Tag: গ্রেফতার

  • র‍্যাবের অভিযানে ভূয়া এনজিও বিসিফ-এর প্রতারক চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার।

    র‍্যাবের অভিযানে ভূয়া এনজিও বিসিফ-এর প্রতারক চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার।

    হাফিজুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি।
    চাঁপাইনবাবগঞ্জে র‌্যাব-৫ রাজশাহীর একটি অপারেশন দল ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাত ৯টার সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডের মাষ্টার পাড়াস্থ সুফিয়ান বিদ্যা নিকেতন এন্ড প্রাইভেট হোম জনৈক মাইনুল ইসলাম এর ১তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং ঘরে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ভূয়া এনজিও বিসিফ এর অফিস থেকে সংস্থায় মানুষের জমাকৃত কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের মূলহোতা সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।র‍্যাবের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে গ্রামের সাধারণ মানুষের টাকা গ্রহণ করে অধিক মুনাফা দেয়ার লোভ দেখিয়ে বিসিফ নামে একটি ভূয়া এনজিও প্রতিষ্ঠা করে। উক্ত এনজিওতে বিভিন্ন গ্রাহককে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে গরীব অসহায় লোকদের টাকা বিনিয়োগ এবং ঋণ নেয়ার জন্য উৎসাহ দিতো। অসহায় লোকজন তাদের ফাঁদে পড়ে টাকা বিনিয়োগ করতো এবং ফাঁকা চেক জমার মাধ্যমে ঋণ উত্তোলন করলে এনজিও কর্মীরা ব্যাংক চেক ব্ল্যাক মেইল এর মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা এবং গ্রাহকের জমাকৃত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
    অসংখ্য ভূক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব চাঁপাইনবাগঞ্জের চৌকস গোয়েন্দা দল দীর্ঘদিন ধরে উক্ত বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করে বিসিফ এর মূলহোতা ও ম্যানেজারসহ প্রতারক চক্রের ০৬ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন নাচোল থানার খোলশি গ্রামের হাজী মোঃ জাকারিয়া ছেলে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মোঃ ইব্রাহিম (৩৭), রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার জাহানাবাদ গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ রায়হান উদ্দিন (৩০) ও নাচোল উপজেলার গাছপুকুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ক্যাশিয়ার আতিকুর রহমান।
    এছাড়া মাঠকর্মী হিসেবে ফরহাদ হোসেন(৩১), শাহ আলম(২৪), রেজাউল করিম(২৪)।

    তাদের কাছ থেকে ৫০০পিস ভূয়া পাশ বই, ১০টি ভূয়া সীল, ১৪টি চেক/লোন রেজিষ্ট্রার, ২০০টি ব্যাংক চেক, ০৪টি আইডি কার্ড, ০৭টি মোবাইল ফোন এবং ১০টি সীমকার্ড উদ্ধার করা হয়।

    সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী উক্ত ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

  • উল্লাপাড়ায় সরকারি গাছ কাটার অভিযোগে গ্রেফতার-১।

    উল্লাপাড়ায় সরকারি গাছ কাটার অভিযোগে গ্রেফতার-১।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের (সলপ-বলরামপুর রাস্তার) পঞ্চক্রোশী গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃত আক্তার হোসেনের বাড়ীর সামনের রাস্তার ধার থেকে গাছ কাটার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে উপজেলা প্রশাসন। উল্লাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভুমি)’র পক্ষে পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম ২ জনকে এজাহারভুক্ত ও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে এই মামলা দায়ের করে। বুধবার সকালে পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শাহজাদা শাহ পারভেজ (৪০) কে উল্লাপাড়া বাজার থেকে গ্রেফতার করে। পারভেজ উপজেলার পঞ্চক্রোশী গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা আক্তার হোসেনের ছেলে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন তাদের নিজস্ব জমির জায়গা থেকে গাছ কাটা হয়েছে।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ পরিদর্শক মোঃ অপু হোসেন জানান, উল্লাপাড়া সহকারী কমিশনারের দপ্তরে এলাকাবাসী উপজেলার পঞ্চক্রোশী গ্রামের রাস্তা থেকে ৫টি মেহগনি ও ৩ টি ইউক্লেভটার গাছ কাটার অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইশরাত জাহান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৯ জানুয়ারি-২৩ ইং তারিখে প্রশাসনের পক্ষে মামলা দায়ের পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মোঃ মঞ্জুরুল আলম। মামলার প্রেক্ষিতে উল্লাপাড়া পৌর বাজার থেকে পারভেজ (৪০) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়।

    মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য মাঈনুল কবির জানান, পারভেজ আমাদের নিজস্ব জমির জায়গা থেকে গাছ কাটে। উল্লাপাড়া সহকারী কমিশনা (ভুমি) ইশরাত জাহান জোরপূর্বক গাছগুলো তুলে নিয়ে যায় এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সহ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এই মিথ্যা মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

    উল্লাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইশরাত জাহান বলেন, এনজিও কতৃক সরকারি রাস্তায় লাগানো গাছ কাটার অপরাধে ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, সরকারি রাস্তার গাছ কাটা মামলায় একজনকে আটক করে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

  • তাড়াশ থেকে ২ জন পলাতক আসামী গ্রেফতার।

    তাড়াশ থেকে ২ জন পলাতক আসামী গ্রেফতার।

    তাড়াশ প্রতিনিধি:

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থেকে এক বিশেষ অভিযানে ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় ২ জন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছের্ যাব-১২। ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতের্ যাব-১২’র স্পেশাল কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী শাহজাদপুর থানার নুকালী দক্ষিণপাড়ার মৃত রমজানের ছেলে মোঃ শেরালী হোসেন (৪৮) ও নুকালী পূর্বপাড়ার -মোঃ লতিফ সরকারের ছেলে মোঃ ইয়াসিন সরকার(৩৫) কে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার মামলা নং-১৩/৪১৩ তারিখ ০৯/১১/২০২২, ৯(১)/৩০ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ ধারা) মোতাবেক তাড়াশ থানাধীন ঈশ্বরপুর গ্রামস্থ মোঃ রওশন ফকির এর বসত বাড়ীর সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্(যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারের্ যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।

    র‍্যাব-১২,সিপিএসসি,সিরাজগঞ্জ স্কোয়াড কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মোঃ আবুল হাসেম সবুজ বলেন, গ্রেফতারকৃত ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামীদেরকে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানায় হস্ত্মান্ত্মর করা হয়েছে।

  • রাণীশংকৈলে শিক্ষক হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন,বিক্ষোভ। 

    রাণীশংকৈলে শিক্ষক হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন,বিক্ষোভ। 

    . ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নুর হোসেন নামে এক কোচিং শিক্ষক হত্যার আসামীদের গ্রেফতার করার দাবীতে। এবং সন্দেহজনক ৭জন আসামীকে গ্রেফতার করে। তিন দিন থানায় রেখে আবার ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে, ভরনিয়া সম্পদবাড়ী এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিশেষে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’ সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভকে স্মারক লিপি দেওয়া হয়েছে।
    সোমবার (৭ নভেম্বর)  বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা পরিষদের প্রধান সড়ক দিয়ে থানা চত্বর যায় সেখানে প্রায় আধাঘন্টা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করে বিক্ষোভ করে। উপজেলা পরিষদ থেকে বের হয়ে তারা উপজেলা পরিষদের সামনে মহাসড়কে দাড়িয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
    এতে বক্তব্য রাখেন,সহকারী শিক্ষক মোকসেদ আলী, উপজেলা যুবলীগ যুগ্ন সম্পাদক  মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, পৌর আ’লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, ধর্মগড় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও নিহত শিক্ষকের মা হোসনা খাতুন ।
    প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে উপজেলা যুবলীগের সম্পাদক রমজান আলী,পুলিশ প্রশাসনকে ৭২ ঘন্টার আল্টিমিটাম দিয়ে বলেন, যদি আল্টিমেটামের সময়ের মধ্যে আসামী ধরতে গড়িমসি করেন। তাহলে ধর্মগড়,কাশিপুরবাসীসহ রাণীশংকৈল আ’লীগ যুবলীগ মিলে রাণীশংকৈল উপজেলাকে অচল করে দেওয়া হবে। হরতাল দেওয়া হবে। অতত্রব কোন গড়িমসি না করে দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করুন।
    নিহত শিক্ষকের মা হোসনা বলেন, কারা হত্যা করেছে আমরা বুঝতে পারছি, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের নাম পুলিশকে বলেছি। তারপরেও তারা আসামী ধরে ছেড়ে দিচ্ছে কেন? তাহলে কি টাকার বিনিময়ে আসামীদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ছেলে হত্যার বিচার কি তাহলে আমরা পাবো না। তিনি অবিলম্বে ছেলে হত্যার আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।
    এর আগে গত ২৭ অক্টোবর সকালে ভরনিয়া রাস্তা সংলগ্ন ধান খেতে একই ইউনিয়নের ভরনিয়া চেংমারী এলাকার নুরুল হোসেনের ছেলে হোসাইন আলীর ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় নিহতের পরিবার দাবী করেন এটি পরিকল্পিত হত্যা।
    রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল মুঠোফোনে বলেন, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার সাথে প্রকৃত জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
    স্মারকলিপি পেয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, স্মারক লিপি পেয়েছি। বিষয়টির যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • বিচার শালিসের আগেই মারা গেলেন প্রমিলা রাণী,গ্রেফতার-২।

    বিচার শালিসের আগেই মারা গেলেন প্রমিলা রাণী,গ্রেফতার-২।

    ঠাকুরগাঁওপ্রতিনিধি.
    জমি নিয়ে প্রতিবেশির সাথে ঝগড়া বিবাদের জেরে গত শুক্রবার থানা পুলিশ উপজেলার কেউটান গ্রামে গিয়ে উভয় পক্ষকে বিচার শালিসের কথা বলেন। তারই পরিপেক্ষেতে শনিবার (৫ নভেম্বর) বিকালে হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে বিচার শালিস হওয়ার কথা ছিল। তার পূর্বেই প্রমিলা রাণীর মৃত্যু হওয়ায় আর শালিস করা হলো না ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের।
    জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কেউটান গ্রামে তিলক রায়ের পরিবারের সাথে একই গ্রামের মনসিংহ (কাচালু)’র পরিবারের সাথে ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
    রাণীশংকৈল থানার এ এসআই নুর আলম রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় তিলকের স্ত্রী প্রমিলা রাণী (৪৮) অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে তাকে চিকিৎসা করেন তার বাড়ির লোকজন।
    রাতভর বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা করেও প্রমিলা রাণীর কোন উন্নতি না হওয়ায় ভোরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
    এনিয়ে প্রমিলার স্বামী তিলক রায় বাদী হয়ে মনসিংহ (কাচালু) ও তার ভাই পরেশ রায়সহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
    থানা পুলিশ অভিযুক্ত দুইজনকে শনিবার গ্রেপ্তার করে পরদিন রবিবার জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
    মামলার বাদি তিলক চন্দ্র বলেন, মনসিংহ (কাচালু) সহ তার লোকজন আমার ছেলে ও স্ত্রীকে মাথার চুল ধরে বেধড়ক পিটিয়েছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পরে আমরা সবাই রক্ষা পাই। মারপিটের কারণেই আমার স্ত্রী প্রমিলা রাণী মারা যায়। তাছাড়া এই  মারপিটের ঘটনার হোসেনগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান  শনিবার বিকালে ইউপি কার্যালয়ে বিচার শালিস ডেকে ছিলেন।
    এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মুঠোফোনে জানান, শনিবারে ইউপি কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে শালিসে ডাকা হয়েছিল । কিন্তু রাতেই প্রমিলা রাণী মারা যাওয়ার কারণে আর শালিস করা সম্ভব হয়নি।
    থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল বলেন, এ ঘটনায় ছয়জনের নামে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।
  • গোদাগাড়ীত মাদক দ্রব্য হেরোইন পাচারকালে পুলিশ সদস্য সহ গ্রেফতার ৩।

    গোদাগাড়ীত মাদক দ্রব্য হেরোইন পাচারকালে পুলিশ সদস্য সহ গ্রেফতার ৩।

    গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধি.

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পুলিশ কনস্টেবল নুর মোহাম্মদ নুর নবী ইসলাম (২৮) চাকরি করেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) চন্দ্রিমা থানায়। পুলিশে চাকরির পাশাপাশি করছিলেন হেরোইনের ব্যবসাও।

    শনিবার দিনগত রাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌর এলাকার রেলগেট মোড় থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুল্যের ৫০০ গ্রাম হেরোইনসহ নুর মোহাম্মদ ওরফে নবীউল ইসলামকে প্রথমে গ্রেফতার করেন রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (জেলা ডিবি) একটি দল। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার সারাংপুর পুলিশ পাড়া থেকে আরও ৫০০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেফতার করা হয়েছে নবীউলের দুই সহযোগী মাদক সম্রাট মিঠুন আলি (৩২) ও রবিউল ইসলামকে (৩৩)। গ্রেফতারের পর রাতেই তাদেরকে রাজশাহীতে জেলা ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ কনস্টেবল রবীউল ইসলাম মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এই খবর জানার পর রাজশাহী মহানগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ কনস্টেবল নবীউল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছেন।

    রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ডিবির ওসি আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে জেলা ডিবির একটি দল শনিবার দিনগত রাত সাড়ে আটটার দিকে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার রেলগেটের আলামিন মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারের সামনে থেকে পুলিশ কনস্টেবল নুর মোহাম্মদ নবীউল ইসলামকে আটক করেন। দেহ তল্লাশি করে তার কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হেরোইনের মুল্য প্রায় কোটি টাকা বলে জানা গেছে।

     

    এদিকে কনস্টেবল নবীউলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি পুলিশ জানতে পারেন পাচারের জন্য তার পার্টনার গোদাগাড়ীর শীর্ষ মাদক সম্রাট মিঠুন আলীর পুলিশ পাড়ার বাসায় আরও হেরোইন মজুদ আছে। পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে মিঠুন আলীর বাড়ি তল্লাশি করে তার শয়ন কক্ষ থেকে আরও ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেন। এ সময় মিঠুন আলী ও তার সহযোগী সারাংপুর গ্রামের রবিউল ইসলামকেও গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই।

    জানা গেছে, মাদকসহ গ্রেফতার হওয়া পুলিশ কনস্টেবল নুর মোহাম্মদ ওরফে নবীউল ইসলাম পৌর এলাকার সারাংপুর পুলিশ পাড়া মহল্লার আবুল কাশেমের ছেলে। অন্যদিকে মিঠুন আলী সারাংপুর জোতগোসাই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন ও রবিউল ইসলাম সারাংপুর পুলিশ পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তারা একযোগে মাদক পাচারের কাজ করছিলেন।

    জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, পুলিশ কনস্টেবল নবীউল ইসলাম অপর দুই সহযোগীর সঙ্গে অংশীদার ভিত্তিতে ভারত থেকে হেরোইন আনিয়ে দেশের ভেতরে পাচারের কাজ করছিল। অধিকাংশ মাদকই পুলিশ কনস্টেবল নবীউল বহন করতেন। পুলিশ পরিচয়ে সে নিরাপদে মাদক পাচারের কাজ করে আসছিল। রোববার সকালে গোদাগাড়ী থানায় ৩ জনকে সোপর্দ করে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে ডিবি পুলিশের একজন কর্মকর্তা।

  • বাঘায় বন্যপাখি সংরক্ষণের অপরাধে গ্রেফতার-২।

    বাঘায় বন্যপাখি সংরক্ষণের অপরাধে গ্রেফতার-২।

    বাঘায় বন্যপাখি সংরক্ষণের অপরাধে গ্রেফতার-২।

    রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গড়গড়ী ইউনিয়ন হতে বন্যপাখি সংরক্ষণ করায় প্রায় ১১০টি পাখি (ঘুঘু)সহ  দুই জনকে গ্রেফতার করেছে বাঘা থানা পুলিশ। সমবার প্রায় ১২টার দিকে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সাজ্জাদ হোসেন সাজুর দিক-নির্দেশনায়  এএসআই আব্দুর রহিম মন্ডল ও সঙ্গীয় ফোর্স এই পাখি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ওসি মো:সাজ্জাদ হোসেন সাজু ও ওসি (তদন্ত)  মুহঃ আব্দুল করিম পাখিগুলো প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করেন।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার গড়গড়ী ইউনিয়নের পলাশী ফতেপুর এলাকার মো: চান্দু রহমানের ছেলে মো: সোহেল রানা, অন্যজন একই ইউনিয়নের মো: মহসীন মন্ডলের ছেলে ইউনুস মন্ডল।

    জানা যায়, অনেক দিন ধরে মো: সোহেল রানা পাখি ধরে ধরে বিভিন্ন মানুষের কাছে বিক্রি করতেন। আজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে হাতে নাতে ধরা হয়। অন্যজন ইউনুস মন্ডল একই সময়ে সোহেল রানার থেকে পাখি কিনতে যান। সেই সময়েই তাদের কে আটক করে থানায় আনা হয়।

    অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সাজ্জাদ হোসেন সাজু জানান,  মো: সোহেল রানা ও ইউনুস মন্ডল অবৈধভাবে বন্যপাখি সংরক্ষণ ও বিক্রি করতেন। আমরা গোপন সংবাদে জানতে পেরে পুলিশ পাঠাই এবং সাথে সাথে দুইজনকে গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়েছে এবং তাদেরকে চালান করা হবে। পাখি রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবাই মিলে কাজ করে যেতে হবে। এক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন হতে হবে। সাথে সাথে আমাদেরকে তথ্য দিলে আমরা কার্যকরী ব্যবস্থা নিবো।

  • উল্লাপাড়ায় চুরি করে সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অপরাধে গ্রেফতার ৬।

    উল্লাপাড়ায় চুরি করে সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অপরাধে গ্রেফতার ৬।

    উল্লাপাড়ায় চুরি করে সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অপরাধে গ্রেফতার ৬।


    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় গ্রামীণ জনপদের বিভিন্ন সরকারি রাস্তার লাখ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রাতের আঁধারে চুরি করে কেটে নিচ্ছে উপজেলার একটি চোর সিন্ডিকেট চক্র।

    শনিবার গভীর রাতে উপজেলার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নের উল্লাপাড়া – তাড়াশ সড়কের শিমলা ব্রীজের পূর্ব পাশ থেকে ইউক্যালেকটর সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটার সময় ধারালো অস্ত্র, গাছ বহন করা ট্রলিসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ঘটনার প্রেক্ষিতে উপজেলা বন কর্মকর্তা দেওয়ান শহিদুজ্জামান বাদী হয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

    গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলার গয়হাট্রা একান্তপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৬২), পারকুল গ্রামের হাজী আকবর আলীর ছেলে আইনুল হক (৫০), বিনায়েকপুর গ্রামের হাজী ওছমান গণির ছেলে মুনছুর আলী (৪৫), একই গ্রামের লবা সেখের ছেলে নুরুল ইসলাম (৩৫), ফজল প্রামানিকের ছেলে বাবু প্রামানিক (৪০) ও হাছেন আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪৫)।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ পরিদর্শক সাহেব গণি জানান, গ্রেফতার এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণ জনপদের বিভিন্ন রাস্তার গাছ চুরি করে কেটে আসছিল। রাতের আধারে গাছ কাটা অবস্থায় এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তার মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

  • উল্লাপাড়ায় ভুয়া কাজী মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার।

    উল্লাপাড়ায় ভুয়া কাজী মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার।

    উল্লাপাড়ায় ভুয়া কাজী মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার।


    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিয়ের আসর থেকে বিবাহ নিবন্ধন কালে মোঃ আব্দুস সালাম (৪২) নামের এক ভুয়া কাজীকে গ্রেফতার করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম মহেশপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে বিবাহ নিবন্ধনের একটি বইও জব্দ করে পুলিশ। গ্রেফতার সালাম উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের ফাজিল নগর গ্রামের আসগর আলীর ছেলে ও বিনায়েকপুর দাখিল মাদ্রাসার মৌলভী পদের সহকারী শিক্ষক।

    থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়ন ও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারের অনুমোদন ছাড়াই বিবাহ নিবন্ধনের নকল বালাম বই তৈরি করে বাল্য বিবাহ সহ নিকাহ নিবন্ধন করে আসছিলেন এই ভুয়া কাজী। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম মহেশপুর গ্রামে একটি বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন করা কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশের একটি দল এই ভুয়া কাজীকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে নকল নিকাহ্ রেজিস্ট্রার বই জব্দ করে পুলিশ। রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) এনামুল হক জানান, শনিবার সকালে গ্রেফতার ভুয়া বিবাহ নিবন্ধনকারী কাজীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

  • মাধবপুরে গাঁজাসহ শীর্ষ মাদক ব‍্যবসায়ী গ্রেফতার।

    মাধবপুরে গাঁজাসহ শীর্ষ মাদক ব‍্যবসায়ী গ্রেফতার।

    মাধবপুরে গাঁজাসহ শীর্ষ মাদক ব‍্যবসায়ী গ্রেফতার।


    হবিগঞ্জের মাধবপুর থানাধীন এলাকা হতে ৫১ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯।

    গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৯ এর মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প, হবিগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল বুধবার (১৩ জুলাই) হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানাধীন এলাকা থেকে অভিযান পরিচালনা করে ৫১ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার নাসিরনগর থানার বড়ইরি এলাকার বাসিন্দা সখিচরণ সরকার এর ছেলে সুকুমার সরকার (৩১)।
    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর অবৈধ মাদক ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টার প্রমাণ পাওয়া যায়। মাদকের বিরুদ্ধে সরকার ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র‌্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের পূর্বক আসামী ও জব্দকৃত আলামত মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।