Tag: অভিযোগ

  • খালেদা জিয়ার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠন ১৬ নভেম্বর।

    খালেদা জিয়ার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠন ১৬ নভেম্বর।

    গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বি এন পি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন মহামান্য আদালত।

    ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক আলী হোসেন এ দিন ধার্য করেন। সোমবার আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।আদালতের সূত্রে মতে জানা যায় গ্যাটকো দুর্নীতির মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিলো।

    কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অভিযোগ গঠন করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। বর্তমান আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেন আদালতের বিচারক।

    ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচাল গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন।

    মামলা দায়েরের পরের দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে গ্রেফতার করা হয়।

  • বালুদস্যুর অভিযোগ ধামাচাপা দিতে আ,লীগ অফিসে চেয়ারম্যানের প্রতিবাদসভা।

    বালুদস্যুর অভিযোগ ধামাচাপা দিতে আ,লীগ অফিসে চেয়ারম্যানের প্রতিবাদসভা।

     

    বালুদস্যুর অভিযোগ ধামাচাপা দিতে সিরাজগঞ্জ এনায়তেপুর থানা সৈদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম সেরাজ তার পক্ষে প্রতিবাদ সভা করিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৯ (আগস্ট) বৃহস্পতিবার সকালে এনায়েতপুর- বেতিল বাজারে প্রতিবাদসভার আয়োজন করা হলে স্থানীয় লোকজনের ধাওয়ায় খেয়ে বিতারিত হয়ে পরে এনায়েতপুর থানা আ’লীগ অফিসে প্রতিবাদ সভা করেন। চেয়ারম্যান নিজের অপরাধ ঢাকতে থানা আ’লীগ অফিসে কিভাবে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন এ বিষয়ে এনায়েতপুর থানা আ’লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছেন। এই প্রতিবাদ সভার তীব্রনিন্দা জানিয়েছেন।

    এদিকে বালু দস্যু ও সংখ্যালঘুদের বাড়ি দখল অভিযোগ ধামাচাপা দিতে চেয়ারম্যানের আ,লীগ অফিসে এ প্রতিবাদ সভা করা কে মানুষ ছি ছি করছে আর বলছে অভিযোগ ঢাকতেই এই প্রতিবাদ সভা করেন। ইউনিয়নের লোকজনকে অর্থের আশ্বাস আর ভয় ভীতি দেখিয়ে এ প্রতিবাদ সভা লোকজন জড়ো করেন স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

    উল্লেখ্য, ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমিতে অবৈধ ভাবে বালু মহাল স্থাপনের প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জের এনায়তপুর থানার সৈদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম সিরাজের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে।

    বৃহস্পতিবার (১২ আগষ্ট) সকাল সাড় ১০টার দিকে এনায়েতপুর-সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের বেতিল বাজারে আধাঘটা ব্যাপী এ কর্মসুচিতে সৈদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি সিরাজুল আলম মাস্টারের সভাপতিত্বে এনায়েতপুর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ, আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনি, সাবেক ইউপি সদস্য নূর মাহাম্মদ সিকদার, গোলাম হোসন, রজব আলী, যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান হাফিজ, মনসুর আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সৈদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম সিরাজ যমুনার চরের ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমিতে জোরপূর্বক অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। এছাড়া গত জুন মাস আমাদের ব্যাক্তিগত জমিতে বালু মহাল করার জন্য ডিসির কাছ আবেদন করেছে। তার এই অপতৎপরতা আমরা কখনো মেনে নেবোনা। যদি বালু মহালের অনুমতি দেয়া হয় তবে আমরা হাজার হাজার মানুষ লংমার্চ ও ডিসি অফিস ঘেরাও কর্মসুচি দেবো। তারা আরও বলেন, সিরাজ চেয়ারম্যান এমপি মমিন মন্ডলকে সংস্পর্শ থেকে তাকে কৌশলে ঢাল হিসবে ব্যবহার করে খামারগ্রামের হিদুদের বাড়ি দখলসহ প্রভাব খাটিয়ে সাধারন মানুষকে অত্যাচার অবিচার করছে। এখন তার চোখ পড়েছে আমাদের জমিতে সরকারী বালু মহাল করার জন্য। প্রশাসনের কাছে দাবী তার বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হোক। তা না হলে আমরা যে কোন মুল্য তার অত্যাচার প্রতিহত করবো।

  • সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ।

    সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ।

    সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় মেজবাহ উদ্দিন(৪৫)নামের এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লুৎফর রহমান গং এর বিরুদ্ধে। নিহত মেজবাহ উদ্দিন সলঙ্গা থানার নলকা ইউনিয়নের পূর্ব ফরিদপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।

    মঙ্গলবার (১৭ আগষ্ট) সন্ধ্যায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    নিহতের পরিবারিক সূত্রে জানা যায় দীর্ঘদিন হলো মেজবাহ উদ্দিনের সাথে একই গ্রামের মৃত আমিরের ছেলে লুৎফর রহমানের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

    মঙ্গলবার ভোরে লুৎফর রহমান ও তাঁর সহযোগীরা বিষ্ণপুর এলাকায় ফুলজোড় নদীর তীরে মেজবাহ উদ্দিনের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় তাকে বেধড়ক মারপিটি করে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।

    পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মেজবাহ উদ্দিনকে উদ্ধার করে প্রথমে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনানেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে মারা যান তিনি।

    সলঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের মরদেহ বগুড়া শজিমেকে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তিনি বলেন, ওই গ্রামের লুৎফর রহমান হকের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল মেজবাহ উদ্দিনের। সেই বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার ভোরে তার উপর হামলা চালিয়েছে লুৎফর রহমান ও তার ছেলেরা। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চলছে।

  • ঢাকার সাভারে নানা শ্বশুর ও মামা শ্বশুরকে মারধরের অভিযোগের ঘটনায় আটক-২

    ঢাকার সাভারে নানা শ্বশুর ও মামা শ্বশুরকে মারধরের অভিযোগের ঘটনায় আটক-২

    সাভারে নাতনিকে দেখতে আশায় নানা ও মামাকে হাত বেধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জামাই ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এঘটনায় সাভার মডেল থানায় ভুক্তভোগীর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট ) সাধাপুর কাজীপাড়া গ্রামের আব্দুল হোসেন, জালালসহ বেশ ক’জন জানান প্রায় ১৩ মাস আগে সিংগাইর উপজেলার খাসেরচর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে ছানিয়া আক্তারের সাথে সাভারের বনগাও ইউনিয়নের সাধাপুর কাজীপাড়া গ্রামের বসির মহাজনের বখাটে ছেলে আবুল কালামের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে গত ১০ আগস্ট মেয়ের নানা আব্দুল মান্নান ও মামা শহীদ মোল্লা ছানিয়া আক্তারকে দেখতে তার শ্বশুর বাড়িতে আসলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নানা ও মামাকে হাত বেধে মারধর করেন মেয়ের জামাই আবুল কালাম ও আবুল কালামের বাবা বসির মহাজন।

    এসময় তাদেরকে মারধর করে সাধা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ সাড়ে চার হাজার টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন তারা। এক পর্যায়ে তাদেরকে একটি বাড়ির ছাদে নিয়ে আবারো মারধর করে হত্যার চেস্টা করলে এলাকাবাসী গভীর রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানায়।

    পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ও স্থানীয় এলাকাবাসী এ ঘটনার নিন্দা জানান এবং অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

    এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করে বসির মহাজন ও তার ছেলে আবুল কালাম এলাকায় অহরহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করলেও তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না।

    এদিকে ঘটনার সত্যতা জানতে বসির মহাজনের বাড়িতে গেলে সাংবাদিকদের দেখেই বাবা ও ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

    এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক নাজিউর রহমান জানান অভিযুক্তদের আজ ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সাভার মডেল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোঃ মাইনুল ইসলাম জানান এঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি জবর দখলের অভিযোগ

    মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি জবর দখলের অভিযোগ

    লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের কাকিনা রাজস্মৃতি সার্বজনীন মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে আয়নুল হক নামে এক মুসলিম পরিবারের ক্রয় কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক জবর দখল করে করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নে।

    কাগজপত্র থেকে জানা যায় যে, ১৯৪০ সালের সিএস মোতাবেক উল্লেখিগ জমির মালিক কুসুমকুমারী দেববা। তিনি ওই জমি ১৯৫৪ সালে খোরকান আলী ওরফে কোরবান আলীর নিকট ২৮ শতাংশ জমির মধ্যে ৪ শতাংশ জমি মন্দিরের জন্য দান করে অবশিষ্ট ২৪ শতাংশ জমি বিক্রয় করেন। ক্রয়সুত্রে উক্ত জমি ১৯৬২ সালে ২৭ শতাংশ জমি খোরকান আলী কোরবান আলীর নামে এস এ রেকর্ড ভুক্ত হয়।

    কোরবান আলী উক্ত জমি ১৯৭৪ সনে এস এ রেকর্ড মূলে ফজলুল হক ও আইনুল হক এর নিকট বিক্রয় করলে ১৯৯০ সনের বিএস রেকর্ড এ ফজলুল হক ও আমিনুল হকের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৭৪ সন হতে ২০১৮ সন পর্যন্ত উক্ত ক্রয় কৃত ২৭ শতাংস সম্পত্তি ভোগ দখল ও আজ না পরিশোধ করে আসছিলেন ফজলুল হক ও আইনুল হক এ দু;ভাই।

    সরোজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০আগস্ট দেখা যায় যে, মন্দির কমিটির পক্ষে লোকজন বাউন্ডারি ওয়ালের কাজ চলমান রেখেছেন।

    এ সময় তাদের নিকট মন্দির কমিটির লোকজনের সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর চাওয়া হলে উপস্থিত লোকজন তা দিতে অস্বীকার করেন। ফলে মন্দির কমিটির সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

    এ বিষয়ে জমির মূল মালিক ফজলুল হক বলেন, জমিটি আমরা ভোগ দখল করে আসছিলাম কিন্তু হঠাৎ করে উক্ত জমিটি রাতের আধারে মন্দির কমিটির লোকজন জবরদখল করে ফেলে এবং মন্দিরের জমি বলে দাবি করেন।

    এ বিষয়ে মন্দির কমিটি লালমনিরহাট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদালত একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করে কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মন্দির কমিটির লোকজন উল্লেখিত জমি বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

    এ বিষয়ে আমি গত ৬ আগস্ট কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কালীগঞ্জ থানার এসআই নাজমুল হক সরোজমিনে ঘটনা পরিদর্শন করে মন্দির কমিটিকে কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেন। মন্দির কমিটির লোকজন নিষেধ অমান্য করে কাজ চলমান রেখেছেন।

    এই বিষয়ে কাকিনা ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু অশ্বিনী কুমার পাল পাল এর সহিত যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কি সত্য মন্দির কমিটির লোকজন জায়গাটি দাবি করেছেন এ বিষয়ে আমার তেমন কিছু জানা নেই। তবে বিষয়টি দ্রুত খবর নিয়ে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

    অপরদিকে গত ১১ আগস্ট ( বুধবার) জমির মূল মালিক ফজলুল হক ও আইনুল হক কোন উপায় না পেয়ে লালমনিরহাট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ফলে উক্ত জমির উপর আদালত ১৪৪ ধারা নির্দেশনা জারি করেছেন।

    এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরজু মো: সাজ্জাদ হোসেন আদালতের নির্দেশনার কথা স্বীকার করে বলেন,, আদালতের নির্দেশনা পেয়ে তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

  • শাহজাদপুরে সংঘর্ষের ঘটনাকে লুটপাটের ঘটনা বানিয়ে থানায় অভিযোগ।

    শাহজাদপুরে সংঘর্ষের ঘটনাকে লুটপাটের ঘটনা বানিয়ে থানায় অভিযোগ।

    সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের রাস্তা দিয়ে চলাচল করা নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে দুই পরিবারের লোকজন হাতুড়ি, শাবল, লাঠিসোঁটা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।

    আহতরা হলেন, লালন (৪২), ফুলচাঁদ (৪২),আবু তাহের(২৬)। এদের মধ্যে আবু তাহেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পোরজনা গুচ্ছগ্রামের রাস্তাটি দিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ মোঃ রোশনাই ও আব্দুল ওহাবের পরিবারের লোকজন চলাচল করে আসছে। হঠাৎ করেই ২৯ জুলাই ওহাবের ছেলে আবু তাহের ভ্যান নিয়ে যাওয়ার সময় রওশন আলী তাহেরকে ওই রাস্তা দিয়ে যেতে নিষেধ করলে রওশন ও তাহের বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে অন্তত ৫ জন আহত হয়।

    এ ঘটনায় মোঃ ওহাব বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে বিবাদী পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের ঘরের আসবাবপত্র ভেঙ্গে লুটপাটের নাটক সাজিয়ে বাদী পক্ষকে ফাঁসানোর পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

  • সাংবাদিকের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজির অভিযোগে আ’লীগ নেতা আটক।

    সাংবাদিকের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজির অভিযোগে আ’লীগ নেতা আটক।

    মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের জন্য গৃহনির্মাণ প্রকল্পে অনিয়ম ও দূর্নীতির ভয় দেখিয়ে সাংবাদিক চকর মালিথার নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিকট থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে রায়গঞ্জ চান্দাইকোনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।

    মঙ্গলবার ( ৩ আগষ্ট) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের পৌরশহর রহমতগঞ্জ কাঠেরপুল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
    আটক সাইফুল ইসলাম রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোণা এলাকার মৃত আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে।

    সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম এ বিষয়ে রাত সাড়ে ৮টার সময় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে জানান, দেশের বিভিন্ন উপজেলায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গৃহনির্মাণ প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রচার হলে সরকার অনেককেই শাস্তি প্রদান করে। এই সুযোগে নিজেকে চ্যানেল আই এর সাংবাদিক চকর মালিথার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিকট মোবাইলে মোটা অংকের টাকা দাবী বরেন। টাকা না দিলে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করা হবে বলে হুমকি দেন।

    পরে ওই সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের মাধ্যেমে বিকাশে টাকা প্রদান করেন। তিনি ক্ষমতাশীন দলেন নেতা বলে বিভিন্ন সময় কেন্দ্রের নেতাদের নাম ব্যবহার করে নানা মূখী প্রতারনা করেছেন এমন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে।

    এরই ধারাবাহিকতায় বাঘের হাট পুলিশ সুপার সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা তাকে পৌরশহরের কাঠেঁরপুল এলাকা থেকে আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে সে নিজের দোষ শিকার করেছে ।

    সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরোও জানান,তার বিরুদ্ধে নানমুখি প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।ইতিপুর্বে তিনি কয়েক বার গ্রেফতার হয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।

    সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারহানা
    ইয়াসমিন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলামসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

  • বগুড়ার গোকুলে ভাড়াটিয়ার দোকান ভেঙ্গে জায়গা দখলের চেষ্টাঃ লুটপাটের অভিযোগ।

    বগুড়ার গোকুলে ভাড়াটিয়ার দোকান ভেঙ্গে জায়গা দখলের চেষ্টাঃ লুটপাটের অভিযোগ।

    বগুড়ার সদরের গোকুলে ভাড়াটিয়ার দোকান ভেঙ্গে জায়গা দখলের চেষ্টা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    জানা যায়, বগুড়া সদরের ধাওয়াকোলা মৌজার মহাস্থান উত্তরণ তেলের পাম্পের দক্ষিণ পাশে বড় ধাওয়াকোলা গ্রামের মৃত ক্যানেডি ও তার ভাই সেলিম খান নিজস্ব জায়গায় দোকান ঘর রয়েছে। এই দোকান গুলো বিভিন্ন জনের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সেখানে গাড়ীর বডি ও ইঞ্জিন মেরামত মার্কেট নামে পরিচিত। এই মার্কেটের মালিক সেলিম খান ও তার ভাই ক্যানেডির জমির সামান্য কিছু অংশ নিয়ে ঝামেলা চলছিল।

    সেলিম খানের দোকান ঘর প্রায় ৯বছর ধরে ভাড়া নিয়ে বগুড়ার জয়পুরপাড়া এলাকার টুকু সরকারের ছেলে সুমন সরকার নামের এক ব্যবসায়ী মাহিন গ্যাস ওয়ালিং ওয়ার্কসপ নামে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিনের ন্যায় সুমন সরকার রাতে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি যায়।

    রবিবার সকালে ব্যবসায়ী সুমন জানতে পারেন তার দোকানের পিছনের ওয়াল ভাঙ্গা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক তিনি ছুটে এসে দেখতে পায় দোকানের পিছনে সাইড ভাঙ্গা ও বেশকিছু মালামাল সড়ানো হয়েছে। পরে তিনি জানতে পারেন পাশের জমির মালিক মৃত ক্যানেডি খানের স্ত্রী ছামছুন্নাহার তার কিছু লোকজন নিয়ে দোকান ঘর ভেঙে জমি দখলের চেষ্টা করছিল।

    এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সুমন সরকার জানান, দোকানের জায়গা ক্যানেডির স্ত্রী ছামছুন্নার বেগম পাবে ঠিক আছে কিন্তু আমাকে না বলে হঠাৎ বীরদর্পে এসে দোকান ভাংচুর করে মূল্যবান মালামাল নষ্ট ও লুটপাট করা হলো কেন?

    এঘটনায় তিনি মামলা প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, সদর থানার এসআই বেদার উদ্দিন। তিনি বলেন, সেলিম খানের পুত্র রেজভী সকালে ফোন করে বলেন, তাদের দোকান ঘর ভেঙ্গে জায়গা দখল করা হচ্ছে। তাঁর ফোনের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসা।

    কিন্তু বিষয় হলো জমি দোকানের ভিতরে পেলে সালিসি বৈঠকের মাধ্যমে এটি বের করা দরকার ছিল, বা আশেপাশের দোকানদার কে বলে ব্যবসায়ী সুমনকে নির্ধারিত সময় দিয়ে দোকান ছাড়তে বলা যেত। একজন ব্যবসায়ীর বহাল দোকান ভাংচুর করা আইনগত অপরাধ।

  • ভুয়া প্রতিবন্ধী সংস্থার নামে শিবগঞ্জে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।

    ভুয়া প্রতিবন্ধী সংস্থার নামে শিবগঞ্জে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।

    বগুড়ার শিবগঞ্জে মেঘনা ভূয়া প্রতিবন্ধী সংস্থার নামে সংঘবদ্ধ এক প্রতারক চক্র কর্তৃক লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    অনুসন্ধানে জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার বেলতলী বাজারে তথাকথিত একটি অফিস তৈরী করে এলাকার সহজ-সরল প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষদের টার্গেট করেন মেঘনা প্রতিবন্ধী সংস্থার নামে মোঃ মুক্তার হোসেন নিজে সভাপতি হয়ে প্রায় ৩’শ প্রতিবন্ধীদের কার্ড দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সদস্য তৈরি করেন। প্রথমে কথা ছিলো প্রতিবন্ধী সদস্য হতে শুধু ৫০ টাকা ভর্তি ফি দিতে হবে। কিন্তু সদস্য করে বিভিন্ন কৌশলে হাতিয়ে নেন টাকা। ভর্তি করে প্রত্যেককে দেওয়া হয় বাজারের ২টাকা দামের পাশ বহি। প্রতি সপ্তাহ ও মাসে সদস্যদের কাছ থেকে আদায় করা হয় ৫০-থেকে ১’শ টাকা।

    এখানেই শেষ নয়, প্রতারক মোঃ মুক্তার হোসেনের থাবা পড়ে প্রতিবন্ধী স্মার্ট কার্ড দেওয়ার নামে সদস্য প্রতি নেওয়া হয় ৩’শ টাকা করে। প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড দেয়ার নামে প্রতি সদস্যের নিকট থেকে ১ হাজার করে টাকা আদায় করেছে। এভাবে ৩’শ প্রতিবন্ধী সদস্যদের জিম্মি করে প্রতারক মোঃ মুক্তার হোসেন হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা।

    অনুসন্ধানে আরোও জানা যায় কিচক ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে দেখা যায়, প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিবন্ধী যারা অনেকেই পঙ্গু ও বাকপ্রতিবন্ধী।

    তাদের বেশিরভাগ পেশা ভিক্ষাবৃত্তি। তারপরেও এদের কাছ থেকে প্রতারনা করে টাকা গুনতে প্রতারক মুক্তারের হৃদয় কাঁপানি। আর এই প্রতারনা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রায় ১থেকে দেড় বছর ধরে।

    মুক্তার হোসেনের দেওয়া প্রতিশ্রুতি নির্ধারিত সময়ে সুবিধা না পেয়ে সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে কর্মহীন অনেকেই টাকা ফেরত চান। এরপর মুক্তার হোসেনের শুরু হয় তালবাহানা। কে? এই মুক্তার হোসেন! মুক্তার হোসেন এর বাড়ি কিচক হরিপুর গ্রামে। তিনি নিজেও একজন প্রতিবন্ধী সুবিধাভোগী। সে শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তাকর্মী। ঘুষ জালিয়াতির কারনে একাধিক পরিষদ থেকে তিনি চাকুরি হারিয়ে এখন এই পরিষদের কর্মী।

    প্রতিবন্ধী শাহাজুল নামে এক ব্যক্তি টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করেই বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে মুক্তার হোসেন প্রতিবন্ধীদের গচ্ছিত(জমানো) টাকা ফেরত দেওয়ার নামে অনেকের পাশ বহি ডকুমেন্ট জমা নেয়। পরে ভুক্তভোগীরা মুক্তার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলেও মুক্তার হোসেন তালবাহানা করে এড়িয়ে চলেন। তখনই তারা বোঝেন এটা সম্পূর্ণ ভুয়া একটি প্রতিষ্ঠান। তাই তারা টাকা ফেরত চান।

    প্রতিবন্ধী মুঞ্জু মিয়া, তাহেরা বেগম, আলেমন বিবি, মনিকা বিবি, ওলেদা ও ছফুরা বিবি জানান, মেঘনা প্রতিবন্ধীর সভাপতি মুক্তার হোসেন আমাদের বিভিন্ন সুবিধা দেখিয়ে জমাকৃত বহি দিয়ে টাকা নিয়েছে। আমরা আমাদের দেওয়া টাকা ফেরত চাই। তারা এই প্রতারকের বিচার চায়।

    একই দাবীতে কিচক হরিপুর হিন্দু মালিপাড়ার হিন্দু সম্প্রদায় মেঘনা প্রতিবন্ধী সংস্থার সদস্যরা। তারাও টাকা ফেরতের চেষ্টায় করছেন। ভুক্তভোগী নারী-পুরুষরা টাকা ফেরত চেয়ে বিক্ষোভ করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

    এ ব্যাপারে মেঘনা প্রতিবন্ধী সংস্থার সভাপতি মোঃ মুক্তার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সমিতির সঞ্চয় গ্রহণ করা হয়েছে স্বীকার করে বলেন অন্যকোন সুবিধা দেওয়ার কথা কাউকে বলা হয়নি। তিনি পত্রিকায় নিউজ না করার জন্য এ প্রতিবেদকে অনুরোদ করেন।

    এ ব্যাপারে কিচক ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরী জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং এ ধরনের কাজ না করতে মুুক্তার হোসেনকে নিষেধ করেছি৷ বিষয়টি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

  • বগুড়ার শেখেরকোলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাংচুর মারপিটের অভিযোগ।

    বগুড়ার শেখেরকোলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাংচুর মারপিটের অভিযোগ।

    বগুড়া সদরের মহিষবাথানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ি ভাংচুর,মারপিট ও লুটের ঘটনা ঘটেছে। এবিষয়ে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। আহতরা শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

    রবিবার সকালে সদর উপজেলাধীন শেখেরকোলা ইউনিয়নের মহিষবাথান আকন্দপাড়ায় দুই শিশুর মাঝে ঝগড়া সৃষ্টি হলে তা দুই পরিবারের ঝগড়ায় রুপ নেয়। তবে সাময়িক মিমাংসা হলেও কিছুক্ষণ পর পরিকল্পিত হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আব্দুল কাদের।

    বগুড়ার সদর থানায় অভিযোগসুত্রে জানা যায়, শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে মহিষবাথান আকন্দপাড়ার আব্দুল ছাত্তারের ছেলে আব্দুল গোফ্ফার ও তার ছেলের সঙ্গীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয় হঠাৎ কলিম উদ্দিনের বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রী পিয়ারা বেগমকে গালিগালাজ ও মারপিট করে।

    স্ত্রীর চিৎকার শুনে কলিম উদ্দিন, তার ছেলে আব্দুল কাদেরসহ পরিবারের সকলের বের হয়ে আসলে দেশিও অস্ত্রে এলোপাথারি মারপিট করা হয় এবং ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুরে করে এবং তাদের গচ্ছিত ১,১২,০০০ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এমতাবস্থায় এলাকাবাসী ছুটে আসলে হামলাকারীরা জীবননাশের হুমকি পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক আহতদের শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
    ব্যাপারে কলিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুক কাদের বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।