Tag: ইউপি নির্বাচন

  • উলিপুরে ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিয়ে আচারবিধ সম্পর্কে   আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সভা।

    উলিপুরে ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিয়ে আচারবিধ সম্পর্কে   আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সভা।

    রোকন মিয়া,উলিপুর(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে নিয়ে আচারবিধি সম্পর্কে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার(১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে উলিপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে আইন শৃঙ্খলা ও নির্বাচনি আচরণ-বিধি প্রতিপালন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, জেলা নির্বাচন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম রাকীব। এসময় উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইমতিয়াজ কবির, উপজেলা নির্বাচন অফিসার আহসান হাবীব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
    এসময় পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, নির্বাচনে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়ঁতারা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। নির্বাচনের দিন সকল কেন্দ্রে নিরাপত্তা জোড়দার করা হবে। ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।
  • মাধবপুরে ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলা আ.লীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত।

    মাধবপুরে ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলা আ.লীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন (৫ই জানুয়ারি ২০২২খ্রিঃ) উপলক্ষে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত বিশেষ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    আজ শনিবার ১১ ডিসেম্বর ১১ ঘটিকার সময় উপজেলা পাইলট উচ্চ বিদ‍্যালয় কক্ষে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সঞ্চালনায় করেন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আতিকুর রহমান আতিক।

    এই সভা প্রধান অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন চৌধুরী অসিম, জেলা আ. লীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য সুকোমল রায়,জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফাতেমা তুজ জোহরা (রিনা), উপজেলা আ.লীগে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি মহিউজ্জামান হারুন,সহ সভাপতি আব্দুর নুর, যুগ্ম সম্পাদক আলা উদ্দিন, একলাসউর রহমান সাংগঠনিক সম্পাদক বেনু মাধব রায়, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মোহিদ মিয়া, নির্বাহী সম্পাদক কাইসার আহমেদ,উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস মাখন, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ফারুক পাঠান,সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান (কুতুব), পৌর আ.লীগের সভাপতি শাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শ্রীধাম দাশগুপ্ত,পৌর সাবেক সভাপতি বেনু রঞ্জন রায়,আন্দিউড়া আ.লীগের সভাপতি তোফায়েল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমূখ।

    ৫ম ধাপে নির্বাচনে মাধবপুর উপজেলা ১১টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থী সবাই উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা আ.লীগের,যুবলীগ,কৃষক লীগ,ছাত্রলীগ,ও ইউনিয়ন আ.লীগের, যুবলীগ,পৌর যুবলীগ,কৃষক লীগ,ছাএলীগসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আহবায়ক সুকোমল রায়,ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সদস্য নিয়ে দিকনির্দেশনা নির্বাচন পরিচালনা করা হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হাত পা কেটে দেওয়ার হুমিক।

    লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হাত পা কেটে দেওয়ার হুমিক।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক স্বতন্ত্র প্রার্থী। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুল ইসলাম জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দেন।

    চররমনী মোহনে ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আবু ইউসুফ ছৈয়াল। তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা, কর্মীদের মারধর ও তাদের বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে জালিয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম সরকার আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

    তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে নৌকার কর্মীরা আমার কর্মীদের মারধর করে পোষ্টার ছিনিয়ে নিয়েছে। একই দিন সন্ধ্যায় মাইকে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় নৌকার কর্মীরা আমার নির্বচানী মাইক ভাঙচুর করে। তারা আমার কর্মীদের হুমকি দেয়- ‘প্রচারণা চালালে হাত-পা কেটে দেওয়া হবে।

    এর আগে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দে আগে একটি নির্বাচনী জনসভায় প্রকাশ্যে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে হুমকি দেয়। নির্বাচনে তার ১৫-২০ লাখ টাকা খরচ হবে বিধায় বিনাভোটে চেয়ারম্যান হতে চেয়েছেন তিনি। তবে তার হুমকির পরেও ওই ইউনিয়নে আরও তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রদিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু ইউসুফ ছৈয়াল হত্যা, চাঁদাবাজি, নির্যাতনসহ বেশ কয়েকটি মামলা আসামী।

    মনিরুল ইসলাম নৌকা প্রতীকের ইউসুফ ছৈয়ালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আনারস প্রতীকের কর্মীরা নির্বাচনী পোষ্টার লাগানোর জন্য নৌকার প্রার্থী ইউসুফ ছৈয়ালের বাড়ির সামনে দিয়ে যাবার সময় ছৈয়ালের লোকজন তার কর্মীদের উপর আক্রমণ করে। এতে কয়েকজন কর্মী আহত হয়। এই সময় তাদের কাছে থাকা পোষ্টার, লিফলেট, ফেস্টুন ছিনতাই করে নেয় হামলাকারীরা। নৌকার কর্মীরা তাদের হুমকি দেয় এবং প্রচারণা চালানো থেকে সরে যেতে বলে।

    তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত ২ ডিসেম্বর ইউসুফ ছৈয়াল ইউনিয়নের মজুচৌধুরীর হাটে নির্বাচনী সভায় প্রকাশ্যে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলে। তার হুমকির কারণে আমার পক্ষে প্রচারণা চালানো সম্ভব নয়। আমি এবং আমার কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।

    অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আবু ইউসুফ ছৈয়াল বলেন, এলাকায় মনিরের কোন ভোট নেই। সে বিএনপি করে। ইউনিয়নের সব ভোট নৌকার। মনির ভোট করার জন্য মাঠে নামে নি, সে শুধু শুধু ঝামেলা সৃষ্টি করতে এসেছে। এর আগেও মনিরের পিতা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে সামান্য কয়েক ভোট পেয়েছে। এবারও আশাকরি মনির জামানত তুলতে পারবে না। তাই তার প্রচারণায় বাঁধা দেওয়া বা তাকে হুমকি দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা।

    এই ব্যাপারে চররমনী মোহন ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রির্টানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা সমবায় অফিসার দেবেশ কুমার সিংহ বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুল ইসলামের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত :গত ১ ডিসেম্বর নির্বাচনী এক সভায় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু ইউসুফ ছৈয়াল প্রতিপক্ষ ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী সালেহ আহম্মদকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে প্রকাশ্যে হুমকি দেন। এই হুমকির একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

    এসময় তিনি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে গেলে ভোট ছাড়াই তিনি চেয়ারম্যান হবেন। এতে তার ১৫-২০ লাখ টাকা বেঁচে যাবে। ওই টাকা এলাকার উন্নয়নে এবং মসজিদ মাদরাসায় দান করবেন।

    আর নির্বাচন থেকে সরে না গেলে তাদের সাথে শত্রুতা সৃষ্টি হবে বলে হুশিয়ারী দেন। এই ঘটনার পর গত ২ ডিসেম্বর ‘‘ভোট ছাড়াই চেয়ারম্যান হতে চান নৌকার প্রার্থী। আগামী ২৮ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নসহ ১৫ টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

  • লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে একই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বামী-স্ত্রী ও মা-ছেলে।

    লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে একই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বামী-স্ত্রী ও মা-ছেলে।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ১৭নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ১১জন। এদের মধ্যে একই পরিবারের দুইজন করে চারজন রয়েছেন।

    তবে এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়াও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে আরও ৫জন। ফলে নির্বাচন নিয়ে সেখানে উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন। চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে এখানে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

    জানা গেছে, ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দেওয়া হয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল খালেক বাদলকে। নির্বাচনে তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তারও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।
    তিনি প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন ঢোল। নির্বাচনী মাঠে তাহমিনা নিজের ঢোল না পিটিয়ে স্বামীর প্রতীক নৌকাতে ভোট চাইছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

    তবে স্ত্রীকে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী দাবি করে নৌকা প্রতীকের আব্দুল খালেক বাদল বলেন, সবার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে প্রার্থী হওয়ার। সেজন্যই আমার ঘরেও প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী আছে।

    অন্যদিকে একই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাইফুল হাসান রনি। নৌকা প্রতীক চেয়ে পাননি তিনি।

    মঙ্গলবার দুপুর থেকে চশমা প্রতীকে প্রচারণা শুরু করেছেন। তিনি নিজেও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করেছেন তার মা মমতাজ বেগমকে। তার প্রতীক টেলিফোন। রনি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মরহুম মোসলেহ উদ্দিন মিজানের ছেলে। একই ঘরে দুই প্রার্থীর বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনী মাঠে অন্যান্য প্রার্থীদের মতো আমার মাও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। তিনি এখনো পর্যন্ত মাঠে আছেন। তবে শেষ পর্যন্ত আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকবেন কিনা- সেটা আরও পরে বলা যাবে।

    তিনি বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচনী মাঠে আমার অবস্থান ভালো। শেষ মুহূর্তে যদি ভালো থাকে তাহলে আমার মা আমাকে সমর্থন জানাবেন। আর যদি আমার মায়ের অবস্থান ভালো হয়, আমি তাকে সমর্থন জানাবো। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের বিপরীতে প্রভাব খাটানোর জন্য একই পরিবারের মধ্যে থেকে একাধিক প্রার্থী দেওয়া হয় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এদের ‘‘ডামি” প্রার্থী হিসেবেও মনে করেন স্থানীয়রা।

    অন্যদিকে এ ইউনিয়নে নৌকার বিপরীতে বিদ্রোহী প্রার্থীরা শক্ত অবস্থানে আছে। বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনি ও তার মা মমতাজ বেগম ছাড়াও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হালিম মাস্টার (মোটরসাইকেল), সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় শ্রমিক লীগের জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ (ঘোড়া), সাবেক সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেন বিপ্লব (আনারস), সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান ঢালী (রাজনীগন্ধা) স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন। এরা সবাই নৌকার মনোননয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।

    এই ছাড়া বিএনপিপন্থী শাহ মো. এমরান (অটোরিক্সা) ও জাহাঙ্গীর আলম (টেবিল ফ্যান) এবং ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মহিউদ্দিন (হাতপাখা) প্রার্থী হয়েছেন।

  • হাইকোটে রিট উল্লাপাড়ার দূর্গানগর ও বাঙ্গালা ইউপি নির্বাচনী ফলাফল স্থগিত।

    হাইকোটে রিট উল্লাপাড়ার দূর্গানগর ও বাঙ্গালা ইউপি নির্বাচনী ফলাফল স্থগিত।

    স্টাফ রিপোর্টারঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালা ও দুর্গানগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোট বিভাগ। বাঙ্গালা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ফলাফল ৪ (চার) মাসের ও দূর্গানগর ইউপি’র ফলাফল ৬ (ছয়) মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুর রশিদ ও বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চে এ আদেশ দেন।

    উল্লাপাড়ার বাঙ্গালা ইউপি নিবার্চনে অংশ নেওয়া চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হানিফ ও দূগার্নগর ইউপি চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী তারেকুল ইসলাম গত ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে তাদের নিবার্চনের ফলাফল পরিবর্তন করে পরাজিত নৌকার প্রার্থীকে জয়ী ঘোষনা করার প্রেক্ষিতে তারা পৃথকভাবে দু’টি রিট পিটিশন দায়ের করেন। এই পিটিশনে ভোটের ফলাফল স্থগিত এবং গৃহিত ভোট পূণঃগণনার জন্য আবেদন জানানো হয়।

    রিট আবেদনকারী আবু হানিফ জানান, আমার বাঙ্গালা ইউনিয়নে ৯ টি ভোট কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে তিনি মোটর সাইকেল প্রতিকে ৭ হাজার ১২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সোহেল রানা নৌকা মার্কায় ৬ হাজার ৫৯৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন । অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী কেফায়েত উল্লাহ ঘোড়া প্রতিকে ৫ হাজার ৮২১ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। অথচ নির্বাচনী ফলাফল উল্লাপাড়ায় রিটানিং অফিসারের কার্যলয় থেকে সম্পূর্ণ পাল্টে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী নৌকা প্রতিকের প্রার্থীকে ৯ হাজার ৭১৮ ভোট দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

    অপরদিকে রিট আবেদনকারী তারেকুল ইসলাম জানান, তার দূর্গানগর ইউনিয়নে ১৮টি ভোট কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে তিনি অটোরিকশা প্রতিকে ৮ হাজার ৪৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ রানা মোটর সাইকেল প্রতিকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৭৭ ভোট। আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আফছার আলী নৌকা প্রতিকে ৭ হাজার ৫৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান পেয়েছেন। অথচ নির্বাচনী ফলাফল এখানেও একই উপায়ে সম্পূর্ণ পাল্টে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীকে ৯ হাজার ২১৬ ভোট দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

    ফলাফলের গেজেট স্থগিত ও পূণ:গননার দাবীতে বাঙ্গালার স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হানিফ ও দূর্গানগরের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ তারেকুল ইসলামের উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত সোমবার তাদের ভোটের ফলাফলের স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    রিট আবেদনকারী এই দুই প্রার্থী ফলাফল স্থগিত ও ভোট নতুন করে গণনার ব্যবস্থা নেবার দাবি জানান।হাইকোর্টের এ্যাডভোকেট হাসানুজ্জাম উল্লিখিত ইউনিয়ন দুটির নির্বাচনী ফলাফল স্থগিত আদেশের বিষয় নিশ্চিত করেন।

  • ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা;অবরোধ কর্মসূচি।

    ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা;অবরোধ কর্মসূচি।

    ফারুক হোসেন মাটিরাঙ্গা,(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধিঃ খাগড়াছড়ি-মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন ১১ নভেম্বর  ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনাকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান ও অনান্য মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মারধর-হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    রবিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে মাটিরাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে মাটিরাঙ্গা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড’র ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হানিফ হাওলাদার।
    অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-জেলা সন্তান সংসদ কমান্ড’র সভাপতি মোঃ হারুন মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তসলিম উদ্দিন রুবেল প্রমুখ।
    বিক্ষোভ মিছিল শেষে সভায় বক্তারা বলেন, মাটিরাঙ্গার তবলছড়ি ইউপি নির্বাচনের ফলাফল কারচুপির মাধ্যমে আবুল কাশেম ভূইয়া’র পক্ষে ঘোষনার পরপরই কুখ্যাত সন্ত্রাসী আবুল কাশেম ভূইয়া চেয়ারম্যান তার গুন্ডা বাহিনী দ্বারা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান ও অনান্য মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের উপর ঘৃণ্য বর্বরোচিত হামলা চালায়। চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া একজন রাজাকারের দোসর মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী। সব সময় মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে বলে জানান বক্তারা।
    বক্তারা আরো জানান, বেশ কিছুদিন আগে তবলছড়ি কবর স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধার লাশ দাফনেও বাধাগ্রস্ত করেন এই স্বাধীনতা বিরোধী কাশেম ভূইয়া।
    এছাড়াও মানববন্ধনে আবুল কাশেম ভূইয়া সহ চিহ্নিত দোষীদের গ্রেফতার এর দাবিতে আগামীকাল ১৪ নভেম্বর সকাল – সন্ধ্যা,  মাটিরাঙ্গা – তানাক্কা পাড়া  সড়কে সকল যানবাহন অবরোধের  ঘোষণা দেন। চিহ্নিত দোষীদের শাস্তি না হলে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত কঠিন আন্দোলনের হুশিয়ারীও দেন তারা।
  • তানোর ইউপি নির্বাচনে ৪টি নৌকা ২টিতে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত।

    তানোর ইউপি নির্বাচনে ৪টি নৌকা ২টিতে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত।

    সারোয়ার হোসেন,তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহীর তানোরে ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয় লাভ করেছেন এবং ২টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগে বিদ্রোহীরা বিজয়ী হয়েছেন।

    এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিরেশে অনুষ্ঠিত হয় ভোট গ্রহণ। কোথায় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

    ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। এত চমৎকার পরিবেশে ভোট হবে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও ভাবতেই পারেননি এমন কথাই বলেন তারা।

    নৌকা প্রতীকের বিজয়ীরা হলেন বাধাইড় ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহনাম,পাঁচন্দরে আব্দুল মতিন,চান্দুড়িয়াতে মজিবর রহমান ও কামারগাঁতে নতুন মুখ ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলে রাব্বি ফরহাদ এবং তালন্দতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইউপি সভাপতি নাজিম উদ্দীন বাবু,তার প্রতীক ছিল আনারস। কলমা ইউপিতেও বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চশমা প্রতীকের প্রার্থী খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী। এ দুই ইউপিতে নৌকার প্রার্থীদের চরম ভরাডুবি ঘটে। তালন্দ ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও কলমাতে মাইনুল ইসলাম স্বপনের ঘটে চরম লজ্জাজনক পরাজয়।

    জানা গেছে,১১নভেম্বর বৃহস্পতিবার উপজেলা ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের শান্তিপূর্ণ ভাবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।তবে সরনজাই ইউপির ভোট গ্রহণ স্থগিত করেন ইসি।

  • ইউপি নির্বাচনে কানাইঘাটে আ’লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

    ইউপি নির্বাচনে কানাইঘাটে আ’লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

    কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মস্তাক আহমদ পলাশ বলেছেন আসন্ন কানাইঘাট উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে যাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

    দলকে সুসংগঠিত করার জন্য উপজেলার সকল ইউনিয়নের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করে ইউপি নির্বাচনের প্রস্তুতি এখন থেকে নিতে হবে। মস্তাক আহমদ পলাশ গতকাল বুধবার বিকাল ৩টায় কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

    উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পৌর মেয়র লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় বর্ধিত সভায় বড়চতুল, কানাইঘাট সদর, ও লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে রির্পোট উপস্থাপনার পাশাপাশি ইউপি নির্বাচন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে মুলত আলোচনা করা হয়।

    সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জামাল উদ্দিন, ফখর উদ্দিন শামীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ, শ্রী রিংকু চক্রবর্তী, নাজমুল ইসলাম হারুন, সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন,আব্দুল হেকিম শামীম,শাহাব উদ্দিন,শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক আফসর আহমদ চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাউন্সিলর বিলাল আহমদ,উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম আহমদ,সম বিষয়ক সম্পাদক  হোসেন আহমদ, সদর ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি মাষ্টার মামুন আহমদ, বড়চতুল ইউপির সভাপতি মুবশি^র আলী চাচাই, সাতবাঁক ইউপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুন নুর মেম্বার সহ কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের ১০টি সাংগঠনিক টিমের কার্যক্রম আরো শক্তিশালী করা সহ সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান মস্তাক আহমদ পলাশ।

    বর্ধিত সভায় মস্তাক আহমদ পলাশ সম্প্রতি বাংলাদেশ রেড-ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পরিষদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সদস্য পদে নির্বাচিত হওয়ায় উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হয়।

  • কমলনগরে ইউপি নির্বাচনে শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় সংঘর্ষ ও বিষ্ফোরণ আহত ২০।

    কমলনগরে ইউপি নির্বাচনে শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় সংঘর্ষ ও বিষ্ফোরণ আহত ২০।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

    সংঘর্ষে ভাঙচুর করা হয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) ইব্রাহিম বাবুল মোল্লা (চশমা প্রতীক) ও হোসেন হাওলাদার (আনারস প্রতীক) প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের কমলনগর সরকারি হাসপাতাল চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় নির্বাচনী এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

    প্রচারণার শেষ দিন মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে চরকাদিরা ইউনিয়নের ফজু মিয়ার বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্থানীয় রব বাজার এলাকায় ৪নং ওয়ার্ডের চশমা প্রতীকের ও আনারস প্রতীক নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও কমলনগর থানা পুলিশ জানায়, প্রচারণার শেষ দিন চশমা প্রতীক ও আনারস প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে সভা চলছিল।

    এই সময় আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ করেন প্রার্থীরা। পরে ফজু মিয়ার হাটে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবুল মোল্লা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিলে উভয় পক্ষের নৌকা ও চশমা সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

    এই সময় দশটির বেশি ককটেল বিষ্ফোরণ ও ত্রিমুখি (নৌকা, চশমা, আনারস) সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সময় উভয়পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন আহত হন। পরে দু’পক্ষের বিক্ষোভে পুরোবাজার এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    উল্লেখ্য, আগামী ১১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় ধাপে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন, চর কাদিরা ও চর লরেন্স এবং রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউপি নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।

    এর মধ্যে চর লরেন্স ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন মাষ্টার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাকী তিনটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন, চারটি ইউনিয়নে সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ১৭১ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য পদে ৫২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মুসলেউদ্দিন বলেন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

  • ছাতকে ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীর নৌকার প্রচারনায় মুক্তিযোদ্ধা-সন্তান।

    ছাতকে ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীর নৌকার প্রচারনায় মুক্তিযোদ্ধা-সন্তান।

    ছাতকে ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীর নৌকার প্রচারনায় মুক্তিযোদ্ধা-সন্তানরা

    ফজল উদ্দিন,ছাতক প্রতিনিধিঃ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাউয়া বাজার ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব নুরুল ইসলামের সমর্থনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা তার নির্বাচনী বিভিন্ন এলাকায় প্রচার প্রচারণা করেন।

    ৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব নুরুল ইসলামের পক্ষে ও নৌকার সমর্থনে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা জাউয়া বাজার ইউনিয়নের বিবিন্ন গ্রামে গিয়ে নৌকার প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ও ভোট প্রার্থনা করছেন।বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান,মামুন হোসেন সোহেল,সহসভাপতি ছাতক উপজেলা শাখা সন্তান কমান্ডের নেতৃত্বে, জাউয়া বাজার ইউনিয়ন সন্তান কমান্ড এর সভাপতি, কাওছার আহমেদ,সহ সভাপতি নুরুল আমিন,সাধারণ সম্পাদক, শাহাজান হোসেনের পরিচালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন,সেলিম আহমেদ,দুলাল মিয়া নুর উদ্দিন প্রমূখ।