Tag: অভিযোগ

  • সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে স্কুলের গাছ কর্তনে স্থানীয়দের অভিযোগ।

    সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে স্কুলের গাছ কর্তনে স্থানীয়দের অভিযোগ।

    সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার গয়হাট্টা সালেহা ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২টি ইউক্যালিপট্যাস গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে স্কুলের পুকুর পাড়ে থাকা এসব গাছ কেটে ফেলা হয়। গাছের মূল শিকড় স্কুলের পার্শ্ববর্তী লোকজনের জমিতে ঢুকে পড়ায় প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তে এ সকল গাছ বিক্রি করা হয়েছে। সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা, প্রকৃতি ও পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ায় এ ব্যাপারে এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

    স্থানীয় লোকজন মঙ্গলবার বিকেলেই উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন, উক্ত স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষক কোনরকম সরকারি নীতিমালা না মেনে অবৈধভাবে স্কুলের মূল্যবান গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন।ক্রেতারা গাছগুলো কেটে ফেলেছে। যার আনুমানিক মুল্য ১ লাখ টাকা। গাছগুলো অন্ততঃ ১৫ বছর আগে লাগানো হয়েছিল। তারা আরো জানান, প্রকৃতি ও পরিবেশ বিনষ্টকারী প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া অনুরোধ জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

    নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা জানান, গাছ আমাদের বেঁচে থাকার পরম বন্ধু। বিনা বিচারে এভাবে গাছ কাটলে অচিরেই পরিবেশ ধ্বংস হয়ে পড়বে।

    এ ব্যাপারে এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এসব গাছ স্কুল থেকে লাগানো হয়েছিল। কিন্তু গাছগুলো বড় হবার পর এর শিকড় পার্শ্ববর্তী লোকজনের জমির সীমানায় ঢুকে যাওয়ায় ওই জমির মালিকেরা এসব গাছ কেটে ফেলার জন্য বার বার প্রধান শিক্ষককে তাগিদ দেন। পরে বিষয়টি স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদেরকে জানালে তারা গাছগুলো বিক্রি করে স্কুলের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করার জন্য রেজুলেশন করে দেন। সেই প্রেক্ষিতে ৪৫ হাজার টাকায় গাছগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

    এ বিষয়ে সালেহা ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ আল আমিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি গাছ কাটার কথা স্বীকার করেন। প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যের অনুরুপ কথা বলে তিনি জানান, এসব গাছের অর্থ স্কুলের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। তবে সরকারি নিয়ম মেনে গাছ কাটা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে চাননি।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেনের সঙ্গে কথা বললে তিনি গয়হাট্টা সালেহা ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয়ের অবৈধভাবে গাছ কাটার ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছেন। তিনি আরোও জানান এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম শামছুল হক জানান,স্কুলের গাছ কাটার ব্যাপারে তদন্তের জন্য ইউএনও’র নির্দেশনা পেয়েছেন। দ্রুত তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিল করা হবে।

  • পীরগঞ্জে সংবাদকর্মী মেরে ফেলার হুমকি,থানায় অভিযোগ।

    পীরগঞ্জে সংবাদকর্মী মেরে ফেলার হুমকি,থানায় অভিযোগ।

    ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে তিন সাংবাদিককে মেরে ফেলার হুমকী দিয়েছে এক ভুমিদস্যুর সাঙ্গ পাঙ্গরা। এ ঘটনায় বুধবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার সেনগাঁও ও জাবরহাট ইউনিয়নের অন্তর্গত আগ্রা গরিনাবাড়ি ও দস্তমপুর মৌজার ধরধরিয়া বিলের সরকারী জমিতে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে- এমন খবর পেয়ে বুধবার বেলা ৩ টা দিকে সেখানে যান দৈনিক খবর পত্রের প্রতিনিধি মুনছুর আহম্মেদ, আবু তারেক বাঁধন ( দৈনিক আজকালের খবর) ও ফাইদুল ইসলাম (প্রতিদিনের সংবাদ)।

    এরপর সেখানে অবৈধ ভাবে পুকুর খননের কাজে ব্যাবহৃত ভ্যাকু মেশিনের ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় এক ভুমি দস্যুর ভাড়াটে ইয়াকুক আলী ও  আব্দুর রশিদ সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৫ থেকে ৭ জন ব্যাক্তি হাতে রাম দা, লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানে অবস্থান করছিল। ছবি তোলার এক পর্যায়ে ইয়াকুব আলী ঐ তিন সাংবাদিককে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে রাম দা দিয়ে কেটে ফেলার হুমকি প্রদান করে।

    এ সময় অন্যান্যরাও তার সাথে তাল মিলাচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় ঐ তিন সাংবাদিক সেখান থেকে ফিরে আসার সময় ইয়াকুব ও আব্দুর রশিদ তাদের পিছন থেকে ধাওয়া করে পথরোধ করে তাদের মুঠো ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় ভবেশ চন্দ্র, খগেন্দ্র, নীল কুমার সহ আশে পাশের লোকজন এ গিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা প্রকাশ করে যে, এর পর কোথাও সুযোগ মত সাংবাদিকদের পাইলে রাম দা দিয়ে কেটে টুকরা টুকরা করবে। এ ঘটনায় ঐ সংবাদকর্মীরা শংকিত।

    এ ঘটনায় সাংবাদিক মুনছুর আহম্মেদ বাদি হয়ে বুধবার সন্ধায় ইয়াকুর আলী ও আব্দুর রশিদের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা আরো ৫ থেকে ৭ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • রাণীশংকৈলে জীবিত মহিলাকে ‘মৃত’ দেখিয়ে বয়স্ক ভাতা বন্ধের অভিযোগ।

    রাণীশংকৈলে জীবিত মহিলাকে ‘মৃত’ দেখিয়ে বয়স্ক ভাতা বন্ধের অভিযোগ।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে জেলেখা বেগম নামে এক বৃদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে তার বয়স্ক ভাতার কার্ড বাতিল করা হয়েছে। বিগত ৫ মাস যাবত তিনি বয়স্ক ভাতাবঞ্চিত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

    অপরদিকে তার নাম পরিবর্তন করে আমিনা নামে অন্যজনকে বয়স্ক ভাতার কার্ড বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মেম্বার বাদশার বিরুদ্ধে।  রানীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের সাতঘরিয়া গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলেখা বেগম নন্দুয়ার ইউনিয়নের সাতঘরিয়া গ্রামের আ: রহিমের স্ত্রী। তিনি অত্যন্ত গরিব হওয়ায় পুর্বের চেয়ারম্যান ওই বৃদ্ধার নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেন।

    ভুক্তভোগী জানান, আমি ভাতার কার্ড পাওয়ার পর থেকে প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর ১ হাজার ৫শ টাকা করে পেয়েছিলাম। কিন্তু গত তারিখে আমার টাকার কোনো মেসেজ না আসায় আমি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারি আমাকে মৃত দেখিয়ে আমিনা নামে ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন মেম্বার বাদশাহ ।যা তারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দেয়া প্রত্যায়ন পত্র পেয়ে নিশ্চিত করেছেন।

    ইউনিয়ন পরিষদে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৃত্যুর নিবন্ধন বইয়ের ২০২১ সালের রেজিস্ট্রারে বৃদ্ধার মৃত্যু নিবন্ধিত নেই। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এমন একটি সনদ দেয়ায় তার ভাতাটি বন্ধ করে দেয়া হয়।

    এ বিষয়ে  আরও বলেন, আমি জীবিত থাকার পরও মেম্বার বাদশাহ আমাকে মৃত দেখিয়ে আরেকজনের নামে কিভাবে টাকা খেয়ে ভাতার টাকা পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমি জীবিত থাকার পরও মেম্বার আমাকে মৃত দেখাল। আমি গরিব মানুষ। আমার কোন ছেলেমেয়ে নাই। এই টাকা দিয়ে ওষুধ খেয়ে বেঁচে আছি। আমি এর বিচার চাই।

    এ বিষয়ে মেম্বার বাদশাহ বলেন, প্রথমবারের মতো এমন ভুল করেছি। সামনের দিকে সর্তকতার সাথে কাজ করব।

    এ বিষয়ে নন্দুয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারী বলেন, জীবিত মানুষ মৃত দেখিয়ে ভাতার কার্ড পরিবর্তনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে মেম্বার যদি করে থাকেন তাহলে খুবই খারাপ করেছে।

    এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত, একটি প্রত্যয়ন পত্রের ভিত্তিতে জানতে পারি, জেলেখা বেগম ৭ ডিসেম্বর ২০২১ এ মৃত্যু বরণ করেন। তাই ভাতাটি বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু মৃত্যু সনদ ছাড়া ভাতা পরিবর্তনের সুপারিশ দ্বারা কিভাবে এটি হয়, যেখানে বিধিমালায় উল্লেখ রয়েছে। (ভেরিফাই ডট ডি বি আর আই এস ডট গভ ডিবি) ওয়েবসাইটে মৃত্যু সনদ যাচাই ছাড়া সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর কাউকে মৃত্যু দেখাতে পারবেনা। সাংবাদিকের এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের এভাবেই হয়। আমরা এভাবেই করে থাকি, প্রত্যায়ন পত্র দেয় উনারা এটি প্রতিস্থাপন করে থাকি।

    এ ছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমাজসেবা অফিসে প্রেরিত প্রত্যায়নটির কোন তথ্য ইউনিয়ন পরিষদের ফাইলে সংরক্ষন করা হয়নি।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, এটি সংশোধনের কার্যক্রম চলমান। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন,এটি একটি  গুরুত্বর অভিযোগ। আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

  • উল্লাপাড়ায় সাব-রেজিষ্ট্রার ও টিসি’র বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ।

    উল্লাপাড়ায় সাব-রেজিষ্ট্রার ও টিসি’র বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে বন্টননামা দলিল, কমিশন দলিল, দানপত্র ঘোষণা দলিল, অকৃষি ও বাণিজ্যিক মিল, চাতাল শ্রেণির ভূমির দলিলে ৬% উৎস করের চাপে ফেলে দলিল গ্রহীতার কাছ থেকে করের নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট করে নিচ্ছে সাব-রেজিষ্ট্রার অনিমেষ পাল ও টিসি মহরার সালমা খাতুন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে দলিল লেখকদের উল্টো লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিচ্ছেন টিসি মহরার সালমা ও সাবরেজিস্টার। ভুক্তভোগী দলিল লেখক ও দলিল গ্রহিতারা ভুমি রেজিষ্ট্রির নামে অবৈধ অর্থ আদায় বন্ধসহ সাব-রেজিষ্ট্রার অনিমষ ও টিসি মহরার সালমার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি তদন্তপূর্বক উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পরিচালক দুদক, আইন মন্ত্রণালয় ও সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে।

    ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, সরকার ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের প্রতিটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসকে দুর্নীতি মুক্ত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু উল্লাপাড়া সাব-রেজিষ্ট্রার ও টিসি মহরার সালমার অবস্থান এর বিপরীত। তারা প্রকাশ্যেই গ্রহন করে চলেছেন কোটি কোটি টাকার ঘুষ! যেন দেখার কেউ নেই।

    অভিযোগের সূত্রধরে দলিল লেখক ও দলিল গ্রহীতারা জানান, সাব-রেজিস্টার অনিমেষ ২০২১ সালে এই অফিসে যোগদানের পরপরই তার পছন্দের টিসি মহরার সালমা খাতুনকে সলঙ্গা থেকে বদলি করে উল্লাপাড়া অফিসে নিয়ে আসেন। তারপর থেকেই সাব রেজিস্ট্রার অনিমেষ ও মহরার সালমা যোগসাজস করে উল্লাপাড়ার সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসকে ঘুষের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করে তুলেছে। ঘুষের সমঝোতা ছাড়া কোন রকম দলিল রেজিষ্ট্রি হয় না এই অফিসে। দলিল রেজিষ্ট্রির নামে এই দুই কর্মকর্তা দিনের পর দিন মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ আদায় করায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ব্যক্তিবর্গ।

    সাব-রেজিস্ট্রারের এজলাসে দেখা গেছে, সাব-রেজিস্ট্রার অনিমেষ কুমার পালের আর্শিবাদপুষ্ট টিসি মহরার সালমা খাতুন দলিল নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। দলিল রেজিস্ট্রির জন্য নির্ধারিত আয়কর ও ভ্যাটের টাকা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে জমা দেওয়ার পরও দলিল প্রতি অতিরিক্ত ঘুষের টাকা আদায়ে মহাব্যস্ত থাকেন টিসি মহরার সালমা। দলিল লেখকের ফি, স্ট্যাম্প ফি, এন ফিসের টাকা বাদ দিয়ে বাকি টাকা সাব-রেজিষ্ট্রার অনিমেশ ও টিসি মহরার সালমার ঘুষ সিন্ডিকেটে জমা পড়ে। সেরেস্তায় সিন্ডিকেটের টাকা ব্যতীত কোন দলিলে সই করেন না সাব-রেজিস্ট্রার। এছাড়াও দলিলে বিভিন্ন ত্রুটি দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা লোপাট করে নিচ্ছে এই সিন্ডিকেট। এদিকে দলিলের নকল তুলতেও গ্রাহককে গুণতে হয় সরকারি ফি’র দ্বিগুণ টাকা। প্রতিনিয়ত সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ঘুষ আদায় করছে লাখ লাখ টাকা। এতে উল্লাপাড়ার সাধারণ মানুষ সাব-রেজিস্ট্রার অনিমেষ ও টিসি মহরার সালমার ঘুষ কেলেংকারীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

    অভিযোগ পাওয়া গেছে, উল্লাপাড়া সাব-রেজিষ্টি অফিসে বিগত ২৯ ডিসেম্বর- ২০২১ ইং তারিখের রেজিষ্ট্রিকৃত ৮১৯৯, ৮২০১ ও ৮২০০ নং তিনখানা ৯ লাখ, ৯ লাখ ও ১২ লাখ টাকার দলিলে শ্রেণি হিসেবে মিল উল্লেখ থাকায় দলিল গ্রহীতার কাছ থেকে ৬% টাকা সরকারি ভ্যাট (অতিরিক্ত) আদায় করেন সাবরেজিস্টার অনিমেষ পাল। এ বিষয়ে দলিল লেখক মো: নজরুল ইসলাম (সনদ নং- ৫০) টিসি মহরার সালমার সঙ্গে ৮০ হাজার টাকা ঘুষের মাধ্যমে বিষয়টি রফাদফা করে শেষ করেন। এভাবে সরকারি উৎস কর আদায় করে ব্যক্তিগত ঘুষ হিসেবে গ্রহন করায় সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

    টিসি মহরার সালমা সামান্য বেতনে চাকরী করেও উল্লাপাড়া পৌরশহরের শ্রীকোলা দক্ষিণপাড়া মহল্লায় গড়ে তুলেছে বিশাল আধুনিক বহুতল ভবন। স্থানীয়দের ধারণা, নির্মাণাধীন এই বহুতল ভবনে ব্যয় হবে প্রায় ৩ কোটি টাকা। তার এই অগাধ টাকার উৎস কোথায় ? সাব-রেজিষ্টার অনিমেষ পালেরও রয়েছে বগুড়া ও ঢাকা শহরে বিদেশী স্টাইলের দুইটি আধুনিক বাড়ী ও নামে- বেনামে ব্যাংক ব্যালেন্স।

    সর্ব সাধারণ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজন এই দুর্নীতিবাজ সাবরেজিস্টার অনিমেষ পাল ও টিসি মহরার সালমার দৌরাত্ম থেকে বাঁচার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

    টিসি মহরার সালমা তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি আমার অফিসের বসের নির্দেশ পালন করে শুধু কাজ করি। তার নির্দেশের বাইরে যেতে পারবো না।

    উল্লাপাড়ার সাব-রেজিস্ট্রার অনিমেষ কুমার পাল বলেন, উল্লেখিত যে সমস্ত অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে তা মনগড়া ও মিথ্যা। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বাড়ী গাড়ী ও ব্যাংক ব্যালান্সের প্রশ্নই ওঠে না।

    সিরাজগঞ্জ জেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • ভিজিএফের চাল মিল থেকে উদ্ধার ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল কম দেয়ার অভিযোগ।

    ভিজিএফের চাল মিল থেকে উদ্ধার ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল কম দেয়ার অভিযোগ।

    ঈদের আগে গরিবের ভিজিএফের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জনপ্রতি ১০ কেজির পরিবর্তে ৭-৯ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। তবে চাল কম দেওয়ায় চেয়ারম্যানকে বলতে গেলে উল্টো বলেন ফ্রি চাল পাও এতেই বেশি আবার অভিযোগ। এতে ক্ষুদ্ধ দেবীপুর  ইউনিয়নের সুবিধাভোগীরা।

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে। দরিদ্র ও অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের চাল না দিয়ে স্বচ্ছল ব্যাক্তিদের চাল দেওয়ার অভিযোগ ও তুলেন ভুক্তভোগীরা। সোমবার (১৭ এপ্রিল) সদরের বেশকয়েকটি ইউনিয়নে হত-দরিদ্রদের মাঝে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হয়।

    দেবীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা বৃদ্ধ জয়নুল আবেদীনসহ আরো দু’জন টিপ সই দিয়ে ভিজিএফ’র ত্রিশ কেজী একটি খোলা চালের বস্তা নেন। দোকানে ওজন দিয়েন দেখেন চাল ত্রিশ কেজী নয়, ছাব্বিশ কেজী। বাকি চাল উধাও। এ কথা চেয়ারম্যানকে বলতে গেলে চেয়ারম্যান রেগে গিয়ে বলেন ফ্রি চাল পাচ্ছেন এটাই বেশি।

    একই ইউনিয়নের তরিকুল ইসলাম সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অপেক্ষার পর তিনজন মিলে ত্রিশ কেজি চাল পান। তিনিও বাইরে এক দোকানে চালের বস্তাটি ওজন দিয়ে দেখেন ত্রিশ কেজী চালের বদলে চাল হচ্ছে সাতাশ কেজি। বাকি তিন কেজী নেই। তরিকুল চেয়ারম্যানকে এ কথা বলতে যাবে এমন সময় রাস্তায় থাকা পরিষদের দু’জন সদস্য থামিয়ে দিয়ে বলেন চেয়ারম্যানের অনেক রেগে আছে চাল যা পাইছেন তা নিয়ে চলে যান। পরে সমস্যা হতে পারে।

    তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের অভিযোগ বলেন, প্রায় ২৫ জন চাল ওজন দিলো কিন্তু কেউ সঠিক ভাবে চাল পাইনি। কেউ পেয়েছে সাত-আট কেজী আবার কেউ নয় কেজী। কিছু বললেই চেয়ারম্যান রাগ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

    অভিযোগ রয়েছে, ওই ইউনিয়নে অস্বচ্ছলদের ভিজিএফ’র কার্ড না দিয়ে স্বচ্ছলদের কার্ড দিয়ে ভিজিএফ’র চাল প্রদান করা হয়। স্বচ্ছল ব্যাক্তিরা সেই চাল পেয়ে গরিবদের কাছে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়।

    চাল কিনতে আসা এক বৃদ্ধের সাথে কথা হয়। নামপ্রকাশ না করার সত্যে তিনি জানান, মুই গরিব মানুষ। মুই কোন চাউনের কার্ড পাওনি। কাহোও মোক কিছু দেনা। আজি শুনিনু বোডড (পরিষদ) নাকি চাউল দিবে। আসেহেনে শুনুনু লোকলা চাউল পাহেনে বিকাছে (বিক্রি)মুইহো মাইছের কাছত ৩০০ টাকা ধার করে দশ কেজী কিনিনু এলা দেখেছু আট কেজী। মোক গরিব লোকটাক ঠকাবা নাগিবে। কি লাভ মোক ঠকাহেনে।

    স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যারা প্রকৃত গরিব তারা যদি চাল না পাই তাহলে ভিজিএফ’র চাল কারা পাচ্ছে? যারা চাল পাচ্ছে তারা অনেকেই তা বিক্রি করে দিচ্ছে। বস্তা প্রতি আধাকেজী চাল কম মানা যায় কিন্তু চার থেকে পাঁচ কেজী। বাকি চালগুলো কথায় যাচ্ছে? কে খাচ্ছে?। চেয়ারম্যানকে বলতে গেলে তিনি উগ্র ভাষায় বলে যে ফ্রি চাল পাচ্ছে এটাই বেশি আবার অভিযোগ। চেয়ারম্যানের এমন কথায় মনে হচ্ছে তিনি তার নিজের টাকায় কিনে চালগুলো দিচ্ছে।

    তারা আরো বলেন, এতো অভিযোগ তবুও কোন ব্যবস্থা নেয়া না স্থানীয় প্রশাসন। ইউএনওকে  অভিযোগ দিলে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে তিনি কোন ব্যবস্থা নেয় চেয়ারম্যান নিজের ইচ্ছেমতো যাচ্ছেতাই ভাবে পরিষদ চালাচ্ছে। শুধু চাল নয়, আরো অসংখ্য অনিয়মের অভিযোগ আছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।যারা সত্যিকারেই অসহায় দু’একজন ছাড়া বাকিরা কেউ কোন সুবিধা পাইনা বলে অভিযোগ তাদের।

    তবে চাল কম দেওয়ার ব্যাপারে চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি সংবাদকর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, চাল কম দিচ্ছি কি দিচ্ছি না এটা আমি বুঝবো আর যারা নিচ্ছে তারা বুঝবে। আপনারা কথা বলার কে?। কত সাংবাদিক এলো গেলো কেউ কিচ্ছু করতে পারেনি আমার। নিউজ করে কোন লাভ নেই। কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে তিনি সংবাদকর্মীদের উপর তেরে আসেন।

    একই চিত্র সালন্দর ইউনিয়নেও। সেখানে চাল বিতরণের সময় প্রত্যেক কার্ডধারিদের চার থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে বিষয়টি সদর উপজেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ পূর্ণবাসন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানাতে পেরে চাল বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। পরে তিনি নিজেই পরিষদে গিয়ে চাল বিতরণ করেন। সালন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে এলাহী মুকুট চৌধুরী জরুরী কাজে শহরের বাইরে থাকায় প্যানেল চেয়ারম্যান এমনটা করেছে বলেন জানান এ কর্মকর্তা।

    অন্যদিকে, গত সোমবার বিকেলে রুহিয়া থানায় সবুজ সাথী হাসকিং মিলের গোডাউন থেকে ২৮ বস্তা ভিজিএফের চাল উদ্ধার করেন সদর উপজেলা প্রশাসন।

  • মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানের নামে সাত লাখ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ। 

    মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানের নামে সাত লাখ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ। 

    সরকারের দেয়া দরিদ্র মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানের নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তার ও ইউসিবি ব্যাংকের এজেন্ট ফজলে এলাহী (বাবু)’র বিরুদ্ধে। মাসের পর মাস ধর্না দেয়ার পর টাকা না পেয়ে হয়রানী আর ভোগান্তির শিকার হয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিস্ট চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারীরা।
    স্থানীয়দের অভিযোগ, উদ্যোক্তার পদে বসেই তিনি সেবাপ্রত্যাশীদের জিম্মি করে উপার্জন করছেন অবৈধ অর্থ। সম্প্রতি ওই ইউনিয়নের ছয়শতাধিক নারীর গর্ভকালীন ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ এ উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে। গত তিন বছর ধরে ওই উদ্যোক্তা প্রতারণার মাধ্যমে এসব দরিদ্র নারীর ভাতার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। সমাজের অবহেলিত এসব নারীর ভাতার অর্থ আত্মসাৎ করায় ওই উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
    জানা যায়, দেশের হতদরিদ্র পরিবারের নারীদের সরকার মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করে থাকে। প্রতি জন নারীকে মাসে ৮০০ টাকা করে মোট ৩৬ মাস এ ভাতা প্রদান করা হয়। ওই ইউনিয়নের ৬৪৮জন হতদরিদ্র নারীকে মাতৃত্বকালীন ভাতার আওতায় আনা হয়। ইউনিয়ন উদ্যোক্তার মাধ্যমে এ ভাতা বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়।
    দুই সন্তানের জননী জয়ন্তী রানী। শ্রমিক স্বামীর আয় আর বাড়িতেই সময় অসময়ে সেলাই কাজের উপার্জিত সামান্য অর্থে চলে অভাবের সংসার। শুধু জয়ন্ত রানী নয়, তার মতো ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের সালমা, সুমী ও জেসমিন আক্তারের পরিবারের দিন কাটে অভাব অনটনে।
    এমন অনেক অসহায় পরিবারকে সংশ্লিস্ট ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করছে সরকার। যার অর্থ আসে ইউসিবি এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যেমে। কিন্তু সহজ সরল এসব পরিবারের সুবিধাভোগীদের ভুল বুঝিয়ে মোবাইলের পাসওর্য়াড ও ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে কৌশলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে নারগুন ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ও ইউসিবি ব্যাংকের এজেন্ট ফজলে এলাহী (বাবু)।
    এরই মধ্যে সুবিধাভোগীদের কয়েকশ নারীর সাত থেকে আট লাখ টাকা মাতৃত্বকালীন ভাতা হাতিয়ে নিয়েছে ওই উদ্যোগতা। আর টাকা উদ্ধারে প্রতিদিনিই ইউনিয়ন পরিষদে ভীড় করছেন ভুক্তভোগী নারীরা। লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে টাকা আত্মসাতের পর থেকে পলাতক রয়েছে ওই উদ্যোগতা।
    ভুক্তভোগী নারীরা অভিযোগ করে বলেন, মাসের পর মাস ধর্না দিলেও প্রশাসন সেই উদ্যোগতার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা গরীব বলেই সরকার আমাদের টাকা দিচ্ছেন। আর সেই টাকা আত্মসাত করে ঘুরে বেড়াচ্ছে উদ্যোগতা ফজলে এলাহী বাবু। আমরা চাই তাকে আইনের আওতায় এনে টাকা আদায় করা হোক।
    মাতৃত্বকালীন অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে দ্রুত সিন্ধান্ত নিয়ে নারগুন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেরেকুল ইসলাম জানান, উদ্যোগতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রেজুলেশন করে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হবে।
    সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান জানান, কোন মায়ের টাকা যেন আত্মসাত করতে না পারে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
  • উল্লাপাড়ায় সরকারি গাছ কাটার অভিযোগে গ্রেফতার-১।

    উল্লাপাড়ায় সরকারি গাছ কাটার অভিযোগে গ্রেফতার-১।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের (সলপ-বলরামপুর রাস্তার) পঞ্চক্রোশী গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃত আক্তার হোসেনের বাড়ীর সামনের রাস্তার ধার থেকে গাছ কাটার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে উপজেলা প্রশাসন। উল্লাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভুমি)’র পক্ষে পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম ২ জনকে এজাহারভুক্ত ও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে এই মামলা দায়ের করে। বুধবার সকালে পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শাহজাদা শাহ পারভেজ (৪০) কে উল্লাপাড়া বাজার থেকে গ্রেফতার করে। পারভেজ উপজেলার পঞ্চক্রোশী গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা আক্তার হোসেনের ছেলে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন তাদের নিজস্ব জমির জায়গা থেকে গাছ কাটা হয়েছে।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ পরিদর্শক মোঃ অপু হোসেন জানান, উল্লাপাড়া সহকারী কমিশনারের দপ্তরে এলাকাবাসী উপজেলার পঞ্চক্রোশী গ্রামের রাস্তা থেকে ৫টি মেহগনি ও ৩ টি ইউক্লেভটার গাছ কাটার অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইশরাত জাহান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৯ জানুয়ারি-২৩ ইং তারিখে প্রশাসনের পক্ষে মামলা দায়ের পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মোঃ মঞ্জুরুল আলম। মামলার প্রেক্ষিতে উল্লাপাড়া পৌর বাজার থেকে পারভেজ (৪০) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়।

    মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য মাঈনুল কবির জানান, পারভেজ আমাদের নিজস্ব জমির জায়গা থেকে গাছ কাটে। উল্লাপাড়া সহকারী কমিশনা (ভুমি) ইশরাত জাহান জোরপূর্বক গাছগুলো তুলে নিয়ে যায় এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সহ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এই মিথ্যা মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

    উল্লাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইশরাত জাহান বলেন, এনজিও কতৃক সরকারি রাস্তায় লাগানো গাছ কাটার অপরাধে ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, সরকারি রাস্তার গাছ কাটা মামলায় একজনকে আটক করে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

  • কানাইঘাটে পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।

    কানাইঘাটে পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।

    কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ

    কানাইঘাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের টি.আর কর্মসূচীর আওতায় একটি প্রকল্পের রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ না করে পুরো টাকা আত্মসাতের দায়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।গত সোমবার ৭নং ওয়ার্ডবাসীর পক্ষে মহেশপুর গ্রামের বশির উদ্দিনের ছেলে শামীম আহমদ বাদী হয়ে আরো অনেকের স্বাক্ষর সম্বলিত এ অভিযোগ দায়ের করেন।

    এছাড়াও অভিযোগের অনুলিপির কপি সংশ্লিষ্ট আরো বিভিন্ন কর্মকর্তার বরাবরে দেয়া হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন (টি.আর)কর্মসূচীর আওতায় পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মহেশপুর খলার হাজী মরতুজ আলীর বাড়ির উত্তরের রাস্তা
    হইতে দক্ষিণ দিকে গ্রামীন পাঞ্জেগানা মসজিদ পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাট প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ৫৮ হাজার টাকা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমির উদ্দিন কোন কাজ না করে আত্মসাত করেছেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকারের টি.আর কর্মসূচীর আওতায় নতুন রাস্তার মাটি ভরাটের জন্য ৫৮ হাজার ১৪৬ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু কাউন্সিলর জমির উদ্দিন প্রকল্পের কোন কাজ না করে বরাদ্দকৃত ৫৮ হাজার টাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বিল উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। ওয়ার্ডের লোকজন কাজের ব্যাপারে জানতে চাইলে কাউন্সিলর জমির উদ্দিন কোন সঠিক জবাব দেননি।

    অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে প্রকল্পের কাজেরস্থলে সরেজমিনে গেলে সেখানে উপস্থিত ওয়ার্ডের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মাসুক আহমদ, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহীন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলা উদ্দিন আলাই, ব্যবসায়ী আলমাছ উদ্দিন সহ আরো অনেকে বলেন, হাজী মরতুজ আলীর বাড়ির উত্তরের রাস্তা হতে দক্ষিণ দিকে গ্রামীন পাঞ্জেগানা মসজিদ পর্যন্ত নতুন এই রাস্তায় মাটি ভরাট প্রকল্পের কোন কাজ হয়নি। কাউন্সিলর জমির উদ্দিন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে রাস্তার মাটি ভরাটের কাজের বিল উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন। তারা তদন্ত পূর্বক এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

    এ ব্যাপারে পৌর মেয়র লুৎফুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রকল্পের মূল জায়গায় কাজ না হয়ে পশ্চিম পাশে রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ হয়েছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমির উদ্দিন জানান, যে প্রকল্পের মাটির কাজ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেটি সঠিক নয়। মূলত মরতুজ আলীর বাড়ির পশ্চিম পাশের্ব রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ প্রকল্প ছিল, প্রকল্পের পুরো টাকার কাজ করার পর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরেজমিনে কাজ দেখে বিল পাস করেছেন।

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অফিসের বাইরে আছি। আমরা প্রকল্পের কাজের ছবি দেখে বিল পাস করি। এলাকাবাসীর অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে দেখা হবে বলে তিনি জানান।

  • তাড়াশে নিকাহ রেজিষ্টারে কাবিলের টাকা আকাশ ছোঁয়া জেলা রেজিষ্টার অফিসে অভিযোগ।

    তাড়াশে নিকাহ রেজিষ্টারে কাবিলের টাকা আকাশ ছোঁয়া জেলা রেজিষ্টার অফিসে অভিযোগ।

    তাড়াশ প্রতিনিধি:

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিয়ের রেজিষ্টারে কাবিলের টাকা আকাশ ছোঁয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা নিকাহ রেজিষ্টার অফিস সহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তি। বিগত ১-৯-২০১৭ তারিখে উপজেলার তাড়াশ পৌরসভার উলিপুর গ্রামের মোঃ আরশেদ আলীর ছেলে মোঃ মোতালেব হোসেনের সহিত একই গ্রামের মোঃ আবু বক্কারের মেয়ে মোছাঃ হাবিবা খাতুন (সুমি)’র বিবাহ হয়। দেশীগ্রাম ইউনিয়ন নিকাহ রেজিষ্টার মোঃ মোবারক হোসেন কাজি বিবাহ রেজিষ্টারে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন মোহর ধার্য করে লিপিবদ্ধ করেন। এর পর থেকেই ছেলে মোঃ মোতালেব হোসেন বিবাহর রেজিষ্টারের নকল কপি চাইলে কাজি মোঃ মোবারক হোসেন তাল বাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে জোড় দাবিতে বিবাহর নকল চাইলে কাজি মোঃ মোবারক হোসেন বলেন কাবিলের জাবেদা দেওয়া যাবেনা। পরে ওই গ্রামের আব্দুল মালেক কাজির কাছে ফোন দিলে কাজি মোঃ মোবারক হোসেন বলেন কাবিলের ভলিয়ম বই কোর্টে জমা দেওয়া আছে। এদিকে কাজি মোঃ মোবারক হোসেন মোছাঃ হাবিবা খাতুন (সুমি)’র নিকটতম আপন জন চাচা হওয়ায় মোঃ আবু বক্কারের সাথে যোগ সাজসে কাবিলের জাবেদানে ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা বসিয়েছে। এ যেন আকাশ ছোঁয়ার মত। জানা গেছে, নিকাহ রেজিষ্টারে অংকে লিখা হলেও কথায় লিখা হয় নি ঘর ফাঁকা ছিল। মিথ্যা,জালিয়াতি, দুর্দান্ত্ম,দাঙ্গাবাজ ও প্রতারনা করায় এক পর্যায়ে মোঃ মোতালেব হোসেন মোকাম বিজ্ঞ তাড়াশ থানা জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত সিরাজগঞ্জে অভিযোগ করেন।

    নিকাহ রেজিষ্টারে জালিয়াতি করা হয়েছে মর্মে উলিপুর গ্রামের মৃত কছির খাঁর ছেলে মোঃ আঃ মালেক,খুটিগাছা গ্রামের মৃত আবু হানিফ মিঞার ছেলে মোঃ গোলাম রাব্বানী ও মোঃ জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোঃ আব্দুস সালাম ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোকাম সিরাজগঞ্জের নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামা দিয়ে বলেন, উলিপুর গ্রামের মোঃ আরশেদ আলীর ছেলে মোঃ মোতালেব হোসেনের সহিত একই গ্রামের মোঃ আবু বক্কারের মেয়ে মোছাঃ হাবিবা খাতুন (সুমি)’র বিবাহ হয় আলোচনা সাপেÿে। সবার মধ্যে আলোচনা করে ১ লÿ ২০ হাজার টাকা দেন মোহর ধার্য করে নিকাহ রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়। বিবাহের সময় কাবিলনামার ১৩নং কলামে দেনমোহরানার ঘর ফাঁকা রেখে নিকাহ রেজিষ্টার কাবিলনামার সকল ঘর পুর করে বর ও কনের স্বাÿর গ্রহন করে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়।

    এ ব্যাপারে তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল শেখ মোকাম বিজ্ঞ তাড়াশ থানা জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত সিরাজগঞ্জের মামলা ৮৪/২০২০ তদন্ত্ম করে ১৮-১-২০২১ তারিখে প্রতিবেদন দাখিল করেন।দাখিলে উলেস্নখ করেন কাজি মোঃ মোবারক হোসেনকে ৩বার নোটিশ করার পরেও তিনি আমার কার্যালয়ে হাজির হন নি। এছাড়াও গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্ত্ম করে দেখা যায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা কাবিল লেখার সময় ইউপি সদস্য বর্তমান পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন। ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লেখার সময় ঘর একটু ফাঁকা রাখা হয়। এতে পরিলক্ষিত হয় য়ে, কাজি সাহেব তার নিজের ভাতিজির কারনে দেন মোহরের পরিমান ১ লাখ ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা করেছেন। এছাড়াও আমার নিকট আরও প্রতিয়মান হয় যে,নামিক বাদি ও বিবাদির স্টাটাস অনুযায়ী ১২ লাখ২০ হাজার টাকার দেন মোহর ধার্য করা অস্বাভাবিক। অতিরিক্ত টাকা বাড়ানো হয়েছে।

  • রাণীশংকৈলে আবাসিক এলাকায় করাতমিল, উচ্ছেদে ইউএনও বরাবরে অভিযোগ।

    রাণীশংকৈলে আবাসিক এলাকায় করাতমিল, উচ্ছেদে ইউএনও বরাবরে অভিযোগ।

      ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল পৌরশহরের আবাসিক এলাকার সন্ধারই গ্রামে সম্প্রতি একটি করাতমিল স্থাপন হয়েছে। মিলটি ৩২ হর্সের শ্যালো মেশিন দিয়ে চালানো হয়। এর বিকট শব্দে আশাপাশের বাসিন্দারা কঠিন শব্দ দুষনের মধ্যে রয়েছে দাবী করে ওই এলাকার বাসিন্দা খুরশিদ আলম শাওন মিলটি স্থায়ী বন্ধ ও উচ্ছেদের জন্য উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে গতকাল বুধবার একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
    অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, রাণীশংকৈল পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ড সন্ধারই গ্রামের অর্ন্তগত প্রধান সড়ক ঘেঁষা আবাসিক এলাকায় সন্ধারই সাতঘরিয়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে বাবুল ইসলাম জমি ভাড়া নিয়ে অবৈধভাবে করাত মিল স্থাপন করেছেন।
    মিল স্থাপনের পর হতেই পরিবেশ ও শব্দ দুষনসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে অভিযোগকারীর বাড়ীর সন্নিকটে করাতমিলটি হওয়ায় সবচেয়ে বেশি শব্দ ও পরিবেশ দুষনের মধ্যে রয়েছেন বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ্য করেন।
    অভিযোগে আরো উল্লেখ্য করা হয়, মিল মালিক বাবুল ইসলামকে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্বেও সে অবৈধ ক্ষমতার জোরে করাতমিলটি চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে আবাসিক এলাকার শিক্ষার্থীরাসহ বাসিন্দারা অসহনীয় শব্দদূষণে পড়েছেন। করাতমিলটি স্থায়ী বন্ধসহ সেখান থেকে অপসারণের জন্য তিনি অভিযোগে জোর দাবী জানান।
    এ বিষয়ে করাতমিল মালিক বাবুল ইসলাম কোন কথা বলতে রাজি হননি।
    উপজেলা বন কর্মকর্তা শাহাজাহান আলী মুঠোফোনে বলেন, বাবুল ইসলামকে অবৈধভাবে মিল স্থাপনের জন্য ইতিমধ্যে একবার ভাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ওই করাতমিলটির কোন অনুমোদন নেই।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।