Tag: গ্রেপ্তার

  • উল্লাপাড়ায় সাজাপ্রাপ্ত ও চাকুরীচ্যুত পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার।।

    উল্লাপাড়ায় সাজাপ্রাপ্ত ও চাকুরীচ্যুত পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার।।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পারিবারিক আদালতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি ইউসুফ আলী (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে মডেল থানা পুলিশ। শনিবার রাতে তার নিজ বাড়ী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইউসুফ উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের দত্তখারুয়া গ্রামের ইয়াছিন আলী মৃধার ছেলে ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক সদস্য ছিলেন। যাহার পরিচিত নং ১৫৩৬৭। বর্তমানে তিনি চাকুরীচ্যুত। আদালতে তার বিরুদ্ধে ২ মাসের সাজাসহ ৩টি মামলা চলমান রয়েছে।

    রবিবার সকালে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইউসুফ আলীকে আদালতের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার স্ত্রী নাসিমা খাতুন রিয়া’র যৌতুক মামলায় আদালত তাকে এ সাজা প্রদান করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন সহ ডাকাতির একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

    মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছর আগে পুলিশ সদস্য ইউসুফ পারিবারিক ভাবে পাশ্ববর্তী শাহজাদপুর উপজেলার ফরিদপাঙ্গাসী গ্রামের মৃত হাজী শাহজাহান আলীর মেয়ে নাসিমা খাতুন রিয়া (২৫) কে ১০ লক্ষ ১ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। এই দম্পতির একটি সন্তান রয়েছে। হঠাৎ ইউসুফ এক মেয়ে নার্সের পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এব্যাপারে তার স্ত্রী রিয়া প্রতিবাদ করলে ইউসুফ তাকে নানাভাবে নির্যাতন শুরু করে। মাঝে মধ্যেই সে তার স্ত্রী রিয়াকে মারপিট করে রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত করতো। কঠিন মারপিটে রিয়ার সারা শরীর ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় একদিন তাকে সজ্ঞাহীন করে ফেলে রাখে ইউসুফ। মুমূর্ষ অবস্থায় রিয়াকে তার স্বজনেরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সব ঘটনা নিয়ে রিয়া আদালতে ইউসুফের বিরুদ্ধে যৌতুক, নারী ও শিশু নির্যাতন সহ ২ টি মামলা দায়ের করে। ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় ডাকাতি করার অভিযোগে অপর মামলাটি দায়ের হয় ইউসুফের বিরুদ্ধে।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সাবেক পুলিশ সদস্য মোঃ ইউসুফ আলী আদালত কতৃক একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী। আদালতের ওয়ারেন্টমুলে তাকে গ্রেপ্তার করে রবিবার সকালে কারাগারে পাঠনো হয়েছে।

  • পীরগঞ্জে ৩’শ পিচ নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ ঔষধ  ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার।

    পীরগঞ্জে ৩’শ পিচ নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ ঔষধ  ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার।

    ঠাকুরগাঁও,প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ৩শ’ পিছ নিষিদ্ধ ভারতীয় মাদক ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ হামিদুল নামের এক ঔষধ  ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকালে উপজেলার ভোমরাদহ ইউনিয়ন চাটিডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে  তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
    পীরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক রতন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম উপজেলা ভোমরাদহ ইউনিয়নের চাটিডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালান। এসময় হামিদুল ইসলাম নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর দেহ তল্লাসী করে ৩’শ পিচ নিষিদ্ধ মাদক টাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
    আটক হামিদুল উপজেলার খামার সেনুয়া গ্রামের মৃত সফির উদ্দিনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লোহাগাড়া বাজারে ওষুধের দোকানের আড়ালে গোপনে মাদক ব্যবসা করে আসছিল বলে জানান পুলিশের উপপরিদর্শক রতন।
    পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল আনাম ডন জানান, হামিদুল নামের একজনকে নিষিদ্ধ ভারতীয় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করা হয়।  তার বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
  • ফতুল্লায় দানিয়াল হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি অনিক প্রধান গ্রেপ্তার।

    ফতুল্লায় দানিয়াল হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি অনিক প্রধান গ্রেপ্তার।

    ডেস্ক নিউজঃ ফতুল্লায় আল আমিন ওরফে দানিয়াল হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি অনিক প্রধান(২৭)কে বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট সদর থানার ড্রাইভার পাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব-১১’র সদস্যরা।

    বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১’র সিপিসি-১ এর উপ-পরিচালক মেজর অনাবিল ইমাম।

    আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়,গত ০৯ ফেব্রুয়ারি রাতে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক বেচাকেনায় বাধা সৃষ্টি করায় আসামিরা দানিয়াল ও শুভকে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় আক্রমণ করে মারধর করে।এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা তাদেরকে ফেলে চলে যায়।

    পরে ওই রাতে ভুক্তভোগীরা আহত অবস্থায় ফতুল্লা থানার বাড়ৈভোগ ফারিয়া গার্মেন্টসের পাশে খানকার মোড়ে পৌঁছালে আসামিরা পুনরায় হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র (চাপাতি, রামদা, ছোরা, চাকু)দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে দানিয়াল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।এ সময় আসামিরা পালিয়ে যায়।

    ভুক্তভোগী দানিয়াল ও শুভকে রক্তাক্ত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের স্বজনরা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল(ভিক্টোরীয়) নিয়ে যান পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক দানিয়ালকে মৃত ঘোষণা করেন। শুভকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

    পরে নিহত দানিয়ালের মা মুক্তা বেগম ১০ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লা মডেল থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    র‍্যাব জানায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি অনিক প্রধানকে ফতুল্লা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য।

     

  • বালিয়াডাঙ্গীতে মোটরসাইকেল ছিনতাই করে বোন জামাইকে উপহার-৩ স্যালক গ্রেপ্তার।

    বালিয়াডাঙ্গীতে মোটরসাইকেল ছিনতাই করে বোন জামাইকে উপহার-৩ স্যালক গ্রেপ্তার।

    (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে একটি মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিজ বোনের জামাইকে উপহার দিয়েছিল চোর। পরে সেই ছিনতাই করা মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ চক্রের তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এতথ্য জানান ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক।
    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মোড়লহাট বোবড়া গ্রামের মো. মোজাম্মেল হকের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২৩), রায়মহল নেন্দপাড়া গ্রামের মো. কিসমত আলীর ছেলে মো. সোহেল রানা (২৫) ও সদর উপজেলার ভাওলাহাট (তেঁতুলিয়া) গ্রামের মো. খোরশেদ আলমের ছেলে মো. আব্দুর রহিম (৩৩)।
    পুলিশ সূত্রে জানায়, গত ৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে মো. জসীম উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী মোটরসাইকেলে করে বালিয়াডাঙ্গী দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। সেসময় চোর চক্রের ৩-৪ জন ব্যক্তি তাকে আটক করে। পরে জমীম উদ্দিনের হাত-পা বেঁধে ভুট্ট ক্ষেতে ফেলে দেয় ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা। তার জসীম উদ্দিনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে চুরি করা সেই মোটরসাইকেল বোনের জামাইকে উপহার দেন সাইফুল নামের ছিনতাইকারী।
    এঘটনায় ভুক্তভোগী জসীম উদ্দিন বালিয়াডাঙ্গী থানায় অভিযোগ করেন। গতকাল শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল মোড়লহাট এলাকা থেকে ঘটনার সাথে জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পীরগঞ্জ ভোমরাদহ গাজিপাড়ায় চোর সাইফুলের বোনের জামাই মো. আমির হোসেন ওরফে ভুট্টু এর বসতবাড়ি থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
  • মাধবপুরে আলোচিত পাবেল হত্যা মামলার ১৬ আসামি ঢাকার শাহবাগ থেকে গ্রেপ্তার।

    মাধবপুরে আলোচিত পাবেল হত্যা মামলার ১৬ আসামি ঢাকার শাহবাগ থেকে গ্রেপ্তার।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে আলোচিত পাভেল হত্যা মামলার আরো ১৬ আসামিকে ঢাকা শাহবাগ থানার মাজার গেইট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটিলিয়ান র‌্যাব-৩ এর সদস্যরা ।
    জানা যায়, মাধবপুর থানার মামলার আসামীদের ঢাকা র‍্যাব-৩ এর সহযোগীতা তাদের আটকের বিষয়ে খবর পেয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ১৬ জন আসামি র‍্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটিলিয়ান র‌্যাব-৩ এর সহযোগিতায় ঢাকার শাহবাগ থেকে গ্রেপ্তার পূর্বক নিজ হেফাজতে মাধবপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
    গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন সিরাজ মিয়া,জহিরুল্লাহ পাঠান বশির,হাফিজুল্লাহ,শফিক মিয়া,বদিউজ্জামান,উম্মেত আলী,লোকমান মিয়া,সেলিম মিয়া,রাসেল মিয়া, আলমগীর, নুর আলী,নাসির মিয়া,শের আলী,সুমন আলী,ফারুক মিয়া, জাহাঙ্গীর হোসেন।সকল আসামি বেজুড়া গ্রামের বাসিন্দা।
    উল্লেখ্য গত রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিহত পাভেল মিয়া’র বড় ভাই হামিদ মিয়া বাদী হয়ে ৬৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭০/৮০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে মামলায় প্রধান আসামি জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ খানসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মাধবপুর থানার পুলিশ।
    মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃরকিবুল ইসলাম খাঁন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, র‌্যাবের সহযোগিতায় পাবেল হত্যা মামলার ঢাকা শাহবাগ থানা এলাকা থেকে ১৬’জন পলাতক আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে।
  • মাধবপুরে সুভাষ পাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শ্রীবাস চন্দ্র পাল গ্রেপ্তার।

    মাধবপুরে সুভাষ পাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শ্রীবাস চন্দ্র পাল গ্রেপ্তার।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বেঙ্গাডুবা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সুভাষ পাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শ্রীবাস চন্দ্র পাল (৫০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে মাধবপুর থানার এসআই মো: মনিরুজ্জামান এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে পতেঙ্গা থানার পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করেন। সে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বেঙ্গাডুবা গ্রামের মৃত জয়চন্দ্র পাল এর পুত্র। উল্লেখ্য পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগভাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১২ জানুয়ারী সকালে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বেঙ্গাডোবা গ্রামের মৃত জয়চন্দ্র পাল এর বড় ছেলে ডা: সুভাষ পাল, শ্রীবাস চন্দ্র পাল ও সুমিত পালের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির এক পর্যায়ে সুভাষ পাল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
    এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী সুবর্না পাল বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রকিবুল ইসলাম খাঁন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধৃত আসামিকে কিছুক্ষণ আগে চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানোর হবে।
  • মাধবপুরে গাঁজাসহ অটোরিকশা চালক গ্রেপ্তার।

    মাধবপুরে গাঁজাসহ অটোরিকশা চালক গ্রেপ্তার।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি। 
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে অভিনব কায়দায় ধানের কুড়ার বস্তায় করে নিয়ে যাওয়ার সময় ৪০ কেজি গাঁজা পাচারকালে এক অটোরিকশা চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
    সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৮টায় গোপনে খবর পেয়ে মাধবপুর থানার এসআই সুজন শ্যাম এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে মাধবপুর পৌরসভার বাস স্ট্যান্ড কিবরিয়া চত্বরের পশ্চিম পাশে এলাকার নাছির নগর রোডের সামনে উপর থেকে অভিযান চালিয়ে ধানের কুড়া বস্তায় করে ৪০ কেজি গাঁজা পাচারের কালে এক অটোরিকশা চালক রমজান আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতারকৃত অটো রিকশা চালক হলো: রমজান আলী (৩৫), সে আন্দিউড়া ইউনিয়নের হাড়িয়া গ্রামের আবেদ আলী ছেলে।
    এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  রকিবুল ইসলাম খাঁন দৈনিক সিলেটকে জানান, গাঁজা উদ্ধার কালে এক অটোরিকশা চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত গাঁজা পাচারকারী বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জ জেল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
  • বাঘায় পৃথক অভিযানে হেরোইনসহ গ্রেপ্তার-২।

    বাঘায় পৃথক অভিযানে হেরোইনসহ গ্রেপ্তার-২।

    বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধ :রাজশাহীর বাঘায় পৃথক অভিযানে হেরোইনসহ রব্বেল হোসেন(৩০) ও মৃদুল হোসেন(২৪) নামে দুই হিরোইন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারী)দিবাগত রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায় , শুক্রবার রাত আনুমাকি সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার গাওপাড়া গ্রামের মৃদুল হোসেন হোরোইন বিক্রীর উদ্দেশ্যে নিজ এলাকার পাকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলো। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আব্দুল মজিদসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান   ১১ গ্রাম হোরোইনসহ তাকে গ্রেপ্তার করেন।মৃদুল ওই গ্রামের মৃত আব্দুল সামাদের ছেলে।
    অপরদিকে পুলিশ কলিগ্রাম গ্রামে অভিযান  মাদক বিক্রেতা রব্বেল হোসেনকে তার বাড়ির সামনের পাঁকা রাস্তা থেকে ১৫ গ্রাম হোরোইনসহ গ্রেপ্তার করেন। সঙ্গীয় ফোর্সসহ বাঘা থানার  উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আজিজুল হক অভিযান পরিচালনা করেন।রব্বেল ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

    এ বিষয়ে বাঘা থানা পরিদর্শক( তদন্ত)সবুজ রানা জানান, গ্রেপ্তার দু’জন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে তাদের দুজনের নামে পৃথক দুটি মাদক নিয়ন্ত্রণ মামলা দায়ের করে শনিবার(২৭ জানুয়ারী ) সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে গ্রেপ্তার-৩।

    ঠাকুরগাঁওয়ে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে গ্রেপ্তার-৩।

    আনোয়ার হোসেন,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সরকার পাড়া এলাকায় অপহরণ করার পর মুক্তিপন দাবি করে নির্যাতনের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
    রবিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে ওই ভুক্তোভোগী পরিবার সদর থানায় যোগাযোগ করলে  পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করে।
    আটককৃতরা হলেন, শহরের সরকার পাড়া এলাকার আমিনুল ইসলাম রাজের ছেলে বিশাল (২২), একই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে সাব্বির (২৩), ও আঃ মালেকের ছেলে মাসুদ (২২) অপর আসামি শহরের রামবাবু গোডাউন এলাকার মুরাদ (২০)। এই ঘটনার মুরাদ এখনো পলাতক রয়েছে।
    ভুক্তোভোগী সোহরাওয়ার্দী (৫৮) পার্শ্ববর্তী পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানার কিসমত বাগদহ গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে। তিনি শহরের গোয়ালপাড়া এলাকায় ভাড়ায় থাকেন।
    সোহরাওয়ার্দীর জানান, তার ছেলে স্থানীয় কয়েকজন বন্ধুর সাথে কোচিং এ যায়। পরে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও ছেলে ফিরে আসেনা। এ সময় তার বাবা ছেলের ফোনে অনেকবার ফোন দিয়েও মোবাইল ফোনটি বন্ধ পায়। পরবর্তী রাত একটার সময় তিনি জানতে পারে তার ছেলে ও তার সহপাঠীদের অপহরণ করা হয়েছে এবং তার কাছে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তিনি দিতে অস্বীকার করলে তার ছেলেকে জানে মেরে ফেলবে বলে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং তার ছেলে ও তার বন্ধুদের কাছে থাকা ১ হাজার ৮১০ টাকা আদায় করে।
    ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগে ঠাকুরগাঁও থানার মামলা একটি মামলা হয়েছে যার মামলা নং-৩৬। তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপরজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
  • মাধবপুরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি-লুণ্ঠিত মালামালসহ গ্রেপ্তার  ৩।

    মাধবপুরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি-লুণ্ঠিত মালামালসহ গ্রেপ্তার  ৩।

    নাহিদ মিয়া, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।  
    গ্রেফতারকৃত তিনজন ডাকাতকে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জ জেল কারাগারে  সোপর্দ করা হয়েছে। মাধবপুর চা বাগানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ঘটনায় ডাকাত দলের মূলহোতা ও লুণ্ঠিত মালামালসহ ডাকাত দলের তিন সক্রিয় ডাকাতকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৯।
    গ্রেফতারকৃতরা হলেন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চানপুর গ্রামের আবু জাহের শুক্কর মিয়ার পুত্র এমদাদুল হক মিলন রিপন মিয়া (৩৮), একই গ্রামের মোঃ শফিকুল ইসলামের পুত্র  মোঃ নাজমুল ইসলাম নাজমুল  (৩১), আবু সাঈদের পুত্র  মোঃ হৃদয় মিয়া (২৮)। এ তথ্য নিশ্চিত করে র‍্যাব ৯ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল জানান এর আগে ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-৯, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানি কমান্ডারের নেতৃত্বে  একটি আভিযানিক দল   ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর মডেল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে
    তেলিয়াপাড়ায় চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনার মূলহোতা সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আসামীদের  মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করেন। উল্লেখ্য  গত ১২ ডিসেম্বর  বুধবার রাত আনুমান  সাড়ে ১০টায়  মাধবপুর থানাধীন শাহজাহানপুর ইউপির অন্তর্গত সুরমা চা বাগানের মঈন টিলার  ২ নং সেকশনের  তেলিয়াপাড়া চা বাগানের পতিত ঘরের সামনে চা বাগানের ম্যানেজারের বাংলো থেকে ফেরার পথে অজ্ঞাতনামা ১৫/১৬ জনের  ডাকাত দল  দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ রাস্তার উপর গাছ ফেলে চলন্ত গাড়ির গতিরোধ করে যাত্রী ও ড্রাইভারদের হাত বেঁধে মূল্যবান জিনিসপত্রসহ মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা  ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় ১৩ ডিসেম্বর বাগানের  গাড়ীর চালক বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫/১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করে।  চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার ঝড় তুলে। এরই প্রেক্ষিতে আসামীদের আইনের আওতায় আনতে র‍্যাব-৯ চাঞ্চল্যকর এই ডাকাতির ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ৩জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।