Author: admin

  • রামপালে লিফলেট বিতরণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটি।

    রামপালে লিফলেট বিতরণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটি।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ জুলাই এর প্রেরণা, দিতে হবে ঘোষণা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাগেরহাটের রামপালে লিফলেট বিতরণ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ। এই লিফলেটে তাঁরা সাতটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
    সোমবার(১৩ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাগেরহাট জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক খালিদ হাসান নোমান ও জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি আবু হাসান’র নেতৃত্বে রামপাল সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষদের মধ্যে ৭ দফার এ লিফলেট বিতরণ করা হয়।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ সোলাইমান শেখ, ফাত্তাইন নাঈম, ফকির তারেক, সাব্বির রহমান, শারমিন আক্তার শোভা, মিম বিল্লাহ, মোঃ তায়েব নূর, সিরাজুল ইসলাম, আরাফাত হোসেন সবুজ, তালিম হাসান, শেখ মাছুম বিল্লাহ প্রমুখ।
    এসময় নেতৃবৃন্দরা সাংবাদিকদের বলেন, শীঘ্রই জুলাই ‘ঘোষণাপত্র’ জাতির সামনে তুলে ধরা কিংবা ঘোষণা দিতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থান শহিদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও দ্রুত সময়ের মধ্যে আহতদের বিনামূল্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুচিকিৎসার প্রদানের প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করতে হবে। ভবিষ্যতে আর কোন শাসক যেন ক্ষমতায় গিয়ে হাসিনার মত ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠতে না পারে সেই রকম রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষেই এ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি দেশব্যাপী পালন করা হচ্ছে।জনসাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই এ লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
  • স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার ৭ দফা দাবীতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান।

    স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার ৭ দফা দাবীতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান।

    ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ

    সারা দেশের ন্যায় নীলফামারীর ডিমলায় বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয় সমন্বয় কমিটি ডিমলা উপজেলা শাখা শিক্ষকবৃন্দ প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্বারকলিপি প্রদান করেছেন। ১৩ জানুয়ারী (রবিবার) সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয় সমন্বয় কমিটি ডিমলা উপজেলা শাখা শিক্ষকবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেল মিয়ার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে সাত দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে স্বারকলিপি প্রদান করেন। তাদের দাবী স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাকে জাতীয়করন ঘোষনা দিতে হবে। রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় রেজিষ্টার্ড স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি দিতে হবে এবং বেতন-ভাতাদি দিতে হবে। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা স্থাপণের প্রাথমিক উদ্যোগ হিসাবে ভাড়া বাড়ী ও রুম ব্যবস্থাপনার শর্তে চালু করার অনুমতি দিতে হবে। প্রতিটি গ্রামে এবং শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে সরকারী/বেসরকারী স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। স্বীকৃত সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাকে উবৃত্তি ফিডারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাসহ সকল মাদরাসা তদারকির জন্য মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত পৃথক ডিও, টিও এবং এটিও নিয়োগ দিতে হবে। ইবতেদায়ী মাদরাসাকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় সমান সুযোগ সুবিধা প্রদানে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্ধ রাখতে হবে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয় সমন্বয় কমিটি ডিমলা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জাফর, সাধারন সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম মানিক, উপজেলা উপদেষ্টা মো. লুৎফর রহমান সদস্য মো. জাকির হোসেন সহ বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয় সমন্বয় কমিটি ডিমলা উপজেলা শাখা শিক্ষকবৃন্দ।
    বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয় সমন্বয় কমিটি ডিমলা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জাফর বলেন, ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকতার শুরু থেতে রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক অবহেলায় শিকার হয়ে আজ মারাত্মক ভাবে বঞ্চিত, উপেক্ষিত এবং অবিভাবকহীন সারা দেশে বিশ হাজারেরও বেশি মাদরাসা চালু আছে। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোকে উদ্দেশ্য মুলক ভাবে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। সাত দফা দাবী আদায়ের লক্ষে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রতি পতিত সরকারের বৈষম্যমুলক নীতি, সিদ্ধান্ত ও আচরনের দুরীকরন আদায়ের লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় বরাববরে লিখিত স্বারকলিপি প্রদান করি।

  • অন্যায়কারী সংখ্যায় কম, আপনারা দাঁড়িয়ে গেলে হাসিনার মতো পালিয়ে যাবে:সারজিস আলম।

    অন্যায়কারী সংখ্যায় কম, আপনারা দাঁড়িয়ে গেলে হাসিনার মতো পালিয়ে যাবে:সারজিস আলম।

    নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম ভারতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমৃলক চূক্তি করেছিলেন। এখন তাদের ব্যবসা বাণিজ্য কমে গেছে। ভারত আবারও ব্যবসার জন্য তাদের জায়গা থেকে কথা বলছে। দেশ ও দেশের বাহির থেকে কেউ অন্যায় করলে আমরা মেনে নেবনা।
    রবিবার ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ইং, বিকেল ৫ টার সময় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী কুরমা চা-বাগান মাঠে জাতীয় নাগরিক কমিটি আয়োজিত চা-শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
    সারজিস আলম চা শ্রমিকদের উদ্যেশে বলেন, আগামীতে কেউ যদি সিন্ডিকেট ও চাদাবাজী করে আপনাদের জায়গা থেকে প্রতিবাদ করবেন। মনে রাখবেন যারা অন্যায় করের তারা সংখ্যায় কম। আপনারা দাঁড়িয়ে গেলে শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাবে।
    তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার চোখ শুধু ঢাকা থেকে তার বাপের বাড়ী টুঙ্গীপাড়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। দেশের অন্য কোথাও তার চোখ পড়েনি। চা শিল্পেও শেখ পরিবারে ভাগ বসিয়েছে। চা বাগানে কোন মদের পাট্টা থাকা উচিৎ নয়, সেগুলো ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে চা শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।
    তিনি আরও বলেন, চা-শ্রমিকদের অবহেলিত রেখে এ শিল্পের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। তাদের মুজুরি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ও চাকুরী নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি চা শিল্পকে রক্ষায় ন্যাশনাল টি কোম্পানি (এন.টি.সি) সহ বন্ধ সকল চা-বাগান অবিলম্বে চালু রাখার দাবি জানান।
    বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন মনু-ধলাই ভ্যালীর সভাপতি ধনা বাউরির সভাপতিত্বে ও চা শ্রমিক আপন বোনার্জী রুদ্র ও ভিম্পল সিংহ ভোলার যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটি যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার, জাতীয় নাগরিক কমিটি কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শ্যামলী সুলতানা জ্যানি, আসাদুল্লাহ গালিব ও কুরমা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক ইউসুফ খাঁন।
    অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চা শ্রমিক কন্যা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খাইরুন আক্তার, স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, কুরমা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশী, চা শ্রমিক নারী নেত্রী গীতা কানু, বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাজমিন সুলতানা-সহ অন্যান্যরা প্রমুখ।
  • কালিয়াকৈর অস্ত্রসহ ছিনতাইকারি গ্রেফতার-মোটরসাইকেল উদ্ধার।

    কালিয়াকৈর অস্ত্রসহ ছিনতাইকারি গ্রেফতার-মোটরসাইকেল উদ্ধার।

    কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ

    আজ রাত আনুমানিক চারটা তিরিশ মিনিটে জনৈক সাধন চন্দ্র সূত্রধর পিতা লক্ষণ চন্দ্র সূত্রধর, সাং কামারপাড়া, ডাকঘর কামারপাড়া, থানা মির্জাপুর, জেলা টাঙ্গাইল। তার নিজ বাড়ি হতে ব্যক্তিগত টিভিএস কোম্পানির মোটরসাইকেল যার রেজিস্টার্ড নং ঢাকা মেট্রো হ ২৪ -৯৫০৯ যুগে ঢাকা যাওয়ার পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন গোয়ালবাথান ব্রিজের উপর পৌঁছলে হঠাৎ পিছন থেকে একটি মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে ধাক্কা দিয়ে গতিরোধ করে তার কালো রংয়ের samsung galaxy মোবাইল ফোন যার আনুমানিক মূল্য ২৩ হাজার টাকা। ও নগদ ১০ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনতাই করা কালে তিনি তাদের কাজে বাধা দিলে এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা তাকে মারধর করে মাটিতে ফেলে দেয়। এবং ছুরি দিয়ে আঘাত করার জন্য উদ্যত হলে, তিনি প্রাণভয়ে ছিনতাইকারীদের সবকিছু নিয়ে যেতে বলেন। ছিনতাইকারীরা ভিকটিম সাধন চন্দ্র সূত্রধরের টাকা-পয়সাও মোবাইল ফোন নিয়ে পালানোর সময় নাউজুর হাইওয়ে থানার টহল অফিসার এস আই আল আমিন হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তৎক্ষণাৎ তাদের ধাওয়া করে একজন ছিনতাই কারি মোহাম্মদ রবিন (৩০),মোহাম্মদ আল আমিন মিয়া সাং বালিয়া, থানা শেরপুর সদর, জেলা শেরপুর। এ/পি,টান কালিয়াকৈর, মাদ্রাসা পাড়া (উজ্জলের বাসার ভাড়াটিয়া), থানা থানা কালিয়াকৈর, জেলা গাজীপুর। ছিনতাই এর কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল, সেজদা কারীদের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল সেট, দুইটি ছোরা,ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপস্থিত সামনে এসআই আলামিন হোসেন জব্দ তালিকা করেন। এবং অপর দুইজন ছিনতাইকারী রনি (২৫),পিতা জাফর, সাং কালিয়াকৈর বাজার, থানা কালিয়াকৈর, জেলা গাজীপুর। এবং মজনু (৪০),পিতা সল্লু, সাং টানকালিয়াকৈর, থানা কালিয়াকৈর, জেলা গাজীপুর। তার মোবাইল ফোন, নগদ ১০ হাজার টাকা, নিয়ে পালিয়ে যায়। ধৃত আসামি রবি জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত আছে মর্মে স্বীকার করে এবং তার উত্তরটা আমি ঠিকানা প্রকাশ করে। সে জানাই যে, ছিনতাই হওয়া বর্ণিত নগদ ১০ হাজার টাকা এবং মোবাইল ফোন পলাতক ছিনতাইকারীদের কাছে আছে। পরবর্তীতে নাউ জোর হাইওয়ে থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ রইছ উদ্দিন সঙ্গীও অফিসারদের নিয়ে পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। বর্ণিত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়া ধীন।

  • মোংলায় ট্রেনে কাটা পড়ে শিশু মরিয়মের মৃত্যু ।

    মোংলায় ট্রেনে কাটা পড়ে শিশু মরিয়মের মৃত্যু ।

    রামপাল(বাগেরহাট) থেকেঃ বাগেরহাটের মোংলায় চলন্ত ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মরিয়ম (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
    রবিবার (১২ জানুয়ারি) মোংলা-খুলনা রেললাইনের দিগরাজ বাজার পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই পয়েন্টের গেইটম্যান সময়মতো রেলগেট না ফেলার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা।
    ট্রেনটি চলে গেলে শিশুটিকে উদ্ধার করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। হাসপাতালে নেয়ার পূর্বেই শিশুটি মারা যান বলে জানিয়েছেন বন্দর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ মোঃ শামীম হাসান।
    প্রত্যাক্ষদর্শী ডি এল মল্লিক জানান, মোংলা থেকে ছেড়ে আসা খুলনার একটি লোকাল বাসে করে দুটি বাচ্চা নিয়ে যাচ্ছিলেন এক মহিলা। এসময় রেলক্রসিং এলাকায় জ্যাম পড়ে বাসটি আটকে যায়। হঠাৎ খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মোংলা কমিউটার নামে ট্রেনটি দ্রুত গতিতে রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। জীবন বাঁচানোর তাগিদে দ্রুত ওই মহিলা যাত্রীবাহী গাড়ি থেকে বাচ্চা নিয়ে নেমে যায়। কিন্তু মহিলার হাতে ধরা বাচ্চাটি ছুটে গিয়ে মোংলা কমিউটারের নিচে পড়ে। দায়িত্বরত লাইনম্যান রেলগেইট না ফেলার কারণে এই দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
    নিহত শিশুর মা ফাতেমা বেগম জানান, দুই সন্তানকে নিয়ে মোংলা থেকে যাত্রীবাহী বাসে করে বাগেরহাট যাচ্ছিলেন তিনি। পথিমধ্যে দিগরাজের রেলক্রসিংয়ে বাসটি পৌঁছালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মোংলা কমিউটার নামক ট্রেনটি দ্রুত গতিতে রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। এসময় যাত্রীবাহী বাস থেকে দ্রুত নামতে গিয়ে তার কোল থেকে শিশু মরিয়ম ছিটকে ট্রেনের নিচে পড়ে।
    এ ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই দায়িত্বে অবহেলার কারণে দিগরাজের রেলক্রসিংয়ে দায়িত্বে থাকা গেইটম্যান মোঃ শাহিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন বিক্ষুদ্ধ জনতা। এসময় মোংলা-খুলনা মহাসড়কে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে দেয় তারা। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করলে সড়কে আবার যান চলাচল শুরু হয়। ঘটনার পর থেকেই গেইটম্যান শাহীন পলাতক রয়েছেন। তার বাড়ি নাটোর জেলায় বলে জানা গেছে।
    মোংলা রেল স্টেশনের টিকিট মাস্টার মোঃ শরিফুর রহমান জানান, গেইটম্যান কেনো ছিল না, এ জন্য গেইটম্যানকে অলরেডি বুক আপ করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে। নিহত শিশুর পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।
    এ বিষয়ে মোংলা থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, দায়িত্ব অবহেলার কারণে গেইটম্যান মোঃ শাহিনের বিরুদ্ধে রেল পুলিশ ব্যবস্থা নিবে এবং এ ঘটনায় মামলার গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
  • মাধবপুরে বিজিবি’র অভিযানে বিদেশী মদ উদ্ধার,পালিয়েছে চোরাকারবারি।

    মাধবপুরে বিজিবি’র অভিযানে বিদেশী মদ উদ্ধার,পালিয়েছে চোরাকারবারি।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে মালিক বিহীন ২ লাখ ৭৯ হাজার টাকার বিদেশী মদ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
    রবিবার(১২ জানুয়ারী) বেলা পৌনে ৩ টার দিকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়,হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫) বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিলের সার্বিক দিক নির্দেশনায় হবিগঞ্জ বিজিবি অধীনস্থ তেলিয়াপাড়ায় বিওপি’র একটি টহল দল সুবেদার প্যাট্রিক দালবৎ এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
    রবিবার ভোর পৌনে ৫ টায় মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়ার ১৯ নং চা বাগান সীমান্তবর্তী এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চোরাচালান বিরোধী একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। চোরাকারবারিরা বিজিবি’র টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।এসময় অবৈধভাবে চোরাচালানকৃত মালিকবিহীন ১৮৬ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)।
    উদ্ধারকৃত ভারতীয় মদের বোতলের আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা। আটককৃত মাদক দ্রব্য সংশ্লিষ্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চুনারুঘাট জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
    হবিগঞ্জ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিল সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবি দেশের সীমান্ত সুরক্ষা এবং চোরাচালান প্রতিরোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।তিনি আরও বলেন  মাদকের বিরুদ্ধে সর্বদা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। বিজিবি চোরাচালান বিরোধী অভিযান অব্যাহত  রয়েছে।
  • রামপালে বিএনপি নেতার অমানবিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    রামপালে বিএনপি নেতার অমানবিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাওলাদার মজিবুর রহমান বাবুল ও তার সহযোগীদের অমানবিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার(১১ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে জিরোপয়েন্ট এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা বিগত দিনে আওয়ামী দুঃশাসন আমলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম’র নেতৃত্ব রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। বহু হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। বিএনপি’র দুঃসময়ে মজিবর রহমান বাবুল ও তার সহযোগীদের কোনদিন কোন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে দেখি নাই। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনার দেশত্যাগের পরেই বাবুল ও তার সহযোগীরা বেপরোয়া হয়ে উঠে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন, নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার, চাঁদাবাজি ও মৎস্য ঘের দখলসহ নানারকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে তারা সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছে। তারেক রহমানের নির্দেশ, দলে কোন চাঁদাবাজকে স্থান দেয়া হবেনা। আমরা সিনিয়র নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অবিলম্বে বাবুলসহ তার সহযোগীদের দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন আকাশী মন্ডল, পার্থ বিশ্বাস, প্রকাশ বিশ্বাস, সমিৎ ঢালী, মনি মোহন মন্ডল, পিনাক মিস্ত্রী, শংকর ঢালী, নিখিল বিশ্বাস প্রমুখ।
  • পিলখানা হত্যাকান্ডের বিচার ও বিডিআর সদস্যদের চাকুরীতে পুনর্বহালের দাবি।

    পিলখানা হত্যাকান্ডের বিচার ও বিডিআর সদস্যদের চাকুরীতে পুনর্বহালের দাবি।

    (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সারাদেশে চাকুরীচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যকে চাকুরীতে পুনর্বহাল এবং পরিবারকে পূনর্বাসনসহ তিন দফা দাবীতে মানববন্ধন করেছে ঠাকুরগাঁও জেলা বিডিআর কল্যাণ পরিষদ।
    রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
    এসময় সাবেক বিডিআর সদস্য শমসের আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সভাপতি মামুন অর রশীদ, বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সদস্য প্রমিলা রাণী সহ অনেকে।
    মানববন্ধনে তারা, ১৬ বছর ধরে জেলে বন্দী নির্দোষ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি এবং স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে পিলখানা হত্যাকান্ডের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানান।
  • হাকালুকি হাওড়ে পতিত জমিতে হলুদ জোয়ারে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি।

    হাকালুকি হাওড়ে পতিত জমিতে হলুদ জোয়ারে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বৃহত্তম হাওড় মৌলভীবাজারের হাকালুকি পাড়ের পতিত অনাবাদি জমিতে সরিষার চাষাবাদ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ বছর প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। হাওড় পাড়ের চাষিরা সরিষা চাষ করে নিজের চাহিদা মিটিয়ে তা বিক্রি করে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হচ্ছেন।
    প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে দেশের বৃহত্তম হাকালুকি হাওড়ের পানি সরে গেলে হাওড় পাড়ের উর্বর জমি এমনিতেই অনাবাদি পড়ে থাকে। এসব জমিতে বছরের পর বছর কোন রকম চাষাবাদ হয় না। তবে গত কয়েক বছরে কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় চাষিদের উদ্বুদ্ধ করার ফলে হাওড় পাড়ের পতিত জমি সরিষা চাষের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রতি বছর সরিষা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
    এতে বদলে গেছে মৌলভীবাজার হাওড় পাড়ের জনপথ। হাকালুকির বুক জুড়ে এখন শুধুই হলুদ সরিষার আবাদ। সরেজমিন হাওড় পাড়ে গেলে দেখা যায়, শীত শুষ্কতার এ মৌসুমে গাঢ় হলুদের মাখামাখি বিস্তৃত প্রান্তর। তা দেখে যে কারোরই মন ভরে যাবে মুগ্ধতায়।
    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় মৌলভীবাজারে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। শুধু হাকালুকি হাওড় পাড়ের বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়া উপজেলায় এ বছর ৪ হাজার ৩১৩ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়েছে। বিনামূল্যে সার ও বীজ পেয়ে চাষীরা উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি- ১৪, ১৫ ও ১৭ জাতের সরিষা চাষ করেন। এতে সরিষার খুবই ভালো ফলন পাওয়া গেছে।
    এ বছর প্রতি হেক্টরে এক দশমিক ৪২ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ফলন হয়েছে, বড়লেখার উপজেলার সোজানগর, তালিমপুর ও বর্ণি ইউনিয়ন। গত বছরের চেয়ে এ বছর হাওড়ে ৬১৩ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বাড়ানো হয়েছে।
    কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরিষা চাষের এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে পতিত হাকালুকির হাওড়ের পুরো জমি এক সময় চাষের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে ভোজ্যতেলের ঘাটতি মেটানো সহজ হবে। এছাড়া এ বছর জেলার সাত উপজেলায় এক হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে গত বছরের চেয়ে অতিরিক্ত সরিষা চাষ হয়েছে।
    হল্লা গ্রামের সরিষা চাষি রুহেল আহমদ, সেলিম হোসেন, মাসুক আহমদ, ফয়জুর রহমান ও আব্দুস ছালাম-সহ কথা হয় একাধিক চাষিদের সঙ্গে। তারা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে তারা সরিষা চাষ করছেন হাওড়ের এসব পতিত জমিতে। ভালো লাভবান হওয়াতে দিনকে দিন সরিষার চাষ বদ্ধি পাচ্ছে। চাষিরা বাড়তি আয় রোজগারের পাশাপাশি ভোজ্য তেল নিজের পরিবারের চাহিদা মিটাতে পারছেন।
    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ বলেন, গত বছরের চেয়ে অতিরিক্ত ২ হাজার হেক্টর পতিত জমি সরিষা চাষের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
    কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, এ বছর মৌলভীবাজার জেলায় ৬ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষাবাদ হলেও, উৎপাদন ধরা হয়েছে- ৭ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন বলে জানান তিনি।
  • রাণীশংকৈল রামরাই দীঘিতে অতিথি পাখির মেলা, দর্শনার্থীদের ভীড়।

    রাণীশংকৈল রামরাই দীঘিতে অতিথি পাখির মেলা, দর্শনার্থীদের ভীড়।

    (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    শীতপ্রধান দেশ থেকে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার অন্যতম প্রাচীন ও সর্ব বৃহৎ রামরাই রাণীসাগর দিঘিতে রং-বেরঙের নানা প্রজাতির অতিথি পাখিদের আগমনে মুখরিত এখন পুকুর প্রাঙ্গন। শীত মৌসুমে ভালোবাসার টানে লাখো হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে রামরায় দিঘিতে আসে এসব পাখি। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাখি ও জলাশয়ের প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর।
    এসব পাখি দেখতে যেমন সুন্দর, ঠিক তেমনই আকর্ষণীয় তাদের খুনসুটি।প্রতিবছর শীত এলেই এসব পাখি এখানে এসে প্রকৃতিতে সাজাই নতুন সাজে।
    পাখিদের মুহুর্মুহু কলতানে পুরো এলাকা পরিণত হয়েছে পাখির স্বর্গরাজ্যে।
    প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির সমাগম হয়েছে এখানে। পাখিদের কলকাকলিতে পুরো এলাকা মুখরিত। পাখি প্রেমি ও সৌন্দর্য পিপাসুরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত পর্যটন কেন্দ্র’র পাখিগুলোকে দেখার জন্য ছুটে আসছেন।
    প্রচন্ড শীতের কারণে সাইবার অঞ্চল থেকে আসা পাখিগুলো সারাদিন রামরাই দীঘি বা রাণীসাগরে আহার করে সন্ধ্যা হলে আসে পাশের জলাশয়গুলোতে আশ্রয় নেয়। সকাল হলেই আবার রাণীসাগরে ফিরে এসে খাবার সংগ্রহ করে।
    উপজেলা শহর থেকে ৪ কিমি দূরে উত্তরগাঁও গ্রামের নিকটেই বরেন্দ্র অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তর জলাশয় রামরাই দিঘীর অবস্থান। শহর থেকে যে কোন যানবাহনে ১০ থেকে ১৫ টাকা ভাড়া নেয়। যেতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের রাস্তা। পুকুরটি ১৮.৩৪ একর সু-উচ্চ পাড় ও ২৩.৮২ একর জলভাগ সহ মোট ৪২.২০ একর বিশিষ্ট। পুকুরটির দৈর্ঘ্যে (উত্তর- দক্ষিণ) ৯০০ মিটার ও প্রস্থ (পূর্ব-পশ্চিম) ৪০০ মিটার। এর আয়তন প্রায় ৪২ একর। এর সঠিক ইতিহাস এখনো জানা যায়নি। ধারণা করা হয় দিঘিটি পাঁচশ থেকে হাজার বছরের পুরাতন হতে পারে।
    এক সময় এই দিঘি ছিল এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের পানির চাহিদা পূরণের উৎস। এ দিঘিকে ঘিরে নানা লোককথা শোনা যায়। পরবর্তীতে ২০০২ সালে রামরাই দিঘির নামকরণ করা হয় রানীসাগর। তবে লোকমুখে এটি রামরাই দিঘি নামেই পরিচিত। এর চারপাশে প্রায় ১২০০ এর অধিক লিচু গাছ সহ অন্যান্য গাছ লাগানো হয়েছে। চারিদিক যেনো সবুজের বিশাল সমারোহ আর দিঘীর টলটল জলরাশি মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের।
    প্রতিবছর শীত মৌসুমে ডিসেম্বরের শেষের দিকে  ও জানুয়ারি মাসের প্রথম দিক প্রধানত উত্তর মরু, ইউরোপ, সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, হিমালয়ের পাদদেশ, তিব্বত অঞ্চল থেকে  রামরাই দিঘিতে আসা পাখিদের মধ্যে রয়েছে:  সাদা বক, বালিয়া, পানকৌড়ি, ঘুঘু , সারস, রাতচোরা, গাংচিল, পাতিহাঁস, বুনোহাঁস, খঞ্জনা, ওয়ার্বলার, হাড়গিলা, স্নাইপ বা কাদাখাঁচা, কোকিল সহ নানা প্রজাতির হাজার হাজার অতিথি পাখির আগমন রামরাই দিঘির সৌন্দর্য পাখি প্রেমিক ও পর্যটকদের মন আকৃষ্ট করে।
    সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিদিন ঝাঁকে ঝাঁকে থাকে অতিথি পাখির দল। সন্ধ্যা নামলেই দিঘীপাড়ের লিচু বাগানে আশ্রয় নেয় এসব পাখি। পাখিদের এই মুহুর্মুহু কলতানের টানে প্রতিদিনই দূর দুরান্ত থেকে রামরাই দিঘিতে ছুটে আসছেন পাখি প্রেমী পর্যটকরা। পাখিদের আসার মূল কারণ খাদ্য সংগ্রহ।
    মার্চ মাসের শেষের দিকে আপন আপন গন্তব্যে ফিরে যায় এসব পাখি। ইতিমধ্যে উপজেলা পরিষদ থেকে রামরাই দিঘিকে নান্দনিক রুপ দেওয়ার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দিঘির পাড়ের চারদিকে দর্শনার্থীদের বসার জন্য গাল আকৃতির ৩টি ছাতার ছাউনী ও ৫ টি বসার মাচা তৈরি করা হয়েছে। পুরো দিঘির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য একটি নৌকা রয়েছে।
    এছাড়াও উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে একটি কাঠের ব্রীজ করা হয়েছে। রামরাই দিঘিটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হলে দেশের পর্যটন খাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
    সরেজমিনে কথা হয় দিনাজপুরের সেলিনা বেগমের সাথে। তিনি প্রতিবেদককে জানান, শুনেছিলাম রাণীসাগরে অনেক পাখি আসে। তাই দেখতে এসেছিলাম। এখানে এসে মনটা ভরে গেল। পুকুরের চারিদিকের শত শত লিচু গাছ দেখতে বেশ মনোরম। পুকুরের নীচ থেকে পাড়ের দিকে তাকালে মনে হয় আকাশের সাথে মিশে আছে
    স্থানীয় পাখি প্রেমিক শেখ মেহেদী, শহীদুল ইসলাম রকি সহ বেশ কয়েকজন জানান, রামরাই-দিঘি এলাকাটি নির্জন এলাকা। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের তৎপরতা প্রয়োজন। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শীতের শুরুতে এখানে দেশি পাখি ছাড়াও অতিথি পাখি এসেছে। এখানে কয়েক মাস থাকার পর শীতের শেষে আবার পাখিরা ফিরে যায় নিজ নিজ দেশে। কিছু পাখি সারা বছরই থাকে এখানে।
    রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন,রামরাই দিঘি রাণীশংকৈলের জন্য একটি অহংকার। এটি এই এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে রাখছে। অতিথি পাখিগুলো আমাদের এই রামরাই দীঘিতে প্রতি শীতকালেই আসে।‘রামরাই-দিঘি অতিথি পাখির অভয়াশ্রমে পরিনত হয়েছে। রামরাই দীঘির পুরো এলাকা আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ইতোমধ্যে এটি রক্ষণাবেক্ষনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে