Author: admin

  • উল্লাপাড়ায় মাধ্যমিক পর্যায় জাতীয় শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন।

    উল্লাপাড়ায় মাধ্যমিক পর্যায় জাতীয় শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মাধ্যমিক পর্যায় উপজেলা ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে ৩ দিন ব্যাপী জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার সকালে উল্লাপাড়া সরকারি মার্চেন্ট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম শামসুল হক।

    ক্রীড়া অনুষ্ঠানে উপজেলার ৮ টি জোন পর্যায়ের বিজয়ী খেলোয়ারা উপজেলা পর্যায়ের খেলায় অংশ নেয়। খেলায় ছাত্র-ছাত্রীরা অ্যাথলেটিকস্ক, হকি, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল একক ও দ্বৈত, সাইক্লিং সহ বিভিন্ন দৌড় প্রতিযোগিতা অংশ নেয়।

    ক্রীড়ার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ মোসলেম উদ্দিন, উল্লাপাড়া সরকারি মার্চেন্ট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মীর আব্দুল হান্নান, এইচটি ইমাম গালস্ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মজিদ, পুর্বদেলুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গণেশ দত্ত, খোর্দগজাইল দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ আব্দুল জলিল প্রমুখ।

    এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শারীরিক শিক্ষক আলহাজ্ব মোঃ রমজান আলী, খোরশেদ আলম, নাইম হোসেন, বন্দনা রানী, ফরিদুল ইসলাম সহ আরও অনেকে খেলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন সহকারী শিক্ষক মোঃ শফি কামাল।

  • ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতের দাপটে স্থবির মৌলভীবাজারের জনজীবন।

    ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতের দাপটে স্থবির মৌলভীবাজারের জনজীবন।

    নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন। ঘন কুয়াশা আর শীতের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন মৌলভীবাজার জেলার খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।
    গত কয়েকদিন ধরে জেলাজুড়ে চলছে শীতের দাপট। তাপমাত্রার পারদ যত কমছে, ততই শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ সঙ্গে হিম বাতাস ও ঘন কুয়াশা থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
    জেলার প্রত্যেকটা গ্রাম ও চা বাগান-পাহাড়গুলোতে হাঁড় কাপানো শীতে একেবারে চরম দুর্ভোগের আবর্তে পড়েছে জনজীবন। মৌলভীবাজার জেলা কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ায় রিকশা, ব্যাটারি চালিত টমটম, সিএনজি চালকসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
    ঘন কুয়াশা ও শীতের দাপটে জনজীবনে দুর্ভোগের পাশাপাশি কর্মহীন হয়ে পড়েছেন মৌলভীবাজারের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলো। জরুরি প্রয়োজন ও অফিসগামী মানুষ ছাড়া বাইরে তেমন মানুষের আনাগোনা নেই। জেলার প্রধান সড়কে ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ির লাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে যান চলাচল করছে।
    মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ইং, সকাল ৯টার সময় শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
    পাহাড় আর হাওর বেষ্টিত মৌলভীবাজারে কনকনে শীতে কাবু চা বাগান ও হাওর পাড়ের বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগে ফেলেছে।
    গেল কয়েকদিন থেকে সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও সূর্যের দেখা মিলছে কম। চলমান কনকনে এ ঠান্ডায় বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাইও। আবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্যের তেজ বাড়লে কিছুটা স্বস্তি মেলে। তবে রাতের বেলা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুদের। যতই দিন যাচ্ছে জেলার তাপমাত্রার পারদ ততই নিচের দিকে নামছে। ফলে হাড় কাঁপানো শীতে জবুথুবু হয়ে পড়েছেন মানুষজন।
    কুয়াশা, প্রচণ্ড ঠান্ডা ও মৃদু বাতাসে গরম কাপড়ের অভাবে হাওর পাড়ের মৎস্যজীবী, চা শ্রমিক, নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
    জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, তীব্র শীতে শীতকালীন ডায়রিয়া, ঠান্ডা কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই জেলা ৭ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ও বৃদ্ধরা এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন।
    মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার পর্যবেক্ষক মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ইং, সকাল ৯টার সময় শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
    তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এখানে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাপমাত্রা কম থাকলেও মৌলভীবাজারের সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলেছে। ঝলমলে রোদ উষ্ণতা ছড়িয়েছে। তবে তাপমাত্রা নিচে নামার কারণে চলতি সপ্তাহ থেকে শীত পুরোপুরি শুরু হয়েছে জেলায়।
  • রাণীশংকৈলে চুরি হওয়া গরু পাওয়া গেল ভুট্টা খেতে।

    রাণীশংকৈলে চুরি হওয়া গরু পাওয়া গেল ভুট্টা খেতে।

    রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার  রাউতনগর ভবানীডাঙ্গী এলাকার বানু নামের এক কৃষকের গোয়াল ঘর থেকে চুরি যাওয়া দু’টি গরু উদ্ধার  করেছে রানীশংকৈল থানা পুলিশ।
    জানা যায়, রোববার দিবাগত রাতে ওই কৃষকের গরু চুরি হলে বাড়ির লোকজন ভোর সকালে টের পায়। তারা চুরি যাওয়া গরু  বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেতে থাকে। পরে
    তারা জানতে পারেন যে তাদের চুরি যাওয়া গরু মধ্য ভান্ডারার একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে।
    পুলিশ সূত্রে জানা যায়,  সোমবার উপজেলার মধ্যভান্ডারা গ্রামের মাঠের একটিভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে গরু গুলোকে দেখে স্থানীয় লোকজন সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়।
    এসময় রানীশংকৈল থানার এস আই আশরাফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দুটি লাল রঙের গরু উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। গরু দুটির মধ্যে একটি বলদ ও বকনা বলে জানান ওই এসআই আশরাফুল ইসলাম।
    রাণীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল রানা জানান, এ বিষয়ে ওই কৃষকের অভিযোগ থাকলে থানায় মামলা নেওয়া হবে। অন্যথায় যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রকৃত মালিককে গরুগুলো দিয়ে দেয়া হবে।
  • হাকালুকি হাওরে চলছে পরিযায়ী পাখি হত্যা।

    হাকালুকি হাওরে চলছে পরিযায়ী পাখি হত্যা।

    নিজস্ব প্রতিবেদক, জালাল উদ্দিন। দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ হাওর হাকালুকিতে নাম না জানা অসংখ্য অতিথি পাখি শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে দল বেঁধে আসতে শুরু করেছে। পাখি প্রকৃতির সৌন্দর্য ও পরিবেশের উপকারী বন্ধু। কিন্তু পাখি লোভী শিকারিদের হাতে সেই নিরীহ অতিথি পাখি শিকারে পরিণত হচ্ছে। যার ফলে অনেক কমে গেছে হাওরে পাখিদের বিচরণ।
    মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার হাকালুকি হাওরের জুড়ীর অংশে নাগুয়া ও চাতলার বিলে বিষটোপ-সহ পাশাপাশি প্রযুক্তির ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করছে তারা। তাদের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে হাকালুকি হাওর।
    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর সুদূর হিমালয়, সাইবেরিয়া-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও শীত প্রধান বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাকালুকি হাওরে নানা প্রজাতির পাখি আসে। এসব পাখির মধ্যে রয়েছে- বালিহাঁস, ভুতিহাঁস, কালিম, সাদা বক, কানি বক, পানকৌড়ি, গুটি ঈগল, কাস্তেচরা, কুড়া ঈগল, সরালি-সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। এর মধ্যে দেশীয় প্রজাতির নানা জাতের পাখি রয়েছে। আর এই সুযোগে ফাঁদ পেতে নির্বিচারে নিরীহ অতিথি পাখি শিকার করছে পাখি লোভী অসাধু শিকারিরা।
    হাকালুকি হাওরের আশপাশ থেকে জানা যায়, হাকালুকি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার ও সিলেটের পাঁচটি উপজেলার ১৮১ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত। এখানে ছোট-বড় ২৭৩ বিল, ১০ নদী ও অসংখ্য খাল রয়েছে। এই জলাভূমিতে পরিযায়ী পাখি শিকার সরকারের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি একে ১৯৯৯ সালে পরিবেশগতভাবে সংকটপূর্ণ এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করে সরকার।
    এদিকে গত সপ্তাহে হাকালুকি হাওরের জুড়ীর অংশে নাগুয়া ও চাতলার বিলে পাখি দেখতে ও ছবি তোলার জন্য যান, মোঃ রিজওয়ানুল করিম, সৈয়দ আব্দুল, শাহানুল করিম চপল ও সুলতান আহমদ নামে ৪ জন আলোকচিত্রী। তারা হাকালুকির নাগুয়া বিলে ৩২টি পাখি মৃত পড়ে থাকতে দেখেন।
    পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে এ সময় মৃত পাখিগুলো মাটিচাপা দেন তারা। এ ঘটনা তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিসহ পোস্ট দেওয়ার পরই মুহূর্তে আলোড়ন তৈরি হয় প্রকৃতিপ্রেমীদের মধ্যে।
    স্থানীয় হাওরপাড়ে বসবাসকারীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, হাকালুকি হাওরে অসাধু শিকারিরা বিষটোপ আর প্রযুক্তির ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করায় দিন দিন অতিথি পাখির আগমন কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে শীতে হাওরে অতিথি পাখি আসার সঙ্গে সঙ্গে পাখি শিকারিরা তৎপর হয়ে উঠেন।
    তারা আরও বলেন, শিকারিরা দলবেঁধে বিষটোপ ও জাল দিয়ে অতিথি পাখি শিকার করে। তারা সেসব পাখি গোপনে চড়া দামে বিক্রি করে। প্রতিজোড়া পাখি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
    ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন শ্রীমঙ্গলের সম্মানিত সিনিয়র সহসভাপতি ও দৈনিক জনসংগ্রাম পত্রিকা’র সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। একই অপরাধ ফের করলে শাস্তি ও জরিমানা দ্বিগুণের বিধানও রয়েছে। কোনো ব্যক্তি পরিযায়ী পাখির মাংস ও দেহের অংশ সংগ্রহ বা দখলে রাখলে অথবা বেচাকেনা করলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে বলে তিনি জানান।
    বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল বলেন, পাখি শিকারিরা সব সময় তৎপর থাকলেও যথাযথ কর্তৃপক্ষ রয়েছে অন্ধকারে এমন দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, এশিয়ার সর্ববৃহৎ হাকালুকি হাওরে কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে অবাধে চলছে পাখি শিকার। পাখি শিকার বন্ধে বন বিভাগ-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় কোনভাবেই থামছে না পাখি শিকার।
    এ বিষয়ে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজারের রেঞ্জ কর্মকর্তা গোলাম ছারওয়ার বলেন, এ এলাকায় শিকারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়াও পাখি শিকার বন্ধে মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
  • মৌলভীবাজারে শাহ মোস্তফা (র.) দরগায় ৬৮৩তম ওরস রোববার শুরু।

    মৌলভীবাজারে শাহ মোস্তফা (র.) দরগায় ৬৮৩তম ওরস রোববার শুরু।

    নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন। সিলেটের হযরত শাহ্জালাল (রহ.) এর অন্যতম সফরসঙ্গী হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা বোগদাদী শের সওয়ার চাবুকমার হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাহবুবে এলাহি (রহ.) এর ৬৮৩তম ওরস মোবারক মৌলভীবাজার শহরের মাজার প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে।
    হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (রহ.) এর এই ওরস মোবারক প্রতি বছরের বাংলা সনের ১লা মাঘ অনুষ্ঠিত হয়।
    মাজারের ওরস উদ্যাপন কমিটির সদস্যরা বলেন, গতকাল রবিবার ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ইং, আসরের নামাজের পর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে গরু জবাই করা হয়েছে ও এশার নামাজের পরে জিকির আজকার অনুষ্ঠিত হয় দরগাহ প্রাঙ্গণে।
    সোমবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ইং, সকাল ৯টার সময় মাজারে গিলাফ চড়ানো, জোহর নামাজের পড়ে শিরনি বিতরণ এবং এশার নামাজের পরে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে দুই দিনব্যাপী ওরসের কার্যক্রম শেষ হবে।
    শাহ মোস্তফা ওরসকে ঘিরে শহরের সড়ক-সহ আশপাশের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মেলায় দোকান বসে। বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। মেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর পাশাপাশি কুটির শিল্প সামগ্রী, শিশুদের নানা ধরনের খেলনা ও খাবারের দোকান বসে। দরগাহ প্রাঙ্গণ-সহ আশপাশের এলাকাজুড়ে দুই থেকে তিনদিন আগে থেকেই মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। ওরস ও মেলাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভক্ত অনুরাগীরা ও মেলায় আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
    উল্লেখ্য, হযরত শাহ্জালাল (রহ.) এর ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম সফরসঙ্গী হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (রহ.)। তিনি হযরত শাহ জালালের নির্দেশে মৌলভীবাজারে ইসলাম ধর্ম প্রচারে আসেন ওই সময়।
    মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, ওরস উপলক্ষে মাজার ও এর আশপাশের এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
  • রামপালে হাবিবুন নাহার এমপি শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ।

    রামপালে হাবিবুন নাহার এমপি শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভান্ডার হতে গরীব ও দুঃস্থ শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
    সোমবার (জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় রামপাল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে উপজেলা অডিটোরিয়ামের শীতার্ত মানুষের মাঝে এ কম্বল বিতরণ করা হয়।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা  বুশরা’র সভাপতিত্বে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-৩ আসনের নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বেগম হাবিবুন নাহার (এম.পি)।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আ. রউফ, রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ সালাউদ্দিন দিপু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক লিপন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. হোসনেয়ারা মিলি, রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোমেন দাস, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুকান্ত কুমার পাল প্রমুখ।
    এসময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শতাধিক অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রভাষক মো. মোস্তফা কামাল পলাশ।
  • নৌকায় ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে মারপিট,ভাঙচুর ও হামলা-মামলার অভিযোগ।

    নৌকায় ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে মারপিট,ভাঙচুর ও হামলা-মামলার অভিযোগ।

    বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের নির্দেশে তার সমর্থকদের হামলায় আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী। এ থেকে রেহাই পায়নি বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সংখ্যালঘুরা। এ অভিযোগ তুলে সোমবার দুপুরে বেলকুচি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। বেলকুচি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রহমান, গাজী দেলখোশ আলী প্রামানিক ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।

    এসময় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার প্রাতীক নৌকায় ভোট দেয়া ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডলের পক্ষে নির্বাচন করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের নির্দেশে নির্বাচনের দিন রাজাপুরে নৌকার এজেন্ট বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানকে বেদম মারপিট করা হয়। এছাড়া বেলকুচি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজন বীরমুক্তিযোদ্ধাকে হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে। এছাড়া নির্বাচন পরবর্তীতে মেঘুল্লা, তামাই, চালা, গাড়ামাসি, চন্দনগাঁতি, জিধুরী, সুর্বণসাড়া, গোপালপুর, দেলুয়া, রাজাপুর ও বানিয়াগাঁতি এলাকায় নৌকার সমর্থক ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের কুপিয়ে ও মারপিট করে অর্ধশত জনকে আহত করেছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া নির্বাচনী এলাকার প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকান পাট ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমথর্করা। এ নিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা সহ দলের নেতাদের নামে ডজন খানেক মামলাও দিয়েছে ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা।

    বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানকে বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামিলীগের মনোনিত প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডলের নির্বাচন করার কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের নির্দেশে নির্বাচনের দিন আমার ও পরিবারের ওপর হামলা চালায় তারই সমর্থক সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ সহ তার লোকজনেরা। তারা শুধু আমার ওপরে হামলা চালায় নি। আমাকে প্রাণ ন্যাসের হুমকিও দিয়েছে। আমি এখন প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আছি। আব্দুর রহমান বলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি। বিনিময়ে আজ নিজ দেশেই পরাধিনের মতো জীবন যাপন করতে হচ্ছে। আমাদের অপরাধ স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের নির্বাচন না করে নৌকার নির্বাচন করলাম কেন। তারা শুধু আমার ওপর হামলা চালিয়ে খ্যান্ত হয়নি মিথ্যা মামলা দিয়েও হয়রানি করেছে।

    এসময় তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে  লতিফ বিশ্বাসের হয়ে কাজ না করার কারণে  আমার মতো কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকে বেধরক মারপিট করেছে তার সমর্থকরা। এমতাবস্থা চলতে থাকলে আমরা এদেশে বসবাস করতে পারবো না। আমি এই হামলা ও মিথ্যা মামলায় তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি সেই সাথে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হামলাকরীদের আইনের আওতায় আনার  দাবী জানাচ্ছি।

    বেলকুচি উপজেলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী দেলখোস আলী প্রমানিক বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস তিনি তার জীবনে আওয়ামীলীগ থেকে অনেক কিছু পেয়েছে। সে ইউপি চেয়ারম্যান থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছেন। আজ তিনি নৌকার বিপক্ষে কাজ করে স্বতন্ত্র প্রার্ধী হয়ে পরাজিত হয়েছেন। তিনি পরাজিত হওয়ার কারনে আমাদের বীরমুক্তিযোদ্ধা সহ আওয়ামীলীগের অনেক নেতা কর্মীর উপর হামলা করে আহত করেছেন। অনেকের নামে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। আমরা এই নির্যাতনকারী লতিফ বিশ্বাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে চাই। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিলে আমরা সবাই শান্তিতে থাকতে পারবো।

    রাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন,  নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সমর্থকরা বেপরোয়া হয়ে গেছে। তারা নৌকার সমর্থক ও কর্মীদের উপর হামলা মিমলা করে যাচ্ছে। আমরা তার প্রতিকার চাই। তবে পুলিশকে বারবার অভিযোগ দিলেও কোন কাজ করছেনা।

    এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বলেন, সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা। নির্বাচনের পর থেকে নৌকার সমর্থকরা আমার ঈগল সমর্থকদের উপর হামলা মামলা ও বাড়ী ঘর ভাংচুর করে যাচ্ছে। যা বিভিন্ন মিডিয়াতে দেখাচ্ছে।

    বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসানুজ্জামান বলেন, নির্বাচনের পর থেকে যে কয়টা মামলা হয়েছে তার সকল মামলার আসামীরা আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। আর সকল মামলা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    সংবাদ সম্মেলনে, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বুলবুল চৌধুরী, আব্দুল খালেক, রেজা নজরুল,  সহ আরো অনেকই উপস্থিত ছিলেন।

  • উল্লাপাড়ায় অটোভ্যান চালকের মরদেহ উদ্ধার।

    উল্লাপাড়ায় অটোভ্যান চালকের মরদেহ উদ্ধার।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃসিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মোঃ রুবেল হোসেন(২৭)নামের এক অটোভ্যান চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা।

    নিহত রুবেল উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের রাঘব বাড়ীয়া গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে।সে পেশায় একজন ভ্যান চালক।পাঁচ বছর আগে একই এলাকার সদাই গ্রামের সখোয়াত হোসেন মন্ডলের মেয়ের সাথে সামাজিক ভাবে বিয়ে করেন।তার দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
    পারিবারিক সূত্রে জানা যায় রবিবার সন্ধার পর ভ্যানযাত্রী পৌছে দিয়ে আসার কথা বলে বাড়ী থেকে বেড় হয়ে আর ফিরে আসে নাই।
    স্থানীয় সূত্রে জানা যায় নিহত রুবেল অনেক আগে থেকে নেশা করতেন।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান স্থানীয়দের মাধ্যমে লাশের খবর পেয়ে পৌরশহর এলাকায় অবস্থিত তেল পাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে নিহত রুবেল(২৭)নামের অটোভ্যান চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তার নিকট থেকে নেশা করার সামগ্রী,টাকা,মোবাইল ফোন ও অটোভ্যান উদ্ধার করে নিহতের বাবা আক্তার হোসেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।রিপোর্ট আসার পর মুল রহস্য জানা যাবে।

  • উল্লাপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর শাহআলমের উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ।

    উল্লাপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর শাহআলমের উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় উল্লাপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মোঃ আজিজুল ইসলাম শাহ আলমের নিজ উদ্যোগে রবিবার বিকেলে কাওয়াক হাসপাতাল চত্বরে অসহায় দুস্থ শীতার্ত মানুষের মাঝে ৮’শ কম্বল বিতরণ করেন। ঘন কুয়াশা আর ঝিরঝির বাতাসে হাড় কাঁপানো শীতে কাবু দুস্থ মানুষ একটু উষ্ণতা পাক জনপ্রতিনিধি হিসাবে ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কম্বল বিতরণের আয়োজন করেন।

    শীতবস্ত্র বিতরণের সময় শীতার্ত মানুষের উদ্দেশ্যে শাহ আলম বলেন, আমরা আপনাদের ঘরের সন্তান। এই শীতে আপনারা খুব কষ্ট করছেন, এই কষ্টকে কিছুটা লাঘব করার জন্য আমার অতি ক্ষুদ্র আয়োজন। আপনাদের প্রতি বুকভরা ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, সম্মান ও সহমর্মিতা ও পরিবারের সদস্য হিসেবে আপনাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমি ব্যক্তিগত ভাবে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এ সময় তিনি মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুন্দর সমাজ গঠনের জন্য সহযোগিতা চান ।

    কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গোলাম মোস্তফা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মজনু মিয়া, উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মমতাজ হাসান রিটু,পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোবারক হোসেন জনি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

  • সানন্দবাড়ীতে অসময়ে ব্রহ্মপুত্র নদ ভাঙ্গনে বিলীনের পথে তীরবর্তী ফসলি জমি ও বসতবাড়ি।

    সানন্দবাড়ীতে অসময়ে ব্রহ্মপুত্র নদ ভাঙ্গনে বিলীনের পথে তীরবর্তী ফসলি জমি ও বসতবাড়ি।

    দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি :অসময়ে তীব্র ভাঙন ধরেছে  ব্রহ্ম পুত্র নদী বিলীন হয়ে যাচ্ছে তীরবর্তী ফসলি জমি। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে বসতবাড়ি। এমন ঘটনা  জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকায়। অসময়ের ভাঙনে আবাদি জমি ও বসতভিটা হারানোর শঙ্কায় বিচলিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।
    দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তরে সানন্দবাড়ী হাটবাজার। ব্রহ্মপুত্র নদের  ভাঙনে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে এই হাটবাজার। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্ব পাড় ঘেঁষে প্রবল স্রোত। পানি কমে যাওয়ায় নদের বুকে জেগে উঠেছে ছোট-বড় বালুচর। পূর্ব পাড়ে তীব্র স্রোত থাকায় ভাঙ্গছে অবিরত। গত কয়েক বছরের ভাঙ্গনে নদে চলে গেছে সানন্দবাড়ীর পশ্চিমের কয়েকটি গ্রাম। এর মধ্যে রয়েছে সানন্দবাড়ী মণ্ডলপাড়া, মৌলভীরচর, মুন্সিপাড়া, চুনালীপাড়া, চিথুলীয়া, সানন্দবাড়ী পশ্চিমপাড়া, পাটাধোয়াপাড়া ও খোলাবাড়ী। বিলীন হয়েছে অন্তত দুই হাজার পরিবার এবং কয়েক হাজার একর ফসলি জমি।
    প্রতি বছর বর্ষার শুরুতে ভাঙ্গতে শুরু করে নদটি। কিন্তু এবার শীতকালেই ব্রহ্মপুত্র নদে তাণ্ডব চলছে সানন্দবাড়ী পাটাধোয়াপাড়া, মণ্ডলপাড়ার একাংশ ও মৌলভীরচরের একাংশে। ভাঙ্গন থেকে বসতভিটা রক্ষায় উপর মহলে ছুটছেন কেউ কেউ। সানন্দবাড়ী পশ্চিমপাড়ার ময়নাল হক জানান, দীর্ঘদিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙ্গন চলছে।
    ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে পাটাধোয়াপাড়া, মণ্ডলপাড়া, মৌলভীরচর মুন্সিপাড়া, চুনালীপাড়া, চিথুলীয়া, বাহির পশ্চিমপাড়া, পাটাধোয়াপাড়া ও খোলাবাড়ী গ্রাম। এসব গ্রামের নিঃস্ব লোকজন জীবিকার তাগিদে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে চলে গেছে।সানন্দবাড়ী পশ্চিমপাড়ার আপেল মাহমুদ বলেন,এক সময় আমাদের আবাদি জমি ও বসতিভিটা সব ছিল। সর্বনাশা ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে সব বিলীন হয়ে গেছে। এখন আমি অন্যের জমিতে ঘর তুলে থাকি। দিনমজুরি করে দিনযাপন করছি। আমাদের দুঃখ যেন এত দিনেও ঘুচছে না। এখন অসময়ে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, মাথা গুজার শেষ সম্বলটুকুও বুঝি শেষ হয়ে যায়। নুর আলম বলেন- প্রতিবছর বর্ষায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ অঞ্চলে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু এবার শীত মৌসুমেও ভাঙ্গছে।
    পল্লী পশু চিকিৎসক বাহেজ আলী বলেন, ‘আমাদের বড় দুঃখের কপাল। আগে আমাদের বসতভিটা ও আবাদি জমি সব ছিল। সর্বনাশা নদে সব কেড়ে নিয়েছে। এখন আমরা সহায়-সম্বলহীন। অন্যের জমিতে আশ্রয় নেওয়ার মত উপক্রম হয়েছে।’ ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন থেকে সানন্দবাড়ী এলাকা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
    চরআমখাওয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লাভলু বলেন, বর্ষাকালে এ নদের ভাঙ্গন তীব্র হয়। কিন্তু এ বছর অসময়ে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, তাতে এলাকাবাসী দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন। এভাবে ভাঙ্গলে দু-এক বছরের মধ্যে বিলীন হয়ে যাবে বছরে প্রায় দেড় কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের উৎস সানন্দবাড়ী হাট বাজার।
    চরআমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলামের ভাষ্য, অসময়ে নদের এত তীব্র স্রোত আগে কখনও দেখেননি তিনি। তীব্র ভাঙ্গনে কয়েক বছরেই নদ গর্ভে সানন্দবাড়ীর কয়েকটি গ্রাম বিলীন হয়ে গেছে। নদীর পাড়ে এখন দাঁড়িয়ে আছে পাটাধোয়াপাড়া, মণ্ডলপাড়া ও মৌলভীরচরের একাংশ। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ভাঙ্গনের কবলে পড়বে সানন্দবাড়ী সদর। নদীভাঙ্গন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে দাবি জানান তিনি।
    ভাঙ্গনের খবরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স। পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক ও জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন তিনি।
    জামালপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান- সানন্দবাড়ীর ভাঙ্গন কবলিত ৯০০ মিটার এলাকায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে প্রাক-প্রতিরক্ষামূলক কাজ করার প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ওই স্থানে স্থায়ীভাবে নদীভাঙ্গন রোধে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তার জন্য একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটির দৈর্ঘ্য পাঁচ কিলোমিটার। ভাঙ্গন রোধের প্রকল্পটিতে ইটের ব্লক করে স্থায়ীভাবে ভাঙ্গন রোধ করা হবে।