Author: admin

  • রামপালে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় পালিত মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

    রামপালে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় পালিত মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

    রামপাল (বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে যথাযোগ্য মর্যাদা ও সম্মানের সাথে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে রামপাল উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করে।
    বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২.০১ মিনিটে রামপালের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো ও শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে মহান শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
    এরপর সকাল ৮.০০ টায় রামপাল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রভাতফেরীর আয়োজন করা হয়।  প্রভাতফেরীত্তর  শহিদ মিনারে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
    রামপাল উপজেলা নির্বাহী  অফিসার রহিমা সুলতানা বুশরা’র সভাপতিত্বে ও প্রভাষক মোঃ মোস্তফা কামাল পলাশ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল হক লিপন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ হোসনেয়ারা মিলি।
    অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ সালাউদ্দিন দিপু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুকান্ত কুমার পাল,  রামপাল থানার ওসি(তদন্ত) বিধান পালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
  • চাপিয়ে দেওয়া কোনকিছু কখনোই বাঙালী মেনে নেয়নি-সৈয়দ সায়েদুল হক এমপি।

    চাপিয়ে দেওয়া কোনকিছু কখনোই বাঙালী মেনে নেয়নি-সৈয়দ সায়েদুল হক এমপি।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জ -৪ (চুনারুঘাট- মাধবপুর) আসনের এমপি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, ‘বাঙালী জাতি কখনোই তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্তকে মেনে নেয়নি।আঘাত আসলেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে।ভাষার অধিকার প্রতিষ্টায়ও অনুরূপভাবে ১৯৫২ সালে বাঙ্গালী জাতি জেগে উঠেছিল।ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর সক্রিয় অংশগ্রহন ও অবদান ছিল।তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রতিনয়ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের সম্মান বাড়াতে অবদান রাখছেন।’
    তিনি আজ বুধবার(২১ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় মাধবপুর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে  মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ পালন উপলক্ষে  উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
    মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম ফয়সালের সভাপতিত্বে এ অনুষ্টানে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন,সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত বিন কুতুব,প্রাণী সস্পদ কর্মকর্তা ডঃ আব্দুস সাত্তার বেগ, ওসি (তদন্ত) মোঃ আতিকুর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধা সুকোমল রায়,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এএইচএম ইশতিয়াক মামুন,কাউসার আহমেদ,সাংবাদিক সাব্বির হাসান,আজিজুর রহমান জয়,জালাল উদ্দিন লস্কর, মিজানুর রহমান প্রমুখ।পরে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
  • মৌলভীবাজারে শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর আ.লীগের হামলা।

    মৌলভীবাজারে শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর আ.লীগের হামলা।

    নিজস্ব প্রতিবেদক, জালাল উদ্দিনঃ মৌলভীবাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছেন। এতে ওই সময় শহীদ মিনারে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
    বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং, রাত ১২ টায় সময় মৌলভীবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই ঘটনা ঘটে।
    শহীদ মিনারে একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে প্রথম প্রহরের প্রটোকল অনুযায়ী প্রথমে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পুস্পস্তবক অর্পণ করতে যান। তখন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি নেছার সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সরে যেতে বলেন। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা সরে না গেলে; একপর্যায়ে তিনি পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙে সামনে এগোতে চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ সদস্যরা আটকানোর চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের দিকে তেড়ে এসে হামলা করে।
    জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের প্রতিনিধিদল, জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম ও পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান।
    পরে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের ব্যানারে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নেছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মিসবাহুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান প্রমুখ।
    আওয়ামীলীগের পুস্পস্তবক অর্পণের সময় যুবলীগ সহ-সম্পাদক শিমুল আহমেদ চৌধুরী, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান রনিসহ কয়েকজন নেতাকর্মী পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে সরে যান।
    এ বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যেহেতু এটি জেলার বিষয় এসপি স্যারের সাথে কথা বললে ভালো হয়। এরপর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপারকে।
  • কিশোরগঞ্জে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন।

    কিশোরগঞ্জে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন।

    কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি:

    নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদা,শ্রদ্ধাঞ্জলি ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।

    ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন।দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা,পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টার সময় উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আশিক রেজার সভাপতিত্বে  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    এ সময় অন্যানের মধ্যে আরোও বক্তব্য রাখেন,সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা রহমান,উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন বাবুল, সমাজসেবা কর্মকর্তা জাকির হোসেন, কৃষি অফিসার লোকমান হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ,থানা অফিসার ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গনি প্রমূখ।

    আলোচনা সভা শেষে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এর আগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারী রাত ১২টা ১ মিনিটে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি বিন্ম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,বিভিন্ন সাংস্কৃতিক  সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ।

  • প্রকল্পের টাকায় চেয়ারম্যানের পকেট ভার-ডিসির কাছে অভিযোগ।

    প্রকল্পের টাকায় চেয়ারম্যানের পকেট ভার-ডিসির কাছে অভিযোগ।

    (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

    প্রকল্পের কাজে অনিয়ম ও অর্থ লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গেল মাসের ২১জানুয়ারি সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম মুস্তাক এর বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে একই পরিষদের ইউপি সদস্য মো: ফারুক হোসেন।

    লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, কাবিখা, এলজিইডিসহ অন্যান্য প্রকল্পের প্রায় ৬০-৬৫ লক্ষ টাকা জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ বরাদ্দ পেয়েছে। প্রকল্পের টাকা খরচের জন্য চেয়ারম্যান ও ইউপি সচীব যেনতেন একটি কমিটি করেন। ইউপি সসদ্যরা প্রকল্পের টাকা উত্তোলনের জন্য পাঁচটি রাস্তা উন্নয়নের বিল ভাউচারে সই করলেও একটি রাস্তাও কাজ হয়নি। তবে ইতোপূর্বে যতগুলো রাস্তার কাজ হয়েছে তা হয়েছে চল্লিশ দিনের কর্মসূচীর টাকা দিয়ে।

    লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রকল্পের টাকার হিসাব চাইতে গেলে চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের বরখাস্তসহ নানা প্রকার হুমকি দেয়। পরিষেদের পুকুরে মাটি ভরাটের জন্য দুই ধাপে চার লক্ষ টাকা বরাদ্দ নেওয়া হলেও এখনো পুকুর ভরাট হয়নি। একস্কুলে টিনসেটের একটি ঘর নির্মাণের জন্য দুই লক্ষ, আরেক স্কুলে বেঞ্চ বানানোর জন্য দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ নিলেও বাস্তবে ৫০হাজার টাকা খরচ হয়নি। ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দে বেশ কয়েকটি কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও তাতে খচর হয়েছে অর্ধেক।

    অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, বিভিন্ন ভাতার, চালের কার্ড, টিসিবির ১৭৩০টির কার্ডের মধ্যে চেয়ারম্যান একাই ৮৭০টি নিজের কাছে রাখেন। এমনকি গরিবের চালেও দরিদ্রদের কাছে থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। এসব প্রতিবাদ করতে গেলে তিনি ইউপি সদস্য ফারুক হোসেনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয় বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন।

    লিখিত অভিযোগের সূত্র ধরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই ইউনিয়নের বিশ্বাসপুর গ্রামে একটি  কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে দুই লক্ষ টাকা। কিন্তু গ্রামবাসীর অভিযোগ এখানে দুই লক্ষ টাকা নয়, খরচ হয়েছে ৪০-৫০ হাজার টাকা। কাজও হয়েছে নিম্নমানের। নির্মাণের সাত দিনেই চার পাশ ভেঙ্গে গেছে।

    এব্যাপারে প্রকল্প সভাপতি ইউপি সদস্য মো: নাসিরুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজী হননি। অন্যদিকে, মহব্বতপুর গ্রামের কালভার্টের চিত্র একই। তবে প্রকল্প সভাপতি শ্রী কবিন্দ্র জানান, ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, কালভার্টের বরাদ্দ দুই লক্ষ টাকা ধরা হলেও বাস্তবে তা খরচ হয়েছে এক লক্ষ টাকা। আর বাকি টাকা ইঞ্জিনিয়ার ও অন্যন্যদের যাতায়াত খরচ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

    এবিষয়ে ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন জানান, চেয়ারম্যান এস.এম মুস্তাক তিনি তাঁর ইচ্ছামতো কাজ করেন। কোন কাজ সঠিক ভাবে করা হয়নি। সবখানেই চেয়ারম্যান অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছে। আমরা প্রতিবাদ করলে মারমুখি আচরণ এবং বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেয়। যেখানের সাত লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেখানে কাজ হয়েছে দেড় লক্ষ টাকার। আমি চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

    অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম মুস্তাক জানান, আমার সম্পর্কে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট। তিনি (ফারুক হোসেন) এর আগেও আমার নামে অভিযোগ করেছিলো কিন্তু কোন লাভ হয়নি। তদন্তে কোন দুর্নীতি ধরা পড়েনি।

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রকল্পে অনিয়ম হলে বরাদ্দ বাতিল করা হবে। এর আগেও ওই ইউনিয়নে প্রকল্পে অনিয়মের কারণে বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। এবারও অনিয়ম হলে তা খতিয়ে দেখে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে শ্রমিক লীগ নেতার বাড়ি থেকে যৌনকর্মীসহ গ্রেফতার-৫।

    লক্ষ্মীপুরে শ্রমিক লীগ নেতার বাড়ি থেকে যৌনকর্মীসহ গ্রেফতার-৫।

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ

    লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলার মনির আহমেদ মাহিন নামের এক শ্রমিক লীগ নেতার বসত বাড়ি থেকে যৌনকর্মীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    স্থানীয়দের অভিযোগ মনি তার বাসায় যৌন কর্মী রেখে দীর্ঘদিন যাবৎ যৌন ব্যবসা চালিয়ে আসছে। রবিবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে ৩ যৌনকর্মীকে উদ্ধার করেন।পরে মনিরসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

    লক্ষ্মীপুর কারাগারে পাঠানো শ্রমিক লীগ নেতা মনির আহম্মদ মহিন উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ও চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ খোকনের ছেলে।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে মোঃজামাল হোসেন,চাঁদপুর সদর উপজেলার গুণরাজদী গ্রামের মোঃ ইয়াছিন আলী খানের মেয়ে মোছাঃ সোনিয়া খাতুন মানহা, মাগুরার শালিখা উপজেলার পাচকাহুনিয়া গ্রামের মোঃ সবুর মোল্লার মেয়ে মোছাঃ সাথী খাতুন ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার নারায়ণগঞ্জ ওয়াবদাকুল এলাকার মৃত শফিকের মেয়ে মোছাঃ বৃষ্টি খাতুন।

    এজাহার সূত্রে জানা যায়, শ্রমিক লীগ নেতা মনির তার বাড়িতে যৌনকর্মী রেখে অসামাজিক কার্যকলাপ করিয়ে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ খবর পেয়ে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে কমলনগর থানার পুলিশ সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মনিরকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এরপর তার ঘরের দরজা খুলে নারী পুলিশের সহযোগিতায় ৩ যৌনকর্মীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার  করা হয়। পরে তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়।

    এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মনির দীর্ঘদিন যাবৎ বসত বাড়িতে যৌনকর্মী রেখে যৌন ব্যবসা করে আসছিল। এলাকার যুব সমাজকে তিনি ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

    কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃতহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমক,গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

  • রাণীশংকৈলে বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার।

    রাণীশংকৈলে বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার।

    (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার । আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনোটিতে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। আবার কোনো প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালনই করা হয় না।
    তাই ২১শে ফ্রেরুয়ারী ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যেতে হয় আশপাশের কোনো শহীদ মিনারে। অনেকে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করে তাতে শ্রদ্ধা জানায়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবি, নিজ প্রতিষ্ঠানে একটি শহীদ মিনারের। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা শিক্ষা অধিদপ্তর।
    এমন অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্বাধীনতাকামী মানুষেরা। তারা বলছেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা জানবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেই। ভাষা আন্দোলনের প্রতিক শহীদ মিনার দেখে তারা পাঠ্য বইয়ের সাথে মিলিয়ে সংগ্রামী ইতিহাস মনে ধারণ করবে। অথচ সে ধারণ থেকে অনেকে পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার না থাকার কারণে বলে মনে করছেন স্বাধীনতাকামী মানুষেরা।
    উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ২৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারমধ্যে ১২টি কলেজ, ৫৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,১৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৯টি মাদ্রাসা রয়েছে। ২৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হলেও বাকিগুলোতে নেই।
    ৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনারের মধ্যে মাত্র ৪টি কলেজে,১৮টি মাধ্যমিকে ও ৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। কিন্তু ১৯টি মাদ্রাসার মধ্যে ১টিতেও নেই শহীদ মিনারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
    এ ছাড়া রয়েছে অর্ধশতাধিক কিন্ডার গার্টেন। এগুলোর একটিতেও নেই কোনো শহীদ মিনার, বেশিরভাগ এসব কিন্ডারগার্টেনে থাকে না একুশে ফেব্রুয়ারির কোন কর্মসুচি।
    সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে গ্রামাঞ্চলের যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে সেগুলোও রয়েছে অযত্ন-অবহেলায়।
    সপ্তাহব্যাপী ঘুরে দেখা যায়, ১৫৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুদ্বিজীবি স্মৃতিস্তম্ভ ছাড়া ১৫৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনটিতেও নেই শহীদ মিনার। এছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের রাণীশংকৈল সরকারী বালিকা, নেকমরদ সরকারী আলিমুদ্দিন, পাইলট, রাউতনগর, কাতিহার, মীরডাঙ্গী, গোগর আব্দুল জব্বার, গাজীরহাট, রাতোর, মহারাজা, ভরনিয়া, হাজী দবির উদ্দীন চৌধুরী, ধুলঝাড়ী, চোপড়া দোশিয়া সিডিও কাশিপুর বটতলা উচ্চ বিদ্যালয়সহ মোট ১৫টি বিদ্যালয়ের ছাড়া ৫২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৭ টি বিদ্যালয়ে এবং ১২টি কলেজের মধ্যে ডিকে মহাবিদ্যালয়, রাণীশংকৈল ডিগ্রী ও নেকমরদ বঙ্গবন্ধু কলেজে ছাড়া বাকী ৯টি কলেজ নেই শহীদ মিনার এবং উপজেলা জুড়ে মোট ১৯টি মাদ্রাসার একটিতেও নেই শহীদ মিনার নেই। এছাড়াও কিন্ডারগার্ডেন গুলোতেও নেই ভাষা শহীদদের স্মৃতি সম্বন্বিত প্রতিক শহীদ মিনার।
    আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এলে বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো কোনোটিতে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হয়। কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না বানিয়ে শুধু আলোচনা সভা বা মিলাদ মাহফিল করে দিবসটি পালন করা হয়। আবার কিছু প্রতিষ্ঠানে তা-ও করা হয় না বলে জানা গেছে।
    বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাঁশ, কাঠ, ককসিট দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় তারা। শহিদদের স্মরণে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি তাদের।
    প্রশাসন বলছে সরকারি বরাদ্দের কথা। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরির জন্য সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ নেই। এ ছাড়া নির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি যে, শহীদ মিনার করতেই হবে, তাই নিজ উদ্যোগে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরি করতে হচ্ছে তাদের।
    শহীদ মিনার না থাকা প্রসঙ্গে রাণীশংকৈল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মহাদেব বসাক বলেন, ‘মূলত একুশে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচিগুলো রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সঙ্গে প্রশাসন যৌথভাবে করে দেয়। এ জন্য আমাদের কলেজে তেমন কোনো কর্মসূচি পালন হয় না।’
    রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি আমাদের উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হোক। তাহলে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগের ইতিহাস ও তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নতুন প্রজন্মের মাঝে সৃষ্টি হবে।’
    রাণীশংকৈল অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি  আনোয়ার হোসেন আকাশ বলেন, শহীদ মিনার দেখে নতুন প্রজন্মের কৌতুহুল জাগবে । সেই কৌতুহুল থেকে তারা জানবে বাংলা ভাষার ইতিহাস সংগ্রামের কথা। অথচ দেশ উন্নয়ন হলেও সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো শহীদ মিনার না হওয়া দুঃখজনক। অবিলম্বে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের প্রতি ছড়িয়ে দিতে এবং বাংলা ভাষার গুরত্ব বুঝাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শহীদ মিনার স্থাপন করার দাবী জানান
    মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. তোবারক হোসেন বলেন,স্থানীয়ভাবে অর্থ ব্যয় করে শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব না। সরকারীভাবে বরাদ্দ হলে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন করা হবে।
    রাণীশংকৈল উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাহিমউদ্দিন বলেন, কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে। সরকারীভাবে সহযোগিতা পেলে পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন করা হবে বলে।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রকিবুল হাসান বলেন,প্রতিটি শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানদের প্রধান ও স্কুল পরিচালনা কমিটিকে আলোচনা করে উপজেলার সকল প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • মাধবপুরে গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার।

    মাধবপুরে গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
    সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার সময় মাধবপুর থানার মনতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক মো: হুমায়ুন কবির এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বহরা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ঘিলাতলি আখড়া বাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৪ কেজি গাঁজাসহ মো: শিপন মিয়া (২৮) ও মো: শাহীন মিয়া (৩০) নামে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেন।
    গ্রেফতারকৃত মোঃ শিপন মিয়া মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মোঃ আবুল হোসেন এর ছেলে ও মো: শাহীন মিয়া সাদ্দাম একই এলাকার মো: সফর উদ্দিন এর  ছেলে ।
    মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রকিবুল ইসলাম খাঁন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
  • মাটিরাঙ্গায় নিষিদ্ধ ভারতীয় মদসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক।

    মাটিরাঙ্গায় নিষিদ্ধ ভারতীয় মদসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক।

    মাটিরাঙ্গা(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধিঃ খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় নিষিদ্ধ ভারতীয় মদসহ উগ্যজাই মারমা (২৯) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ।

    মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মাষ্টার পাড়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করে পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়,অবৈধ পথে আসা ভারতীয় মদ মাস্টার পাড়া এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাটিরাঙ্গা থানার ওসি কমল কৃষ্ণধরের নির্দেশনায় মধ্যে রাতে উপ-পরিদর্শক মোঃ মাসুদ রানা পাটোয়ারী ও সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ কামরুল আরেফিন চৌধুরীর নেতৃত্বে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মাস্টার পাড়া এলাকার সোনালী চাকমার বসত বাড়ি থেকে ২৪ বোতল নিষিদ্ধ ভারতীয় মদসহ উগ্যজাই মারমা নামের মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী উগ্যজাই মারমা মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড মাস্টার পাড়া এলাকার আরে মারমার ছেলে।

    মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণধর  ঘটনার সত্যতা নি‌শ্চিত ক‌রে জানান আটককৃতের মাদক ব্যবসায়ীর না‌মে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আই‌নে মামলা রুজু করা হচ্ছে। মা‌টিরাঙ্গা এলাকায় যে কোন ধর‌ণের অপরাধ নিয়ন্ত্রনে পু‌লিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • বগুড়ায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় অটোভ্যান থেকে পড়ে স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু।

    বগুড়ায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় অটোভ্যান থেকে পড়ে স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু।

    বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার আদমদীঘিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় অটোভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে আরমিন খাতুন (৯) নামের এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।১৯ ফেব্রুয়ারী সোমবার সকালে অটোভ্যান যোগে স্কুলে যাওয়ার পথে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের বিদ্যাপীঠ স্কুলের সামনে এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আরমিন খাতুন সুদিন গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় আরমিন সোমবার সকালে অটোভ্যানে স্কুলে যাচ্ছিল। ভ্যানচালক বিদ্যাপীঠ স্কুলের সামনে গিয়ে আরমিনের স্কুলের দিকে ঘুরে উঠতেই পিছন থেকে দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল সজোরে ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়।এতে বসে থাকা আরমিন ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। স্থানীয় লোকজন আরমিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আদমদিঘী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠান।

    এ সময় চিকিৎসক আরমিনকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।মেয়ের মৃত্যুর খবর শোনার পর পিতা ইউসুফ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। নিহতের স্বজনেরা ওখান থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।

    এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)রাজেশ কুমার চক্রবর্তী আরমিনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ দুর্ঘটনার মুল কারন জানার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।