Tag: কানাইঘাট

  • কানাইঘাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা।

    কানাইঘাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা।

    কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ
    ঐতিহ্যবাহী কানাইঘাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান ২৫ ইং গতকাল সোমবার স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

    সোমবার সকাল ১০ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বার্ষিক ক্রিড়া অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ভোধন করেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার। এসময় তিনি বলেন শিক্ষার্থীদেরকে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে নিজেদেরকে দক্ষ হিসাবে গড়ে তুলতে অনুশীলনের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।সরকার শিক্ষার্থীদেরকে সু-নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলার উপর গুরুত্ব দিয়েছে।

    কানাইঘাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সুনাম ধরে রাখতে শিক্ষার্থীদেরকে আগামীদিনের ভালো মানুষ হওয়ার আহবান জানান নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ হোসেইন আহমদ এর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিনের সঞ্চালনায় দিন ব্যাপি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একাদিক ইভেন্টে অংশগ্রহণের পাশাপাশি যেমন খুশি তেমন সাজের মাধ্যমে বার্ষিক ক্রিড়া অনুষ্ঠানকে মাতিয়ে রাখেন।

    প্রতিযোগীতা শেষে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ।বার্ষিক ক্রিড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম তালুকদার,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার সাখাওয়াত হোসেন,কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিজাম উদ্দীন সহ-সম্পাদক মুমিন রশিদ,ক্রিড়ানুরাগী মাষ্টার জাহিদ হাসান রাহীন। বার্ষিক ক্রিড়া অনুষ্ঠানের তদারকি ও আয়োজনে ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইয়ার মাহমুদ নির্ঝর,তরিকুল ইসলাম,মোঃ নাসির উদ্দীন,আব্দুল জব্বার,মোহাম্মদ আব্দুশ শুকুর,ফরহাদ হোসেন,জাহাঙ্গীর আলম,তানভীর আহমেদ,তালাল উদ্দীন, ক্রিড়া শিক্ষক আতিকুর রহমান, বিদ্যালয়ের স্কাউট দল ও স্টুডেন্ট প্রতিনিধিরা।

  • কানাইঘাটে স্টুডেন্ট সেফটি এডুকেশনের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত।

    কানাইঘাটে স্টুডেন্ট সেফটি এডুকেশনের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত।

    কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ

    শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়ন মূলক সংস্থা স্টুডেন্ট সেফটি এডুকেশনাল ট্রাস্ট এর ব্যবস্থাপনায় দ্বিতীয় মেধাবৃত্তি পরিক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তিপ্রদান ও সংর্বধনা অনুষ্ঠান গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় কানাইঘাট ইউনির্ভাসেল স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।

    বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কানাইঘাট চড়িপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শিক্ষাবীদ মুজাম্মিল আলী। স্টুডেন্ট সেফটি এডুকেশনাল ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে ও ইউনির্ভাসেল স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা হাজিরা সুলতানা পপির পরিচালনায় বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও তাদের অবিভাবক, সুধীজনদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কানাইঘাট পাবলিক হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, উপজেলা সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিহা রঞ্জন বর্ধন,সাংঘঠনিক সম্পাদক আজির উদ্দীন। বক্তব্য রাখেন ইউনির্ভাসেল স্কুল পরিচালনা কমিঠির সভাপতি আবুল হোসেন, প্রধান শিক্ষক শাহীন আহমদ,সহকারী শিক্ষক মামুন রশিদ,অবিভাবক রায়হান উদ্দীন,সানজিদা আক্তার। অনুষ্ঠানের আর্থীক সহযোগীতা প্রদান করেন কানাডা প্রবাসী আহমেদ তানজিল।

    অনুষ্ঠান শেষে বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান ও সনদ তুলেদেন অতিথিবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষাবীদ মুজাম্মিল আলী কোমলমতী শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে প্রতিযোগীতা মূলক বৃত্তি পরিক্ষার মাধ্যমে বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করায় শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়ন মূলক সংস্থা স্টুডেন্ট সেফটি এডুকেশনাল ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতঙ্গতা জানিয়ে এধরণের শিক্ষামূলক মহতি কার্যক্রম অব্যহত রাখার আহব্বান জানান। সেই সাথে তিনি কানাইঘাটের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে নিতে সামাজিক ও শিক্ষামূলক সংঘঠন গুলোকে এগিয়ে আসার আহব্বান করেন।

  • কানাইঘাটে পূর্বশক্রতার জেরে হত্যা সুরমা নদীর চরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার।

    কানাইঘাটে পূর্বশক্রতার জেরে হত্যা সুরমা নদীর চরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার।

    কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ

    সিলেটের কানাইঘাটে আবারো হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সালিক আহমদ (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে লাশ সুরমা নদীর বালুচরে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় আরো একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
    গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় সাতবাঁক ইউনিয়নের লোভারমুখ বাজার থেকে নদী পার হয়ে বাড়ি ফেরার পথে হত্যাকান্ডের স্বীকার হন উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পুর্ব ইউনিয়নের পূর্ব লক্ষীপুর (মনিপুর) গ্রামের মৃত আজিজুর রহমান ছেলে সালিক আহমদ। থানায় লাশ নিয়ে আসার সালিকের স্ত্রী ও ৭ ছেলে-মেয়েদের বার বার কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। তারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের নাম উল্লেখ করে খুনীদের ফাঁসির দাবী করেছেন।
    নিহতের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার রাতে লোভারমুখ বাজার থেকে কেনাকাটা করে বাড়িতে ফিরছিলেন সালিক আহমদ। স্থানীয় চরিপাড়া গ্রামের ফয়জুর রহমানের নৌকা দিয়ে সুরমা নদী পার হয়ে বাড়িতে ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা ৮/৯ জন দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সালিক আহমদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে লাশ নদীর বালুচরে ফেলে পালিয়ে যায়। দুর্বৃত্তদের হামলায় নৌকার মালিক ফয়জুর রহমান গুরুতর আহত হলে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ হত্যাকান্ডের সংবাদ পেয়ে কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। তবে এ নির্মম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
    নিহতের বড় ভাই আব্দুল খালিক সহ স্বজনরা জানান, অনুমান ২ মাস পূর্বে নিহত সালিকের ছেলে জাহাঙ্গীরের সাথে মাঠে গরু চরানো নিয়ে একই গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে সায়েল আহমদের সাথে মারামারি হলে সায়েলের পরিবারের লোকজন জাহাঙ্গীরকে মারপিট করে। এতে তার পিতা সালিক আহমদ কানাইঘাট থানায় সায়েল আহমদ ও তার পিতা ইসলাম উদ্দিন সহ কয়েকজনকে আসামী করে অভিযোগ দেন।

    এ নিয়ে গ্রামে উভয় পক্ষের লোকজনদের নিয়ে সালিশ বিচার বসলে সালিশেও ইসলাম উদ্দিন গংরা সালিক আহমদের হামলার চেষ্টা করে। হামলার ঘটনায় আবারো থানায় সালিক আহমদ অভিযোগ দেন। কেন থানায় অভিযোগ দেয়া হলো এ নিয়ে ইসলাম উদ্দিন সহ তার আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামের কতিপয় মাতব্বররা সালিক আহমদ ও তার পরিবারের সদস্যদের সমাজচ্যুত ও গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়তে নিষেধ সহ প্রাণ নাশের হুমকি দেন। বিষয়টি সামাজিক ভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য সালিক আহমদ পাশর্^বর্তী সাতবাঁক ইউপির চরিপাড়া গ্রামের মুরব্বীয়ানদের স্মরনাপন্ন হলে তার প্রতিপক্ষ লোকজন আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। এ ঘটনার জের ধরে প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির ইন্ধনে ও মদদে ইসলাম উদ্দিন, তার ভাই আশিক উদ্দিন গংরা সালিক আহমদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে নিহতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগম থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

    এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল বলেন, হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত সালিক আহমদের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শুনেছি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে খুন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান চলছে।

  • মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বিদায় নিলেন কানাইঘাটের ইউএনও ফারজানা নাসরীন।

    মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বিদায় নিলেন কানাইঘাটের ইউএনও ফারজানা নাসরীন।

    কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ
    ভালো কাজের জন্য মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বদলী জনিত কারণে বিদায় নিচ্ছেন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরীন। গতকাল বৃহস্পতিবার কর্মস্থলের শেষ দিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ,স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ, সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ,জনপ্রতিনিধি,ব্যবসায়ী সহ সর্বস্থরের লোকজন, বিদায় বেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরীনকে তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা করেন। এসময় সবাই কানাইঘাট উপজেলায় কর্মরত থাকা কালীন সময়ে নিরপক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালন এবং অত্যান্ত নিষ্ঠার সাথে সরকারের উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম জবাবধীহীতার মাধ্যমে বাস্তবায়ন এবং নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সেবা প্রাপ্তিদের জন্য সব সময় উন্মূক্ত রাখা সহ সর্বশ্রেণীর মানুষের জন্য সার্বক্ষণিক কাজ করায় বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরীনের চাকরি জীবনের সমৃদ্ধী কামনা করেন। বিদায় বেলায় কানাইঘাট প্রেসক্লাব ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা থাকে সংর্বধনা প্রদান এবং সম্মাননা স্মারক ও উপহার সামগ্রী দিয়ে ভূষিত করেন। সংবর্ধনার জবাবে বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরীন বলেন কানাইঘাট উপজেলায় দেড় বছর কর্মরত থাকাকালীন সময় এখানকার মানুষের জন্য নিরপক্ষ ভাবে সাধ্য অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করেছি। এক্ষেত্রে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ সহ কানাইঘাটের সবাই আমাকে সকল কাজে সহযোগীতা করেছেন, কতটুকু করতে পেরেছি তা আপনারা মূল্যায়ন করবেন। বিদায় বেলায় কানাইঘাটের মানুষের প্রতি শুভকামনা করছি যেনো আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। উল্লেখ্য যে সম্প্রতি সরকারের এক আদেশে বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরীনকে কানাইঘাট থেকে সরকারের প্লানিং কমিশন ঢাকায় বদলী করা হয়। নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে গত ১২ জানুয়ারী এক আদেশে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কর্মরত সিনিয়র সহকারী ভূমি তানিয়া আক্তারকে কানাইঘাটের ইউএনও হিসাবে পদায়ন করা হলে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরীনের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝিয়ে নেন তিনি। প্রসঙ্গত যে,বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরীন দায়িত্ব কালীন সময়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে জনগণের কল্যাণে সার্বক্ষণিক সময়ে প্রসাশনিক কাজ করে মানুষের মন জয়লাভ করে নেন। বিগত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর ইউএনও এর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সরকারের আদেশে উপজেলা পরিষদের প্রসাশক এবং কানাইঘাট পৌরসভার প্রসাশকের দায়িত্ব অত্যান্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করেন ফারজানা নাসরীন। বিশেষ করে পৌর প্রসাশকের দায়িত্ব পাওয়ার পর পৌরসভার উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম তরান্বিত সহ বছরের পর বছর ধরে প্রভাবশালীদের দখলে থাকা কানাইঘাট বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও দখল মুক্ত করেন বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরীন। এছাড়া পৌর শহরের সুন্দর্য বর্ধনের জন্য বাজারের গলিপথ, ফুটপাত দখল মুক্ত,যানযট নিরশনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা সহ ফুটপাতে বসা কয়েকশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্থায়ী পূর্ণবাসনের জন্য মাছ বাজারে পূর্বপাশে উচ্ছেদকৃত ভূমিতে পৌরসভার উদ্দ্যোগে সেড নির্মাণ করে দেওয়ায় সর্বমহলের কাছে প্রসংশিত হন বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরীন।

  • কানাইঘাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা-হত্যাকারী গ্রেফতার।

    কানাইঘাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা-হত্যাকারী গ্রেফতার।

    কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ কানাইঘাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রবাসী ছেলের সামনে পিতাকে কোপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের ধলিবিল দক্ষিণ নয়াগাও গ্রামে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকান্ডের মূল ঘাতক এলাকার বহু অপকর্মের হুতা সুলতান আহমদ (৫০) কে গ্রেফতার করেছে। এ সময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো রাম দা উদ্ধার করে পুলিশ।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ধলিবিল দক্ষিণ নয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র ফয়জুল হোসন (৬৮) কে আপন চাচাতো ভাই মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র সুলতান আহমদ বসত বাড়িতে নৃশংস ভাবে ধারালো রাম দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপিয়ে জবাই করে ঘটনাস্থলে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের পর ঘাতক সুলতান আহমদ সে তার চাচাতো ভাই ফয়জুল হোসনকে হত্যা করেছে বলে এলাকাবাসী ও থানা পুলিশের সামনে বিরদর্পে স্বীকার করে।
    স্থানীয়রা জানান, ফয়জুল হোসেন এর সাথে সুলতান আহমদ এর বসত বাড়ির জমি  সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত কয়েকদিন থেকে ধারালো দা নিয়ে সুলতান আহমদ চাচাতো ভাই ফয়জুল হোসনকে হত্যার পরিকল্পনা করছিল। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে যখন ফয়জুল হোসন তার প্রবাসী ছেলে আলী রাজাকে নিয়ে নিজ বসত ঘরে ছিলেন। তখন ধারালো রাম দা নিয়ে সুলতান আহমদ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ফয়জুল হোসেন ও তার প্রবাসী ছেলের দিকে দা নিয়ে কোপানোর চেষ্টা করে। তখন প্রবাসী আলী রাজা প্রাণ রক্ষার্থে সরে গেলে সুলতান আহমদ রাম দা দিয়ে ফয়জুল হোসনের মাথা ও গলায় এলোপাতাড়ি কোপিয়ে জবাই করে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সুলতান আহমদকে তার বসত ঘরে ঘেরাও করে রেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রæত ঘটনাস্থলে গিয়ে সুলতান আহমদকে নিজ বসত ঘর থেকে গ্রেফতার করে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা রাম দা জব্দ করে।
    এ ঘটনায় নিহতের ছেলে কাতার প্রবাসী আলী রাজা বাদী হয়ে থানায় সুলতান আহমদ সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
    থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল জানিয়েছেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সুলতান আহমদ তার চাচাতো ভাই ফয়জুল হোসনকে কোপিয়ে হত্যা করেছে এবং সে নিজেও হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
    স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, আপন চাচাতো ভাই ফয়জুল হোসেনের হত্যাকারী সুলতান আহমদ এলাকার বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। সে সব-সময় এলাকায় দা নিয়ে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করত। তার ভয়ে আপন ভাই ও চাচাতো অপর ভাইয়েরা ভয়ে বাড়ি ছেড়ে সিলেট শহরে বসবাস করছে বলে জানান।

  • কানাইঘাটে পূর্ব শক্রতার জেরে হামলা-নারীসহ আহত-৪।

    কানাইঘাটে পূর্ব শক্রতার জেরে হামলা-নারীসহ আহত-৪।

    কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার কানাইঘাট পৌরসভা এলাকার ফাটাহিজল গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে হামলা করা হয়েছে।এ ঘটনায় একই পরিবারের নারী-পুরুষ সহ ৪ জন আহতের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও আহতের পরিবার কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন, ফাটাহিজল গ্রামের আব্দুর রবের পুত্র এখলাছ উদ্দিন, তার চাচাতো ভাই আছাব উদ্দিন, ফুফু জয়গুন নেছা, চাচাতো বোন ফাহফুজা বেগম। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জানুয়ারী সকাল ৮টার দিকে ফাটাহিজল গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের আব্দুল খালিক মটর ও তার ৩ ছেলে পরিবারের সদস্যরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লাঠি-সোটা নিয়ে এখলাছ উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের হামলা চালায়। এতে হামলাকারীদের হাতে ৪ জন আহত হন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
    পরে এখলাছ উদ্দিন বাদী হয়ে আব্দুল খালিক মটর ও তার ৩ ছেলে সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গ্রামের মুরব্বীয়ানরা বিষয়টি আপোষ-নিষ্পত্তি করার জন্য পুলিশের কাছ থেকে সময় নিলেও অভিযোগের বিবাদীরা স্থানীয় বিচার মানেনি।
    অভিযোগের বাদী এখলাছ উদ্দিন জানিয়েছেন, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখন পর্যন্ত অভিযোগটি রেকর্ড করা হয়নি।

  • কানাইঘাটে ভাতিজাদের সংঘবদ্ধ আক্রমণে খুন হন চাচা- দুজনের অবস্থা আংশকাজনক।

    কানাইঘাটে ভাতিজাদের সংঘবদ্ধ আক্রমণে খুন হন চাচা- দুজনের অবস্থা আংশকাজনক।

    মিজানুর রহমান (লাভলু)সিলেটঃ
    সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নে মসজিদের সীমানার জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে আপন ভাই-ভাতিজাদের সংঘবদ্ধ আক্রমণে নৃশংস ভাবে খুন হয়েছেন সাবেক ইউপি সদস্য ও চাচা জয়নাল আবেদীন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন নিহতের বড় ভাই ওমান প্রবাসী আব্দুল্লাহ (৫৭) ও অপর ভাই দুবাই প্রবাসী ছয়ফুল্লাহ (৬০) সহ আরো ২ জন। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার দায়ে পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে।
    এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার বিকেল ২টার বড়চতুল ইউনিয়নের হারাতৈল মাঝবড়াই গ্রামের মাঝবড়াই জামে মসজিদের সামনে। স্থানীয় এলাকাবাসী নিহত জয়নাল আবেদীনের পরিবারের সদস্যরা জানান, হারাতৈল মাঝবড়াই জামে মসজিদের উত্তর পাশের্বর সীমানার কিছু জায়গা দখল করে রেখেছিলেন নিহতের ভাই মৃত আছদ আলীর পুত্র সমছুল হক ও তার ছেলেরা সংঘবদ্ধ ভাবে আক্রমণ করে।
    মসজিদের জায়গার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সমছুল হকের সাথে তার অপর ভাই সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন ও তার ৫ ভাই সহ স্থানীয়দের পূর্ব থেকে বিরোধ ও মনোমালিন্য চলছিল। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মসজিদের ইমামের ঘর নির্মাণ নিয়ে মসজিদে গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে কথাবার্তা হয়।
    এ সময় জয়নাল আবেদীন মসজিদের জায়গার সীমানা নির্ধারণ করে ইমামের ঘর তৈরি করার জন্য বললে তার বড় ভাই সমছুল হক ও তার ছেলে আলমাছ উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে সমছুল হক তার ছেলে আলমাছ উদ্দিন, কামাল আহমদ, সুহেল আহমদ, রুহুল আহমদ সহ আরো কয়েকজন জয়নাল আবেদীনের বসত বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে দেখে নেবে।
    বিকেল ২টার দিকে জয়নাল আবেদীন বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদের পূর্ব পাশের্ব রাস্তায় যাওয়া মাত্র বড় ভাই সমছুল হক ও তার ছেলে আলমাছ, সুহেল, কামাল, রুহুল সহ আরো কয়েকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জয়নাল আবেদীনকে এলোপাতাড়ি কোপিয়ে রক্তাক্ত আহত করে রাস্তায় ফেলে রাখে। এ সময় তার শোর চিৎকারে অপর ভাই ছয়ফুল্লাহ ও আব্দুল্লাহ এগিয়ে আসলে তাদেরকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হামলাকারীরা রাস্তার পাশে ক্ষেতের মাঠে পানিতে ফেলে দেয়। হামলাকারীদের হাত থেকে তাদেরকে রক্ষা করতে এসে আহত হন তাদের চাচাতো আব্দুর রশিদ, আব্দুল কুদ্দুস।
    গুরুতর আহত অবস্থায় সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন, তার ভাই ছয়ফুল্লাহ, আব্দুল্লাহকে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে পথিমধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন জয়নাল আবেদীন। তার অপর দুই ভাই আশংকা জনক অবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি অলক কান্তি শর্মা, থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
    সিলেট শহর সহ বিভিন্ন এলাকায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে জয়নাল আবেদীন হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত নিহতের বড় ভাই সমছুল হক, ভাতিজা সুহেল আহমদ ও কামাল আহমদকে আটক করা হয়েছে বলে থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানিয়েছেন।
    হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
  • কানাইঘাট প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল আহমদের মতবিনিময়।

    কানাইঘাট প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল আহমদের মতবিনিময়।

    কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ
    সিলেটের কানাইঘাটে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবী বেলাল আহমদ এমবিএ কানাইঘাট প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। ২১ এপ্রিল রবিবার দুপুর ১২ টায় কানাইঘাট প্রেসক্লাব কার্যালয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল আহমদ বলেন, এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারন,রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, আলেম-উলামা, যুবক ও তরুণ সমাজ সহ সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের অকুন্ঠ সমর্থন ও ভালোবাসা নিয়ে তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
    ইতিমধ্যে নির্বাচন সামনে রেখে কানাইঘাট বিভিন্ন এলাকায় সর্বস্তরের মানুষের সাথে মতবিনিময় করছেন এবং তাদের সমর্থনও পাচ্ছেন। মতবিনিময়কালে তিনি আরো বলেন, সিলেটের পূর্ব অঞ্চলের সীমান্তবর্তী অপরূপ সৌন্দর্য্য এবং প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর জনপদ হচ্ছে কানাইঘাট। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে এ অঞ্চলের মানুষের গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি যুগ যুগ ধরে অসংখ্য পীর-মাশায়েখ, আলেম-উলামা, জ্ঞানী-গুণী, প্রতিযশা ব্যক্তিদের পূণ্যভূমি হচ্ছে কানাইঘাট। কিন্তু সিলেট জেলার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উপজেলা হিসেবে সম্পদে ভরপুর থাকা সত্ত্বেও উন্নয়ন-শিক্ষা-সংস্কৃতি, যোগাযোগ,কৃষি, শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান থেকে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে কানাইঘাট। কানাইঘাটের একজন নাগরিক হিসেবে এ জনপদের মানুষের প্রত্যাশা প্রাপ্তি পূরণে এবং সবদিক থেকে এ অঞ্চলকে একটি সমৃদ্ধশালী এলাকায় পরিনত করতে তিনি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ক্ষেত্রে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী সহ সকলের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
    বেলাল আহমদ বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে প্রথমে কানাইঘাট উপজেলার গ্রামীণ পাকা-আধাপাকা ও কাঁচা সড়কগুলো ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন, কানাইঘাটবাসীর প্রধান সমস্যা নদী-ভাঙ্গন প্রতিরোধ, অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন, মান-সম্পন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ, প্রবাসী অধ্যুষিত কানাইঘাটবাসীর জন্য প্রবাসী সেল গঠনের মাধ্যমে একটি গাড়ী দিয়ে বিমানবন্দর থেকে যাতায়াতের জন্য ফ্রি ব্যবস্থা করণ, মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী গ্যাস সংযোগ স্থাপনে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করন, কৃষকদের কল্যাণে নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ, মানুষের একমাত্র কর্মসংস্থান লোভাছড়া পাথর কোয়ারী পুণরায় চালু এবং ভারতের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে সীমান্ত এলাকায় স্থলবন্দর নির্মাণ, ছোট-বড় মাঝারি খামার গড়ে তোলে বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সাবলম্বি করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী তুলে ধরব এবং বাস্তবায়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। এক্ষেত্রে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দলমতের উর্ধ্বে উঠে সর্বস্তরের মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল আহমদ।
    তিনি আরো বলেন, কানাইঘাটের একজন নাগরিক হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সব-সময় কানাইঘাটের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। ইমেজ ফাউন্ডেশন এর মতো সেবা মূলক সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে উক্ত সংগঠনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন থেকে নানা ধরনের মানবিক কাজ করে যাচ্ছি। আমার এসব কাজে সাংবাদিক সমাজ সহ সবাই অকুন্ঠ সমর্থন ও প্রেরনা দিয়েছেন।
    সব-সময় এলাকার মানুষের খোঁজ-খবর নিয়েছি এবং কানাইঘাটের সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করেছি। মানুষের পাশে দাড়িয়ে তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচনের মাধ্যমে সেগুলো অনেক ক্ষেত্রে পূরণ করা সম্ভব। এ জন্য উপজেলা নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে মতবিনিময়কালে চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল আহমদ উল্লেখ করেন।
    মতবিনিময়কালে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ইউপি সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা রফিক মিয়া, এলাকার মুরব্বী হেলাল আহমদ, বিলাল আহমেদ, জাপা নেতা নিজাম উদ্দিন, হাফিজ আব্দুল হালিম, যুবনেতা ফখরুল ইসলাম, নূরে আলম, নাসির উদ্দিন সহ আরো অনেকে।
    উল্লেখ্য যে, চেয়ারম্যান প্রার্তী বেলাল আহমদ বাড়ি হচ্ছে কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের মইনা গ্রামে। তিনি ঢাকার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ইমেজ ফাউন্ডেশন গড়ে তুলে বিভিন্ন ভাবে মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। পাশাপাশি জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকা এবং ঢাকা উত্তরা সিলেট সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন।
  • কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন শামসুজ্জামান বাহার।

    কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন শামসুজ্জামান বাহার।

    কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ

    নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী আগামী মে মাসের শেষ দিকে কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আওয়ামীলীগের ৩ জন নেতা নির্বাচনী মাঠে তৎপর রয়েছেন।

    তারমধ্যে দলের সিনিয়র নেতাকর্মী ও তৃণমূলের সমর্থক এবং প্রবাসী সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের অনুরোধে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নির্বাচনী মাঠে জোরালো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন, যুক্তরাজ্য শাখা আওয়ামীলীগের অন্যতম নেতা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য প্রবাসী কমিউনিটি নেতা শামসুজ্জামান বাহার।

    উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় শামসুজ্জামান বাহারের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। তার পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রবাসী সংগঠক প্রয়াত এম.এ রকিব কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন। যার জন্য এবারের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি সাবেক ছাত্রনেতা শামছুজ্জামান বাহারকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, যুব-সমাজ ও প্রবাসীরা অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন শামসুজ্জামান বাহারের অনুসারী নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৫ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন শামসুজ্জামান বাহার।

    মনোনয়ন না পেলেও আওয়ামীলীগের প্রার্থী মাসুক উদ্দিন আহমেদের পক্ষে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শামসুজ্জামান বাহার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে নৌকার পক্ষে জোরালো ভাবে কাজ করেছিলেন। যেহেতু এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলগত ভাবে নির্বাচন করবে না, যার কারনে শামসুজ্জামান বাহার কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তার প্রয়াত পিতার জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে এবং গোটা উপজেলা জুড়ে তার ব্যাপক পরিচিতি থাকায় আওয়ামীলীগের বড় অংশের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে অন্যান্য দল এবং সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে প্রবাসীদের অকুন্ঠ সমর্থন পাবেন তিনি।

    ইতিমধ্যে শামসুজ্জামান বাহার যুক্তরাজ্য থেকে দেশে এসে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সমর্থন ও
    সহযোগিতা চেয়ে করছেন মতবিনিময়, উঠান বৈঠক সহ নির্বাচনী পরিকল্পনা। যেখানে তিনি যাচ্ছেন সেখানে আওয়ামীলীগের সিনিয়র পর্যায়ের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, মুরব্বীয়ান ও যুবসমাজদের সরব উপস্থিতি রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে শামসুজ্জামান বাহার যুক্তরাজ্যে থাকলেও সব-সময় কানাইঘাটের মানুষের সাথে এবং দলের নেতাকর্মীদের সাথে রেখেছেন সু-সম্পর্ক।

    এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে তার অবদান রয়েছে। প্রয়াত পিতার এম.এ রকিবের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে চমক দেখাতে পারেন শামসুজ্জামান বাহার বলে অনেকে মনে করেন। নির্বাচন নিয়ে শামসুজ্জামান বাহারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু
    করে সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা ও অকুন্ঠ সমর্থন কারনে কানাইঘাট উপজেলাকে যোগাযোগ, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পায়ন, কৃষি, প্রযুক্তি নির্বর একটি সমৃদ্ধ জনপদে
    পরিণত করতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ইতিমধ্যে প্রচারণা শুরু করেছেন। যেখানে যাচ্ছেন মানুষের ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছেন।

    দলের নেতাকর্মীরা তার সাথে রয়েছেন, তার প্রয়াত পিতা কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান মরহুম এম.এ রকিবের হাত ধরে কানাইঘাটের রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন হয়েছিল। এখনও কানাইঘাটের সর্বস্তরের মানুষ তার পিতাকে স্মরণ রেখেছেন তার কর্মের কারনে। পিতার মতো কানাইঘাটে মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানান। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

  • কানাইঘাটে করাতকলে আগুন ও ভারতীয় চিনি ভর্তি পিক-আপসহ দুই ব্যবসায়ী আটক।

    কানাইঘাটে করাতকলে আগুন ও ভারতীয় চিনি ভর্তি পিক-আপসহ দুই ব্যবসায়ী আটক।

    কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ

    সিলেটের কানাইঘাটের সুরইঘাটে ভারতীয় চিনি আটক নিয়ে সুরইঘাট বাজারের পাশে অবস্থিত একটি করাতকলে গত বৃহস্পতিবার ৭টার দিকে চোরাকারবারীরা পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
    এ ঘটনায় কানাইঘাট সদর ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি নিজ চাউরা উত্তর (বড়কান্দি) গ্রামের মৃত মুবশ্বির আলীর পুত্র করাতকলের মালিক তাজ উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় চোরাকারবারী ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    অপরদিকে কানাইঘাট থানা পুলিশের এক প্রেসনোটে বলা হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে থানা পুলিশ সদর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিনের বাড়ির সামনে রাস্তার উপর থেকে ভারত থেকে অবৈধভাবে নিয়ে আসা ২৫ বস্তা চিনি সহ একটি পিকআপ গাড়ী আটক করা হয়। এ ঘটনায় পিকআপ গাড়ীতে থাকা নাজিম উদ্দিন, রামিম আহমেদ সহ গাড়ীর চালক পুলিশের উপস্থিতি টের পেরে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে থানার এস.আই
    দেবাশীষ সূত্রধর চিনি ও গাড়ী জব্দ করে থানায় নিয়ে আসার পর বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাজিম উদ্দিন ও রাহিম আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ।

    থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানিয়েছেন, ভারতীয় চিনি ও পিকআপ আটকের মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। করাতকলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
    আগুনে পুড়িয়ে দেয়া ক্ষতিগ্রস্ত করাতকলের মালিক তাজ উদ্দিন সহ তার পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের বাড়ির পাশ থেকে সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা চোরাকারবারী নাজিম উদ্দিন ও তার ভাই রামিম আহমদের ভারতীয় চিনি বোঝাই পিকআপ গাড়ী আটক করে। ভারতীয় চিনি বিজিবিথ সদস্যরা কর্তৃক আটকের সহযোগিতা করার অভিযোগ এনে চোরাকারবারী নাজিম উদ্দিন ও তার সংঘবদ্ধ
    চোরকারবারী চক্রের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে রাত ৭টার দিকে সুরইঘাট বাজারে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাজারের পাশে অবস্থিত তাজ উদ্দিনের মালিকানাধীন তাজ করাতকলে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে করাতকল পুড়ে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়। খবর পেয়ে
    কানাইঘাট ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে করাতকলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। করাতকলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এদিকে চিনি আটকের ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার রাতে কানাইঘাট উত্তর বাজারে তাজ উদ্দিনের ভাতিজাদের সাথে চোরাকারবারীদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। থানা পুলিশ তাজ উদ্দনের দুই ভাতিজা সহ ৪ জনকে আটক করলেও পরবর্তীতে দুথজনকে ছেড়ে দেয়।

    তাজ উদ্দিন বলেন তার অভিযোগের সাক্ষী হওয়ার অভিযোগ তুলে আলতাফ হোসেন নামে একজনকে গতকাল শুক্রবার সুরইঘাট বাজারে তার অভিযোগের বিবাদী চোরাকারবারীরা ধরে মারধর করে।