Tag: ছাত্রী

  • কালিয়াকৈর দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ।

    কালিয়াকৈর দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ।

    শাকিল হোসেন,কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ

    গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সুত্রাপুর ইউনিয়নের উওর গজারিয়া এলাকায় বরিবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী হলেন, উওর গজারিয়া এলাকার অখিল চন্দ্র মনিদাসের মেয়ে (৭)।

    তিনি গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীতে লেখাপড়া করেন। ঘটনাটি ঘটিয়েছে উত্তর গজারিয়া এলকার মৃত অমিল্য চন্দ্র মনিদাসের ছেলে হরেন্দ্র চন্দ্র মনিদাস (৩৫)।

    এলাকাবাসী সূএে জানা যায়, রবিবার দিনটি ছিল সনাতনী হিন্দু ধর্মালম্বীদের সরস্বতী পূজার প্রথম দিন। এইদিনে প্রতিবেশি কাকা হরেন্দ্র চন্দ্র মনিদাস শিশুর নিজ বাড়ি থেকে কোলে তোলে নিয়ে ঠাকুর বাড়ি সরস্বতী পূজা দেখানোর কথা বলে নিয়ে যায়। কিছুপর পর শিশুর মেঝো বোন সিনথিয়া মনিদাস অনেক খোঁজাখুঁজির পর হরেন্দ্র চন্দ্রের বাড়িতে টয়লেট বন্ধ দেখে সন্দেহ হয়। দীর্ঘ সময় টয়লেট বন্ধ থাকার কারনে সিনথিয়া হরেন্দ্র কাকাকে ডাকতে থাকে। কিন্তু হরেন্দ্র জানান ও ঠাকুর বাড়িতে আছে। কিন্তু সিনথিয়ার ধাক্কাধাক্কিতে একপর্যায় টয়লেটের দরজা খুলে এবং শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত।

  • পটুয়াখালীতে ভায়ড়ার মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে খালু নিরুদ্দেশ।

    পটুয়াখালীতে ভায়ড়ার মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে খালু নিরুদ্দেশ।

    ডেস্ক রিপোর্টঃ

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ভায়ড়ার মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে খালুজান ইউনুস আলী নিরুদ্দেশ হয়েছে।এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।ইউনুস আলী উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের নজরুল ইসলাম সরদারের ছেলে ইউনুস সরদার (৩১)।তার ঘরে স্ত্রী রাবেয়া ও দুইজন কন্যা সন্তান রয়েছে।

    গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এনজিও থেকে লোন নিয়ে ওই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যান খালু ইউনুস। পরবর্তীতে উভয় পরিবার জানতে পারে যে, তারা বিয়ে করেছেন। কিন্তু বাড়ি ছাড়ার ১ মাস পার হলেও কোথায় আছেন সেই হদিস মেলেনি এখনো।

    এদিকে স্ত্রী রাবেয়া আক্তার দুই সন্তানকে নিয়ে দুর্বিসহের মধ্যে জীবন যাপন করছে। পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। দুই সন্তানের ক্ষুধার যন্ত্রণা, সামাজিক বঞ্চনা এবং ঋণে জর্জরিত পরিবারটি পাওনাদারদের চাপে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে তাঁরা। ভাগ্নিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে একদিকে আর্থিক সংকটে একেবারে খারাপ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে, অন্যদিকে সামাজিকভাবে একটি ঘৃণার কাজ করেছে যে কারণে মানুষ নানা কথা বলছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার পাশাপাশি বসবাস করে আসছে ইউনুস ও ওই মেয়ের পরিবার। দীর্ঘদিন একইস্থানে থাকায় তাঁদের মধ্যে খালু-ভাগ্নি সম্পর্ক হলেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিকটকে তাঁদের নিয়মিত যোগাযোগ হতো। যা নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে অনেকসময় কথা কাটাকাটিও হতো।

    ইউনুস সরদারের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার জানান, আমার এক মেয়ে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, আর এক মেয়ের বয়স তিন মাস মাত্র। এনজিও থেকে ২ লক্ষ টাকা ঋণ নেয়া। এনজিওর লোকেরা প্রতিদিন আসে টাকার জন্য, আমার সন্তানদের খাবারের জন্য ঘরে পানি ছাড়া কিছুই নেই। আমার ছোট ভাই দিনমজুরি কাজ করে গত এক মাস যাবত ভাই আমার কাছে থাকে তার ইনকামের টাকায় আমরা খাই। মাঝে মাঝে না খেয়ে থাকে আশেপাশের লোকজন কিছু খাবার দেয়। আপনারা একটু তাকে খুঁজে বের করে আমার পরিবারটাকে বাঁচান। না হয় আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ দেশের যে প্রান্তে হোক ওদেরকে দেখলে ধরিয়ে দেবেন।

    পালিয়ে যাওয়া ওই শিক্ষার্থীর মা জানান, আমার মেয়ে দাদাবাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। পরে ওর দাদা বাড়িতে না পৌঁছালে আমরা খোঁজাখুজি করে জানতে পারি আমার বোনের স্বামীর সাথে পালিয়েছে। এরপরে আমরা থানায় জানিয়েছি। থানা থেকে পুলিশ এসে উভয় পরিবারের সঙ্গে কথা বলে গেছে।

    মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, বিষয়টি আমি অবগত নই, জানার চেষ্টা করছি। তবে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • বাড়ী ফেরার পথে স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা। 

    বাড়ী ফেরার পথে স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা। 

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের জুড়ীতে প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে জুড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুর পালক মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার জুড়ী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
    জানা যায়, গত সোমবার কেউ বাড়িতে ছিলেন না। দুপুর ১২টার সময় মেয়েটি বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে আসে। বাড়ির গেটে আসা মাত্র পূর্বে থেকে ওঁৎপেতে থাকা পার্শ্ববর্তী ভোগতেরা গ্রামের আব্দুর রশীদের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম কালা মেয়েটির মুখ চেপে ধরে ঘরের পেছনে খড়ের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। তিনি বলেন-সে প্রায় দিনই আমাদের ঘরের পেছনে এসে দিনে রাতে বসে থাকে। আমরা ভয়ে কিছু বলি না। আমাদের ঘরে পুরুষ মানুষ না থাকায় আমরা ভয়ে ভয়ে থাকতাম। আজ আমাদের সর্বনাশ করল।
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কালিনগর ও ভোগতেরা গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন-কালা ইতিপূর্বে ৫/৬টি মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ ও ছেলে শিশুকে বলাৎকার করেছে এবং বেশ কয়েকজন মহিলাকে ধর্ষণ করেছে।
    জুড়ী থানার ওসি এসএম মাঈন উদ্দিন বলেন-ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা তারিখ হয়েছে। ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
  • কোম্পানীগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা।

    কোম্পানীগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা।

    কোম্পানীগঞ্জ(নোয়াখালী)প্রতিনিধিঃ

    নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী শিক্ষককের উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।নিহত ওই ছাত্রী উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের চরকাঁকড়া একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

    চরকাঁকড়া একাডেমি স্কুলের শিক্ষকের বেত্রাঘাতের পাঁচদিন পর অভিমান করে ওই স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা করেছে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করছে।

    চরকাঁকড়া একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক মোঃ নাজিম উদ্দিন শ্রেণি কক্ষে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের প্রসঙ্গ টেনে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলেন ভালোবাসতে হলে প্রথমে পিতা-মাতাকে ভালোবাসবে,অন্য কাউকে নয়।এমন বক্তব্য দিয়ে শিক্ষক ক্লাস থেকে চলে যান। পরে ওই ছাত্রী মন্তব্য করেন-অন্য কাউকে ভালোবাসলে অসুবিধা কী? তাৎক্ষণিক অন্যান্য ছাত্রীরা তার মন্তব্যের কথা শিক্ষককে বলে দেয়। মর্মাহত শিক্ষক ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই ছাত্রীকে বেত্রাঘাত করে। পরবর্তীতে সোমবারের দিন ওই ছাত্রী তার মাকে নিয়ে স্কুলে যেতে চায় কিন্তু মা অসুস্থ থাকায় যেতে পারেনি। দুপুরের দিকে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে নিজের শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে শুনেছি।

    কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)প্রণব চৌধুরী এ তথ্য করেন।তিনি জানান আত্মহত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। ঘটনাস্থল থেকে নিহত ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের পর সুরুতহাল রিপোর্টের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

  • কালীগঞ্জে স্ত্রীর মর্যাদা রক্ষার দাবীতে কলেজ ছাত্রীর পুলিশ সদস্যর বাড়ীতে অনশন।

    কালীগঞ্জে স্ত্রীর মর্যাদা রক্ষার দাবীতে কলেজ ছাত্রীর পুলিশ সদস্যর বাড়ীতে অনশন।

    লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ

    লালমনরিহাটরে কালীগঞ্জে স্ত্রীর মর্যাদা রক্ষার দাবীতে কলেজ ছাত্রী তিনদিন ধরে পুলিশ সদস্যর বাড়ীতে অনশন করছে। সে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। ২৫ ফেব্রুয়ারী সোমবার দুপুর থেকে কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ঘনশ্যোম গ্রামের আল আমিন হোসের ছেলে পুলিশ সদস্য ইশতিয়াক বুলবুলের বাড়ীতে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে আমরণ অনশন শুরু করেছে।

    ২৭ ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী গণমাধ্যমকে জানান ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটনের পল্টন থানা ডিএমপির রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে এমটি শাখায় পত্তিএমএ পদে কর্মরত ইশতিয়াক বুলবুল (বিপি-৩৩৭০৩)এর সাথে সরকারি বিধি ও ইসলামি শরিয়া মোতাবেক তাদের বিয়ে হয়।বিয়ের পর পল্টন থানার পাশে আবাসিক হোটেলে সাত দিন যাবত হানিমুন করি। দুই তিন মাস পর বাসা ভাড়া করে তার পিতামাতার সাথে আলোচনা করে তাকে তার বাবার বাড়ি থেকে স্ত্রীর মর্যাদায় উঠিয়ে নিয়ে আসবে এমন আশ্বাসে কলেজ ছাত্রীকে তার বাবার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। দুই তিন মাস আমার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখে এবং খরচাদি বহন করে।কিন্তু ৫/৭ মাস যেতে না যেতেই আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এমন অবস্থায় আমার মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে বুলবুলের অফিসে গিয়ে বাসায় নিতে চাপ দেই। তখনও বার বার তালবাহানা করে আমাকে রংপুর বাবার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। বিয়ের এক বছরের মধ্যে আমাদের সম্পর্ক ছিন্ন করতে কাবিননামাসহ সকল ডকুমেন্টস নষ্ট করে ফেলে।কিন্তু আমার ফোনে রক্ষিত ডকুমেন্টসগুলো পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে উপস্থাপন করলে তারা স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যেতে বলেন।তাতেও তালবাহানা করে আজকাল করে বাড়িতে নিচ্ছে না স্ত্রীর মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করছে। কুল-কিনারাহীণ না পেয়ে স্ত্রীর মর্যাদা রক্ষার্থে তার বাড়িতে উঠে পরেছি।

    এ তথ্য নিশ্চিত করেন তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ রাকিবুল ইসলাম। তিনি জানান রংপুর থেকে আসা এক কলেজ পড়ুয়া মেয়ে গত রোববার থেকে স্ত্রীর মর্যাদা আদায়ের দাবীতে পুলিশ সদস্য রাব্বি আল মামুনের বাড়িতে আমরন অনশন করছে।এমন সংবাদ পেয়ে গ্রাম্য পুলিশ দিয়ে মেয়েটিকে রক্ষানুইবেক্ষেনের জন্য পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে পুলিশ সদস্য বুলবুলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ওই মেয়ের সাথে তার ফেসবুকে পরিচয় হয় এর বেশি কিছু নয়।সে যা বলছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট।এবিষয়ে আমার উর্ধ্বতন কর্মকতারা তদন্ত করেছে।

    এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজলো নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জহির ইমাম জানান বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের মারফত জানতে পেরে কালীগঞ্জ থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

     

  • বগুড়ায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় অটোভ্যান থেকে পড়ে স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু।

    বগুড়ায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় অটোভ্যান থেকে পড়ে স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু।

    বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার আদমদীঘিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় অটোভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে আরমিন খাতুন (৯) নামের এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।১৯ ফেব্রুয়ারী সোমবার সকালে অটোভ্যান যোগে স্কুলে যাওয়ার পথে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের বিদ্যাপীঠ স্কুলের সামনে এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আরমিন খাতুন সুদিন গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় আরমিন সোমবার সকালে অটোভ্যানে স্কুলে যাচ্ছিল। ভ্যানচালক বিদ্যাপীঠ স্কুলের সামনে গিয়ে আরমিনের স্কুলের দিকে ঘুরে উঠতেই পিছন থেকে দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল সজোরে ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়।এতে বসে থাকা আরমিন ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। স্থানীয় লোকজন আরমিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আদমদিঘী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠান।

    এ সময় চিকিৎসক আরমিনকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।মেয়ের মৃত্যুর খবর শোনার পর পিতা ইউসুফ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। নিহতের স্বজনেরা ওখান থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।

    এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)রাজেশ কুমার চক্রবর্তী আরমিনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ দুর্ঘটনার মুল কারন জানার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

  • দেওয়ানগঞ্জে অপহৃত কলেজ ছাত্রী দিশা’কে ফিরে চায় তার পরিবার।

    দেওয়ানগঞ্জে অপহৃত কলেজ ছাত্রী দিশা’কে ফিরে চায় তার পরিবার।

    ফরিদুল ইসলাম,দেওয়ানগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধিঃ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কাঠারবিল এলাকায় দিশা আক্তারের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার।
    উপজেলার হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমিনুল ইসলামের মেয়ে কলেজ ছাত্রী দিশা আক্তারের সন্ধান চেয়ে ও অপহরণকারী সিফাতের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের কাঁঠারবিল ভিকটিম পরিবারের নীজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
    এসময় বক্তারা বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি দিশা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাহিরে গেলে একই গ্রামের আলতাফ হোসেনের পুত্র সিফাত তার কয়েকজন বন্ধুসহ জোরপূর্বক কিশোরী দিশাকে তুলে নিয়ে যায়।
    এ বিষয়ে দিশার পরিবার দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কলেজ ছাত্রী দিশাকে ফিরে পেতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান এলাকাবাসী।
  • প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ-ধর্ষক গ্রেফতার।

    প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ-ধর্ষক গ্রেফতার।

    মিজানুর রহমান লাভলু,কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ কানাইঘাট উপজেলার ঝিংঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের লামা ঝিংঙ্গাবাড়ী পূর্বগ্রামের মেয়ে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গ্রেফতারকৃত ইলিয়াছ উপর ঝিংঙ্গাবাড়ী হরিশিংমাটি গ্রামের মন্তাজ আলীর ছেলে।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ভুক্তভোগী মাদ্রসায় আসা যাওয়ার সময় অটোরিক্সা (সিএনজি) চালক ইলিয়াছ প্রেম নিবেদন করিয়া উত্যক্ত করিত। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বিষয়টি তাঁর মা বাবা আত্মীয়স্বজনকে জানায় । ভুক্তভোগীর পরিবার ইলিয়াছের আত্মীয়স্বজনের কাছে বিচার দেন।পরে ইলিয়াছ ভুক্তভোগীর প্রতি আক্রোশান্বিত হয়ে উঠে। গত শনিবার রাত অনুমান ১০টার সময় ভিকটিম প্রকৃতির ডাকে বসত ঘর বাহির হয় এই সুযোগে ইলিয়াছ ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে খাঁটের নিচে লুকিয়ে পড়ে। ভিকটিম ঘরে প্রবেশ করিয়া বিছানায় ঘুমানোর পর ইলিয়াছ বিছানায় উঠে এবং  ভুক্তভোগীকে জড়াইয়া ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তাকে বাধা/নিষেধ করলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় তাতেও রাজি না হলে জোরপূর্বক ভিকটিমকে ধর্ষণ করে।

    ঘটনার সময় চিৎকার ও চেঁচামেচি শুনিয়া ভাই ইমরান উদ্দীন আগাইয়া আসিয়া ইলিয়াছ কে ঘরের ভিতরে রেখে দরজা বন্দ করে রাখেন।পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, এ ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই এস আই সনজিত কুমার রায় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে আসামি ইলিয়াছ কে গ্রেফতার করেন এবং ইলিয়াছ এর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হচ্ছে ।

  • ৬৫ বছর বয়সের বৃদ্ধ ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ-৪ মাসের অন্তঃস্বত্তা।

    ৬৫ বছর বয়সের বৃদ্ধ ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ-৪ মাসের অন্তঃস্বত্তা।

    বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধি:চারমাস আগে ৬৫ বছর বয়সের বৃদ্ধ মোজাহার আলী শিশুর বাড়ির পাশের মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন তাকে । পরে আলট্রাসনোগ্রাফিতে ৪ মাসের অন্তঃস্বত্তার বিষয়টি ধরা পড়ে।  এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদি হয়ে মোজাহার আলীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। এ মামলায় শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাতে মোজাহার আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত মোজাহার আলী রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ধন্দহ বিনিময় পাড়া গ্রামের মৃত বদর আলীর ছেলে।

    পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের শিকার শিশুটির পিতার মামলায় মোজাহার আলীকে  তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। স্থানীয় এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী শিশুটি।

    শিশুর বাবা জানান, তার পেটে ব্যথা হলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চার মাসের অন্তঃসত্তা বলে জানান।  বিষয়টি পুলিশকে জানানোর নির্দেশ দেন তিনি।

    পরে শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ঘটনার দিন বাড়ির পাশের মাঠে ঘাস কাটছিল মোজাহার আলী।  সেখানে তাকে মজা খাওয়ার লোভ দেখিয়ে ডেকে নেয়। শিশুটি সেখানে যাওয়ার পর মাঠের আশে পাশে কেউ না থাকার সুযোগে ধর্ষক মোজাহার আলী ধর্ষণ করেন তাকে । যদি বিষয়টি কাউকে জানালে গলা কেটে হত্যার হুমকিও দেন। এ ভয়ে কাউকে বলেনি। এখন তারা ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

    এদিকে মোজাহার আলীকে গ্রেপ্তার করা হলেও বিচার পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। শঙ্কা দেখা দিয়েছে পিতৃ পরিচয় নিয়েও ।
    নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি জানান,মামলার আগে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা হয়েছে। নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে অন্তঃস্বত্তার পেটের বাচ্চা । শেষ পর্যন্ত পারেনি।

    মোজাহার আলীর ছেলে ডলার হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি তিনি ।

    স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য রেজাব উদ্দিন বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের পরে বিষয়টি শুনেছি। সুষ্ট  তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করে তিনি।

    বাঘা থানার পরিদর্শক(ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, তাকে আদালতের মাধ্যমে শনিবার সকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে মোজাহার আলী। শিশুটিকে রামেক হাসপাতালের ওয়ান-ষ্টপ ক্রাইসিস-সেন্টার (ওসিসি) এ ভর্তি করা হয়েছে।
  • মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার।

    মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার।

    নীলফামারীর সদর উপজেলায় অবস্থিত হযরত ফাতেমা তুজ জোহরা মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সহকারী মাওলানা শিক্ষক মোঃ আব্দুল্লাহ আলো মামুন, শাহিনুর ইসলাম(৪০)কে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশের সদস্যরা।

    মেয়ের বাবার অভিযোগ সূত্রে জানা যায় তার ১৬ বছর বয়সী মেয়েকে গত তিন বছর যাবৎ হযরত ফাতেমা তুজ জোহরা মহিলা মাদ্রাসার আবাসিক হোটেলে রেখে লেখাপড়া করাচ্ছেন। এ সুযোগে লম্পট শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন(শাহিনুর ইসলাম) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিক বার ধর্ষণ করে। লজ্জায় বাবা মাসহ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নিকট মেয়ে/ছাত্রী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি। সর্বশেষ ২৯ জুন মাদ্রাসায় একা পেয়ে একটি কক্ষে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে মেয়ের বাবা শনিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন।

    নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান মেয়ের বাবা শনিবার(১ জুলাই)অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন (শাহিনুর ইসলাম)এর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। পুলিশ রাতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়ি গোড় গ্রাম কীর্তনীয়া পাড়া থেকে গ্রেফতার করে।রবিবার(২ জুলাই) সকালে আদালতের মাধ্যেম তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।