Tag: জমি

  • লক্ষ্মীপুরে মেজো ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোট ভাইয়ের সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ। 

    লক্ষ্মীপুরে মেজো ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোট ভাইয়ের সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ। 

    লক্ষ্মীপুরে মেজো ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোট ভাইয়ের সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ। 


    লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলাতে ছোটো ভাইয়ের জমি দখল ও ঘর ভাঙচুর লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেজো ভাই হাসমত আলির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ২৬ মে বৃহস্পতিবার সকালে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখত অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী আনসার পাটোয়ারী।

    ঘটনা টি ঘটেছে রায়পুর উপজেলার ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সমসের উদ্দিন পাটোয়ারী বাড়িতে ভুক্তভোগী আনসার পাটোয়ারী এবং অভিযুক্ত হাসমেত আলির পিতা মৃত হানিফ পাটোয়ারী।

    স্থানীয় একাধিক সূত্র হতে জানাজায় দুই ভাইয়ের পিতার মৃত্যুর পর পিতার সম্পত্তির সঠিক ভাবে বন্টন না করে ছোট ভাই আনসার পাটোয়ারী প্রাপ্য অংশ ভোগ দখলে নিয়ে নেন তার বড় ভাউ হাসমত আলি, এনিয়ে দুই ভাইয়ের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জায়গা জমি সংক্রান্ত ঝামেলা চলে আসছে।
    এই ঘটনায় স্থানীয় ভাবে কয়েকবার বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করেন কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রায়াত চেয়ারম্যান শাহজাহান কামাল, বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় ভুক্তভোগী আনসার পাটোয়ারী কে তার পিতার প্রাপ্য সম্পত্তি বুজিয়ে দেওয়ার কিন্তু স্থানীয় বৈঠকে অমান্য করে অভিযুক্ত মেজো ভাই হাসমত আলি রায়পুর থানার এএসআই মোশাররফ এর নিকট লিখিত অভিযোগ করেন এনিয়ে ৬ থেকে ৭সাত বার বৈঠক করেও রায়পুর থানার এএসআই মোশাররফ হোসেন কোন সমাধান করতে পারেন নি। উল্টো এএসআই মোশাররফ টাকা খেয়ে অভিযুক্ত বড় ভাই হাসমত আলির পক্ষে, পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ রয়েছে ।

    এই বিষয়ে ভুক্তভোগী আনসার পাটোয়ারী বলেন আমার পিতার মৃত্যুর পর পিতার সম্পত্তির সঠিক বন্টন না করে আমাকে আমার প্রাপ্য অংশ না দিয়ে তা ভোগদখল করেন আমার মেজো ভাই হাসমত আলি। আমি আমার সম্পত্তি দখল করতে গেলে আমাকে মারতে আসেন এবং হুমকি দামকি প্রধান করেন তিনি, আমাদের এই সম্পত্তি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে সামাধান করা হয়েছিল এবং আমি আমার জাগায় ঘর তুলি, কিন্তু চেয়ারম্যান এর মৃত্যুর পর আমি বাড়িতে না থাকায় আমার বাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করেন আমার মেজো ভাই। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হাসমত আলি বলেন আমি তাকে তার সম্পত্তি হিসাব সুন্দর ভাবে বুজিয়ে দিয়েছি,তার দাবী অনুযায়ী সে এখানে কোনো সম্পত্তি পাবে না, আপনাদের কোনো তথ্য দিয়ে লাভ নেই।

  • লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্যের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলা-আহত ৪।

    লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্যের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলা-আহত ৪।

    লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্যের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলা- আহত ৪।


    লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ উপজেলাতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মাছ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম সুমন ও তার স্ত্রীসহ চারজনকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

    শুক্রবার (১৩ মে) সকালে ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার। এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নুনিয়াপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই দিকে হামলায় আহত সুমন ও তার স্ত্রী শান্তা ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত মন্তাজ উদ্দিন ও আমেনা বেগমকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই নুনিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

    অভিযোগে বলা হয়, ইউপি সদস্য ফারুকের সঙ্গে সুমনদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার সময় জোর করে জমি দখল করতে ফারুক ছয়-সাতজন লোক নিয়ে সুমনদের ওপর হামলা করে। এই সময় সুমনসহ পরিবারের চার সদস্যকে বেদম পিটিয়ে আহত করা হয়। এতে সুমনের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

    চিকিৎসাধীন সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, ফারুক লোকজন নিয়ে আমার ঘরসহ জমি দখল করতে এসেছিল। বাধা দেওয়ায় আমাদের পিটিয়ে আহত করে। এই ঘটনায় আমরা বিচার চাই।
    এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন জানান, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তার ভাই-বোনদের সঙ্গে সুমনের কথা-কাটাকাটি হয়েছে। এখন তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • জমিতে পানি না পেয়ে আদিবাসী ২ কৃষকের আত্মহত্যা;নলকূপ অপারেটর গ্রেপ্তার।

    জমিতে পানি না পেয়ে আদিবাসী ২ কৃষকের আত্মহত্যা;নলকূপ অপারেটর গ্রেপ্তার।

    জমিতে পানি না পেয়ে আদিবাসী ২ কৃষকের আত্মহত্যা;নলকূপ অপারেটর গ্রেপ্তার।


    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বহুল আলোচিত আদিবাসী ২ কৃষকের আত্মহত্যা ঘটনার সেই সেচ পাম্পের অপারেটরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    ধানের জমিতে পানি না পাওয়ায় দুই আদিবাসী কৃষকের আত্মহননের ঘটনায় রুজুকৃত আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার পলাতক আসামী বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপের অপারেটর সাখাওয়াত হোসেনকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাত ১ টার সময় উপজেলার চব্বিশনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    গ্রেপ্তার সাখাওয়াত হোসেন উপজেলার ইশ্বরীপুর গ্রামের মৃত হারুনের ছেলে। সাখাওয়াত উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি।

    জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) ইফতেখায়ের আলম জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেনের দিকনির্দেশনায় গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার চব্বিশনগর এলাকা থেকে সাখাওয়াতকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলা হওয়ার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। সেচের পানি না পেয়ে দুই আদিবাসী কৃষকের আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় তিনি আসামী।

    ধান খেতে পানি না পেয়ে গত ২৩ মার্চ বিকেলে ইশ্বরীপুর গ্রামে গভীর নলকূপের পাশে দাঁড়িয়ে বিষপান করেন অভিনাথ মার্ডি (৩৬) এবং তার চাচাতো ভাই নিমঘুটু গ্রামের রবি মার্ডি (২৭)। অভিনাথ সে রাতেই নিজ বাড়িতে মারা যান এবং দুইদিন পর ২৫ মার্চ রাতে হাসপাতালে মারা যান রবি। এ ঘটনায় অভিনাথের স্ত্রী রোজিনা হেমরন বাদি হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন।

  • গোদাগাড়ীতে ধানি জমিতে পানি না পেয়ে বিষপানে আদিবাসীর আত্মহত্যা।

    গোদাগাড়ীতে ধানি জমিতে পানি না পেয়ে বিষপানে আদিবাসীর আত্মহত্যা।

    গোদাগাড়ীতে ধানি জমিতে পানি না পেয়ে বিষপানে আদিবাসীর আত্মহত্যা।


    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ধানের জমিতে পানি না পেয়ে প্রতিবাদে দুই আদিবাসী সাঁওতাল কৃষক বিষপান করে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
    গোদাগাড়ী উপজেলার ঈশ্বরীপুর এলাকায় ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিয়োগকৃত গভীর নলকূপের ওপারেটর পালিয়ে গেছে। এলাকায় সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মাঝে চরম ক্ষোভ বিস্তার করছে।

    মৃত ব্যক্তি হলেন অভিনাথ মার্ডি (৩১)। একই সঙ্গে বিষপান করে গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন তার চাচাতো ভাই রবি মার্ডি (৩৩)। তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে অভিনাথ মার্ডি ও তার চাচাতো ভাই রবি মার্ডি তাদের ধানের জমিতে পানি দেওয়ার জন্য বিএমডিএর অপারেটরের কাছে যান। ধানের জমিতে পানি দেওয়ার পরে তারা ওই জমিতে পোকা মারা বিষ প্রয়োগ করবেন বলে ওই অপারেটরকে জানান। প্রতিউত্তরে অপারেটর বলেন, ‘পানি দিতে পারব না। তোরা নিজেরাই সেই বিষ খেয়ে নে।’ এই কথা শোনার পরে প্রতিবাদে দুই ভাই সেখানেই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

    এর পর স্থানীয়রা দুজনতে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা অভিনাথ মার্ডিকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। গুরুতর অবস্থায় রবি মার্ডিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এই ঘটনা শোনার পরে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে অপারেটরকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

  • বাঘায় রাতের অন্ধকারে চিরকুট রেখে পিয়াজের আবাদ নষ্ট।

    বাঘায় রাতের অন্ধকারে চিরকুট রেখে পিয়াজের আবাদ নষ্ট।

    বাঘায় রাতের অন্ধকারে চিরকুট রেখে পিয়াজের আবাদ নষ্ট।

    ৮ মার্চ (মঙ্গলবার) রাতের অন্ধকারে চিরকুট রেখে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় জমিতে চাষ করা পিয়াজ নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা।

    জানা যায়, বাউসা ইউনিয়নের দিঘা, টলটলি পাড়া, বাউসা চকরপাড়া এলাকাতে প্রায় ১৪ জনার পিয়াজের আবাদি জমির ১-২ লাইন (ভাটি) পিয়াজ উপড়ে তুলে রাখে এবং ৩-৪টি আবাদি জমিতে একটি চিরকুট লিখে রাখে।
    ১ম পাতাই লিখা আছে, শাকিম রতম শরিফুল ১লাখ,শরিফুল রতন শাকিম মেববার তেনা নেতা আমার গাড়ি চাই। ২য় পাতায় লিখা শাকিম রতন মেববার শরিফুল নেতা শরিফুল নেতা আমার গাড়ি চাই লিচে শরিফুল।
    ভুক্তভুগি বাউসা টলটলিপাড়ারার লেকু প্রাঃ সাথে কথা বলে জানা জাই, সে এক বিঘা পিয়াজের আবাদ করেছে, সকালে জমিতে পানি দিবে বলে জমির কাজ করতে এসে দেখে তার জমির ১.৫ লাইন (ভাটি) পিয়াজ উপড়ে ওই স্থানেই রেখে দিয়েছে সাথে চিরকুট।
    তিনি আরো বলেন, আমার  সাথে পূর্বের কারো কোন সুত্রুতা নেই, কে বা কারা এমন কাজ করেছে আমি ভাবতে পারছি না। তবে এই কাজ আমার একার না, আমার জানা মতে ৭-৮ জনার এই রকম একই কাজ করেছে।
    আরেক জন ভুক্তভুগি সুকচানের আম্মা নিরজাহান বলেন, আমার মেজো ছেলের ১০ কাটা জমিতে পিয়াজের চাষ করেছে, সকালে পাশের জমির মালিক এসে আমাকে বলছে, আমার ছেলের ২ লাইন (ভাটি) জমি উপড়ে ও ছানাছানি করছে ফেলছে। সাথে সাথে আমি জমিতে জাই এবং দেখি। আমরাউ ধারনা করতে পারছি না কে এমন জঘন্য কাজ করতে পারে।
    এ বিষয়ে ৫ নং বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ তুফান বলেন, আমাকে এই বিষয়ে ৩-৪ জন জানিয়েছেন এবং চিরকুটিও দেখিয়েছেন। তারা কোন প্রকার নাম বা সন্ধেহ না করতে পারাই আমি তাদের কে পরামর্শ দিয়েছি আপনারা ভুক্তভুগিরা সবাই একই সাথে বসে আলোচনা করতে পারেন কাউকে সন্ধেহ বা খোজখবর নিয়ে অপরাধীকে বের করতে পারেন কিনা। তবে এ বিষয়ে এখনো কোন মামলা করা হয় নি।
  • দেওয়ানগঞ্জে জমি সংক্রান্ত সংঘর্ষে ভাইয়ের হাতে ভাই নিহত। 

    দেওয়ানগঞ্জে জমি সংক্রান্ত সংঘর্ষে ভাইয়ের হাতে ভাই নিহত। 

    জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী পিআইসির আওতাধীন ডাংধরা ইউনিয়নের জোয়ানেরচর খাঁপাড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত সংঘর্ষে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ৩ফেব্রুয়ারি ২০২২এই ঘটনা ঘটে।
    স্থানীয় সুত্রে ও প্রত্যক্ষদর্শী মমিনুল হক (৮) (শেখ সাদীর ছেলে) জানায়, জোয়ানেরচর খাঁপাড়া গ্রামের আঃ সামাদ এর ৫ জন ছেলের মাঝে জমি নিয়ে তর্ক বিতর্কের সুত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে ছোট ভাই বাদশাহ (৩২) লাঠি দিয়ে বড় ভাই শেখ সাদী (৩৫) এর মাথায় আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
    স্থানীয়রা শেখ সাদীকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, রোগীর অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত সময়ের মধ্যেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
    ৪ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শেখ সাদী। আজ ৫ ফেব্রুয়ারী সানন্দবাড়ী পিআইসির পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জোয়াহের হোসেন খান দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার তদন্ত ও সি মোঃ আনছার আলী ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।
    সানন্দবাড়ী পিআইসির পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জোয়াহের হোসেন খান জানান- সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কেউ মামলা করেনি।
  • দেওয়ানগঞ্জে জমি সংক্রান্ত জেরে সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেফতার ৩। 

    দেওয়ানগঞ্জে জমি সংক্রান্ত জেরে সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেফতার ৩। 

    আজ শনিবার ২৯ জানুয়ারি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী পিআইসি’র আওতাধীন চরআমখাওয়া ইউনিয়নের সানন্দবাড়ী সবুজ পাড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনা স্থলে একই গ্রামের মৃত জুরান আলীর পুত্র নবী আলম (৫২) নামে একজনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছে আরও ৭ জন। তারা হলেন শাহিন, সাইদ, আলেয়া, নবীরন, শহীদ আলী, আল আমিন, জামেলা। এদের মধ্যে শাহিন ও জামেলা বেগমের অবস্থা আশংকা জনক। আহতদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
    দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ওসি মহাব্বত কবীর, সানন্দবাড়ী পিআইসি’র পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জোয়াহের হোসাইন খান সহ পুলিশ টিম, প্রাক্তন চেয়ারম্যান শেখ নাজিম উদ্দীন ও নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।
    দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। সে সুত্রে ৩ জনকে গ্রেফতার করেন। তারা হলেন একই গ্রামের মৃত আলাবক্স হাজ্বীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৪৫), মৃত গোলাম বাঘার ছেলে আঃ রশিদ (৫৫), ভিক্ষুর ছেলে মাসুদ রানা (৩৫)। এদের গ্রেফতার করে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আসামী আকমতের বাড়ীর সবাই পলাতক। গ্রামবাসী সুত্রে জানা যায়, আকমত আলী গং ও নবী আলম এর জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল দীর্ঘদিন যাবৎ। অনেকই মনে করেন পুর্ব পরিকল্পনামতো এমনটি করা হয়েছে।
  • নলডাঙ্গায় ৬ বিঘা জমির ফসল রাতে কীটনাশক ছিটিয়ে নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা।

    নলডাঙ্গায় ৬ বিঘা জমির ফসল রাতে কীটনাশক ছিটিয়ে নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা।

    নাটোরের নলডাঙ্গায় রাতে ঘাস মারা কীটনাশক ছিটিয়ে দুই কৃষক সহোদর ভাই ৬ বিঘা গম ও সরিষা ও মুলার ক্ষেত নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা।কয়েক দিন আগে রাতে উপজেলার সমসখলসি মাঠের রোপনকৃত ৪ বিঘা জমির সরিষা, ১ বিঘা জমির গম, ও ১ বিঘা জমির মুলার ক্ষেতে শুত্রুতা করে ঘাস মারা কীটনাশক প্রয়োগ করে।কয়েকদিন পর গম, ডেপা জাতের সরিষা ও মুলা ক্ষেতে হলুদ বর্ণ ধারন করে পচন ধরে নষ্ট হতে শুরু করলে দুই সহোদরের কৃষকের মাথায় হাত পড়ে। এ ঘটনায় শুক্রবার নলডাঙ্গায় থানায় অভিযোগ করবে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগি দুই কৃষক।

    ভুক্তভোগি দুই কৃষকের নাম ইমরান হোসেন (৪৬) ও লোকমান হোসেন (৪৮)।তারা রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার পমপাড়া গ্রামের মৃত মকসেদ আলীর ছেলে।তারা সম্পর্কে আপন দুই ভাই।

    বৃস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার সমসখলসি মাঠে নাসির ডাক্তার ও মোজাহার আলীর কাছ থেকে দুই সহোদর কৃষক ইমরান ও লোকমান ধার দেনা করে ৭০ হাজার টাকায় ৬ বিঘা জমি লিজ নিয়ে গম,সরিষা ও মুলার আবাধ করেছিল।কিন্ত জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে কোন এক রাতে শুত্রুতা করে কে বা কাহারা ঘাস মারা কীটনাশক প্রয়োগ করে।কয়েকদিন পর ৬ বিঘা জমির রোপনকৃত গম,সরিষা ও মুলা ক্ষেতে হলুদ বর্ণ ধারন করে পচন ধরে নষ্ট হতে শুরু করে।বিষয়টি বৃস্পতিবার তারা ফসল দেখতে এসে গম,সরিষা ও মুলা ক্ষেত নষ্ট হতে দেখে মাথায় হাত পড়ে। শুক্রবার এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দুই সহোদর কৃষক নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করবে জানিয়েছেন তারা।

    ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ইমরান ও লোকমান হোসেন বলেন,আমরা দুই ভাই ধার দেনা করে ৭০ হাজার টাকা খরচ করে ৬ বিঘা জমি লিজ নিয়ে সমস খলসি মাঠের ৪ বিঘা জমিতে সরিষা, ১ বিঘা জমিতে গম, ও ১ বিঘা জমিতে মুলার আবাদ করি।এসব উৎপাদনে আরো ৫০ হাজার টাকা খরচ করি।বৃস্পতিবার ফসলের ক্ষেতে দেখি কে বা কাহারা শুত্রুতা করে ঘাস মারা কীটনাশক প্রয়োগ করে।এতে রোপনকৃত গম,সরিষা ও মুলার ক্ষেত হলুদ বর্ণ ধারন করে পচে নষ্ট হয়েছে। রাতের আধাঁরে ঘাস মারা কীটনাশক প্রয়োগ করে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছে দুর্বৃত্তরা।আমাদের স্বপ্ন এই ভাবে শুত্রুরা ভেঙ্গে দেওয়ায় আমরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।আমরা এর তদন্ত করে বিচার দাবী করছি।

    নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন,এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওয়াতায় আনা হবে।

  • বালীয়াডাঙ্গীতে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল আবাদি ৫ বিঘা জমির ধান।

    বালীয়াডাঙ্গীতে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল আবাদি ৫ বিঘা জমির ধান।

    আনোয়ার হোসেন আকাশ,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে দুর্বৃত্তের আগুনে বাড়ির উঠানে স্তূপ করে রাখা পাঁচ বিঘা জমির পাকা আমন ধান ও গোয়ালঘর পুড়ে গেছে। এতে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। সোমবার ভোরে উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের সর্বমঙ্গলা পিপলটলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আব্দুল মান্নান ও তাঁর ভাই নাজমুল হুদা জানান, প্রায় ১৫ বিঘা জমির আমন ধান কাটার পর মাড়াই কাজের জন্য বাড়ির উঠানে স্তূপ করে রাখা হয়েছিল। ভোরবেলা কে বা কারা এতে আগুন দিলে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। পাঁচ বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে।

    বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন মুঠোফোনে জানান, রাত সাড়ে ৩টায় মোবাইলে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আগুনের সূত্রপাতের সঠিক কারণ জানা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির অভিযোগ রাতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে ধানের স্তূপে।

    বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল, ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমানসহ বালিয়াডাঙ্গী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আব্দুল মান্নান মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

  • উল্লাপাড়ায় ফসলী জমি নষ্ট করে বালু উত্তোলন ও বিক্রি বন্ধের দাবীতে স্মারকলিপি।

    উল্লাপাড়ায় ফসলী জমি নষ্ট করে বালু উত্তোলন ও বিক্রি বন্ধের দাবীতে স্মারকলিপি।

    উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়ন এর পেচারপাড়া ও চরপেচারপাড়া গ্রামে ফসলী জমি ও সরকারি সড়ক খনন করে মাটি ও বালু ব্যাবসায় মেতে উঠেছে এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী ভূমিদস্যুরা।
    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্যে অনাবাদি ও পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করেছেন। ঠিক সেই সময়ে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলাধীন পেচারপাড়া ও চরপেচারপাড়া গ্রামে চলছে অবৈধভাবে ভূমি দখল করে মাটি ও বালু বিক্রয়।  একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বীয় সার্থ হাসিলের জন্যে নদী খনন প্রকল্পের অজুহাতে পানি প্রবাহিত মূল নদী ও সংশ্লিষ্ট নদীর মধ্যবর্তী বালুচর খনন না করে ব্যাক্তি বিশেষের স্বার্থ রক্ষার তাগিদে ইরিগেশনের মাধ্যমে ধান চাষের ব্যাক্তি মালিকানা জমি খনন করে বালু ব্যাবসায় মেতে উঠেছে। উল্লেখ্য যে, অত্র এলাকার গ্রামটি নদী বেষ্টিত এবং গ্রামের ৯০ ভাগ মানুষ কৃষি নির্ভর। জমি চাষের মাধ্যমে অতিদরিদ্র গ্রামবাসী কোনরকমে জীবনযাপন করে আসছিলেন। ভূমিদস্যুদের এহেন ভয়াল থাবায় অত্র এলাকার প্রায় পাঁচশত জনগণ ভূমিহীন ও সর্বশান্ত হয়ে যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুধু অনাবাদি ভূমি নয়, ভূমিদস্যুদের হাত থেকে রেহাই পায়নি অত্র গ্রামে প্রবেশের একমাত্র সরকারি সড়ক (যা পিচ ঢালাইয়ের অনুমোদন রয়েছে)। সড়কটির প্রায় ২০০ মিটার খনন করে ভূমিদস্যুরা মাটি বিক্রি করছে। যার ফলশ্রুতিতে অত্র এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছে না এবং গ্রামবাসীর চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
    এহেন ঘৃণিত কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে অত্র গ্রামবাসী সচ্চার হয়ে প্রায় ২১৬ জনের গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকলিপি  উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান মওদুদ আহমেদ এর নিকট প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বললে, তিনি জানান এ বিষয়টি আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে আমরা এর বিরুদ্ধে যথাযথ আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।