Author: admin

  • নাগরপুরে ঝুকিপূর্ণ সেতু ভেঙ্গে বালু বোঝাই ট্রাক খাদে, যোগাযোগ বন্ধ-ভোরের কণ্ঠ।

    নাগরপুরে ঝুকিপূর্ণ সেতু ভেঙ্গে বালু বোঝাই ট্রাক খাদে, যোগাযোগ বন্ধ-ভোরের কণ্ঠ।

    টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংলগ্ন ঝুকিপূর্ণ সেতুটি অবশেষে ভেঙ্গে পড়েছে। শুক্রবার রাতে একটি বালুবাহী ট্রাক ব্রীজে পারাপারের সময় ব্রীজটি ভেঙ্গে খাদে পড়ে বালুবাহী ট্রাকটি। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যোগযোগ আর রোগী পরিবহনে দেখা দিয়েছে চরম দূর্ভোগ। এ দিকে দীঘদিন ধরে ঝুকিপূর্ণ সেতুটির মেরামতের কোন উদ্যোগ না নেয়ায় দূর্ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা।

    সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সড়কসহ পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর, সাটুরিয়া ও ঢাকাগামী সড়কে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে একটি বালুবাহী ট্রাক ব্রিজের উপর উঠার পরই ব্রিজের পাটাতন ভেঙ্গে ট্রাকটি আটকে গেলে বিপাকে পড়ে এ সড়কে চলাচলকারি হাজার হাজার মানুষ। পরে ট্রাকটি সড়িয়ে নিলেও সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নাগরপুর দরগ্রাম ভায়া ছনকা বাজার সড়কের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সংলগ্ন ব্রিজটির দুই পাশের রেলিং ভেঙ্গে এবং মাঝখানে দেবে গিয়েছিল। এরপরও ওই সড়কে যানবাহন গুলো ঝুকি নিয়ে চলাচল করতো। তবে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্রিজটির এমন দশা থাকলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। এমনকি সেতুর কোন পাশেই লাগায়নি সতর্কীকরন সাইনবোর্ড। ব্যবস্থা করা হয়নি বিকল্প কোন সড়কের। সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড থাকলে হয়তো এ ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতো না বলে জানান এলাকাবাসী।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হলেও তাদের উদাসীনতার কারণে ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়েছে।

    ব্রীজের ঢালের মুদি দোকানি আব্দুস ছালাম বলেন, নাগরপুর দরগ্রাম ভায়া ছনকা বাজার সড়কের নাগরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন খালের ওপর সেতুটি নির্মিত হয় বাংলাদেশ স্বাধীনের আগে। এত বছর আগে সেতুটি নির্মিত হলেও আজ অবধি সেতু প্রকার সংস্কার করা হয়নি।

    নাগরপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মাহবুবুর রহমান বলেন, যেহেতু খালের পানি প্রবাহ বন্ধ তাই আমরা দ্রুত সেতুটি ভেঙ্গে সেখানে মাটি ভরাট করে চলাচলের ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

    নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আনিছুর রহমান বলেন, রাতে ঝুকিপূর্ন ওই ব্রিজ দিয়ে একটি বালুবাহী ট্রাক পারাপারের  সময় ভেঙ্গে সেতুর উপর আটকে যায়। এরপর থেকেই ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

  • ফেসবুকও একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম-অ আ আবীর আকাশ 

    ফেসবুকও একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম-অ আ আবীর আকাশ 

    আধুনিককালের যোগাযোগ বিপ্লব মূল্যায়নমূলক আলোচনার সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত সংক্ষিপ্ত দু’কথা বলার জন্য আজকের এই আয়োজন। প্রশ্ন তুলতে পারি- ‘বর্তমান সময়ের যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর বিকাশে কোন মাধ্যম সবচেয়ে এগিয়ে ও সহজতরো?’

    যোগাযোগ মাধ্যমের ক্রমবিবর্তনের ফলে আধুনিক সভ্যতা ও কম্পিউটার যুগের এ প্রযুক্তির সময়ে বিবর্তনশীল পরিপ্রেক্ষিত (ঊাড়ষঁঃরড়হধৎু ঢ়বৎংঢ়বপঃরাব) ফেসবুক হয়ে উঠেছে শক্তিশালী মাধ্যম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে টুইটার, ইনস্টাগ্রাম। তৃতীয় স্থান ছেপে আছে লিঙ্কইন।

    ফেসবুক মানুষের এতো কাছে এসে পৌঁছেছে যে, প্রতিটি স্মার্টফোনে এই অ্যাপসটি মোবাইল কোম্পানি থেকেই ইন্সটল করা থাকে। যা দেশের জনসাধারণের জন্য হয়ে উঠেছে যোগাযোগ ব্যবস্থার শক্তিমান মাধ্যম। সমাজের কিছু সচেতন নাগরিক টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করছেন। শিক্ষিত বিদগ্ধজনেরা লিঙ্কইন (ষরহশরহ) ব্যবহারে বাংলা ইংরেজি দুই মাধ্যমেই মত প্রকাশ করছেন। যা এখনো জনসাধারণের কাছে এসে পৌঁছাতে সক্ষম হয়নি। ঢালাওভাবে এই ফেসবুক ছাড়া অন্যন্যা অ্যাপস ব্যবহারে সিদ্ধ হতে পারেনি জনগণ।

    প্রথম আলো পত্রিকায় আজকে কোন নিউজগুলো প্রাধান্য পেয়েছে বা শিরোনাম হয়ে এসেছে তা যেমন যুগান্তর পত্রিকা পাঠকের জানার সুযোগ নেই তেমনি চ্যানেল আই (পযধহহবষ-র) দেখা দর্শক জানতে পারেনা বাংলাভিশন টিভিতে (নধহমষধ ারংরড়হ) কি প্রচার হচ্ছে! কিন্তু ফেসবুক এমন একটি সফটওয়্যার বা মাধ্যম যেখানে সকল টিভি চ্যানেল পত্রিকা থেকে শুরু করে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমগুলোকে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পাঠক বা দর্শকের সামনে হাজির করছে। ফেসবুকের সাধারণ পদ্ধতিতে পাঁচ হাজার (৫০০০) ফ্রেন্ড (ভৎরবহফ) সংযুক্ত থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে লাখ লাখ ফ্রেন্ড (ভৎরবহফ) সংযুক্ত হওয়ার পদ্ধতি ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে রয়েছে।

    একটা পত্রিকার সার্কুলেশন সংখ্যা যদি ৫ লাখ হয় তাহলে পাঠক সংখ্যা দ্বীগুণ যোগ করলে ১০ লাখ ধরা যায়। টিভি চ্যানেলের দর্শক সংখ্যা ১০ লাখ ধরলে ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে ফ্রেন্ড সংযুক্তির সংখ্যা ২০ লাখ, ৩০ লাখ। এমনও ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে যেখানে ফ্রেন্ডের সংখ্যা ৫০ লাখ থেকে কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

    পুঁজিবাদী গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় না বা কোনো সুযোগ নেই সেই অনুষঙ্গটিও কোনো সাধারন ফেসবুক ব্যবহারকারীর বদৌলতে খবরের মতো করে পাঠকের সামনে হাজির করে ফেসবুক। এর বাহিরেও যেকোনো খবর, টিকা, উক্তি, ছবি কিবা সাধারণ দৃশ্য, সিনারি, ভালোলাগা মুহূর্তেই দেশে-বিদেশে ভাইরাল হয়ে যায় এ ফেসবুকের কল্যানে। একজন সাধারন পাঠক তার মনের অভিব্যক্তি যেমন করে হাজার হাজার মানুষের সাথে শেয়ার করতে পারেন তেমনি অন্যদের মনের বাসনাগুলো জানতে পারেন। মোটকথা সকল টিভি চ্যানেল, পত্রিকা বা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, সমাজ ও রাষ্ট্রসহ নানা সঙ্গতি-অসঙ্গতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, সাহিত্য, স্বাস্থ্য, বিনোদন, ভালোলাগা-মন্দলাগা, সফলতা, উন্নয়ন, বিজ্ঞান,এমনকি বিজ্ঞাপনসহ আরো নানা ষঙ্গ-অনুষঙ্গগুলোকে একত্র করে পরপর পাঠকের সামনে সাবলীলভাবে উপস্থাপন করার প্রক্রিয়ার নাম ফেসবুক। ফেসবুক প্লাটফর্মে যত সহজে সবকিছু জানা ও জানানো যায় এর চেয়ে সহজ মাধ্যম দ্বিতীয়টি নেই। এর কারণ হলো ফেসবুক প্রতিটি স্মার্টফোনে থাকার সুবাদে একজন নিরক্ষর মানুষও তা চালনায় পারদর্শী হয়ে উঠেন।

    পত্রিকা বা টিভি চ্যানেল দেখার সময় ও সুযোগ দুটোই এখন সাধারণ জনগণের নেই। জনগণ দেশ বিদেশের খবরা-খবরের জন্য ফেসবুকের উপর নির্ভর করছেন। চলার পথে একটু সুযোগ পেলেই ফেসবুকে ঢুঁ মেরে নিজেকে আপডেট রাখতে চান খোদ গণমাধ্যমের মালিক নিজেই। অথচ!

    কোনো ব্যক্তির মনগড়া প্রকাশিত উক্তি ফেসবুককে খাটো করে দেয়া না দেয়ার কোন কারণ নেই। সারা পৃথিবীর মানুষকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসার জন্য এর চেয়ে শক্তিশালী গণমাধ্যম আর কি হতে পারে? তবে এর অপব্যবহার ব্যক্তিকেই দায়ী করে, এর অন্যথা কিছু নয়।

    পুঁজিবাদী গণমাধ্যমব্যবসায়ীদের ব্যবসায় বিরাট ধাক্কা এই ফেসবুক। যে বা যিনি একে গণমাধ্যম বলে ভাবতে পারেন না তিনি নিজেও কয়েক মিনিট পর পর ফেসবুকে উঁকি মারেন। যিনি এর স্বীকৃতি দিতে নারাজ তিনিও তাঁর চ্যানেল বা পত্রিকার খবর ফেসবুকে প্রকাশ করেন। দেশি-বিদেশি এমন কোনো গণমাধ্যম নেই যেটি ফেসবুকে আসে না। শুধুমাত্র পুঁজিবাদী হিসেব কষে গণমাধ্যম মালিকরা একে গণমাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি দিতে নারাজ।

    প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল এই লেখকের সাথে তারই অফিসে একান্ত আলাপচারিতায় বলেন-‘ফেসবুক হলো পৃথিবীর সেরা গণমাধ্যম। শুধুমাত্র একে পুঁজিবাদী গণমাধ্যম ব্যবসায়ীরা মানতে নারাজ। না হয় ফেসবুক চালানোর উপর প্রশিক্ষণ দিতে পারতাম। কারণ প্রতিটি স্মার্টফোনে ছবি এডিট, ভিডিও এডিট করা যায়। লেখাগুলোকে সামঞ্জস্যপূর্ণতার ভেতরে লিখলে, ভাষা ও শব্দ গঠনে চতুর দৃষ্টি রাখলে, অন্ধকার ছবিগুলো ক্লিয়ার করে দিলে, কতো সুন্দর চমৎকার পঠন যোগ্য হয়ে উঠে লেখাটি। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
    তাহলে ফেসবুক যে কত শক্তিশালী তা বোঝার অবকাশ রইল না।

    (২য় পার্ট চলবে)
    লেখকঃ কবি প্রাবন্ধিক কলামিস্ট ও সাংবাদিক।
    সম্পাদকঃ আবীর আকাশ জার্নাল
    বৃহত্তর নোয়াখালী ব্যুরোচীফঃ লন্ডন টাইমস

  • সাভারে হলুদ খামে ম্যানেজ করে ফসলি জমি দখল করে গড়ে উঠেছে ইট ভাটা-ভোরের কণ্ঠ।

    সাভারে হলুদ খামে ম্যানেজ করে ফসলি জমি দখল করে গড়ে উঠেছে ইট ভাটা-ভোরের কণ্ঠ।

    নিয়ম নীতির তুয়াক্কা না করে সাভার আমিন বাজার সালেহপুর ফসলি জমি দখল করে গড়ে উঠেছে হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর মালিক কপিল উদ্দিন সাহেবের অসংখ্য ইটের ভাটা।

    শুক্রবার ( ৯ এপ্রিল ) ভোরের কন্ঠ এর রিপোর্টার এর তথ্যনুসন্ধানে জানা যায় যে- আমিন বাজার সালেহপুর কপিল সাহেবের ১০ – ১২ টি ইট ভাটা আছে। তার কিছু কিছু ভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ এবং গাড়ির টায়ার পুড়ানো হয়। এতে মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে পরিবেশ। তার সাথে আইন অমান্য করে দিনের পর দিন তুরাগ নদীর মাটি কেটে এবং ফসলি জমি কেটে তার ইটের ভাটায় মাটি ব্যবহার করছে।

    তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা যায় যে তার ১০-১২ টি ভাটায় প্রায় ৩০০০ শ্রমিক কাজ করে তার মধ্যে শিশু শ্রমিক আছে ৪০০ জন। এতে নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

    নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক কিছু স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর মালিক কপিল সাহেব এতোগুলি ইটের ভাটায় অর্ধেক ভাটায় কোন লাইসেন্স নেই। যেগুলো লাইসেন্স আছে তার তার অনেকটিতে আবার নবায়ন করে নাই। পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র নাই। ফিক্সড চিমনি ভাটার বৈধতা থাকলে ২০১৩ সালের দিকে এ ভাটা নিষিদ্ধ করা হয়। সে হিসেবে শুধুমাত্র জিকজ্যাক ভাটা বৈধ।

    সাভার আমিন বাজার সালেহপুর হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর মালিক কপিল সাহেব এ ধরনের ভাটা মাত্র ২ টি বাকি ১০ টি ভাটা চলছে অবৈধভাবে।

    জানা যায় যে- বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ ( সংশোধিত ২০১০ ) এবং পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭ এর ধারা অনুযায়ী কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রথমবার সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা, দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে ১ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ও সাজার বিধান রাখা হয়েছে। তৃতীয়বার করলে নিবন্ধন বাতিল ও ভাটা বাজেয়াপ্ত করার ও বিধান রাখা হয়েছে। কাগজে ও কলমে এসব আইনের কঠোর নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ নেই।

    ইট ভাটার জ্বালানি হিসেবে কয়লার পরিবর্তে কাঠ এবং গাড়ির টায়ার পোড়ানোর বিষয়ে তার সাথে শিশু শ্রমিক নিয়োগে হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর মালিক কপিল সাহেবের ভাটার ম্যানেজার মিঠু আহমেদ এর থেকে তথ্য জানতে চাইলে প্রথমে তিনি ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে দ্বিদ্বাবোধ করেন, এক পর্যায়ে ক্যামেরা বন্ধ রেখে মুখ খুলতে রাজি হয়।

    কপিল সাহেবের ম্যনেজার মিঠু আহমেদ বলেন যে, চাহিদার তুলনায় কয়লার সরবরাহ কম। সে সঙ্গে দাম ও বেশি তাই কয়লা দিয়ে ইট পুড়িয়ে লাভবান হওয়া যায় না।

    সরকার যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লা আমদানির ব্যবস্থা ও দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে পারে, তবে আমাদের ভাটায় কাঠ এবং গাড়ির টায়ার পোড়ানো বন্ধ করা যাবে। তার সাথে শিশু শ্রমিক নিয়োগের ব্যাপারে বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিককে প্রতিদিন দিতে হয় ৪৫০-৫০০ টাকা আর একজন শিশু শ্রমিককে ১০০-১৫০ টাকা দিলে হয়ে যায়।

    তিনি আরো বলেন,প্রাপ্ত শ্রমিক দিয়ে যে কাজ হয়, একজন শিশু শ্রমিক দিয়ে ও তার দ্বিগুণ করা যায় এবং আমাদের টাকা ও বেশ হয়। এ আর কি। শিশু শ্রমিক নিয়োগের ব্যাপারে কপিল সাহেব জানে কিনা জানতে চাইলে, মিঠু আহমেদ বলেন – ভাটা তার তিনি তো অবশ্যই জানেন, ম্যানেজার মিঠু আহমেদ সাংবাদিকদের আরো বলেন – আপনারা এতো কিছু জেনে লাভ হবে না কারণ আমাদের এম ডি কপিল সাহেব প্রতি মাসে স্থানীয় প্রশাসনকে একটি করে হলুদ খাম দিয়ে ম্যানেজ করে আসছে। কি সে হলুদ খাম-এই তথ্য বাহির করার জন্য জেলার প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আর্কষণ করছি।

  • লক্ষীপুরের রায়পুরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ-ভোরের কণ্ঠ।

    লক্ষীপুরের রায়পুরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ-ভোরের কণ্ঠ।

    লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুল চিকিৎসায় রিপা আক্তার (৩০)নামে এক প্রসূতির মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে এঘটনা ঘটে।ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মৃত ওই প্রসূতির স্বজনদের মাঝে দোষীদের বিচারের দাবিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার একপর্যায়ে এ খবর দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা খবর পেয়ে ছুটে যান হাসাপাতালে।সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসক আত্নগোপনে চলে যায়।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,মৃত ওই প্রসূতি উপজেলার সোনাপুর ইউপির চরবগা গ্রামের ব্যবসায়ী ফারুক হোসেনের স্ত্রী রিপা আক্তার(৩০)।

    গত বুধবার (৭এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে প্রসব ব্যাথা উঠলে হাসপাতালের নার্স ইয়াসমিনের করা হলুদ কার্ডের মাধ্যমে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় রিপা।পরে দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে ডাঃ শামিমা ও নার্স  আরজু মিলে অপারেশন (সিজার) করে রিপার।অপারেশনে (সিজার) ওই রিপার ছেলে হয়।পরদিন অপারেশনের জায়গায় প্রচন্ড ব্যাথা উঠলে কর্তব্যরত নার্স স্যালাইন দেন।এতে হাসপাতালের প্লোরে লুটিয় পড়ে ওই প্রসূতি।লুটিয়ে পড়ার কয়ক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে মারা যান ওই প্রসূতি।

    সৌদি প্রবাস ফেরত ব্যাবসায়ী ওই প্রসূতির স্বামী ফারুক হোসেন জানান,বুধবার এক স্বজন এক ব্যাগ রক্ত দেওয়ায় সারাদিন ভালো ছিলো আমার স্ত্রী।বৃহস্পতিবার সকালে ডাক্তার না এসে নার্সকে দিয়ে স্যালাইন দেয়ার সাথে সাথে মাঠিতে লুটে পড়ে আমার স্ত্রী মারা যান।এব্যাপারে কাউকে না জানানোর জন্যে অনুরোধ করেন হাসপাতালের ডাক্তারা। আমি দোষীদের বিচার চাই।

    এব্যাপারে মৃতের স্বজনদের দাবি,ভুল চিকিৎসায় রিপার মৃত্যু হয়।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন হাসাপাতাল কতৃপক্ষ।

    হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শামিমা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, প্রসুতি কীভাবে মারা গেলে কিছুই বুঝতে পারছি না। সেজন্যে আর খোঁজ-খবর নেয়া হয়নি। যিনি ওই প্রসুতিকে দুই বাচ্চা থাকার পরও তৃতীয় বাচ্চা হওয়ার সময়ে সরকারি হলুদ কার্ড দিয়েছেন, তিনি অন্যায় করেছেন।

    রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার জাকির হোসেন ভুল চিকিৎসার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘রোগীর হার্ট এটাক হওয়ায় সে মারা গেছেন। ওই ডাক্তারের কোনো অবহেলা ছিল না।

    রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল জানান,হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    উল্লেখ্য, অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে হাসাপাতাল কতৃপক্ষের কাছে ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা পায়নি।বরাবরই দায়সারাভাবে এরিয়ে যান হাসপাতাল কতৃপক্ষ।

     

  • কলাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে মাস্ক বিতরণ-ভোরের কণ্ঠ।

    কলাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে মাস্ক বিতরণ-ভোরের কণ্ঠ।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে পৌরশহরের ফলপট্টি এলাকায় কভিড-১৯ করোনাভাইরাস এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৯ এপ্রিল সকাল ১১ ঘটিকায় মাক্স বিতরণ করা হয়।

    ওই মাক্স বিতরণী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব তালুকদার।


    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, সহ-সভাপতি সৈয়দ নাসির উদ্দিন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বাবু বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফিরোজ সিকদার ও এডভোকেট সাইদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইয়ামিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বিশ্বাসসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

    ওই সময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ মাক্স বিতরণ কালে সর্বস্তরের জনসাধারণকে কভিড-১৯ করোনাভাইরাস এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা হিসেবে সামাজিক দূরত্ব বজায় ও মাক্স পরিধান করে চলাচল করতে বলা হয় এবং সাবান পানি দিয়ে বারবার হাত ধৌত করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

     

  • তাড়াশ হাসপাতাল নতুন আঙ্গিকে সাজানোর উদ্যোগ নতুন আরএমও’র-ভোরের কণ্ঠ।

    তাড়াশ হাসপাতাল নতুন আঙ্গিকে সাজানোর উদ্যোগ নতুন আরএমও’র-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নতুন ভাবে নতুন আঙ্গিকে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন নব যোগদানকৃত আরএমও ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম সোহেল। ৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার হাসপাতাল চলাকালীন সময়ে এমন উদ্যোগ চোখে পরে।

    জানা যায় নব যোগদানকৃত আরএমও ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম সোহেল যোগদান করার পর থেকেই করোনা ভাইরাস “কোভিট ১৯” প্রতিরোধে নিজের উদ্যোগে হাসপাতাল পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, হাসপাতালের প্রত্যেক রুমের অচল ফ্যান লাইট সচল,টয়লেটের অকেজ জিনিসপত্র ঠিক ঠাক,আবাসিক রোগীদের আসবাবপত্র মেরামত, হাসপাতালের রংয়ের কাজ ও অচল এ্যাম্বুলেন্স সচল করছেন। এছাড়াও তিনি হাসপাতালের ডাক্তার,নার্সসহ সকল কর্মচারীদের নিয়মনীতি মেনে মানুষের সেবা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

    তাড়াশ হাসপাতালে নব যোগদানকৃত আরএমও ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম সোহেল বলেন,বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত হয়েছে ।সেই দিক থেকেই হাসপাতালের সর্ব দিক দিয়ে  মানুষের সেবা উন্নত হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রীর স্বপ্ন গোড়া সোনার বাংলা গড়তে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

  • শর্শায় ভূমিদস্যু আশা বাহিনীর হাতে সাংবাদিক লাঞ্চিত ক্যামেরা ছিনতাই-ভোরের কণ্ঠ।

    শর্শায় ভূমিদস্যু আশা বাহিনীর হাতে সাংবাদিক লাঞ্চিত ক্যামেরা ছিনতাই-ভোরের কণ্ঠ।

    শার্শা উপজেলার বাহাদুরপুর ধান্যখোলা গ্রামের মেন্দের টেক বাওর সংলগ্ন কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে বোয়ালিয়া বাজারে অবস্থিত অর্নব ব্রিক্সে বিক্রি করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থানে সাংবাদিকরা মাটি উত্তোলনের ছবি ও ভিডিও করলে তাদের নিকট থেকে মোবাইল ও ক্যামেরা কেড়ে নেন ভূমি দস্যু ও ধান্যখোলা এলাকার ত্রাস আশা বাহিনীর সদস্যরা।

    বৃহস্পতিবার (০৮ই এপ্রিল)সন্ধ্যা সময় শার্শা উপজেলার বাহাদুরপুর বাওর সংলগ্ন মেন্দের টেকের পাশে এ ঘটনা ঘটে। দৈনিক সকালের সময় শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি সুমন হোসেইন জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৮ টার দিকে সংবাদ সংগ্রহের জন্য বাহাদুরপুর বাওর সংলগ্ন মেন্দের টেকের পাশ থেকে কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ৩ জন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি উত্তোলনের ছবি তুলি! এবং মাটিবাহী ট্রাক্টর চালকের নিকট জিজ্ঞেসা করি কে বা কারা মাটি উত্তোলন করছেন এ সময় দুর হতে খালি গায়ে ৩ জন আমাদের কাছে এসে বলে “ছবি তুললি কেন তোর কে ছবি তোলার অনুমতি দিছে” বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং মোবাইল ক্যামেরা আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে বলে আমার এলাকায় তোদের ঢোকার পারমিশন কে দিয়েছে। তোদের মত সাংবাদিকদের মাটিতে পুতে রাখবো তাহাতে কোন খবর হবে না এসব বলে আমাদের সাথে থাকা ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেন আশা ও তার সন্ত্রাশী বাহিনীর সদস্য বাবলু,সুমন, সহ অরোও ৮/১২জন।

    তারপর তারা আমাদেরকে শারিরিক ভাবে নির্যাতনও করে এবং ধারণকৃত ভিডিও মুছে ফেলার জন্য সাথে থাকা ক্যামেরা ও স্টান্ড অস্ত্রের মুখে ছিনতাই করে নিয়ে যান এবং তার বডিগার্ড দিয়ে আমাদেরকে তাদের এলাকা থেকে বাহির করে দেওয়া হয়। এ সময় তারা আরো বলে বেনাপোল থানায় তোদের কোন বাবা আছে তাদেরকে বল গিয়ে আমরা সাংবাদিক মহল ভূমিদস্যুর কাছ থেকে কৃষকের মুক্তির দাবি করছি।
    মোবাইল ০১৩০৭২০৭৮১৭

  • সাভারে মহাসড়ক অবরোধ করে বকেয়া বেতনের দাবিতে পথে নেমেছে পোশাক শ্রমিক-ভোরের কণ্ঠ।

    সাভারে মহাসড়ক অবরোধ করে বকেয়া বেতনের দাবিতে পথে নেমেছে পোশাক শ্রমিক-ভোরের কণ্ঠ।

    সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড় অবরোধ করে বকেয়া বেতনের দাবিতে ভার্সেটাইল অ্যাটেয়ার নামে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক বিক্ষোভ করেছেন।

    বৃহস্পতিবার ( ৮ এপ্রিল ) বিকেল ৪ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ মিছিলটি হয়। কারখানা ছুটির পর দুই মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে সাভার রাজ- ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায়।ঢাকা – আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।

    শ্রমিকরা জানান – ভার্সেটাইল অ্যাটেয়ার পোশাক কারখানায় প্রায় আড়াই শতাধিক পোশাক শ্রমিক কাজ করেন। এদের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বকেয়া বেতন রয়েছে। এর আগে বেতনের দাবি তুলে গত ৩১ মার্চ শ্রমিক অসন্তোষ শুরু হয় কারখানায়। সেই দিন শিল্প পুলিশ কার্যালয়ে কারখানার মালিক, শ্রমিক ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত হয় ৮ এপ্রিল বেতন না দিয়ে নানা টালবাহানা করলে রাস্তায় নামেন শ্রমিকরা।

    এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বলেন, লকডাউনের সময় কোন দোকানপাটে বাকি দেয় না। আর আমরা দুই মাস ধরে বেতন পাই না। আমাদের হাতে কোনো টাকা নেই। ঠিকঠাক বাজার করে খাইতে পারছি না। আমরা যখন কষ্ট সহ্য করতে পারি না- তখন রাস্তায় নামি।

    তারা আরো বলেন, আমরা সারা মাস কাজ করি- মাস শেষে বেতনের আশায়। কিন্তু মাস শেষে বেতন দেয়া নিয়ে মালিকরা টানবাহানা শুরু করেন। বাচ্চার দুধ কেনার টাকাও পাই না আমরা। আজকের মধ্যে বেতন পরিশোধ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

    এ ব্যাপারে কারখানা কতৃপক্ষের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

    সাভার মডেল থানার পরিদর্শক ( তদন্ত ) সাইফুল ইসলাম জানান – খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

  • নাভারণ ফ্রী খাবার বাড়ির এই বাড়িটির প্রকৃত মালিক কে?-ভোরের কণ্ঠ।

    নাভারণ ফ্রী খাবার বাড়ির এই বাড়িটির প্রকৃত মালিক কে?-ভোরের কণ্ঠ।

    উদ্ভাবক মিজানুর রহমান মিজান সম্পর্কে আপনারা জেনেছেন নানা তথ্য। মিজানের মানব সেবার সব থেকে বড় অস্ত্র ফ্রী খাবার বাড়ি। যার স্লোগান ক্ষুধা লাগলে খেয়ে যান। আজ এই খাবার বাড়ি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য থাকছে এবারের প্রতিবেদনে।

    মোঃ বাদল হোসেন, বাদল নার্সারির স্বাতাধিকারী এবং তিনি ১৯৯৪ সালের জানুয়ারীর ১ তারিখে থেকে বুরুজবাগান পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরীর চাকুরী করেন। তখন থেকেই তিনি স্কুলের পাশে ছোট একটা চালা করে গরীব দুঃখী মানুষদের খাবার খাইয়ে আসছেন আজ অবদি। তবে গত এক বছর যাবৎ মিজান তার এই খাবার বাড়ির সাথে যুক্ত হয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে দাবী করেন।

    গত শুক্রবার তদন্তের সার্থে নাভারণ ফ্রী খাবার বাড়ি গেলে দেখা যায় বাদল হোসেন খাবার খেতে আসা মানুষদের খাওয়াচ্ছেন। তাকে জিঙ্গাস করি আজ কত জনের রান্না হলো তিনি বলেন, ৮কেজি চাল রান্না করেছি ৮০-৯০ জন লোক খাবে। খিচুড়ি রান্না হয়েছে যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ লোক খাবে।

    এর কিছু সময় পর সেখানে হাজির হন মিজানুর রহমান, তার কাছে খাবার বাড়ি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি খাবার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা এবং বাদল ভাই পরিচালক। আজ কতটুক খাবার রান্না হয়ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজ ২০০জন লোকের খাবার রান্না হয়ছে, অলরেডি প্রায় ১০০ লোকের খাওয়া হয়ে গেছে। তাতে বোঝা গেল লোক বাড়িয়ে মানুষের মাঝে প্রকাশ করা তার একটা ব্যাবসা।

    এ বিষয়ে বাদল হোসেনের সাথে কথা বললে, তিনি বলেন আমি ২৭ বছর যাবৎ নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ৪-৫ জন আাবার মাঝেমাঝে ১০-২০জন মানুষকে আমি প্রতিনিয়ত খাবার খাইয়ে আসছি। কখনো কারো কাছে প্রকাশ করিনি কারণ দান করার নিয়ম হচ্ছে এক হাতে দান করলে অন্য হাত যেন না জানে। আমার এই ফ্রী খাবার দেওয়া দেখে মিজান ভাই বলে আমিওতো খাবার খাওয়ায় মানুষকে তা, চলেন আমরা এক সাথে কাজ করি। তারপর সে নিজে ব্যানার ট্যানার বানিয়ে বহু সাংবাদিক এনে এলাহি কান্ড শুরু করে দেছে যা আমার মোটেও পছন্দ না।

    তার কথা কাজে কোন মিল পায়না। তাকে বহুবার বলেছি খাবার বাড়ির একটা কমিটি তৈরি করতে কিন্তু তিনি করোর কথার দাম দেননা, বলেন আমার কারো হিসাব দেওয়ার সময় নেই। ফ্রী খাবার বাড়ির জন্য নানা জায়গা থেকে টাকা আসে কিন্তু তিনি আমাকে কিছু বলেন না বরং ফোনে কারো সাথে টাকার কথা হলে উনি অন্য দিকে চলে যান।

    সপ্তাহে এই খাবার বাড়ির জন্য তিনি আমাকে ১৪০০ টাকা করে দেন আর চাউল তো বহু মানুষ দেয়, চাউলের কোন অভাব নেই। এই খাবার বাড়ির নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আসে কিন্তু এই বাটপার তা কি কাজে ব্যবহার করে তার কিছুই আমাকে বলে না। সে একবার মানুষকে খায়য়ে ছবি ছাড়ে তিনবার। যেটা আমার মোটেও পছন্দ না। তবে আমি চাই আমার ২৭ বছরের সাধোনার ফ্রী খাবার বাড়ি যেন বন্ধ না হয়। পারলে আপনারা সবাই মিলে একটা কমিটি করে দিয়ে এটা চলার ব্যবস্থা করে দিয়েন।

    মিজান সম্পর্কে শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সিরাজুল হক মঞ্জুর কাছে জিঙ্গেস করলে বলেন, আমিও তার সম্পর্কে নানা অভিযোগ পাচ্ছি। শুনছি তার চিটারি বাটপারির কথা। তবে আমি আর কি পদক্ষেপ নেব, প্রশাসন আছে তারায় ব্যবস্থা নেবে অভিযোগ পেলে।

    খাবার বাড়ী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকবে আগামী পর্বে।

  • যে জাতি রক্তের দিয়ে দেশ স্বাধীন করতে পারে করোনা মোকাবেলা তাদের কঠিন কাজ নয়- ফিজার এমপি।

    যে জাতি রক্তের দিয়ে দেশ স্বাধীন করতে পারে করোনা মোকাবেলা তাদের কঠিন কাজ নয়- ফিজার এমপি।

    যে জাতি ৩০ লক্ষ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করতে পারে,করোনা মোকাবেলা করা তাদের কঠিন কাজ নয়। আমি মনে করি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের সকল ম্রেণী পেশার মানুষ যদি নিজি নিজ গন্ডির মধ্যে থেকে এগিয়ে আসে তাহলে আমরা সফল হবোই।

    বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়ে কোভিট -১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয় শির্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাড: মো: মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি।

    তিনি বলেন,আপনারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের প্রধানগণ তাদের নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় করে কাজ করুন। বাজার থেকে কেনা সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যাবহার না করে, কাপড় দিয়ে মাস্ক তৈরী করে নিজেরাও ব্যাবহার করুন অন্যদেরও পরতে উদ্বুদ্ধ করুন। এতে একদিকে সাশ্রয় হবে,অন্যদিকে নিরাপদ থাকবেন। কারন সার্জিক্যাল মাস্ক ওয়ানটাইম এটি একদিনের বেশি পরা যায় না। এভাবে আমরা আমাদের এলাকার মানুষকে শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে পারবো বলে আমি মনে করি, যা সারা দেশে দৃষ্টান্ত হবে। করোনা মোকাবেলা বর্তমানে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। সে জন্য তিনি সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহব্বান জানান।

    সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রিয়াজ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো: আতাউর রহমান মিল্টন,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: মশিউর রহমান,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরী,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা: নিরু সামছুন্নাহার,প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: হাছিনা ভূইয়া,মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: সমশের আলী মন্ডল,থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি ফখরুল ইসলামসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং সাংবাদিক বৃন্দ।