Tag: আগুন

  • বাঘায় পাটের গোডাউনে আগুন।

    বাঘায় পাটের গোডাউনে আগুন।

    বাঘা (রাজশাহী)প্রতিনিধি:রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নারায়নপুর বাজারে বুধবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে বৈদ্যুতিক সট সার্কিট থেকে একটি পাটের গুদামে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ধারণা করা যায় এ ঘটনায় প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে । এই গোডাউন মালিকের নাম শ্রী বিপদ সাহা।

    স্থানীয় লোকজন জানান, রাতে হঠাৎ পাটের গোডাউনে ধোয়া দেখতে পান। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন জ্বলতে দেখতে পান। এ সময় তারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং বাঘা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বাঘা ফায়ার সার্ভিসের ১ টি ইউনিটের প্রায় ৭-৮ জন কর্মী ৫ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।

    বাঘা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো: মিজানুর রহমান জানান, বুধবার রাতে নারায়নপুর বাজারে অবস্থিত শ্রী বিপদ সাহার পাটের গোডাউনে আগুন লাগার খবর পায়। এরপর তাৎক্ষনাত ঘটনাস্থলে চলে আসি। আমরা আসার আগে এখানে পুলিশের পিকাপ চলে আসে। প্রথম অবস্থায় পুলিশ এবং স্থানীয় লোকজনের সহায়তা পায়। পরে আগুনের তিব্রতা কমে গেলে আস্তে আস্তে সবাই চলে যায়। কিন্তু যেহেতু এটা পাটের গুদাম, সে কারনে পুরো পাট না সরানো পর্যন্ত রাত ভর আমাদের এখানে অবস্থান করতে হয়। পরে সকলে নারায়নপুর বাজার শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন এসে পাট সরানোর পরে আমরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।
    বাঘা উপজেলা হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা শ্রী অশিত কুমার ওরুপে বাকু পান্ডে জানান, আমরা ধারনা করছি বৈদ্যুতিক সট সার্কিট থেকে এই অগ্নীকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে গোডাউনের মালিক শ্রী বিপদ সাহা দাবি করেছেন শত্রুতা বসত: কেউ আগুন লাগাতে পারে। এ ঘটনায় তাঁর প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

  • রামপালে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো বাস।

    রামপালে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো বাস।

    মল্লিক জামান, রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালের জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হাইওয়ে রাস্তার পাশে  দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে পালিয়েছে  দুর্বৃত্তরা।

    মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাত ৯ টার দিকে  (খুলনা-‌মোংলা) মহাসড়‌কের ফয়লা এলাকায় এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বাসে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার খবর পেয়ে তৎক্ষনাৎ রামপাল থানা পু‌লিশ, ফায়ার সা‌র্ভিস কর্মীরা এবং স্থানীয় লোকজন চেষ্টা চা‌লি‌য়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে।
    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে, ফয়লা বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে কিছুটা দূরে হাইওয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে হঠাৎ আগুন দেখতে পায় স্থানীয়রা৷ পরে স্থানীয় লোকজন ও টহলরত পুলিশ আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।  কিছুক্ষণ পরে রামপাল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে।
    এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইন-চার্জ  এস. এম.  আশরাফুল আলম অগ্নি সংযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ফয়লা বাজার থেকে খানিকটা দূরের নির্জন এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়  দুর্বৃত্তরা । খবর পেয়ে টহল পুলিশ, স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।  এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অপর একটি বাস স্থানীয় ধাক্কা দিয়ে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেয়। এই অগ্নি সন্ত্রাসের সাথে কারা জড়িত তা  বের করতে ইতিমধ্যে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অপরাধীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
  • ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ মাসের শিশু প্রণয় আগুনে পুড়ে ছাই।

    ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ মাসের শিশু প্রণয় আগুনে পুড়ে ছাই।

    আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ে ভূল্লীতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে বসতবাড়িতে আগুন লেগে সাড়ে ৩ মাসের প্রণয় নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
    সোমবার (২৭ নভেম্বর ) দুপুর দেড়টার সময় সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মণ্ডল পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
    স্থানীয় জানায়, দেবীপুরের মণ্ডলপাড়া গ্রামের দিপু চন্দ্র রায় প্রতিদিনের মতো ভাটার কাজে বাইরে চলে যায়। দুপুরে দিপুর স্ত্রী শিশু প্রণয়কে ঘুমিয়ে রেখে বাইরে গেলে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে থেকে আগুন লেগে বসতঘড়ের সব আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আগুন দেখে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘরে ঘুমিয়ে থাকা শিশু প্রণয় পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়। পরে পুড়ে যাওয়া ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
    ভূল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বৈদ্যুতিক আগুন থেকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং এক শিশুর মৃত্যুতে থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে।
  • বাঘায় আগুনে পুড়লো মোটরসাইকেল পার্সের দোকান।

    বাঘায় আগুনে পুড়লো মোটরসাইকেল পার্সের দোকান।

    বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

    রাজশাহীর বাঘায় আগুনে পুড়ে মোটরসাইকেল পার্সের দোকানের পনের লক্ষ টাকার মালামালের ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (১১ নভেম্বর) রাত ১ টার দিকে উপজেলা সদর বাঘা বাজারের জিরো পয়েন্ট এলাকায় হোন্ড মোটর ইউনিট নামে একটি দোকানে আগুনের এই ঘটনা ঘটে।  এতে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দোকানের মালিক পার্টনার কলেজ শিক্ষক শামীম আহম্মেদ দাবি করেছেন।
    দোকানের পাশের বাসার স্থানীয় বিদ্যুত আহম্মেদ জানান, রাত ১ টার দিকে বাজারের নৈশ প্রহরি ডেকে বলেন হোন্ডা মোটর ইউনিট পার্সের দোকানের ভিতরথেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছে। পরে গিয়ে দেখি ভিতরে আগুন জ্বলছে।তাৎক্ষনিক দোকানের মালিক ও ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ আসতেই দোকনের সব মালপত্র পুড়ে শেষ হয়ে যায়।
    দোকানের মালিক পার্টনার শামীম আহম্মেদ  জানান, আমরা তিনজন পার্টনারে দোকানটি করেছি। প্রতিদিনের মত রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বন্ধ করে বাসায় আসি।
    রাতে মুঠোফোনে জানতে পারি দোকানের ভিতর থেকে  ধোঁয়া বের হচ্ছে। বিষয়টি জানার পর দোকানে গিয়ে দেখি সব মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে । স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের দল আগুন  নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগেই মালপত্র আগুনে পুড়ে যায় । তিনি আরো জানান তাদের দোকানের পিছনে গোডাউনে পাশের ফোমের দোকানদারের অনেক ফোম ছিল। আগুনে গোডাউনের ফোমসহ দোকানের সার্টার পর্য়ন্ত পুড়ে গেছে।  বিদুৎতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন সূত্রপাত হয়েছে ধারণা করা হচ্ছে। ফোমসহ ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান।
    উপজেলার ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর স্টেশন কর্মকর্তা মিজানুররহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই দোকানের  মালপত্র পুড়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে পাশের দোকনগুলো রক্ষা করা গেছে। বিদুৎতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
    বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সবুজ রানা বলেন, আগুন লাগার বিষয়টি জানার পর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম।
  • বাঘায় পেট্রল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্ট্রা।

    বাঘায় পেট্রল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্ট্রা।

    বাঘায় আগুনে পোড়া ক্ষত নিয়ে শহিদুল ইসলাম (২৮) ও তার স্ত্রী রানী আফরোজ (২৫) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।   বৃহসপতিবার (১৯ জুলাই ) গভীর রাতে তাদের বাড়িতে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে পুড়ে ক্ষত হন তারা। পরে স্থানীয়রা তাদের   উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। এ বিষয়ে বাঘা থানায়  লিখিত অভিযোগ করেছেন শহিদুল ইসলাম। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলের চকরাজাপুর ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামে।
    অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষে রাতের খাবার খেয়ে  ঘুমিয়ে পড়েন তারা। আনুমানিক রাত দেড়টার দিকে তাদের ঘরে জ্বলে উঠা আগুনের তাপে ঘুম ভেঙে যায়। চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় স্বামী-স্ত্রীর শরীরের কিছু অংশ পুড়ে  যাওয়ায়  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

    শহিদুল ইসলামের দাবি,  দুর্বৃত্তরা পুড়িয়ে মারার উদ্দেশ্য তার শয়ন কক্ষের পেছনে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তাদের ফেলে যাওয়া বোতলে পেট্রেলের গন্ধ পেয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। পেট্রোল ছিটানোর পর আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

    সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, খবর পেয়ে রাতেই শহিদুল ইসলামের বাড়িতে যাই। বাড়ির বাহিরে পড়ে থাকা বোতলে পেট্রোলের গন্ধ পেয়েছেন। তাদের হত্যার উদ্দেশ্য কাজটি করা হতে পারে বলে ধারণা । তবে কারা এমন কাজ করতে পারে বলে নিশ্চিত হতে পারছিনা।

    বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত)আব্দুল করিম বলেন, শহিদুল ইসলামের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।  কারা এর সাথে জড়িত,সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

  • বাঘায় ইফতারী রান্নার আগুনে বাড়ি পুড়ে ছাই।

    বাঘায় ইফতারী রান্নার আগুনে বাড়ি পুড়ে ছাই।

    মোস্তাফিজুর রহমান,বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
    রাজশাহীর বাঘায় আগুনে পুড়ে দুই বাড়ি ৩ ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩ টার সময়  উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা পশ্চিমপাড়া গ্রামে মন্টু আলী ও রাহেমা বেগমের বাড়িতে এই আগুন লাগার  ঘটনা ঘটে। এই আগুনে দুই বাড়িতে নগদ টাকা, জমির দলিল, আসবাবপত্র, চাল-ডাল, জামা-কাপড়, গম, ছাগলসহ ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে বাড়ির মালিক দাবি করেন।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা পশ্চিমপাড়া গ্রামে মন্টু আলীর স্ত্রী মেলেনা বেগম বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে  বাড়ির ইফতারী রান্না শুরু করেন। রান্না করা অবস্থায় বাড়ির বাইরে যায় তিনি। এ সময়  রান্না ঘরে আগুন লেগে যায়।  পরে ৪ চালা শয়নঘর ও গরুর ঘরে আগুন লাগে। এতে গোয়ালে গরুর রশি কেটে দিলে প্রাণে বেঁচে গেলেও ৩টি ছাগল পুড়ে মারা যায়। এছাড়া ঘরের আসবাবপত্র, নগদ ৪৫ হাজার টাকা পুড়ে গেছে। দুই লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন মন্টু আলী। পরে পাশে রাহেমার বাড়িতে আগুন ধরে। তার দুটি টিনের ছাপরা ঘর পুড়ে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেন দাবি করেন তিনি ।
    এ বিষয়ে বাড়ির মন্টু আলী বলেন, স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে করতে বাড়ির সকল আসবাবপত্র, গোয়াল ঘরে রাখা ৩টি ছাগল পুড়ে মারা গেছে।

    খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড.লায়ের উদ্দিন লাভলু  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার ও বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ তুফান  পরিদর্শন করেন।  এ সময় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সহায়তা করেন।

  • গোদাগাড়ীতে রান্নার আগুনে পুড়ে কিশোরী নিহত।

    গোদাগাড়ীতে রান্নার আগুনে পুড়ে কিশোরী নিহত।

    গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে রান্নার আগুনে ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়েছে এ ঘটনায় জান্নাতুন ফেরদৌস (১৭) নামের এক কিশোরী নিহত হয়েছে।

    এ বিষয়ে স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬ টার সময় উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চর বয়ারবাড়ী গ্রামে রান্নার চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এই আগুনে ৫টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় ঘরের লোকজন বের হতে পারলেও ঘরে অবস্থান করায় ১৭ বছর বয়োসের জান্নাতুন ফেরদৌস নামের এক কিশোরী আগুনে পুড়ে মারা যায়। গ্রামটি পদ্মা নদীর ওপারে চরে অবস্থান হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন যেতে পারেনি। আর আশে পাশে পানির ব্যবস্থা না থাকায় স্থানীয় লোকজন আগুন নেভাতে পারেনি।

    স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাসুদ রানা উজ্জ্বল জানান, প্রথমে স্থানীয় শফিকুলের বাড়িতে আগুন লাগে। এরপর পাশে নাজমুল, আব্দুল জলিল, ইমাম হোসেন ও সাইদুর রহমানের বাড়িতে তা ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে ৫টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বাড়ি-ঘর থেকে পরিবারের সদস্যরা বের হয়ে পড়ে। কিন্তু শফিকুলের মেয়ে জান্নতুন ফেরদৌস ঘরেই অবস্থান করছিল। ফলে আগুনে পুড়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মারা যায়।

    এদিকে খবর পেয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সবুজ হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন। নিহত জান্নাতুল ফেরদৌসের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা ও ক্ষতিগ্রস্তদের ২ হাজার করে টাকা এবং ২০ কেজি করে চাল, শাড়ি, লুঙ্গি দেওয়া হয়। সোমবার পুড়ে যাওয়া পরিবারগুলোকে অস্থানীয়ভাবে ঢেউটিন দিয়ে ঘর করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।

    আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায় ,২০২১ সালে নদী ভাঙনে বাড়ি-ঘর বিলীন হয়ে গেলে নতুন করে সরকারী জায়গায় কোন রকমে ঘর তুলে বসবাস করে আসছিলেন তারা এমন অবস্থায় কি করবে তারা বুঝে পাচ্ছে না।

  • উল্লাপাড়ায় সন্ত্রাসীদের আগুনে বসতবাড়ি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান দোকানঘর পুরে ছাই।

    উল্লাপাড়ায় সন্ত্রাসীদের আগুনে বসতবাড়ি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান দোকানঘর পুরে ছাই।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সন্ত্রাসীদের পেট্রোলের আগুনে আওয়ামীলীগ নেতার ছোট ভাই আজিজুল হকের বসতবাড়ি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান দোকান ঘর পুরে ছাই হয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের খাদুলি গ্রামের আজিজুল হকের বাড়িতে।

    সন্ত্রাসীদের আগুনে ব্যবসায়ীর বসতবাড়ি ও দুই লক্ষাধিক টাকার মালামালসহ দোকানঘর পুরে গেছে। এ বিষয়ে আজিজুল হক বাদী হয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানায় মামলা করেছেন।

    মামলা সূত্রে জানা যায়,বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের খাদুলি গ্রামের মৃত নওয়াব আলী মণ্ডলের ছেলে মোঃআজিজুল হকের সঙ্গে একই গ্রামের তোরাব আলী গং এর জমি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। বিরোধের একপর্যায়ে তোরাব আলীর ছেলে মোঃখোরশেদ আলী ( ৪০),মোঃ খলিল (৩০), আক্কাস আলীর ছেলে মোঃ এরশাদ আলী (৩৫),মোঃ আলতাফ হোসেনের ছেলে মোঃ আলাউদ্দিন (৩৬), মোঃ আনসার আলীর ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম গং ১৯-১১-২০২২ ইং তারিখ বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় আমার বসতবাড়ি সংলগ্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান দোকানে এসে আমাকে সহ পরিবার পরিজনদের মারপিট ও প্রাণনাশের হুমকি সহ বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে বলে শাসিয়ে যায়।

    উল্লেখিত তারিখে মধ্যরাতে খোরশেদ,এরশাদ আলী,খলিল,আলাউদ্দিন,সাইফুলসহ বেশ ক’জন সন্ত্রাসী আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকান ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।এতে দোকান ও গোয়াল ঘরে পুরে যায়।

    বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বিএসসি জানান, আজিজুল হক প্রতিদিনের মতো দোকানঘর বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘটনার দিন মধ্যরাতে খোরশেদ আলী গংরা পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। আগুন লাগার বিষয়টি আজিজুলের স্ত্রী আফরোজা খাতুন টের পেয়ে চিৎকার শুরু করেন।এ সময় প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে আজিজুলের দোকানে থাকা মূল্যবান ফ্রিজ,টিভি, ফ্যান,নগদ টাকাসহ দোকানের দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে যায়। দোকানঘর সংলগ্ন গোয়াল ঘরের এককাংশ পুড়ে যায়।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা জানান এ ব্যাপারে আজিজুল হক বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।পুরো ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ব্যবসায়ীদের পাট ক্ষতির পরিমান ১০ কোটি টাকা।

    গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ব্যবসায়ীদের পাট ক্ষতির পরিমান ১০ কোটি টাকা।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

    সোমবার গভীর রাতে উল্লাপাড়া পৌরশহরের ঝিকিড়া মহল্লায় পাট বন্দরে আগুন লেগে ৬টি গুদাম পুড়ে গেছে। সেই সাথে এসব গুদামে রাখা প্রায় ১৫ হাজার মন পাট ও ৬০ হাজার পাটের বস্তা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমান প্রায় ১০ কোটি টাকা হবে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও গুদাম মালিকেরা।

    অগ্নিকান্ডের খবর শুনে সিরাজগঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, তাড়াশ ও পাবনা ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এখনও ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট অগ্নিকান্ড স্থানে কাজ করছেন। তবে অগ্নিকান্ডের কোন কারন এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। পাট ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলামের পাট গুদাম থেকে রাত ২ টা ৩৫ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়।

    ক্ষতিগ্রস্থ গুদাম মালিক ও পাট ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছেন বাসুদেব সাহা, আসাদুল ইসলাম, সোহেল, রজব আলী সরকার, ডাবলু, আইয়ুব আলী, ইউনুস আলী, রিপন সাহা, সঞ্জয় সাহা, রাশেদা খানম পাতা, তারাপদ কুন্ডু ও শহিদুল ইসলাম। ক্ষতিগ্রস্থ পাট ব্যবসায়ীরা জানান, তারা বিভিন্ন হাট থেকে পাট কিনে দেশের বিভিন্ন পাট মিলে বিক্রি করে থাকেন। এখন এখন পর্যন্ত মিলগুলো পাট ক্রয় শুরু না করায় ব্যবসায়ীরা তাদের পাট আগুনে পুড়ে যাওয়া গুদামে মজুদ করেছিলেন। কিন্তু অগ্নিকান্ডের ফলে পাট পুড়ে গিয়ে তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এই ক্ষতি কোনভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয় বলে জানান তারা।

    পাবনা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক সারফুল ইসলাম ভুইয়া জানান, রাতেই তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিভানোর কাজ শুরু করেন। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন স্থান থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা গেলেও এখন পর্যন্ত গুদামগুলোতে পুড়ে যাওয়া পাটগুলোর মধ্যে থেকে ধুয়া বের হচ্ছে। তবে অগ্নিকান্ডের কোন কারন এখন পর্যন্ত তারা জানতে পারেননি। সহকারী পরিচালক আরো বলেন, ফায়ার সার্ভিস থেকেও অগ্নিকান্ডের কারণ তদন্ত করে দেখা হবে।

    ক্ষতিগ্রস্থ পাট ব্যবসায়ী বাসুদেব সাহা ও আসাদুল ইসলাম জানান, তাদের নিজস্ব গুদামে নিজেদের প্রায় ৬ হাজার মন পাট ছিলো। কোন ভাবেই এসব পাট তারা বাঁচাতে পারেননি। তিনি আরো জানান, অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পাট মিল বা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যায় না।

    উল্লাপাড়া পাটবন্দর বনিক সমিতির সভাপতি আমিরুল ইসলাম আরজু জানান, অগ্নিকান্ডের সঠিক কারণ এখন জানা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্থ পাট ব্যবসায়ী ও গুদাম মালিকদের প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই অগ্নিকান্ডের ফলে তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলেন।

    উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি এ সময় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের শান্তনা জানান।

    উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, অগ্নিকান্ডের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে এই মুহুর্তে তারা কিছুই বলতে পারবেন না। তবে এ ব্যাপারে দ্রুত তদন্তের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    স্থানীয় সাংসদ তানভীর ইমাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন ইতিমধ্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পাট ব্যবসায়ী এবং গুদাম মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন। উল্লাপাড়া নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশরাত জাহান, উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়াও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর শফিকুল ইসলাম শফি,পৌর মেয়র এস এম নজরুল ইসলামও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

  • আড়ানীতে ট্রেনে আগুন, প্রাণে রক্ষা পেলো ১ হাজার।

    আড়ানীতে ট্রেনে আগুন, প্রাণে রক্ষা পেলো ১ হাজার।

    আড়ানীতে ট্রেনে আগুন, প্রাণে রক্ষা পেলো ১ হাজার 

    ট্রেন ঠিকঠাক ভাবেই চলছিলো। কে জানত এই ঠিকঠাক চলাচল প্রাণ নাশের কারন হতে পারে। সবার নানা রকম  কাজ আশা ভরসা নিয়ে যাচ্ছিল ঢাকার উদ্দেশ্য।
    ট্রেনের নাম ধুমকেতু এক্সপ্রেস, ট্রেনের চাকার বিয়ারিং জাম হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে ট্রেনের প্রায় ১ হাজার যাত্রী প্রানে রক্ষা পেয়েছেন। বগি পরিবর্তন করে তিন ঘন্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানীতে রেল স্টেশনে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে। এতে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।
    সংশ্লিষ্ট্র সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকার উদ্দ্যেশে রওনা হয়। আড়ানী স্টেশনে রাত ১১ টা ৫৫ মিনিটে পৌছার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেন কিছুটা বিলম্বের কারনে পৌছে রাত ১২টা ৯ মিনিটে। ট্রেনটিতে ১৬টি বগিতে প্রায় ১ হাজার যাত্রী ছিল। এরমধ্যে ৭৬০৩ নম্বরের এক্সটা-৩ বগির চাকার বিয়ারিং জাম হয়ে আগুন ধরে যায়। ট্রেন আড়ানী স্টেশনে পৌছার আগে চলন্ত অবস্থায় আগুন দেখতে পাই এক যাত্রী। তারপর কিছুক্ষনের মধ্যে ট্রেন স্টেশনে পৌছে এবং যাত্রীদের আগুন আগুন করে হইচই শুরু হয়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রন করে। আগুন নিয়ন্ত্রনের পর ট্রেনের বগি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে রেল কর্তৃপক্ষ। পরে রাজশাহী থেকে একটি বগি এনে রাত ৩টার দিকে ২ ঘন্টা ৫১ মিনিট বিলম্বের পর ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়া হয়।
    এ বিষয়ে আড়ানী রেল স্টেশন মাষ্টার ময়েন উদ্দিন আজাদ বলেন, ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের চাকার বিয়ারিং জাম হয়ে ধোয়া হচ্ছিল। ট্রেন থামার পর নিয়ন্ত্রন করা হয়। বিষয়টি রাজশাহী রেলের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা অসিম কুমার তালুকদার স্যারকে অবগত করে ট্রেনের বগি পরিবর্তন করা হয়। এতে প্রায় ২ ঘন্টা ৫১ মিনিট সময় লাগে। তবে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।