Author: admin
-
শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার ৩১ মার্চ পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে শ্রীমঙ্গল হবিগঞ্জ রোডস্থ শাদি মহল কমিউনিটি সেন্টারে এ দোয়া ও ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়।এ সময় শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ঝলক কান্তি চক্রবর্তী’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আখতার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সামছুল আলম এর যৌথ সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ মুহিবুল হাসান, শ্রীমঙ্গল দ্বারিকা পাল মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক, শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দীলিপ কুমার বর্ধন, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ শ্রীমঙ্গল পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক এবি এম সামছুদ্দোহা খান আবু বক্কর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল হক, কাকিয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নোমান আহমেদ সিদ্দিকী, বেগম রাছুলজান আব্দুল বারী উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বিমান বর্ধন, দৈনিক জানসংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা মোঃ জালাল উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা শাখার সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহর তরফদার-সহ শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন প্রমুখ।এছাড়াও শ্রীমঙ্গল উপজেলা সকল সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক-সহ সকল বিভাগের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীব, ব্যবসায়ী, এবং সকল প্রেশার মানুষ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রমুখ। ইফতারের আগে দেশ ও সকল শিক্ষকদের সার্বিক কল্যাণ ও বিশ্ব মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করেন উক্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আখতার হোসেন।এ সময় উক্ত সংগঠনের সভাপতি ঝলক কান্তি চক্রবর্তী বলেন, আমরা এই রমজানে সবাই সবার জন্যে দোয়া করব। আমরা সকল হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে এক হয়ে কাজ করব। তাহলেই আমরা আমাদের কাজ দ্বারা দেশ ও জাতির কল্যাণ করতে পারব। -
শ্রীমঙ্গলে সেন্ট জোসেফ গীর্জায় অনুষ্ঠিত হলো ইষ্টার সানডে উৎসব।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃখ্রীষ্ট পুনরুত্থিত হয়েছে আল্লেলুইয়া”এই বাক্যকে ভিক্তি করে খ্রিষ্টান ধর্মাম্বলীরা গভীর উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে,ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপন করলো অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে পর্ব।রবিবার (৩১মার্চ )বেলা সাড়ে ১১টায় শ্রীমঙ্গল সদর উপজেলা অধীনে সেন্ট যোসেফ গীর্জায় উদযাপন হলো ইষ্টার সানডে উৎসব। সেন্ট জোসেফ গীর্জার সহকারী যাজক ফাদার রবার্ট নকরেক সিএসসি এর নেতৃত্বে একযাক তরুণ- তরুণী গানের দল সমকন্ঠে পরিবেশন করেন গান ও শোভাযাত্রা তারই মধ্যদিয়ে আরম্ভ হলো পর্বের মূল ধর্মীয় খ্রিষ্টযাগ।
আর এই খ্রিস্টযাগ অনুষ্ঠিত মধ্যদিয়ে শুরু হয় ইস্টার পর্বের মূলপর্ব।এই ইস্টার পর্বে উপস্থিত থেকে খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন সিলেট খ্রিষ্টান ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশের বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ, খ্রিষ্টযাগে উপস্থিত থেকে সহযোগীতা করেন শ্রীমঙ্গল সেন্ট জোসেফ ক্যাথলিক চার্চ এর পালপুরোহিত ফাদার ড.জেমস শ্যামল গমেজ সিএসসি, মৌলভীবাজার গিয়াসনগর মাইনর সেমিনারী রেক্টর ফাদার ফ্রান্সিসকো,আধ্যাত্মিক পরিচালক ফাদার জোসেফ তপ্ন, নটরডেম স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রপরিচালক ফাদার মৃণাল ম্রং সিএসসি ,নটরডেম স্কুল এন্ড কলেজের ফাদার বিকাশ কুজুর সিএসসি, হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জ সাব-প্যারিসের পরিচালক ফাদার কল্লোল, বিশপ হাউজ থেকে ফাদার লিংকন হাজং’সহ ঢাকা থেকে আগত ফাদার, ব্রাদার,সিস্টারসহ দু’হাজার অধিক ধর্মীয় বিশ্বাসী খ্রিস্টভক্ত।খ্রিস্টযাগে বিশপ বলেন, আজ হলো আনন্দ দিন কারণ খ্রিষ্ট পুনরুত্থান করেছেন, খ্রিস্ট পুনরুত্থান শুধু নির্দিষ্ট একটি ঐতিহাসিক সময়ে সীমাবদ্ধ রইনি।আমরা আজ আনন্দিত শুধু খ্রিষ্ট মৃত্যু থেকে জীবিত থাকতে নয়,বরং প্রভু পুনরুত্থান আমাদের জীবনে প্রতিদিন ঘটছে। যতবার আমরা পাপের জীবনে থাকি ততবারই আমাদের মৃত্যু ঘটে।পাপ থেকে মন পরিবর্তন করলে যীশু খ্রিষ্টের জীবনে আমরা সকলে প্রবেশ করি।খ্রিষ্টের ভালবাসায় আমরা জীবিত হয়ে উঠি। খ্রিষ্ট পুনরুত্থান মাধ্যমে আমরা পাপের ক্ষমা লাভ করেছি,প্রভু যীশু খ্রিষ্ট পুনরুত্থান করেছে বলে আমরা পুনরুত্থিত হয়ে আমাদের জীবনে বিশ্বাসে নতুন সুচনা হয়েছে।সেন্ট যোসেফ গীর্জা’র পালপুরোহিত ফাদার ড.জেমস শ্যামল গমেজ সিএসসি বলেন দীর্ঘ চল্লিশ দিন উপবাস, ত্যাগস্বীকার, দয়াদানের মধ্যদিয়ে খ্রীষ্টভক্তরা তপস্যাকাল পালন করে আজ ইষ্টার সানডে পর্ব উদযাপন করেছেন। কয়েক দিন থেকে বৈরী আবহাওয়া ফলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে এ জেলায়।পুনরুত্থিত খ্রীষ্টের কৃপায় সুন্দর ভাবে আমরা এই স্হানে(সেন্ট যোসেফ গীর্জায়) ইস্টার সানডে পর্ব পালন করতে পেরে মহান ঈশ্বরকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ।আরও জানা যায় যে, সিলেট ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশ অধীনে চারটি জেলা নিয়ে গঠিত। আর এ চারটি জেলা অধীনে বিভিন্ন জেলা- উপজেলায় রয়েছে মিশনের গীর্জাগুলো এবং প্রত্যেক গীর্জা উপাসনালয়ে আজ উদযাপন হচ্ছে মৃত্যুঞ্জয়ী যীশু খ্রিষ্টের পুনরুত্থান ইস্টার পর্ব।তবে এই সেন্ট যোসেফ গীর্জা শ্রীমঙ্গলে সিলেট ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল বিশপ উপস্থিত থেকে বৃহত্তর আকারে ইস্টার পর্ব পালন করা হয়েছে। -
মাধবপুরে গরু সহ চোর গ্রেফতার: জব্দ সিএনজি।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃহবিগঞ্জের মাধবপুরে চোরাই গরুসহ এক গরু চোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (৩১ মার্চ) মাধবপুর থানার পুলিশ ধৃত গরু চোরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। এর আগে শনিবার রাত সাড়ে তিন টার দিকে মাধবপুর থানার এস আই মোঃ মনিরুজ্জামান এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি অভিযানিক দল উপজেলার হরিতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দুটি চোরাই গরু সহ মো: রুমান মিয়া (৪৫) নামের এক গরু চোরকে গ্রেফতার করে। সে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার শানখোলা ইউনিয়নের কালিমনগর গুচ্ছ গ্রামের মৃত তাহের মিয়া’র পুত্র। এসময় গরু পাচার কাজে ব্যাবহৃত একটি সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করে পুলিশ। এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাকিবুল ইসলাম খাঁন সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। -
অসহায় রিক্সা চালকের মুখে হাসি ফোটালেন সেলিম মুন্সী।
রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃমানবতামূলক, সামাজিক সহ নানান ভালো কাজ করে প্রশাংসায় ভাবছেন গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সী ও তার পরিবার। আজ আরও একটি ভালো কাজ করে এক অসহায় রিক্সা চালকের মুখে হাসি ফোটালেন মোস্তফা মুন্সীর সন্তান মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর পরিচালক মো. সেলিম মুন্সী।জানা যায়, গোয়ালন্দ পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি মো. জয়নাল প্রামানিক (৭৫) এর। তিনি আজ ৪৭ বছর যাবত পায়ে চালিত রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি কয়েক বছর যাবত একটি জরাজীর্ণ (ভাঙা চোরা) পায়ে চালিত রিক্সা চালান। এতে করে তেমন কোন যাত্রীরা তার রিক্সায় উঠতে চান না। বিষয়টি গোয়ালন্দ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রাতুল আহম্মেদ সজলের নজরে আসলে সেলিম মুন্সীকে রিক্সা চালকের একটি ভিডিও ফুটেজ দেখালে তিনি অসহায় সেই বৃদ্ধ চালককে নতুন ব্যাটারী চালিত রিক্সা কিনে দেবার আশ্বাস দেন। কিন্তু রিক্সা চালক জয়নাল প্রামানিক তার পুরাতন জরাজীর্ণ রিক্সাটিই মেরামত করে দিতে সেলিম মুন্সীকে অনুরোধ করেন।রবিবার (৩১ মার্চ) দুুপুর ২টার দিকে মেরামতকৃত রিক্সাটি হাতে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন জয়নাল প্রামানিক। তিনি বলেন, আমি ৪৭ বছর যাবত পায়ে চালিত রিক্সা চালিয়ে পরিবারে ৪জন সদস্য নিয়ে বেঁচে আছি। আজ আমার ভাঙ্গা চোরা রিক্সা থেকে নতুনের মতো একটি রিক্সা পেয়ে অনেক আনন্দিত। আমি সেলিম মুন্সীর জন্য সবসময় সময় দোয়া করি, তিনি যেন সারাজীবন অসহায় মানুষের সেবা করে যেতে পারে। ব্যাটারী চালিত রিক্সা কেনো নেননি এমন প্রশ্নের জবাবে জয়নাল প্রমানিক বলেন, আমি ব্যাটারী চালিত রিক্সা চালাতে পারিনা। আমাকে তিনি বেশ কয়েকবার বলেছে মোটরচালিত রিক্সা নিতে। কিন্তু আমি যতদিন বেঁচে যাবো পায়ে চালিত রিক্সা চালিয়েই বেঁচে যাবো।সেলিম মুন্সী বলেন, আমরা সবাই মানুষ। আমি চাই আল্লাহ পাক সবাই কে ভালো রাখুক। আজ জয়নাল প্রামানিকের রিক্সাটি মেরামত করে দিতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত। আল্লাহ্ যেন আমাকে সবসময় অসহায়দের পাশে থেকে সেবা করার সুযোগ দেন। -
রামপালে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দিনদুপুরে ইজিবাইক ছিনতাই।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃবাগেরহাটের রামপালে দিনদুপুরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।রবিবার(৩১ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ভট্টবালিয়াঘাটা ব্রিজ এলাকা থেকে উজলকুড় গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে মোঃ ইকবালের ইজিবাইক ছিনতাই করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে একটি চোর চক্র।ইজিবাইক চালক ইকবাল জানান, ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি মোড় থেকে সোনাতুনিয়া যাওয়ার কথা বলে যাত্রী হয় একজন। তাকে নিয়ে ইকবাল সোনাতুনিয়া উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ইজিবাইক নিয়ে ভট্টবালিয়াঘাটা ব্রিজের কাছে আসলে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেট কার থেকে তিন চার জন লোক নেমে তার গতিরোধ করে। এসময় তারা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয় ব্যবহার করে বলে তার গাড়ির ভেতরের যাত্রী ইয়াবা ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত এবং ইকবালও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত আছে। এরকম ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে তাদের প্রাইভেটকারে তুলে নেয়। চক্রের আরেক সদস্য ইজিবাইক থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সে হারিয়ে যায়। ইকবাল আরো জানান, গাড়ির মধ্যে ছিনতাইকারিরা তাকে অনেক ভঁয়-ভীতি দেখায় এবং তাকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে রামপালের বেলাই ব্রিজ এলাকায় ইকবালকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাসের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা জানতে পেরেছি ভট্টবালিয়াঘাটা ব্রিজ এলাকা থেকে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। -
গোয়ালন্দের উজানচরে অবৈধ বালু উত্তোলনের যন্ত্রাংশ ধ্বংস করলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ফৈইজদ্দিন মাতব্বর পাড়া এলাকার মরা পদ্মা নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ২টি ড্রেজার মেশিন ও ২০টি পাইপ ধ্বংস করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র এ অভিযান পরিচালনা করেন।
জানা যায়, উপজেলার উজানচরের ফৈইজদ্দিন মাতব্বর পাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছিল প্রভাবশালী একটি চক্র। উত্তোলিত বালু বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছিল মোটা অঙ্কের টাকা। তবে উপজেলার পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া ক্যানালঘাট, ছোট ভাকলার পিয়ার আলীর মোড়, উজানচরের নলিয়াপাড়া, নতুনব্রিজ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সরকারি কাজের দোহাই দিয়ে বালু, মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করতো তারা।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার দিয়ে গভীর খনন করে বালু তোলায় নদীর দুপাশে থাকা ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা, গাছপালা ও ফসলি জমি ধ্বংস হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (৩১ মার্চ) বিকালে অবৈধ বালু উত্তোলন বিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ২টি স্যালো ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি ড্রেজার মেশিন ও ২০টি পাইপ ধ্বংস করে প্রশাসন। তবে আগেই খবর পেয়ে বালু উত্তোলনে জড়িতরা সবাই পালিয়ে যায়।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, উপজেলার কোথাও কোন প্রকার অবৈধ ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে পারবে না। অবৈধভাবে নদী থেকে বালু-মাটি উত্তোলন বন্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, হয় আমি এ উপজেলায় থাকবো না হয় মাটি, বালু খেকোরা থাকবে ও এ কাজে যে বা যারা জড়িতে আছে তাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।
-
কানাইঘাটে করাতকলে আগুন ও ভারতীয় চিনি ভর্তি পিক-আপসহ দুই ব্যবসায়ী আটক।
কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ
সিলেটের কানাইঘাটের সুরইঘাটে ভারতীয় চিনি আটক নিয়ে সুরইঘাট বাজারের পাশে অবস্থিত একটি করাতকলে গত বৃহস্পতিবার ৭টার দিকে চোরাকারবারীরা পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় কানাইঘাট সদর ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি নিজ চাউরা উত্তর (বড়কান্দি) গ্রামের মৃত মুবশ্বির আলীর পুত্র করাতকলের মালিক তাজ উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় চোরাকারবারী ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।অপরদিকে কানাইঘাট থানা পুলিশের এক প্রেসনোটে বলা হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে থানা পুলিশ সদর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিনের বাড়ির সামনে রাস্তার উপর থেকে ভারত থেকে অবৈধভাবে নিয়ে আসা ২৫ বস্তা চিনি সহ একটি পিকআপ গাড়ী আটক করা হয়। এ ঘটনায় পিকআপ গাড়ীতে থাকা নাজিম উদ্দিন, রামিম আহমেদ সহ গাড়ীর চালক পুলিশের উপস্থিতি টের পেরে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে থানার এস.আই
দেবাশীষ সূত্রধর চিনি ও গাড়ী জব্দ করে থানায় নিয়ে আসার পর বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাজিম উদ্দিন ও রাহিম আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ।থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানিয়েছেন, ভারতীয় চিনি ও পিকআপ আটকের মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। করাতকলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
আগুনে পুড়িয়ে দেয়া ক্ষতিগ্রস্ত করাতকলের মালিক তাজ উদ্দিন সহ তার পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের বাড়ির পাশ থেকে সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা চোরাকারবারী নাজিম উদ্দিন ও তার ভাই রামিম আহমদের ভারতীয় চিনি বোঝাই পিকআপ গাড়ী আটক করে। ভারতীয় চিনি বিজিবিথ সদস্যরা কর্তৃক আটকের সহযোগিতা করার অভিযোগ এনে চোরাকারবারী নাজিম উদ্দিন ও তার সংঘবদ্ধ
চোরকারবারী চক্রের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে রাত ৭টার দিকে সুরইঘাট বাজারে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাজারের পাশে অবস্থিত তাজ উদ্দিনের মালিকানাধীন তাজ করাতকলে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে করাতকল পুড়ে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়। খবর পেয়ে
কানাইঘাট ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে করাতকলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। করাতকলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এদিকে চিনি আটকের ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার রাতে কানাইঘাট উত্তর বাজারে তাজ উদ্দিনের ভাতিজাদের সাথে চোরাকারবারীদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। থানা পুলিশ তাজ উদ্দনের দুই ভাতিজা সহ ৪ জনকে আটক করলেও পরবর্তীতে দুথজনকে ছেড়ে দেয়।তাজ উদ্দিন বলেন তার অভিযোগের সাক্ষী হওয়ার অভিযোগ তুলে আলতাফ হোসেন নামে একজনকে গতকাল শুক্রবার সুরইঘাট বাজারে তার অভিযোগের বিবাদী চোরাকারবারীরা ধরে মারধর করে।
-
ঠাকুরগাঁওয়ে ইসলামিক অলিম্পিয়াডের বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ে শুরু হওয়া ইসলামিক অলিম্পিয়ার্ডের তিনদিনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়েছে। শুদ্ধ উচ্চারণ ও মনমুগ্ধকর কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীতে উৎসাহ বৃদ্ধি ও ইসলামি জ্ঞানার্জন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এমন আয়োজন করা হয়।শনিবার দিনব্যাপী গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হওয়ার পরে বিকেলে এক আলোচনা সভা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁও ৫০ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) বাংলাদেশের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফেজ রশিদ আলম,কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মাওলানা খলিলুর রহমান, ঠাকুরগাঁও কমিউনিটি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক এবং ৫০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ঠাকুরগাঁওয়ের ডেন্টাল সার্জন ডা. ইহ্সানুল ইসলাম ইহ্সান,স্বপ্ন কলি শিল্পী গোষ্ঠীর পরিচালক এম ইসমাইল হায়দার।এছাড়াও সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন, স্থানীয় অনলাইন মাধ্যম প্রতিদিনের ঠাকুরগাঁও পেইজের অ্যাডমিন রবিউল এহসান রিপন ও এটিএন নিউজের জেলা প্রতিনিধি এম এ সামাদ,বৈশাখী টিভির জেলা প্রতিনিধি নাহিদ রেজা।আলোচনা সভা শেষে অলিম্পিয়াডে তিনটি বিভাগের পাঁচটি গ্রুপে ১৫ জন বিজয়ীর হাতে প্রায় এক লাখ টাকার চেক,সম্মাননা স্মারক ও সার্টিফিকেট তোলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।এর আগে গত ২৩ মার্চ অনলাইন পেইজ প্রতিদিনের ঠাকুরগাঁওয়ের আয়োজনে ও ঠাকুরগাঁও কমিউনিটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ডা. ইহ্সানুল ইসলাম ইহ্সানের সম্পুর্ন অর্থায়নের সহযোগিতায় এই প্রতিযোগীতা শুরু হয়। প্রতিযোগীতায় কোরআন তেলাওয়াত, ইসলামী সঙ্গীত দুটি গ্রুপে ও ইসলামীক কুইজের দুটি গ্রুপে প্রায় ৮শ এর মতো শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। -
রমজানে নিত্য পণ্যর দামের উর্ধ্বগতিতে-ক্রেতাসাধারন অসহায়।
ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডিমলায় পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের বাজার উর্ধ্বগতি। বাজার তদারকি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম না থাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের মূল্য দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ জনগন। এ ছাড়াও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য চাল-ডাল, গরম মসলা, কলা, খেজুর, আপেল, আঙ্গুর, তরমুজ, মাছ, ডিম, গরুর মাংস,খাসির মাংস ও বয়লার মুরগির মাংস, আলু, বিভিন্ন প্রকার সবজি, আদাঁ, রসুন, দুধসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। দ্রব্যমূল্য বাজার উর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলেও প্রশাসনের বাজার তদারকির কোন কার্যক্রম এখনো চোখে পড়েনি। হাট-বাজারের দোকানগুলোতে নেই কোন পণ্যের মূল্য তালিকা।
ফল ব্যবসায়ী রমজান আলীর কাছে পবিত্র রমজান মাসে দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের করার কিছুই নেই, আমরা দাম বাড়াইনি, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।
উপজেলার কয়েকটি হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারের অসাধু ব্যবসায়ীরা সরবরাহ সংকটের অজুহাতে প্রতিটি ভোগ্যপন্যের মূল্য বৃদ্ধি করে দেন ফলে রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্য পন্যের বাজারে ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতি বস্তা চাল (৫০ কেজি) ১০০ থেকে ২০০ টাকা, মুশুর ডাল কেজি প্রতি ৯০ টাকা থেকে ১১০ টাকা, ৯০ টাকার ছোলা ১১০ টাকা, ১৩৪ টাকার পামওয়েল ১৪২ টাকা, ৫৬ টাকার বেসন ৯৫ টাকা, ৫২ টাকার এ্যাংকোর ডাল ৭৮ টাকা, ১০ টাকা হালীর লেবু ৪৫-৫০ টাকা, ৩০ টাকার আলু ৫০ টাকাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে গরুর মাংস,খাসির মাংস ও বয়লার মুরগির মাংসের দাম। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
এদিকে মসলা জাতীয় পণ্যসহ প্রায় প্রতিটি পণ্য মূল্যের উর্ধ্বগতি থাকলেও প্রশাসনের নেই কোন বাজার তদারকির কার্যক্রম। ফলে ব্যবসায়ীরা যে যেভাবে মূল্য বৃদ্ধি করে ত্রেতাদের নিকট বিক্রি করছেন।
ক্রেতারা জানান গত কয়েকদিন আগেও যেসব পন্যের দাম হাতের নাগালে ছিলো, রমজান মাসে সেগুলোর দাম বেড়ে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে । বিশেষ করে বিভিন্ন ফলের দাম বেড়েছে অনেক । ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের নিকট ক্রেতারা এখন অসহায় । এইসব পন্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা, তাদের দাবী প্রয়োজনের তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় পাইকারি বাজারে নিত্য পণ্যের দাম কিছুটা বাড়ছে। বাজারে নিয়ন্ত্রনে প্রশাসন কোন তদারকি হচ্ছে না, সব ধরনের পন্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নীলফামারীর সহকারী পরিচালক শামসুল আলম বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে আমরা সেটি নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। চলতি মাসে দুইটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এধরনের অভিযান আরো অব্যাহত থাকবে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম সহনশীল পর্যায়ে রাখতে সকলের সমন্বয়ে কাজ করছি। ভ্রাম্যমান আদালতসহ বাজার তদারকি চলমান রয়েছে।
-
মোস্তফা মেটালের উদ্যোগে ইমামদের সম্মানে ঈদ উপহার ও ইফতার মাহফিল।
রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃরাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উৎপাদনমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর উদ্যোগে প্রতি বছরেন ন্যায় গোয়ালন্দ উপজেলার ইমাম, মুয়াজ্জিন ও নারী শিক্ষিকাদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে উপজেলা মডেল মসজিদ মিলনায়তনে অনু্ষ্ঠানের আয়োজন করে গোয়ালন্দ উপজেলা ইমাম কমিটি।মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর পরিচালক মো. সেলিম মুন্সীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ২৯০ জন ঈমাম, মুয়াজ্জিন ও ইসলামি ফান্ডেশন পরিচালিত গণশিক্ষা কার্যক্রমের ৪০ জন শিক্ষিকা সহ মোট ৩৩০ জনের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে দোয়া মাহফিল শেষে ইফতার সামগ্রীও বিতরণ করা হয়।ঈদ উপহার সামগ্রীর মধ্যে ইমাম, মুয়াজ্জিনের হাতে পায়জামা ও পাঞ্জাবি এবং নারী শিক্ষিকাদের মাঝে বোরকার কাপড় তুলে দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সী।অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি তদন্ত উত্তম কুমার ঘোষ, গোয়ালন্দ পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক, নাসির উদ্দিন রনি, উপজেলা ইমাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুফতি আবুল হোসাইন, পৌর ইমাম কমিটির সভাপতি মাওলানা মো. শামসুল হুদা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু সাইদ প্রমুখ।এসময় মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোস্তফা মুন্সী বলেন, সমাজে ইমাম আলেমদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের অল্প বেতনেও আল্লাহ্ কত সুন্দর ভাবে চালিয়ে নিচ্ছেন। তাই প্রতিবছরের ন্যায় এবারো আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ইমাম, মুয়াজ্জিনদের মাঝে ঈদ উপহার দিয়েছি। আমি তাদের এ সামান্য উপহার দিতে পেরে খুবই আনন্দিত।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম ও পৌর ইমাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুফতি আজম আহমাদ।