Tag: উল্লাপাড়া

  • উল্লাপাড়ায় সাব-রেজিষ্ট্রার ও টিসি’র বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ।

    উল্লাপাড়ায় সাব-রেজিষ্ট্রার ও টিসি’র বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে বন্টননামা দলিল, কমিশন দলিল, দানপত্র ঘোষণা দলিল, অকৃষি ও বাণিজ্যিক মিল, চাতাল শ্রেণির ভূমির দলিলে ৬% উৎস করের চাপে ফেলে দলিল গ্রহীতার কাছ থেকে করের নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট করে নিচ্ছে সাব-রেজিষ্ট্রার অনিমেষ পাল ও টিসি মহরার সালমা খাতুন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে দলিল লেখকদের উল্টো লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিচ্ছেন টিসি মহরার সালমা ও সাবরেজিস্টার। ভুক্তভোগী দলিল লেখক ও দলিল গ্রহিতারা ভুমি রেজিষ্ট্রির নামে অবৈধ অর্থ আদায় বন্ধসহ সাব-রেজিষ্ট্রার অনিমষ ও টিসি মহরার সালমার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি তদন্তপূর্বক উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পরিচালক দুদক, আইন মন্ত্রণালয় ও সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে।

    ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, সরকার ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের প্রতিটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসকে দুর্নীতি মুক্ত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু উল্লাপাড়া সাব-রেজিষ্ট্রার ও টিসি মহরার সালমার অবস্থান এর বিপরীত। তারা প্রকাশ্যেই গ্রহন করে চলেছেন কোটি কোটি টাকার ঘুষ! যেন দেখার কেউ নেই।

    অভিযোগের সূত্রধরে দলিল লেখক ও দলিল গ্রহীতারা জানান, সাব-রেজিস্টার অনিমেষ ২০২১ সালে এই অফিসে যোগদানের পরপরই তার পছন্দের টিসি মহরার সালমা খাতুনকে সলঙ্গা থেকে বদলি করে উল্লাপাড়া অফিসে নিয়ে আসেন। তারপর থেকেই সাব রেজিস্ট্রার অনিমেষ ও মহরার সালমা যোগসাজস করে উল্লাপাড়ার সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসকে ঘুষের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করে তুলেছে। ঘুষের সমঝোতা ছাড়া কোন রকম দলিল রেজিষ্ট্রি হয় না এই অফিসে। দলিল রেজিষ্ট্রির নামে এই দুই কর্মকর্তা দিনের পর দিন মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ আদায় করায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ব্যক্তিবর্গ।

    সাব-রেজিস্ট্রারের এজলাসে দেখা গেছে, সাব-রেজিস্ট্রার অনিমেষ কুমার পালের আর্শিবাদপুষ্ট টিসি মহরার সালমা খাতুন দলিল নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। দলিল রেজিস্ট্রির জন্য নির্ধারিত আয়কর ও ভ্যাটের টাকা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে জমা দেওয়ার পরও দলিল প্রতি অতিরিক্ত ঘুষের টাকা আদায়ে মহাব্যস্ত থাকেন টিসি মহরার সালমা। দলিল লেখকের ফি, স্ট্যাম্প ফি, এন ফিসের টাকা বাদ দিয়ে বাকি টাকা সাব-রেজিষ্ট্রার অনিমেশ ও টিসি মহরার সালমার ঘুষ সিন্ডিকেটে জমা পড়ে। সেরেস্তায় সিন্ডিকেটের টাকা ব্যতীত কোন দলিলে সই করেন না সাব-রেজিস্ট্রার। এছাড়াও দলিলে বিভিন্ন ত্রুটি দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা লোপাট করে নিচ্ছে এই সিন্ডিকেট। এদিকে দলিলের নকল তুলতেও গ্রাহককে গুণতে হয় সরকারি ফি’র দ্বিগুণ টাকা। প্রতিনিয়ত সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ঘুষ আদায় করছে লাখ লাখ টাকা। এতে উল্লাপাড়ার সাধারণ মানুষ সাব-রেজিস্ট্রার অনিমেষ ও টিসি মহরার সালমার ঘুষ কেলেংকারীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

    অভিযোগ পাওয়া গেছে, উল্লাপাড়া সাব-রেজিষ্টি অফিসে বিগত ২৯ ডিসেম্বর- ২০২১ ইং তারিখের রেজিষ্ট্রিকৃত ৮১৯৯, ৮২০১ ও ৮২০০ নং তিনখানা ৯ লাখ, ৯ লাখ ও ১২ লাখ টাকার দলিলে শ্রেণি হিসেবে মিল উল্লেখ থাকায় দলিল গ্রহীতার কাছ থেকে ৬% টাকা সরকারি ভ্যাট (অতিরিক্ত) আদায় করেন সাবরেজিস্টার অনিমেষ পাল। এ বিষয়ে দলিল লেখক মো: নজরুল ইসলাম (সনদ নং- ৫০) টিসি মহরার সালমার সঙ্গে ৮০ হাজার টাকা ঘুষের মাধ্যমে বিষয়টি রফাদফা করে শেষ করেন। এভাবে সরকারি উৎস কর আদায় করে ব্যক্তিগত ঘুষ হিসেবে গ্রহন করায় সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

    টিসি মহরার সালমা সামান্য বেতনে চাকরী করেও উল্লাপাড়া পৌরশহরের শ্রীকোলা দক্ষিণপাড়া মহল্লায় গড়ে তুলেছে বিশাল আধুনিক বহুতল ভবন। স্থানীয়দের ধারণা, নির্মাণাধীন এই বহুতল ভবনে ব্যয় হবে প্রায় ৩ কোটি টাকা। তার এই অগাধ টাকার উৎস কোথায় ? সাব-রেজিষ্টার অনিমেষ পালেরও রয়েছে বগুড়া ও ঢাকা শহরে বিদেশী স্টাইলের দুইটি আধুনিক বাড়ী ও নামে- বেনামে ব্যাংক ব্যালেন্স।

    সর্ব সাধারণ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজন এই দুর্নীতিবাজ সাবরেজিস্টার অনিমেষ পাল ও টিসি মহরার সালমার দৌরাত্ম থেকে বাঁচার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

    টিসি মহরার সালমা তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি আমার অফিসের বসের নির্দেশ পালন করে শুধু কাজ করি। তার নির্দেশের বাইরে যেতে পারবো না।

    উল্লাপাড়ার সাব-রেজিস্ট্রার অনিমেষ কুমার পাল বলেন, উল্লেখিত যে সমস্ত অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে তা মনগড়া ও মিথ্যা। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বাড়ী গাড়ী ও ব্যাংক ব্যালান্সের প্রশ্নই ওঠে না।

    সিরাজগঞ্জ জেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • উল্লাপাড়ায় বন্ধু মহলের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত।

    উল্লাপাড়ায় বন্ধু মহলের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত।

    উল্লাপাড়ায় বন্ধু মহলের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার উল্লাপাড়া পৌর উম্মুক্ত মঞ্চে বন্ধু মহল দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। এতে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, শিক্ষক ও বিভিন্ন সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সম্বনয়ে ইফতার মাহফিলটি এক মিলন মেলায় পরিণত হয়।

    বন্ধু মহলের ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আমিনুজ্জামান অলক, উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু সাঈদ স্বপন, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রউফ ভোলা, আকবর আলী কলেজের সাবেক জিএস আলী হাসান লুলু সহ আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৩ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে ৭১’র মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া সকল সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারের নিহত হওয়া সকল সদস্যর জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও জননেত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্যে কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

  • উল্লাপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী।

    উল্লাপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার ব্যতিক্রমধর্মী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উল্লাপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা – ইসলামি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী মাদরাসার খেলার মাঠে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

    মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আহসান আলী সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উল্লাপাড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশরাত জাহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: নজরুল ইসলাম, উপজেলা একাডেমি সুপারভাইজার মোঃ মোসলেম উদ্দিন, উল্লাপাড়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ রেজাউল করিম প্রমুখ।
    অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মাদ্রাসার সুপার মো. ছোরমান আলী। অনুষ্ঠান সঞ্চালন ও পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠনের শারীরিক শিক্ষক রাজু আহমেদ সাহান। পরিচালনা সহযোগিতায় ছিলেন মাদরাসার শিক্ষক ও কর্মচারি বিন্দু।

    এ সময় মাদরাসার শিক্ষার্থীরা কেরাত, হামদ-নাত, কবিতা আবৃত্তি, দৌড় প্রতিযোগিতা, বিস্কুট দৌড়, দড়ি লাফ, পাতিল ভাঙ্গা, বালিশ খেলা, চেয়ার খেলা, ডিসপ্লে, চমকপ্রদ ইভেন্ট যেমন খুশি তেমন সাজো সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

  • উল্লাপাড়ায় সুশৃঙ্খল ভাবে বিএনপি’র পদযাত্রা ও আ’লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

    উল্লাপাড়ায় সুশৃঙ্খল ভাবে বিএনপি’র পদযাত্রা ও আ’লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :

    শনিবার সকালে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জাতীয়তাবাদী দল সরকারের পতন’সহ ১০ দফা দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে নেতা-কর্মীরা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন।এ সময় উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপি সহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন ইউনিয়নের পদযাত্রায় অংশ গ্রহন করেন।

    এদিকে আওয়ামীলীগ ‘বিএনপি- জামায়াতের নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে’ শান্তি সমাবেশের কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে।আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের ‘শান্তি সমাবেশ’ সফল করতে উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র নেতারা দায়িত্ব পালন করেন।

    উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ আব্দুল ওয়াহাব জানান, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। প্রশাসন ও ক্ষমতাশীন দলের হুমকি ধুমকিকে উপেক্ষা করে উপজেলার পঞ্চক্রোশী, লাহিড়ী মোহনপুর, পূণিমাগাঁতী, বাঙ্গালা ও বড়হর সহ ১৪টি ইউনিয়নে এ কর্মসূচি সফল ভাবে পালন করেছে ইউনিয়নের দলীয় নেতা-কর্মীরা।

    উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা জানান, কেন্দ্রীয় আ’লীগের ঘোষিত শান্তি সমাবেশ উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি আরও জানান, উপজেলার সকল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দখলেই ছিল। জনগণের সেবক হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দেশের জন্য সব সময় কাজ করে যাবে বলে তিনি আরও জানান।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ের পদযাত্রা ও আ’লীগের শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

  • উল্লাপাড়ায় শতাধিক কবরস্থানকে আলোকিত করে নন্দিত হলেন পৌর মেয়র।

    উল্লাপাড়ায় শতাধিক কবরস্থানকে আলোকিত করে নন্দিত হলেন পৌর মেয়র।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :

    ‘জন্মিলে মরিতে হয়’। মৃত্যুর পর মুসলিম সম্প্রদায়ের শেষ ঠিকানা হয় কবরস্থান। সেই শতাধিক কবরস্থানকে এনার্জি বাল্বের মাধ্যমে আলোকিত করে নন্দিত হলেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরসভার মেয়র এস এম নজরুল ইসলাম। গত এক বছর ধরে পৌরসভা সহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কবরস্থানকে আলোকিত করে আসছেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাগরৌহা গ্রামের কবরস্থানকে আলোকিত করার মাধ্যমে একশো টি কবরস্থান আলোকিত করলেন মেয়র নজরুল।

    মেয়র নজরুল বলেন, সাধারণত শহর বা গ্রামাঞ্চলের কবরস্থানগুলো গড়ে তোলা হয় নির্জন স্থানে। প্রত্যক কবরস্থান ঘিরে থাকে গাছ-পালা ও ঝোপ-ঝাড়। রাতের আঁধারে মরদেহ দাফন করতে স্বজন ও গ্রামবাসীর দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। রাতের বেলায় কবরস্থান আলোকিত রাখতে আমি এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করি।

    তিনি আরও বলেন, মানসিক প্রশান্তি পেতে ব্যক্তিগত অর্থায়নে অন্ধকারাচ্ছন্ন কবরস্থানগুলো বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করে চলেছি।

    সম্প্রতি উল্লাপাড়া পৌর এলাকা ছাড়াও উপজেলার সলপ, পূর্ণিমাগাঁতী, হাটিকুমরুল, দূর্গানগর, পঞ্চক্রোশী, কয়ড়া, লাহিড়ী মোহনপুর, উধুনিয়া, বড়পাঙ্গাসী সহ ১৪ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কবরস্থানকে আলোকিত করা হয়েছে। সর্বশেষ সদর ইউনিয়নের নাগরৌহা কবরস্থানকে আলোকিত করে একশো টি পূর্ণ করেন।

    সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় এক বছর ধরে অন্তত ১০০টি কবরস্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ ও এনার্জি বাল্ব লাগানোর কাজ করেছেন মেয়র নজরুল। আয়তনভেদে প্রতিটি কবরস্থানে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ব্যয়ে লাগানো হচ্ছে ৮ থেকে ১৫টি এলইডি বাল্ব। এছাড়াও পৌর এলাকার কবরস্থানগুলোর খাদেমদের পৌরসভার পক্ষ থেকে বেতন নির্ধারণ করার পাশাপাশি কবরস্থানের সৌন্দর্য্য বর্ধন কাজেরও পৃষ্ঠপোশকতা করছেন মেয়র নজরুল। তার এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণীর মানুষের প্রশংসা কুড়াচ্ছে।

    উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়নের নাগরৌহা গ্রামের আব্দুল খালেক নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, রাতের আঁধারে কবরস্থানে যেতে মানুষ ভয় পেতো। মানুষ মারা গেলে কবর দেওয়া কষ্টকর হতো। অনেকেই বাধ্য হয়ে সকাল পর্যন্ত লাশ নিয়ে বাড়ীতে বসে থাকতেন। অনেক গ্রামের কবরস্থানে মেয়র নজরুল বিদ্যুতের বাল্ব দিয়ে আলোকিত করায় এ সমস্যা থেকে সেসব এলাকাবাসী পরিত্রাণ পেয়েছে।

    বড়পাঙ্গাসী গ্রামের আব্দুল গফুর ও উধুনিয়ার আব্দুল কুদ্দুসের সঙ্গে কথা বল্লে তারা জানান, রাতে কেউ মারা গেলে হারিকেন আর টর্চলাইট নিয়ে কবরস্থানে আসতে হতো। মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে কষ্ট করে দাফন করতে হতো। মেয়র নজরুল বিদ্যুৎ সংযোগসহ বাল্ব দেওয়ায় যাতায়াতে ও মৃত ব্যক্তিকে কবর দিতে আর কোন সমস্যা হয় না।

    উল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম বিপু জানান, উল্লাপাড়া সহ বেশ কয়েকটি কবরস্থানের খাদেম ও মসজিদের ইমামের মাসিক বেতনের ব্যবস্থা করেছেন মেয়র নজরুল।

    জানতে চাইলে মেয়র নজরুল বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত কর্মী হয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। জীবনের বাকি সময়টুকো মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। এরই অংশ হিসেবে আত্মার প্রশান্তি থেকেই কবরস্থানগুলা আমি আলোকিত করছি। কোনো কিছু চাওয়া বা পাওয়ার আশা থেকে নয়, মানুষের কল্যাণে কবরস্থানগুলোকে আলোকিত করছি। ধারাবাহিকভাবে উপজেলার সব কবরস্থানকেই আলোকিত করবেন বলে তিনি জানান।

  • উল্লাপাড়ায় সরকারি গাছ কাটার অভিযোগে গ্রেফতার-১।

    উল্লাপাড়ায় সরকারি গাছ কাটার অভিযোগে গ্রেফতার-১।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের (সলপ-বলরামপুর রাস্তার) পঞ্চক্রোশী গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃত আক্তার হোসেনের বাড়ীর সামনের রাস্তার ধার থেকে গাছ কাটার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে উপজেলা প্রশাসন। উল্লাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভুমি)’র পক্ষে পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম ২ জনকে এজাহারভুক্ত ও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে এই মামলা দায়ের করে। বুধবার সকালে পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শাহজাদা শাহ পারভেজ (৪০) কে উল্লাপাড়া বাজার থেকে গ্রেফতার করে। পারভেজ উপজেলার পঞ্চক্রোশী গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা আক্তার হোসেনের ছেলে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন তাদের নিজস্ব জমির জায়গা থেকে গাছ কাটা হয়েছে।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ পরিদর্শক মোঃ অপু হোসেন জানান, উল্লাপাড়া সহকারী কমিশনারের দপ্তরে এলাকাবাসী উপজেলার পঞ্চক্রোশী গ্রামের রাস্তা থেকে ৫টি মেহগনি ও ৩ টি ইউক্লেভটার গাছ কাটার অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইশরাত জাহান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৯ জানুয়ারি-২৩ ইং তারিখে প্রশাসনের পক্ষে মামলা দায়ের পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মোঃ মঞ্জুরুল আলম। মামলার প্রেক্ষিতে উল্লাপাড়া পৌর বাজার থেকে পারভেজ (৪০) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়।

    মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য মাঈনুল কবির জানান, পারভেজ আমাদের নিজস্ব জমির জায়গা থেকে গাছ কাটে। উল্লাপাড়া সহকারী কমিশনা (ভুমি) ইশরাত জাহান জোরপূর্বক গাছগুলো তুলে নিয়ে যায় এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সহ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এই মিথ্যা মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

    উল্লাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইশরাত জাহান বলেন, এনজিও কতৃক সরকারি রাস্তায় লাগানো গাছ কাটার অপরাধে ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, সরকারি রাস্তার গাছ কাটা মামলায় একজনকে আটক করে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

  • উল্লাপাড়ায় অটোরিক্সা ও নসিমনের সংঘর্ষে মাছ ব্যবসায়ী নিহত।

    উল্লাপাড়ায় অটোরিক্সা ও নসিমনের সংঘর্ষে মাছ ব্যবসায়ী নিহত।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অটোরিকশা ও নসিমনের সংঘর্ষে মাছ ব্যবসায়ী অন্তর হালদার(৩০) নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ৩ জন অটোরিকশার যাত্রী আহত হয়েছে।
    বুধবার সকালে উল্লাপাড়া-বাঙ্গালা আঞ্চলিক সড়কে উপজেলার রহিমপুর গ্রামের পাশে এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটানা ঘটেছে।নিহত অন্তর উল্লাপাড়া উপজেলার আদর্শ গ্রামের মৃত অনিল হলদারের ছেলে।

    নিহত অন্তরের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮ টার দিকে অন্তর আরও ৪ জন যাত্রীর সঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তাড়াশ উপজেলার মহিষলুটি বাজার থেকে মাছ কিনে বাড়ি ফিরছিলেন।পথে রহিমপুর গ্রামের পাশে অটোরিকশার পিছনে একটি নসিমন ধাক্কা দিলে চালকের পাশে বসা অন্তর হলদার রাস্তায় পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন আরও ৩ যাত্রী।
    আহতদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এক বছর আগে অন্তরের বাবা অনিল হলদারও একইভাবে মাছ নিয়ে ভ্যানরিকশায় বাড়ি ফেরার সময় দুর্ঘটনায় মারা যান বলে জানিয়েছে পরিবারের লোকজন।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক মোঃ সুমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অন্তরের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • উল্লাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

    উল্লাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলপে উৎসবমুখর পরিবেশে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কৃষকগঞ্জ বাজারে সলপ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

    সলপ ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেন উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তরুণ নেতা মোঃ মোবারক হোসেন এবং অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশিকুর রহমান আশিক সরকার।

    সলপ ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি লিটন হোসেন বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ফয়সাল কাদের রুমি।

    সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমান হাফিজ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল।

    এ সময় অন্যানোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য পনির খাঁন, আ’লীগ নেতা মোঃ শরিফুল ইসলাম লিটন ও সলপ ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইঞ্জিনিয়ার মশিউর রহমান স্বপন প্রমুখ।

    সম্মেলনে বক্তারা বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগঠনিক কাঠামোকে আরো শক্তিশালী ও সুদক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীকে আবারও ভোট দেওয়ার আহবান জানান বক্তারা। তারা আরও বলেন, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, জঙ্গিবাদী জামায়াত-বিএনপি’র বিরুদ্ধে আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে আবারও ক্ষমতায় এনে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে হবে আমাদের মাতৃভূমিকে।

    সম্মেলনে সভাপতি পদে ৪ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন প্রার্থী পতিদ্বন্দ্বিতা করে। উভয় পদে সমম্বয় না হওয়ার কারণে আগামী ৩ দিনের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কমিটি ঘোষণা দিবেন বলে সম্মেলনের সমাপ্ত ঘোষণা করেন।

  • উল্লাপাড়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার।

    উল্লাপাড়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬ টায় হ্যাচারি কমপ্লেক্স সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে উল্লাপাড়ার মডেল থানা পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এদিন বিকেলে স্থানীয়রা পুকুরে এক ব্যক্তির ভাসমান লাশ ভাসতে দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ পুকুর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। তবে মৃত ওই ব্যক্তির কোন পরিচয় এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। লাশটি উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এবিষয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

    উল্লাপাড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অমৃত সুত্রধর জানান, লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন এখনো মৃত ব্যক্তির কোন পরিচয় জানা যায়নি। তবে পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

  • উল্লাপাড়ায় বিএডিসি’র নলকূপ স্থাপনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ।

    উল্লাপাড়ায় বিএডিসি’র নলকূপ স্থাপনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিএ ডিসির গভীর নলকূপ স্হাপনকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হামলা ভাংচুরের ঘটনায় মোঃ মজনু বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে চাঁদা বাজির মামলা দায়ের করেন।

    মামলা সুত্রে জানা যায় উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের ভায়ড়া গ্রামের ১৪৬ মৌজার আরএস খতিয়ান নং- ০১ আরএস দাগ নং- ৫৬৩ এবং আরএস খতিয়ান নং- ১২৯ আরএস দাগ নং- ৭৪৪ ভায়ড়া গ্রামবাসীর মালিকানাধীন দুটি গভীর নলকূপ রয়েছে। নলকূপ দুটি গ্রামবাসী সমবায়ের ভিত্তিতে ডিজেল ইঞ্জিনের মাধ্যমে পরিচালনা করা বস্থায় গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি গ্রামবাসীকে ভুল বুঝিয়ে গভীর নলকূপ দুটি বিএডি সির নিকট হস্তান্তর করে বিনা খরচায় বৈদ্যুতিক সংযোগ পাবার আশ্বাস দিয়ে বিএডিসি বরাবর আবেদন করে।

    এ ঘটনার পর থেকেই গ্রামের সাধারণত মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এবং বিরোধের সুত্রপাত হয়। ঘটনার একপর্যায়ে গত ১৪/১২/২০২২ ইং তারিখ বুধবার সন্ধ্যা ৭ ঘটি কার দিকে আবদুল মজিদের নেতৃত্বে ভায়ড়া গ্রামের মোঃ ছাকোয়াত হোসেনের ছেলে, মোঃ মনিরুল ইসলাম, আহসান আলী সরকারের ছেলে মোঃ মাসুদ পারভেজ, ও মিলন সরকার, মৃত আবুল হোসেনের ছেলে, মোঃ আলহাজ্ব আলী, মৃত জয়নালের ছেলে, মোঃ ছাকোয়াত হোসন,মোঃ জাবেদ আলীর ছেলে, মোঃ মোমিন খন্দকার, মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আব্বাস সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন হাতে লোহার রড,কাঠের বাটাম,শাবল, বাঁশের লাঠি, দেশীয় অস্ত্র সস্র নিয়ে বেআইনি ভাবে বসত বাড়ির টিনের ঘরের বেড়া,দরজা, জানালা, পানির মোটরসহ বাড়ির গেট ভাংচুর করে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে ষ্টীলের ট্যাংক ভাঙ্গিয়া ট্যাংক থেকে দুই লাখ টাকা জোরপূর্বক ভাবে মারপিট করে নিয়ে নেয়। আমি চিৎকার করিলে পাড়ার লোকজন আগাইয়া আসিলে আসামীরা পালাইয়া যায় ।

    উল্লেখ্য আব্দুল মজিদ সরকার একজন এলাকার চিন্হিত সত্রাসী তাহার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। জিআর নং- ২৬৭ ( উল্লা) ধারা-৪৪৭,৩২৩,৩২৬,৩৮৫,৩৭৯,১১৪,৩৪ পেনালকোড উক্ত মামলাটি বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।