Tag: চেয়ারম্যান

  • উল্লাপাড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সেলিনা মির্জা মুক্তির গণসংযোগ।

    উল্লাপাড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সেলিনা মির্জা মুক্তির গণসংযোগ।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল লতিফ মির্জার কন্যা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সেলিনা মির্জা মুক্তির ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন। শুক্রবার সকালে পৌরশহরের প্রতিটি দোকান ব্যবসায়ী ও আগত ভোটারদের মাঝে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করে দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন। এ সময় তার সঙ্গে প্রায় ২ শতাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

    গণসংযোগকালে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের রূপরেখা বাস্তবায়নে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সৎ, যোগ্য ও গণমানুষের জননেতা সেলিনা মির্জা মুক্তি’কে চেয়ারম্যান পদে ভোট ও সমর্থন দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

    এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সেলিনা মির্জা মুক্তির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উল্লাপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা, আ’লীগ নেতা মোঃ হাইদুল সরকার, সাবেক ব্যাংকার আলহাজ্ব সেলিম রেজা, যুবলীগ নেতা প্রভাষক উজ্জ্বল হোসেন, শাকিবুল ইসলাম শাকিব সহ অন্যানোরা।

  • কিশোরগঞ্জে বাহাগিলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উদ্যোগে কাঠের ব্রীজ সংস্কার।

    কিশোরগঞ্জে বাহাগিলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উদ্যোগে কাঠের ব্রীজ সংস্কার।

    কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

    নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা লিপটনের সার্বিক সহযোগীতায় কাঠের ব্রীজ সংস্কার করা হয়।

    সোমবার সকাল থেকে চাড়ালকাটা নদীর উপর নির্মিত সাবেক চেয়ারম্যান সামসুল ইসলামের ঘাটে গত বছরের নির্মিত কাঠের ব্রীজের পুনঃসংস্কার কাজ শুরু করেন। গত বছরে ব্রীজটি নির্মানের পর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কিশোরগঞ্জ,পুটিমারী,বড়ভিটা,ইউনিয়নের মানুষ সহজ ভাবে ওই দিক দিয়ে পার্শ্ববর্তী তারাগঞ্জ হাটে যাওয়া আসা করতো। কিন্তু গত বছরেই বন্যার কারণে ব্রীজের উজান দিক থেকে আসা প্রবল স্রোতের কারণে ও কচুরী পানা ব্রীজে আটকে থাকার ফলে ব্রীজের নিম্নাংশে কয়েকটি খুটি ভেঙ্গে যায়। ফলে ওই ব্রীজ দিয়ে পন্যবাহী ভ্যান ও চার্জার অটো চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। বাহাগিলী চেয়ারম্যান নিজ উদ্যোগে সেই কাঠের ব্রীজের সংস্কার কাজ শুরু করলে সাধারণ মানুষ চেয়ারম্যানের সাথে কাজে অংশ নিয়ে কাঠের ব্রীজের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেন। চেয়ারম্যান এলাকাবাসীর কাছ থেকে কিছু গাছ নেন। তার নিজস্ব জমির বাঁশ কেটে নিয়ে কাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে চাহিদানুযায়ী গাছ এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে দিয়ে দিলে কাজটি দ্রুত সম্পন্ন হয়।

    বাহাগিলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা লিপটন বলেন, আমার নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী বাহাগিলী চেয়ারম্যানের ঘাটে ব্রীজ করে দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমি চেয়ারম্যান হিসাবে শপথ নেয়ার কিছুদিন পর এই কাঠের ব্রীজ করে দেই। ফলে প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ এই ব্রীজ দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। এখানে একটি ব্রীজ নির্মান করা হলে বাহাগিলী ইউনিয়নের মানুষের সাথে দুই উপজেলার নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
    এ ব্যাপারে নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,ব্রীজের জন্য আমি এলজিইডিতে কাগজ প্রেরণ করেছি। আশা করি দ্রুত সময়ে কাজটি হয়ে যাবে।

  • প্রকল্পের টাকায় চেয়ারম্যানের পকেট ভার-ডিসির কাছে অভিযোগ।

    প্রকল্পের টাকায় চেয়ারম্যানের পকেট ভার-ডিসির কাছে অভিযোগ।

    (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

    প্রকল্পের কাজে অনিয়ম ও অর্থ লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গেল মাসের ২১জানুয়ারি সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম মুস্তাক এর বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে একই পরিষদের ইউপি সদস্য মো: ফারুক হোসেন।

    লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, কাবিখা, এলজিইডিসহ অন্যান্য প্রকল্পের প্রায় ৬০-৬৫ লক্ষ টাকা জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ বরাদ্দ পেয়েছে। প্রকল্পের টাকা খরচের জন্য চেয়ারম্যান ও ইউপি সচীব যেনতেন একটি কমিটি করেন। ইউপি সসদ্যরা প্রকল্পের টাকা উত্তোলনের জন্য পাঁচটি রাস্তা উন্নয়নের বিল ভাউচারে সই করলেও একটি রাস্তাও কাজ হয়নি। তবে ইতোপূর্বে যতগুলো রাস্তার কাজ হয়েছে তা হয়েছে চল্লিশ দিনের কর্মসূচীর টাকা দিয়ে।

    লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রকল্পের টাকার হিসাব চাইতে গেলে চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের বরখাস্তসহ নানা প্রকার হুমকি দেয়। পরিষেদের পুকুরে মাটি ভরাটের জন্য দুই ধাপে চার লক্ষ টাকা বরাদ্দ নেওয়া হলেও এখনো পুকুর ভরাট হয়নি। একস্কুলে টিনসেটের একটি ঘর নির্মাণের জন্য দুই লক্ষ, আরেক স্কুলে বেঞ্চ বানানোর জন্য দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ নিলেও বাস্তবে ৫০হাজার টাকা খরচ হয়নি। ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দে বেশ কয়েকটি কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও তাতে খচর হয়েছে অর্ধেক।

    অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, বিভিন্ন ভাতার, চালের কার্ড, টিসিবির ১৭৩০টির কার্ডের মধ্যে চেয়ারম্যান একাই ৮৭০টি নিজের কাছে রাখেন। এমনকি গরিবের চালেও দরিদ্রদের কাছে থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। এসব প্রতিবাদ করতে গেলে তিনি ইউপি সদস্য ফারুক হোসেনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয় বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন।

    লিখিত অভিযোগের সূত্র ধরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই ইউনিয়নের বিশ্বাসপুর গ্রামে একটি  কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে দুই লক্ষ টাকা। কিন্তু গ্রামবাসীর অভিযোগ এখানে দুই লক্ষ টাকা নয়, খরচ হয়েছে ৪০-৫০ হাজার টাকা। কাজও হয়েছে নিম্নমানের। নির্মাণের সাত দিনেই চার পাশ ভেঙ্গে গেছে।

    এব্যাপারে প্রকল্প সভাপতি ইউপি সদস্য মো: নাসিরুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজী হননি। অন্যদিকে, মহব্বতপুর গ্রামের কালভার্টের চিত্র একই। তবে প্রকল্প সভাপতি শ্রী কবিন্দ্র জানান, ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, কালভার্টের বরাদ্দ দুই লক্ষ টাকা ধরা হলেও বাস্তবে তা খরচ হয়েছে এক লক্ষ টাকা। আর বাকি টাকা ইঞ্জিনিয়ার ও অন্যন্যদের যাতায়াত খরচ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

    এবিষয়ে ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন জানান, চেয়ারম্যান এস.এম মুস্তাক তিনি তাঁর ইচ্ছামতো কাজ করেন। কোন কাজ সঠিক ভাবে করা হয়নি। সবখানেই চেয়ারম্যান অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছে। আমরা প্রতিবাদ করলে মারমুখি আচরণ এবং বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেয়। যেখানের সাত লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেখানে কাজ হয়েছে দেড় লক্ষ টাকার। আমি চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

    অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম মুস্তাক জানান, আমার সম্পর্কে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট। তিনি (ফারুক হোসেন) এর আগেও আমার নামে অভিযোগ করেছিলো কিন্তু কোন লাভ হয়নি। তদন্তে কোন দুর্নীতি ধরা পড়েনি।

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রকল্পে অনিয়ম হলে বরাদ্দ বাতিল করা হবে। এর আগেও ওই ইউনিয়নে প্রকল্পে অনিয়মের কারণে বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। এবারও অনিয়ম হলে তা খতিয়ে দেখে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • গোয়ালন্দ হাসপাতালের বন্ধ এ্যাম্বুলেন্স চালুর দায়িত্ব নিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সী।

    গোয়ালন্দ হাসপাতালের বন্ধ এ্যাম্বুলেন্স চালুর দায়িত্ব নিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সী।

    মইনুল হক মৃধা, রাজবাড়ীঃ

    গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  তেল সংকটের কারণে বন্ধ থাকা এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালুর দায়িত্ব নিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মোস্তফা মুন্সী।

    বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এ ঘোষনা দেন।

    আলাপকালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও হাসপাতাল ব্যাবস্হাপনা কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ মোস্তফা মুন্সী বলেন, স্বাস্থ্য সেবা মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ন।এ্যাম্বুলেন্স সেবা এর মধ্যে অন্যতম।
    শুধুমাত্র তেল সংকটের কারনে এ্যাম্বুলেন্স বন্ধ থাকবে এটা হতে পারে না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যে কারনে জনস্বার্থে আমি ব্যাক্তিগত অর্থায়নে এ সার্ভিসটি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাশাপাশি আমার ব্যাক্তিগত ব্যাবস্হাপনায় চালু থাকা অপর এ্যাম্বুলেন্সটিও যথারীতি চলবে।

    এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফারসিম তারান্নুম হক,আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শরিফুল ইসলাম সহ স্হানীয় সাংবাদিকরা উপস্হিত ছিলেন।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তেলের  বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৮ মাস ধরে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স সেবা কার্যত বন্ধ হয়ে আছে। এতে করে এলাকার সাধারন রোগী ও স্বজনরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন।

    এ অবস্হার মধ্যে গত ৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে নোটিশ আকারে এ্যাম্বুলেন্স সেবা সাময়িকভাবে বন্ধের বিষয়টি চূড়ান্তভাবে জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কতৃপক্ষ। এতে করে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃস্টি হয়।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে , হাসপাতালের একটি এ্যাম্বুলেন্স সেবার জন্য ১০ বছর আগে থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে বাৎসরিক ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়। বিগত কয়েক বছরে তেলের দাম কয়েকগুন বাড়লেও এ খাতে বরাদ্দ বাড়েনি। অথচ বর্তমানে এ খাতে বাৎসরিক চাহিদা অন্তত ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এ অবস্হায় ফিলিং স্টেশনে ধীরে ধীরে বকেয়ার পরিমান বাড়তে থাকে।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফারসিম তারান্নুম হক জানান, গত অর্থ বছর পর্যন্ত ফিলিং ষ্টেশনে তেল বাবদ প্রায় ৯ লাখ টাকা বকেয়া ছিল। চলতি অর্থবছরে ৩ লক্ষাধিক টাকার অধিক বকেয়া পরিশোধ করি। এখনো ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। আগামী জুনের আগে নতুন বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। এ অবস্হায় ফিলিং ষ্টেশন কতৃপক্ষের চাপে এবং বকেয়ার পরিমান আর না বাড়াতে আমরা বাধ্য হয়ে এ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রাখার নোটিশ জারি করি।

    এ পরিস্হিতিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয় এগিয়ে আসায় সমস্যার সাময়িক সমাধান হয়েছে। আগামী জুন মাসের বরাদ্দ না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ব্যাক্তিগতভাবে হাসপাতালের একটি এ্যাম্বুলেন্স চালু রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন। তার নিজস্ব অপর এ্যাম্বুলেন্সটিও হাসপাতালের প্রয়োজনে যথারীতি ব্যাবহৃত হবে। তাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।

  • স্বামীর দেশ ভারত থেকে মাদক আসছে” মন্তব্য করায় ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন গ্রেফতার।

    স্বামীর দেশ ভারত থেকে মাদক আসছে” মন্তব্য করায় ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন গ্রেফতার।

    মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি
    স্বামীর দেশ ভারত থেকে মাদকদ্রব্য অবাদে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউপি চেয়ারম্যান জেলা বিএনপি নেতা মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদ মাধবপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলা প্রশাসক মোছাঃ জিলুফা সুলতানার সাথে  মতবিনিময় সভায় এ বক্তব্য দেওয়ায় মাধবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
    মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মাধবপুর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ থেকে মাধবপুর থানার এসআই তরিকুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরীকে আটক করেছে। আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে মাধবপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই মনিরুজ্জামান জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে।
    মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহনকারী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক পাঠান বলেন, বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদ এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে দেশ বিরোধী কাজ করেছেন। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। স্বামীর দেশ বলতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অবনতি ঘটিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চেয়েছেন।তার এ ধরনের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল।
    মাধবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুকোমল রায় বলেন, একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি কোন অবস্থাতেই এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারেনা। তার এ ধরনের উস্কানীমূলক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
    মাধবপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শ্রীধাম দাশগুপ্ত বলেন, চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদের এ ধরনের বক্তব্য খুবই দুঃখজনক।
    জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভায় এ ধরনের বক্তব্য গ্রহনযোগ্য নয়। মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম ফয়সাল জানান, চেয়ারম্যানের এ বক্তব্য দেওয়ার পর সভায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। সবাইকে অনুরোধ করার পর তারা শান্ত হন।
    মতবিনিময় সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ শাহজাহান, পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান, সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
  • জমি ও সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংর্ঘষে নিহত-১,ইউ/পি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার-৩।

    জমি ও সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংর্ঘষে নিহত-১,ইউ/পি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার-৩।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের বেজুড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত এবং সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংর্ঘষে আহত পাভেল মিয়া (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে ঢাকা’র একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। সে মধ্য বেজড়া গ্রামের মাতব্বর মিয়ার ছেলে।

    এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ খাঁন, বেজুড়া গ্রামে খুর্শেদ আলীর ছেলে মারুফ মিয়া (৪৫) ও সেলিম মিয়ার ছেলে ফয়সল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে মাধবপুর থানা পুলিশ।

    পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়-উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ খাঁন দক্ষিন বেজুড়া গ্রামের মৃত কিফত আলীর ওয়ারিশ হাজী আসকর আলী ও দুলাল মিয়া গংদের কাছ থেকে ৭/৮ মাস আগে একটি জমি ক্রয় করেন। অপর দিকে ওই জমি একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক মিয়ার সন্তানেরা নিজেদের দাবি করে ভোগ-দখল করে আসছে।

    শনিবার সকাল ৯ টার সময় মাসুদ খানের লোকজন ওই জমিতে ধান রোপন করতে গেলে মৃত বারেক মিয়ার ওয়ারিশগণ ধান রোপণে বাধা দেয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ বাধঁলে মহিলা সহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়। গুরুত্বর আহত মুর্শেদ মিয়া (৪৫), সুমা আক্তার (২৪),আব্দুল হামিদ (৩০), সফিক মিয়া (৪০),পায়েল মিয়া (৩০), মারফতউল্লাহ (৩৫), আউস মিয়া (৪২), জসিম মিয়া (২৪), দুলাল মিয়া ( ২৫), শিমুল মিয়া (৩০), জাকারিয়া (২৩), শামীম মিয়া (২৭), তাহের মিয়া (৬৫), মাসুদ রানা (৪০), জালাল মিয়া (৩২), খোকন মিয়া (৪৭), আয়েদ আলী (২৬), আলমগীর (২৭), রফিক মিয়া (২৮),জসিম মিয়া (২৭), করিম মিয়া (৩০),শাহজাহান মিয়া (২৫),মিজান মিয়া (২৬), সাইফুল ইসলাম (২০),ইজাজুল (২৪), সফিক মিয়া (২৯), আশিক মিয়া (২৮),সামসুউদ্দিন (৩০), সাইফুল (২৯)কে চিকিৎসার জন্য মাধবপুর,হবিগঞ্জ,ঢাকা ও সিলেট উসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    এ সময় কয়েকটি বাড়ীতে হামলা পাল্টা হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। মাধবপুর থানার অফিসার ইনার্চাজ(ওসি)মোঃ রাকিবুল ইসলাম খাঁনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। গভীর রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে গুরুত্বর আহত পাভেল মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

    ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ খাঁন,বেজুড়া গ্রামের খুর্শেদ আলীর ছেলে মারুফ মিয়া (৪৫) ও সেলিম মিয়ার ছেলে ফয়সল মিয়া (২৫) কে মাধবপুর থানা পুলিশের সদস্যরা গ্রেফতার করেছে। থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ রাকিবুল ইসলাম খাঁন জানান বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

    এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মাসুদ খানকে প্রধান আসামী করে ৬৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০/৭০জনের বিরুদ্ধে নিহত পাবেলের চাচাতো ভাই হামিদ মিয়া বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

  • মাধবপুরে নৌকায় ভোট চাইলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান পরশ।

    মাধবপুরে নৌকায় ভোট চাইলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান পরশ।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    উন্নয়নের ধরা অব্যাহত রাখতে হবিগঞ্জ -৪(মাধবপুর -চুনারুঘাট)  আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এড. মাহবুব আলী এমপিকে  আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
    আজ মঙ্গলবার (০২জানুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা সদরের ঢাকা সিলেট মহাসড়কের কিবরিয়া চত্বরে এক নির্বাচনী পথসভায় তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবমুখী ও পরিপক্ব একটি নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। এখানে কোনো ভাঁওতাবাজি নাই, প্রতারণা নাই। এই ইশতেহার বাস্তবায়ন ও আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
    এডভোকেট মাহবুব আলীকে আবারও জয়ী করার আহ্বান জানিয়ে শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘সততার মানদণ্ডে শেখ হাসিনার নৌকার কান্ডারি মাহবুব আলী’র ত্রি-সীমানায় কেউ নেই। এ সময় তিনি ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রত্যেক নেতাকর্মী কমপক্ষে  বিশজন করে ভোটার নিয়ে কেন্দ্রে যাবেন।’
    এডভোকেট মাহবুব আলী বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নৌকার পক্ষে সারাদেশে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি বৃহত্তর সিলেট বিভাগের প্রবেশদ্বার মাধবপুর -চুনারুঘাটেও একই অবস্থা। এসময় যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
  • বিনা অনুমোদনে পরিষদের গাছ কাটলেন চেয়ারম্যান-উদ্ধার করলেন রাণীশৈংকৈলের ইউএনও।

    বিনা অনুমোদনে পরিষদের গাছ কাটলেন চেয়ারম্যান-উদ্ধার করলেন রাণীশৈংকৈলের ইউএনও।

    আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের পুরোনো ইউনিয়ন পরিষদের গাছ বিনা অনুমোদনে কেটেছেন হোসেনগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেটে ফেলা গাছ জব্দ করেছেন।
    সোমবার রাণীশংকৈল পৌর শহরের শান্তিপুর ভান্ডারা এলাকায় অবস্থিত হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের দুটি বড় কাঠাঁল গাছ হঠাৎ করেই কাটা শুরু হয়। সেখানে কয়েকজন গ্রাম পুলিশ দাড়িয়ে থেকে গাছ কাটা তদারকি করেন। সেখানে গিয়ে গাছ কাটার আইনি অনুমোদন সম্পর্কে জানতে চাইলে গ্রাম পুলিশ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমানের নির্দেশে গাছ কাটা হচ্ছে। কিভাবে কোন প্রক্রিয়ায় গাছ কাটছে তা তাদের জানা নেই।
    এদিকে হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ওই পুরোনো কার্যালয়টি বর্তমানে রাণীশংকৈল পৌরসভার অধীনে রয়েছে। এখানে রাণীশংকৈল পৌরসভার ভবন নির্মাণ করার জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েছেন রাণীশংকৈল পৌরসভা। সেই ধারাবাহিকতায় ওই পরিষদের মধ্যে থাকা কাঠাঁল গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতের প্রায় ১৩টি গাছ কাটার জন্য সব প্রক্রিয়া শেষে দরপত্র আহবান করেন রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র।
    সেই দরপত্র অনুযায়ী আগামী ২৬ ডিসেম্বর দরপত্রের সিডিউল বিক্রির শেষ দিন।
    এর মধ্যেই ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি গাছগুলো কাটা শুরু করেন। এ নিয়ে রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযোগ করলে ইউএনও তাৎক্ষনিক গাছগুলো জব্দ করে উপজেলা পরিষদে সংরক্ষন করেন। ইউএনও ধারনা করে বলেন, গাছগুলো ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা হতে পারে।
    গাছ কাটা প্রসঙ্গে হোসেনগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মালিকানা জমিতে গাছ কাটা হয়েছে। ইউএনও গাছগুলো জব্দ করেছে। উনি যা ব্যবস্থা নিবেন তাই হবে।
    রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে। হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের পুরোনো কার্যালয়ে পৌর ভবন করার জন্য দরপত্র আহবান হয়েছে। এ কারণে ওই কার্যালয়ের মধ্যে থাকা গাছ বিক্রির জন্য দরপত্র আহবান করা হয়েছে। এরই মধ্যে হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোমবার হঠাৎ করেই গাছ কাটা শুরু করেন। ইউএনওকে জানালে তিনি গাছগুলো জব্দ করেন।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান বিনা অনুমোদনে গাছ কাটতে পারেন না। কেটে ফেলা কাঠাঁল গাছদুটো জব্দ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • ডিমলায় তিনটি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা।

    ডিমলায় তিনটি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা।

    নীলফামারীর ডিমলায় তিন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে তিনটি ইউনিয়নে গত ১৭ জুলাই (সোমবার) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পুরুষ ও মহিলা ভোটাররা সকাল ৮টা হইতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত নিজ নিজ পছন্দনীয় প্রার্থীকে নির্ভয়ে ভোট প্রদান করে। দিনব্যাপি কোথাও কোন অপ্রীতিকর বিশৃংখলা ছাড়াই সুষ্ঠ,অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং, পুলিশ ও আনছার বাহিনীর সদস্যরা সুষ্ঠ ভাবে নির্বাচন পরিচালনা করে। স্থানীয় সংবাদকর্মীগন সার্বক্ষনিক নির্বাচন পর্যবেক্ষন করেন। ভোট গ্রহন শেষে পৃথক পৃথক ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা রির্টানিং অফিসারগন বেসরকারী ভাবে ফলাফল ঘোষনা করে।

    উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, ৪নং খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৬৫০১ ভোটে বিজয়ী তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী চশমা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ রবিউল ইসলাম লিথন (স্বতন্ত্র) পেয়েছেন ৫৭৬৮ ভোট।

    ৫নং গয়াবাড়ী ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোঃ শরিফ ইবনে ফয়সাল মুন (স্বতন্ত্র) বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৪৫৪৬ ভোটে বিজয়ী তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী মটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মোঃ রকনুজ্জামান (স্বতন্ত্র) পেয়েছেন ৩০২৬ ভোট, অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সামসুল হক (স্বতন্ত্র) পেয়েছেন ২৪৯৬ ভোট, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ আমজাদ হোসেন সরকার পেয়েছেন ১৮৬৯ ভোট।

    ৯নং টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ রবিউল ইসলাম সাহিন (স্বতন্ত্র) বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৪৯১৩ ভোটে বিজয়ী তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী চশমা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ময়নুল হক (স্বতন্ত্র) পেয়েছেন ৪৬৯৩ ভোট, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৬৮০ ভোট।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার, সৈয়দপুর, নীলফামারী ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ আব্দুল কুদ্দুস সরকার বলেন, উপজেলার তিনটি ইউপি নির্বাচন কেন্দ্রে বা কেন্দ্রের আশপাশে কোন প্রকার বিশৃংখলা ও সহিংশতা ছাড়াই স্বত্বস্ফুর্ত, শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠ, অবাধ,নিরপেক্ষ এবং উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

  • উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্যের প্রতিবাদে সমাবেশ।

    উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্যের প্রতিবাদে সমাবেশ।

    বাগেরহাটের রামপালে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্য করায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ২৬ এপ্রিল বুধবার সকাল ১১.০০ টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দীন হাওলাদার’র সভাপতিত্বে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে । সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মন্তব্য করায় বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রামপাল উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন।

    প্রতিবাদ সমাবেশে আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ বলেন যে, রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে গত ১৩ই এপ্রিল তার বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সে সমাবেশে রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আঃ রউফ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জামিল হাসান জামু তাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে তিনি সমাবেশে জানান। শেখ মোঃ আবু সাঈদ বলেন যে, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোল্লা আঃ রউফ জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করার কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয় এবং একজন অসহায় বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জমির হারির টাকা না দিয়ে সে জমি ভোগ দখল করছেন । আলহাজ্ব জামিল হাসান জামু বর্ণালী ঘোষ হত্যা মামলার একজন আসামী ছিলেন। উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন টেন্ডারবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের মুখে আমাকে নিয়ে সমালোচনা করা তাদের মানায় না। শেখ মোঃ আবু সাঈদ আরো বলেন যে, আওয়ামী লীগের দূর্দিনে ও বিপদের সময় মাঠে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বছরের পর বছর দলের জন্য কাজ করেছেন। তিনি বলেন যে, টিউবওয়েল’র টাকা আত্মসাৎ করে খুলনায় বাড়ি নির্মান করা, সরকারি জমি দখল করা ও আবুল কালাম ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত যে অভিযোগ গত ১৩ই এপ্রিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা করেছিলেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তিনি বলেন যে, টিউবওয়েল দেওয়ার জন্য যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন, তিনি তাদের প্রত্যেককে টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি সরকারি চরের যে জমিটি ভোগ দখলে আছেন, তা তিনি নিয়ম মাফিক-ই ভোগ দখল করছেন। তিনি আরো জানান যে, কেউ যদি তার বিরুদ্ধে কোন দূর্নিতীর প্রমাণ দিতে পারেন, তাহলে তিনি স্ব-ইচ্ছায় আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করবেন। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন যে, যারা তার বিরুদ্ধে দূর্নিতীর অভিযোগ তুলেছেন তারাই জনগণকে নানাভাবে হয়রানি করছে ও তাদের দ্বারা জনগণ দূর্নিতীর শিকার হচ্ছে।

    তিনি আরো বলেন যে, বেসরকারি টিভি চ্যানেল ডিবিসি টেলিভিশনের ইলেকশন এক্সপ্রেস নামক অনুষ্ঠানের সাক্ষাৎকারে তিনি যা বলেছেন, তার কয়েকটি বিষয় তার বলা ঠিক হয়নি । ব্যস্ততা ও অপ্রস্তুতির কারণে কিছু কথা তার ভুল হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) যাকে মনোনয়ন প্রদান করবেন, তিনি তার পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন দলের মধ্যে যে, বিভাজন তৈরি হয়েছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে তার শান্তিপূর্ণ সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।

    প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতি সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দীন হাওলাদার বলেন যে, পক্ষপাত মূলক আচরণের কারণে দলে সুস্পষ্ট বিভেদ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন যে, তারা বর্তমানে সংসদ সদস্যের কোটা ও উপজেলা পরিষদ থেকে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানকে কোন প্রকার বরাদ্দ দেওয়া হয়না। এছাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও তাদের প্রতি বিরূপ আচরণ করে থাকেন। নানামুখী কারণে দলে দুটি পক্ষ তৈরি হয়েছে এবং এ দূরত্ব শুধু বেড়েই চলছে। তিনি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়রকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, তাকে রামপাল-মোংলার সবাই অত্যন্ত ভালোবাসে। দলের সমূহ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তিনি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকের প্রতি অনুরোধ জানান।

    সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন যে, আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত নেতা। তাকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছিল, তা সত্যিই দুঃখ জনক। কারণ আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ দূর্দিনে দলের পাশে থেকে দলকে যেমন সহায়তা করেছেন, একই ভাবে তিনি এলাকার গরীব-দুঃখী মানুষকে অর্থনৈতিক সহায়তা, চিকিৎসা সেবা, মাদ্রাসা, মসজিদ ও এতিমখানায় দান, অসহায় শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতাসহ নানামূখী সামাজিক কাজকর্ম করে থাকেন।

    প্রতিবাদ সমাবেশে সকল বক্তারা রামপাল উপজলা আওয়ামী লীগের মধ্যে যে বিভাজন তৈরী হয়েছে, তার শান্তিপূর্ন সমাধান কামনা করেন। তারা এও বলেন যে, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আঃ খালেক মহোদয় একটু উদ্যোগী হলে অচিরেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

    প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাওলাদার হাফিজুর রহমান, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, উজলকুড় ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সি বোরহান উদ্দিন জেড, গৌরম্ভা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রাজিব সরদার, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সরদার বোরহান উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ চয়ন মন্ডল, বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসান রাজু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একটি অংশ প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।