Category: সারাদেশ

  • বগুড়ায় নামাজ পড়তে গিয়ে নিখোঁজ; ২দিন পর লাশ উদ্ধার-ভোরের কণ্ঠ।

    বগুড়ায় নামাজ পড়তে গিয়ে নিখোঁজ; ২দিন পর লাশ উদ্ধার-ভোরের কণ্ঠ।

    বগুড়ায় তারাবি নামাজ আদায় করতে গিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তির ২ দিন পর ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। নিহতের নাম মশিউর রহমান সোনা মিয়া (২৬)।

    শনিবার (১মে) সকাল ৯টায় বারপুর দক্ষিণপাড়ার একটি ধানক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
    নিহত সোনা মিয়া বগুড়া সদর উপজেলার বারপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত নান্নু মিয়ার পুত্র। সে পেশায় একজন দলিল লেখক ছিলেন।

    পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সোনা মিয়া অন্যান্য দিনের ন্যায় রাতে বাড়ির পাশে মসজিদে তারাবি নামাজ আদায় করতে বাড়ি থেকে বের হয়। এদিকে রাতে তারাবি নামাজ শেষ হলেও যথা সময়ে সোনা মিয়া বাড়িতে ফেরেনি। সে রাতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন চিন্তায় মসজিদসহ সম্ভাব্য স্থানে খোঁজ নিয়েও তার কোন সন্ধান পায় না।

    পরের দিন শুক্রবার সোনা মিয়ার স্ত্রী সোনিয়া সদর থানায় এ সংক্রান্ত একটি জিডি দায়ের করেন। এরপর এলাকায় মাইকিং করলেও সোনা মিয়া নিখোঁজই রয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১মে) সকালে নিহতের বাড়ির পাশে একটি মাঠের ধানক্ষেত থেকে পঁচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পঁচা দূর্গন্ধের তালাশ করতে গিয়ে এলাকাবাসী ওই লাশ দেখতে পায়।

    একপর্যায়ে নিখোঁজ সোনা মিয়ার লাশ বলে তার পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করেন। এরপর এলাকাবাসী বগুড়া সদর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত সোনা মিয়ার লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

    বগুড়া সদর থানার (তদন্ত) ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রাথমিক ভাবে হত্যাকান্ড ধারণা করা হলেও তাকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

    তবে ময়না তদন্তের পর এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলা হচ্ছে। তাদের পূর্বে কোন শত্রুতার জের আছে কিনা এবিষয় মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে।

  • সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শিক্ষা বৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শিক্ষা বৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে  শিক্ষা বৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিরতণ করা হয়েছে। ১ মে শনিবার সকালে উপজেলা  প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হলরুমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে বাস্তবায়নাধীন বিশেষ এলাকার উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত) শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে  উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিরতণ করা হয়।

    এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ১’শ ২৫জন ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৯৮জন মোট ২২৩ জনকে শিক্ষা বৃত্তির চেক প্রদান ও  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৩০জন ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ২৬জন মোট ৫৬জনকে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিমের সভাপতিত্বে এ শিক্ষা বৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিরতণ অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৬৪ সিরাজগঞ্জ ৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি,ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান,প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি ওবায়দুল্লাহ, সহকারী শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।

  • কলাপাড়ায় রামনাবাদ চ্যানেল থেকে ২০ মণ হাঙ্গর জব্দ-ভোরের কণ্ঠ।

    কলাপাড়ায় রামনাবাদ চ্যানেল থেকে ২০ মণ হাঙ্গর জব্দ-ভোরের কণ্ঠ।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রামনাবাদ চ্যানেল থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে স্যান্ডি প্রজাতীর ২০ মণ হাঙ্গর সহ একটি ট্রলার জব্দ করেছে পায়রা বন্দর কোষ্ট গার্ড সদস্যরা। ৩০ এপ্রিল শুক্রবার সকালে জব্দকৃত হাঙ্গর ও ট্রলার কোষ্টগার্ড বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন।

    পায়রা বন্দর কোষ্টগার্ডের পিটি অফিসার বেলায়েত হোসেন খান বলেন, বৃহস্পতিবার রাত অনুমান সাড়ে ১২টার দিকে কোষ্টগার্ডের টহল অভিযানে রাবনাবাদ চ্যানেল থেকে স্যান্ডি প্রজাতীর বিশ মন হাঙ্গর সহ এফ.বি মাহিয়া নামের একটি ট্রলার জব্দ করা হয়। শুক্রবার সকালে বনবিভাগের কাছে ট্রলার সহ হাঙ্গরগুলো হস্তান্তর করা হয়।

    বনবিভাগের কলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আ: ছালাম জানান, কোষ্টগার্ডের কাছ থেকে হাঙ্গর গুলোকে হস্তান্তরের পর বনবিভাগের অফিসের সামনে বেড়িবাঁধের বাইরে হাঙ্গর গুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করার পর মাটি চাপা দেয়া হয়।

    জব্দকৃত ট্রলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শ অনুযায়ী আইনী প্রক্রিয়া গ্রহন করা হবে।

  • কলাপাড়ায় চাঁদাবাজির একক আধিপাত্য বিস্তার করতে সন্ত্রাসী হামলা-ভোরের কণ্ঠ।

    কলাপাড়ায় চাঁদাবাজির একক আধিপাত্য বিস্তার করতে সন্ত্রাসী হামলা-ভোরের কণ্ঠ।

    কলাপাড়ায় চাঁদাবাজির একক আধিপাত্য বিস্তার  করতে চাঁদা চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলায় সাত জন আহত হয়েছে। এরমধ্যে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে নাহিদ (২৮), মিম (২৩), আল হাসান সাগর (২৬) ও নয়ন (২৭) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা করেছে। বাকিদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মাইক্রোবাসের ড্রাইভারের কাছে চাঁদা দাবি করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় মাছুম নামের এক যুবককে আটক করেছে বলে জানা গেছে।

    আহত ও স্থানীদের সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে পরিবহন বন্ধ থাকলেও কিছু অসাধু মাইক্রোবাস চালক ঢাকা-টু কলাপড়া যাত্রী পরিবহন করে আসছে। বৃহস্পতিবার রাতে একটি মাইক্রোবাস ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।

    এসময় বাবু বাহিনীর মাছুম নামের এক যুবক এসে মাইক্রোবাসের ড্রাইভারের কাছে ২’শ টাকা চাঁদা দাবি করে। এনিয়ে বাক বিতন্ডার একপর্যায় অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। আতংকিত হয়ে পড়ে ওখানকার ব্যবসায়ি সহ স্থানীয়রা। তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে।

    কলাপাড়া থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মাছুম নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

  • মুনিয়ার আত্মহত্যার সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে অপশক্তি নিপাত যাক-আবীর আকাশ।

    মুনিয়ার আত্মহত্যার সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে অপশক্তি নিপাত যাক-আবীর আকাশ।

    শিল্পপতিদের বহুগামী নতুন কিছু নয়। তারা আধা বুড়া বা বুড়া হওয়ার পরেও ঘরে স্ত্রী, সন্তান এমনকি নাতি-নাতনি রেখেও কচি সুন্দরী মেয়ে পোষে বছরের পর বছর। কোনো কোনো নারীর ক্ষেত্রে তার যৌবন ফুরিয়ে যায়, বুড়ি হয়ে গেলেও তার কপালে বিয়ে কিবা সন্তানাদি জোটে না, সংসার জোটে না। আবার কোনো কোনো নারী চুক্তিতে বিয়ে করেন। এক্ষেত্রে সম্পর্ক বৈধ হলেও নারীর স্বার্থ জিরো। চুক্তি অনুযায়ী শুধুমাত্র ভরণপোষণের বিনিময়ে দেহ ভোগ চলে। চুক্তিশেষে চুক্তি মূল্য পরিশোধ করা হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে চুক্তিমূল্যও পাওয়া যায়না। দুরাশা করতে করতে সময় ও স্বার্থ কেবলই ফুরিয়ে যায়।

    সম্প্রতি অভিজাত এলাকা গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে মোশারাত জাহান মুনিয়া নামের এক সুন্দরী তরুণীর আত্মহত্যার (নাকি হত্যা?) বিষয়টি দেশের সমাজ ও রাষ্ট্রের আইন ব্যবস্থাকে ভাবিয়ে তুলেছে। ইসলামী শরিয়া বিরোধী ছিলো, বিবাহবহির্ভূত, সম্পন্ন অনৈতিক যৌনাচার করেছে ওই পুরুষ ও তার নারী সঙ্গীনী। অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হওয়া দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান  বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি আহমেদ সোবহান আনভীর। বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি হওয়ার কারণে কেউ বিষয়টিকে আমলে নিতে চাচ্ছে না। যদিও এতে বিভিন্ন কারণ নিহিত আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে অগ্রগণ্য কারণ দুটি হলে- ১. তাদের অঢেল টাকা ও ২. গণমাধ্যমের জন্য বিজ্ঞাপন। গণমাধ্যমগুলো ইতোমধ্যে তাদের হীনমন্যতা ও সংকীর্ণতার পরিচয় দিয়েছে। যেমন চ্যানেল আই তাদের অনলাইনে প্রকাশিত একটি ছবিতে আনভিরের ছবি ফ্যাকাসে করে দিয়ে মেয়েটিকে প্রদর্শন করেছে।

    নীতিনির্ধারক, প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তি, রাজনৈতিক সাপোর্ট নিতে যেমন টাকার যথেচ্ছ ব্যবহার করা হচ্ছে তেমনি সংবাদমাধ্যমের জন্য রয়েছে বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা। এতে করে নিরীহ অসহায় মেয়েটির ভাগ্যে শেষতক ন্যায় বিচার জুটবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে দেশের সাধারণ জনগণ।

    বসুন্ধরা কোম্পানি কিভাবে মিডিয়ার মালিক হয় তার সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যায় যতদূর জানা যায়- তাদের প্লট-ফ্ল্যাট জমি বিক্রির প্রচুর বিজ্ঞাপন যাচ্ছে প্রথম আলোতে। এদিকে ঢাকার কলাবাগান এলাকায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে একজনকে গুলি করে হত্যা করে বসুন্ধরা কোম্পানির পোষা সন্ত্রাসীরা। এ খবর তৎসময়ে কোন গণমাধ্যমে তেমন ছাপা না হলেও প্রথম আলো পত্রিকা হত্যার সংবাদ চাপে এবং আদালত পর্যন্ত ফলোআপ চেপেছিল। এই সংবাদকে কেন্দ্র করে প্রথম আলো পত্রিকায় বসুন্ধরার বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম আলো তখন স্বার্থের দিকে না তাকিয়ে এমন একটি খুনের সংবাদ প্রকাশ করে। এই সংবাদের জেরে বসুন্ধরা তখন বিশাল ঝামেলার মধ্যে পড়েছিল।

    এরপর থেকে বসুন্ধরা কোম্পানি আনভীর সাথে তখনকার অখ্যাত সংবাদকর্মী নঈম নিজামের বিভিন্ন কারণে যোগাযোগ তৈরি হয়। এই নঈম নিজাম পরবর্তীতে ফুঁসলিয়ে, প্রথম আলোর বিষাদগার করে বসুন্ধরাকে গণমাধ্যমে নিয়ে আসে।

    কালের কণ্ঠের অফিস বসুন্ধরা সিটির আন্ডারগ্রাউন্ডে শুরু করে। সম্পাদক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন দেশের স্বনামধন্য সাংবাদিক আবেদ খান। ড্যামি পত্রিকা হচ্ছে। এতেই সাংবাদিক আবেদ খান বুঝে গেলেন কোম্পানি কি কারনে, কেন গণমাধ্যমে প্রবেশ করেছে, কি তাদের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে আবেদ খান পত্রিকা থেকে অল্পসময়ের মধ্যেই সরে যান। উপন্যাসিক ইমদাদুল হক মিলন ছিলেন আমার দেশ পত্রিকার সাপ্তাহিক আয়োজন পাঠক ফোরাম পাতার পরিচালক। সেখান থেকে কালের কণ্ঠে প্রবেশ করেন ‘সম্পাদক শূন্য পত্রিকা’র ভারপ্রাপ্ত পরবর্তীতে সম্পাদক হিসেবে চেয়ারপ্রাপ্ত হন ইমদাদুল  হক মিলন।

    নঈম নিজামের বুদ্ধিতে কম পয়সায় আরেকটি দৈনিক খোঁজাখুঁজি করে এক ভদ্রলোকের পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিন পান। তিনি পত্রিকাটা তেমন চালাচ্ছিলেন না বা সময় দিতে পারছিলেন না বলে পত্রিকাটা নিয়মিত বের হচ্ছিল না। মাগনা পত্রিকা নিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ শাহজাহান সরদারকে সম্পাদক করে ১২ পৃষ্ঠার বাংলাদেশ প্রতিদিন রাজধানীতে এক টাকা, রাজধানীর বাইরে দুই টাকা করে পাঠকের কাছাকাছি আসার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। কয়েক মাসের মধ্যেই যখন মূল থিম শাহজাহান সরদার বুঝতে পারেন তখনই পত্রিকা থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। সংবাদকর্মী থেকে নঈম নিজামের জন্য আসে ‘সম্পাদক’ হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। এরপর বসুন্ধরা এক এক করে ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি সান, বাংলা নিউজ, রেডিও ক্যাপিটাল, টিভি চ্যানেল নিউজ২৪ মাধ্যমে তাদের গণমাধ্যমে আসার মনোবাসনা পূর্ণ করে যাচ্ছে।

    প্রকৃত সংবাদ ও সাংবাদিকতা ক্রমশ এই সব মিডিয়ার রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়তে শুরু করেছে। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানের অভিজাত এলাকায় মোসারাত জাহান মুনিয়া নামের এক মুক্তিযোদ্ধার মেয়েকে মাসিক ১লাখ টাকায় ফ্ল্যাট ভাড়ায় শয্যাসঙ্গিনী করে রেখে বিবাহবহির্ভূত যৌনাচার করেছে সেই বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি আহমেদ সোবহান আনভীর। যার বয়স চল্লিশের কোঠা পেরিয়েছে অনেক আগেই। সে কিনা একটা কলেজছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে, লোভ দেখিয়ে, রঙিন স্বপ্নের হুল ফুটিয়ে শুধুমাত্র শয্যাসঙ্গিনী করেছে। সে শুধু দেহ খেলায় উন্মুক্ত রইলেও মেয়েটিকে কোন স্বীকৃতি দিতে রাজি হয়নি নারীলোভী আনভীর। রাজনৈতিক নেতা, শিল্পপতি, টাকাওয়ালারা ঘরে যত সুন্দরী পরীই থাকুক না কেনো, তারা বাহিরে আলাদা করে নারী পোষা যেন রীতিমতো সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। যদিও এসব নারীদের বিভিন্ন উপায়ে জিম্মি করে, ব্ল্যাকমেইল করে তাদের দিয়ে অসৎ মনোবাসনা পূরণ করে নরপিশাচরা।

    মোসারাত জাহান মুনিয়াকে তানভীরের মা বলেছিল-‘সে যেন ঢাকা ছেড়ে যায়। আনভিরের সাথে যোগাযোগ না রাখে। যদি এর ব্যত্যয় হয় তাহলে তাকে হত্যা করা হবে।’ এমনটি আনভিরও বলেছিল যে -‘তার মা খুব খারাপ প্রকৃতির। মুনিয়াকে যেকোনো সময় হত্যা করতে পারে।’ আদতে মুনিয়া আত্মহত্যা (বা হত্যা) করেছে!

    আনভিরের সাথে মুনিয়ার অবৈধ সম্পর্কের ফাটল ধরে মুনিয়াকে যে বাড়িতে ভাড়া করে রেখেছিল আনভির, সে বাড়িওয়ালার ইফতারে অংশগ্রহণ করেছে মুনিয়া। বাড়িওয়ালা মোবাইলে ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করার পর সে ছবি আনভির তার বন্ধুর মোবাইলে দেখতে পায়। এতে শুরু হয় সম্পর্কের টানাপোড়েন। তারপর বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করে আনভির মেয়েটিকে ৫০ লাখ টাকা চুরি করেছে মর্মে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে।

    যখন মুনিয়ার সাথে আনভিরের দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে তখন সে তার বোনকে বিষয়টি জানায়। আনভির তাকে শুধু ব্যবহারই করেছে বিনিময় কোন স্বীকৃতি দিতে নারাজ এবং চুরির কলঙ্ক তাকে দিয়েছে বলেও মুনিয়া বোনের কাছে কান্নাকাটি করে। পরবর্তীতে রশিতে ঝুলানো মুনিয়াকে তো দেশবাসী দেখতে পায় গণমাধ্যমে।

    ঘটনার আড়ালে বহু ক্লু থাকলেও আইন বিচার ব্যবস্থা সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারকার্য পরিচালনা করবে। একটি মাত্র ক্লু হচ্ছে মোবাইল ফোনে মুনিয়াকে অতিরিক্ত মানসিক চাপ দেয়া, আত্মহত্যার প্ররোচনা করায় তার বোন নুসরাত বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলা (নং ২৭) শুধুমাত্র আনভীরকে বিবাদী করা হলেও আদালত বিচার কার্য পরিচালনার সুবিধার্থে আনভিরের বিদেশযাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আদালতের নিষেধাজ্ঞার সমূদয় কাগজপত্র বিমানবন্দর পাঠিয়েছে। এদিকে আনভিরের পক্ষে আগাম জামিন চেয়ে ব্যর্থ হলে তারা ৮ সদস্যের পরিবার বিশেষ বিমান ভাড়া করে বিদেশে পালিয়ে যায়। ১. মিসেস সাবরিনা সোবহান, পাসপোর্ট নং বিআর-৯৫৮৯৪৩৮ ২. আহমেদ ওয়ালিদ সুবহান, পাসপোর্ট নং বিআই-৯৫১৪৬৮৩ ৩. আইরিশ আফরিন সোবহান, পাসপোর্ট নং বিজে-৫২৩১৬৯৯ ৪. ইয়েশা সোবহান, পাসপোর্ট নং কে-০০৪৭২৭৭৪ ৫. রানিয়া আফরোজা সোবাহান, পাসপোর্ট নং কে-০০৪৭২৭২১ ৬. দানিয়া হার্নান্দেজ কাকানান্দ, পাসপোর্ট নং পি-০২৪৮৪৮০বি ৭. মোহাম্মদ কাদের মীর, পাসপোর্ট নং ইএইচ-০৭৫৪৮৯ ৮. হোসনেআরা খাতুন, পাসপোর্ট নং ইই-০১৬৬৯১৬। এরা বিজনেস ফ্লাইটে দেশত্যাগ করেছেন।

    এদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বহুল আলোচিত ঘটনার বিবাদী ও তাদের নিকট আত্মীয়রা বিদেশ পালিয়ে যাওয়া নিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, দায়িত্বহীনতা লক্ষণীয়। এদের দায়িত্ব-কর্তব্য প্রশ্নবোধক।

    বসুন্ধরা কোম্পানি কর্তৃক মানুষ হত্যা করার রেকর্ড পুরনো। তাদের টাকার কাছে, মিডিয়াগুলো বিজ্ঞাপনের কাছে বিকিয়ে যাওয়ায় অন্যান্য রাজনৈতিক, প্রশাসনিক এমনকি গণমাধ্যমগুলো যদি অন্যায়গুলো নাদেখার ভান করে তবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে অন্যসব অপশক্তি, মাফিয়ারা। এতে করে দেশের আইন বিচার ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ার আশংকা দেখা যাবে অন্য গণমাধ্যম থেকে মানুষের আস্থা বিশ্বাস উঠে যাবে।

    সাধারন জনগনের কাতারে দাঁড়িয়ে আমিও মুনিয়া আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যেনো কোনো অপরাধি আইন বিচার ব্যবস্থাকে কোনোভাবেই ডিঙ্গিয়ে যেতে না পারে।

     

  • শাহজাদপুরে তৃতীয় পক্ষের উস্কানিতে অমিমাংসিত অর্ধশতক জায়গা-ভোরের কণ্ঠ।

    শাহজাদপুরে তৃতীয় পক্ষের উস্কানিতে অমিমাংসিত অর্ধশতক জায়গা-ভোরের কণ্ঠ।

    গ্রাম্য প্রধান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় জনপ্রধিনিধারা মিলে বারবার শালিশ বৈঠক এবং মাপ জরিপ করেও নির্ধারণ করতে পারেননি মাত্র অর্ধশতাংশ জায়গার সীমানা। স্থানীয় প্রভাবশালি কয়েকজন মাতব্বর অসৎ উদ্দেশ্যে এবং মোটা অংকের অর্থ হাতাতেই মূলত দু’পক্ষের বিবেধ জিয়ে রাখছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    বেশ কয়েকবার মাপ জরিপ এবং শালিশ বৈঠক করলেও একটি পক্ষ সিদ্ধান্ত মেনে না নেওয়ার ফলে অমিমাংশিত অর্ধশতাংশ জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাধে সংঘর্ষ।

    গত বৃহস্পতিবার উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের নন্দলালপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষ চলাকালে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে নওশাদ শেখ বাড়ির বেড়া ঠিক করতে গেলে প্রতিবেশী ইদ্রিস প্রামানিকের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। এদিন সকাল ৬ টার দিকে ইয়াকূবের বাড়ীতে রঞ্জু, মজনু নজরুল,ছানো, শামসুল,আব্বাস, এরশাদ, শাহজাহান, হাসান, শামসুলসহ প্রায় ২০/২৫ জন লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে ইয়াকুবের ঘর ভাংচুর করে এবং বৃষ্টির মত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।

    এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে ইয়াকুব গ্রুপের ইয়াকুব (৫৪), নওশাদ(৫১), নাইম (১৭), ইব্রাহিম (৮), লতিব (৪০), রংবালা খাতুন(৪৫), এবং ইদ্রিস গ্রুপের আব্দুস সামাদ (৬৫), ইতি খাতুন (২০) সহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।

    সংঘর্ষ শেষে শাহজাদপুর থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করলে উভয় পক্ষের দুইজনকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে কয়েকবার সিমানা নির্ধারণের জন্য আমিন আসলেও ইদ্রিস গ্রুপ অনুপস্থিত থাকায় মাপ জরিপ সম্ভব হয়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং প্রধানবর্গ বারবার চেষ্টা করে সিমানা জরিপে ব্যর্থ হয়ে পরবর্তীতে দুপক্ষের সম্মতিতে পোরজনা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের গ্রাম আদালতের পক্ষে সহকারি সচিব আব্দুস ছাত্তার ও চেয়ারম্যান পক্ষের একজন আমিনসহ দুপক্ষের আমিন মাপ জরিপ শেষে প্রধানবর্গ সীমানা খুটি পুততে গেলে ইদ্রিস পক্ষের লোকজন বাধা দিলে অমিমাংশিতই থেকে যায় অর্ধশতাংশ জায়গার সিমানা নির্ধারণ।

    এ ব্যাপারে পোরজনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাবু জানান, ইদ্রিসের স্ত্রী বিচার চেয়ে গ্রাম আদালতে লিখিত আবেদন করলেও পরবর্তীতে তিনি অদৃশ্য কোন কারনে সেই আবেদন উঠিয়ে নেন বলে আমাদের আর কিছুই করা সম্ভব হয়নি।

    এ ব্যাপারে গ্রাম্য প্রধান আব্দুল আলীম জানান, জায়গার দাবীদারদের অসহযোগীতার কারনেই বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব হচ্ছে না।

  • উল্লাপাড়ার উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম করোনায় আক্রান্ত-ভোরের কণ্ঠ।

    উল্লাপাড়ার উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম করোনায় আক্রান্ত-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জে উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ শফিকুল ইসলাম (শফি) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বর্ষিয়ান এই প্রবীণ নেতা ১ম ও ২য় ঢেউয়ের করোনাকালিন সময়ে ঝুঁকি নিয়ে হাট বাজারসহ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে জনসচেতনামুলক ব্যাপক প্রচার প্রচারনা করেছেন। ৮/১০ দিন হলো সর্দি, ঠান্ডা ও জ্বরে ভুগছিলেন।গত তিন দিন আগে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে করোনা পরিক্ষার জন্য নমুনা দেন। বুধবার তার করোনা পজিটিভ আসায় হাসপাতালে হোম কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন। তবে বর্তমানে তিনি সুস্থ্য আছেন। সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।

    এ বিষয় নিশ্চিত করে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।গেল সপ্তাহে নতুন করে ১৩ জন করোনা সনাক্ত হয়েছে।তাদের হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার নতুন করে আরোও ৩ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। এরা হলেন পৌর শহরের নেওয়ারগাছা গ্রামের তারেক আলী,চরিয়া উজিরপাড়া গ্রামের নাসরিন খাতুন ও দূর্গানগর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক। এদের পৃথক ভাবে তাদের নিজ বাড়িতেই হোম কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

  • পলাশবাড়ী পৌরসভা প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সামগ্রী অসহায়দের মাঝে বিতরণ-ভোরের কণ্ঠ।

    পলাশবাড়ী পৌরসভা প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সামগ্রী অসহায়দের মাঝে বিতরণ-ভোরের কণ্ঠ।

    করোনাকালে অসহায় কর্মহীন মানুষের জন্য সারাদেশের ন্যায় মাননীয় প্রদানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সহায়তা সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ করেছে পলাশবাড়ী পৌরসভা।

    আজ বৃহস্পতিবার পলাশবাড়ী মহিলা ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা মাঠে পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জননেতা গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লবের আয়োজনে পৌর এলাকার ১৫ শত ৪০ জন সুবিধাভোগীর মাঝে এ খাদ্য সহায়তা বিতরণ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন। এসময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, পলাশবাড়ী প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রতন,পৌর কাউন্সিলরগণসহ উপজেলার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ।

    খাদ্য সহায়তা পেয়ে সুবিধা ভোগীরা বলেন,করোনাকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার খাদ্য সহায়তা আমাদের মতো অসহায় মানুষের পরিবারের জন্য অনেকটা উপকার হলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার তারা সাদরে গ্রহন করে ধন্যবাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া ও আর্শিবাদ কামনা করেন।

  • রায়গঞ্জের ঘুড়কা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কক্ষে দেহব্যবসার ভিডিও ফাঁস-ভোরের কণ্ঠ।

    রায়গঞ্জের ঘুড়কা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কক্ষে দেহব্যবসার ভিডিও ফাঁস-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলংগা থানার ঘুড়কা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কক্ষে দেহব্যবসার ভিডিও ফাঁস। ওই স্কুলের নাইড গার্ড নুরুল ইসলামের  সহযোগীতায় দেহব্যাবসা জম জমাট হয়ে উঠেছে বলে আভিযোগ উঠেছে।

    নুরুল ইসলাম স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় করোনাকালিন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় বিভিন্ন সময় মহিলা আমদানি করে স্কুল কক্ষেই দেহব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।

    গত ২৪ শে এপ্রিল সলংগা এলাকার দেহব্যবসায়ী খালেদা (২০) কে নিয়ে ৩ যুবক অসামাজিক কাজে লিপ্তছিলো।এসময় আড়াল থেকে এক যুবক তাদের অসামাজিক কার্যকালাপ মোবাইলে ভিডিও ধারন করে এবং ওই ভিডিওটি ফাঁস হয়ে যায়।

    পরে ওই ভিডিওর সুত্র ধরে স্থানীয় কয়েক জন সাংবাদিক ঘটনার স্থলে তদন্ত গেলে বেরিয়ে আসে ঘটনার সাথে জড়িতদের নাম। ঘুরকা গ্রামের শামচুল হকের ছেলে নুরুল ইসলাম দেহব্যবসার গ্যাং লিডার নুরুল ইসলামের সহযোগী হিসাবে রয়েছেন একই গ্রামের উত্তম দাসের ছেলে কাতিৃক কুমার,চকগোবিন্দ পুর গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম।

    দেহব্যবসার কাজে স্কুলের কক্ষ ব্যবহার করা ও কক্ষের তালা খোলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নাইট গার্ড বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যায়।

    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সকল দায়-দায়িত্ব নাইট গার্ডের উপর চাপিয়ে দেন।

  • সিরাজগঞ্জে সরকারি ভাবে বোর ধান-গম সংগ্রহের কাজ উদ্বোধন-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জে সরকারি ভাবে বোর ধান-গম সংগ্রহের কাজ উদ্বোধন-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জ সরকারি খাদ্য গুদাম অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ- ২০২১ মৌসুমে ধান ও গম সংগ্রহে শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে৷বুধবার( ২৮ এপ্রিল) সকালে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান ও গম সংগ্রহের আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন ।

    দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ্য করে, উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের কোথাও এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবেনা। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় নেতৃত্বে দেশ উন্নতি হচ্ছে । দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

    তিনি আরও বলেন, খাদ্য গুদামগুলোতে সামাজিক ও শারিরিক দূরত্ব বজায় রেখে মানসম্পন্ন ধান-গম সংগ্রহ করতে হবে।ধান গম দিতে এসে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে খাদ্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান ।

    এ চলতি মৌসুমে বোরো ধানের সংগ্রহ লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৬ শত, ৯৯ মেট্রিকটন এবং গম ২ শত ৬৪ মেট্রিকটন লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    ্এ সময় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান খান, ভাইস চেয়ারম্যান এস, এম নাছিম রেজা নুর দিপু , সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোস্তম আলী, টিসিএফ মোঃ আনোয়ার হোসেন, সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা এস এম শফিকুল ইসলাম তালুকদার, কারিগরী খাদ্য পরিদর্শক শফিউর রহমান,উপ খাদ্য পরিদর্শক গোপাল চন্দ্র শীল সহ
    খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।উদ্বোধনী দিনে কৃষক রোস্তম আলী সরকারি খাদ্য গুদামে ১ টন ধান এবং মোঃ শাহিন শেখ ৩টন গম সরবরাহ করে।