Tag: গুলি

  • পুলিশের গুলিতে নিহত মেয়ে-লোমহর্ষক বর্ণনা।

    পুলিশের গুলিতে নিহত মেয়ে-লোমহর্ষক বর্ণনা।

    পুলিশের গুলিতে নিহত মেয়ে-লোমহর্ষক বর্ণনা।

    কয়েকবার গুলির শব্দ, পরে দেখি মেয়ের রক্তাক্ত দেহ লুটিয়ে আছে মাটিতে। মাথার খুলি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন অবস্থায়। এমন লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন পুলিশের গুলিতে ৯ মাস বয়সী নিহত শিশু সুরাইয়ার বাবা বাদশাহ মিয়া।
    তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ১৯৬৮ সালে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে জমি-জায়গা সব হারিয়ে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি থেকে মা-বাবার সঙ্গে ছুটে এসে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে। উপজেলার বাঁচোর ইউনিয়নের মীরডাঙ্গী দীঘি পাহাড় এলাকায় অন্যের জমিতে বসবাস করছেন। মাত্র তিন বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে এখানে এসে বেড়ে উঠার পর অভাবের সংসারে হাল ধরেন তিনি। ঝালমুড়ি বিক্রেতার পেশা বেছে নেন তিনি। তিন বছর ধরে বৃদ্ধ বাবা আদম আলী শয্যাশয়ী। পাড়া-মহল্লায় ঝালমুড়ি বিক্রি করেই বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে ভালোই চলছিল।
    হঠাৎ ২৭ জুলাই পুলিশের গুলিতে সুরাইয়ার মৃত্যু যেন বাদশাহ মিয়ার পরিবারে অন্ধকার নেমে আসে। ঘটনার ১৩ দিন পার হলেও সন্তান হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য আদরের সন্তানকে হারিয়ে এখনো শোকে পাথর মা মিনারা বেগম। বাবা বাদশাহ মিয়া কিছুটা স্বাভাবিক হলেও মা মিনারা বেগম, দাদি জাহেদা খাতুন কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি শুকিয়ে ফেলেছে। চাপা কান্নায় এখানো দিন কাটছে তাদের।
    আদরের ছোট্ট বোনকে হারিয়ে মুহূর্তেই নিঃসঙ্গ ভাই মিরাজুল ইসলাম, বড় বোন সুমাইয়া আক্তার। মিরাজুল ইসলাম স্থানীয় এক হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ও সুমাইয়া আক্তার মীরডাঙ্গী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। আট মাস বয়সী সুরাইয়া আক্তার সবার ছোট। নন্দুয়ার ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্রের ২০০ গজ দূরে তাদের বাড়ি হলেও পরিবারের ভোটকেন্দ্র বাঁচোর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে।
    নিহত সুরাইয়ার মা মিনারা বেগম জানান, গেল ২৭ জুলাই বিকালে ভিএফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শিশু সুরাইয়াকে কোলে নিয়ে তিনি ভোট দিতে যান। ভোট দেওয়া শেষে কেন্দ্র থেকে ৩০০ গজ দূরে ফুফু শাশুড়ির বাড়িতে স্বামীর জন্য মেয়েকে নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। ভোটের ফলাফলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করলেও পরে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এসময় পুলিশের একটি গাড়ি চলেও যায়।
    তিনি জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে করে মেয়েকে নিয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় ভোটকেন্দ্র থেকে পুলিশের পিকআপ বের হতে দেখেন তিনি। ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে মসজিদের সামনের রাস্তায় দাঁড়ানো ছিল পিকআপটি। এর একটু সামনে পুলিশের আরেকটি গাড়ি দাঁড়ানো। গাড়ির আশেপাশে লাঠি হাতে দাঁড়ানো ছিল বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা। ভোটের ফলাফল মানিনা এই দাবিতে একটি গাড়ি থামিয়ে আবারও উত্তেজনা শুরু হয়। এসময় মায়ের কোলে থাকা অবস্থায় সুরাইয়ার মাথায় গুলি লাগে। সন্তানের রক্তাক্ত মাথা দেখে মা মিনারা বেগম বেসামাল হয়ে ছোটাছুটি করেন। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
    নিহত সুরাইয়ার বাবা বাদশাহ মিয়া বলেন, ভোটের দিন বিকালে শিশু কন্যাকে নিয়ে আমরা ভিএফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যাই। ভোট শেষে স্ত্রীকে বলি আমার দেরি হবে তুমি চলে যাও। তখন সে পাশেই ফুফুর বাড়িতে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই ভোট শেষ হলো। ফলাফলও দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। হুট করে বলা হলো ফলাফল দেওয়া হবে ইউএনও অফিসে। কেন্দ্রে কেন দেওয়া হবে এ নিয়ে গন্ডগোল।
    তিনি বলেন, একপর্যায়ে ফলাফল ঘোষণা করা হয়, তালা মার্কা জয়ী হয়েছেন। এরপর খালেদুর রহমানের (মোরগ মার্কা) লোকজন এসে বলে তালা মার্কা কীভাবে জিতল? মোরগ জিতেছে। এ নিয়েই পুলিশ ও এজেন্টের সঙ্গে খালেদুরের সমর্থকরা হাতাহাতি করেন। পরে পুলিশ কেন্দ্র থেকে ৩০০ গজ দূরে আসলে মোরগ মার্কার সমর্থকরা রাস্তা আটকে পুলিশকে ভোটের ফলাফল নিয়ে যেতে বাধা দেয়। ইউপি সদস্য সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। গন্ডগোল দেখে ৪০০ গজ দূরে চলে যাই। এরপর পাঁচবার গুলির শব্দ পাই। পুলিশ গুলির পর গ্যাস ছুঁড়ে স্থান ত্যাগ করে।
    তিনি আরও বলেন, লোকজনের মুখে শুনতে পারি একজন মারা গেছে। কে মারা গেছে কেউ বলতে পারে না। তখন আমি সামনে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। মাথার একটা অংশ নাই। মেয়ের এই অবস্থা দেখে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। ঘটনার ১২ দিনেও আমার মেয়েকে কে মারল জানতে পারলাম না। প্রশাসনের লোকজন এসে এখনো বিভিন্ন প্রশ্ন করছেন। ছোট্ট মেয়েকে ভোটের কারণে হারালাম, এমন ভোট আমরা চাই না। কোনো মায়ের বুক যেন আর খালি না হয় এটাই অনুরোধ।
    এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল জানান, নির্বাচনী সহিংসতায় অজ্ঞাতনামা ৮০০ জনকে আসামি করে থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখনো তদন্ত চলছে।
    তবে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষিদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন।
    প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই রাণীশংকৈল উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। শিশু সুরাইয়াকে নিয়ে মা মিনারা বেগম রাণীশংকৈল ভাংবাড়ি ভিএফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল দেখতে যান। ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি ভি.এফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে  পরাজিত ইউপি সদস্য সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়।
    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় ৯ মাস বয়সী শিশু সুরাইয়া। সেদিনের সেই ঘটনায় পুলিশ ও প্রিসাইডিং অফিসার বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। মামলাগুলোয় ৮শ’ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলা করা হয়।
  • ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফের গুলিতে বিএসএফ জওয়ান নিহত।

    ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফের গুলিতে বিএসএফ জওয়ান নিহত।

    ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফের গুলিতে বিএসএফ জওয়ান নিহত।


    ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফের গুলিতে বিএসএফের সদস্য পাঁচ জোয়ান নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অভিযুক্ত হামলাকারী জওয়ানও রয়েছেন। তিনিই পথমে গুলি চালিয়ে চার জওয়ানকে হত্যা করেছিলেন বলে শোনা যাচ্ছে।

    রোববার (০৬ মার্চ) সকালে ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য পাঞ্জাবের অমৃতসরে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং এনডিটিভি।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএসএফের নিহত পাঁচ জওয়ানের একজন রোববার সকালে অন্য সহকর্মীদের দিকে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করলে চারজন নিহত হন। পরে হামলাকারী জওয়ান নিজেও নিহত হন। তবে হামলাকারী জওয়ান কী আত্মহত্যা করেছেন নাকি অন্যদের গুলিতে নিহত হয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।

    এনডিটিভি বলছে, কনস্টেবল সাত্তেপ্পা এস কে নামে এক বিএসএফ জওয়ান অন্যদের ওপরে প্রথমে হামলা চালিয়েছিলেন বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া হামলায় আরও এক বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন এবং তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

    সংবাদমাধ্যম বলছে, রোববার সকালে অমৃতসরের খাসা এলাকায় বিএসএফের মেসে গোলাগুলি ও প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলটি পাকিস্তানের ওয়াগা সীমান্ত ক্রসিং থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

    বিএসএফ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি ও হতাহতের ঘটনার খবর পেয়ে বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এছাড়া ঘটনার বিস্তারিত জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে বিএসএফ।

    সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, রোববার সকালে অভিযুক্ত কনস্টেবল সাত্তেপ্পার সঙ্গে মেসেরই কয়েকজন বিএসএফ জওয়ানের কথা কাটাকাটি হয়। সেই সময়ই হঠাৎ করেই অভিযুক্ত সাত্তেপ্পা নিজের একে-৪৭ রাইফেল দিয়ে সহকর্মীদের উদ্দেশে গুলি চালাতে শুরু করেন।

    গুলিতে গুরুতর আহত হন ৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। অন্যজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    অন্যদিকে বিএসএফথর সূত্র দিয়ে সংবাদমাধ্যম বলছে, নিজের রাইফেল থেকে গুলি চালানোর পরই অভিযুক্ত কনস্টেবল সাত্তেপ্পা নিজের গলাতেও গুলি চালান। এতে তিনি নিজেও প্রাণ হারান। গোটা ঘটনার তদন্তে বিএসএফের পক্ষ থেকে কোর্ট অব এনকোয়ারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুত্রঃ রুপালী বার্তা

  • সিরাজগঞ্জে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা।

    সিরাজগঞ্জে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা।

    সিরাজগঞ্জে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আকবর আলীকে (৪০) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

    ২ ফেব্রুয়ারী বুধবার রাতে বেলকুচি উপজেলার রান্ধুনীবাড়ী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আকবর আলী সদর উপজেলার সারটিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

    সহকারী পুলিশ সুপার (বেলকুচি সার্কেল) মোঃ সিদ্দিক আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাতে রান্ধুনীবাড়ী বাজারে আকবর আলী নামে যুবদল নেতাকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

    স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। তিনি বলেন,আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। রান্ধুনী বাড়ী বাজারের ব্যবসায়ীরা ভয়ে সকল দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে গেছে। ঘটনার বিবরন পরে জানানো যাবে।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে ভোট দেখতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে হামিদুল নিহত,স্বজনদের আহাজারি।

    ঠাকুরগাঁওয়ে ভোট দেখতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে হামিদুল নিহত,স্বজনদের আহাজারি।

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশের ছোড়া গুলিতে নিহত হামিদুল ইসলাম(৬৩) বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। স্বজনরা দাবি করছেন, হামিদুল কোনো প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন না, ভোটের অবস্থা দেখতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। যদিও বিজয়ী মেম্বারের দাবি, তিনি পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন।

    রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ আসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান হামিদুল। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) মাগরিবের নামাজের পর দক্ষিণ আসাননগর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

    ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোশারুল ইসলাম সরকার বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন।সোমবার দুপুরে নিহত শহিদুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার শোকে হতবিহ্বল পরিবারের সদস্যরা। স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে বাড়ির পরিবেশ।

    এলাকাবাসী ও স্বজনদের দাবি,হামিদুল খুবই সহজ সরল মানুষ ছিলেন। তিনি কোনো দল ও প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন না। তিনি দেখার জন্য কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। কিন্তু জানতেন না যে, তাকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মরতে হবে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসী ও স্বজনরা।

    হামিদুলের স্ত্রী হাসিনা বলেন,সন্ধ্যার আগে আমার স্বামী বাড়ির পাশে বাজার করতে যান। তখন তিনি বাজারের কাছেই ভোট কেন্দ্রে দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন।

    হামিদুলের মেয়ে হামিদা বলেন,ভোটের অবস্থা দেখতে গিয়ে আমার বাবাকে মরতে হলো। আমার বাবাকে কেউ ফিরিয়ে দিতে পারবেন? এখন আমার অসুস্থ মায়ের কী হবে? আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।

    এ বিষয়ে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) চিত্ত রঞ্জন রায় আমারজমিনকে বলেন, রোববার ভোট গণনার পরে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণা করলে ফুটবল প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী পরাজিত হন। তখন ফুটবল প্রতীকের সমর্থকরা ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার ওপর হামলা করেন।

    পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে কেন্দ্র ফাঁকা করে। ওসি আরও বলেন,পরে ভোটের মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় গাড়িতে ফুটবল প্রতীকের সমর্থকরা আবারও হামলা করে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশকে আহত করেন। সে সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আবারও গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।

    রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চিত্ত রঞ্জন বলেন,নিহত ব্যক্তির মরদেহ পোস্টমর্টেম করে বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

    বিজয়ী ইউপি সদস্য মাসুদ রানা আমারজমিনকে বলেন,শহিদুল আমার সমর্থক ছিলেন না। তিনি ফুটবল প্রতীকের সমর্থক ছিলেন।

    এ বিষয়ে জানতে ফুটবল প্রতীকের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী শাহ আলমের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করেও বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি পলাতক আছেন বলে জানা গেছে।

    তবে ওই ইউনিয়ন থেকে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম সরকার জানান হামিদুল ফুটবল মার্কারই সমর্থক ছিলেন।

  • ঠাকুরগাঁওয়ের রাজাগাঁও ভোটকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে নিহত-১ আহত-৩।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাজাগাঁও ভোটকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে নিহত-১ আহত-৩।

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সৃষ্ট উত্তেজনার জেরে এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ছোড়া গুলিতে হামিদুল নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
    রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাত  ৮টার দিকে ইউনিয়নের দক্ষিণ আসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তালা ও ফুটবল প্রতীকের দুই মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে ফলাফল নিয়ে দ্বন্দ্ব বাধে। এসময় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে একটি পক্ষ পুলিশের ওপর চড়াও হয়। দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় একটি পক্ষ পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এরপর পুলিশের ছোড়া গুলিতে এক ব্যক্তি মারা যান। আহত হন তিনজন।
    ঠাকুরগাঁও রুহিয়া থানা পরিদর্শক (ওসি) চিত্ত রঞ্জন বলেন, নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় একটি পক্ষ কেন্দ্রের ভেতর ঢুকে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নির্দেশে পুলিশের ছোড়া গুলিতে একজন মারা যান। তার মরদেহ উদ্ধারের পর ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
  • সিলেট সুরইঘাট সীমান্তে পরিত্যক্ত গুলি ও পাইপগান উদ্ধার।

    সিলেট সুরইঘাট সীমান্তে পরিত্যক্ত গুলি ও পাইপগান উদ্ধার।

    মিজানুর রহমান,কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের সুরইঘাট সীমান্ত এলাকা থেকে পরিতাক্ত্য অবস্থায় বর্ডারগার্ড বিজিবি’র সদস্যরা ৫ রাউন্ড গুলিসহ ভারতীয় একনালা পাইপ গান বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে।

    সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্প সূত্রে জানা যায় গত সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার সময় সীমান্তের ১৩০৯নং মেইন পিলারের পাশে ক্যাম্প কামান্ডার সুবেদার নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন।

    এ সময় সীমান্তের গঙ্গার জোম নামক স্থান থেকে পরিতাক্ত্য অবস্থায় ৫ রাউন্ড গুলি সহ ভারতের তৈরি এক নালা পাইপ গান বন্দুকটি উদ্ধার করেন বিজিবি সদস্যরা। গত কাল মঙ্গলবার ২১সেপ্টেম্বর জিডি মূলে পাইপ গানটি কানাইঘাট থানা পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয়েছে।

    সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের এক কর্মকর্তা বলেন,সীমান্ত এলাকায় টহলের পাশাপাশি চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। গত ১ মাসে সুরইঘাট ক্যাম্পের অধিনস্থ সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতে পাচারের সময় লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের বাংলাদেশি মটরশুটি ও ভারত থেকে অবৈধ ভাবে আসা নাছির বিড়ি সহ বিপুল পরিমানের মাদক দ্রব্য উদ্ধার করেছে বিজিবি’র সদস্যরা। বর্তমানে সুরইঘাট সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবির কড়া নজর থাকার কারণে সবধরনের চোরাচালান কর্মকান্ড একেবারে কমে গেছে।