Tag: অভিযোগ

  • বেলকুচিতে শিক্ষা অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ।

    বেলকুচিতে শিক্ষা অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ।

    সবুজ সরকার বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সহকারী হাফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতি ও শিক্ষক হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার দূর্ব্যবহারে উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। এব্যপারে প্রাথমিক শিক্ষকগণ জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেলকুচি উপজেলা শিক্ষা অফিস সহকারী হাফিজ উদ্দিন দুর্নীতিবাজ ঘুষঘোর নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। তিনি প্রায় বিভিন্ন কাজ নিয়ে আসা শিক্ষকের সাথে খারাপ আচরন করেন এবং ধমকের সুরে অফিস থেকে বের হয়ে যেতে বলে, তার এমন আচরনের কারনে বেশ কয়েকবার শিক্ষকদের সাথে মারমুখি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যা পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপে তা সাময়িক মিমাংসা করা হয়। ইতিপূর্বে একই অফিসের অফিস সহকারী হেলাল উদ্দিনের সাথে প্রশিক্ষণের পারিশ্রমিক টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সরাসরি মারপিটের ঘটনা ঘটে।

    শিক্ষকের খাতের টিএ বিলের বরাদ্দর ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক মুসা আহমেদ ও আকতার জাহান, ১০ হাজার ৯ শত ২০ টাকা না জানিয়ে হাতিয়ে নেয়। ৬০ জন শিক্ষকের উচ্চতর পরীক্ষা পাশের সনদপত্র চাকুরী বহিতে লিপিবন্ধ করার জন্য প্রত্যেকে কাছ থেকে ৫ শত করে মোট ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। চাকরী স্থানীকরণের জন্য নব্য শিক্ষকদের কাছে থেকে জন প্রতি ৫ শত টাকা করে মোট ১ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন। শিক্ষকদের শ্রান্তি বিনোদন বিলে শিক্ষক প্রতি ৫ শত টাকা আদায় করেন।

    ২০২০ সালে যোগদানকৃত ৯৫ জন শিক্ষকের জি.পি.এফ হিসাব খোলা বাবদ জন প্রতি ৫০০ টাকা করে নিয়েছেন অফিস সহকারী। সহকারী শিক্ষকদের সরকার ঘোষিত ১৩ তম গ্রেডের কাজ নিয়ে ১ হাজার টাকা করে ঘুষ গ্রহণ করেন তিনি। এ ছাড়াও তার মোবাইল থেকে ফোন করে বিভিন্ন সময় শিক্ষকদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করেন। ইতিপূর্বে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফজলুর রহমান সহকারী হাফিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কথা বললে তাকেও মোবাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন অফিস সহকারী। পি ই সি পরীক্ষার ১৭ জন শিক্ষার্থীর ডি আর এর টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

    অভিযোগকারীরা ব্যাতিত আরও একাধিক শিক্ষকরা জানান, বেলকুচি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী হাফিজ উদ্দিন ১০ বছর যাবত কর্মরত আছেন এ উপজেলায়। তার শ্বশুর বাড়ি এ উপজেলায় হওয়ায় প্রভাব বিস্তার করে এই সব অপকর্ম দুর্নীতি করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন তিনি। যোগদান করার পর থেকেই তিনি ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই করেন না। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

    এ বিষয়ে অফিস সহকারী হাফিজ উদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে ঘুষের কথা অস্বীকার করছেন। আর শ্বশুর বাড়ির প্রভার খাটিয়ে কখনো অপকর্ম করেন নাই।

    বেলকুচি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুর রহমান বলেন, অফিস সহকারী হাফিজ উদ্দিন শিক্ষকদের কাজে টাকা নেওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

    এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম মন্ডল জানান, বেলকুচি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সহকারী হাফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • কানাইঘাটের ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ।

    কানাইঘাটের ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ।

    কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট পৌরসভার বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর পুত্র পূবালী ব্যাংক লিমিটেড সিলেট স্টেডিয়াম শাখার ম্যানেজার আলীম উদ্দিন আলী রাজার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বরাবরে লিখিত দরখাস্ত দায়ের করা হয়েছে।আলীম উদ্দিন আলী রাজার চাচা বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের পুত্র আব্দুল মতিন বাদী হয়ে গত ৫ অক্টোবর এ লিখিত দরখাস্ত দায়ের করেন।

    অভিযোগে আব্দুল মতিন উল্লেখ করেছেন জমি-জমা নিয়ে বিরুদের জের ধরে আলীম উদ্দিন পূবালী ব্যাংকের ম্যানেজারের পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাঁটিয়ে তার আপন ভাই,বোন ও বোন জামাই কে বাদি বানিয়ে বেশ কয়েকটি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে সহ তার পরিবারে সদস্য ও চাচাতো ভাইদের জেল খাটানো সহ নামে বেনামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। অভিযোগে আব্দুল মতিন আরো উল্লেখ করেছেন থানায়, অফিস আদালতে ব্যাংক কর্মকর্তার পদের প্রভাব খাটিয়ে আলীম উদ্দিন আলী রাজা তার পৈত্রিক ও দখলীয় জমি-জমা জবর দখলের চেষ্টা সহ নানা ভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে।

    এমতাবস্থায় আলীম উদ্দিন আলী রাজার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আব্দুল মতিন বাদী হয়ে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বরাবরে এ দরখাস্ত দায়ের করেন।

    বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য দরখাস্তে সুপারিশ করেছেন কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পৌর মেয়র লুৎফুর রহমান ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি কে এইচ এম আব্দুল্লাহ এবং পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলার আছমা বেগম।

  • নাগরপুরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জমি জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ।

    নাগরপুরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জমি জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ।

    আব্দুল্লাহ খিজির,স্টাফ রিপোর্টারঃ টাংগাইলের নাগরপুরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জমি জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নের আগদিঘুলিয়া গ্রামে।

    ভুক্তভোগী আগদিঘুলিয়া গ্রামের মৃত ইনছান আলী বেপাড়ীর ছেলে মোঃ আজিজুল হক জানান,আমি ১৯৯৯ সালে আগদিঘুলিয়া গ্রামের মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে মোঃ আরজুর নিকট থেকে আগদিঘুলিয়া মৌজার ৩৬৯,৪৬৯,৫১৯ খতিয়ানে ৩৫৭৭,৩৫৭৩,৩৫৭৬,৩৫৮৫,৩৫৮১,৩৫৮৬,৩৫৭৫,৩৫৭৮,৩৫৮২,৩৫৬১ দাগে মোট ৭১ শতাংশ জমি ৮৭৬০০ টাকায় সাফ কবলা দলিল মূলে ক্রয় করি।কিন্তু বর্তমানে বিবাদী আরজু উক্ত জমি জবর দখল করার চেষ্টা করছে এবং আমি সহ আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এ বিষয়ে মোঃ আরজুর বক্তব্য জানার চেষ্টা করলেও সম্ভব হয় নি।

    সরেজমিনে ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিশী বৈঠক হলেও বিবাদী আরজু অন্যায়ভাবে জমির প্রকৃত মালিক আজিজুল গংকে নানা ভাবে হয়রানি করছে।

    এ বিষয়ে আজিজুল হক বাদি হয়ে নাগরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

  • রায়পুরে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার থানায় অভিযোগ।

    রায়পুরে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার থানায় অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নে গ্রাম চর লক্ষী বেপারি বাড়ির মৃত মোঃ ইসমাইল বেপারী ছেলে গিয়াস উদ্দিন এর বিরুদ্ধে ঝরনা বেগম স্বামীর প্রবাসী সাথে মটু ফোনে কথা বলার ভয়েস রেকর্ড করে এলাকায় বাজারে দোকানে পথে-ঘাটে অপপ্রচার করার অভিযোগে এই নিয়ে রায়পুর থানায় প্রবাসীর স্ত্রীর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    একই বাড়ির প্রবাসী মনির হোসেনের স্ত্রী ঝরনা বেগম অভিযোগ করে বলেন আমি আমার স্বামী মনির হোসেন সাথে আমার বসত ঘরে মোবাইল ফোনে কথা সময় গিয়াস উদ্দিন ঘরের পাশে দাঁড়িয়ে গোপনে আমার আর স্বামীর কথা ভয়েস রেকর্ড করে এই নিয়ে আমাকে বিভিন্ন ধরনে খারাপ কাজের কু-প্রস্তাব দেয় আমি তার কথায় রাজী না হওয়া আমার প্রবাসী স্বামী সাথে কথা বলার গোপনে করা ফোন রেকর্ডিং টা এলাকায় প্রচার করে।

    স্থানীয়,গনি ব্যাপারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জানান, গিয়াস উদ্দিনের একাধিক বার সালিশ করেছি সেই প্রথমে একটি ছাগলের সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় সেই সালিশ বৈঠকে ৫০০০/ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এর পর তার নিজের মেয়ে সাথে অনৈতিক কাজে করে এর পরে তার ছেলে বউ সাথে একাধিক বার ধর্ষণ করেন এর পর কবিরের স্ত্রী রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করেন ওই মামলার ২ বছর সাজা হয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন তিনি জানান,গিয়াসউদ্দিনের একাধিক সালিশ আমি করেছি এই বিষয় নিয়ে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে উভয় পক্ষ আমার অফিসে এসো আমি কথাবার্তা শুনে সমাধান করে দেব এরপর তারা আসেনি।

    সরেজমিনে গেলে গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে উঠে এসে নানান অভিযোগ অভিযোগ করে এলাকাবাসী মাইনুদ্দিন, রাসেল,জেসমিন আক্তার,নুরজাহান, বেগম হজল গাজী,শাহিনুর, মুরাদ ড্রাইভার, বেগম জান, সহ অনেকেই বলেন,গিয়াস উদ্দিন লোক টা খারাপ সেই এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজ করায় তার পেশা তার বিরুদ্ধে রয়েছে এলাকায় অসামাজিক কাজের অভিযোগে রয়েছে এলাকায় তার বিরুদ্ধে পাগলী পুত্রবধূ নিজ মেয়ের পিপি এ দিকেও খারাপ দৃষ্টি সহ আরো বহু অনৈতিক কাজের অভিযোগ।

    গিয়াস উদ্দিনের মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে মোকবির হোসেন বলেন আমি দুটি বিবাহ করেছি আমার প্রথম স্ত্রী আমাকে কিছু না বলে তার বাপের বাড়ি চলে গেছে কেনো গেছে আমি তা জানি না আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আমার বাবা কে আর আমাকে জেল খাটিয়েছেন আমার বাবা মা আমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করায় কিছু দিন আগে আমরা স্ত্রী বাপের বাড়ি গেছে আমার সাথে যোগাযোগ করে নাএই সব অভিযোগ অস্বীকার করে গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী বলেন সব ষড়যন্ত্র
    গিয়াস উদ্দিন কাছে জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন অভিযোগগুলো মোটেও সত্য নয় ঝরনার কি ভয়েস রেকর্ডটা দেখতে চাইলে আবারো ক্ষিপ্ত হয়ে গিয়াস উদ্দিন বলেন ঝরনা বেগম অভিযোগ করেছেন।

    আমি এগুলো থানায় জমা দিয়ে দিয়েছি ।
    হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ি এই বিষয়ে জানতে চাইলে এস, আই, মিজান তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • কানাইঘাট বড়বন্দ বাজারে ওয়ার্কসপের দোকান দখলের অভিযোগ।

    কানাইঘাট বড়বন্দ বাজারে ওয়ার্কসপের দোকান দখলের অভিযোগ।

    কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বড়বন্দ বাজারে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে লাঠি-সোটা নিয়া একটি ওয়ার্কসপের দোকান জবর দখলের খবর পাওয়া গেছে। এঘটনায় দোকান কোটার মালিক ময়না মিয়ার ছেলে মাসুম আহমদ বাদী হয়ে রাতেই কানাইঘাট থানায় দোকান পাট জোর পূর্বক জবর দখলকারী স্থানীয় বড়বন্দ ৩য় খন্ড গ্রামের মৃত তমির আহমদের ছেলে রাসেল আহমদ ৩জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    অভিযোগে বাদী মাসুম আহমদ উল্লেখ করেছেন বড়বন্দ বাজারের সরকারি খাস খতিয়ানের জায়গার উপর তার পিতা ময়না মিয়া বিগত ১৭/১৮ বছর থেকে টিনশেডের একটি দোকান করে সেখানে ওয়ার্কসপের ব্যবসা করে আসছিলেন।

    বিগত ৫ বছর থেকে মাসুম আহমদ পিতার দখলীয় দোকান কোটায় ওয়ার্কসপের ব্যবসা করে আসছেন। সম্প্রতি রাসেল আহমদ গংরা তাদের দোকান কোটা থেকে বেদখল করার জন্য বিভিন্ন পায়তারা চালিয়ে আসছিল।

    বিষয়টি তারা বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করে রাখেন। আজ রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাসেল আহমদ ও তার ভাতিজারা সহ আরো কয়েকজন অজ্ঞাতনামা লোকজনকে নিয়ে দেশীয় লাঠি-সোটা নিয়ে দোকানে হামলা চালিয়ে ওয়ার্কসপের দোকান কোটা জবর দখল করে সেখানে তালা মেরে দোকানের মেশিনারী মালামাল লুঠ-পাট ও দোকান কোটার ভিটার মাটি সরিয়ে ফেলে।

    বাজারে শত শত লোকজনের উপস্থিতিতে দোকান পাট জবর দখল করা হলে হামলাকারীদের ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পাননি বলে দোকান মালিক ময়না মিয়া জানিয়েছেন।

    এঘটনায় রাসেল সহ ৩জনের নাম উল্লেখ করে আরো কয়েক জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে ময়না মিয়ার ছেলে মাসুম আহমদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

  • রাজিবপুরে বিয়ে না করায় মারপিট,অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

    রাজিবপুরে বিয়ে না করায় মারপিট,অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

    সহিজল ইসলাম,রাজীবপুর(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ

    কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে প্রায় ১৫ বছর আগে খোকা মিয়া ও খালেদা বেগমের বিয়ে হয়েছিলো। ৫ বছরের সংসার জীবনে দুটি সন্তানের জন্ম হয় ওই দম্পতির। এর পর পারিবারিক নানা কলহের কারনে খোকা মিয়া তালাক দেন তার স্ত্রীকে।বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায় সেখানেও তালাকের মাধ্যমেই মিমাংসা হয়।

    পরে দুই সন্তানকে নিয়ে বিয়ে করে নতুন করে সংসার শুরু করে খোকা মিয়া। সম্প্রতি তালাকপ্রাপ্ত আগের স্ত্রী পুনরায় তার সাথে সংসার করার আগ্রহ প্রকাশ করে এবং বিভিন্ন ভাবে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। এতে খোকা মিয়া রাজি না হওয়ায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে এর প্রতিকার চান খালেদা বেগম।

    ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুঠোফোনে তাকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে খালেদাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়।এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান সহ তার কয়েকজন অনুসারী মিলে খোকা’কে বেধড়ক মারপিট করে খালেদা বেগমের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে।

    এঘটনার খবর পেয়ে খোকার ভাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় উদ্ধার করে তাকে।
    রাজীবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নে চরনেওয়াজী গ্রামের ঘটনা।স্থানীয় ব্যক্তি ও থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

    এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন (ওরফে কারেন্ট আনোয়ার), খালেদা বেগম,ছবের আলী,কাইঞ্চা মিয়া ও জাবেদ আলীর বিরুদ্ধে চিলমারীর ঢুসমারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে নির্যাতিত খোকা মিয়ার ভাই আব্দুল আওয়াল।

    মারপিটে আহত খোকা মিয়া রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।বিয়ে না করায় খোকা’কে মারপিট করার বিষয়ে জানতে চাইলে মোহনগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন,খোকা ওই নারীকে পুনরায় বিয়ে করার জন্য নিজেই প্রস্তাব দিয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি জানার জন্য তাকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হয়েছিল। তাকে আমি মারধর করিনি।মেয়ের পরিবারের লোকজন হয়তোবা মারপিট করেছে।

    এ বিষয়ে খোকা মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমি আবার বিয়ে কইরা পোলাপান নিয়া খুব সুখে আছি।ওই মহিলা আবার আমাক বিয়া করবার চায়।চেয়ারম্যানেক দিয়া প্রস্তাব দিছে।আমি রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান ও আরও কয়েকজন মিলা আমাক মাইরডাং কইরা ঘরে আটকায়া রাখছিলো।আমার ভাই ভাইস চেয়ারম্যান সাথে নিয়া আমাক উদ্ধার করে।

    থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল আওয়াল বলেন,আমার ভাইয়ের পক্ষে আমি মামলার বাদি হইছি।চেয়ারম্যান জোর কইরা আমার ভাইয়েক বিয়া করাবার চায়।রাজি না হওয়ায় তাক মারপিট করছে।আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

    লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে ঢুসমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইফতেখার মোকাদ্দেম বলেন,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং  ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় নির্যাতিতকে উদ্ধার করা হয়ছে এমনটা শুনেছি।লিখিত অভিযোগটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

  • মাধবপুরে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ- দিশেহারা কৃষক।

    মাধবপুরে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ- দিশেহারা কৃষক।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জে মাধবপুর উপজেলার কমলা নগর গ্রামের কৃষক হান্নান অভিযোগ করে বলেব শনিবারে তিনি ইউনিয়ন ডিলার লালা ট্রেডার্স থেকে ইউরিয়া সার প্রতি কেজি ৪ টাকা  টিএসপি ৬ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে।

    উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের চাষি কদর আলী,শফিক মিয়া,ইমান আলী,করিম হোসেন,আব্দুল মজিদ সহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় চাষিরা জানান,চৌমুহনী ইউনিয়ন সারের ডিলার ও অন্যান্য সারের দোকান গুলোতে সরকারি নির্ধারিত দামের বাইরে টিএসপি,ইউরিয়া,এমওপি,ডিএপি র প্রতি কেজি সারে ৩ থেকে ৮ টাকা হারে বেশি দাম নিচ্ছেন। চাষিদের অভিযোগ,ডিলার সহ সারের দোকানগুলোতে সার পর্যাপ্ত থাকলেও বিক্রেতারা সারের সংকট দেখিয়ে দাম বেশি রাখছেন। এতে তাদের উৎপাদন খরচ বহুগুন বেড়ে যাচ্ছে। দাম বেশি হওয়ায় চাহিদা মতো সার ক্রয় করতে পারছেন না তারা।

    ফলে জমিতে সারের ঘাটতির কারণে উৎপাদন ব্যাহত হবার আশংকা রয়েছে। সরজমিনে গত রবিবার উপজেলার চৌমুহনী,ধর্মঘর,বহরা, শাহজাহানপুর সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ঘুরে কৃষক ও সার বিক্রেতার সাথে আলাপ করে বেশি দামে সার বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে।

    চৌমুহনী ইউনিয়ন সারের ডিলার এর সত্বাধিকারী সারের দাম বেশি নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,খুচরা পর্যায়ে সার দোকানিরা বেশি দামে সার বিক্রি করার কথা শুনেছি তবে আমার এখানে সরকারি রেটেই সার বিক্রি হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,সাব ডিলারদের কাছে দোকানের মেম্যুর মাধ্যমে সার দেওয়া হলেও খুচরা পর্যায়ে সারের ক্রেতাদের কোনো মেম্যু দেওয়া হয় না।

    চৌমুহনী ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ জাহিদুল হোসাইন বেশি দামে সার বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন,আসন্ন রবি মৌসুমে এ অঞ্চলে সারের চাহিদা বেশি থাকে সে তুলনায় সারের কিছুটা সংকট রয়েছে। সে সুযোগে খুচরা সার বিক্রেতারা দাম কিছু বেশি রাখছেন বলে শুনেছি। তবে ডিলার সহ সার বিক্রেতাদের সরকারি মূল্যে সার বিক্রি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।

    মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান সারের সংকট থাকার কথা নয়, মাঠপর্যায়ে আমাদের উপ-সহকারি কৃষিকর্মকর্তারা বিষয়টি মনিটরিং করছে। কারো বিরুদ্ধে যদি বেশি দামে সার বিক্রির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে বিধি অনুযাযী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • তাড়াশে সার্ভেয়ারের প্রতিবেদনে সরকারী জমি উপর রাস্তা বিলুপ্তর অভিযোগ।

    তাড়াশে সার্ভেয়ারের প্রতিবেদনে সরকারী জমি উপর রাস্তা বিলুপ্তর অভিযোগ।

    তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সার্ভেয়ারের প্রতিবেদনে সরকারী জমির উপর রাস্তা বিলুপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার পৌরসভা এলাকার তাড়াশ মহিলা কলেজ সংলগ্ন এলাকায়।

    ২৮ ফেব্রুয়ারী/২১ তারিখের তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,ভাদাশ মৌজার  জেল এল নং ১৪০, আর এস খতিয়ান নং ২৪৬ ও দাগ নং ৬০১ এর ০.৯৯ একর জমি বাদী মৃত আফজাল হোসেন খানের ছেলে আশরাফুল আলম নামের ব্যক্তির দখলে আছে। কিন্তু মৃত আফজাল হোসেন খানের ছেলে বিবাদী আতাউর রহমান কে তার অফিসে ডেকে তদন্ত করবে বলে জানালে তিনি সার্ভেয়ার আব্দুল খালেক কে ৬০১ দাগের ০.০৪ একর জমি সরকারের নামে দলিল রয়েছে মর্মে দলিল শো করেন।

    দলিলে উল্লেখ আছে ওই দাগের ০.৯৯ একর ধানী জমির দক্ষিন ছাহাম হতে পূর্ব পশ্চিম লম্বাভাবে ২৭ ডেঃ বাদ তৎ সংলগ্ন উত্তর ছাহামে পূর্ব পশ্চিম লম্বাভাবে লোকজনের চলাচলের জন্য ৪ ডেসিমাল জমি রাস্তা বাবদ সরকারী নামে (জেলা প্রশাসক সিরাজগঞ্জ) ২৬ জানুয়ারী/১৫ তারিখে সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে দলিল করা হয়। যার নং ৪৩৬ তারিখ: ২৬-০১-২০১৫ইং। এতে  ওই দাগে জমি থাকে ০.৯৫ একর।

    মৃত আফজাল হোসেন খানের ছেলে বিবাদী আতাউর রহমান লিখিত অভিযোগ করে বলেন, আশরাফুল আলম  ওই সরকারী রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে  সিরাজগঞ্জ কোর্টে মামলা করেন যার নং এম আর ৩৩৪/২০। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ওই মামলা তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনার ভূমি,তাড়াশকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। সহকারী কমিশনার ওবায়দুল্লাহ সার্ভেয়ার আব্দুল খালেককে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেন।

    সার্ভেয়ার আব্দুল খালেক সরেজমিনে না গিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তদন্ত প্রতিবেদনে সরকারী রাস্তার দলিল কৃত জমি উল্লেখ না করে আশরাফুল আলম এর দখলে আছে ০.৯৯ একর জমি মর্মে প্রতিবেদন দেন। যা সরকারী স্বার্থের চরম পরিপন্থি বটে। বিষয়টি তদন্ত করতে কর্তৃপক্ষের নিকট দৃষ্টি কামনা করেছেন।

    এ ব্যাপারে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আব্দুল খালেক বলেন,এ বিষয়ে আমি কোন বক্তব্য দেব না।

  • তাড়াশে ২৬টি পরিবারের চালের কার্ড নিয়ে অভিযোগ।

    তাড়াশে ২৬টি পরিবারের চালের কার্ড নিয়ে অভিযোগ।

    তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে হতদরিদ্র পরিবার গুলো কার্ডের চাল পায় নি বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে।

    ২২ সেপ্টেম্বর বুধবার সগুনা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ২৬ জন হতদরিদ্র পরিবার এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে পাওয়া গেছে, ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম এই ২৬জন হতদরিদ্র পরিবারের ফেয়ার প্রাইজের চাল বিগত কয়েক বছর যাবত উত্তোলন করেছেন।

    চরকুশাবড়ী সবুজপাড়া গ্রামের অভিযোগকারী মৃত মেনাজ বেপারীর ছেলে ইছাহক বলেন,আমিরুল ইসলাম মেম্বরের কাছে প্রায় ৫ বছর আগে ফেয়ার প্রাইজের খাদ্য বিতরণে আমার নাম দেওয়ার  জন্য আমার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও ৫০টাকা দিয়েছিলাম। আমার নাম ওই বিতরণের তালিকায় থাকলেও এতদিন আমাকে জানায় নি। কিছুদিন আগে আমি জানতে পারি ওই তালিকার মধ্যে আমার নাম আছে সেই নামের চাল ওই মেম্বর  আরও ২৫টি কার্ডের চাল এতদিন উত্তোলন করেছে। তাই এই কার্ডের নায্য পাও না বুঝিয়ে পেতেই অভিযোগ টি করেছি।

    এ বিষয়ে সগুনা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম বলেন, আমার নামে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পন্ন মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি  মেম্বর হওয়ার পর ফেয়ার প্রাইজের খাদ্য বিতরণের জন্য ৫৫টি কার্ডের বরাদ্দ পাই। আমি ৫৫জনকেই কার্ড করে দিয়েছি। যে  ৫৫জনকে আমি কার্ড করে দিয়েছি তারা যদি চাল না পায় তাহলে আমি এর দায়ভার নেব। বাদ বাকী কার্ড নেতা কর্মীরা দিয়েছে। সে দায়ভার আমি নিতে পারবো না।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিম বলেন, পুর্নাঙ্গ অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

  • নাটোরের সিংড়ায়  অবৈধ সুতি জাল ও বানার বেড়া উচ্ছেদ

    নাটোরের সিংড়ায়  অবৈধ সুতি জাল ও বানার বেড়া উচ্ছেদ

                                                                   সিংড়ায়  অবৈধ সুতি জাল বানার বেড়া উচ্ছেদ

    সিংড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুঙ্গলবার সকাল ১০ টা হতে সিংড়া উপজেলার নিংঙ্গন বাস্টটেন্ড এলাকা থেকে শুরু করে পাটকল জোলায় একযোগে অভিযান চালিয়ে ২টি সুতি জাল কিছু বানার বেড়া উচ্ছেদ করা হয়েছে। সহকারি কমিশনার  ভূমি, মো: রকিবুল হাসান সিনিয়র মৎস অফিসার, মোঃ শাহাদৎ হোসেন সহ পুলিশের সদস্য সকাল ১০ টা হতে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করেন। বাঁশের  বানা ও সুতি জাল দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার বন্ধ করতে এই অভিযান চালানো হয়।

    সিংড়া উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা  নিংঙ্গন বাস্টটেন্ড এলাকা থেকে শুরু করে পাটকল জোলায় অবৈধ সুতি জাল বানার বেড়া দিয়ে মাছসহ নানা ধরনের জলজ প্রাণী শিকার করে আসছেন। ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালানোর দাবি ওঠে। তাঁদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিংড়া উপজেলা প্রসাশন আজ সকাল ১০ টা থেকে বিকেল টা  পর্যন্ত সিংড়া  উপজেলার নিংঙ্গন বাস্টটেন্ড এলাকা থেকে শুরু করে পাটকল জোলায় বিশেষ অভিযান চালায়। সহকারি কমিশনার ভূমি, রকিবুল হাসানের  তত্ত্বাবধানে সিনিয়র মৎস অফিসার, মোঃ শাহাদৎ হোসেন পুলিশের জন সদস্যসহ ২০ জন শ্রমিক অভিযানে অংশ নেন। অভিযান শেষে সহকারি কমিশনার ভূমি, রকিবুল হাসান বলেন, স্থায়ী কাঠামো তৈরি করে মাছ শিকার করা দন্দনীয় অপরাধ ।

    সেই আইন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আজ সকাল ১০ টা থেকে আমরা অভিযান পরিচালনা করে আসছি। সিনিয়র মৎস অফিসার, মোঃ শাহাদৎ হোসেন বলেন, ১৯৫০ এর আওতায় স্থায়ী কাঠামো দিয়ে মাছ শিকার করা নিষেধ এবং এটি একটি দন্ডনীয় অপরাধ । সেই সাথে মোঃ লাবু আলী নামে একজন কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এভাবে যদি আরো কেউ মাছ শিকার করতে চায় তাহলে আমরা সেগুলো উচ্ছেদ করবো এবং আইন গত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।