Author: admin

  • শারিরীক ও মানসিক বিকাশে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা প্রয়োজন-হাবিবুন নাহার।

    শারিরীক ও মানসিক বিকাশে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা প্রয়োজন-হাবিবুন নাহার।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধি: বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) সংসদীয় আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, শিক্ষার্থীদের শারিরীক ও মানসিক বিকাশের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা করা প্রয়োজন। বর্তমান ছেলেমেয়েরা মোবাইল ও ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েছে।  মোবাইল ছাড়া ছেলেমেয়েদের চলেই না। মোবাইল ও ইন্টারনেটের আসক্তি থেকে ছেলেমেয়েদের দূরে রাখতে বেশি বেশি খেলাধুলার আয়োজন করা দরকার। এ লক্ষে আমাদের সরকার ছাত্র ছাত্রীদের সকল ধরনের আসক্তি থেকে দূরে রাখতে বছরের বিভিন্ন সময়ে নানামুখী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক
    প্রতিযোগিতার আয়োজন করে চলেছে।
    তিনি আরও বলেন যে, এক সময়ে অধিকাংশ  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে খেলাধুলার জন্য ভালো মাঠ ছিলনা। কিন্তু এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার খেলাধুলার প্রয়োজনীয় উপলব্ধি করে সুন্দর সুন্দর  মাঠের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমানে ছাত্র ছাত্রীরা দিন দিন খেলাধুলার প্রতি বিভিন্ন ধরনের আসক্তির কারণে  আগ্রহ হারাচ্ছে। দেশের এই প্রজন্মকে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে তাদেরকে খেলাধুলার গুরুত্ব অনুধাবন পূর্বক অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে।
    তিনি আরও বলেন যে, ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে। ফলে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন।
    রবিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে ৫২ তম শীতকালীন জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন বেগম হাবিবুন নাহার (এম.পি)।
    রামপাল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে উপজেলার ঝনঝনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক লিপন,  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. হোসনেয়ারা মিলি,  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস, এ আনোয়ার-উল কুদ্দুস।
    অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আ.রউফ,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ (অব:) মোতাহার রহমান,অধ্যক্ষ খালিদ আহমেদ,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জামিল হাসান জামু,মো.বজলুর রহমান, প্রভাষক মো.মোস্তফা কামাল পলাশ,শেখ শাহ নেওয়াজ,মো.তাওহিদুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য শেখ মনির আহমেদ প্রিন্স,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো.হাফিজুর রহমান,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো.ফরহাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ বেলাল উদ্দিন,প্রধান শিক্ষক গাজী জাহাঙ্গীর আলম,বিষ্ণুপদ বিশ্বাস,শেখ আবু বকার,শেখ মতলুব হোসেন,সুশান্ত কুমার পাল,মল্লিক আনোয়ার সাদাত,শেখ বায়জীদ হোসেন,মল্লিক আনোয়ার হোসেনসহ উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধানগণ,শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দসহ এলাকার ক্রীড়া প্রেমি লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
  • কানাইঘাটে পূর্ব শক্রতার জেরধরে একই পরিবারের ৪ জন আহত ।

    কানাইঘাটে পূর্ব শক্রতার জেরধরে একই পরিবারের ৪ জন আহত ।

    কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ কানাইঘাট পৌরসভার ফাটাহিজল গ্রামে পূর্ব শক্রতার জেরধরে একই পরিবারের নারী-পুরুষ সহ ৪ জন আহতের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও আহতের পরিবার কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে।
    আহতরা হলেন, ফাটাহিজল গ্রামের আব্দুর রবের পুত্র এখলাছ উদ্দিন, তার চাচাতো ভাই আছাব উদ্দিন, ফুফু জয়গুন নেছা, চাচাতো বোন ফাহফুজা বেগম। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জানুয়ারী সকাল ৮টার দিকে ফাটাহিজল গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের আব্দুল খালিক মটর ও তার ৩ ছেলে পরিবারের সদস্যরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লাঠি-সোটা নিয়ে এখলাছ উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের হামলা চালায়। এতে হামলাকারীদের হাতে ৪ জন আহত হন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
    পরে এখলাছ উদ্দিন বাদী হয়ে আব্দুল খালিক মটর ও তার ৩ ছেলে সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গ্রামের মুরব্বীয়ানরা বিষয়টি আপোষ-নিষ্পত্তি করার জন্য পুলিশের কাছ থেকে সময় নিলেও অভিযোগের বিবাদীরা স্থানীয় বিচার মানেনি।
    অভিযোগের বাদী এখলাছ উদ্দিন জানিয়েছেন, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখন পর্যন্ত অভিযোগটি রেকর্ড করা হয়নি।
  • মাধবপুরে ৩৮ কেজি গাঁজাসহ যুবক গ্রেফতার।

    মাধবপুরে ৩৮ কেজি গাঁজাসহ যুবক গ্রেফতার।

    নাহিদ মিয়া মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
    শনিবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৮ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাধবপুর থানাধীন তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাহমুদুল হাসান এর নেতৃত্বে এসআই অনিক চন্দ্র দেব সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের উত্তর সুরমা গোয়াছনগর গ্রামে বসতঘরে অভিযান চালিয়ে ৩৮ কেজি গাঁজাসহ ফারুক মিয়া (৩২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেন। সে শাহজাহানপুর ইউনিয়নের উত্তর সুরমা গ্রামের মৃত সামছু মিয়ার ছেলে।
    এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রকিবুল ইসলাম খাঁন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে রোববার দুপুরে হবিগঞ্জ জেল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
  • পীরগঞ্জে বইছে উপজেলা পরিষদের  নির্বাচনী হাওয়া।

    পীরগঞ্জে বইছে উপজেলা পরিষদের  নির্বাচনী হাওয়া।

    আনোয়ার হোসেন আকাশ,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই ঠাকুরগাঁয়ের পীরগঞ্জে বইছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী হাওয়া। সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগে মাঠে নেমে পড়েছেন। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা না হলেও সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগাম মাঠে নেমেছে। ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। শুরু হয়েছে প্রার্থীদের নিয়ে নানান জল্পনা-কল্পনা। কার জেতার সম্ভাবনা আছে এ নিয়ে ভোটারদের মাঝেও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
    এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হতে ইচ্ছুক যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন – আ.লীগ সমর্থীত নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আখতারুল  ইসলাম , উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লব, ১ নং ভোমরাদহ ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ৩ বারের ইউপি চেয়ারম্যান হিটলার হক, ৬ নং পীরগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম ।
    এছাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দবিরুল ইসলাম , সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান আনিস, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুল হক হিরা, উপজেলা জাসদের সাধারন সম্পাদক গীতি গমন চন্দ্র রায়।
    এসব প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরাও বসে নেই। নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-সহ নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
  • কুলাউড়ায় যমজ দুই শিশুকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা অভিযোগে মা গ্রেফতার।

    কুলাউড়ায় যমজ দুই শিশুকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা অভিযোগে মা গ্রেফতার।

    নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন। মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বাড়ির পাশের পুকুরে চার বছর বয়সী যমজ দুই ভাইয়ের লাশ পাওয়া গেছে।
    আজ রবিবার ২১ জানুয়ারি ২০২৪ইং, সকালে উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের উত্তরভাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
    নিহত হওয়া যমজ দুই শিশু হলো উত্তরভাগ গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে রাদিয়ান আহমদ ও রাইয়ান আহমদ। এ ঘটনায় স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে শিশুদের মা রিমা বেগমকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ। বাচ্চু মিয়া দুবাইপ্রবাসী। ছুটি পেয়ে প্রায় দেড় মাস আগে তিনি বাড়িতে আসেন।
    কুলাউড়া থানার পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, বাচ্চু ও রিমা দম্পতির সাত বছর বয়সী তানিশা আক্তার নামের আরেক কন্যাসন্তান আছে। গতকাল শনিবার রাতে খাবার খেয়ে তিন সন্তানকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়েন। আজ ভোর পাঁচটার দিকে বাচ্চু মিয়া ঘুম থেকে জেগে দেখেন, দুই ছেলে ও স্ত্রী পাশে নেই। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পেছনে পুকুরঘাটে স্ত্রী রিমাকে ভেজা কাপড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। এ সময় শিশু রাদিয়ান ও রাইয়ান পুকুরে ভাসছিল। পরে স্বজনেরা দুই শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
    কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলিম বেলা ১১টার সময় মুঠোফোনে বলেন, রিমা দুই সন্তানকে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যা করেছেন বলে স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন। স্বজনেরা বলেছেন, রিমা তিন-চার মাস ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসাও চলছে। কয়েক দিন আগেও তিনি এক সন্তানকে পুকুরে ফেলার চেষ্টা করেন। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত দুই শিশুর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি বলে এসআই আবদুল আলিম জানান।
    কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ক্যশৈনু মারমা বলেন, রিমাকে বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। দুই সন্তানকে হারিয়ে তিনি শুধু কান্নাকাটি করে যাচ্ছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ব্যাপারে মামলা হবে। ময়নাতদন্তের জন্য দুই শিশুর লাশ জেলা সদরে অবস্থিত মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল (সদর) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।
  • কার ভুলের বলি আমি।

    কার ভুলের বলি আমি।

    কার ভুলের বলি আমি ???
    ফরিদুল ইসলাম ফরিদ
    সুখ সাগরে ভেসেছিলে হয়তো
    ক্ষনিকের মোহে পড়ে,
    দশ মাস তুমি বয়ে বেড়ালে
    তোমার নিজ উদরে।
    কার ভুলের বলি আমি
    কার বা পাপের ফসল,
    কোন বা হিংস্র জানোয়ারের
    হয়েছি অপকৌশল।
    হয়তো কোন হিংস্র থাবা হতে
    পাওনি তুমি রক্ষা,
    অবশেষে তার ঘৃণায়
    আমায় করলে অবজ্ঞা।
    পাপাচারের ফসল বলেই
    ঠাঁই মেলেনি তোমার বুকে,
    তাইতো তোমরা ঠেলে দিলে
    জীব জানোয়ারের মুখে।
    ক্ষনিকের সুখের জন্য তোমরা
    পরকাল গেলে ভুলে,
    তোমার ভুলের কারণেই
    আমায় নিলেনা কোলে তুলে।
    দুনিয়ায় আগমন করিয়ে আমায়
    দেখালেনা আলোর মুখ,
    পাথরে গড়া হৃদয় তোমার
    এ তোমার কেমন সুখ?
    তোমাদের ভুলের বলি হলাম
    ছিলোনা আমার পাপ,
    সারাজীবন বয়ে বেড়াবে
    সেই অনলের অনুতাপ।
  • গ্রামীন ব্যাংকের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ।

    গ্রামীন ব্যাংকের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ।

    রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
    ঠাণ্ডা বাতাসের দাপট আর বৃষ্টির মত কুয়াশা মিলে শীত জেঁকে ধরেছে সবাইকে। হিম হিম ঠাণ্ডা আর কুয়াশায় নাকাল জনজীবন। শীতের এই তীব্রতা বেশি কাবু করে নিম্ম আয়ের মানুষকে। শীতার্ত অসহায় ও দুস্থ মানুষের উষ্ণতা দিতে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পাশে দাঁড়াল গ্রামীন ব্যাংক।
    ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রামীন ব্যাংকের আয়োজনে  অসহায় দুস্থ ভিক্ষুক (সংগ্রামী সদস্য) শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।আর মাঘ মাসের কনকনে এই শীতে শীতবস্ত্র পেয়ে উচ্ছ্বসিত শীতার্ত অসহায় এই মানুষগুলো।
    রবিবার (২১ জানুয়ারি) গ্রামীন ব্যাংকের বেগুনবাড়ী শাখার উদ্যোগে ৫০ জন অসহায় সংগ্রামী সদস্য ভিক্ষুকদের মাঝে এসব শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়।
    শীতবস্ত্র বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন গ্রামীন ব্যাংক ঠাকুরগাঁও যোনের যোনাল ম্যানেজার নিতাই চন্দ্র ঘটক, যোনাল অডিট অফিসার উত্তম কুমার বসু,শাখা ব্যাবস্থাপক সিদ্দিকুল ইসলাম, সেকেন্ড ম্যানেজার হারুন অর রশিদ ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি প্রমুখ।
    অপরদিকে একই দিনে গ্রামীন ব্যাংকের আয়োজনে জেলার সালান্দর শাখার উদ্যোগে ৫০ জন অসহায় সংগ্রামী সদস্য ভিক্ষুকদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন গ্রামীন ব্যাংক ঠাকুরগাঁও যোনের যোনাল ম্যানেজার নিতাই চন্দ্র ঘটক, যোনাল অডিট অফিসার উত্তম কুমার বসু,শাখা এরিয়া ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম, প্রোগ্রাম অফিসার হারুন অর রশীদ, শাখা ব্যবস্থাপক আঃ আজিজ প্রমুখ।
    এদিকে কনকনে শীতে শীতবস্ত্র কম্বল পেয়ে খুশি শীতার্ত অসহায় মানুষেরা।
  • বাঘায় দাফনের পর কাফনের কাপড় চুরি।

    বাঘায় দাফনের পর কাফনের কাপড় চুরি।

    বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:রাজশাহীর বাঘায় সুকোদা বেওয়া নামের এক বৃদ্ধা নারির দাফন করা লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে কাফন কাপড় চুরির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে কবর থেকে মৃত দেহ উত্তোলন করা হয়। উপজেলার আড়ানী পৌরসভার চকরপাড়া কবরস্থানে কাফনের কাপড় চুরির এই ঘটনা ঘটেছে। সুকোদা বেওয়া আড়ানী চকরপাড়া গ্রামের মৃত ছলেমান হোসেনের স্ত্রী। কাফনের কাপড় চুরি করতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চা ল্যর সৃষ্টি হয়েছে।

     স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আড়ানী পৌরসভার চকরপাড়া গ্রামে সুকোদা বেওয়া (৯০) বৃহস্পতিবার দুপুরে চকরপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। শনিবার ফজর নামাজ পরে তার মেজো ছেলে জমির উদ্দিন মায়ের কবরের কাছে যান। কববে দেওয়া বাঁশের ঘেরা বাঁশ সরানো  ও কবর খোড়া দেখেন। পরে প্রতিবেশি লোকজন ও ভাইদের নিয়ে কবরস্থানে গিয়ে দেখেন কবরে লাশ নেই।  আশেপাশে খোঁজ করে কবর থেকে প্রায় ৫০ মিটার উত্তর দিকে বাঁশের ঝাড়ে লাশ দেখতে পান। সেখানে দেখেন, যে কাপড় দিয়ে কবরে দাফন করা হয়েছিল, শরীরে কাফনের সেই  কাপড় নেই।
    তাদের ভাষ্য,৫ টুকরো কাফনের মধ্যে বড় দুই টুকরো চুরি করে নিয়ে গেছে।  পরে বাজার থেকে কাফন কিনে ওই কবরে পুনরায় দাফন করা হয়েছে। কারা এ ধরনের কাজ করতে পারে তা নিয়ে এলাকায় চলছে বিস্তর আলোচনা সমালোচনা।
    নিহতের মেঝ ছেলে জমির উদ্দিন জানান কাফন মাকে যেভাবে দাফন করা হয়েছিল, কবরের মধ্যে লাশ ছিলনা। বাঁশের ঝাড়ে লাশ পেলেও শরীরে কাফন ছিলনা। পরে বাজার থেকে পূনরায় কাফন কিনে শনিবার সকালে ওই কবরে তাকে দাফন করা হয়েছে।
    আড়ানী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও চকরপাড়া গ্রামের লিটন হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর, কবরস্থানে গিয়ে দেখেন লাশ উঠানো এবং তার দাফন করা পুরো কাপড় শরীরে ছিলনা। এলাকার লোকজনের বরাদ দিয়ে তিনি জানান,কুসংস্কারপন্থী যাদুকরী কিংবা নেশা খোররা এ ধরনের কাজ করতে পারে বলে ধারনা করেছেন।
  • মাধবপুর উপজেলা হাসপাতাল নতুন রুপে দেখতে চাই,স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বললেন-ব্যারিষ্টার সুমন।

    মাধবপুর উপজেলা হাসপাতাল নতুন রুপে দেখতে চাই,স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বললেন-ব্যারিষ্টার সুমন।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে হবিগঞ্জ-৪ আসেনর নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সাথে উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তার , সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    এ সভায় হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হয়ে হাসপাতাল যেন অস্বাস্থ্যকর না হয়। তিন মাসের মধ্যে মাধবপুর উপজেলা হাসপাতালকে নতুন রূপে দেখতে চাই। কোন সেবা গ্রহীতার অভিযোগ শুনতে চাইনা।তিনি শনিবার দুপুরে মাধবপুর উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
    তিনি আরো বলেন, আমার ব্যক্তিগত অপছন্দ অপছন্দের কোন লোক নেই। আমার কোন লোক থানায় গিয়ে তদবির করবে না। আমি হয়ত মাঝে মধ্যে থানায় গিয়ে খোঁজ নিতে পারি আমার উপজেলা কেমন আছে। আমি গাড়ি নয়, আমি পায়ে হেঁটে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের খোঁজ নিব। প্রতিটি পাড়া মহল্লা আমার পরিচিত।
    সুমন বলেন, আমি সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে আমার অর্ধেক সময় চলে যাবে সচিবালয়ে শুধু তদবির করতে। কারণ আমি জনগণকে কথা দিয়েছি আমি উন্নয়ন করব, আমি পবিবর্তন করব। দুইজন মন্ত্রী থাকার পরও যে কাজগুলো হয় নাই আমি সেই কাজগুলো করতে চাই মাদক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ধর্মঘর ইউনিয়নে নাকি মাদকের কারবার নাকি বেশি চলে। আজকের পর থেকে আমি আর একথা শুনতে চাই না।
    এ সময় তিনি কৃষি বিভাগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পরিপত্র ছাড়া কোন ধরণের কাঠের গাছ লাগানো যাবে না। লাগানো মানে হচ্ছে একটা হটিলুট। দুই তিন বছর পরে কাটা হয়, এরপর এগুলা শেষ হয়ে যায়। এখন থেকে সরকারি পরিপত্রের পরে শুধু ফলের গাছ লাগাবেন। যাতে করে ভবিষ্যতে প্রতিটি মানুষের জন্য কাজে লাগে। এ মতবিনিময় সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.কে এম ফয়সাল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ শাহজান,পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক,সাবেক মেয়র শাহ মোঃ মুসলিম,ইউ/পি চেয়ারম্যানবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ এবং সাংবাদিকনেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
  • রামপালে শিশুকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগে সিরাজুল ইসলাম গ্রেফতার।

    রামপালে শিশুকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগে সিরাজুল ইসলাম গ্রেফতার।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে ৮ বছরের এক কন্যা শিশুকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সরদার সিরাজুল ইসলাম (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে রামপাল থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
    অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের কুমলাই (সরদার বাড়ি) এলাকার মৃত সামসুদ্দীন সরদারের ছেলে।
    বুধবার (১৭ জানুয়ারী) রাতে রামপাল থানা পুলিশ উপজেলার তেলিখালী গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সিরাজুলকে গ্রেফতার করে। এর পূর্বে ভিকটিমের মা মোসাঃ রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে রামপাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করেন।
    রামপাল থানা পুলিশ ও থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, রামপাল উপজেলার তেলিখালী গ্রামের জনৈক ব্যক্তির দ্বিতীয় শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া কন্যা তেলিখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিদ্যালয় ছুটি হলে বাড়িতে ফিরছিলো। গত ১০ জানুয়ারী বিকাল সোয়া ৪ টার সময় ভিকটিমকে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম স্থানীয় ফয়সালের মৎস্য  ঘেরের বাসায় নিয়ে যৌন নিপিড়নের চেষ্টা করে। কন্যার কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরেও সামাজিকভাবে মানসম্মানের ভয়ে ভিকটিমের মা বিষয়টি লুকানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ভিকটিমের পিতা জানতে পেরে থানা পুলিশের স্মরনাপন্ন হন।
    রামপাল থানার ওসি (তদন্ত) বিধান চন্দ্র বলেন, ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন নিপিড়নের অভিযোগে মামলা হওয়ার পর থানা পুলিশের সদস্যরা তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত আসামী সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারী) গ্রেফতারকৃত আসামি সিরাজুল ইসলামকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।