Author: admin

  • ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলামের মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা।

    ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলামের মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা।

    আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড় ঝাঁপের পাশাপাশি প্রচার প্রচারনা ও গনসংযোগ করেছেন।

    এর অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকালে নিজের অবস্থান জানান দিতে মোটরসাইকেল শোডাউন ও গণসংযোগ করেছেন ৪ নং পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম পাটোয়ারী।

    তৃণমূলের জনপ্রিয় যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম পাটোয়ারীর নেতৃত্বে ইউনিয়নের ঠাকুর লক্ষীকোল সোনার মোড় হতে তিন শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউনটি বের হয়। মোটরসাইকেল শোডাউনটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম পাড়ার রাস্তা প্রদক্ষিণ করেন।

    শোডাউনের ফাঁকে ফাঁকে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এলাকায় ও হাট-বাজারগুলোতে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় ও গণসংযোগের মধ্য দিয়ে দোয়া ও সমর্থন চেয়েছেন ত্যাগী দুসঃময়ের মাঠে থাকা নেতা ও আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান নজরুল ইসলাম পাটোয়ারী।

    এসময় তিনি সকল সাধারণ জনগনের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত, গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন, বৈষম্যহীন উন্নয়নে অগ্রাধিকারসহ সুন্দর, স্বচ্ছ,দূর্নীতি মাদক মুক্ত বঞ্চনাহীন, সমাজ গঠনের মধ্য দিয়ে পিপরুল ইউনিয়নকে একটি আধুনিক মডেল ইউনিয়নে রূপান্তর করার প্রতিশ্রুতি দেন।

    উল্লেখ্য,নজরুল ইসলাম পাটোয়ারী ৯০ দশকে থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের প্রতিটি কঠিন মূহুর্তে সে ও তাঁর পরিবার মাঠে থেকেছে হামলা মামলার শিকার হয়েছেন, সাবেক এই ছাত্রনেতা ছিলেন পিপরুল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, প্রথম কমিটির যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক, দিঘাপতিয়া এমকে কলেজ ছাত্রলীগের প্রথম আহ্বায়ক, জোট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ করার অপরাধে সে ও তাঁর পরিবার হামলা মামলার শিকার হন।

    বাড়ি ছাড়াও হতে হয়েছে সে সময় ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন, তার এক কাকা ওলিউল্লাহ পাটোয়ারী ছিলেন সে কমিটির সাধারণ সম্পাদক, পরবর্তীতে ২০১৪ সালে ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন এবং বিএনপির জ্বালাও পোড়াও প্রতিহত করতে সর্বদা রাজপথে থেকেছেন।২০১৫ সালে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ দুই তৃতীয়াংশ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন।

    এছাড়াও তার চাচা এড.ওয়ায়েস আলী পাটোয়ারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমানে সহ- সভাপতি। চাচাতো ভাই উজ্জ্বল পাটোয়ারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, আরেক চাচাতো ভাই মহসিন পাটোয়ারী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, আপন ছোট ভাই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।

    মটর সাইকেল শোভাযাত্রা ও জনসংযোগ শেষে সংক্ষিপ্ত এক বক্তব্যে নজরুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন,আমি দীর্ঘদিন হলো আওয়ামী লীগের দুঃসময় রাজপথে ছিলাম তা বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা, আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ দেয় , তাহলে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের ভালোবাসায় বিপুল ভোটে আমি পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবো ইনশাল্লাহ।

    এসময় তাঁর সাথে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহ্বয়াক আঃ হক সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওলিউল্লাহ পাটোয়ারী, যুবলীগ নেতা সোহেল রানা হেলাল, উপজেলা যুবলীগের অন্যতম সদস্য হুমায়ুন ও আবু বক্কর, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হানিফ আলী,সিনিয়র সহ-সভাপতি সুমন পাটোয়ারী, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি উজ্জ্বল পাটোয়ারী, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি মহসীন পাটোয়ারী সহ প্রমুখ।

  • নওগাঁয় পুলিশের অভিযানে মাদকসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক-ভোরের কণ্ঠ।

    নওগাঁয় পুলিশের অভিযানে মাদকসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক-ভোরের কণ্ঠ।

    নওগাঁয় পুলিশের অভিযানে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ উত্তম কুমার দেবনাথ (৩৬) নামের মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।

    সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নওগাঁ সদর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম জুয়েলের নের্তৃত্বে এসআই তৌহিদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স সহ গোস্ত হাটি মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে উৎসব দই এন্ড মিস্টান্ন ভান্ডারের সামনে হতে উত্তম কুমার দেবনাথকে ৪০ বোতল ফেন্সিডিল সহ হাতে নাতে আটক করা হয়।

    আটক উত্তম কুমার দেবনাথ বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার পিলকুঞ্জু হিন্দুপাড়া গ্রামে স্রী হরিদাস চন্দ্র দেবনাথের ছেলে এবং নওগাঁ সদর থানাধীন চক দেবপাড়ার গঙ্গা প্রসাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া বলে জানাগেছে।

    এবিষয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানা পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো:তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আটক উত্তম কুমার দেবনাথ একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে এই সংক্রান্তে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা রুজু হয়েছে।

  • কলাপাড়ায় ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক-ভোরের কণ্ঠ।

    কলাপাড়ায় ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক-ভোরের কণ্ঠ।

    কলাপাড়ায় দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহষ্পতিবার রাত নয়টার দিকে টিয়াখালী ইউপির ফরাজী কান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী নিজে শুক্রবার দিবাগত রাতে তিন জনের নাম উল্লেখ করে কলাপাড়া থানায় নারী শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

    পরে রাত ২ টার দিকে সহযোগী আসামী আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করতে পারলেও প্রধান অভিযুক্ত রবিউল এখনও পলাতক রয়েছে।

    পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় রাতে ওই ছাত্রীর বাড়ির সামনে দোকানে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে প্রধান আসামী রবিউল চৌকিদার, সহযোগী আবুল ও জাহিদুলকে নিয়ে পরিধেয় পোশাক ছিড়ে জোরপূর্বক ধর্ষন চেষ্টা চালায়। এসময় তার ডাকচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে য়ায়।

    কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আসাদুর রহমান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যহত আছে।

  • নন্দীগ্রামে মাদক ব্যবসায়ী কর্তৃক পুলিশের সোর্স সন্দেহে যুবককে হত্যার চেষ্টা-ভোরের কণ্ঠ।

    নন্দীগ্রামে মাদক ব্যবসায়ী কর্তৃক পুলিশের সোর্স সন্দেহে যুবককে হত্যার চেষ্টা-ভোরের কণ্ঠ।

    নন্দীগ্রাম বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার নন্দীগামে মাদক ব্যবসায়ী কর্তৃক পুলিশের সোর্স সন্দেহে নিরীহ যুবককে হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।

    ১১ই মার্চ বৃহস্পতিবার উপজেলার গোছাইল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। জানাযায়, গোছাইল গ্রামে মাদকের রমরমা ব্যাবসা চালিয়ে আসছে গ্রামের কতিপয় যুবক। গত বৃহস্পতিবার (৪ই মার্চ) অভিযান চালিয়ে এদের মধ্যে মাদক ব্যাবসায়ী, আফজাল হোসেন, সালাম, মামুন কে মাদক সহ গ্রেফতার করে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ।

    উক্ত আসামীরা জেল থেকে বের হয়ে এসে এলাকার সকল মাদক কারবারিদের একত্র করে সেদিনের গ্রেফতারের ঘটনায় পুলিশের সোর্স সন্দেহে গোছাইল গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন (৩০) কে মোবাইলে ফোন করে ডেকে নিয়ে অমানবিক মারধর করে গোছাইল গ্রামের হাফিজারের ছেলে বুলবুল (৩২), মৃত সোবহানের ছেলে সালাম (৪৫), সালামের ছেলে জাহাঙ্গীর (২২), জলিলের ছেলে মামুন (৩২), আবেদ উদ্দিনের ছেলে আফজাল (৩৬) ও আতাইল চেঙ্গা পাঁচ পুকুরিয়া গ্রামের আজিজের ছেলে মিজান (৩০)। তারা সকলেই এলাকার নামকরা মাদক ব্যাবসায়ী।

    পরে তাকে মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয় গ্রামবাসী। উক্ত বিষয়ে গ্রামবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যাবসা সহ নানান অপকর্ম করে আসছে এই সিন্ডিকেট। এদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট। উক্ত বিষয়ে উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ দিলরুবার সাথে কথা বললে তিনি জানান, ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথার আঘাতের বিষয়ে সিটিস্ক্যান করতে হবে, এছারাও এক পা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

    উক্ত বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার ডিউটি অফিসার এসআই রেজাউল করিম রেজা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসাধীন যুবক নাজমুল হোসেনের খোজ খবর নিয়েছে এবং তার পরিবারের সাথে কথা বলেছে। এই ঘটনার সাথে জরিত সকলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • কলাপাড়ায় ভূমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্তদের মানববন্ধন-ভোরের কণ্ঠ।

    কলাপাড়ায় ভূমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্তদের মানববন্ধন-ভোরের কণ্ঠ।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা ও ফুলতলী গ্রামে আরপিসিএলের ১৩২০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিমার্নে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ২০ টি পরিবারের সদস্যরা তাদের বসত ঘর, গাছপালা ও পুকুরসহ ভূমির জন্য সরকার ঘোষিত প্রনোদনার দেড়গুন মূল্য পরিশোধসহ মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা তুলে নেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। ১২ মার্চ শুক্রবার বেলা ১২ টায় পূর্ব লোন্দা গ্রামের ইয়াসিন খাঁ’র বাড়ির সামনে ও ফুলতলী গালর্স স্কুলের সামনে পৃথক পৃথক দুটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। অধিকার বঞ্চিত পরিবারগুলো এবিষয়ে সরকারের যথাযথ কতর্ৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।

    জানা যায়, উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা ও ফুলতলী গ্রামে নির্মানাধীন ১৩২০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য অধিগ্রহনকৃত জমির ক্ষতিগ্রস্ত ২০ টি পরিবারের জমির প্রাপ্য তিনগুন টাকার দেড়গুন মূল্য পেলেও বাকী দেড়গুন টাকাসহ বসত ঘর, গাছ ও পুকুরের মূল্য নিধার্রণ করেনি আরপিসিএল কতর্ৃপক্ষ। অধিকন্তু, মিথ্যা ও হয়রানী মূলক মামলা দিয়ে ঘড়-বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করছেন তারা। স্থানীয় বাসিন্দা প্রবাসী শহিদুল ইসলামের স্ত্রী জুলেখা বেগম দুধের ছোট্ট শিশুকে কোলে নিয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে রয়েছে। আমি দুটো শিশু সন্তান নিয়ে আমার বাড়িতে বসবাস করছিলাম। আরপিসিএল কর্তৃপক্ষ আমার বসতি জমি, ঘড়-বাড়ি, পাছপালা ও পুকুরের কোন টাকা পরিশোধ না করেই জায়গা দখল নিতে আসে। এতে বাধা দিলে আরপিসিএল কতর্ৃপক্ষসহ স্থানীয় কতিপয় দালালচক্র আমাদের নামে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক একাধিক মামলা দিয়ে গ্রাম ছাড়া করেন।

    ক্ষতিগ্রস্থ্য স্থানীয় বাসিন্দা মো. মঈন উদ্দিন খাঁন, আব্দুর রহমান খাঁন, মো. মোকলেছ গাজী, মোসা. নুরনাহার বেগম, ছালমা বেগম, বকুল নেছা ও শিপন খাঁনসহ একাধিক ভূক্তোভোগী পরিবার একই অভিযোগ করেন। ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের দাবি, তারা জমি দিয়েছেন প্রয়োজনে সম্পদও দিবেন। কিন্তু সম্পদের মূল্য না দিয়ে তাদের জোড়পূর্বক উচ্ছেদ করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। রাতের আঁধারে বালু ফেলে বসত ঘর তলিয়ে দেয়া হচ্ছে। তারা সকল ধরনের হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি ও সম্পদের ন্যায্য মুল্য পাওয়ার দাবিতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

    এ বিষয়টি তারা পটুয়াখালী জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে অবহিত করেন বলে জানা যায়। জেলা প্রশাসকের দরবার থেকে একটি তদন্ত টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু তদন্ত টিমের রিপোর্ট না দেয়ার আগেই আরপিসিএল কতর্ৃপক্ষ জোড়পূর্বক তাদের উচ্ছেদের চেষ্টা করে। বালু কেটে সব কিছু ভরাট করা শুরু করেন।

    এ ব্যাপারে আরপিসিএলের নির্বাহী প্রকৌশলী ইকবাল করিম জানান, পটুয়াখালী ডিসি অফিস হতে আরোও দেড় বছর আগে ঐ জমি আমাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা মানবতার বিবেচনায় তাদের থাকতে দিয়েছি। আইন অনুযায়ী তারা এখন ওখানে অবৈধভাবে রয়েছে। বর্তমানে আমরা আমাদের অধিগ্রহনকৃত জায়গা ভরাট করছি। তিনি আরোও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা পটুয়াখালী ডিসি অফিসে একটি তদন্ত আবেদন করেছিল। সে প্রেক্ষিতে তদন্ত টিম এসে তদন্ত করে গেছে কিন্তু প্রতিবেদন এখনও দেয়নি। তারা কবে প্রতিবেদন দিবে এবিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলেও জানান। তবে মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, কাউকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে না। বরং তারা আমাদের হুমকী দিয়েছে তাই আমরা মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।

  • উল্লাপাড়ায় ট্রাক চাপায় এক বৃদ্ধ নারীর মৃত্যু-ভোরের কণ্ঠ।

    উল্লাপাড়ায় ট্রাক চাপায় এক বৃদ্ধ নারীর মৃত্যু-ভোরের কণ্ঠ।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় খোদেজা খাতুন(৫২) নামের এক বৃদ্ধ নারী ট্রাক চাপায় নিহত হয়েছে।

    জানায় যায় বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক পরাপারের সময় খোদেজা খাতুনকে অজ্ঞাত নামা একটি ট্রাক চাপা দিয়ে চলে যায়। এ সময় ওই নারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। নিহত নারী বগুড়ার শেরপুরের খাজার আনসন গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী।

    এ ঘটনা নিশ্চিত করে উল্লাপাড়া হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাজাহান আলী জানান বৃহস্পতিবার রাতে হাটিকুমরুল গোলচত্বর চত্বর এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় খোদেজাকে অজ্ঞাত নামের একটি ট্রাক চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।

    এঘটনায় ওই নারী ঘটনাস্থলে মারা যায়।পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। ট্রাকটি সনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।

  • শ্রীমঙ্গলে বিপুল পরিমাণ ভেজাল চা-পাতা উদ্ধার-ভোরের কণ্ঠ।

    শ্রীমঙ্গলে বিপুল পরিমাণ ভেজাল চা-পাতা উদ্ধার-ভোরের কণ্ঠ।

    স্টাফ রিপোর্টার:মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১০ মার্চ২০২১ইং, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টায় শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান ইউপির সিক্কা গ্রামের জনৈক আঃ রহিম মিয়া (৫৫), পিতা-মৃত বারেক মিয়া, আব্দুর নুর মিয়া (৬০), পিতা-মৃত বারেক মিয়া এবং আব্দুল মজিদ মিয়া (৫০), পিতা-অজ্ঞাত, সর্ব সাং-সিক্কা, থানা-শ্রীমঙ্গল, জেলা-মৌলভীবাজার এর বসত বাড়িতে বিপুল পরিমাণ চোরাই চা-পাতা মজুদ রয়েছে তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভেজাল চা-পাতা উদ্ধার করে পুলিশ।

    স্থানীয় সুত্রের তথ্যে পাওয়া যায় চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল চা পাতা বানিয়ে বিক্রি করে যাচ্ছে,তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস নেই এলাকাবাসীর।
    পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অবৈধ কারবারিরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তখন আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আব্দুর রহিম মিয়ার বসত ঘর তল্লাশী করে ৪০ বস্তা গ্রীন টি এর গুড়া মিশ্রিত চা পাতা, নুর মিয়ার বসত ঘর তল্লাশী করিয়া ৩৫ বস্তা গ্রীণ টি এর গুড়া মিশ্রিত চা পাতা ও আব্দুল মজিদ মিয়ার বসত ঘর তল্লাশী করে ১২ বস্তা বালু মিশ্রিত ডাস্ট এবং সিডা এর মাধ্যমে তৈরীকৃত চা পাতা উদ্ধার করা হয়।

    পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, অবৈধ ভেজাল চা পাতা কারবারিরা শ্রীমঙ্গল থানাধীন বিভিন্ন চা বাগান হতে চা পাতা, শুকনো চা পাতা ও অন্যান্য গাছের পাতা সংগ্রহ করে তাদের নিজেদের প্রযুক্তির মাধ্যমে শুকিয়ে ঢেকি ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির মাধ্যমে অভিনব কায়দায় গুড়া করে ক্যামিক্যাল জাতীয় অন্যান্য দ্রব্যাদি মিশ্রন করে ভেজাল চা পাতা প্রস্তুত করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে যাচ্ছে এ ছাড়া ও বিক্রয়ের উদ্দেশে আটক কৃত বিপুল পরিমাণ ভেজাল চা পাতা মজুদ থেকে উদ্ধার করা হয়।

    এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালিক বলেন,চ্ভেজাল কারবারিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

    অভিযানে এসআই, আল আমিন, এস আই আলমগির, এস আই জাকির, এএসআই নজরুল ইসলামসহ পুলিশের একটি টিম অংশগ্রহণ করে ভেজাল চা পাতা উদ্ধার করে।

  • রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র লিটনের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ।

    রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র লিটনের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ।

    রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নগর ভবনে মেয়র দপ্তরকক্ষে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর রাজশাহীর উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি সহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করেন।

    এ সময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর কবির, প্রধান প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ নূর-ঈ সাঈদ, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    সাক্ষাৎ শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের শীর্ষ দুই দেশের একটি যারা স্নাতকোত্তর, পিএইচডি ও হার্ড সায়েন্সের ডিগ্রি অর্জনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পাঠাচ্ছে। সেকারণে শিক্ষা আদান-প্রদানের উপর অর্থাৎ কীভাবে আরও বেশি বাংলাদেশী শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারে এবং সেখানকার শিক্ষার্থী এখানে আসতে পারে সেক্ষেত্রে বেশী গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

    সিস্টার সিরিজ প্রোগ্রামে আওতায় অনুষদ ও শিক্ষকদের পড়াশোনায় অতিরিক্ত বিনিয়োগ কিভাবে করা যায় সে বিষয়েও নজর দেয়া হচ্ছে। মিসিগান শহরের সাথে রাজশাহীর বেশ মিল রয়েছে। রাজশাহীতে থেকে অনেক পন্য আমদানি-রপ্তানির সুযোগ আছে।

  • মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুরের বিরুদ্ধে মামলা, হারাতে পারে মেয়রত্ব-ভোরের কণ্ঠ।

    মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুরের বিরুদ্ধে মামলা, হারাতে পারে মেয়রত্ব-ভোরের কণ্ঠ।

    রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র সাইদুর রহমান বিজয়ী হয়েও চেয়ার হারানোর আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তথ্য গোপনের অভিযোগে মেয়র সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় সাইদুর রহমানকে প্রধান করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি), রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) ১২ জনকে প্রতিপক্ষ করা হয়েছে।

    রাজশাহীর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে মামলাটি দায়ে েকরেন তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত পরাজিত প্রার্থী আমির হোসেন আমিন। মঙ্গলবার সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। গত রোববার দায়ের করা মামলায় প্রধান প্রতিপক্ষ করা হয়েছে নির্বাচিত মেয়র সাইদুর রহমানকে। এছাড়া আরও প্রতিপক্ষ করা হয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও আপিল কর্তৃপক্ষ, তানোর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশনার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ফিরোজ কবির।

    মামলার আরজিতে বলা হয়, এক নম্বর প্রতিপক্ষ সাইদুর রহমান মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়রপদে নির্বাচন করার অযোগ্য ছিলেন মর্মে ঘোষণাসহ তার প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করা হয়। সেই সঙ্গে মামলার বাদীকে মেয়র হিসেবে ঘোষণাসহ তার নামে গেজেট প্রকাশ ও শপথবাক্য পাঠ করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারকে নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রার্থনা জানানো হয়েছে। সম্প্রতি ৩০ জানুয়ারি এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মামলার বাদী আমির হোসেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচিত মেয়র সাইদুর রহমান বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। দুই নম্বর প্রতিপক্ষ বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ছিলেন।

    তবে সাইদুর বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অনড় থাকায় গত ২১ জানুয়ারি সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মুন্ডুমালা পৌর শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হাবিবুল্লাহ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাইদুরকে বহিস্কার করে জেলা কমিটির কাছে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে জেলা কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রে প্রেরণ করেন।
    এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুর রহমান জগ প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫৯ ভোট। আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী আমির হোসেন পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৯৮ ভোট। বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৮১ ভোট। ৬১ ভোটের ব্যবধানে সাইদুর রহমান মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। মামলার আরজিতে আরও বলা হয়, মেয়র সাইদুর রহমানের স্ত্রী মোসা. সহিদা বেগম ওরফে মোসা. সাহিদা বেগম প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ও সরবরাহকারী। তার প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স সাগর ট্রেডার্স। তিনি মুন্ডুমালা পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্সপ্রাপ্ত তালিকাভুক্ত ঠিকাদার ও সরবরাহকারী।

    তিনি দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভায় মালামাল সরবরাহ ও ঠিকাদারি কাজ করছেন। তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের লাইসেন্সপ্রাপ্ত। পৌরসভার একটি টেন্ডার কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। নির্বাচিত মেয়র সাইদুর রহমানের স্ত্রীর সঙ্গে মুন্ডুমালা পৌরসভার আর্থিক স্বার্থ থাকায় আইনের বিধান অনুযায়ী সাইদুর রহমান পৌরসভার মেয়রপদে নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ছিলেন। হলফনামায় এই তথ্য গোপন করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরও তার প্রার্থিতা বাতিল করেননি।

    গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাইদুর রহমানের নাম গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এবিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র সাইদুর রহমান বলেন, তিনি মামলার বিষয়টি শোনেননি। তিনি কোনো তথ্য গোপনও করেননি। তার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আইনের কোনো ফাঁক নেই বলে তিনি দাবি করেন।

    আমির হোসেনের আইনজীবী এজাজুল হক মানু বলেন, আইনের বিধান অনুযায়ী প্রার্থী বা তার পরিবারের কোনো সদস্য পৌরসভার সঙ্গে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন কোনো কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না। থাকলে সেই প্রার্থী নির্বাচনে অযোগ্য বলে গণ্য হবেন। সেই হিসেব মতে সাইদুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিলযোগ্য।

  • সিরাজগঞ্জের তাড়াশে  মাদকে ত্রাশ -২ মাসে আটক ৯-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে  মাদকে ত্রাশ -২ মাসে আটক ৯-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাদকে ত্রাশ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীর সংখ্যা। করোনা ভাইরাসের কারনে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়, গার্মেন্টস সহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে অনেকেই কর্ম হারিয়ে এলাকায় অবস্থান নেওয়ায় মাদকাসক্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই মাদকাসক্তি একটি মারাত্বক সামাজিক সমস্যা । বর্তমানে এটি একটি মরণ নেশায় পরিনত হয়েছে। এটি সমাজে নানা রকম প্রভাব ফেলছে।

    সচেতন মহল বলছেন, মাদকাসক্তি যা পারিবারিক দ্বন্দ্ব, সংঘাত,অর্থনৈতিক অবনতি , সামাজিক অস্থিতিশীলতা এবং বিভিন্ন ধরনের অপরাধের পিছনে প্রত্যক্ষ ভুমিকা রাখছে। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মরণ নেশা গাজা,মদ,ইয়াবা,বাবা সহ বিভিন্ন নামের মাদক দ্রব্য। যারা এ সমস্ত মাদকে আসক্ত তারা মাদকের টাকা জোগার করতে গিয়ে অনেক সময় চুরি, ডাকাতি,ছিনতাই সহ আইন-শৃংখলার অবনতি করছে। অনেক পরিবারে দেখা দিয়েছে পারিবারির বিচ্ছেদ। নেশার টাকার চাহিদা পুরণ করতে বেড়েছে বিবাহ বিচ্ছেদে  ও আত্ম হত্যার  মত ঘটনা  ।

    উপজেলার বেশ কিছু এলাকা রয়েছে আদিবাসী অধ্যুষিত মানুষ। এই সকল এলাকাসহ  অন্যান্য এলাকার সিংহভাগ যুবসমাজ মাদক সেবন করছে। ফলে অভিভাবকগণ চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন।

    মাধাইনগর, মাঝদক্ষিণা, কাটাগাড়ী ,গুল্টা,রানীর হাট, নাদোয়ৈদপুর, ১০ নং ব্রীজ এলাকা, ধামাইচ,শ্রীকৃষ্ণপুর সহ বেশ কিছু এলাকায় বাংলা মদ সহ নেশা জাতীয় দ্রব্য অবাধে ক্রয়- বিক্রয় হয়ে থাকে। জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল আজিজ তার নির্বাচনী প্রচারনায় ঘোষনা করেছিলেন তিনি নির্বাচিত হলে তাড়াশকে মাদক মুক্ত করবেন। নির্বাচিত হবার পর তার কঠোর পদক্ষেপে থানা প্রশাসন জোর তৎপরতা চালিয়ে মাদক কারবারী ও সেবনকারীদে দমন করেছিলেন । বর্তমানে পুনরায় পুর্বের অবস্থানে চলে এসেছে পরিস্থিতি। ইতি মধ্যে র‍্যাব-১২ গত ২মাসে অভিযান চালিয়ে  তাড়াশের জন্তিপুর গ্রাম থেকে ৫৫০পিস ইয়াবা ও ০৪ গ্রাম হেরোইনসহ স্বামী হামিদুল ও স্ত্রী আনোয়ারাকে, ২০ নভেম্বর নওখাদা গ্রাম থেকে ৭০ গ্রাম গাজা, ২০পিস ইয়াবা ও ২ গ্রাম হেরোইন সহ আলমগীর ও সাদিকুল কে, ৪ মার্চ চরকুশাবাড়ী খামার পাড়া গ্রাম থেকে ৩ কেজি ৮শ গ্রাম গাজা সহ জহুরুল ইসলামকে , ২৪ জানুয়ারী তাড়িনীপুরস্থ ৯নং ব্রীজে চেক পোষ্ঠ বসিয়ে ২০ পিস ইয়াবা সহ আলহাজ মন্ডল ও রফিকুলকে এবং ও থানা পুলিশ ২১ নভেম্বর অভিযান চালিয়ে উপজেলার গুড়পিপুল  গ্রাম থেকে ৪০ কেজি গাজার গাছ সহ রঞ্জনা নামের মাদক কারবারী ও নলুকান্দি গ্রামের মাদক কারবারী আঃ করিমকে গ্রেফতার করে।

    তাই উপজেলাতে মাদকের ত্রাশ ছড়িয়ে পরছে বলে এলাকার সচেতন মহল ধারনা করছেন।  র‍্যাব-১২ ও তাড়াশ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদক দ্রব্য উদ্ধার ও  গ্রেফতার কৃতদের জেল হাজতে পাঠিয়ে দিলেও জামিন নিয়ে ফিরে এসে তারা পুনরায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যায় বলে মন্তব্য করেন অনেকে।

    তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলে আশিক জানান, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিমালা অনুযায়ী আমাদের মাদক বিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। তিনি আর ও বলেন, মাদক গ্রহনকারী বা কারবারী যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। র‍্যাব -১২ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন মিরাজ বলেন,  র‍্যাব-১২ মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে । মাদকের সাথে আমাদের কোন আপোষ নেই।