Author: admin

  • রাণীশংকৈলে টিভি ধার করে মেয়ের ফুটবল খেলা দেখলেন চা-দোকানি বাবা।

    রাণীশংকৈলে টিভি ধার করে মেয়ের ফুটবল খেলা দেখলেন চা-দোকানি বাবা।

    আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
    খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাগরিকাকে দেখে মনে হচ্ছিল লাজুকলতা! যিনি মাঠে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে সবটুকু আলো কেড়ে নিয়েছেন নিজের দিকে।
    শুক্রবার অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে সাগরিকা করেছেন জোড়া গোল। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে জেতানোয় বড় ভূমিকা রেখেছেন।
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের মেয়ে সাগরিকা মাঠে যত সাবলীল, ক্যামেরার সামনে ততটাই জড়সড়!
    রাণীশংকৈল রাঙাটুঙ্গি ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক তাজুল ইসলামের হাতে গড়া নারী খেলোয়াড় সাগরিকা (লিটা)।
    একটা সময় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের পাইপলাইন মানেই ছিল ময়মনসিংহের কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয়। এরপর সাতক্ষীরা, রাঙামাটি, কুষ্টিয়া, ঠাঁকুরগাওসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে একঝাঁক মেয়ে এসে ফুটবল রাঙাচ্ছেন জাতীয় ও বয়সভিত্তিক দলে। সাগরিকা তাদেরই একজন। উঠে এসেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল রাঙ্গাটুঙ্গী ইউনাইটেড ফুটবল একাডেমির পরিচালক তাজুল ইসলামের হাত ধরে।
    বাবাকে ভুল প্রমাণ সাগরিকা লিটার….!
    ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক তাজুল ইসলাম না থাকলে হয়তো সাগরিকার মতো প্রতিভাবান স্ট্রাইকার পেতো না বাংলাদেশের ফুটবল।
    অথচ সাগরিকাকে খেলতে দিতে চাইতেন না বাবা লিটন আলী! নেপালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক না পাওয়ার কষ্টের চেয়েও সাগরিকার চোখে মুখে তাইতো অন্য রকম রোমাঞ্চ। যেন বলতে চেয়েছেন, “বাবা, দেখো আমি পেরেছি।”
    কোচ সাইফুল বারী টিটুর পাশে বসে সাগরিকা বলছিলেন, “শুরুতে বাবা-মা চাইতেন না ফুটবল খেলি। কিন্তু আমার এক খালা বাবাকে বলেছিলেন, মেয়েকে যদি খেলতে দিতে নাই চাও তাহলে আমাকে দিয়ে দাও। আমার মেয়ের পরিচয়ে ও খেলবে। বাবা-মা তখনও নিষেধ করেন।”
    জার্সি, হাফ প্যান্ট পরে মেয়েরা ফুটবল খেলবে, এটা মোটেও ভালো চোখে দেখত না গ্রামবাসী। একই ভাবনা সাগরিকার বাবারও। কিন্তু মেয়ের জেদের কাছে হার মানতে হয়েছে। বাবাকে ভুল প্রমাণ করতে পেরেই খুশি সাগরিকা, “ফুটবল খেলি বলে গ্রামের মানুষ কটু কথা বলতেন। কিন্তু জেদ নিয়ে খেলা শুরু করি। শুধু ভাবতাম, একদিন বাবা-মায়ের ভুল ধারণা ভাঙব। বড় ফুটবলার হয়ে তাদের দেখিয়ে দিব। আজ জাতীয় দলে খেলে সেটা প্রমাণ করে দেখিয়েছি।”
    বাবার চায়ের দোকানে ভিড়, গর্বিত গ্রামবাসী….!
    অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা সাগরিকার। বাবা চায়ের দোকানদার। বড় ভাই সাগর আলীকে টাকার অভাবে পড়ালেখা শেখাতে পারেননি সাগরিকার বাবা। এলাকার একটি ইটের ভাটায় শ্রমিকের কাজ করছেন সাগর।
    মেয়ের ফুটবল ম্যাচ টেলিভিশনে দেখানো হবে। কিন্তু লিটন আলীর টেলিভিশন নেই! প্রতিবেশীর কাছ থেকে টেলিভিশন চেয়ে আনেন লিটন। সেই টেলিভিশনে মেয়ের খেলা দেখেছেন শুক্রবার রাতে।
    এলাকার যারা এতদিন নেতিবাচক সমালোচনা করেছেন, তারাই সাগরিকার গোল দেখে গর্বিত। ফোনের অন্য প্রান্তে এসব কথা বলছিলেন আর কাঁদছিলেন লিটন আলী, “মেয়েকে গোল করতে দেখে মনে হচ্ছিল আমি এক গর্বিত পিতা। অথচ এই মেয়েকে ফুটবলে দিতে চাইনি! কত নিষেধ করেছি! কখনও কল্পনাও করতে পারিনি ও এভাবে ফুটবল খেলবে। দোকান তো ভরে গিয়েছিল লোকে। আমি জায়গা দিতে পারছিলাম না। সবাই মেয়ের খেলা দেখে প্রশংসা করছিল।”
    কেন মেয়েকে ফুটবলে দিতে চাইতেন না? প্রশ্নটা শুনে বিব্রত লিটন আলী, “এলাকার মানুষ বলত মেয়ে মানুষ ফুটবল খেললে নষ্ট হয়ে যাবে। ভেবেছিলাম মেয়েকে কিছুদিন পর বিয়ে দিয়ে দেব। আজ মেয়ে যেখানে গেছে এজন্য তাজুল স্যারের বড় অবদান।”
    অথচ মেয়ে ‍ফুটবল খেলে বলে এক মাস ধরে সাগরিকার সঙ্গে কথা বলেন না লিটন আলী, “আমি নিষেধ করেছিলাম। মেয়েটা কথা শুনল না। তাই এক মাস কথা বলিনা।” চাপা কান্নায় ভরে ওঠে অভিমানী বাবার কণ্ঠ।
    ভুল বুঝতে পেরে লিটন আলী বলছিলেন, “ওকে বলতাম জীবনেও কিছু করতে পারবি না। এখন মনে হয় আমার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। মেয়েই সঠিক।”
    রাঙ্গাটুঙ্গী থেকে সিঙ্গাপুরে……….!
    মফস্বলের চা দোকানদার লিটন আলী কখনও ঢাকায় আসেননি। কিন্তু ফুটবলের সুবাদে এরই মধ্যে সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম ঘোরা হয়েছে সাগরিকার।
    ২০২৩ সালের এপ্রিলে সিঙ্গাপুরে হয়েছিল এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রথম পর্ব। নারী ফুটবল লিগে পারফরম্যান্সের সুবাদে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ পান সাগরিকা। বাংলাদেশ দ্বিতীয় পর্বে উঠলে ভিয়েতনামেও খেলেন।
    এসব প্রসঙ্গ তুলতেই বাবা লিটন আলী বলছিলেন, “কোনোদিন ঢাকায় যাইনি। যেতে পারব কিনা জানি না। আমার বংশের কেউ বিমানে চড়েনি, চড়তেও পারতাম না। কিন্তু মেয়ে বিমানে চড়েছে। এর চেয়ে গর্বের কিছু হয় না।”
    যেভাবে সাফের দলে সাগরিকা………..!
    রাঙ্গাটুঙ্গী একাডেমির ফুটবলার সাগরিকা বিকেএসপিতে সুযোগ পেয়েও যাননি। ২০২২ সালে হওয়া ঘরোয়া নারী ফুটবল লিগের সর্বশেষ আসরে জাতীয় দলের সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের নজর কাড়েন। ওই বছর মেয়েদের লিগে খেলেন এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হয়ে। প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করে নজরে পড়েন কোচের।
    সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সিরাত জাহান স্বপ্না, শামসুন্নাহার জুনিয়র, শাহেদা আক্তার রিপাদের মতো অভিজ্ঞদের সঙ্গে লড়াই করে তাদের সারিতে নাম লেখান। প্রথম অংশ নিয়েই লিগে করেছিলেন ১০ গোল।
    গত বছর কমলাপুর স্টেডিয়ামে হওয়া অনূর্ধ্ব-১৭ নারী সাফে খেলেছিল রাশিয়া। যে টুর্নামেন্টে গোল পেতে রীতিমতো লড়াই করতে হয় বাংলাদেশকে। ওই টুর্নামেন্টে ভুটানের বিপক্ষে ১ গোল করেন সাগরিকা। রাশিয়া, ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ গোল পায়নি। তবে নেপালের সঙ্গে হারতে বসা ম্যাচে বাংলাদেশ ১ পয়েন্ট পায় সাগরিকার গোলেই।
    এরপর সাগরিকা খেলেন এএফসির দুটি টুর্নামেন্টে সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামে। সেখানেও গোল পেয়েছেন ভিয়েতনামে। ফিলিপাইনের কাছে ৩-১ গোলে হারের ম্যাচে একমাত্র গোলটি সাগরিকার।
    স্বপ্ন পূরণ তাজুল ইসলামের……….!
    নেপালের বিপক্ষে সাগরিকার খেলা দেখে উচ্ছ্বসিত তাজুল ইসলাম, “এই মেয়েদের নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলাম তাতে আমি সফল, স্বার্থক। আমার মত এমন নিধিরাম সর্দারের দেশের বিজয়ে অবদান রাখার এর চেয়ে বেশি ক্ষমতা নেই।”
    তাজুলদের মতো সংগঠক আছেন বলেই হয়তো চা-দোকানির সোনার মেয়েরা উঠে আসে এই পর্যায়ে। অবদান রাখে দেশের ফুটবলে।
  • রামপাল ডিগ্রি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন।

    রামপাল ডিগ্রি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন।

    রামপাল (বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে ঐতিহ্যবাহী রামপাল সরকারি ডিগ্রি কলেজের দুই দিনব্যাপী ৫৩ তম বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
    শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১.০০ টায় রামপাল সরকারি ডিগ্রি কলেজের আয়োজনে কলেজ চত্বরে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।
    রামপাল কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সমীর কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোজাফফর হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ শেখ জালাল উদ্দীন,  সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জামিল হাসান জামু, সাবেক অধ্যক্ষ আলী আহমেদ।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক আব্দুল হান্নান মোল্লা,  শেখ সাইদুর রহমান,  শেখ নজরুল ইসলাম, শেখ ইসরাফিল হোসেন, প্রভাষক কাজী ফারজানা মুন্নী,   অর্চনা রাণী পাল, মো: সাইফুল আলম বকতিয়ার, প্রভাষক দীপ্তি রাণী মন্ডল, শেখ শাহনেওয়াজ, জোহরা সুলতানা, সঞ্জয় পাল, শহীদুল ইসলাম,মোঃ মোস্তফা কামাল পলাশ, নিরুপম কুমার পাল, আব্দুর রউফ, মোঃ রবিউল ইসলাম, মোস্তাইন বিল্লাহ, চয়ন রায়,  কামনাশীষ মন্ডল, জোৎস্যা খাতুন, কল্লোল মজুমদার,  জীবন দ্যুতী চক্রবর্তী, আরিফা সুলতানা,  পুষ্পেন রায়, শেখ আবু বকার, লিখা রাণী পাল, মোঃ তাওহিদুল ইসলাম।
    কলেজ স্টাফ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ আসাদুর রহমান, মোঃ গোলাম ইয়াছিন রাজু, বিথীকা মন্ডল, মোঃ আতিয়ার রহমান, মোঃ শাহাদাৎ হোসেন,  মোঃ আকরাম হোসেন, খোদেজা বেগম, শেখ গোলাম আকতার,  মোঃ পারভেজ মোসাল্লী, মেহেদী হাসান ও মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন যে, এখন অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বড় বড় মাঠ করে দিয়েছেন লেখাপড়ার জন্য সুন্দর সুন্দর ভবনও তৈরি করে দিয়েছেন। কিন্তু আজকাল শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। শরীর ও মন সুস্থ রাখার জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। এছাড়া বর্তমানে ছাত্রছাত্রীদের যে মোবাইল আসক্তি ঘটেছে তার থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে শিক্ষার্থীদের নানামুখী খেলাধুলায় অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
  • রাণীশংকৈলে চার চোখ ও দুই মাথার ছাগল ছানার জন্ম।

    রাণীশংকৈলে চার চোখ ও দুই মাথার ছাগল ছানার জন্ম।

    আনোয়ার হোসেন,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    চার চোখ ও দুই মাথাযুক্ত একটি ছাগলের বাচ্চার জন্ম হয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ে রাণীশংকৈল উপজেলায়। ঘটনাটি উপজেলার পৌর শহরের ভান্ডারা শান্তিপুর এলাকায়  ঘটনা ঘটে।
    সোমবার (০১ ফ্রেরুয়ারী ) বিকালে ওই এলাকার বাসিন্দা সোহেলের বাড়িতে একটি ছাগল দুই ছানার জন্ম দেয়, তবে এরমধ্যে একটি অদ্ভুত আকৃতির।
    এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। আর ওই বাড়িতে ছাগলে বাচ্চাগুলো দেখতে দলে দলে ছুটে যাচ্ছেন স্থানীয়রা।
    স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকালে সোহেলের বাড়িতে পালিত এক ছাগল এমন বিরল ছানার জন্ম দেয়। ছাগলটির দুইটি ছানারমধ্যে ১টি অদ্ভুত ও একটি স্বাভাবিক ছিল। একটি ছানার দুটি জোড়া লাগানো মাথা। দুটি মুখ ও চারটি চোখ রয়েছে। তা ছাড়া অন্যান্য শারীরিক গঠন ঠিক রয়েছে। এমন খবর শুনে এলাকার শত শত মানুষ বাড়িতে ছুটে আসছে।
     সেখানে কথা হয় স্থানীয় ফয়জুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আগে খবরে দেখেছি চার পা, জোড়া মাথা ইত্যাদি ছাগল ছানা জন্মের। এবার নিজ এলাকায় এমন প্রকৃতির ছাগল ছানা দেখলাম।’
    আরেক ব্যক্তি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি চাঞ্চল্যকর ছাগলের ছানার যদি দুটি মুখ হয়। তাহলে সে খাবে কোন মুখ দিয়ে।’
    ছাগলের মালিক সোহেল রানা বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গর্ভবতী ছাগলটি বাচ্চা প্রসব করে। প্রথম বাচ্চা স্বাভাবিক হলেও পরের বাচ্চাটি অস্বাভাবিক প্রকৃতির হয়। এমন ছাগল ছানা হওয়ায় এলাকায় নানা আলোচনা চলছে।’
    রাণীশংকৈল উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক সাইদুর রহমান বলেন,জিনগত ত্রুটির কারণে এমন বিচিত্র বাচ্চার জন্ম হয়ে থাকতে পারে। যখন অ্যাবনরমাল শুক্রাণু ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে, তখন এ ধরনের বিচিত্র আকৃতির জন্ম হতে পারে। দুই মাথা ও চার চোখ যুক্ত ছাগলের বাচ্চাটি সুস্থ রাখতে ওই ছাগলের মালিককে প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
  • বালিয়াডাঙ্গীতে আধারে আমবাগানের ১৩৬টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ।

    বালিয়াডাঙ্গীতে আধারে আমবাগানের ১৩৬টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ।

    আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
    ৬১ শতাংশ জমিতে ১৩৬টি আমগাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এতে আমচাষির প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে একটি আমবাগানের ১২ বছর বয়সী ১৩৬টি আমগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে কোন এক সময়ে উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
    ওই গ্রামের মৃত কালারামের ছেলে ইলিত চন্দ্র সিংহ অরফে রাতিয়া অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী রাণীশংকৈল উপজেলার নুরতোর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রমজান কাজীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও বিষয়টি সমাধান হয়নি। গতকাল রাতে বাড়ীতে ছিলেন না রাতিয়া। এই সুযোগ রমজান কাজী তার লোকজন দিয়ে ৬১ শতাংশ জমিতে তার লাগানো আম বাগানের ১৩৬টি আমগাছ কেটে তাঁর ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতি করেছেন অভিযোগ তার। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়ে জড়িতের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
    এদিকে অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন প্রতিবেশী রমজান কাজী। তার দাবি, দুই বছর আগে জমির মালিক মাইকেলের নিকট জমি কিনেছেন তিনি। ওই বাগানের জমির মালিক তিনি। এখন জমি দখল দিতে হবে, তাই নিজেরাই গাছ কেটে ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করার হচ্ছে। স্থানীয় ভাবে বসা আপোষ মীমাংসাগুলোতে তার পক্ষে রায় পেয়েছেন বলে দাবি করেন।
    বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • বিশ্ব ইজতেমায় গেলেন শ্রীমঙ্গলের ৬ বাক প্রতিবন্ধী।

    বিশ্ব ইজতেমায় গেলেন শ্রীমঙ্গলের ৬ বাক প্রতিবন্ধী।

    নিজস্ব প্রতিবেদক, জালাল উদ্দিন। গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আগামীকাল শুক্রবার শুরু হচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে তাবলিগ জামাত এর ইজতেমা।
    এতে শরিক হতে বৃহস্পতিবার ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং, রাতে আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনে বিশ্ব ইজতেমায় গেলেন শ্রীমঙ্গলের ৬ বাক প্রতিবন্ধী।
    গতকাল বুধবার থেকেই মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম-শহর থেকে হাজার হাজার মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে দলে দলে যেতে শুরু করেছেন। তবে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে যাওয়ার জন্য বুধবার রাতে সেভ দ‍্য ফিউচার ফাউন্ডেশন শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখা’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিউর রহমান (মতিন) এর সঙ্গে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন একটি হোটেলে চায়ের টেবিলে বসে চা খাচ্ছেন ৬ বাক প্রতিবন্ধী। সেই সময় তাঁদের সাথে দেখা হয় সাংবাদিক মোঃ জালাল উদ্দিনের। তখন সাংবাদিক মোঃ জালাল উদ্দিন তিনি জিজ্ঞেস করলেন মতিনকে, যে ৬ বাক প্রতিবন্ধী তাদের সঙ্গে অনেক সামানা, তাদেরকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন। তিনি বলেন, তাদেরকে নিয়ে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমায় প্রথম পর্বে যাচ্ছি। তারা হলেন, বাক প্রতিবন্ধী ১.মোঃ নাহিদ রাজা, ২.মোঃ লিটন মিয়া, ৩.মোঃ স্বপন মিয়া, ৪.মোঃ মরম আলী, ৫.মোঃ সোহাগ মিয়া, ৬.মোঃ হাছান মিয়া।
    তিনি আরও বলেন, আমাদের সাথে আরো দুজন আছেন, শিক্ষক মোঃ আব্দুল সুবাহান ও হাফেজ মোঃ আব্দুল হাকিম-সহ আমরা মোট নয় জন যাচ্ছি। এই ভাইদের নিয়ে বিশ্ব ইজতেমায় যাওয়ার জন্য উপবন ট্রেনের অপেক্ষা করতেছি, ট্রেন আসলে বিশ্ব ইজতেমায় চলে যাবো এবং আমাদের জন্য দোয়া করিবেন।
  • মাধবপুরে গাঁজাসহ অটোরিকশা চালক গ্রেপ্তার।

    মাধবপুরে গাঁজাসহ অটোরিকশা চালক গ্রেপ্তার।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি। 
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে অভিনব কায়দায় ধানের কুড়ার বস্তায় করে নিয়ে যাওয়ার সময় ৪০ কেজি গাঁজা পাচারকালে এক অটোরিকশা চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
    সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৮টায় গোপনে খবর পেয়ে মাধবপুর থানার এসআই সুজন শ্যাম এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে মাধবপুর পৌরসভার বাস স্ট্যান্ড কিবরিয়া চত্বরের পশ্চিম পাশে এলাকার নাছির নগর রোডের সামনে উপর থেকে অভিযান চালিয়ে ধানের কুড়া বস্তায় করে ৪০ কেজি গাঁজা পাচারের কালে এক অটোরিকশা চালক রমজান আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতারকৃত অটো রিকশা চালক হলো: রমজান আলী (৩৫), সে আন্দিউড়া ইউনিয়নের হাড়িয়া গ্রামের আবেদ আলী ছেলে।
    এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  রকিবুল ইসলাম খাঁন দৈনিক সিলেটকে জানান, গাঁজা উদ্ধার কালে এক অটোরিকশা চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত গাঁজা পাচারকারী বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জ জেল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
  • রামপালে আওয়ামীলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ।

    রামপালে আওয়ামীলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ।

    মল্লিক জামান(রামপাল)বাগেরহাট)প্রতিনিধি: বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মত গণপ্রজাতন্ত্রী হওয়ায়  আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪ টায় রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী  সংগঠনের আয়োজনে রামপাল সদরে এ উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
    উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোজাফফর হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ (অব:) মোতাহার রহমান,  উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক লিপন,  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. হোসনেয়ারা মিলি,  উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বজলুর রহমান,  আওয়ামী লীগ নেতা মো. শরিফুল ইসলাম,  আরাফাত হোসেন কচি,  জালাল উদ্দীন দুলাল,  ইকরামুল কবীর কচি, হাওলাদার আবু তালেব,  কুদরতি ইনামুল বাশার বাচ্চু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
    সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে সর্বক্ষেত্রে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা পূর্বের কোন সরকারের আমলে হয়নি । এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের রাজনীতি করে বলেই পঞ্চম বারের মত গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
    এ সময় জননেত্রী  শেখ হাসিনা পঞ্চম বারের মত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়।
  • নেতার আড়ালে চোরাচালান ও মাদক ব্যবসায়ী কালাম দুই ট্রাক চিনিসহ গ্রেপ্তার।

    নেতার আড়ালে চোরাচালান ও মাদক ব্যবসায়ী কালাম দুই ট্রাক চিনিসহ গ্রেপ্তার।

    মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

    হবিগঞ্জর মাধবপুর উপজলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নর পরমানদপুর গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদ এলাকায় তিনি সিলেট মহানগর যুবলীগ নেতা বলে পরিচয় দেয়। স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে নেতা পরিচয়ে এলাকায় ঘুর বেড়ান। সাধারন মানুষও তাকে নেতা মনে করেন। রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে করেন মাদক ও চোরাচালান ব্যবসা করেন। মাদক ব্যবসা করতে গিয় একাধিকবার মাদকসহ পুলিশের হাত গ্রপ্তার হয়ে কারাগারে গিয়েছেন। । সর্বশেষ গত ২৬ জানুয়ারি বাহুবল থানায় চিনি ভর্তি একটি ট্রাক ও একটি কাভার্ডভ্যান সহ বাহুবল থানা পুলিশের হাতে গ্রপ্তার হয়েছেন।

    এলাকায় নেতা পরিচিত আবুল কালাম আজাদ বাহুবল থানায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার আসল রুপ মানুষর কাছে বেরিয় পড়ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবুল কালামের পিতা আবাস মিয়া পেশায় একজন রিকশা চালক ছিলেন। তার ছেলে আবুল কালাম গত ১৫ বছর আগে হঠাৎ করে অনেক টাকার মালিক হয়ে যায়। কি মানুষের চোখ পড়ার মতো তার বৈধ আয়ের কোন উৎস ছিলনা।

    পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ৮ মার্চ সিলেট কতোয়ালী থানায় কালামের নামে ছিনতাইয়র মামলা হয়। সিলেট কতোয়ালী থানা মামলা নং ৩৫। ২০১৯ সালর ৩০ জুলাই সিলেট এসএমপি বিমানবন্দর থানায় তার বিরুদ্ধ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। মামলা নং ৩৮।

    সর্বশেষ গত ২৬ জানুয়ারি বাহুবল থানায় দুই ট্রাক ভর্তি চোরাই চিনিসহ বাহুবল থানা পুলিশ তাক গ্রপ্তার করেছে। এ ঘটনায় বাহুবল থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং ৮। বাহুবল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আলী আকবর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুই ট্রাক চোরাই চিনিসহ আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোহয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদক ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়ছ।

  • রামপালে পুলিশের অভিযানে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সুব্রত রায় গ্রেফতার।

    রামপালে পুলিশের অভিযানে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সুব্রত রায় গ্রেফতার।

    মল্লিক জামান,রামপাল (বাগেরহাট)প্রতিনিধি: বাগেরহাটের রামপালে থানা পুলিশের মাদক নির্মূল অভিযানে মাদকদ্রব্য গাঁজাসহ সুব্রত রায় (৪৫) নামের এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। মাদক ব্যবসায়ী সুব্রত রায় উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের  কাঠামারী গ্রামের মৃত নিরোধ বিহারী রায়ের ছেলে।
    সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে রামপাল থানা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাঠামারী গ্রামের চায়ের দোকানে গাঁজা কেনা-বেচা করছে সুব্রত রায়। এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপপরিদর্শক দীনেষ ঘোষের নেতৃত্বে রামপাল থানা পুলিশের একটি চৌকস অভিযানিক দল চায়ের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে। এসয় পুলিশ ১’শ ৫০ (পঞ্চাশ) গ্রাম গাঁজাসহ সুব্রত রায়কে গ্রেফতার করে।
    এ তথ্য রামপাল থানার অফিসার ইন-চার্জ সোমেন দাস নিশ্চিত করেন।এ সময় আমারজমিন পত্রিকার প্রতিবেদককে জানান, গতরাতে থানা পুলিশের নিয়মিত অভিযানে হুড়কা ইউনিয়নের কাঠামারী গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী সুব্রত রায় নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
    আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু পূর্বক আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
    তিনি আরও জানান,মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি। রামপাল থানার এরিয়ায় কোন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবন কারীকে থাকতে দেওয়া হবেনা। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবিদের আইনের আওতায় আনতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
  • বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আ.লীগ নেতা আল মুনসুর ইয়াবাসহ গ্রেফতার

    বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আ.লীগ নেতা আল মুনসুর ইয়াবাসহ গ্রেফতার

    আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
    আবারও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হলেন ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা আল মনসুর। সোমবার (২৯জানুয়ারি) উপজেলা কলেজ রোড এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৫০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
    ইয়াবাসহ আটক আল মনসুর উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার গোলাম রব্বানীর মাস্টারের ছেলে।
    এর আগে গত বছরের মে মাসে দেড় হাজার ইয়াবাসহ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হাতে আটক হয়ে কারাগারে যান আল মনসুর। পরে তাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
    ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফরহাদ আকন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
    মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফরহাদ আকন্দ বলেন, ‘বিশ্বস্ত সংবাদের ভিত্তিতে সকালে আমরা তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় তার ঘরে ৫০ ইয়াবা উদ্ধার করি। উপস্থিত লোকজনের সামনে আ.লীগের ওই নেতা মাদক রাখার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।’ এ ঘটনায় আল মনসুরকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।