Author: admin
-
রাণীশংকৈলে মাদক কারবারিকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ফুলবাবু (২৬) নামে এক মাদক কারবারিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাদক আইনে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।তিনি পৌর শহরের মধ্যভান্ডারা এলাকার রংপুরিয়া বস্তির মৃত নাজির হোসেনের ছেলে।গত বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে যৌথবাহিনীর একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক ব্যবসায়ির নিজ বাড়ি থেকে ২’শ ৮০ গ্রাম গাঁজা সহ তাকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।রাণীশংকৈল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,মাদক কারবারি সাজাপ্রাপ্ত ফুলবাবুকে বৃহস্পতিবার সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। -
হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ঢলুবাঁশের চুঙ্গাপুড়া পিঠা।
নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারের প্রাচীন ঐতিহ্য পিঠে-পুলির অন্যতম চুঙ্গাপুড়া পিঠা বিলুপ্তপ্রায় হয়ে যাচ্ছে। আগের মতো এখন আর গ্রামীণ এলাকার বাড়িতে বাড়িতে চুঙ্গাপুড়ার আয়োজন চোখে পড়ে না। শীতের রাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে সারারাত চুঙ্গাপুড়ার দৃশ্যও তাই দেখা যায় না।একটা সময় ছিল বাজারে মাছের মেলাও বসতো। সেই মেলা থেকে মাছ কিনে কিংবা হাওর-নদীর হতে বড় বড় রুই, কাতলা, চিতল, বোয়াল, পাবদা, কই, মাগুর মাছ ধরে নিয়ে এসে হাল্কা মসলা দিয়ে ভেজে (আঞ্চলিক ভাষায় মাছ বিরান) দিয়ে চুঙ্গাপুড়া পিঠা খাওয়া ছিল মৌলভীবাজার ও সিলেটের একটি অন্যতম ঐতিহ্য। বাড়িতে মেহমান বা নতুন জামাইকে শেষ পাতে চুঙ্গাপুড়া পিঠা মাছ বিরান আর নারিকেলের পিঠা বা রিসা পরিবেশন না করলে যেন লজ্জায় মাথা কাটা যেত। বর্তমানে সেই দিন আর নেই।চুঙ্গাপুড়া পিঠা তৈরির প্রধান উপকরণ ঢলু বাঁশ ও বিন্নি ধানের চাল (বিরইন ধানের চাল) সরবরাহ এখন অনেক কমে গেছে। অনেক স্থানে এখন আর আগের মতো চাষাবাদও হয় না।মৌলভীবাজারের বড়লেখার পাথরিয়া পাহাড়, জুড়ীর লাঠিটিলা, রাজনগর-সহ বিভিন্ন উপজেলার টিলায় টিলায় ও চা-বাগানের টিলায়, কুলাউড়ার গাজীপুরের পাহাড় ও জুড়ী উপজেলার চুঙ্গাবাড়িতে প্রচুর ঢলুবাঁশ পাওয়া যেতো। তন্মধ্যে চুঙ্গাবাড়ি ও এক সময় প্রসিদ্ধ ছিলো ঢলুবাঁশের জন্যে।অনেক আগেই বনদস্যু ও ভুমিদস্যু এবং পাহাড়খেকোদের কারণে বনাঞ্চল উজাড় হয়ে যাওয়ায় হারিয়ে গেছে ঢলুবাঁশ। তবে জেলার কিছু কিছু টিলায় এখন ও ঢলুবাঁশ পাওয়া যায়।এদিকে, পাহাড়ে বাঁশ নাই বলে বাজারে ঢলুবাঁশের দামও এখন তাই বেশ চড়া। ব্যবসায়ীরা দূরবর্তী এলাকা থেকে ঢলুবাঁশ ক্রয় করে নিয়ে যান নিজ নিজ উপজেলার বাজারসমূহে বিক্রির আশায়। বাঁশটিও সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।ঢলুবাঁশ ছাড়া চুঙ্গাপিঠা তৈরি করা যায় না, কারণ ঢলুবাঁশে এক ধরনের তৈলাক্ত রাসায়নিক পদার্থ আছে, যা আগুনে বাঁশের চুঙ্গাকে না পোড়াতে সাহায্য করে। ঢলুবাঁশে অত্যধিক রস থাকায় আগুনে না পুড়ে ভিতরের পিঠা আগুনের তাপে সিদ্ধ হয়। ঢলুবাঁশের চুঙ্গা দিয়ে ভিন্ন স্বাদের পিঠা তৈরি করা হয়ে থাকে। কোনো কোনো জায়গায় চুঙ্গার ভেতরে বিন্নি চাল, দুধ, চিনি, নারিকেল ও চালের গুড়া দিয়ে পিঠা তৈরি করা হয়। পিঠা তৈরি হয়ে গেলে মোমবাতির মতো চুঙ্গা থেকে পিঠা আলাদা হয়ে যায়। চুঙ্গাপিঠা পোড়াতে আবার প্রচুর পরিমাণে খেড় (নেরা) দরকার পড়ে। খড়ও এখন সময়ের প্রয়োজনে দাম একটু বেশি।একটা সময় ছিলো শীতের মৌসুমে গ্রামীণ জনপদে প্রায়ই বাজারে মাছের মেলা বসত, বিশেষ করে সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম উৎসব পৌষ সংক্রান্তির সময় এ বাঁশগুলো কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ, আদমপুর, মুন্সীবাজার-সহ বিভিন্ন হাটবাজারে দেখা গেছে।কমলগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর ঢলুবাঁশ পাওয়া যেতো। তন্মধ্যে চুঙ্গাবাড়িও এক সময় প্রসিদ্ধ ছিলো ঢলুবাঁশের জন্যে। অনেক আগেই বনদস্যু ও ভুমিদস্যু এবং পাহাড়খেকোদের কারণে বনাঞ্চল উজাড় হয়ে যাওয়ায়, হারিয়ে গেছে ঢলুবাঁশ। তবে জেলার কিছু কিছু টিলায় এখনও ঢলুবাঁশ পাওয়া যায়।ঢলুবাঁশের পিঠা তৈরী করার জন্য সদর উপজেলার হযরত সৈয়দ শাহ্ মোস্তফা (রহ.) মেলায় ঢলুবাঁশ কিনতে আসা মাসুদ মিয়া বলেন, চুঙ্গাপিঠার বাঁশ কেনার জন্য এসেছি। আমাদের পূর্বপুরুষরা এ পিঠা বানিয়ে খেতেন। ২ আটি বাঁশ ৬০০ টাকা দাম চাচ্ছেন। আমি ৫০০ টাকা বলেছি। আমরা প্রতিবছর এখান থেকে বাঁশ নিয়ে পিঠা বানিয়ে খাই।ক্রেতা দৈনিক জনসংগ্রাম পত্রিকা’র সম্পাদক ও প্রকাশক, সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, চুঙ্গাপিঠা খাওয়ার জন্য বাঁশ কিনতে এসেছি। আগের মুরুব্বিরা চুঙ্গাপিঠা খেতেন শুনেছি। আমরা কখনো খাইনি, এবার খেয়ে দেখব কেমন মজা হয় চুঙ্গাপিঠা।শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুরের বাঁশ বিক্রেতা হাসিম মিয়া বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রয় করে এনে ৫/৬ টাকা দামে পিস হিসেবে বিক্রি করি। আস্তাবাঁশ প্রতি পিস ৮০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি করি। এখন বাঁশ পাওয়া যায় না। তবে দেওড়াছড়া, প্রেমনগর এবং গিয়াসনগর বাগানে কিছু কিছু বাঁশ পাওয়া যায়। পাঁচশো বাঁশ এনেছিলাম। প্রায় চার হাজার টাকা বিক্রি করেছি।আরেক বাঁশ বিক্রেতা কালাপুরের মুজাহিদ মিয়া বলেন, আমি বিগত কয়েক বছর ধরে এখানে এসে বাঁশ বিক্রি করি। দিনে দিনে এই ব্যবসা কমতে আছে। এখনকার লোকেরা আগেকার ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করছে না। শহরের লোকেরা এসব খেতে অভ্যস্ত নয়। এখনও গ্রামের মানুষরাই এ বাঁশ কিনে নিয়ে যায় আগের মতো।শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ তারেক মাহফুজ ও মোঃ আব্দুল করিম বলেন, আগে কম-বেশি সবার বাড়িতে ঢলু বাঁশ ছিল। এখন সেই বাঁশ আগের মতো নেই। এই বাঁশ প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। একসময় এই ঢলুবাঁশ দিয়ে চুঙ্গাপুড়ার ধুম লেগেই থাকত। আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগেও প্রচুর মানুষের দেখা যেত। এখন কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে সবকিছু। -
লক্ষ্মীপুরে সিএনজি চালকদের হাতে ট্রাফিক পুলিশ হামলার শিকার।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃলক্ষ্মীপুর শহরে ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে সিএনজি চালকদের হামলায় তিন পুলিশসহ চার জন আহত হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর শহরের বাগবাড়ি এলাকার মেঘনা সড়কের মুখে এই ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতরা হচ্ছেন, পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক সবুজ মিয়া, ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল ঝোটন ভট্টাচার্য, টারজান বড়ুয়া ও সিএনজি চালক খোরশেদ আলম। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফিটনেস ও লাইসেন্স বিহীন সিএনজিসহ সড়কে বিভিন্ন পরিবহন চলাচল করছে। অবৈধ এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে প্রতিদিনের মতো বুধবার সকাল থেকে শহরের বাগবাড়ির মেঘনা সড়কে ট্রাফিক পুলিশ অভিযান শুরু করে। এ সময় বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় কয়েকটি সিএনজি জব্দ করে ট্রাফিক পুলিশ।এঘটনার জের ধরে কয়েকটি সিএনজির চালক একত্রিত হয়ে ট্রাফিক পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই সময় ৩ পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে ক্ষুব্ধ সিএনজি চালকরা। পরে উত্তেজিত সিএনজি চালকরা লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ এসে অবরুদ্ধ দুই পুলিশ কনস্টেবলসহ তিনজনকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।এদিকে কয়েকটি সিএনজির চালক জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সড়কে সিএজি চালাতে হলে তাদেরকে মাসোহারা দিতে হয়। কোন অজুহাত ছাড়াই কয়েকটি সিএনজি আটক করে মামলা দেয় ট্রাফিক পুলিশ। এর জের ধরে এই ঘটনা ঘটে।লক্ষ্মীপুর ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, ফিটনেস ও লাইসেন্স বিহীন পরিবহনের বিরুদ্ধে সকাল থেকে অভিযান চালায় ট্রাফিক পুলিশ। এ সময় মেঘনা সড়কের মুখে অভিযান চালানোর সময় ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা চালায় চালকরা। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।লক্ষীপুর পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। কি কারনে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। -
বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফের হাতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা আটক
(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে অনুপ্রবেশের পর শেখ আলিমুর রহমান (৪৬) নামের এক সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে আটক করেছে বিএসএফ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বেউরঝাড়ী সীমান্ত এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বেউরঝাড়ী সীমান্তের ৩৮০ মেইন পিলার থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করলে বড় বিল্লা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। আটক সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে ভারতের গোয়ালপুকুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজীর আহমেদ প্রতিনিধিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আমরা আশা করছি, সেখানে সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে ফেরত পাওয়া যাবে।’
বিএসএফের হাতে আটক সাবেক সেনা কর্মকর্তা শেখ আলিমুর রহমান খুলনা জেলার বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম ডা. রহমান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৭ কোর্সের লেফটেন্যান্ট পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় অবসর গ্রহণ করেন তিনি।
বিজিবি’র কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ঘটনার পরপরই তারা বিএসএফ-এর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন। বিজিবি’র পক্ষ থেকে কূটনৈতিক পথে আলোচনা চালিয়ে আটককৃত নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বলছে, সীমান্ত এলাকায় কদিন ধরে ভবঘুরের মতো ঘোরাফেরা করছিলেন শেখ আলিমুর রহমান। গতকাল তিনি সীমান্তের নাগর নদী পার হয়ে অপর পারে চলে যান। সেখান থেকে বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে যায়।
এদিকে এই ঘটনার ফলে সীমান্ত এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত ওই ব্যক্তিকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে বিজিবি’র প্রতি তাদের আস্থা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া, এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করার জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজিবি কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেছেন যে, তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এবং আটককৃত ব্যক্তিকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
-
মৌলভীবাজারে প্রেরণা মেধাবৃত্তি’র ফলাফল প্রকাশ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:মৌলভীবাজারে প্রেরণা মেধাবৃত্তি ২০২৪ এর ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। মৌলভীবাজার ইসলামী সোসাইটি পরিচালিত মেধাবৃত্তি ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানটি মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা শহরের ইম্পেরিয়েল কলেজের হলরুমে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।এ সময় ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে জেলা পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর মামুনূর রশীদ’র সভাপতিত্বে ও পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মোঃ সিতাব আলী’র সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, মৌলভীবাজার ইসলামিক সোসাইটির চেয়ারম্যান দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব। এতে উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার ইসলামিক সোসাইটির সেক্রেটারি ও জেলা পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক মোঃ ইয়ামীর আলী, সদস্য মোহাম্মদ আলী বেগ, হারুনুর রশীদ তালুকদার, সৈয়দ তারেকুল হামিদ, মোহাম্মদ শাহীন মিয়া, শাহিন আহমদ, খায়রুল আমীন সেহেল, মাসরুর আহমদ, হাবিবুর রহমান হারিছ ও হাফিজ আলম হোসাইন।জানা যায়, জেলার ৭ উপজেলা থেকে প্রেরণা মেধাবৃত্তি ২০২৪ পরীক্ষায় গেল ২৮ ডিসেম্বর জেলা ব্যাপী ৫ম ও ৮ম শ্রেণীর ২৫৮৩ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়। এতে ৮ম শ্রেণীর জেলা ব্যাপী মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে বিএফ শাহীন কলেজের শিক্ষার্থী আফরিদা জান্নাত অরিন, দ্বিতীয় স্থান করে বিএফ শাহীন কলেজের শিক্ষার্থী পরমাধ্যা চক্রবর্তী ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে দি বাডস্ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাইশা বিনতে হুমায়ুন। ৫ম শ্রেণীতে জেলা ব্যাপী মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে আনন্দ বিদ্যাপিঠ এর শিক্ষার্থী তানজিলা ইসলাম চৌধুরী, দ্বিতীয় স্থান করে দি বাডস্ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী রাজশ্রী হালদার রাজন্যা ও তৃতীয় স্থান করে আনন্দ বিদ্যাপিঠ এর শিক্ষার্থী স্নেহা দাশ।উল্যেখ্য, মৌলভীবাজার জেলার ৭ উপজেলা থেকে পরীক্ষায় ২৫৮৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এতে কৃতকার্য হয় ১৮০ জন। প্রথম স্থান অধিকারকারীদের নগদ ১০ হাজার টাকা-সহ ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান-সহ অন্যান্যদের পর্যায়ক্রমে পুরুস্কিত করা হবে বলে প্রেরণা মেধাবৃত্তি ২০২৪ইং, পরীক্ষায় অংশ নেয় শিক্ষার্থী। -
কালিয়াকৈরে ককটেল বিস্ফোরণ- দুর্বৃত্তদের বিকাশ এজেন্টের টাকা ছিনতাই।
কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:
গাজীপুর কালিয়াকৈরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক বিকাশের এজেন্ট কাছ থেকে নগদ ৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে পাওয়া গেছে।দুর্বৃত্তদের বাধা দিতে গিয়ে এক মুদিদোকানদার আহত হয়েছেন।
আহত মুদি দোকানদার নাম শিমুল হোসেন তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিকাশের এজেন্ট নাম ফারুক হোসেন।সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সফিপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সফিপুর বাজারের যমুনা রোডের সামনে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। পরপর কয়েকটি ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দুর্বৃত্তরা। প্রাথমিকভাবে কেউ কিছু বুঝতে না পারলেও সামনে গিয়ে দেখা যায়, বিকাশ এজেন্ট ফারুকের টাকা ছিনিয়ে নিতে ককটেল ছোড়া হয়েছে। দুটি প্রাইভেট কার থেকে ফারুককে লক্ষ্য করে এসব ককটেল ছুড়ে দুর্বৃত্ত দলের সদস্যরা। এ সময় তাঁর হাত থেকে টাকার ব্যাগটি নিচে পড়ে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে পাশের দোকানদার শিমুল দৌড়ে এলে তাঁকে লক্ষ্য করে ককটেল ছোড়া হয়। এতে শিমুল আহত হন। আশপাশের লোকজন জড়ো হওয়ার আগেই দুর্বৃত্তরা টাকার ব্যাগটি তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ফারুক আহত হয়েছেন।
ভুক্তভোগী ফারুক হোসাইন বলেন, ‘দোকান বন্ধ করে টাকার ব্যাগটা মাত্র হাতে নিয়েছি, এমন সময় প্রাইভেট কার থেকে পাঁচ থেকে সাতজন লোক নেমে আমার দোকান লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়ে। এরপর আমার ব্যাগে থাকা ছয় লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াদ মাহমুদ।
-
ডিমলায় সরকারী কর্মকর্তা ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে জেলা প্রশাসকের মত বিনিময় সভা।
ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলায় সরকারী কর্মকর্তা ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান মত বিনিময় সভা করেছেন । মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারী) বিকাল ৩ টায় উপজেলা প্রশাসন ডিমলা, নীলফামারীর আয়োজনে উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স হলরুমে জেলা প্রশাসকের মত বিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেল মিয়া, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলে এলাহী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. রাশেদুজ্জামান, উপজেলা কৃষি অফিসার মীর হাসান আলী বান্না, উপজেলা প্রকৌশলী মো. শফিউল ইসলাম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ মদন কুমার রায়, উপজেলা মৎস্য অফিসার শামীমা আক্তার, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাম রব্বানী প্রধান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ডিমলা উপজেলার সেক্রেটারী মো. রোকনুজ্জামান বকুল, প্রেসক্লাব ডিমলার সভাপতি ও দৈনিক রুপালী বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিনিধি মিজানুর রহমান সবুজ, সহ-সভাপতি ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকার প্রতিনিধি জামান মৃধা ও মো. রবিউল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি মাসুদ পারবেজ রুবেল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রতিনিধি রেজোয়ান ইসলাম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক আমার বার্তার প্রতিনিধি হাবিবুল হাসান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দি ডেইলী ম্যাসেনজার পত্রিকার প্রতিনিধি রিপন ইসলাম শেখ, ডিমলা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি ও দৈনিক আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার প্রতিনিধি মহিবুল ইসলাম, দৈনিক সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি ময়েন কবীরসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডিমলা উপজেলা প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান রাশেদ উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তারা, মাদক, চোরাচালান, সীমান্ত দিয়ে সার পাচার, থানায় তদবির, বালুমহল সিন্ডিকেট, রেজিষ্ট্রি অফিসের অনিয়ম-দূনীতি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নানা অনিয়ম, উপজেলা প্রকৌশলী এর বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতি, সার সিন্ডিকেট, শব্দ দূষন, অর্থনীতি, কৃষি এবং সাধারন মানুষের জীবনমান উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। মত বিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বক্তাদের কথা গুরত্ব সহকারে শ্রবন করেন এবং সকল সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে আশ্বস্ত করেন। মত বিনিময় সভা শুরু হওয়ার আগে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেল মিয়াকে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন। -
বাঘায় ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে কিশোরের মৃত্যু।
বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরহী কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
জানাযায়, ১৩ জানুয়ারী সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় বানেশ্বর – ঈশ্বরদী আঞ্চলিক সড়কের বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের বিনোদপুর সাজির বটতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে ।
এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় হঠাৎ একটি বিকট শব্দ হয় । পরে দেখা যায় একটি মোটরসাইকেল বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সরাসরি ধাক্কা দেয় । এতে মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন আরহী ছিটকে রাস্তায় পরে যায়। এসময় পেছনে থাকা একটি আখ পরিবহনের ট্রাক্টর দুই জনকে চাপা দিয়ে চলে যায় ।
এসময় এলাকা বাসী তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে দুই জনের অবস্থা আশংক্ষা জনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের দুই জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানাযায় , নিহত দুইজনের বাড়ি লালপুর উপজেলার মোমিনপুর বাকনা গ্রামের মোঃ বাবর আলীর ছেলে ফয়সাল আহম্মেদ (১৬) ও একই গ্রামের মানিক হোসেনের ছেলে নাসির উদ্দিন (২১)। এবং আহত হামজা আহম্মেদ দিপু প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যান।
এলাকাবাসি জানায় এই জায়গায় প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। কিছুদিন আগেও গায়ে হলুদের দিনে জুয়েল নামের এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
এবিষয়ে বাঘা থানার এস আই মোঃ ইমরান আলি জানান , খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমরা যায়। আমরা যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখান থেকে আমরা দুরঘটনা কবলিত মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। তবে ঘাতক ট্রাক ও ট্রাক্টরটি পালিয়ে গেছে ।
-
শেরপুরে চলছে প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা।
নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারের শেরপুরে প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলায় উঠেছে নানান প্রজাতির মাছ। পৌষসংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসব উপলক্ষে অন্যান্য মাছের পাশাপাশি মেলায় উঠেছে বড় আকারের বাঘাইড়, বোয়াল, রুই, কাতলা, মৃগেল, কার্প-সহ নানান প্রজাতির মাছ।এই মাছের মেলা এখনো এই অঞ্চলে মানুষের ঐতিহ্যের অংশ। মেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাছ নিয়ে আসেন মাছ ব্যবসায়ীরা। এখানে খুচরা ও পাইকারি দরে মাছ বিক্রি হয়।মেলায় আসা নানান প্রজাতির মাছ দেখতে মৌলভীবাজার জেলা-সহ হবিগঞ্জ- সিলেট ও দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে প্রচুর পরিমান দর্শনার্থীর সমাগম গঠেছে।গতকাল রবিবার রাত থেকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের শেরপুর কুশিয়ারা নদীর পাড়ে এই মেলা বসে। আগামীকাল বুধবার ভোরে শেষ হবে এই মেলা।মেলার আশপাশের স্থানীয়রা বলেন, এই মেলা প্রায় ২০০ বছর ধরে পৌষসংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হয়ে আসছে এই মাছের মেলা। এবারের মেলায় সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা দাম চাওয়া হয়েছে একটি বিরাট আকারের বাগাড়ের দাম। বিক্রেতা বলতেছেন এই মাছ কিনে নেওয়ার মতো ক্রেতা এখনো পাইনি। এই মাছের দাম শুনে সবাই চলে যায়।মেলা উপলক্ষে প্রতিবছর কয়েক লাখ মানুষের সমাগম ঘটে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মাছের আড়তদারেরা মাছ নিয়ে এসেছেন। মজুত করে রাখা হয়েছে ছোট-বড় নানা জাতের মাছ। পাশাপাশি মেলায় বড় বড় দোকানে নানা ধরনের গৃহস্থালি ও বিভিন্ন ধরনের আসবাব, শৌখিন জিনিসপত্র, শিশুদের খেলনা-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়েও বসেছে বিভিন্ন দোকানিরা।মেলায় আসা বড় আকারের এক বোয়াল মাছের দাম বিক্রেতা চাইছে ৮৫ হাজার টাকা। অন্য এক বিক্রেতা ৪০ কেজি ওজনের এক কাতলা মাছের দাম চাইছেন ৫৫ হাজার টাকা। আরেক বিক্রেতা কুশিয়ারা নদীর ৪০ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছের দাম হাঁকছেন ৫৫ হাজার টাকা।মেলার আয়োজকরা জানিয়েছেন, শেরপুর কুশিয়ারা নদীর তীরে ঐতিহ্যবাহী এ মাছের মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাছ নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। মেলায় বিক্রিও হচ্ছে ভালো।মাছ বিক্রেতা মোঃ রফিক আলী বলেন, মেলায় নদী ও হাওরের মাছ নিয়ে এসেছেন বিক্রি করার জন্য। ছোট দেশীয় প্রজাতির মাছের দিকে ক্রেতাদের চোখ। মেলায় বিভিন্ন আকারের বোয়াল, রুই, কাতলা, চিতল, মৃগেল, কার্প, বাঘাইড়-সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উঠেছে। প্রচুর পরিমানে মাছের আগমনে দামও অনেকটা কম। কমদামে মাছ কিনতে পেরে মেলায় আসা ক্রেতারাও সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করছেন।মেলায় আগত মৎস্য ব্যবসায়ী অদন পাল বলেন, ঐতিহ্যবাহী মেলায় আমরা প্রতিবছর আসি, এখান থেকে পাইকারি মাছ কিনে আমরা স্থানীয় বাজারে মাছ বিক্রি করি।হবিগঞ্জ থেকে আগত মৎস্য ব্যবসায়ী সাগর হোসেন বলেন, এই মেলায় আমাদের বাপ-দাদারাও মাছ বিক্রি করেছেন। এখন আমরা মাছ বিক্রি করি।সাগর আরও বলেন, আমাদের কাছ থেকে পাইকারি মাছ কিনে মৌলভীবাজার, সিলেট-সহ দেশের বিভিন্ন স্থান পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষে মাছ বিক্রি করেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া মেলাকে কেন্দ্র করে বাগাড়, বোয়াল, আইড়, চিতল, কাতলা, রুই ইত্যাদি মাছ বেশি বিক্রি হয়।মেলায় আগত দর্শনার্থী ফরহাদ রেজা বলেন, শেরপুর মাছের মেলায় প্রথম এসেছি। এই মেলায় না আসলে এত বড় বড় মাছ কখনো দেখা হতো না। এই মেলা শত বছর ধরে ঐতিহ্য বহন করে বলেন জানান তিনি। -
লক্ষ্মীপুরে আ”লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম বাড়ি ঘর ভাংচুর অভিযোগ ।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশে ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরে জহির নামে এক স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতার ঘর ভাংচুর,পরিবারের লোকজনদের মারধর ও ঘরে আসবাবপত্র ভেঙ্গে চুরে দিয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতা কাসেম কেরানি (প্রকাশ মাকসুদুর রহমান) জাবেদ, কামরুল, শাকিল, রতন।
বুধবার (০৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ৪নং চররুহিতা ইউনিয়নের (৭নং ওয়ার্ডের)কাঞ্চনী বাজারের সাথে এ ঘটনা ঘটে।
ভোক্তভোগী জহিরুল মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে,ও চররুহিতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কাউন্সিলর ও আ”লীগের সক্রিয় একজন কর্মী ছিলেন, বর্তমানে তিনি ঢাকাতে অবস্থান করার কারনে রক্ষা পান দুস্কৃতিকারীদের হাত থেকে, তবে রেহাই পাইনি উনার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা ও সন্তানরা,স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় প্রেরন করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করেন বিএনপি নেতা কাসেম কেরানি বলেন, আমার কেনা ১৫ শতাংশ জমি জহির জবর দখল করেছে। এনিয়ে আদালতে মামলা চলছে।
জহির আওয়ামী লীগের আমলে চাঁদাবাজি নারী কেলেঙ্কারি গাজা ইয়াবা ব্যবসা করতো থানাতে একাধিক মামলা রয়েছে তার হামলার বিষয় সমন্বয়ক ছাত্ররা হামলা করেছে।
স্থানীয় সূত্র হতে জানা যায় ঘরে ডুকে কয়েকজন যুবক ঘর ভাংচুর করে পরে তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা বাঁধা দিলে উনার উপর অতর্কিত হামলা চালায়,মায়ের চিৎকারে সন্তানরা এগিয়ে আসলে তারাও আহত হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহেল রানা, হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও পুলিশ হত্যার কারনে পুলিশ প্রশাসন কর্মবিরতি দিয়েছে,থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক হলে ভোক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।