Tag: অভিযোগ

  • কানাইঘাট মসজিদে টি.আর প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।

    কানাইঘাট মসজিদে টি.আর প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।

    কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের বীরদল পশ্চিম আনছারপুর জামে মসজিদের জন্য ২০২০-২১ অর্থ বছরের টি.আর প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দকৃত টাকা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাথের ঘটনায় উপজেলা নিবাহী কর্মমর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    গত ১৩ সেপ্টেম্বর মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক বাদী হয়ে এ দরখাস্ত দাখিল করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন সরকারি ভাবে বরাদ্দকৃত মসজিদের উন্নয়নের জন্য টি.আর প্রকল্পের আওতায় ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। উক্ত টাকা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি খলিলুর রহমান অসুস্থ থাকার কারণে তার নাম ভাঙ্গিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে বীরদল আনছারপুর গ্রামের মৃত জোয়াদ আলীর পুত্র সাবেক ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান নিজে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাজিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে ভূয়া কমিটি দাখিল করে মাস খানিক পূর্বে মসজিদের বরাদ্দকৃত টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন।

    বিষয়টি মসজিদ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ জানতে পেরে সাবেক ইউপি সদস্য খলিলুর রহমানকে মসজিদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি টাকা ফেরৎ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে উল্টো তিনি মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের নানাভাবে হুমকি দেন বলে দরখাস্তকারী আব্দুল মালিক জানিয়েছেন। মসজিদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন সহ টাকা ফেরৎ চেয়ে নিবাহী কর্মকর্তা বরাবরে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য রাজাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলামকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

    তিনি জানান ২/১ দিনের মধ্যে সমাধান করতে ব্যার্থ হলে দরখাস্তকারীর অভিযোগ প্রসাশনিক ভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • কানাইঘাটে ৬ সন্তানের জননীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেফতার-১।

    কানাইঘাটে ৬ সন্তানের জননীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেফতার-১।

    মিজানুর রহমান,কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধি: সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়নের আগতালুক গ্রামের ৫০ উর্ধ্ব ৬ সন্তানের মহিলার যৌন হেনস্থার ভিভিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার আরো এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ।

    শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তাজুল ইসলাম পিপিএম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ মামলার আসামী আগতালুক গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের পুত্র জব্বার (২৩) কে কানাইঘাট-হরিপুর সড়কের সেলফি ব্রীজের পাশ থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

    কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তাজুল ইসলাম পিপিএম জব্বারের গ্রেফতারের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,আত্মগোপনে থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় মহিলার যৌন হেনস্থা ও পোর্নগ্রাফী মামলার ৩ নং আসামী জব্বারকে গ্রেফতার করা হয়।এ নিয়ে মামলার ৪ জন আসামীর মধ্যে ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।

    উল্লেখ্য যৌন নির্যাতন ও হেনেস্থা করে ৬ সন্তানের জননী ৫০ উর্ধ্ব এই মহিলার আপত্তিকর ভিডিও ভয়ভীতি দেখিয়ে গত ২৩ আগষ্ট গভির রাতে মহিলার পাকা ঘরের বারান্দার গ্রীলের ভিতরে ধারণ করার সাথে জড়িত ছিল সম্পর্কে মহিলার নাতি একই বাড়ীর আব্দুল্লাহ,জব্বার,বড় আব্দুল্লাহ ও সায়েদ উল্লাহ। তারা মোটা অংকের টাকা মহিলার কাছে দাবী করলে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার পরও যৌন হেনেস্থোর আপত্তিকর ভিডিও ঘটনার সাথে জড়িত ৪ জনের যোগসাজসে ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হলে তাদের বিরোদ্ধে ঐ মহিলা থানায় নারী ও শিশু নিযার্তন এবংপোর্নগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন।

  • তানোরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ চুরির অভিযোগ।

    তানোরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ চুরির অভিযোগ।

    সারোয়ার হোসেন,তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের শিবনদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ চুরির অভিযোগ উঠেছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাংহাটি থেকে চুরি করে একটি পরিপক্ক তাজা গাছ কাটে দমদমা গ্রামের গোপাল শর্মা, গাংহাটি গ্রামের রবিন্দ্রনাথ রবি ও কাঁমারগা গ্রামের আবুল কাশেম। এ সময় স্থানীয়রা ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে ইউপি ভুমি অফিসের কর্মকর্তা (তহসিলদার) ঘটনা স্থলে এসে কাটা গাছ জব্দ করেন। তবে রহস্যজনক কারণে কোনো মামলা করা হয়নি।

    এদিকে স্থানীয়রা জানান, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণ করে বিক্রি ও নানা অজুহাতে বাঁধের গাছ চুরি করে আসছে। তারা বলেন, চুরি তো চুরি একটিও চুরি দশটিও চুরি তাহলে এদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে না কেনো-? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য বলেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বাঁধে রাম রাজত্ব কায়েম করেছে, এরা বাঁধের জায়গা জবরদখল করে পজিশন বিক্রি, গাছ চুরিসহ নানা অপকর্ম করে আসছে।

    অভিযুক্ত গোপাল শর্মা বলেন, আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতি নিয়ে গাছ কেটেছি,আমরা এখানে গাছ কেটে একটি ঘর নির্মাণ করবো। আপনারা কিছু জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করুন বলে দম্ভোক্তি দেখান।

    এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ইউপি ভুমি অফিসের কর্মকর্তাকে (তহসিলদার) বলা হয়েছে ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে। এবিষয়ে ইউপি ভুমি অফিসের কর্মকর্তা(তহসিলদার)আব্দুস সাত্তার বলেন, কাটা গাছ জব্দ করা হয়েছে, তিনি বলেন, ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

  • মৌলভীবাজারে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে মানববন্ধন।

    মৌলভীবাজারে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে মানববন্ধন।

    মৌলভীবাজার সংবাদদাতাঃ দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজনগর উপজেলা অধীনে প্রেম নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লুৎফে আরা কে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

    ১৪ ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় স্কুলের সামনে রাস্তায় ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    ম্যানেজিং কমিটির সদস্য  তাহের মিয়ার   সভাপতিত্বে ও ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মুরব্বি ও অভিভাবক  বিলাল মিয়া, আতাউর রহমান, মঞ্জুর মিয়া প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন প্রায় বিশ বছর থেকে প্রধান শিক্ষিকা লুৎফে  আরা এই স্কুলে আছেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করে মনগড়া  বিল ভাউচার তৈরি করে  টাকা উঠিয়ে এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদেরকে কোন হিসাব না দিয়েই চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময় শিক্ষা অফিস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদন করে কোন সুরাহা পাওয়া যায়নি,তাই আজকে আমরা মানববন্ধন করছি। এই দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষককে এই স্কুল থেকে অপসারণ করা না হলে আমরা আমাদের কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদেরেকে  আর  স্কুলে পাঠাবো না।  বক্তারা খুব দ্রুত এই প্রধান শিক্ষিকাকে স্কুল থেকে সরানোর আহ্বান জানান।

    অভিযোগের ব্যাপারে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পাল জানান আমার দপ্তরে এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ আছে কি না আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • নান্দাইলে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ।

    নান্দাইলে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ।

    নজরুল ইসলাম,নান্দাইল,(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ

    ময়মনসিংহের নান্দাইলে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে নুরুল ইসলাম মাষ্টার (৬৫) এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

    ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামে।অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম একই গ্রামের মৃত সহর আলীর পুত্র। তিনি পাশ্ববর্তী হোসেনপুর উপজেলার ভাগারীচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

    দরিদ্র পরিবারের ধর্ষণের শিকার শিশুটির পিতা মো.রেনু মিয়া জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর রবিবার আমার মেয়েকে আমড়া খাওয়ার লোভ দেখিয়ে জোরপূর্বক ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটা এখন ঠিকমত হাটতে পারে না খেতেও পারেনা। ঘন্টায় ১৫-২০ বার প্রস্রাব করতে হয়। আমি গরিব মানুষ গাজীপুর শহরে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। গত রোববার আমি ঢাকা থেকে বাড়ি এসে আমার স্ত্রীর মাধ্যমে জানতে পারি আমার চাচা নুরুল ইসলাম মাষ্টার আমার মেয়ের এই সর্বনাশ করছে।

    এঘটনার পর রোববার রাতেই নুরুল ইসলামের বাড়িতে বিষয়টি জানাই। কিন্তু তারা আমার কথার পাত্তা দেয়নি। পরে বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। গত সোমবার রাতে নুরুল ইসলাম মাষ্টারের চাচাতো ভাই ভাতিজা হারিছ, ভাতিজা আমিনুল ইসলাম ও সাবেক মেম্বার আব্দুল হারিছ আমাকে প্রথমে ৩ হাজার টাকা পরে ৫ হাজার টাকা দিয়ে মীমাংসা করতে বলে। আমি তাতে রাজি হয়নি।

    নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে নিয়ে আসলে ডাক্তারা নান্দাইল মডেল থানায় ফোন করে বিষয়টি অবহিত করে। পরে শিশুকে থানায় এনে জিজ্ঞেসাবাদ করা হয় ।

    মঙ্গলবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    আচারগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম বলেন , এ ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। আমি ঢাকায় ছিলাম এলাকায় এসে লোকজনের মুখে ঘটনা সম্পর্কে শুনেছি।

    এবিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুর রহমান জানান ধর্ষিতা শিশুটিকে পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

  • উল্লাপাড়ায় এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ।

    উল্লাপাড়ায় এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় প্রবাসীর কন্যা এক সন্তানের জননী রুমা খাতুন (২২) কে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আল আমিন ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে।

    শুক্রবার রাতে উপজেলার গয়হাট্রা কামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।

    নিহত রুমার মা খুশি খাতুন অভিযোগ করে জানান, উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়া ইউনিয়নের রাখাল গাছা গ্রামের প্রবাসী মোঃ রফিকুল ইসলামের কন্যা রুমা খাতুন ( ২২) এর সঙ্গে গত ৩ বছর পূর্বে একই উপজেলার পূর্ণিমা গাঁতী ইউনিয়নের গয়হাট্রা কামাল পুর গ্রামের মৃত্যু গোলবার হোসেনের পুত্র আলামিনের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।

    বিয়ের এক বছর পুর্ণ হতে না-হতেই অর্থলোভী স্বামী ও তার স্বজনেরা রুমার প্রবাসী পিতাকে যৌতকের জন্য মোটা টাকার চাপ দেয়। রুমার পিতা প্রথমবারের মতো জামাই আল আমিনের পরিবারের কথা মতো মোটা অংকের বেশকিছু টাকা প্রদান করেন।

    পরে আবারও আল আমিন মোটা অংকের অর্থের জন্য গৃহবধূ রুমাকে নির্যাতন শুরু করে। এ ঘটনায় রুমার মা খুশি খাতুন বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগ তদন্ত করে উভয় পক্ষের মধ্যে আপোষ মিমাংসা করে দেন। কিন্তু অর্থলোভী স্বামী আলামিন ও তার পরিবারের অনন্য সদস্যরা এখানেই খ্যান্ত হননি।

    গত ৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে আমার মেয়ে রুমাকে (তার স্বামী) আল আমিন ও পরিবারের অন্য সদস্যরা সবাই মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে উঠানে ফেলে রেখে এক বছরের শিশু কন্যা আইরিন কে নিয়ে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের উপযুক্ত আইনি বিচার চান নিহতের মা খুশি খাতুন।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় ইউডি মামলা দায়ের করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে মা মেয়েকে জনসম্মুখে জুতাপেটার অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে মা মেয়েকে জনসম্মুখে জুতাপেটার অভিযোগ।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে রায়পুরে জনসম্মুখে মা মেয়েকে জুতাপেটা করার অভিযোগ উঠেছে কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে।

    উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আরিফুর রহমান রোববার (২৯ আগস্ট) বিকেলে এক সালিশী বৈঠকে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে ভূক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ইউপি সদস্যের ভয়ে আইনের আশ্রয় নেয়নি ভূক্তভোগী পরিবার।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায় লিখিত অভিযোগ দিলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং পুরো পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

    ভূক্তভোগী ওই নারী কেরোয়া ইউনিয়নের উত্তর-পূর্ব কেরোয়া গ্রামের কালা শাহ ফকির বাড়ির সৌদি প্রবাসী আব্বাছ উদ্দিনের স্ত্রী। তার মেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণীতে পড়ে।

    ভূক্তভোগী নারী সোমবার (৩০ আগস্ট) রাতে অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বাড়িতে একটি সালিশী বৈঠকে প্রায় দুই শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে ইউপি সদস্য আরিফ আমার ১৭ বছরের মেয়েকে জুতাপেটা করেছে। এতে আমি প্রতিবাদ করায় সে আমাকেও জুতা দিয়ে পেটায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক আমি প্রবাসে থাকা আমার স্বামীকে মোবাইল ফোনে অবহিত করলে মেম্বার আরিফ উত্তেজিত হয়ে আমার ফোনটি কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে।

    তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর রাতে পুলিশ এসে আমাদেরকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। এর পর থানায় নিয়ে যায় এবং ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত খুলে বলি। পুলিশ আমাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছে। সোমবার সকালে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু মেম্বার আরিফ আমাদের বাড়িতে লোক পাঠিয়ে আমাকে চাপ দেয় আমি যেন থানায় কোন অভিযোগ না দিই। মেম্বারও এসে আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে গেছে।

    আমার স্বামী বিদেশে থাকে, আমি একা বাড়িতে ছোট দুই ছেলে এবং মেয়েকে নিয়ে থাকি। তাই মামলা করলে মেম্বার যদি কোন ঝামেলা করে সেই ভয়ে আর থানায় যায়নি।

    এ বিষয়ে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে ওই নারী ও তার মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। ভূক্তভোগী নারীকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। কিন্তু তিনি অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেননি।

    ভূক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে পুরো পরিবারকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা দেওয়া হবে। থানা থেকে তাদের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। মেম্বার হোক বা চেয়ারম্যান হোক- কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।
    এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে কেরোয়ার কালা শাহ ফকির বাড়িতে ১৩ বছরের একটি মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু মেয়েটি বিয়েতে রাজী ছিলো না। তার অন্য আরেকটি ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিলো। অনুষ্ঠানের আগেরদিন দুপুরে মেয়েটি তার প্রেমিকের কাছে পালিয়ে যায়।

    এ ঘটনার সহযোগী হিসেবে ওই মেয়ের পরিবার প্রবাসী আব্বাছ উদ্দিনের মেয়েকে দায়ি করে ইউপি সদস্য আরিফের কাছে নালিশ করে। রবিবার বিকেলে মেম্বার আরিফ তাদের বাড়িতে এসে সালিশী বৈঠকের ডাক দেন। বৈঠকের এক পর্যায়ে মেম্বার আরিফ তার পায়ের সু-জুতা দিয়ে প্রবাসী আব্বাছ উদ্দিনের মেয়েকে আঘাত করেন। সাথে সাথে মেয়েটির মা ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাকেও বেশ কয়েকবার জুতাপেটা করেন আরিফ। পরে উপস্থিত লোকজন আরিফকে থামান।

    এ বিষয়ে জানতে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে ইউপি সদস্য আরিফুর রহমানের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনেনি। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে কল দিলে তিনি রিসিভ করে ১০ মিনিট পরে কল দেওয়া কথা জানান। আধাঘণ্টা পর পুনরায় কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

  • সিরাজগঞ্জে অর্থআত্মসাৎ এর অভিযোগে নারী ইউপি সদস্য আটক।

    সিরাজগঞ্জে অর্থআত্মসাৎ এর অভিযোগে নারী ইউপি সদস্য আটক।

    সিরাজগঞ্জে উপকারভোগীর কাছ থেকে মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা কৌশলে আত্মসাৎ এর অভিযোগে সায়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য সীমা খাতুনকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।ওই নারী ইউপি সদস্যকে আটকের পর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট সোপর্দ করা হয়।

    গতকাল রোববার বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ তার কার্যালয়ে অভিযোগটি তদন্ত করেন।তদন্ত শেষে নারী ইউপি সদস্য দোষী সাব্যস্ত হলে সীমা খাতুনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেন।

    সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান সায়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের নারী ইউপি সদস্য সীমা খাতুন পোড়াবাড়ি গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে নুরুন্নাহার মাতৃত্বকালীন ভাতা পাচ্ছিল। ওই ভাতার টাকা তিনি পাইয়ে দিয়েছেন মর্মে কৌশলে ভাতাভোগীর নিকট থেকে দুই দফায় ১৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
    এ বিষয়ে ভাতাভোগী নুরুন্নাহার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। রবিবার নির্বাহী অফিসার তার কার্যালয়ে উভয়ের উপস্থিতিতে শুনানী করেন।শুনানী শেষে নারী ইউপি সদস্য সীমা দোষী সাব্যস্ত হয়।পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
    নুরুন্নাহার সোমবার সীমার বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে। সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসমিকে জেলহাজতে প্রেরন করেছে।

  • সিরাজগঞ্জে মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার।

    সিরাজগঞ্জে মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার।

    সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় কুমাজপুর দারুল আবরার ক্বওমী হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটিলিয়ান র‍্যাব-১২’র সদস্যরা।

    ঘটনা সূত্রে জানা যায় নলছিয়া গ্রামের মাসুদ রানা তার ছেলে অলিউল্লাহকে দ্বীনি শিক্ষার জন্য কুমাজপুর দারুল আবরার ক্বওমী মাদ্রাসায় ভর্তি করেন।

    শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ মাদ্রাসায় আবাসিকে থেকে গত এক বছর যাবত পড়া লেখা করে আসছিল। গত ১১ আগস্ট রাতে মাদ্রাসার শিক্ষক আবু রায়হান শিক্ষার্থী অলিউল্লাহকে তার কাছে ডেকে নিয়ে ইচ্ছার বিরদ্ধে বলাৎকার করে। বলাৎকারের বিষয়টি প্রকাশ করলে শিক্ষক তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

    এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ছাত্রটিকে বলাৎকার করে। কয়েক দিন পর আবার কু-কর্মকরার প্রস্তাব দিলে শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ তার প্রস্তাবে রাজি না হলে পর দিন সকালে তাকে মারধর করে। মারধরের ঘটনার পর শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ ছুটি চায় শিক্ষক ছুটি না দিলে শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ গোপনে ১৯ আগস্ট নিজ বাড়ি চলে যায়।

    শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ বাড়ি গিয়ে শিক্ষক আবু রায়হানের কু-কর্মের কথা তার পরিবারের কাছে খুলে বলে এবং জোড়পূর্বক ভাবে একাধিকবার বলাৎকার করার ঘটনাও খুলে বলে।

    পরবর্তীতে শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির কাছে বিষয় টি জানালে কমিটির লোকজন উচিৎ বিচারের আশ্বাস দেয়। কিন্তুু আসামী আবু রায়হান আত্ম গোপন করে। উক্ত ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে এবং স্থানীয় জনগনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করে।

    পরবর্তীতে শিক্ষার্থী’র পরিবার সলঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করে এবং র‍্যাব-১২ এর কাছে আসামীকে গ্রেফতারের আকুতি জানায়। র‍্যাব-১২ র‍্যাব-১২ বিষয়টি আমলে নিয়ে র‍্যাব-১২’র স্পেশাল কোম্পানীর সহকারী পুলিশ সুপার মি. জন রানার নেতৃত্বে গোয়েন্দা তথ্য ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আত্ম গোপনকারী আসামী আবু রায়হানকে ঢাকার ভাটারা থানার বাড্ডা এলাকা থেকে ২৭ আগস্ট শুক্রবার ভোর সোয়া ৫ টার সময় গ্রেফতার করে।

    গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আবু রায়হান (২৪), সলঙ্গা থানার খোলাপাড়া গ্রামের মোঃ হাসেন আলীর ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।
    গ্রেফতারকৃত পলাতক আসামীকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • শাহজাদপুরে মাদ্রাসার ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার।

    শাহজাদপুরে মাদ্রাসার ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার।

    সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষককে আটক করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ। মামলার এজাহার ও ভিকটিমের পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত আলোকদিয়ার সুবহানিয়া নুরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসার ২য় শ্রেনীর ছাত্র ও উপজেলার নুনদহ গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে নাহিদুল ইসলাম (৮) কে ২১ আগস্ট মাদ্রাসা থেকে বাড়ীতে চলে যায়।

    ২৩ তারিখ সকালে তার মা তাকে মাদ্রাসায় যেতে বললে নাহিদুল তার মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে এবং মাদ্রাসায় যেতে অস্বীকৃতি জানায়। কারন জানতে চাইলে, মায়ের কাছে বলে, মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম গত ১৬ আগষ্ট নাহিদুলকে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে জোরপুর্বক বলৎকার করেছে।

    এ ঘটনা জানাজানি হলে, এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে নাহিদের বাবা আব্দুল করিম বাদী হয়ে আরিফুল ইসলামকে আসামী করে সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শাহজাদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
    থানা পুলিশ সোমবারই আরিফুল ইসলামকে মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

    এ ব্যাপারে, শাহজাদপুর থানার ওসি(ওপারেশন) আব্দুল মজিদ বলেন, আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মাদ্রাসা শিক্ষককে কোর্টে পাঠানো হবে।
    এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকার স্থানীয় জনসাধারণ ।