Author: admin

  • উল্লাপাড়ায় দুই মোটরসাইকেল চোর গ্রেফতার।

    উল্লাপাড়ায় দুই মোটরসাইকেল চোর গ্রেফতার।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটিলিয়ান র‌্যাব-১২’র অভিযানে ৫ টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ দুই চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পাগলা গ্রামের পাঁকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন উল্লাপাড়া উপজেলার পাগলা বোয়ালিয়া গ্রামের মোঃ রতন মিয়ার ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার আকনাদিঘি গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে মো: রুবেল হোসেন।

    র‌্যাব-১২ সদর কোম্পানি স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান ১৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেলে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উল্লাপাড়া উপজেলার পাগলা গ্রামের পাঁকা সড়কের উপর অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় বিভিন্ন ব্রান্ডের ৫ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা পরস্পর যোগসাজসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল  থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল চুরি করে পেছনের নম্বর প্লেট পরিবর্তন করে নিজেরা ভুয়া নম্বর প্লেট লাগিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে অল্প দামে বিক্রয় করে দেয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

  • মাধবপুরে আলোচিত পাবেল হত্যা মামলার ১৬ আসামি ঢাকার শাহবাগ থেকে গ্রেপ্তার।

    মাধবপুরে আলোচিত পাবেল হত্যা মামলার ১৬ আসামি ঢাকার শাহবাগ থেকে গ্রেপ্তার।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে আলোচিত পাভেল হত্যা মামলার আরো ১৬ আসামিকে ঢাকা শাহবাগ থানার মাজার গেইট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটিলিয়ান র‌্যাব-৩ এর সদস্যরা ।
    জানা যায়, মাধবপুর থানার মামলার আসামীদের ঢাকা র‍্যাব-৩ এর সহযোগীতা তাদের আটকের বিষয়ে খবর পেয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ১৬ জন আসামি র‍্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটিলিয়ান র‌্যাব-৩ এর সহযোগিতায় ঢাকার শাহবাগ থেকে গ্রেপ্তার পূর্বক নিজ হেফাজতে মাধবপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
    গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন সিরাজ মিয়া,জহিরুল্লাহ পাঠান বশির,হাফিজুল্লাহ,শফিক মিয়া,বদিউজ্জামান,উম্মেত আলী,লোকমান মিয়া,সেলিম মিয়া,রাসেল মিয়া, আলমগীর, নুর আলী,নাসির মিয়া,শের আলী,সুমন আলী,ফারুক মিয়া, জাহাঙ্গীর হোসেন।সকল আসামি বেজুড়া গ্রামের বাসিন্দা।
    উল্লেখ্য গত রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিহত পাভেল মিয়া’র বড় ভাই হামিদ মিয়া বাদী হয়ে ৬৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭০/৮০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে মামলায় প্রধান আসামি জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ খানসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মাধবপুর থানার পুলিশ।
    মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃরকিবুল ইসলাম খাঁন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, র‌্যাবের সহযোগিতায় পাবেল হত্যা মামলার ঢাকা শাহবাগ থানা এলাকা থেকে ১৬’জন পলাতক আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে।
  • দেওয়ানগঞ্জে অপহৃত কলেজ ছাত্রী দিশা’কে ফিরে চায় তার পরিবার।

    দেওয়ানগঞ্জে অপহৃত কলেজ ছাত্রী দিশা’কে ফিরে চায় তার পরিবার।

    ফরিদুল ইসলাম,দেওয়ানগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধিঃ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কাঠারবিল এলাকায় দিশা আক্তারের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার।
    উপজেলার হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমিনুল ইসলামের মেয়ে কলেজ ছাত্রী দিশা আক্তারের সন্ধান চেয়ে ও অপহরণকারী সিফাতের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের কাঁঠারবিল ভিকটিম পরিবারের নীজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
    এসময় বক্তারা বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি দিশা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাহিরে গেলে একই গ্রামের আলতাফ হোসেনের পুত্র সিফাত তার কয়েকজন বন্ধুসহ জোরপূর্বক কিশোরী দিশাকে তুলে নিয়ে যায়।
    এ বিষয়ে দিশার পরিবার দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কলেজ ছাত্রী দিশাকে ফিরে পেতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান এলাকাবাসী।
  • রামপালে জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে চেক বিতরণ।

    রামপালে জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে চেক বিতরণ।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে ক্যান্সার,কিডনী,লিভার সিরোসিস,স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে রামপাল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের যৌথ উদ্যােগে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে এ আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিম সুলতানা বুশরার সভাপতিত্বে ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ শাহিনুর রহমানের সঞ্চালনায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আর্থিক সহায়তার চেক সুবিধাভোগীেদের হাতে তুলে দেন বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার (এম.পি)।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন,  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ হোসনেয়ারা মিলি।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী গোলজার হোসেন,  উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান প্রমুখ।
    এসময় ৫০ হাজার করে মোট ১১ জন নানান রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
  • রাণীশংকৈলে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ৭৬ জন শিক্ষার্থী  অনুপস্থিত।

    রাণীশংকৈলে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ৭৬ জন শিক্ষার্থী  অনুপস্থিত।

     ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি), মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈলে ৭৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলো। তবে কোনো কেন্দ্রে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেনি।বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
    রাণীশংকৈল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তোবারক হোসেন জানান, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় রাণীশংকৈল উপজেলার ৭টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৪৮৭ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ৭৬ পরীক্ষার্থী।এরমধ্যে এসএসসিতে ২৯ জন, দাখিলে ২৩ জন ও ভোকেশনালে ২৪ জন পরীক্ষার্থী।
    তিনি আরও জানান, কোন কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী অথবা কেন্দ্র পরিদর্শক বহিষ্কারের কোন ঘটনা ঘটেনি।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো:রকিবুল হাসান বলেন, পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল নির্দেশনা সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং অত্যন্ত সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্র গুলোতে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। কোন প্রকার অনিয়ম অভিযোগের ঘটনা ঘটেনি। আশা করা যাচ্ছে বাকি পরীক্ষা গুলো সুষ্ঠ ভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
  • মাধবপুরে পুলিশের অভিযানে মাদকসহ পাচারকারী গ্রেফতার-৭।

    মাধবপুরে পুলিশের অভিযানে মাদকসহ পাচারকারী গ্রেফতার-৭।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন বিপিএম-সেবা এর নির্দেশনায়, মাধবপুর থানার ওসি মো: রকিবুল ইসলাম খাঁনের তত্বাবধানে পৃথক দুটি অভিযানে ভারতীয় ১৪০ বোতল মদ ও ১৪ কেজি গাঁজা পাচারে ব্যবহৃত একটি সিএনজি এবং একটি মোটরসাইকেলসহ সাতজন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
    থানা সূত্রে জানা গেছে,বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানাধীন কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একটি চৌকস পুলিশের দল  উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া আরিশপুর সাকিনস্থ ইটসোলিং রাস্তার মোড়ে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ১০ কেজি গাঁজাসহ ৬’জন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেন।এসময় মাদক পাচারে ব্যবহৃত একটি সিএনজি ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
    গ্রেফতারকৃত হলেন- মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল হাসিমের ছেলে আজগর আলী (৪৫), মুস্তু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান (৪০), ডা.খলিলুর রহমানের ছেলে সিএনজি চালক আরিফুর রহমান (৩০), একই ইউনিয়নের আনন্দ গ্রামের মো.লোকমান মিয়ার ছেলে মোটরসাইকেল চালক মো. ইসমাইল মিয়া (২৫),এবং নোয়াখালীর আলেকজান্ডার এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো,আরিফ (১৭), নোয়াখালী বেগমগঞ্জ থানার বিষ্ণুপুর এলাকার সুমন মিয়া ওরফে মহব্বত আলীর স্ত্রী মোছা.জোসনা বেগম (৩৫)।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা জানায় মাধবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় হতে উক্ত গাঁজা সংগ্রহ করে বিক্রির উদ্দেশ্যে তারা আলাদা ভাবে ঢাকা- চট্টগ্রাম নিয়ে যাচ্ছিল।
    অপর আরেকটি অভিযানে হরষপুর ( তেলিয়াপাড়া) পুলিশ ফাঁড়ির এসআই অনিক চন্দ্র দেব এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ১৪০ বোতল মদ ও ৪ কেজি গাঁজাসহ বহড়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আবুল কাশেম এর ছেলে কামরুল মিয়া (২৩)কে উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের গেইটঘর শাহপুর বাজার হতে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
     এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ওসি মোঃ রকিবুল ইসলাম খাঁন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে পৃথক দুটি মামলা রুজু করে আসামিদেরকে আদালতে মাধ্যমে জেল কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন,মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান চলমান থাকবে।
  • সানন্দবাড়ীতে এসএসসি ও সমমান প্রথম দিনের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠিত।

    সানন্দবাড়ীতে এসএসসি ও সমমান প্রথম দিনের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠিত।

    ফরিদুল ইসলাম,দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সানন্দবাড়ী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে (১৫ ফেব্রুয়ারী) বৃহস্পতিবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাংলা প্রথম পত্র সুষ্ঠু সুশৃংখল এবং সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    এ কেন্দ্রে এ বছর ৮টি উচ্চবিদ্যালয়ের মোট ৫৯৮জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ছাত্র ৩৩৬ জন ও ছাত্রী ২৬৫ জন। অনুপস্থিত ছাত্র সংখ্যা ০১ জন ও ছাত্রী সংখ্যা ০৩ জন।
    সানন্দবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষায় পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম। উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এল জি ইডি) মো. খুরশিদ আলম। কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদীন।
    অপরদিকে সানন্দবাড়ী ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে কোরআন মাজিদ ও তাজবিদ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১৯৯জন, উপস্থিত ১৮৭ অনুপস্থিত ১২ জন।
    সানন্দবাড়ী ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্র পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ আকন্দ।
    এ সময় পরিদর্শক দল পরীক্ষার সার্বিক পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
    এছাড়াও হাতীভাঙ্গা আফরোজা বেগম উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ৬৫৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
    এবং তারাটিয়া আলহাজ্ব লাল মামুদ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ৪০৩ জনের মধ্যে অনুপস্থিত ৩ জন। এর মধ্যে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ১জনকে বহিষ্কার করা হয়।
  • গোয়ালন্দ হাসপাতালের বন্ধ এ্যাম্বুলেন্স চালুর দায়িত্ব নিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সী।

    গোয়ালন্দ হাসপাতালের বন্ধ এ্যাম্বুলেন্স চালুর দায়িত্ব নিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সী।

    মইনুল হক মৃধা, রাজবাড়ীঃ

    গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  তেল সংকটের কারণে বন্ধ থাকা এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালুর দায়িত্ব নিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মোস্তফা মুন্সী।

    বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এ ঘোষনা দেন।

    আলাপকালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও হাসপাতাল ব্যাবস্হাপনা কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ মোস্তফা মুন্সী বলেন, স্বাস্থ্য সেবা মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ন।এ্যাম্বুলেন্স সেবা এর মধ্যে অন্যতম।
    শুধুমাত্র তেল সংকটের কারনে এ্যাম্বুলেন্স বন্ধ থাকবে এটা হতে পারে না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যে কারনে জনস্বার্থে আমি ব্যাক্তিগত অর্থায়নে এ সার্ভিসটি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাশাপাশি আমার ব্যাক্তিগত ব্যাবস্হাপনায় চালু থাকা অপর এ্যাম্বুলেন্সটিও যথারীতি চলবে।

    এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফারসিম তারান্নুম হক,আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শরিফুল ইসলাম সহ স্হানীয় সাংবাদিকরা উপস্হিত ছিলেন।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তেলের  বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৮ মাস ধরে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স সেবা কার্যত বন্ধ হয়ে আছে। এতে করে এলাকার সাধারন রোগী ও স্বজনরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন।

    এ অবস্হার মধ্যে গত ৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে নোটিশ আকারে এ্যাম্বুলেন্স সেবা সাময়িকভাবে বন্ধের বিষয়টি চূড়ান্তভাবে জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কতৃপক্ষ। এতে করে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃস্টি হয়।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে , হাসপাতালের একটি এ্যাম্বুলেন্স সেবার জন্য ১০ বছর আগে থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে বাৎসরিক ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়। বিগত কয়েক বছরে তেলের দাম কয়েকগুন বাড়লেও এ খাতে বরাদ্দ বাড়েনি। অথচ বর্তমানে এ খাতে বাৎসরিক চাহিদা অন্তত ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এ অবস্হায় ফিলিং স্টেশনে ধীরে ধীরে বকেয়ার পরিমান বাড়তে থাকে।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফারসিম তারান্নুম হক জানান, গত অর্থ বছর পর্যন্ত ফিলিং ষ্টেশনে তেল বাবদ প্রায় ৯ লাখ টাকা বকেয়া ছিল। চলতি অর্থবছরে ৩ লক্ষাধিক টাকার অধিক বকেয়া পরিশোধ করি। এখনো ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। আগামী জুনের আগে নতুন বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। এ অবস্হায় ফিলিং ষ্টেশন কতৃপক্ষের চাপে এবং বকেয়ার পরিমান আর না বাড়াতে আমরা বাধ্য হয়ে এ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রাখার নোটিশ জারি করি।

    এ পরিস্হিতিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয় এগিয়ে আসায় সমস্যার সাময়িক সমাধান হয়েছে। আগামী জুন মাসের বরাদ্দ না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ব্যাক্তিগতভাবে হাসপাতালের একটি এ্যাম্বুলেন্স চালু রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন। তার নিজস্ব অপর এ্যাম্বুলেন্সটিও হাসপাতালের প্রয়োজনে যথারীতি ব্যাবহৃত হবে। তাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।

  • উল্লাপাড়ায় নিখোঁজ শিশুর লাশ ৫ দিন পর ধানের জমি থেকে উদ্ধার-গ্রেফতার-২।

    উল্লাপাড়ায় নিখোঁজ শিশুর লাশ ৫ দিন পর ধানের জমি থেকে উদ্ধার-গ্রেফতার-২।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিখোঁজ সানজিদা খাতুন(৯) নামের এক শিশুর লাশ ৫ দিন পর ধানের জমি থেকে উদ্ধার করেছে সলঙ্গা থানা পুলিশ।এ ঘটনায় শিশুর সৎ বাবা শরিফুল ইসলাম ও প্রতিবেশী মামা হাসমত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের অলিদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের একটি ধানের জমিতে পুতে রাখার ৫ দিন পর লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু আমশড়া গ্রামের মোঃশাহিন আলীর মেয়ে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন অলিদহ গ্রামের মোঃনুরাল মিয়া ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম ও হানিফ শেখের ছেলে হাসমত আলী।

    সলঙ্গা থানার ওসি মোঃ এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,নিহত সানজিদার মা জরিনা খাতুন প্রথম স্বামী শাহিন আলীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর শরিফুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। কিছুদিন পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।ঘটনার দেড়মাস আগে জরিনা স্বামীর সংসার ছেড়ে বাবার বাড়ীতে চলে আসে।স্বামী শরিফুল তার স্ত্রী জরিনাকে সংসারে ফিরিয়ে আনতে সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে জরিনার প্রতিবেশী ভাই হাসমত আলীর দারস্থ হয়। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আন্তে তারা পরিকল্পিত ভাবে জরিনার মেয়ে সানজিদাকে অপহরন করে। ১০ ফেব্রুয়ারী মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে সানজিদাকে অপহরনের চেষ্টা করে। মেয়েটি ঘটনার এক পর্যায় চিৎকার করে। এ সময় মেয়েটির গলা চেপে ধরে হত্যা করে। পরে লাশটি পাশের জঙ্গলে ফেলে চলে যায়।লাশ গুমের উদ্দেশ্যের ঐ রাতে পাশের ধানের জমিতে গর্ত করে পুতে রাখে।মাদ্রাসা ছুটি হওয়ার পর সানজিদা বাড়ীতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া যায়নি।পরের দিন ১১ ফেব্রুয়ারী নানা জহুরুল ইসলাম সলঙ্গা থানায় সাধারন ডায়েরি করেন।

    তিনি আরোও জানান সাধারন ডায়েরি করার পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সৎ বাবা শরিফুল ইসলাম ও মামা হাসমত আলীকে গ্রেপ্তার করে।এ সময় সানজিদকে হত্যার কথা তারা স্বীকার করে।তাদের তথ্যমতে ধানের জমিতে পুতে রাখা সানজিদার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

  • নারী ফুটবলার সাগরিকার পরিবার বসবাস করে ভাঙ্গাচোরা ঘরে অন্যের জমিতে।

    নারী ফুটবলার সাগরিকার পরিবার বসবাস করে ভাঙ্গাচোরা ঘরে অন্যের জমিতে।

    আনোয়ার হোসেন আকাশ,(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবল দলের আলোচিত খেলোয়ার মোছাম্মত সাগরিকার পরিবার থাকে অন্যের জমিতে। মানুষের দেওয়া প্রায় ১০ শতাংশ জমির মধ্যে কাশঁবন, বাশেঁর বাতা আর ছাপড়া টিন দিয়ে নির্মাণ হয়েছে বাড়ী। সেই বাড়ীর ঘর হচ্ছে দুটি একটিতে থাকতেন সাগরিকা, আরেকটিতে তার ভাই সাগর। সাগরিকার বাব, মা থাকেন তাদের চায়ের দোকানেই। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা মিলে।
    সাগরিকার বাবা মোহাম্মদ লিটন আলী ও মা আনজু আরা বেগম মিলে তাদের বাড়ী থেকে আধা কিলো দুরে বাশরাইল গ্রামের মহাসড়কের পাশে মানুষের জমিতে একটি চায়ের দোকান করেন। জীবন জীবিকা চলে এই চায়ের দোকান করেই।
    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাণীশংকৈল- হরিপুর মহাসড়কের বাশরাইল এলাকা থেকে মহাসড়কের উত্তর দিক দিয়ে সুরু পথ ধরে প্রায় আধা কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে যেতেই দেখা মিলে সাগরিকার বাড়ী। বাড়ীর প্রবেশ পথেই ছোট একটি দরজা রয়েছে। বাড়ীটি কাশঁবন দিয়ে বেড়া বানিয়ে ঘেরা দেওয়া রয়েছে। এছাড়াও ঘর দুটিও কাশবঁন দিয়ে বাশের বাতা দিয়ে বেড়া বানিয়ে ঘর করা হয়েছে। ঘরের ছাউনি হিসাবে রয়েছে ছাপড়া টিন। অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ও টিউবওয়েল। সাগরিকার বাবা মা জানান, টাকার অভাবে ইচ্ছা থাকাও সত্বেও স্বাস্থ্য সম্মত টিউবওয়েল ও ল্যট্রিন নির্মাণ করতে পারছে না। সব মিলে বাড়ী ঘর ভাঙ্গাচোরা।
    স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব আলী,সোহেল রানা বলেন, সাগরিকারা অত্যন্ত গরিব। তারা খুব কষ্ট করে দিননিপাত করছে। অন্যের জমিতে কোন রকম বাড়ী বানিয়ে বসবাস করছে। তারা আরো বলেন, সাগরিকার জন্য আজ আমাদের গ্রাম রাঙ্গাটুঙ্গি সারা দেশের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। সাগরিকার এ অর্জন আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব। তারা সাগরিকাকে দেশের সম্পদ আখ্যায়িত করে বলেন, সরকার যদি সাগরিকার পরিবারের পাশে দাড়ান,তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ান। তাহলে সাগরিকার মত অনেক সাগরিকা ভালো খেলোয়ার হওয়ার উৎসাহ পাবেন।
    সাগরিকার বাবা লিটন আলী জানান, অন্যের বলতে উকিল নামে এক ব্যক্তির এ জমির কোন দাবীদার না থাকায় তারা সেখানে কোন রকম বাড়ী বানিয়ে থাকছেন। অর্থের অভাবে জমি কিনতে পারছে না। তাই সেভাবে বাড়ীও বানাতে পারছে না।
    সাগরিকার মা আনজু আরা বেগম বলেন, তার মেয়ে সাগরিকা যে পরিবেশে এখন থাকছে। সেই পরিবেশ তো আর তাদের বাড়ীতে নেই। মেয়ে আসলে কোথায় কিভাবে তাকে থাকতে দিবে সেটি নিয়ে তিনি খুব দূশ্চিন্তায় পড়েছেন। সাগরিকার মা আরো জানান, তার মেয়ে অনেক সময় তার বন্ধুদের নিয়ে তাদের বাসায় আসতে চান। কিন্তু তিনি নিষেধ করেন। সাগরিকার বন্ধুরা আসলে কোথায় বসতে দিবে, আর কোথায় থাকতে দিবে তা ভেবেই তিনি সাগরিকার বন্ধুদের আসতে বাড়ন করেন। সাগরিকার মা বলছেন, সমিতির লোন করে নিজস্ব জমি কেনার চেষ্টা করছেন। কম দামে জমি পেলে তিনি ঋণ করে জমি কিনবেন বলে প্রত্যাশা করছেন।