Tag: চর

  • কানাইঘাটে পূর্বশক্রতার জেরে হত্যা সুরমা নদীর চরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার।

    কানাইঘাটে পূর্বশক্রতার জেরে হত্যা সুরমা নদীর চরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার।

    কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ

    সিলেটের কানাইঘাটে আবারো হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সালিক আহমদ (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে লাশ সুরমা নদীর বালুচরে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় আরো একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
    গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় সাতবাঁক ইউনিয়নের লোভারমুখ বাজার থেকে নদী পার হয়ে বাড়ি ফেরার পথে হত্যাকান্ডের স্বীকার হন উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পুর্ব ইউনিয়নের পূর্ব লক্ষীপুর (মনিপুর) গ্রামের মৃত আজিজুর রহমান ছেলে সালিক আহমদ। থানায় লাশ নিয়ে আসার সালিকের স্ত্রী ও ৭ ছেলে-মেয়েদের বার বার কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। তারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের নাম উল্লেখ করে খুনীদের ফাঁসির দাবী করেছেন।
    নিহতের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার রাতে লোভারমুখ বাজার থেকে কেনাকাটা করে বাড়িতে ফিরছিলেন সালিক আহমদ। স্থানীয় চরিপাড়া গ্রামের ফয়জুর রহমানের নৌকা দিয়ে সুরমা নদী পার হয়ে বাড়িতে ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা ৮/৯ জন দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সালিক আহমদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে লাশ নদীর বালুচরে ফেলে পালিয়ে যায়। দুর্বৃত্তদের হামলায় নৌকার মালিক ফয়জুর রহমান গুরুতর আহত হলে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ হত্যাকান্ডের সংবাদ পেয়ে কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। তবে এ নির্মম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
    নিহতের বড় ভাই আব্দুল খালিক সহ স্বজনরা জানান, অনুমান ২ মাস পূর্বে নিহত সালিকের ছেলে জাহাঙ্গীরের সাথে মাঠে গরু চরানো নিয়ে একই গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে সায়েল আহমদের সাথে মারামারি হলে সায়েলের পরিবারের লোকজন জাহাঙ্গীরকে মারপিট করে। এতে তার পিতা সালিক আহমদ কানাইঘাট থানায় সায়েল আহমদ ও তার পিতা ইসলাম উদ্দিন সহ কয়েকজনকে আসামী করে অভিযোগ দেন।

    এ নিয়ে গ্রামে উভয় পক্ষের লোকজনদের নিয়ে সালিশ বিচার বসলে সালিশেও ইসলাম উদ্দিন গংরা সালিক আহমদের হামলার চেষ্টা করে। হামলার ঘটনায় আবারো থানায় সালিক আহমদ অভিযোগ দেন। কেন থানায় অভিযোগ দেয়া হলো এ নিয়ে ইসলাম উদ্দিন সহ তার আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামের কতিপয় মাতব্বররা সালিক আহমদ ও তার পরিবারের সদস্যদের সমাজচ্যুত ও গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়তে নিষেধ সহ প্রাণ নাশের হুমকি দেন। বিষয়টি সামাজিক ভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য সালিক আহমদ পাশর্^বর্তী সাতবাঁক ইউপির চরিপাড়া গ্রামের মুরব্বীয়ানদের স্মরনাপন্ন হলে তার প্রতিপক্ষ লোকজন আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। এ ঘটনার জের ধরে প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির ইন্ধনে ও মদদে ইসলাম উদ্দিন, তার ভাই আশিক উদ্দিন গংরা সালিক আহমদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে নিহতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগম থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

    এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল বলেন, হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত সালিক আহমদের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শুনেছি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে খুন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান চলছে।

  • গোদাগাড়ী মাদক সম্রাট লিটন হেরোইসহ পদ্মার চরে গ্রেপ্তার।

    গোদাগাড়ী মাদক সম্রাট লিটন হেরোইসহ পদ্মার চরে গ্রেপ্তার।

    গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ইং ৩০ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ রাত্রী-০৪.০০ সময় চর আমতলা খাসমহল নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হেরোইন-১কেজি ১০০ গ্রাম, নগদ-৪২,০০০/-টাকা, মোবাইল-০১টি, সীম-০১টি উদ্ধার করেন এবং আসামী ১। মোঃ লিটন (৪৪), পিতা-মৃত হোসেন আলী, সাং-চর আমতলা, ইউপি-চর আষাড়িয়াদহ, থানা-গোদাগাড়ী, জেলা-রাজশাহী’কে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৫,।

    র‌্যাব-৫, সূত্রে জানা যায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল জানতে পারে যে, গোদাগাড়ী চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চর আমতলা খাসমহল গ্রাম¯’ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ লিটন (৪৪), পিতা-মৃত হোসেন আলী এর নিজ বাড়ীতে অবৈধ মাদকদ্রব্য হেরোইন মজুদ রেখে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। বিষয়টি জানামাত্রই নৌকা যোগে নদী পেরিয়ে উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ী মোঃ লিটন (৪৪), পিতা-মৃত হোসেন আলী এর বসত বাড়ীতে গোপনে পৌঁছে বাড়ীর চতুরদিক ঘেরাও কালে ০২ জন ব্যক্তি বাড়ির ভিতর হতে গেট খুলে পালানোর চেষ্টাকালে ০১ জনকে হাতে নাতে ঘটনা¯’ল রুমের ভিতর আটক করে এবং অপর ০১জন ব্যক্তি পূর্ব দিকে ঝাঁড়-জঙ্গলের ভিতর দ্রুত গতিতে দৌড়ে ভারতীয় সীমান্তের দিকে পালিয়ে যায়।

    পরবর্তীতে ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তার হেফাজতে অবৈধ মাদকদ্রব্য হেরোইন রয়েছে। পরবর্তীতে ধৃত আসামীর বসত বাড়ীর ভিতরে ঘর সংলগ্ন আঙিনায় থাকা খড়ের আটির স্ত‚পের ভিতর অভিনব কায়দায় লুকায়িত মাদকদ্রব্য হেরোইন উদ্ধার করে ।উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানায় মাদক আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

  • পদ্মার চরে জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে  গুলিবিদ্ধ-২,আহত-৪।

    পদ্মার চরে জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে  গুলিবিদ্ধ-২,আহত-৪।

    বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
    রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরে জেগে উঠা চরের জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে ২ জন গুলিবিদ্ধ ২ জনসহ ৪ জন আহত হয়েছে। শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে পদ্মার মধ্যে খানপুর বাজারের দক্ষিণে সীমান্তবর্তী বাঘা-দৌলতপুরের হবির চরে এই ঘটনা ঘটেছে।
    জানা যায়, উপজেলার খানপুর বাজারের দক্ষিণে সীমান্তবর্তী বাঘা ও কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর এলাকায় পদ্মার মধ্যে হবির চরে পদ্মা নদীর পানি কমে যাওয়ায়  কিছু জমি জেগে উঠে। এই জমি বাঘা উপজেলার  চাঁদপুর ব্যাংগাড়ি গ্রামের ইউনুস মন্ডলের ছেলে সাবুল মন্ডল দখলে নিয়ে চাষাবাদ শুরু করে। এই জমি কুষ্টিয়ার জেলা  দৌলতপুর উপজেলার মাঝদিয়ার গ্রামের রহিম মন্ডলের ছেলে লিখন হোসেন মন্ডল ও নিহার হোসেন মন্ডলের ছেলে আরিফ হোসেন মন্ডল নিজের দাবি করে দখলে নিতে যায়। এ নিয়ে শনিবার দুপুরে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সাবুল হোসেন ও খেতু মন্ডলের ছেলে ফেলু মন্ডল গুলিবিদ্ধ হয়।
    এ ঘটনায়  গুরুতর আহত হয় তারা। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তাদের শারিরীক অবস্থার অবনতি দেখে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে এই সংঘর্ষে গুরুতর আহত লিখন হোসেন ও আরিফ হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
    এ বিষয়ে বাঘা থানার সহকারি উপ পরিদর্শক(এসআই) কামরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে খানপুর বাজার এলাকা থেকে আহত লিখন ও আরিফ হোসেনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তবে এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
  • ডিমলায় তিস্তা নদীতে জেগে উঠা বালুচড় কৃষকের কাছে এখন সোনার খনি।

    ডিমলায় তিস্তা নদীতে জেগে উঠা বালুচড় কৃষকের কাছে এখন সোনার খনি।

     ডিমলা ( নীলফামারী) প্রতিনিধি:

    নীলফামারীর ডিমলায় ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া খর স্রোতা তিস্তা নদীর জেগে উঠা চড় কৃষকের কাছে এখন সোনার খনি। সেখানে শুধু ধু-ধু বালুচর। কয়েকমাস আগে যে নদীর বুকে অথৈই পানি আর পানি। আর এখন সেখানে পানি শুকিয়ে চড় জেগে উঠায় নতুন স্বপ্ন বুনছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। তাদের বুকভরা আশা চরের বালু মাটিতে ফলবে সোনার ফসল। সোনার ফসল তো নয় এ যেন সোনার খনি। ঘুচবে তিস্তার ভাঙ্গনে নিঃস্ব হওয়া মানুষের ভাগ্যের চাকা। উন্নত হবে পারিবারিক জীবন যাপন। উচ্চ শিক্ষিত হবে চরাঞ্চলের অবহেলিত পরিবারের ছেলে-মেয়ে।

    তিস্তা নদী বেষ্টিত দেশের উত্তরের জেলা নীলফামারীর ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলা ডিমলা। ডিমলা উপজেলাকে তিস্তা নদীর প্রবেশদ্বার বলা হয় । উপজেলার দশটি ইউনিয়নের ছয়টির উপর দিয়ে বয়ে গেছে তিস্তা নদী। বয়ে চলার খেয়ালিপনায় নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের কাছে তিস্তা কখনো কখোনো আশীর্বাদ আবার কখনো কখোনো অভিশাপ হিসেবে আভির্ভূত হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে দফায় দফায় বন্যা আর তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙ্গনে দূর্যোগ নেমে এসেছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের জীবন জীবিকা ও পরিবেশে। বর্ষায় টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় প্রতি বছরই ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে হয় উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ির একাংশ, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানি ও ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের হাজার হাজার পরিবারের। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই দেখা দেয় নতুন দূর্যোগ। আগ্রাসী রূপে হানা দেয় তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙ্গন। তিস্তার তীব্র ভাঙ্গনে ফসলি জমি এখন ধূ-ধূ বালুচর। জীবন জীবিকার তাগিদে টিকে থাকতে বালুচরে চাষাবাদ করে ফসল ফলানোর সংগ্রামে নেমেছেন চরাঞ্চলের কৃষক। ধু-ধু বালুচরেই চরাঞ্চলের মানুষের নতুন স্বপ্ন বুনা। সেখানে ভুট্টা, সরিষা, গম, পেঁয়াজ, রসুন, শীতকালীন শাক-সবজি, আলু, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চরাঞ্চলের কৃষক।

    পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা ও টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চর খড়িবাড়ি মৌজার বিস্তীর্ণ এলাকার তিস্তার চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকেরা নদীর বুকে ধু-ধু বালুচরে ভুট্টা, সরিষা ও গম চাষাবাদ করছেন। চর খড়িবাড়ির কৃষক মোজাম্মেল হক বলেন, আমার সব ধানিজমি সর্বগ্রাসী তিস্তা নদীর পেটে চলে গেছে। পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর নদীতে চড় জেগেছে। আমার আর কোন জমি নেই এখন নিরুপায় হয়ে বালু জমিতে ভুট্টা আবাদ করছি। একই এলাকার হযরত আলী বলেন, আমার পনেরো বিঘা জমির মধ্যে তেরো বিঘা জমি নদীর বুকে বিলীন হয়ে গেছে। এখন মাত্র দুই বিঘা জমি রয়েছে। তা-ও বালুচর। তাতেই বীজ সার কিনে ভুট্টা চাষাবাদ করছি। খলিলুর রহমান নামের অপর এক কৃষক বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করে বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমার হাতে কোন টাকা পয়সা নেই। কৃষি অফিস থেকে সরকারি কৃষি প্রণোদনার ভুট্টার বীজ, সার পেয়েছি। তাই দিয়ে এবার চরের দুই বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করছি।

    খালিশা চাপানি ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের বাইশ পুকুর ও কেল্লাপাড়া এলাকার কৃষক মোতালেব হোসেন ও দুলু শেখ জানান, এবারের বন্যায় আমাদের ২০-২৫ বিঘা জমিতে বালু পড়েছে। সেই জমিতে আমরা ভুট্টা চাষাবাদ করছি। জমিতে ভুট্টার বীজ বপনের প্রায় ২৫ দিন হয়েছে। আপাতত খেতের অবস্থা ভালোই দেখা যাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে। আশাকরি এবার ফলন ভালো হবে।

    উপজেলায় তিস্তা নদীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বললে অধিকাংশ কৃষক সংবাদকর্মীকে জানান, প্রতিবছর বন্যা ও তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙ্গনের ফলে জীবন-জীবিকায় টিকে থাকতে কঠিন সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাদের। তিস্তার করাল গ্রাস থেকে বাঁচতে তিস্তা নদীর মহা-পরিকল্পনার বাস্তবায়ন চান নদী পাড়ের হাজারো পরিবার।

    উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ সেকেন্দার আলী জানান গত বছর ভুট্টার ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এবারে ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। এবার উপজেলায় ১৩ হাজার ৪ শত ৫৮ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি প্রণোদনার আওতায় ১২০ হেক্টর জমিতে নয়শত কৃষকের মাঝে ভুট্টার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। রবি মৌসুমে চাষাবাদের বিষয়ে আমরা কৃষকদের দোড় গোড়ায় পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে ও যেকোনো পরামর্শের জন্য উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।