  সন্তোষপুর গ্রামের এক কিশোরী কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে  জাহাঙ্গীর তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে।
    অসুস্ত অবস্হায় ওই কিশোরী উদ্বার করে স্বজনরা  হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে  চিকিৎসা শেষে ১ ফ্রেব্রযারি  থানায় জাহাঙ্গীর কে অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়।মামলা হওয়ার পর থেকে গ্রেফতার এড়াতে আত্বগোপনে  চলে  যায়।
    ঢাকার গুলশান থানা এলাকায়  একটি বাসায় দারোয়ানের চাকুরি নেয়। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার অবস্হান সনাক্ত করার পর  মঙ্গলবার ভোর রাতে মাধবপুর পুলিশের একটি দল   জাহাঙ্গীর কে গ্রেফতার করে।
  • গুপ্তধনের সন্ধান দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সন্তানের সামনে গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ!

    গুপ্তধনের সন্ধান দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সন্তানের সামনে গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ!

    গুপ্তধনের সন্ধান দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সন্তানের সামনে গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ!


    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের মধুপুর গুদাম পাড়া এলাকায় এক গ্রহবধুকে তার তিন বছরের শিশু সন্তানের সামনে এক গৃহবধূ (২৬) পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গত শুক্রবার গভীর রাতে ওই ইউনিয়নের মিশন রেলগেট কোয়ার্টারে এই ঘটনা ঘটে।

    এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মধুপুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নারী একই এলাকার পুঞ্জিকা সাধক ও তান্ত্রিক প্রকাশ (ঝোল) ঐ নারীকে গুপ্তধনের সন্ধান দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক মন্দিরে নিয়ে যায়। ওই তান্ত্রিক ঝোল সু-কৌশলে ওই নারীকে মিশন রেলগেট কোয়ার্টারে নিয়ে আসে ওই গৃহবধূর সন্তানকে পাশে রেখে তান্ত্রিক ঝোল তাকে ধর্ষণ করে।

    পরে তার বন্ধু রুহিয়া মিশন রেল গেটম্যান সামিম (৩০) এনামুল হক (৩৭) মেজর (২৮) উজ্জল দাসকে (৩৫) ডেকে আনলে তারাও ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর ওই গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ঘটনাটি তার আত্মীয়-স্বজনকে জানানোর পর শনিবার সকালে রুহিয়া থানায় মামলা করতে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী ও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি মামলা না করার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।

    অভিযুক্ত তান্ত্রিক ঝোল রুহিয়া মধুপুর এলাকার বাসিন্দা, আর সামিম রুহিয়া মিশন রেলগেটম্যান ও পীরগঞ্জ লোহাগাড়ার আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে, এনামুল হক পিতা: ছুটু, মেজর পিতা: ডাউহই ওরফে মনিরউদ্দীন, উজ্জল দাস পিতা: পাউলুস দাস তারা দুজনেই রুহিয়া ঘনিবিষ্টপুর এলাকার বাসিন্দা।

    সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য (সাবেক) বিনা রাণী জানান,  এই গৃহবধু গরীব। একই এলাকার সাধক ঝোল তাকে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে মিশন রেল গেটে নিয়ে যায়। পরে গেটম্যানসহ চার যুবক তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে গেলে বর্তমান ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী আমাদের বাঁধা প্রদান করেন আর সমাধানের জন্য দুই দিন সময় নেন। আজ রবিবার সন্ধ্যায় বসার কথা আছে। অন্যদিকে ইউপি সদস্য ইউসুফ আলীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনটিও বন্ধ রেখেছেন।

    রুহিয়া ঘনিবিষ্ণুপুর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক তসলিম উদ্দিন বলেন, ইউসুফ মেম্বার ওই নারীকে মামলা করতে নিষেধ করেন তৎসঙ্গে মুখ বন্ধ রাখার জন্য কিছু টাকা পয়সার প্রস্তাব দেন এবং তার ভাইয়ের বাসায় কয়েকদিন লুকিয়ে থাকার জন্য চাপ দেন।

    স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু জানান, একটি মহিলার হারিয়ে যাওয়া। আবার পরের দিন সকালে খুজে পাওয়ার ঘটনা আমি শুনেছি। কিন্তু ধর্ষনের বিষয়টি আমি জানি না।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোছাঃ সুলতানা রাজিয়া বলেন, শিশু সন্তানের সামনে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনাটি খুবই দুঃজনক। আমি খোঁজ নিয়ে পুলিশ পাঠাচ্ছি। স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য ওই গৃহবধূর পরিবারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় কোনও সমাধান হয় না। যারা এই জঘন্য কাজ করেছে বা যারা সমাধানের জন্য চাপ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • মাধবপুরে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার। 

    মাধবপুরে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার। 

    মাধবপুরে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার। 

    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার কাশিমনগড় পুলিশ ফাঁড়ির এস আই বাবুর চৌধুরী ও এএসআই ইমরান সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গতকাল রাতে উপজেলার আরিছপুর থেকে অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার এক আসামি কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    গ্রেফতার কৃত আসামি উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের আরিছপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল হাই এর পুত্র মোঃ আলমগীর মিয়া(১৯)।
    শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) বিকালে এ বিষয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল রাজ্জাক জানান,গ্রেফতার কৃত আসামি কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
  • চট্টগ্রামে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার রায়,জসিম উদ্দীনের মৃত্যুদণ্ড।

    চট্টগ্রামে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার রায়,জসিম উদ্দীনের মৃত্যুদণ্ড।

    চট্টগ্রামে এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে জসীম উদ্দীন বাপ্পি (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি২২) দুপুরে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জামিউল হায়দার এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি নিখিল কুমার নাথ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন,২০১৭ সালের ২৯ মার্চ সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা এলাকার গৃহবধূ শারমিনকে ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় জসিমকে মৃত্যুদণ্ড এবং একটা লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। দুই আসামি সরওয়ার আলম সেরু ও আব্দুল মোতালেব লিটন মারা যাওয়ায় তাদের মামলার বিচার থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

    তবে আইয়ুব ও শরীফের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। হাজতে থাকা জসিম ও শরীফ রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

    আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ কুমিরায় বিকেলের দিকে নিখোঁজ হন শারমিন আক্তার। পরদিন ভোরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শারমিনকে ধর্ষণ করে হত্যা করার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরদিন ৩০ মার্চ অজ্ঞাত আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় শারমিনের মেয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
    ঘটনার সঙ্গে পাঁচজনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়ে পুলিশ বিভিন্ন সময় চারজনকে গ্রেফতার করে।

    আইয়ুব এখনও পলাতক। আসামি জসীম উদ্দীন বাপ্পি খুনের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।

    ২০১৯ সালের ৪ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ১৭ জনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আজ আদালত এ রায় দেন।

  • মাধবপুরে চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার আসামি র‍্যাবের হাতে আটক।

    মাধবপুরে চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার আসামি র‍্যাবের হাতে আটক।

    হবিগঞ্জের মাধবপুরে ফ্যাক্টরী থেকে রাতে বাড়ি ফেরার পথে এক নারী শ্রমিক গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ।
    জানা যায়, গত ৮ জানুয়ারি রাতে সায়হাম নিট কম্পোজিটে কর্মরত ওই নারী শ্রমিক কাজ শেষে ইঠাখোলা বইট্টা বাড়িতে যাওয়ার পথে শাকিল সহ ৪জন তার পথ রোধ করে জোরপূর্বক একটি জমিতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
    স্থানীয় ভাবে ঘটনা সালিশে নিস্পত্তি করার চেষ্টা চলে। কিন্তু বিচার না পেয়ে থানায় শনিবার রাতে মামলা করেন ধর্ষণের শিকার নারী ওই রাতেই পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত আসামি শাকিল কে গ্রেপ্তার কর।
    এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-০৯, সিপিসি-১, হবিগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল লেঃ কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান এর নেতৃত্বে মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের শাহপুর বাজার হইতে চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় একজন আসামী শিবু রক্ষিত কে আটক করা হয়।
    গ্রেফতারকৃত শিবু রক্ষিত মাধবপুর উপজেলার ইটাখোলা গ্রামের বাসিন্দা মৃত সংকর রক্ষিত এর পুত্র । পরবর্তীতে গ্রেফারকৃত আসামী’কে মাধবপুর থানার মামলা নং ২০, তারিখ ১৫/০১/২০২২, ধারাঃ- ৯ (৩) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ মূলে হস্তান্তর করা হয়।
  • ছাতকে গৃহবধূকে ধর্ষণ ; পলাতক আসামী ঢাকায় গ্রেপ্তার।

    ছাতকে গৃহবধূকে ধর্ষণ ; পলাতক আসামী ঢাকায় গ্রেপ্তার।

    সুনামগঞ্জের ছাতকে গৃহবধূকে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামীকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পু‌লিশের সদস্যরা।

    গত সোমবার রাতে ছাতক থানা পু‌লিশ উপ-পরিদর্শক মোঃ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে অ‌ভিযান চা‌লি‌য়ে ঢাকা উওরার ৭ নম্বার সেক্টর এলাকা থেকে ফরহাদ আহমদ (৩৫)‌কে আটক করে পু‌লিশ।সে উপজেলার সদর ইউ‌নিয়নের কা‌জিহাটা গ্রামের মৃত হা‌জি সমর আলীর ছেলে।

    জানা যায়,উপজেলার সদর ইউ‌নিয়নের কা‌জিহাটা গ্রামের ‌দিনমজুর আব্দুল কাহারের স্ত্রী নেওয়ারুন খাতুন(২২) নামের গৃহবধূকে গত ৬ নভেম্বর দুপু‌রে বা‌ড়ি‌তে একা পে‌য়ে ফরহাদ তার ঘ‌রে প্রবেশ ক‌রে পিছন দিকে গৃহবধুকে ঝাপ্টা মেরে ধরেই দু’জনের ম‌ধ্যে ধস্তাধ‌স্তির পর চিৎকার করলে গৃহবধুকে মার‌পিট ক‌রে খাটের উপর ফেলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে। যাবার সময় বলে এ ঘটনা কাউকে বলে সহপ‌রিবার হত‌্যার করা হুম‌কি দিয়ে চলে যায়।

    এঘটনায় ধ‌ষিতা গৃহবধু বাদী হয়ে গত ৬ নভেম্বর থানায় এক‌টি অ‌ভিযোগ দায়ের ক‌রলে পু‌লিশ তদন্ত করে গত ২১ নভেম্বর থানায় নারী ও‌ শিশু নিযাতন দমন আইনে মামলা রুজু করেন।

    এব‌্যাপারে তদন্তকা‌রি এস আই আনোয়ার হোসেন এ ঘটনার সত‌্যতা নি‌শ্চিত করে বলে আসামী ফরহাদ আহমদের বিরুদ্ধে একা‌ধিক নারী নিযাতনের অ‌ভিযোগ রয়েছে।

    এব‌্যাপারে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত ও‌সি মিজানুর রহমান জানান,আটকের ঘটনার সত‌্যতা নি‌শ্চিত করে বলে আসামী ফরহাদ গত মঙ্গলবার দুপু‌রে তাকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

  • মাটিরাঙ্গায় বিধবা চার সন্তানের জননীকে ধর্ষণের পর হত্যা,আসামির স্বীকারোক্তি।

    মাটিরাঙ্গায় বিধবা চার সন্তানের জননীকে ধর্ষণের পর হত্যা,আসামির স্বীকারোক্তি।

    খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড পশ্চিম মুসলিমপাড়া এলাকায় চার সন্তানের জননী(৪৫)কে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
    খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল আজিজ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মাটিরাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলী’র নেতৃত্বে অত্র মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল ও অন্যান্য অফিসার ফোর্স ৭ দিনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার সংক্রান্তে  মামলা রুজুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত মোঃ আবুল কালাম প্রকাশ রদ্দা কালাম(৪৯)কে মাটিরাঙ্গা বাজারের হাসাপাতাল মোড়ের  ভাই ভাই হোটেল হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ।  প্রাথমিক জিগ্যাসাবাদে আসামী আবুল কালাম অত্র মামলার ভিকটিম জরিনা বেগমকে ধর্ষণ করতঃ হত্যা করেছে মর্মে স্বীকার করে।
    ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আবুল কালাম প্রকাশ রদ্দা কালাম(৪৯) মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড আদর্শগ্রাম রমিজ কেরানীপাড়া এলাকার মৃত আবদুল ছাদেক’র ছেলে।
    শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার আব্দুল আজিজ প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানান।
    পুলিশ সুপার জানান, আবুল কালাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। খাগড়াছড়ি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক সেঁজুতি জান্নাত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
    পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে আবুল কালাম বলেছে, আবুল কালাম ওরফে রদ্দা কালাম মাটিরাঙ্গা হাসপাতাল মোড়ের ভাই ভাই হোটেলে পরটা বানানোর কাজ করত এবং জরিনা বেগম ভাই ভাই হোটেলে ঝি এর কাজ করত। সেই সুবাদে দেড় বছর পূর্ব হইতে জরিনা বেগমের সাথে পরিচয়ের সুবাদে মোবাইল ফোনে কথা বার্তা হতো।
    এরই ধারাবাহিকতায় গত (১৫ ডিসেম্বর) জরিনা বেগম ও আবুল কালাম এর ফোন আলাপের এক পর্যায়ে আবুল কালামকে জরিনা বেগমের বাসায় আসতে বলে। ঐ দিনই আবুল কালাম রাত ৮ঘটিকার সময় জরিনার বসত ঘরে যায় সে। ভিকটিমকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও পরবর্তীতে বিয়ে নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে।
    খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ আরও জানান, পুলিশ ২২ ডিসেম্বর ওই নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। একই দিন ভুক্তভোগীর বড় ছেলে বান্দরবান থেকে মাটিরাঙ্গায় এসে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।