Tag: জমি

  • বেলকুচিতে ধানের জমিতে পাওয়া গেলো সিল মারা ব্যালট পেপার ও রেজাল্ট সিট।

    বেলকুচিতে ধানের জমিতে পাওয়া গেলো সিল মারা ব্যালট পেপার ও রেজাল্ট সিট।

    সবুজ সরকার বেলকুচি সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাধারন সদস্য পদের মোরগ প্রতিকে সিল মারা ব্যালট পেপার ও পিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষরিত রেজাল্ট সিট ছিরে ফেলে রেখেছে ধানের জমিতে।

    মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ঠাকুরপারা ভোট কেন্দ্রের পাশে ছাগল চরাতে গিয়ে ছেলেরা কুড়িয়ে পায় এই সব কাগজ। রবিবার রাতে ভোট গননা শেষে প্রথমে মোরগ প্রতিক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষনা করে। তার আধা ঘন্টা পর আবার তালা প্রতিক প্রার্থীকে বিজয় ঘোষনা দিয়ে দ্রুত চলে যায় পিজাইডিং অফিসার। যাবার পথে পাশের ধানের জমিতে ফেলে যায় এইসব কাগজ।

    মঙ্গলবার সকালে কুড়িয়ে পাওয়া এই ব্যালট পেপার ও রেজাল্ট সিট নিয়ে রিটারনিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে। নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন করে রাজাপুর ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ডের সাধারন পদে নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ আকখতার হোসেনের সহযোগিতায় কারচুপির মাধ্যমে ফলাফল পরিরর্তন করে মোরগ প্রতীক নুরুল আমিনকে পরাজিত করার অবিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যের ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানিয়েছেন মোরগ প্রতীক ইউপি সদস্য নুরুল আমিন।

    মঙ্লবার দুপুরে বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের প্রার্থীর নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোরগ প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আমিন।

    তিনি বলেন, উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে নিবার্চন সুষ্ঠ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়। নিবার্চন শেষে সাধারণ আসনের সদস্য পদে নিবার্চনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগনের ভোট গণনার বিবরনী পত্রে আব্দুল মমিন তালা প্রতীককে ৩৮৭, নুরুল ইসলাম মোরগ প্রতীকে ৬১৭ ভোট, শামছুল হক মোল্লা ফুটবল প্রতীকে ৪৮০ ও সেরাজুল ইসলাম ঘুড়ী প্রতীকে ৩৮৭ ভোট দেখানো হলেও পুনরায় তাহা জালিয়াতি করিয়া নতুন করে ভোট গণনার বিবরনীতে আব্দুল মমিন তালা প্রতীকে ৩৮৭, নুরুল আমিন মোরগ প্রতীকে ৬১৭, শামছুল হক মোল্লা ফুটবল প্রতীক কে ৪৮০ ও সেরাজুল ইসলাম ঘুড়ী প্রতীক কে ৬৫৫ ভোট দেখানো হয়েছে এবং সেরাজুল ইসলামকে জয়ী ডিকল্যারেশন দেওয়া হয়। কিন্তু সাধারণ আসনের পদে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীগণের ভোট গণনার বিবরনী তে সঠিক ভোট গণণা করা হলে আমি ৬১৭ ভোট আসন্ন নির্বাচনে জয় লাভ করি। কিন্তু তাহা জালিয়াতি করিয়া সেরাজুল ইসলাম কে অর্থাৎ ঘুড়ি প্রতীক কে ৬৫৫ ভোটে জয় দেখানো হয়। উল্লেখ্য নির্বাচনে শেষে কিছু সংখ্যক ব্যালট পেপার ও প্রথম গণনার রেজাল্ট শিট কেন্দ্রের বাহিরে পাওয়া যায়। রেজাল্ট সিট ও ভোট গোপন করে প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ আখতার হোসেন প্রতিপক্ষকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    ঠাকুরপাড়া ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ আকখতার বলেন, আমি প্রথমে যে রেজাল্ট সিট লিখেছিলাম তা ভুল হওয়ার কারনে সেটা ছিরে ফেলে দিয়ে নতুন করে রেজাল্ট সিট লিখে ঘোষনা দিয়ে চলে আসি। তবে ধানের জমিতে কি ভাবে সিল মারা ব্যালট পাওয়া গেছে তা আমার জানা নেই। তরে রেজাল্ট সিটটা ছিরে ফেলে দেওয়া আমার ঠিক হয়নি।

    রাজাপুর ইউনিয়ন নির্বাচনের রিটিরনিং অফিসার ইলিয়াস হোসেন জানান, নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতা ও বিভিন্ন অভিযোগের জন্য নির্বাচন ট্রাইবুনাল রয়েছে। মোরগ প্রতিকের প্রার্থী নুরুল আমিন লিখিত অভিযোগ দিয়েছে আমার কাছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আমরা প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ আকখতারকে ডেকেছি। তার কাছ থেকে জানার পর নির্কাচন ট্রাইবুনালে রিপোট আকারে পেশ করবো। তখন নির্বাচন ট্রাইবুনাল বিষয়টির সুরাহা করবে।

  • উলিপুরে ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণে দখলকৃত জমির মালিকদের টাকার চেক বিতরণ। 

    উলিপুরে ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণে দখলকৃত জমির মালিকদের টাকার চেক বিতরণ। 

    রোকন মিয়া,কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভার আবর্জনা ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত তিন একর জমি হুকুম দখলের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় উলিপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম হুকুম দখলকৃত জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৯১লাখ ৬২ হাজার ৯৪২ টাকার চেক ১১ জন জমির মালিকের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।
    এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, উলিপুর পৌরসভার মেয়র মামুন সরকার মিঠু, উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম রাসেল,এল.এ. ও গোলাম ফেরদৌস, অতিরিক্ত ভূমি কর্মকর্তা আ.ন.ম জাহিদুল ইসলাম,কানুনগো জালাল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উলিপুর পৌরসভার নাওডাঙ্গা মৌজায় হুকুম দখলকৃত তিন একর জমির উপর আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর আবর্জনা ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন দাতা সংস্থা জাইকা। ডাম্পিং স্টেশন টি নির্মাণ হলে উলিপুর পৌরসভার আবর্জনা নিক্ষেপ করার একটি নির্দিষ্ট স্থান তৈরি হবে।
  • রামগতি সরকারি জমি দখল করে আ.লীগ নেতার দোকানঘর নির্মাণ।

    রামগতি সরকারি জমি দখল করে আ.লীগ নেতার দোকানঘর নির্মাণ।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের কারামতিয়া বাজারে সরকারি খাস জায়গা বেআইনিভাবে দখল করে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে সাবেক মেম্বার ও বিতর্কিত আওয়ামীলীগ নেতা সারওয়ার ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের কেরামতিয়া বাজারে ১নং খাস খতিয়ানের ভূমিতে তারা তিন ভাই মিলে সরকারী এই জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করেন।

    শনিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সরকারি ওই খাস জায়গায় তিনটি নতুন দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে ঐ জায়গার মুল্য প্রায় এক কোটি টাকা।স্থানীয়রা জানান,চরবাদাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নাম বিক্রি করে গত ইউপি নির্বাচনে ৫ নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার নির্বাচিত হন সারওয়ার ভুঁইয়া। মেম্বার হয়ে সারওয়ার তার ভাই সেলিম ভুঁইয়া ও রোমান ভুঁইয়া গংরা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে সরকারি জমি দখল থেকে শুরু করে নানা অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকাবাসীকে জিম্মি করে রাখেন। সদ্যসমাপ্ত চরবাদাম ইউপি নির্বাচনে সারওয়ার ভুঁইয়া মেম্বার পদে আবারো প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে হেরে গিয়ে এখন আবার এই বিতর্কিত পরিবারটি দখল বাণিজ্যে মেতে উঠেছে।তাদের এমন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে চরবাদাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারামতিয়া এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি জানান,সরকারের কোটি টাকার সম্পত্তি এরা জবরদখল করে রাতের আঁধারে দোকানঘর তৈরী করছে। এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে জনগন এদেরকে নির্বাচনে দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছে। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে এখন আবার দখল বাণিজ্য শুরু করছে এই পরিবারটি।
    অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা সারওয়ার ভুঁইয়া বলেন,এগুলো খাস জায়গা এটা ঠিক। তবে আমি বেআইনিভাবে কোনো সরকারি জায়গা দখল করিনি। প্রশাসন ও স্থানীয় ভূমি অফিস ম্যানেজ করেই দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

    স্থানীয় চরবাদাম ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সেম্বু লাল মজুমদার বলেন, দোকান ঘর নির্মাণ করার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। কাউকে অনুমতি দেয়ার প্রশ্নই উঠে না। বিষয়টি তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ইউএনও কে অবহিত করেছেন।

    এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল মোমিন বলেন, সরকারি নিয়মনীতির বাইরে গিয়ে কেউ অপরাধ করলে সেটা দণ্ডনীয় অপরাধ। ওই জায়গাটি দখলমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

  • মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি জবর দখলের অভিযোগ

    মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি জবর দখলের অভিযোগ

    লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের কাকিনা রাজস্মৃতি সার্বজনীন মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে আয়নুল হক নামে এক মুসলিম পরিবারের ক্রয় কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক জবর দখল করে করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নে।

    কাগজপত্র থেকে জানা যায় যে, ১৯৪০ সালের সিএস মোতাবেক উল্লেখিগ জমির মালিক কুসুমকুমারী দেববা। তিনি ওই জমি ১৯৫৪ সালে খোরকান আলী ওরফে কোরবান আলীর নিকট ২৮ শতাংশ জমির মধ্যে ৪ শতাংশ জমি মন্দিরের জন্য দান করে অবশিষ্ট ২৪ শতাংশ জমি বিক্রয় করেন। ক্রয়সুত্রে উক্ত জমি ১৯৬২ সালে ২৭ শতাংশ জমি খোরকান আলী কোরবান আলীর নামে এস এ রেকর্ড ভুক্ত হয়।

    কোরবান আলী উক্ত জমি ১৯৭৪ সনে এস এ রেকর্ড মূলে ফজলুল হক ও আইনুল হক এর নিকট বিক্রয় করলে ১৯৯০ সনের বিএস রেকর্ড এ ফজলুল হক ও আমিনুল হকের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৭৪ সন হতে ২০১৮ সন পর্যন্ত উক্ত ক্রয় কৃত ২৭ শতাংস সম্পত্তি ভোগ দখল ও আজ না পরিশোধ করে আসছিলেন ফজলুল হক ও আইনুল হক এ দু;ভাই।

    সরোজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০আগস্ট দেখা যায় যে, মন্দির কমিটির পক্ষে লোকজন বাউন্ডারি ওয়ালের কাজ চলমান রেখেছেন।

    এ সময় তাদের নিকট মন্দির কমিটির লোকজনের সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর চাওয়া হলে উপস্থিত লোকজন তা দিতে অস্বীকার করেন। ফলে মন্দির কমিটির সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

    এ বিষয়ে জমির মূল মালিক ফজলুল হক বলেন, জমিটি আমরা ভোগ দখল করে আসছিলাম কিন্তু হঠাৎ করে উক্ত জমিটি রাতের আধারে মন্দির কমিটির লোকজন জবরদখল করে ফেলে এবং মন্দিরের জমি বলে দাবি করেন।

    এ বিষয়ে মন্দির কমিটি লালমনিরহাট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদালত একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করে কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মন্দির কমিটির লোকজন উল্লেখিত জমি বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

    এ বিষয়ে আমি গত ৬ আগস্ট কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কালীগঞ্জ থানার এসআই নাজমুল হক সরোজমিনে ঘটনা পরিদর্শন করে মন্দির কমিটিকে কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেন। মন্দির কমিটির লোকজন নিষেধ অমান্য করে কাজ চলমান রেখেছেন।

    এই বিষয়ে কাকিনা ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু অশ্বিনী কুমার পাল পাল এর সহিত যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কি সত্য মন্দির কমিটির লোকজন জায়গাটি দাবি করেছেন এ বিষয়ে আমার তেমন কিছু জানা নেই। তবে বিষয়টি দ্রুত খবর নিয়ে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

    অপরদিকে গত ১১ আগস্ট ( বুধবার) জমির মূল মালিক ফজলুল হক ও আইনুল হক কোন উপায় না পেয়ে লালমনিরহাট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ফলে উক্ত জমির উপর আদালত ১৪৪ ধারা নির্দেশনা জারি করেছেন।

    এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরজু মো: সাজ্জাদ হোসেন আদালতের নির্দেশনার কথা স্বীকার করে বলেন,, আদালতের নির্দেশনা পেয়ে তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

  • ফুলবাড়িতে জমিতে কিটনাশক ছিটাতে গিয়ে এক কৃষকের মৃত্যু।

    ফুলবাড়িতে জমিতে কিটনাশক ছিটাতে গিয়ে এক কৃষকের মৃত্যু।

    দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ধানি জমিতে হিটনাশক ছিটাতে গিয়ে বিষক্রিয়ায় মকছেদুর রহমান (৬২) নামে এক কৃষক মৃত্যু বরণ করেছেন।

    মঙ্গলবার বেলা ১২টায় পৌরশহরের স্বজনপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কৃষক ফুলবাড়ী পৌর শহরের স্বজনপুকুর গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিন এর ছেলে।

    নিহতের ভাবী জেবুন নেছাসহ পরিবারের অন্যন্য সদস্যরা জানান, নিহত কৃষক মকছেদুর রহমান বেলা ১২টার দিকে নিজ বাড়ীর পাশে জমিতে কিটনাশক ছিটানোর সময় হঠাৎ মাথা ঘুরে জমিতে পড়ে গেলে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে বাড়ীর লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরিক্ষা নিরিক্ষা করার পর তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

    কিটনাশক ছিটানোর সময় বিষক্রিয়িার তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন পরিবারের লোকজন। এদিকে এই মর্মান্তিক ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মোছা: চামেলী বেগম বলেন জমিতে কিটনাশক ছিটানোর সময় রোদের কারনে অত্যন্ত গরমে স্টোক করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

  • সিরাজগঞ্জে ব্রীজের ‍মুখ বন্ধ করে-৪’শ বিঘা ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির আশংক্ষা।

    সিরাজগঞ্জে ব্রীজের ‍মুখ বন্ধ করে-৪’শ বিঘা ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির আশংক্ষা।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গার আগরপুর গ্রামের ব্রীজের পানি যাতায়াতের মুখ ২ দিন আগে মাটি ফেলে বন্ধ করে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৪শ বিঘা ফসলি জমি জলাবদ্ধতার কারনে অনাবাদি জমিতে পরিণত হবে। আর এ জলাবদ্ধতার কারণে হুমকির মুখে পড়বে স্থানীয় বাসিন্দারা। জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জোড় দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

    জানা গেছে,সলঙ্গার আমশড়া নুনিয়ারপাড় হতে আগরপুর গ্রামের রাস্তায় ব্রীজের মুখ বন্ধ করায় সেখানে বর্ষাকালে জমে থাকা ও বৃষ্টির পানি বের হতে পারবে না।

    স্থানীয়রা জানান,ব্রীজের মুখ দিয়ে পানি নিষ্কাশন হতো। ২ দিন আগে আগরপুর গ্রামের প্রভাবশালী জামাত কর্মী আবু বক্কার মাষ্টার ও তার লোকজন ব্রীজের মুখটা বন্ধ করার ফলে ওই পথে আর পানি বের হতে পারবে না। আর এ কারণে জলাবদ্ধতাসহ ফসলি জমি অনাবাদি এবং চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে।

    এ ব্যাপারে আবু বক্কার মাষ্টার বলেন,পশ্চিম পাশে কালভার্টের মুখ বন্ধ করে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করেছে গ্রামের কিছু লোকজন। এতে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। তাই ব্রীজের মুখ বন্ধ করেছি। ওরা খুলে দিলে আমরাও ব্রীজের মুখ খুলে দেবো।

    এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে উল্লাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মোঃ নাহিদ হাসান খান বলেন-আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানলাম। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিব।