Author: admin

  • কমলগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পুলির উৎসব।

    কমলগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পুলির উৎসব।

    মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :মহা উৎসাহ ও উদ্দীপনা মধ্যদিয়ে  কমলগঞ্জে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পুলির উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি)উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় কমলগঞ্জ পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে সকাল থেকে দিনব্যাপী এই পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

    পিঠা উৎসবে স্বপ্নজয় বাহারী পিঠা ঘর, বাংলার পিঠা ঘর, ফাগুনের আগুন ঝরা পিঠা ঘর, নবজোয়ার পিঠা ঘর, বন্ধু মহল পিঠা ঘর, পিঠার সাথে চায়ের স্বাদ, গ্রামের পিঠা ঘর, জান্নাত পিঠা ঘরসহ ২১টি স্টলে শতাধিক ধরণের গ্রামীণ পিঠা প্রদর্শন করা হয়।

    বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে উৎসব উপলক্ষে কমলগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‍্যালি শেষে পিঠা উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এসময় অতিথিরা পিঠার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রইছ আল রেজুয়ান, কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম, সাংবাদিক মুজিবুর রহমান রঞ্জু, কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

    পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য শাহীন আহমেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সাজিদুর রহমান সাজু।

  • উল্লাপাড়ায় বন্যাকান্দি আলিম মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও পুরুষ্কার বিতরন।

    উল্লাপাড়ায় বন্যাকান্দি আলিম মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও পুরুষ্কার বিতরন।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বন্যাকান্দি আলিম মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও পুরুষ্কার বিতরন করা হয়েছে।

    ২২ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার ক্রিড়া শিক্ষক মোঃ ইব্রাহিম খলিলের পরিচালনায় গভনিংবডির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জাফর ইকবালের সভাপতিত্বে সকাল ১০ টার সময় কবুতর উড়িয়ে ও দশম শ্রেণির ছাত্র আব্দুল আউয়ালের মশাল দৌড়ের মধ্যে দিয়ে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করা হয়।

    এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান ও সহকারী সুপারিন্টেন্ডেন্ট মোঃ আনিসুর রহমান জাতীয় পতাকা ও ক্রিড়া পতাকা উত্তোলন করেন।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলওয়াত করেন দাখিল নবম শ্রেণির ছাত্র মোঃ সাব্বির হোসেন ও ক্রিড়া শপথ পাঠ করান দাখিল সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মোঃ সিয়াম ভূইয়া। কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে দাখিল নবম শ্রেণির ছাত্রী মোস্তারিন সিদ্দিকা।
    এর পর দাখিল নবম শ্রেণির ছাত্র ও স্কাউটের দলনেতা মোঃ রিফাত হোসেন মাঠ পরিদর্শনের অনুমতি নিয়ে সকল শিক্ষার্থীদের মাঠ প্রদক্ষিন করায়।

    এর পর পরই শুরু হয় বালক,বালিকাদের দৌড়, সুইসুতা, গোলক নিক্ষেপ,চাকতি নিক্ষেপ,বিস্কুট দৌড়,চেয়ার খেলা ও বালিশ খেলাসহ বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতা।

    সহযোগিতায় ছিলেন সহকারী শিক্ষক মোঃ মাহমুদুল হাসান,মোছাঃ মেহেরুন্নেছা,মোঃ সাহাব উদ্দিন,মোঃ আব্দুল মান্নান,মোঃ আবুল কালাম আজাদ,মোঃ রজব আলী,মোঃ ওয়াজেদ আলী, মোঃ মাহমুদ উল হাসান,মোঃ শহিদুল ইসলাম,ক্বারী নিজাম উদ্দিন, মোঃ রুবেল হোসেন,ক্বারী আব্দুল লতিফ,মোঃ ফরিদুল ইসলাম প্রমূখ।

    সহকারী মৌলভী মোঃ আব্দুল আলিম ও সহকারী শিক্ষক (গণিত) মোঃ মাসুদ রানা খেলা সঞ্চালনা করেন।

    অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদ সদস্য ৬৫ সিরাজগঞ্জ-৪ উল্লাপাড়া ও সলঙ্গার মাটি ও মানুষের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ শফিকুল ইসলাম। রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারনে উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মোঃআছাদুল হক,মোঃ মজনু মিয়া,মোঃ ফারুক ফয়সাল রবি ও আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য মোঃ শাজাহান আলী প্রমূখকে তার প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন করে পাঠান।

    এর আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের মধ্যে বন্যাকান্দি আলিম মাদ্রাসা একটি মাত্র ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে যে সকল অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে প্রানপ্রিয় নেতা আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম বিগত দিন এমপি থাকা অবস্থায় হয়েছে।তার অসম্পূর্ণ কাজ ভবনটির চারতলা পর্যন্ত সম্পর্ণ করা। এবং নতুন আরেকটি ভবন ও বাউন্ডারির কাজ সম্পর্ণকরনের জন্য এমপির মহাদ্বয়ের প্রতিনিধিদের কাছে দাবী উপস্থাপন করেন।

    এ সময় প্রতিনিধিগণ অধ্যক্ষের কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং বলেন আমরা আপনাদের দাবী দাওয়ার কথা এমপি মহাদ্বয়ের কাছে গিয়ে বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করবো যেন তার আমলেই কাজগুলো বাস্তবায়ন করেন।

    পরে প্রধান অতিথির প্রতিনিধিগণ বিজয়ী খেলোয়াড়দের মধ্যে পুরুষ্কার বিতরণ করেন।
    শেষে মোস্তারিন সিদ্দিকার রচনায় ও সহকারী শিক্ষক মোঃ মাসুদ রানার নির্দেশনায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে একটি নাটিকা উপস্থাপন করা হয়।এতে অভিনয় করে অত্র প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা।

  • ফতুল্লায় দানিয়াল হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি অনিক প্রধান গ্রেপ্তার।

    ফতুল্লায় দানিয়াল হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি অনিক প্রধান গ্রেপ্তার।

    ডেস্ক নিউজঃ ফতুল্লায় আল আমিন ওরফে দানিয়াল হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি অনিক প্রধান(২৭)কে বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট সদর থানার ড্রাইভার পাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব-১১’র সদস্যরা।

    বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১’র সিপিসি-১ এর উপ-পরিচালক মেজর অনাবিল ইমাম।

    আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়,গত ০৯ ফেব্রুয়ারি রাতে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক বেচাকেনায় বাধা সৃষ্টি করায় আসামিরা দানিয়াল ও শুভকে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় আক্রমণ করে মারধর করে।এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা তাদেরকে ফেলে চলে যায়।

    পরে ওই রাতে ভুক্তভোগীরা আহত অবস্থায় ফতুল্লা থানার বাড়ৈভোগ ফারিয়া গার্মেন্টসের পাশে খানকার মোড়ে পৌঁছালে আসামিরা পুনরায় হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র (চাপাতি, রামদা, ছোরা, চাকু)দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে দানিয়াল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।এ সময় আসামিরা পালিয়ে যায়।

    ভুক্তভোগী দানিয়াল ও শুভকে রক্তাক্ত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের স্বজনরা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল(ভিক্টোরীয়) নিয়ে যান পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক দানিয়ালকে মৃত ঘোষণা করেন। শুভকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

    পরে নিহত দানিয়ালের মা মুক্তা বেগম ১০ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লা মডেল থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    র‍্যাব জানায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি অনিক প্রধানকে ফতুল্লা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য।

     

  • নৈশ কোচের ধাক্কায় ভ্যান চালক আনারুলের পা বিচ্ছিন্ন।

    নৈশ কোচের ধাক্কায় ভ্যান চালক আনারুলের পা বিচ্ছিন্ন।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

    ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে নৈশ কোচের ধাক্কায় আনারুল ইসলাম নামের এক ভ্যানচালকের একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফ্রেরুয়ারী)  সকালে উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের ঘুঘুডারা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত আনারুল উপজেলার বাঁচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ী গ্রামের আশিরউদ্দীনের ছেলে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নেকমরদ থেকে ঢাকাগামী নৈশ কোচ হানিফ এন্টারপ্রাইজ রানীশংকৈলমুখী ভ্যানচালককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। তাতে ভ্যানচালক মাটিতে পড়ে গেলে গাড়ির চাকায় ওই ভ্যানচালকের বাঁ পা পিষ্ট হয়। খবর পেয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে রানীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

    হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকরা আহত ভ্যানচালককে জরুরিভাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
    রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ ফিরোজ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    রাণীশংকৈল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নাসিম ইকবাল জানান,গুরুতর আহত অবস্থায় ভ্যান চালককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হলে তার পায়ের অবস্থা দেখে হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিক তাকে রংপুর মেডিকেলে রেফার্ড করেন।

    জানতে চাইলে রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা দুর্ঘটনার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

  • সরিষাবাড়িতে বিধবার ঘরে পরকীয়া করতে গিয়ে জনতার হাতে যুবক আটক।

    সরিষাবাড়িতে বিধবার ঘরে পরকীয়া করতে গিয়ে জনতার হাতে যুবক আটক।

    ডেস্ক নিউজঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিধবার ঘরে পরকীয়া করতে গিয়ে জনতার হাতে পারভেজ নামের এক যুবক আটক হয়েছেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত যুবক পারভেজকে গণ পিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ করেছে জনসাধারন।

    পারভেজ পৌরসভার বউসি চাদপুর গ্রামের হেলাল ফকিরের ছেলে।আমজনতার অভিমত স্থানীয় আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার গড়মে দীর্ঘদিন যাবৎ এমন অসামাজিক ও অনৈতিক কাজ করে আসছে। প্রতিবেশীরা দীর্ঘদিন যাবত তাদের সম্পর্কের বিষয়টি ফলো করে আসছিল।মঙ্গলবার রাত ১০ টার সময় মৃত তাজুল ইসলামের বিধবা স্ত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় জনসাধারণ হাতেনাতে পারভেজকে আটক করে।

    মঙ্গলবার(২০ ফেব্রুয়ারি)রাত ১০ টার সময় পৌর শহরের বাউসী চন্দনপুর গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের বিধবা স্ত্রীর ঘরে এ ঘটনা ঘটেছে।

    স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার বাউসী চন্দনপুর এলাকার হেলাল ফকিরের ছেলে এক সন্তানের জনক মো. পারভেজ মিয়া একই এলাকার মৃত তাজুল ইসলাম তাজুর (বিধবা) স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে।

    এ ঘটনায় ওই বিধবা নারী দাবি করে বলেন, পারভেজ তার প্রতিবেশী এবং সম্পর্কে দেবর হয়। তার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর পারভেজ বিভিন্ন সময় প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পারভেজ আমার সম্মান নষ্ট করেছে। এখন আমাকে তার বিয়ে করতে হবে। তা না হলে আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারব না।

    এদিকে অভিযুক্ত পারভেজ মিয়া বলেন, এ ঘটনা পরিকল্পিত এবং সাজানো। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে সে আমাকে ডেকে নিয়ে ঘরে আটকে রেখে চিৎকার করে। আমার স্ত্রী সন্তান রয়েছে। আমি ওই নারীকে কখনোই বিয়ে করব না। প্রয়োজনে আমি জেল খাটব।

    এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ মুশফিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,গতকাল রাতে বিধবা নারীর ঘরে সংগোপনে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। রুজুকৃত মামলায় আজ বিকেলে আদালতে আসামিকে সোপর্দ করা হয়েছে।

  • অস্থায়ী কলা গাছের তৈরি শহীদ মিনারে বালিয়াডাঙ্গীর চৌরঙ্গী স্কুল শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধা নিবেদন।

    অস্থায়ী কলা গাছের তৈরি শহীদ মিনারে বালিয়াডাঙ্গীর চৌরঙ্গী স্কুল শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধা নিবেদন।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

    শহীদ মিনার নেই তাতে কী ? তাই বলে কী ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবো না? আমরা প্রতি বছর এভাবেই অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে সেখানে ফুল দেই দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি। কথাগুলো খুব আক্ষেপের সঙ্গে বলছিলো ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চৌরঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণী শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার।

    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের চৌরঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়। জনবহুল এলাকা হওয়া সত্তেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দুই যুগেও শহীদ মিনার নির্মাণ হয়নি অজ্ঞাত কারণে। এ কারণে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।

    বুধবার (২১ ফ্রেরুয়ারী) সকালে চৌরঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, এমন দৃর্শ্য। ইট পাথরের তৈরী শহীদ মিনার না থাকায় কলা গাছের তৈরী অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

    ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ জামান বলেন, টাকার অভাবে প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করতে পারিনি। কয়েকজন জনপ্রতিনিধিকে বিষয়টি বলেছিলাম তাঁরাও শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেননি। তাই একুশে ফ্রেরুয়ারী এলে বিদ্যালয়ের মাঠে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করি।

    বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সালাউদ্দীন বলেন, শহীদ মিনার নেই। তাই একুশে ফ্রেরুয়ারীর আগের দিন বিদ্যালয়ের মাঠে কলাগাছের শহীদ মিনার বানানো হয়, তাতে কাগজ মুড়িয়ে সুন্দর করা হয়, শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।

    বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মাইশা বলে,একুশে ফ্রেরুয়ারীর দিন বিদ্যালয় খুব সকালে খালি পায়ে আমরা আসি। শিক্ষকদের সাথে সহযোগিতা করে আমরা কলাগাছ দিয়া শহীদ মিনার বানায়। আমরা তাতে ফুল দেই।

    নবম শ্রেণির ছাত্র আব্দুল্লাহ আক্ষেপ করে বললো, “টিভিতে যখন দেখি বিভিন্ন স্কুলের সুন্দর শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া হচ্ছে তখন খুব কষ্ট লাগে। শহরের স্কুল নয় বলেই কী আমাদের স্কুলে শহীদ মিনার থাকবে না?

    শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা বলছেন, মহান ভাষা আন্দোলনে যাঁরা আত্মদান করেছেন, তাঁদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি তাদের।

    ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।

    এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্ত শাহীন আকতার বলেন, যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনারে নেই তাদের নিজস্ব অর্থয়নে শহীদ মিনার করতে বলা হয়েছে।

  • রাণীশংকৈলে অধিকাংশ সরকারি বেসরকারি অফিসে উত্তোলন হয়নি জাতীয় পতাকা।

    রাণীশংকৈলে অধিকাংশ সরকারি বেসরকারি অফিসে উত্তোলন হয়নি জাতীয় পতাকা।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নির্দেশনা দেয়া হলেও তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানা হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে । বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অধিকাংশ সরকারি অফিসেই উত্তোলন করা হয়নি জাতীয় পতাকা। উপজেলা প্রশাসনের তদারকি না থাকায় এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন সুশীল সমাজ। অনেকে বলছেন-জাতীয় দিবসে সরককারি,
    বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন না করা জাতীয় পতাকা অবমাননার সামিল।
    যার মধ্যে রানীশংকৈলে ৭টি সরকারী দপ্তরে তোলা হয়নি জাতীয় পতাকা। বুধবার আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি স্ব-স্ব সরকারী,বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধ-নির্মিতভাবে তোলার নির্দেশনা থাকলেও বিশেষ করে তা মানেননি রানীশংকৈল উপজেলার এই সাতটি দপ্তর।
    দপ্তরগুলো হলো,উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর,উপজেলা সমবায় অধিদফতর, উপজেলা হিসাবরক্ষন অধিদফতর, উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদফতর, উপজেলা পরিসংখ্যান অধিদফতর ও উপজেলা তথ্য কেন্দ্র তথ্য আপা দপ্তর। এদিকে প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে উপজেলা নির্বাচন দপ্তর ও উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদফতরে বেলা সাড়ে ১১টায় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
    এবিষয়ে ঠাকুরগাঁও জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাড. আবু সায়েম বলেন,বিধি মোতাবেক পতাকা উত্তোলন না করা জাতীয় পতাকা অবমাননার শামিল। ২০১০ সালে সংশোধিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন আইন অনুযায়ী জাতীয় পতাকা অবমাননায় সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত শাস্তি এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু তার বাস্তবায়ন নাই।
    সহকারি অধ্যাপক আসাদুজ্জামান বলেন, শহীদ দিবসে সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা তোলা হয় না, এটা ভাবা যায়। বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক।
    এ বিষয়ে  রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন,দেশে আইন আছে প্রয়োগ নেই। বিজয় দিবসে সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি এটা মেনে নেয়া যায় না।
    এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রকিবুল হাসান জানান, আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব তারা এখন পতাকা উত্তোলন করেছে।
  • সানন্দবাড়ীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন।

    সানন্দবাড়ীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন।

    দেওয়ানগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধিঃ জামালপুরের সানন্দবাড়িতে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে।
    বুধবার(২১ ফেব্রুয়ারি) নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে এ দিবস পালন করা হয়।
    দিবসটি উপলক্ষে ভোরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। অথেনটিক সেন্ট্রাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোস্তাইন বিল্লাহ’র নেতৃত্বে শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রভাত ফেরি ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
    পরে সকাল ৮ টায় স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে রেলী শুরু করে সানন্দবাড়ী বাজারের মেইন মেইন রাস্তা  গুলো প্রদক্ষিণ শেষে স্কুলে এসে শেষ হয়।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন চরআমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া, কবি আলহাজ্ব আজিজুর রহমান, চরআমখাওয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইউনুস আলী মোল্লা, বাংলাদেশ সশস্ত্র কল্যাণ সোসাইটির অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু শামা, সিনিয়র শিক্ষক আমিনুল ইসলাম, তোফায়েল আহমেদ, আসাদুজ্জামান খান, হাবিবুর রহমান, মমতা খাতুন, চাঁদনী খাতুন,  আফরোজা বেগম, শামিমা বেগম, কামরুন্নাহার, শেলী খাতুন, সেতু আক্তার সহ শত সহস্র ছাত্র ছাত্রী।
    একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গসহ সমস্ত বাংলাভাষী অঞ্চলে পালিত একটি বিশেষ দিবস, যা ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ নভেম্বরে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। এটি শহীদ দিবস হিসাবেও পরিচিত। এ দিনটি বাঙ্গালী জনগণের ভাষা  আন্দোলনোর মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
    ১৯৫২ সালে এইদিনে বাংলাকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকায় আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে অনেক তরুণ ছাত্র শহীদ হন। যাঁদের মধ্যে , সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউর সহ অনেকে।
    দিবসটি উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য রচনা প্রতিযোগিতা, দেশাত্মবোধক গান, কবিতা আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং শহিদ দিবসের চেতনা তুলে ধরে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    একই সময় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উৎযাপন করে সানন্দবাড়ী বিদ্যাপীঠ মডেল স্কুল, সানন্দবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন।
  • রামপালে দুইদিন ব্যাপী বই মেলার উদ্বোধন করলেন এমপি হাবিবুন নাহার।

    রামপালে দুইদিন ব্যাপী বই মেলার উদ্বোধন করলেন এমপি হাবিবুন নাহার।

    রামপাল (বাগেরহাট)সংবাদদাতাঃ  মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাগেরহাটের রামপালে দুই দিনব্যাপী অমর একুশে বই মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রামপাল সরকারি ডিগ্রি কলেজ ও উপজেলা প্রশাসন রামপালের সার্বিক সহযোগিতায় এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ শেখ জালাল উদ্দীনের পৃষ্ঠপোষকতায় বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় কলেজ চত্বরে  বই মেলার উদ্বোধন করেন বাগেরহাট-৩ আসনের  সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার (এম.পি)।
    রামপাল সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সমীর কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক মোঃ মোস্তফা কামাল পলাশের সঞ্চালনায় বই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল হক লিপন।
    অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুকান্ত কুমার পাল, রামপাল থানার ওসি (তদন্ত) বিধান পাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অতীন্দ্রনাথ হালদার দুলাল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
    এবার বই মেলায় বিভিন্ন ধরনের বইয়ের ১৫ টি স্টল করে সাজিয়ে বসেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই সাথে রয়েছে বিভিন্ন সমাজ সচেতনতামূলক স্টল। উদ্বোধনের  পরে বই মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার।
  • ডিমলায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন।

    ডিমলায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন।

    ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডিমলায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস পালিত হয়েছে।

    উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সারা দেশের ন্যায় যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ রাত ১২ টায় ১ মিনিটে ডিমলা উপজেলা প্রশাসন সহ সকল রাজনৈতিক অঙ্গ সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, ডিমলা থানা পুলিশ, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগন ডিমলা বিজয় চত্বরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক মিনিট নিরবতা পালন, দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

    এছাড়াও ২১ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলার সকল সরকারী ও বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ভাবে উত্তোলন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে কালো ব্যাচ ধারন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর আলম সিদ্দিকী এর সভাপতিত্বে একটি প্রভাতফেরী র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি ডিমলা বিজয় চত্তরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আখতার, ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবাশীস রায়, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ আয়েশা সিদ্দিকা, সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোকলেছুর রহমান, বিভিন্ন রাজনৈতিক অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, সামাজিক সংগঠন, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ সহ সর্বস্তরের জনগন এবং স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ ।