Tag: ধর্ষণ
-
কালিয়াকৈরে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হরেন্দ্র গ্রেফতার।
স্টাফ রিপোর্টারঃগাজীপুরের কালিয়াকৈর টাঙ্গাইলের নাগরপুর এলাকায় পুলিশের অভিযানে হরেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে।গাজীপুর উপজেলার উত্তর গজারিয়া এলাকায় ৭ বছরে কন্যা শিশুকে করা হয়েছে। ধর্ষনের অভিযোগে হরেন্দ্র মনি দাসকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার উত্তর গজারিয়া গ্রামের অখিল চন্দ্র মনিদাসের শিশু কন্যা কোহেলী (৭) কে তার প্রতিবেশী অমুল্য মনিদাসের পুত্র হরেন্দ্র মনি দাস (৩৫) প্রলোভন দেখিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে কোহলীকে টয়লেটের ভিতরে নিয়ে ধর্ষন করে। এ সময় তার চিৎকারের লোকজন এগিয়ে আসলে হরেন্দ্র দৌড়ে পালিয়ে যায়।পরে বাড়ির লোকজন রক্তাক্তবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে।এ ঘটনায় শিশুর মা ফুলতুলি দাস বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ হরেন্দ্র কে গ্রেফতার করে।কালিয়াকৈর থানা পুলিশের (এস আই) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বুধবার টাঙ্গাইলের নাগরপুর এলাকা থেকে হরেন্দ্র কে গ্রেফতার করা হয়। -
কালিয়াকৈর দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ।
শাকিল হোসেন,কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সুত্রাপুর ইউনিয়নের উওর গজারিয়া এলাকায় বরিবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী হলেন, উওর গজারিয়া এলাকার অখিল চন্দ্র মনিদাসের মেয়ে (৭)।
তিনি গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীতে লেখাপড়া করেন। ঘটনাটি ঘটিয়েছে উত্তর গজারিয়া এলকার মৃত অমিল্য চন্দ্র মনিদাসের ছেলে হরেন্দ্র চন্দ্র মনিদাস (৩৫)।
এলাকাবাসী সূএে জানা যায়, রবিবার দিনটি ছিল সনাতনী হিন্দু ধর্মালম্বীদের সরস্বতী পূজার প্রথম দিন। এইদিনে প্রতিবেশি কাকা হরেন্দ্র চন্দ্র মনিদাস শিশুর নিজ বাড়ি থেকে কোলে তোলে নিয়ে ঠাকুর বাড়ি সরস্বতী পূজা দেখানোর কথা বলে নিয়ে যায়। কিছুপর পর শিশুর মেঝো বোন সিনথিয়া মনিদাস অনেক খোঁজাখুঁজির পর হরেন্দ্র চন্দ্রের বাড়িতে টয়লেট বন্ধ দেখে সন্দেহ হয়। দীর্ঘ সময় টয়লেট বন্ধ থাকার কারনে সিনথিয়া হরেন্দ্র কাকাকে ডাকতে থাকে। কিন্তু হরেন্দ্র জানান ও ঠাকুর বাড়িতে আছে। কিন্তু সিনথিয়ার ধাক্কাধাক্কিতে একপর্যায় টয়লেটের দরজা খুলে এবং শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত।
-
উল্লাপাড়ায় আলোচিত ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার।
উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর পূর্ণিমা রাণী শীল গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জহুরুল ইসলাম (৪২)কে গ্রেপ্তার করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশের একটি অভিযানিক চৌকস দল।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের পূর্ব দেলুয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জহুরুল ইসলাম উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের পূর্বদেলুয়া গ্রামের জিল্লুর রহমান এর ছেলে।
উল্লাপাড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার অমৃত সুত্রধর শনিবার সকালে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,২০০১ সালের ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় উল্লাপাড়ায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা জের ধরে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী পূর্ণিমা রাণী শীলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে কতিপয় আসামি ভিকটিম ও তার মা-বাবা-ভাইকে বেধড়ক মারপিট করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পরে ভিকটিম পূর্ণিমা রাণী শীলকে জোর করে ধরে নিয়ে একটি কচুক্ষেতে ফেলে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা অনিল চন্দ্র বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ বিচারক ১১ জন আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা এবং প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করেন।
তিনি আরও জানান, মামলার পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতার করা জন্য পুলিশ প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। গ্রেফতার হওয়া জহুরুল ইসলাম ১৭ বছর যাবত মালয়েশিয়াতে আত্মগোপনে ছিল। তাকে গ্রেফতার করে শনিবার সিরাজগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
-
আমতলীতে খাবারের লোভ দেখিয়ে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ।
আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি।
খাবারের লোভ দেখিয়ে ৯ বছরের প্রতিবন্ধী এক শিশুকে মো সিদ্দিক মৃধা (৪০) ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বরগুনার আমতলী উপজেলার খাকদান গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, উপজেলার খাকদান গ্রামের ৯ বছরের প্রতিবন্ধী শিশু দোকানে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে মো মুজা মৃধার ছেলে। মো সিদ্দিক মৃধা। খাবার কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তার বাড়ির পাশে জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে বলে পরিবারের অভিযোগ। শিশু বাড়িতে এসে তার পরিবারকে এই ঘটনা জানায়।
তাৎক্ষণিক পরিবারের লোকজন শিশুটিকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শিশুটিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে প্রেরণ করেন।
শিশুটির মা অভিযোগ করেন, আমার প্রতিবন্ধী মেয়ে খাবার কিনতে দোকানে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে মো সিদ্দিক মৃধা আমার মেয়েকে খাবারের লোভ দেখিয়ে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মনিরুজ্জামান খাঁন বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুটির রানে রক্ত লেগে আছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, পুলিশের সহযোগিতায় শিশুটিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
-
সাঁথিয়ায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ-যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
পাবনা প্রতিনিধিঃ
পাবনার সাঁথিয়ায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ ঘটনায় মোঃ আরমান হোসেন (২৭) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মোঃমিজানুর রহমান এই আদেশ প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোঃ আরমান হোসেন সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের মিয়াপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ খানের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মোঃ আরমান হোসেন বিভিন্ন সময় ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিত। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অনেক সময় রাস্তাঘাটে হুমকি-ধামকি দিত। নিরাপত্তাজনিত কারনে একপর্যায়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয় ভুক্তভোগী ছাত্রী। কিন্তু গ্রাম প্রধানদের আশ্বাসে ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ২০২২ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখ সকাল ৯টার দিকে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে স্কুলের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা যুবক আরমান তাকে মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করে। এরপর তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পাওয়াতে পরিবার থানা পুলিশের শরণাপন্ন হন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার ৪দিন পর তার বাবা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২০২৩ সালের শেষের দিকে চার্জশিট গঠন হয়। পরে আজ এ রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবনা জজকোর্টের বিশেষ পিপি খন্দকার আব্দুর রকিব বলেন, ‘মামলার দুই বছরের মাথায় রায় ঘোষণা হওয়ায় আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। যাবজ্জীবন সাজা হওয়াতে বাদী ন্যায়বিচার পেয়েছে। তবে এখানে সাজা কমে যাওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী নুরুজ্জামান নোমান বলেন, ‘এ মামলায় যাবজ্জীবন সাজা দেয়াতে আমার মক্কেল ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। আপিলে ন্যায়বিচার পাব।
-
পাওয়া যায়নি ধর্ষণের আলামত মামলার বাদী কারাগারে।
ডেস্ক রিপোর্টঃ
পাওয়া যায়নি ধর্ষণের আলামত মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় কোহিনুর আক্তার (৩০) নামের নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার (১৬ মার্চ) চাঁদপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। এর আগে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পালগিরি উত্তর পাড়াবাড়ী থেকে কোহিনুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে এস আই মিন্টু কুমার বলেন, নাজির উল্লাহ স্বপনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন কোহিনুর। মামলাটি আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এর ফলে আদালত মামলাটি খারিজ করেন এবং কোহিনুরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করেন স্বপন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত থানা-পুলিশকে অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্তির নির্দেশ দেন এবং আসামিকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী নাজির উল্লাহ স্বপন বলেন, আমার ভাই বুলনের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ জন্য আমার ভাই কোহিনুরকে ব্যবহার করে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলা করান। ওই মামলায় আমি ৩ মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পাই। এরই মধ্যে আমার ডিএনএ টেস্ট করে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। ফলে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি মামলাটি খারিজ হয়।কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশে নাজির উল্লাহ স্বপনের মামলাটি এফআইআরভুক্ত হয়। ওই মামলায় কোহিনুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
-
বাড়ী ফেরার পথে স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের জুড়ীতে প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে জুড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুর পালক মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার জুড়ী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।জানা যায়, গত সোমবার কেউ বাড়িতে ছিলেন না। দুপুর ১২টার সময় মেয়েটি বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে আসে। বাড়ির গেটে আসা মাত্র পূর্বে থেকে ওঁৎপেতে থাকা পার্শ্ববর্তী ভোগতেরা গ্রামের আব্দুর রশীদের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম কালা মেয়েটির মুখ চেপে ধরে ঘরের পেছনে খড়ের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। তিনি বলেন-সে প্রায় দিনই আমাদের ঘরের পেছনে এসে দিনে রাতে বসে থাকে। আমরা ভয়ে কিছু বলি না। আমাদের ঘরে পুরুষ মানুষ না থাকায় আমরা ভয়ে ভয়ে থাকতাম। আজ আমাদের সর্বনাশ করল।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কালিনগর ও ভোগতেরা গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন-কালা ইতিপূর্বে ৫/৬টি মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ ও ছেলে শিশুকে বলাৎকার করেছে এবং বেশ কয়েকজন মহিলাকে ধর্ষণ করেছে।জুড়ী থানার ওসি এসএম মাঈন উদ্দিন বলেন-ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা তারিখ হয়েছে। ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। -
ঝিনাইদহে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারিক আদালত
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় মোঃ তরিকুল ইসলাম জোয়ারদার নামের আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার (৬মার্চ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এই রায় প্রদান করেন।দণ্ডপ্রাপ্ত মোঃ তরিকুল ইসলাম জোয়ারদার উপজেলার রয়েড়াগ্রামের মৃত মেন্দা আলী জোয়ারদারের ছেলে। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বজলুর রহমান জানান ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি শৈলকুপার রয়েড়া গ্রামের পাঁচ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে তরিকুল। নির্যাতিতা ওই শিশু তার উপর ঘটে যাওয়া ঘটনা পরিবারকে জানালে শৈলকূপা থানায় তার চাচা নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ বুধবার মামলার আসামিকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন।এই টাকা অনাদাযে আরো চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন।
-
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ-ধর্ষক গ্রেফতার।
মিজানুর রহমান লাভলু,কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ কানাইঘাট উপজেলার ঝিংঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের লামা ঝিংঙ্গাবাড়ী পূর্বগ্রামের মেয়ে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গ্রেফতারকৃত ইলিয়াছ উপর ঝিংঙ্গাবাড়ী হরিশিংমাটি গ্রামের মন্তাজ আলীর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ভুক্তভোগী মাদ্রসায় আসা যাওয়ার সময় অটোরিক্সা (সিএনজি) চালক ইলিয়াছ প্রেম নিবেদন করিয়া উত্যক্ত করিত। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বিষয়টি তাঁর মা বাবা আত্মীয়স্বজনকে জানায় । ভুক্তভোগীর পরিবার ইলিয়াছের আত্মীয়স্বজনের কাছে বিচার দেন।পরে ইলিয়াছ ভুক্তভোগীর প্রতি আক্রোশান্বিত হয়ে উঠে। গত শনিবার রাত অনুমান ১০টার সময় ভিকটিম প্রকৃতির ডাকে বসত ঘর বাহির হয় এই সুযোগে ইলিয়াছ ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে খাঁটের নিচে লুকিয়ে পড়ে। ভিকটিম ঘরে প্রবেশ করিয়া বিছানায় ঘুমানোর পর ইলিয়াছ বিছানায় উঠে এবং ভুক্তভোগীকে জড়াইয়া ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তাকে বাধা/নিষেধ করলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় তাতেও রাজি না হলে জোরপূর্বক ভিকটিমকে ধর্ষণ করে।
ঘটনার সময় চিৎকার ও চেঁচামেচি শুনিয়া ভাই ইমরান উদ্দীন আগাইয়া আসিয়া ইলিয়াছ কে ঘরের ভিতরে রেখে দরজা বন্দ করে রাখেন।পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, এ ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই এস আই সনজিত কুমার রায় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে আসামি ইলিয়াছ কে গ্রেফতার করেন এবং ইলিয়াছ এর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হচ্ছে ।